এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • ভাঙা প্রেম

    Paramita
    নাটক | ১৩ জুন ২০০৯ | ৩৬২৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Samik | 219.64.11.35 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ১৮:২৯417341
  • মাইরি, এইটুকু পড়ে এখনও পজ্জন্ত বিভাসের প্রেমিকা সম্বন্ধে জাস্ট কোনও ক্লু পাচ্ছি না। তেকোনা, না মৌ? বুকের ভেতর ব্যাথাতুর কুকুর ডাকে, ঘৌ ঘৌ ...
  • arjo | 168.26.215.13 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ১৮:৩১417342
  • হেঁ হেঁ বাওয়া, অমন গুলি চালালে হবে অভিজ্ঞতার দাম আছে না। আমি তো সেই কবে থেকে এই প্রেমের পরিণতি দেখতে পাচ্ছি। ;)
  • teman keu na | 122.173.182.182 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ১৯:৪৬417343
  • একঝাঁক কথা নিয়ে মৌ ঘরে ঢুকেই হুটোপাটি করে সাজতে বসে গেল। এটা মাখছে, ওটা লাগাচ্ছে, চুলের ক্লিপ, কানের দুল ম্যাচ করছে, আর আমি জানলার দিয়ে সামনের বাড়ির করবী গাছের দিকে তাকিয়ে মনে মনে চেঁচাচ্ছি "মৌউউউউ, বলে দে আমায়। প্লিইইইজ বলে দে যে আমার চিঠি আছে তোর কাছে। তুই ভুলে গেছিস দিতে। জাস্ট বলে দে মৌউউউ"। বলল না, কিছুতেই বলল না। রাতে ঘুমোনোর সময় পাশের বাড়ির মিনু কাকিমাদের ঝগড়ার গল্প বলতে শুরু করল সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে। "জানিস, মিনু কাকিমা মনে হয় চলে যাবে এখান থেকে। কাল চেঁচিয়ে বলছিল আর থাকব না এখানে।"
    তুইও থাকবি না মৌ, আর বন্ধু থাকবি না তুই আমার- খুব কষ্ট হচ্ছিল। অনেকদিন পরে বিভাসকে দেখতে না পাওয়ার কষ্টকে ছাপিয়ে গেল আর একটা কষ্ট। বন্ধুত্ব হারানোর কষ্ট। বিশ্বাস হারানোর কষ্ট। মৌ হারানোর কষ্ট।
    টকি শো হাউসে গেছিলাম আমরা। কথা ছিল সিনেমা দেখে বেরিয়ে ঢাকাই পরোটা খাবো তারপর হাতিবাগানে ঘুরে ঘুরে দর করে (এটা খুব ভাইট্যাল) দুল, চুড়ি কিনব, তারপর টাউনস্কুলের সামনে ফুচকা খাব, মায়ের বড় টিপের পাতা কিনব মনে করে... সবই হচ্ছিল একে একে, শুধু আমি আর আমি নই। মৌ আর মৌ নয়। আর বিভাস... সেই বা আসলে কে? একে মনের এই অবস্থা, তার ওপরে দুই বিষফোঁড়া মিতালী আর কাজরী। প্রেম কচ্ছিস কর, কিন্তু ওরকম ফুচকা মুখে গুঁজে দিতে হবে? পরোটা ভেঙে খেতে গিয়ে ঠোঁটে তরকারী লেগে গেলে মুছে দিতে হবে!! ভাল্লাগছে না আমার। একদম্‌ম্‌ম্‌ম ভাল্লাগছে না কিচ্ছু। মৌ একবার বলল "কি হয়েছে রে তোর?"
    "কিছু না"
    "ও, বলবি না? আমাকেও বলবি না?"
    না বলার ঠেকা তো একমাত্র তোরই- (মনে মনে উত্তর দাঁতকিড়মিড় সহযোগে)
    ফেরার পথে ওর পাশে সিট পেয়েও বসলাম না। উল্টো দিকে ঈশানীর পাশে বসে জানলা দিয়ে চোখ উড়িয়ে দিলাম।
    সবাই যে যার মত বাড়ির পথে। আমি আমাদের স্টপেজ আসার আগেই উঠে দাঁড়ালাম।
    "কিরে? এখন উঠলি কেন?"
    "আমি আগের স্টপে নামব।"
    "কেন?"
    "বাবলুদার দোকান থেকে ট্রেসিং পেপার আর সুতো নেব মার জন্য"
    আমিও মিথ্যে বললাম। আসলে আগের স্টপেজে নামলে দেবীগড়ের সামনে দিয়ে হাঁটতে পারব। মৌ-ও নেমে পড়ল আমার সঙ্গে।
    "বাবলুদার দোকানে বাবলুবৌদি (ওভাবেই অ্যাড্রেস করতাম) বসেছিল। সুতো গুছিয়ে দিতে দিতে আমার দিকে তাকিয়ে হাসল "কি হয়েছে? শরীর খারাপ?"
    "না তো! সারাদিন রোদে ঘুরেছি। টায়ার্ড হয়ে গেছি" হাসলাম আমিও।
    দোকান থেকে বেরোতেই মৌ দাঁড়িয়ে গেল "এবার বল কি হয়েছে তোর। এত চুপ করে আছিস কেন?"
    "কিছু না, ঘুম পাচ্ছে। এই কদিন দুপুরে ঘুমিয়েছি তো"
    দুজন একসঙ্গে হাঁটছি। মাঠের পাশের রকে আছে ওরা। আমি দূর থেকেই দেখে নিলাম, সকলেই আছে - যে তুলে ধরেছিল, যে জল এনেছিল, যে রিক্সা ডেকে দিয়েছিল, সকলেই। আজও তো পড়েই গেছি আমি! সোজা গিয়ে দাঁড়ালাম ওদের সামনে "কেমন আছেন?"
    "অ্যাঁ!! কেন!" (বোঝো! এতকাল ধরে ঝারি করছে, গান শোনাচ্ছে আর সামনা সামনি কেমন আছেন-এর উত্তরে অ্যাঁ, কেন!! হাঁদুজ )
    "এমনিই। আচ্ছা, বিভাস কোথায়? ওকে আর দেখতে পাই না তো!"
    "বিভাস? কেন? ও কি করেছে??"
    (উফ্‌হ্‌হ্‌হ্‌হ্‌হ্‌হ্‌হ্‌হ। এমন করে বলছে যেন আমি আমার মাসতুতো গুন্ডা দাদাকে নিয়ে এসে খোঁজ করছি তার)
    "কিছু করেনি" অন্যসময় হলে হেসে ফেলতাম ওদের ঘাবড়িফায়েড চেহারা দেখে, কিন্তু এখন আমি আমি নই :-(
    "এমনিই। অনেক দিন দেখিনি ওকে। তাই জিজ্ঞেস করলাম"
    "বিভাস তো নেই। ভিলাই গেছে পরীক্ষার পরে, ওর বাবার কাছে। বাড়ির সকলেই গেছে" - সেই রিক্সা ডেকে আনা ছেলেটা। কি দারুন একগালে টোল পড়ে এর! এমন একলষেঁড়ে টোল আমি আগে দেখিনি কখোনো। আগের দিনতো হাসছিল না, বুঝতেই পারিনি কি সুইট হাসি এর! আমিও হাসলাম টোলে চোখ ছুঁয়ে "কবে ফিরবে?"
    "এই তো সামনের সপ্তাহে। আমাদের তো জাগৃতি সঙ্ঘের সঙ্গে ম্যাচ আছে ও ফিরলেই"
    "আচ্ছা, ও এলে বলবেন আমি খোঁজ করছিলাম"
    "হ্যাঁ হ্যাঁ, নিশ্চই বলব' (নিখুঁত কোরাস, কে বলবে আগে রিহার্স করে নি)
    আমি পা বাড়ালাম। মৌ একটু দুরে দাঁড়িয়েছিল। ওর কাছেও এত আচমকা ব্যাপারটা বলেই হয়ত আর এগিয়ে আসে নি। পাশে পৌঁছতেই গলা চড়ল "ওদের সঙ্গে কথা বলতে গেলি কেন? যখন তখন আওয়াজ দেয়"
    "যারা দেয় না আওয়াজ তাদেরকে ভাল্লাগে না আজকাল......... চল তোদের বাড়ি হয়ে বাড়ি যাব"
    "আমাদের বাড়ি? কেন?"
    "বারন করছিস যেতে?"
    "আরে! অ্যাইইই, কি হয়েছে তোর?? শিগ্গির বল"
    "বাড়ি চল, বলছি"
    ওর বাড়িতে ঢুকে আমিই আগে সিঁড়ি টপকে টপকে ওর ঘরে। ও ঢুকেই খাটের ওপর নিজেকে মেলে দিল "আ:, আজ দারুন এনজয় করেছি বল! এবার বল তোর কি হয়েছে"
    আমি টেস্টপেপারটা থেকে খামটা বার করলাম তারপর কিছু না বলে দরজার দিকে এগোলাম। মৌ প্রথমে বোধহয় বুঝতেই পারে নি। তারপরেই একলাফে দরজায় "অ্যাইই, শোন, আমি.... আমি বলতাম"
    সে মুহুর্তে মনে হচ্ছিল মৌ মা হয়ে যাক, আমি ওর বুকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁদি
    "বলতিস? কি বলতিস?"
    "শোন, তুই ভুল বুঝিস না" মৌ টান দিল হাত ধরে "আমি তোকে চিঠিটা দিই নি, কারণ আমি চাইনি যে শুধু শুধু বিভাস তোর থেকে কষ্ট পাক"
    "কষ্ট পাবে আমার থেকে? তুই জানিস না যে আমি...'
    "তুই কি? তুই তো ওর সঙ্গে সেদিন দেখা করিস নি। চিঠি লিখেছিল, উত্তর দিস নি, নিজে থেকে কোনো ইনিশিয়েটিভই নিস নি যাতে ..."
    "যাতে কি? যাতে ওর মনে হয় ওর জন্য আমি মরে যাচ্ছি?'
    কেঁদে ফেললাম আমি। বিভাস, মৌ, সকলেই কাঁদালো আমায়। আমি কষ্ট দিই বিভাসকে? নাকি তুই ভালোবাসিস?'
    "কে বলেছে তোকে আমি ভালোবাসি?"
    "তোর বই খাতা"
    একটু চুপ করে রইল মৌ, তারপর উঠে ড্রয়ার থেকে আরো তিন চারটে চিঠি এনে দিল। সব আমার জন্য। একটায় লেখা "একবার আসবে? আজ সন্ধ্যেবেলায়?"
    আর একটায় - পরীক্ষা ভালো করে দিও। all the best.
    অন্য একটায় "খুব দেখতে ইচ্ছা করছে তোমায়। এপাড়ায় কি আসতে নেই!"
    একই সঙ্গে কষ্ট আর খুশি আমায় কব্জা করে ফেলছিল। ভালোলাগছে খুব কারণ ও আমায় লিখেছে এসব। এতোবার ডাক দিয়েছে। আর কষ্ট কারণ ও জানে না যে আমি জানতেই পারি নি ও এভাবে আমায় খুঁজেছে।
    "কেন দিসনি এগুলো আমায়?"
    "কেন দেব?" ঝাঁঝিয়ে উঠল মৌ "ওকে তুই সেদিন ওরকম করে ফিরিয়ে দিলি কেন? আমরা তারপর কতক্ষণ হাঁটতে হাঁটতে কথা বললাম। তোর সঙ্গে কথাই বা কতটুকু হয়েছে ওর? আমাকেই তো বার বার ডাকত। ও তো আমাদের বাড়িতেও আসে। মাও ওকে পছন্দ করে। এগুলো তো আমাকে বাড়িতেই এসে দিত"
    "তো??"
    "তো আবার কি? তুই তো মেজাজ দেখিয়ে বলেছিলিস "দেখা হয়ে গেলে কথা হবে... বিভাস আমার বন্ধু। তাকে ওরকম হেলাফেলা করে বললে আমার খারাপ লাগবে না!!"
    "আর আমি? আমি বন্ধু নই??? আমি কে তোর??"
    "তুই? তুইও বন্ধু...." মুখ ঘুরিয়ে নিল মৌ
    আমারো আর কথা বলতে ইচ্ছা করছিল না। উঠে পড়লাম। এসব বলে কিচ্ছু জাস্টিফাই করা যায় না আসলে। শুধু বললাম "ওকে জানিয়ে দিস যে ওকে ভালোবাসিস তুই। এমনিতেও আমাদের বাড়িতে এসব জানতে পারলে মা আর ......."
    (আমার কাছে তো বিভাসের চিঠি আছে, চার চারখানা। বালিকাবেলার রোম্যান্টিসিজমে ঐ চারখানি চিঠি বুকে নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেব টাইপের একটা ভাবনা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম.....)
  • vikram | 193.120.76.238 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ১৯:৫৭417344
  • মাখন মাখন
  • intellidiot | 220.225.245.130 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ২০:০০417345
  • সুপার ঘ্যামা :-)
  • nidhiram | 219.64.131.100 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ২০:০৯417346
  • বেশ ভালো হচেছ গো---এটুট তাড়াতাড়ি
  • jkbn | 168.26.215.135 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ২০:৩৮417347
  • আহা ইশ্‌শ আমি যদি বিভাস হয়ে জন্মাতাম!!:-((
  • Samik | 219.64.11.35 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ২২:০২417348
  • বহুযুগের ওপার হতে ...

    পাগ্‌লা ক্ষীর খা, গুড় দিয়ে রুটি, চিনি দিয়ে চা ...
  • sahana | 117.254.94.193 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ২৩:০০417349
  • কেমন যেন মনে হচ্ছে হু হু করে সব নাইন টেন ফিরে ফিরে আসছে। বিভাসের সাথে দেখো ঠিক দেখা হয়ে যাবে। এক্কেবারে হঠাৎ করে। তখন কেমন সব এলোমেলো হয়ে যাবে আর মনে মনে না বলা এত্তো কিছু মনে পড়ে যাবে , আর ভীষণ ভীষণ ভালোলাগায় নিজেকে নতুন করে পেয়ে যাবে......" শূণ্যের ভিতরে কত ঢেউ আছে " সে কথাও জানতে পেরে যাবে । এমন ভাঙ্গা পেরেম এর গল্প শুনে মনকেমন করছে খুউউব ...........
  • rokeyaa | 203.110.243.21 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ২৩:১৩417351
  • ও তেকোনা মাসি, বিভাস মেসো তাপ্পর কি কল্লো?
  • papiya | 165.91.215.12 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ২৩:১৪417352
  • বিভাস কি সকলেরি ব্যাথা?
  • teman keu na | 122.173.182.182 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ২৩:১৬417353
  • :-)
  • arjo | 168.26.215.13 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ২৩:২৪417354
  • এই তেকোনা বহুত জালি তো। জেগে বসে বসে দেখছে লোকে কি কমেন্ট দিচ্ছে কিন্তু লিখছে না। কেলাও তেকোনাকে।
  • teman keu na | 122.173.182.182 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ২৩:২৭417355
  • আরে এই তো এলুম্‌ম্‌ম্‌ম !! যে পারে আমায় ধরে দেয়, পিস্তল থেকে ক্যাল :-(
    পালাবো এবার :-(
  • Tim | 198.82.25.133 | ২৭ আগস্ট ২০০৯ ২৩:৪২417356
  • ছিছি এরা কি পাষন্ড। ব্যাথিত (তা দিলাম না জেনেশুনেও) তেকোনাকে পিস্তল আর ক্যাল দেখায়। এসব কথায় কান দিওনি তেকোনা, লিখে চলো।
  • Sayantan | 115.108.25.26 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ০০:২৬417357
  • যদি। আর যদি কোনওদিনও, এই যেমন এখন, সেই সত্যিকারের বিভাস যদি পড়ে এসব পাতা, তো তার কি হবে?
  • baps | 203.199.41.181 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ০১:২০417358
  • বুকের ভিতর টা হুহু করে উঠল গা। আহা যদি তেকোনার মত করে লিখতে পাত্তুম তালে আম্ম একখান.... না: স্মৃতি বড় বেদ্‌নার।
  • intellidiot | 59.164.2.162 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ০১:৩৪417359
  • তালে কি হত? আপ্নেও একখান প্রেম ভাঙতেন? :-o
  • Du | 65.124.26.7 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ০১:৫৭417360
  • আমি আর তাকে ভালবাসিনা একথা ঠিক --কিন্তু
  • debu | 170.213.132.253 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ০১:৫৮417362
  • Ménage à Trois হোতেও তো পারতো?
  • bibhas | 168.26.215.135 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ০২:১০417363
  • হুমম.. দেখি!! আগে পুরোটা পড়ি!!!
  • pinaki | 131.151.102.250 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ০২:১৬417364
  • হ্যাঁ, তারপর আপনার অ্যাঙ্গেল থেকে গপ্পোটা আবার শুনবো। :-)
  • baps | 203.199.41.181 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ০৩:০০417365
  • না: গুরু প্রেম ভাঙার বয়স আর নেই :(
  • Shuchismita | 98.228.118.141 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ০৩:৩৫417366
  • অসাধারন হচ্ছে!
  • anonymous | 114.30.47.10 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ০৬:১৮417367
  • ভালো লাগলো
  • M | 59.93.214.117 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১০:১৮417368
  • ও যাষ্ট অসাধারন, সেই সব চিঠি খুঁজতে হবে।
  • b | 203.199.255.110 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১১:৩০417369
  • (আমারো ছিলো একটা ভাঙা প্রেমের গল্প। কিন্তু সেই মাতাল ব্যাটা কিস্যু না জেনেও দেকি পুরো গল্পটা লিকে ফেলেচে )

    বহুকালের সাধ ছিলো তাই কইতে কথা বাধছিল
    দুয়ার খুলে দেখিনি, ঐ একটি পরমাদ ছিলো
    যখন তুমি দাঁড়াও হেসে, আন্ধারে রোদ্দুরে ভেসে
    হাসির ছটা ভুলিয়ে গেল, ভিতরে কেউ কাঁদছিলো।

    ও মন, দরদ দিয়েছো তায়, রাত ভিজানো বনের লতায়
    এক দিবসের প্রেমে প্রখর স্মর-বিরহ বাদ ছিলো
    সামনে ভালো মানুষ সেজে
    আড়ালে হাত কামড়ে নিজের
    রক্তচোষা এক ছাপোষার হৃদয়হরণ সাধ ছিলো।।

  • nam bolbona | 122.167.212.60 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১১:৩৯417370
  • মন

    ********

    দেওয়াল ঘড়িতে ঢং ঢং করে ঘন্টা বেজে ওঠে। দময়ন্তী দেখেন ভোর ৪ টে বেজে গেছে। এখনো বিস্তর খাতা দেখা বাকি। উচ্চমাধ্যমিক এর এখনো ২ মাস বাকি আছে। তবুও ছাত্রীদের এই অন্তবর্তী সময়ে তিনি মাঝে মাঝে পরীক্ষা নেন ।যাতে তারা উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য আরো ভাল ভাবে নিজেদের তৈরী করতে পারে।

    নাহ থাক ।এখন আর খাতা দেখবোনা। এই ভেবে উঠে পড়েন তিনি। খাতা দেখতে দেখতে কখন যে ভোর হয়ে গেছে,তিনি বুঝতেই পারেন নি। এখন বাগানে গিয়ে পুজার ফুল তুলতে হবে। আশ্রমে যদিও অন্যান্য রা আছেন তবুও ভোর এ উঠে পুজার ফুল তোলা তার দীর্ঘ দিনে অভ্যাস। বলা ভুল হলো। বলা যেতে পারে সুদীর্ঘ বছরের অভ্যাস। ২৬ বছর আগে তিনি এই অনাথ আশ্রম টিতে যোগ দিয়েছিলেন । ভেবেছিলেন এদের নিয়েই বাকি জীবন কাটিয়ে দেবেন।আর আজ তিনি এই আশ্রম এর অধ্যক্ষা হয়ে গেছেন।

    আশ্রম টি ভারি সুন্দর। মেন গেট দিয়ে কম্পাউন্ড এ ঢুকলেই প্রথমে দারোয়ান রামনারায়ন এর ঘর। পাশ দিয়ে চলে গেছে পিচের রাস্তা। রাস্তার দুই পাশেই বাগান। অজস্র ফুল ফুটে আছে তাতে। গোলাপ,ডালিয়া,চন্দ্রমল্লিকা,জবা কি নেই সেই বাগানে। একটু এগোলে রাস্তার বাঁ দিকে আছে মন্দির। আর ডানদিকে খেলার মাঠ। মন্দিরের পিছনে যে দো তলা বাড়িটি আছে তাতেই থাকেন এই আশ্রমএর দিদি মনিরা। আর পাশের লাল বাড়িটিতে থাকে ছাত্রীরা।খেলার মাঠ এর সামনেই কলেজ। এই কলেজটি আশ্রম দ্বারা পরিচালিত। এখানে আশ্রমের ছাত্রীরা যেমন পড়ে,তেমন বাইরে থেকেও ছাত্রী রা পড়তে আসে।

    দময়ন্তী বাগানে আসেন।শরীর টা আজ ভাল লাগছেনা।মন টাও বিক্ষিপ্ত ।পরশু দিন অরুনাভের ১ খানি চিঠি পেয়েছেন।অরুনাভ এখন কলকাতায় এসেছে। আজ ঝিলিক কে নিয়ে দেখা করতে আসবে। কলকাতা থেকে এখানে আসতে প্রায় ৪ ঘন্টা লাগে। বিকালের ট্রেন এ ওরা আবার কলকাতা ফিরে যাবে। অরুনাভ এখন রাটজার্স ইউনিভার্সিটির ফিসিক্স এর অধ্যাপক। কালকে আবার ওরা নিউ জার্সি ফিরে যাবে।

    অরুনাভের সাথে প্রথম পরিচয় হয় কফি হাউসে ।মনে আছে সেদিন সকাল থেকেই কি বৃষ্টি।দময়ন্তী তখন মাস্টার্স করছেন ইঙ্গলিশ এ , সি ইউ তে। তিনি ছিলেন বন্ধু মহলে দারুন জনপ্রিয়। যেমন সুন্দর দেখতে,তেমন সুন্দর গানে,তেমনি ব্যবহারে। এক কথায় অনন্যা। পাকা গমের মত গায়ের রং ,রামধনুর মতো বাকা ভ্রু,ঘন বর্ষার মত ঝাপাল চুল,অপুর্ব সুন্দর মুখ। এই মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়েই ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটান যায়। গানের গলাও সেরকম।ফেস্ট এ দময়ন্তী বসু না গাইলে শ্রোতা দের মন ভরবেনা। আর ব্যবহার ও ভারি মিষ্টি ।এক নিমেষেই সবাই কে আপন করে নিতে পারে। যে মেয়ের জন্য সবাই পাগল সেই মেয়েই কিনা পড়ে গেলো অরুনাভ এর প্রেমে।
  • Samik | 59.160.206.226 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৩:১৫417371
  • অ্যাই তেকোনা ছেম্‌ড়ী, লিক্‌বি কিনা? নাকি পাকাচুলের ডগায় আবার পিস্তল ধরবো?
  • tkn | 122.162.42.128 | ২৮ আগস্ট ২০০৯ ১৩:২১417373
  • এই তো ও... এক্ষুনি... বসছিই...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন