এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • উৎসব ২০০৯

    d
    অন্যান্য | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১৯৯৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Du | 71.170.109.51 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৫৭421514
  • 700 AMcst সকাল সাতটায় মহালয়া শুনতে পারো - আম্রিগাবাসীরা।
  • dd | 122.167.14.90 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৪৬421515
  • ব্যাংগালুরুতে যে পঞ্চমী থেকেই পুজো শুরু হয়ে যায় সে তো আপ্নেরা জানেনই।
    তো তেমতি সন্ধ্যেবেলা হেথাকার বড় পুজো। হয় আনন্দমেলা। হোম মেড ফুডের স্টল। হোম মেড মেনু, পিঠে, পায়েস,সন্দেশ, মাছের চপ। কিছু কিছু থাকে অতি ভয়ংকর। পাথরের মতন প্রানঘাতী গুলাবজামুন খেতে হয়েছিলো এক বার।

    বুড়ো আঙুলের নিয়ম হচ্ছে যে স্টলে পাকাচুলের বর্ষিয়সী মহিলা আছেন সেই খান থেকেই খাবার কিনুন। প্রোবাবিলিটি হচ্ছে সেই স্টলের খাবার ভালো হবে। (আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান - এই এক এজ বায়াসড পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট স্টেটমেন্ট করলাম ,এইবার আসবেন ছুটে .....)

    আমি অবশ্য অ্যামেচারদের অতো পাত্তাদি না। ঐ স্টলের বাইরেই প্রফেশনালদের আড্ডা। নিজাম,বাবুমশাই, ৬ বালীগনজ প্লেস,বিজোলি গ্রেল,ইত্যাদি। কষা মাংস আর লুচি,ফিস কবরেজী। ইলিশ মাছ ভাত। আর নানান রোল,বিরিয়ানী। এমন কি মোচার চপও। লোকে আদিখ্যেতা করে সেও ও কিনে খায়। ঈক।

    গাইলেন নচিকেতা। সে যে কী অসম্ভব বাজে সে আর কহতব্য নয়। আধঘন্টার মধ্যে আদ্ধেক লোক উঠে চলে গেলো। প্রচন্ড খারাপ লাগলো যখন উনি 'এ কী লাবণ্য পুর্ণ প্রানে" গাইলেন। মনে হলো আকাট ফাজলামি শুনছি।

    এই রকমই চলবে আরো চারদিন। চারদিন। আরো। বাবারে।
  • Arpan | 216.52.215.232 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:২৯421516
  • ভাগ্যি যাই নাই!
  • r | 125.18.104.1 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:২৬421517
  • আজ মেঘলাষষ্ঠী। সকালে দু টুকরো রোদের সাথে ছিটকে এসেছিল ঢাকের বোল। এখন ঘোড়ার খুরের মত কিবোর্ডের আওয়াজ। আকাশে ডাঁইকরা ঘোলাটে মেঘ। ঝুপড়ির সামনের কাদায় দাঁড়িয়ে মানুষ, কুকুর ও গরু। রোল, ধোসা আর সিগারেটের ধোঁয়া মেঘের দিকে উঠে যাচ্ছে। আপাতত: চিন্তা মানে চিংড়িহাটার জ্যাম। বাকিটুকু অপেক্ষা। ছুটি, ঘুম আর আনন্দের।
  • d | 59.161.149.159 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:০৩421518
  • ঠিক পুজোর আগে আগে এই কলেজটায় কম্পিউটার সেন্টার খোলা হয়েছে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের ফল বেরোনর পরে যেইনা কলেজে ভর্তির হইচই শুরু হয়, অমনি কম্পিউটার সেন্টারগুলো মাথা বের করে। কলেজের একটা ঘর নিয়ে শুরু হয়। ফর্ম তুলতে আসা ছেলেমেয়েদের হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ে পাতলা পিতপিতে কাগজে ছাপা সেন্টারের বিবরণ। ৩ মাস, ৬ মাস, ১ বছরের কোর্স। একটা ঘর খুলে রোজ বসে থাকে একটা ছেলে কিম্বা একটা মেয়ে। পুরান ও নতুন ছাত্রছাত্রীরা কোর্সের ডিতেইলস জানতে দলবেঁধে ভীড় জমায় ঐ ঘরে। অনেকে ভর্ত্যির ফর্ম নিয়ে যায় আবার অনেকেই নেয় না। সবাই জানতে চায় চাকরী পাওয়ার সম্ভাবনা কত শতাংশ। সেন্টার ইন চার্জ, অর্থাত কিনা সেই যে রোজ ঘরটা খুলে বসে থাকা ছেলে বা মেয়েটা, পুতুলের মত আওড়ে যায় চাকরী পাওয়ার অসীম সম্ভাবনার কথা। তার মধ্যে কেউ কেউ, যারা এই সেন্টার ইন চার্জের কাজটা পেয়ে খুব সন্তুষ্ট, অনেকটা অতিরিক্ত উত্‌সাহ নিয়ে বোঝাতে বসে। আর যারা যারা বুধবারের টাইমস অফ ইন্ডিয়া আর রবিবারের স্টেটসম্যান দেখে দেখে সমানে সিভি পাঠিয়ে যায়, তারা চুপ করে একটা ঢোঁক গিলে নেয়। ক্রমে ক্রমে বেশ কিছু ছেলেমেয়ে ভর্তিও হয়ে যায় কলেজের ঐ সেন্টারগুলোতে। কেউ ডিটিপি শিখবে, কেউ ৬ মাসে বেসিক কম্পিউটার ট্রেনিং আর ডিটিপি দুইই নেবে কেউ বা আবার একবছরের ডি সি এ করবে।

    উত্তর কলকাতার এই কলেজটায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৩ শিফটে ক্লাস হয়। সেন্টার ইন চার্জ মেয়েটা আগে তো আশুতোষ কলেজে ছিল ল্যাব য়্যাসিসটেন্ট হয়ে। "সেন্টার ইন চার্জ' হওয়ার জন্য সেখান থেকে চলে এসেছে। এরা নতুন সেন্টার খুলছে এখানে, ওকে এখানে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতবড় কলেজ হওয়ায় সেন্টারে ছেলেপুলে ভর্তি হয়েছে ভালই। টাকাগুলো রেখে যেত সেন্টারের তালাবন্ধ ড্ররে। মাঝে মাঝে রিজিওনাল ইন চার্জ অর্থাত কিনা বেশ কটা কলেজের সেন্টারের দায়িত্ব যার হাতে, সেই "সুভাষদা' এসে টাকাটা নিয়ে যেত। গত ৬ দিন আসে নি। কাল সপ্তমী থেকে কলেজের সেন্টার বন্ধ হয়ে যাবে, খুলবে সেই লক্ষ্মীপুজোর পরেরদিন। আজকেও কলেজ বন্ধ, কিন্তু ওকে সেন্টার খোলা রাখতে হয়েছে। মেয়েটা আজ ফোন করেছিল সুভাষদাকে, কলেজের ফোন থেকে। ওকে সুভাষদা বলেছে সাড়ে ছটায় সেন্টার বন্ধ করে সমস্ত টাকাগুলো নিয়ে ওদের চ্যাটার্জী ইন্টারন্যাশনালের ১২ তলার অফিসে দিয়ে আসতে। মেয়েটার সেই থেকে মন খারাপ --- আর ---- আর একটু একটু ভয়। কলকাতায় পুজোর সময় খুব চুরি ছিনতাই হয়। এই অক্টোবরের মাঝামাঝি সন্ধ্যে সাড়ে ছটা মানে বেশ অন্ধকার। কেউ যদি নিয়ে নেয় টাকাগুলো। একটা বাসে উঠলেই চলে যাওয়া যায়, কিন্তু ১৪৬০০ টাকা ব্যাগে নিয়ে যেতে সাহস হয় না। আজ ষষ্ঠী, সারা কলকাতায় কি আনন্দ। সবাই কেমন ঝলমল করছে। একটু ভেবে মেয়েটা শেষে একটা ট্যাক্সী নিল।

    ট্যাক্সী চলছে সে¾ট্রাল এভিনিউ ধরে। কি আলো চারদিকে। সেই ছোট্টবেলায় ৮ বছর বয়সে ও শেষবার দেখেছে রাস্তায় এত এত আলো। সবাই কেমন মজা করে ঘুরছে ---- ওদের কালীতলাতেও এতক্ষণে বোধন হয়ে গেছে নিশ্চয়ই। মেয়েটা অবশ্য কোথায়ও তেমন যায় না, কিন্তু ঢাক আর কাঁসির আওয়াজ, মাইকের শব্দ তো শোনা যায়। এখন কি আর কেউ অফিস থেকে ফিরছে! সবাই তো বেড়াতে বেরিয়েছে। মেয়েটার ভারী একলা একলা লাগে। এই এত্ত বড় শহরটা, এই এত এত আলো , এত আনন্দ ওকে ঠেলে ঠেলে একটা অন্ধকারের গোলকের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে থাকে।

    একসময় পৌঁছে যায় ওদের অফিসে। সেখানে অন্য সেন্টার ইন চার্জরা প্রায় কেউ নেই ২-১ জন বাদে। অথচ সুভাষদা বলেছিল কলকাতা অঞ্চলের সবাই নাকি আসবে। ও শুনল অনেকেই এসে চলেও গেছে। সাড়ে ছ'টার আগে তারা এলো কী করে? বা:রে! ওকে তাহলে এতক্ষণ থাকতে হল কেন? তারপর টাকা গোণা হল, হিসাব পরীক্ষা হল, মেয়েটাকে একটা স্লিপ লিখে দিল সুভাষদা, আর তারপরে ওকে বলল আরও একটু বসতে। ও বলে অনেক রাত হয়ে যাবে যে বাড়ী ফিরতে, রাস্তায় খুব ভীড়। অন্যরা শুনে খুব বিরক্ত হয় -- "যত্তসব মেয়েলীপনা' --- "এইজন্য এদের নিতে নেই ইন চার্জ হিসাবে' ---- কেউ কেউ আবার বলে আরে আজ তো ষষ্ঠী, লোকে রাত জেগে ঠাকুর দেখবে তো। একটু দেরী হলে আর কি এমন অসুবিধে হবে! মেয়েটা আবার ঢুকে যেতে থাকে ঐ অন্ধকারের গোলকটার মধ্যে। গোলকের সাইজটা যেন গুবগুব করে বাড়ছে।

    মেয়েটার মনে পড়ে আসার সময় দেখা রামমন্দিরের ছোট ছোট এম্ব্রয়ডারি করাবার দোকানগুলো। প্রায় সব ফাঁকা, কেউ কেউ ঝাঁপ বন্ধ করছে। লোকে যা যা অর্ডার দিয়েছিল ষষ্ঠীর দুপুরের মধ্যেই সবাই সেগুলো নিয়ে গেছে। এদিকে বনগাঁ আর ওদিকে আন্দুল মৌরীগ্রাম অঞ্চলের কারিগররা বন্যার জন্য ঠিকসময়ে সাপ্লাই দিতে পারে নি। কারো শাড়ী, জামা, পাঞ্জাবী এসেছে ২ সপ্তাহ কারো বা ৩ সপ্তাহ পরে। লোকে খুব বিরক্ত, দোকানদারও কাঁচুমাচু, শুধু কারিগরই তাকিয়ে থাকে কেমন এক বোধহীন, ভাষাহীন চোখে। বন্যায় যথারীতি ভেসে গেছে তার ঘরদোর, তাও এই বছরকার কাজগুলোকে নষ্ট হতে দেয় নি, ২-৩ সপ্তাহ দেরী হয়েছে বলে মহাজন কেটে দেবে আরও দুই কিম্বা তিনশো টাক। যে ক'টাকা পাবে, তাই দিয়ে নতুন করে ঘর ছাইবে, নাকি ছেলেমেয়েকে বছরকার দিনে কিছু কিনে দেবে তা ভেবে উঠতে পারে না।

    শেষে আরও আধঘন্টা পরে ওর ডাক পড়ে ভেতরের ঘরে। একজন বড়কর্তা একটা খাম এগিয়ে দিয়ে বলেন "এই নাও তোমার বোনাস'। মেয়েটা কেমন ভেবলে যায় -- "বোনাস!!' আরেব্বাস! দারুণ তো। কর্তা হেসে বলেন খুলে দেখে নাও ---- ও খোলে। ১৫০০/- টাকা, ওর একমাসের বেতন। উনি হেসে বলেন, এবার এসো। আর মেয়েটা এক ঝটকায় বেরিয়ে আসে ঐ কালো গোলকটা থেকে। ভীষণ খুশী হয়ে যায় এই অপ্রত্যাশিত পাওনায়। অফিস থেকে বেরিয়ে দেখে এখন আর কোন দোকানে যাওয়া যাবে না।অকিন্তু ওর যে খুব কিছু কিনতে ইচ্ছে করছে --- মা'য়ের জন্য শাড়ী, জুতো, পিসীর জন্য শাড়ী ---- কিন্তু এখন আর হবে না। ঘুরেফিরে বেশ খানিক দূরে গাঙ্গুরাম থেকে একগাদা মিষ্টি কিনে বাস, ট্রেন ঠেঙিয়ে ঝলমলিয়ে বাড়ী ফেরে। কাল থেকে ছুটি লক্ষ্মীপুজো পর্‌য্‌ন্‌ত --- ৪ টে পুজোসংখ্যা কিনেছে, পিসীর বাড়ী থেকে নিয়ে এসেছে আরও দুটো। সবকটা পড়ে ফেলতে হবে এই ক'দিনে।

    পরে অবশ্য মেয়েটা জানতে পেরেছিল ওরা অল্প কয়েকজনই সবচেয়ে কম বোনাস পেয়েছিল। বাকীরা ২ মাস কিম্বা ৩ মাসের বেতন পেয়েছিল বোনাস হিসাবে। কিন্তু সে তো পুজোর আরও ২ মাস পরে জানা। সেদিন, সেই ষষ্ঠীর দিনে উত্‌সব উত্‌সব আলোটা টুক করে জ্বলে গেছিল মেয়েটার মনে।
  • a x | 143.111.22.23 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:১৩421519
  • এই মেয়েটার কথা আরেকটু বেশি বেশি করে লিখলে পার তো?
  • Paramita | 216.10.193.23 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৩৭421520
  • আরো জানতে চাই মেয়েটার কথা।
  • 0 | 212.95.71.8 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:৫৭421521
  • দ, শ্রাবণী, কি আর বলি ... জীতে রহো!
  • Sas | 196.13.231.43 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:৩২421522
  • কেও কি Kindly ভালো ভালো দুর্গা পুজা Pandal গুলো র link দিতে পারবেন ? ডুধের সাধ ঘে্‌হালে মেতাবো ।
    NB : Error in Page আসচী laptop এ । বাঙ্গলা দেখা জাছে না। :-(
  • shyamal | 24.117.233.39 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:৩৫421524
  • এখানে দেখুন :
    http://tinyurl.com/y9c96o3
  • Sas | 196.13.231.43 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২০:৫৯421525
  • অনেক অনেক ধন্যবাদ শ্যামল দা কে ।

  • M | 59.93.254.243 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:২৩421526
  • সেবার একা যাবার পার্মিশান পাওয়া গেছে, নতুন জুতো কিছুতেই আগে থেকে পরে অভ্যাস করা যায় না, তালে পুরোনো হয়ে যায় কিনা। সবাই মিলে যাওয়াটা বেশ আনন্দের হলো, ফুচকা, ঘুগনি খাওয়াটাও ঠিক আছে, কিন্তু পায়ে ফোসকা পরে গেলো, এবার ব্যান্ডেড লাগিয়েও ম্যানেজ দেওয়া যাচ্ছেনা, অগত্যা অন্ধকারে খালি পায়ে দৌড় আর আলোতে জুতো পরে খোঁড়ানো।শেষে লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে দুহাতে জুতো নিয়ে খালি পায়ে ফিরে আসা।
  • Paramita | 216.10.193.21 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৪৭421527
  • পুজোয় চাই পরিবর্তন।
  • bhabuk | 198.80.144.187 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:২৭421528
  • আমাদের ব্ল্যাঙ্কি 'র তোলা ছবি দেখলাম মনে হ`ল ক্যালকাটা ওয়েব এ। আরো কিছু লিংক আসুক।
  • dd | 122.167.17.70 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:১১421529
  • আজকের আনন্দবাজারে উষসী চক্কোত্তি বলে একজন রম্য রচনা লিখেছেন "বাঁচা গেলো" বলে।

    আমার মনের প্রানের কথাটি এমন করে আর কেউ কখনো কন নাই।

    পড়ুন। মাইনরিটিদের পাশে দাঁড়ান। একটু গম্ভীর হোন।
  • bhabuk | 207.172.130.39 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৫০421530
  • ইহা কি গ্লোরিফায়েড দু:খবিলাস? ভীড়, হইচই তো অনেকের-ই ভালো লাগেনা; কিন্তু অখন্ড অবসর? প্রিয় জন , প্রিয় বই, প্রিয় ছবি - হ্যাঁ মশাই ফিলিম পেইটিং না, সেগুলি ব্রাত্য ক্যানো?
    ইহা রম্য রচনা? হবে হয়ত, সব কি আর মালুম হয় কত্তা...............
  • shyamal | 24.117.233.39 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৮:১৪421531
  • এই উষসী খাঁটি কথা বলেছেন। আনন্দ করা, সে দুর্গা পুজোই হোক আর ডিজনি ওয়ার্ল্ড যাওয়াই হোক, বহুত পরিশ্রমের। আগে থেকে প্ল্যান করে চলতে হয়। যখন দেশে চলে গিয়েছিলাম, প্রথম বছর টাটা সুমো ভাড়া করে সারা রাত ঠাকুর দেখার প্ল্যান হল। বাবারে, তেলেঙ্গাবাগানের (উল্টোডাঙা) ঠাকুর দেখতে প্রায় বাইপাসে পার্ক করতে হচ্ছে। কলেজ স্কোয়্যারের আলোর খেলা দেখবেন? কোঈ বাত নেহি। এসপ্ল্যানেডে বিস্তর খালি পার্কিং আছে, সেখানে পার্ক করে হাঁটুন। তৎকালে ড্রাইভারদের হাতে হাতে সেলফোন থাকতনা। তাই আরো সমস্যা। তখনই বুঝলাম, প্রায় সমগ্র কলকাতা একটি নো পার্কিং জোন। পার্ক করতে হলে অলিগলি খুঁজুন।
    শেষে যখন সকাল সাড়ে পাঁচটায় বাড়ি ফিরলাম, তখন পায়ের নাটবল্টু ঢিলে হয়ে গেছে।
    তারপর থেকে পুজো মানেই কলকাতার বাইরে চলে যাওয়া।
    আর অনেক পুরুষমানুষেরও দেখেছি দশমী এলেই চোখ ছলছল, মা চলে যাচ্ছেন। এই জিনিষটা মাইরী কোনদিন বুঝলাম না। তবে এককালে পুজোসংখ্যার জন্য আকুল আগ্রহে বসে থাকতাম। আজকাল সেটাও কেমন চলে গেছে। বোধ হয় পুজো সংখ্যার স্ট্যান্ডার্ডও পড়ে গেছে। কে জানে?
  • sinfaut | 203.91.193.7 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:১৪421532
  • উষসীর লেখাটা ভয়ানক কনফিউজড লাগলো মাইরি। পুজো + ভীড় + মাইক + ইত্যাদি ভালো লাগেনা তো ছুটি নিয়ে বেড়াতে যাও, কিংবা ঘরের দরজা বন্ধ করে মাল খাও, গান শোনো, বই পড়ো, সিনেমা দেখো। তা না, ইনি রাস্তায় বেরোবেন আপিসে যাবেন আর লোকজনকে ডেকে ডেকে বলবেন ও: আপনাদের আনন্দ হচ্ছে বুঝি, কি মুস্কিল এই দেখুননা আমার হচ্ছেনা, আমি দু:খ পেয়েছি মনে হয় আবার কে জানে নাও পেতে পারি। আজব দেখন্দারি।
  • dd | 122.167.32.59 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১২:৪৫421533
  • সিঁ ফোঁ যে কি কয়। আরে চাইলেই কি পুজোর হাত থেকে নিষ্কৃতি
    পাওয়া যায়? ফেমিলি আছে না? এই আমাকেই তো বাধ্য হয়ে যেতে হয় দুই
    শিফটে। এতোটা বয়স হলো এখনো বুখিনা প্রচুর ট্র্যাফিকের ধুলো
    ঝাপটা খেয়ে আদ কিলোমিটার দুরে থেকে হেঁটে এসে এক প্যান্ডাল
    থেকে আরেক প্যান্ডাল হপিং করার স্বর্গসুখটা কোথায় ? প্রায় সবাই
    পায়। কিন্তু আমি যৎপরোনাস্তি বোরড হই। তবু যেতেই হয়

    পুজোর পাঁচদিন কাটলে আমি তাই এক চক্কর নেচে নেই। পোহাইয়েছে রে
    পোহাইয়েছে। এক বছরের মতন নীল আকাশ সাদা কাশ,শাঁকালু
    কাটছে জ্যাঠাইমা,তার পাকা গোঁপ আর সোনার বালার উপর
    ঝিকমিকাচ্ছে শরতরানীর মিঠে রোদ, চারিদিক ম ম কচ্ছে ঘুগনির গন্ধে, ইত্যকার নস্টালজির থেকে
    মুক্তি।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১২:৪৭421535
  • সিঁফোর জন্যে লেখাটায় একটা প্যারাগ্রাফ আছে তো!
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১২:৫৩421536
  • সপ্তমীর দিন সাড়ে ছটায় বেরিয়ে বাগবাজার পৌঁছলুম সাড়ে আটটার সময়। বাগবাজার সার্বজনীন, পল্লীপূজা আর একটা কি দেখতে দেখতে প্রায় সাড়ে দশটা। তাপ্পর পার্কস্ট্রীটে ম্যাকডোনাল্ডসে বার্গার খেয়ে বাড়ি ফিরলুম বারোটার সময়।

    পরের দিন সকালে খবর এলো এক পিসেমশাই মারা গেছেন - বাবা/মা-কে নিয়ে বালী গেলুম। সন্দেবেলা নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজো দেখতে গেলুম - তো বলে কিনা ঢুকতে ভোর হয়ে যাবে। ভয়ে পালিয়ে ফিরে গিয়ে নেতাজী স্পোর্টিং, বিজয়গড় ভারতমাতা আর রাস্তার টুকটাক দুটো পুজো দেখে ফের বাড়ি।

    তার পরের দিন বউ-ছেলে-মেয়েকে ছেড়ে এলুম বউয়ের বাড়ি, আর বাড়ি ফিরে দুদিন মহানন্দে সিনেমা দেখলুম। হতচ্ছাড়া পিঠের ব্যথাটা কাবু করে দিলো, আর কাল থেকে তো মা পুরো ডাউন।

    চারদিন ধরে কানের পোকা নড়িয়ে দিয়েছে লোকনাথ বাবার গান। সে বাড়িতে হচ্ছিলো অবিশ্যি দুগ্গাপুজো - কিন্তু লোকনাথ তো সর্বত্র - এ এক জ্বালা হয়েছে।
  • Arpan | 216.52.215.232 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:১৪421537
  • কাল ছিল দশেরা। শহর জুড়ে পড়ে ছিল নিহত চালকুমড়োরা। পেটমোটা, মাঝবয়সী। রক্তের ছিটের মত তাদের শরীর জেগে থাকে গাঢ় লাল সিঁদুরগোলা। দরজার বাইরে। দোকানে। সিঁড়িতে।

    কাল ছিল বিজয়া দশমী। এলসিডি ডিসপ্লতে দেখছি সিঁদুরখেলা। এয়োতিদের। গরদের শাড়ি আর নাকচাবি। উঙ্কÄল ঘামতেলে সন্দেশের গুঁড়ো। জুম করে দেখি। গাল। আপেলের রঙ ধরেছে পাকা গমরঙা ত্বকে। চুমু খাবো অইখানে, একবার?
  • 0 | 194.3.18.6 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:২৭421538
  • :-)
  • r | 125.18.104.1 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:২৮421539
  • এবারের পুজোর থিম- ঘাম, উত্তাল ঘাম। নাকতলা থেকে নিউ আলিপুর চক্কর মেরে রাসবিহারী আসতে আসতে জামা গলে কাদা। বৃষ্টি হউক বা না হউক, ঘাম অনন্ত। অথচ ভদ্রমহিলা শ্বশুর বাড়ির জন্য ট্রেনে ওঠার পর দিন থেকেই অমল ধবল পালে মন্দ মধুর হাওয়া। আশ্বিন, মাই ফ্রেন্ড, ইজ ব্লোইন ইন দ্য উইন্ড।
  • san | 121.50.4.34 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:৫৮421540
  • গত কয়েকবছরের ট্র্যাডিশন ভঙ্গ করে এবার অবশেষে একদিন ল্যাদ কাটিয়ে আলসুরের বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের (ডিডিদার ভাষায় 'বং অ্যাস' ) মন্ডপে - অবভিয়াসলি পুজো দেখতে নয়, খাওয়াদাওয়া করতে। তা খারাপ হলনা - কচুর্শাক, মৌরলার ঝাল, চিংড়ির মালাইকারি, তেলকই, পাটিসাপটা। পান টান খেয়ে একখানা বই এর স্টলে ঢুকে ছোটবেলার সেই 'দুরন্ত ঈগল' খুঁজে পেয়ে খুশি মনে বগলদাবা করা। তাপ্পর ব্যাক টু বাড়ি এবং পরপর কামিনে, লাভ আজ কাল এবং ন্যু ইয়র্ক। ও:, আরেকদিন ভজহরি মান্নায় চিংড়ির বাটিচচ্চড়ি, ইলিশ বরিশালি, পোলাও বাসন্তী, মাটন ডাকবাংলো। কে বলে পুজো বোরিং? :-)
  • dd | 122.167.32.59 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:০৬421541
  • আমিও খেলাম।
    স্যান যেই স্টল থেকে খেলো, হোথার থেকেই। ভাত আর ইলিশ মাছ। এমন কি একটা (ইলিশের) ডিমও। ও:। ও:। আ হা হা।
    মন খালি বলছিলো পোহাইও না পোহাইও না।

    আর শুনলাম অসহ্য নচিকেতা, দুই মন্ডপে লোপামুদ্রা,আমার ফেবারিট কিন্তু দর্শকদের তুমুল হটোগোল আর বিচ্ছিরি অ্যাকাউস্টিক্সের জন্য কিছুই এনজয় করা গেলো না। লিটিল চ্যাম্প বলে কিছু নিতান্ত শিশুদের উত্তাল ভালো গান। এরা সব টি ভির গানের শোয়ের চ্যাম্প। আর লোকাল কিছু গায়ক/অর্কেস্ট্রা।

    খুব মুষড়ে পরলাম যে নবমীর দিন মাঝরাতে এক ডান্ডিয়ার আসরে আমার মোটেই নাচ পেলো না। এইরকম কখনো হয় নি। এম্নি কল্লে তো একদিন বুড়ো হয়েই যাবো দেখছি।
  • Arpan | 65.194.243.232 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:০৯421542
  • এ কী! ডিডিদা আমাদের পাড়ায় এসেছিলেন নাকি? অষ্টমীর রাতে?
  • sinfaut | 203.91.193.7 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:১১421543
  • ফেমিলিটেমিলি জানিনা, উষসীর তো প্রবলেম ফেমিলি না, বরং কিভাবে আলাদা দেখানো যায় তার জন্য দুশ্চিন্তা, সবাই যখন নাচছে, তখন উনি কম্বল মুড়ি দিয়ে ত্রিকোনমিতি করতে চান, ইদিকে কিভাবে আলাদা হওয়া যায় বা আদৌ ওনার কেন আলাদা হতে ইচ্ছে করতে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারনা নেই। আমারে তো কেউ হাত ধরে পান্ডালে টেনে নিয়ে যেতে পারেনা, বা ঘাড়ে উঠে বলতে পারেনা চল বস তোর ঘরে গিয়ে দশ জনে হুল্লাট করব আর মাল খাবো। আমিও তো বিন্দাস জনতাকে কাটিয়ে কেটে পড়লাম।
  • dd | 122.167.32.59 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:১৫421544
  • ওরে ছি ফোঁদা তোমার শিগ্গির শিগ্গির তিনটে মে' হোক তাপ্পর বুঝবে ঘাড়ে ধরে কোথায় তোমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদ্দিন সেটি না হচ্ছে ততোদিন বুক ফুলিয়ে কলার তুলে ঘুড়ে নাও। হা:।
  • dipu | 118.95.116.175 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:১৭421546
  • সত্যি মাইরি! সেপ্টেম্বরের লাস্ট উইকে যে এত ঘাম হয় কেন কেজানে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন