এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • যারা দুর্গাপুজোয় কোলকাতা ফিরতে পারছো না ও খুব মন খারাপ তাদের জন্য...

    aishik
    অন্যান্য | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ৫১৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aishik | 122.166.22.73 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:৩৩423048
  • ঠিক আছে,কিন্তু পরাতে গেলে আমায় কোনো একটা ভাট এ ডাকতে হবে, আমি সেটাতেই খুশি।
  • tkn | 122.163.79.117 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:৩৫423049
  • আহা স্বর তো মন্দ না, ভাগ্যিস দুধের শর বলেনি, তাইলে কি হত ভাবো তো!
  • Samik | 219.64.11.35 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৬:৪১423050
  • শরবিদ্ধ হয়ে যেতে একেবারে। নেপথ্যে আমি গান গাইতাম, খুকিটার বুকে যেন তির মেরো নাআআ, ওকে লিখতে দাও ...
  • Sayantan | 125.22.97.34 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:০৭423051
  • লুরুতে আমাদের পূজো পরিক্রমার ব্যাপার্টা কি হল?
  • aishik | 122.166.22.73 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৭:১০423052
  • সেই কথাটাই কেউ বলছে না!!!!!!!!!!!!
  • Suvajit | 121.215.68.240 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৮:৪৫423053
  • ৭ বচ্ছর হয়ে গেল পূজোতে কলকাতা থাকিনি। 'এ ব্যথা কি যে ব্যাথা'

  • kali | 76.114.64.110 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:১০423054
  • আচ্ছা, পুজোয় বুঝি কলকাতা ছাড়া অন্য কোথাও 'ফেরা' যায়না? নাকি সেখানে ফিরতে না পারলে মন খারাপ হয়না?
  • aishik | 122.166.22.73 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৯:৩১423055
  • ফেরা, কথা টা আপেক্ষিক, ফেরা মানে শিকড়ের সাথে কথা বলা, বাড়ির সাথে সময় কাটানো, সারা বছর যেগুলো করার সময় পাই না সেগুলো করার। ভাল খাওয়া, আড্ডা মারা, আমার এই সব কিছু কোলকাতাতেই আছে। তাই

    তোরা যে যা বলিস ভাই,
    আমি কোলকাতাকেই খুঁজে যাই।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৪৫423056
  • পুজোয় কলকেতা/সিঙ্গুরে থাকার সমস্যা।

    ১। প্রচন্ড ভিড়। গরম টা বাদই দিলাম। গুঁতোগুঁতি না করে কোত্থাও যাওয়া যায়না।

    ২। নারীঘটিত বিপদ। রাস্তাঘাটে যদি কোনো মেয়ে ডাকে, তাকে চেনা যায়না। দিব্বি রক্তমাংসের মেয়ে ছিল তিন বছর আগে, আজ হঠাৎ পরী হয়ে গেলে কিকরেই বা চেনা যাবে? ওদিকে চিনতে পারছিনা বললে বিপদ। আবার চিনলেও বিপদ, সম্পর্কের মাত্রাটা ঠিক কি, ইয়ার্কি, ফুক্কুড়ি, গম্ভীর বাতচিত, নাকি ফষ্টিনষ্টি, মনে পড়েনা। কথা বলে মেপে নিতে গেলে বিস্তর লেবার। প্রচুর ঘাম ঝরানো।

    ৩। পুং ঘটিত বিরক্তি। পুং দের কারো পাত্তা পাওয়া যায়না। এমনিতে চায়ের দোকান চাঁদের আলো করে বসে থাকে প্রত্যেকদিন। কিন্তু পুজোর সময় বৌ বাচ্চার চাঁদমুখে চুমু খেয়ে কোথায় যে হাওয়া হয়ে যায় খোদা জানেন। কিংবা কারো বাড়ি বসে মাল গেলে। সেখানে গেলেই হয়, কিন্তু গিয়ে দেখি ৫০% অপরিচিত লোক। আমার আবার অপরিচিত লোকেদের সঙ্গে মালের আড্ডায় নৈতিক আপত্তি আছে।

    ৪। ঠাকুর দেখা। এটা এমনিতে কাটিয়ে দিলেই হয়। অ্যাদ্দিন দিয়েওছি। কিন্তু এখন পুত্র বড়ো হচ্ছে। এ ব্যাপারে তার প্রবল উৎসাহ। দুগ্গার যে চার ছেলেমেয়ে, মেয়েদের নাম লক্ষ্মী আর কি যেন একটা, ছেলেদের নাম কাত্তিক আর গনেস(বানাম ভুল নয়, ফোনেটিকালি লিখলাম), এসব বিষয়ে ফান্ডা দেবার পরে, তার ঠাকুর আর প্যান্ডেল দেখার বাসনা জাগে। অগত্যা হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে (বা গাড়িতে) বেরোতে হয়। ঝট করে ফিরে আসব তারও উপায় নেই। বৌ এর আবার শিল্পচেতনা প্রবল। প্রতিটি প্যান্ডেলের প্রতিটি ভাস্কর্যকে সে খুঁটিয়ে দেখে। ঐ দেখ কি দারুন ভাঁড়ের ঝাড়লন্ঠন। ঐ দেখো কি অপূর্ব কলাপাতার তাজমহল। ইত্যাদি।
    এই সবেতে হেঁহেঁ করে যখন ফিরি, মনে হয়, এর চেয়ে সারাদিন মাটি কোপালে কাজ দিত।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৫৬423058
  • ৫। এরপরে আছে আঁতেল বন্ধুগণ। একদল আছে, তারা এসব পুজো ফুজো আবার কি, যত্তো বুজ্জোয়া কালচার বলে নাক সিঁটকোয়, তাদের নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আরেকদল আছে, যারা পুজো বাদ দিয়ে, বাকি ব্যাপারটায় প্রচন্ড ইন্টারেস্টেড। প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশিই ইন্টারেস্টেড। সারাবছর তাপ্পি মারা জিন্সের প্যান্ট আর কেতের চপ্পল পরে কাটিয়ে দিল, হঠাৎ পুজোয় দেখি ঘুতি পরেছে, বা শাড়ি। সঙ্গে নিয়ে বেরোনো এক বিপদ। পুং হলে ধুতি খুলে যায় যখন তখন। আর মেয়ে হলে শাড়ি খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করা যায়না। ধরে ধরে হাঁটাতে হয়। একবার একটি মোটকা মেয়েকে(অন্যের প্রেমিকা) হাফ কিলোমিটার ধরে পার করতে হয়েছিল। সে যে কি ব্যাদনা, যারা বিয়ের পিঁড়ি ধরেছেন (আমি কখনও ধরিনি), তারা খানিক হয়তো আন্দাজ করতে পারবেন।

    ৬। বাজি। শব্দদূষণ নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই। কিন্তু পাড়ায় যদি কারো সঙ্গে খিটিমিটি হয়ে থাকে, দেখবেন, ঠিক আপনার যাবার রাস্তায় সে একটা চকলেট বোম ফাটাবে। সেই বোমে আবার ভয় পেলে হবেনা, সক্কলে খিল্লি করবে। সেই জন্য স্মার্টলি বোমের ঠিক পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে হবে। দুম করে কানের গোড়ায় বোম ফাটলে, প্রাণ ভয়ে শুকিয়ে যাবে, কিন্তু দাঁত কেলিয়ে বলতে হবে, তোদের বোমে বাপু তেমন আবাজ নেই। ইত্যাদি।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:০০423059
  • সব মিলিয়ে কলকেতার পুজো অতি ভয়ানক জিনিস। সেই জন্য পুজোর ছুটিতে বাড়ি গেলেও আমি পুজোর দিনগুলো অ্যাভয়েড করি। গতবারেও করেছিলাম (একটুর জন্য পুরোটা পারিনি। দশমীতে ল্যান্ড করেছিলাম)। তাতে আমি বিস্তর খুশি। পুজোয় যাওয়া হলনি বলে গতবারেও কোনো ব্যাদনা ছিলনা, এবারেও নাই।
  • dipu | 59.164.99.43 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:০২423060
  • হি হি হি
  • Sayantan | 115.108.25.26 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৫423061
  • ঘুতি? ওকে।

    পূজোয় বাড়ি না-যাওয়া নিয়ে এক্কদ্দম চাপ নেই। হ্যাঁ, ভালোমন্দ খাবার-দাবারগুলোকে মিস করি কিন্তু সে আর কি করা! শুধু ওটুকু ক্ষমা-ঘেন্না করে নিয়ে এই বেশ ভালো আছি।
  • Arpan | 122.252.231.12 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:০৪423063
  • মামু যে প্রচণ্ড ল্যাদখোর (শুধু মাটি কোপানোর ব্যপারটা ছাড়া) সেইটা আরেকবার পয়েন করে লিখল। এই যা।
  • Samik | 122.162.236.181 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:০৪423062
  • আমার আবার সব মিলিয়ে দুর্দান্ত লাগে। গেলবার পুজোয় একদিনের জন্যেও ঠাকুরের মুখ দেখি নি। সোনার কেল্লায় পাক খাচ্ছিলাম। তার আগের বছর পর্যন্ত যতবার পুজোয় বাড়ি গেছি। রাতে খেয়ে দেয়ে উঠে অটো ভাড়া করে সারা হুগলি চুঁচড়ো চক্কর কেটে রাত চারটেয় বাড়ি ফিরেছি। ওটাতেই তো মজা। এবছরেও করব। অষ্টমীর দিন শেষরাতে ঠান্ডা এগরোল খেয়ে চোঁয়াঢেঁকুর তোলার যে কী মজা!
  • Sayantan | 115.108.25.26 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:১১423064
  • শালপাতায় ঘুগনী খেতে বেশ লাগে। তা সে তো ওই লাল ডিমের ঝোল খেতেও মন একদম আঁকুপাঁকু করত, অনেক বায়না সত্বেও তাই খেতে না-পেয়ে প্রতিজ্ঞা করতাম, বড় হয়ে ঐ বস্তু খাবোই খাবো। কিন্তু খেয়েছি কি?
    হ্যাঁ, মহাপাত্র কেবিন'এ রুটি-কষামাংস, এটার জন্য মনখারাপ হতেই পারে।
  • Jay | 90.208.202.122 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:২৩423065
  • না ফিরলে তেড়ে মন খারাপ করে। ফিরলে মনে হয় কোথায় একটা মিসফিট হচ্ছে। আসলে মনের মধ্যে ছোটবেলার সব মায়াময় স্মৃতির শব্দ/ বর্ণ/ গন্ধ সেতো মায়াই- ফিরে কি পাওয়া যায়। তবু ফিরি। এখানে থাকাটা আরো অসহ্য এই সময়টা। শারদীয়া আনানো যায়, ঢাক শোনা যায়, পুজো-পরিক্রমাও সারা যায়। তবু মায়ের কাছেই ফিরি। ঘুর ঘুর করি রান্না ঘরে মায়ের পায়ে পায়ে। বাবার পায়ের কাছে বসে থাকি, দেশোদ্ধার-ওবামা-বিশ্বায়ণ হ্যাঁ-হুঁ করতে থাকি। বাড়িতেই থাকি গোঁজ হয়ে। ঠাকুর দেখতে যাই না মোটেই। যাই, হয়ত খুব সকালে। একা একাই ঘুরি। গেলাম হয়ত মিশনে। সবার পিছনে বসে রইলাম। ওখানে মায়ের পানপাতা মুখ, টানা টানা ত্রিনয়ন ঘাম তেল দেখতে দেখতে মনে হয় কিছু জিনিস বদলায়নি এখনো। ধূপ ধুনোর গন্ধটাও অবিকল এক আছে।
    গতবারে গরমে মেয়েটা বড্ড কষ্ট পেয়েছিল। এবার তাই যাচ্ছি কালি পুজোয়। ছুটি বেশী থাকেনা বলে ভাইফোঁটায় থাকিনি কত কাল। এবারে আর ভার্চুয়াল ভাইফোঁটা নয়, রিয়াল। ফেরাটা আরো খারাপ। বড় ভয় করে- হে ঠাকুর সামনের বারও যেন সবাইকে দেখি। এটা যেন শেষ বারের মত না হয়। বাবা মা চলে গেলে পুজোর ছুটি আর তেমন থাকবে কি? দাদাও ফেরে এই সময়, বোনও। সিমেন্ট না থাকলে কত কাল জুড়ে থাকব? এখন এই ছুটীর জন্য এখন কত কি কম্প্রমাইজ করি। তখন হয়ত এটাই কম্প্রমাইজের খাতায় চলে যাবে।
  • dri | 75.5.174.134 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:৪৮423066
  • কোলকাতায় দুগ্গাপূজো, লাস্‌ দেখেছিলাম নাইন্টি টুতে, নাকি নাইন্টি থ্রিতে? মোটামুটি তখনও লাটুরের ভূমিকম্প হয়নি। ইন্টার্নেট ব্রাউজার তখনও চোখে দেখিনি। নরসীমা রাও আর মনমোহনের হাত ধরে উদারনীতি তখন ইয়াং শিশুমাত্র। ডলারের দাম তখন সবে একলাফে অনেকটা বেড়েছে বলে অনেক বইপত্রই সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে। এগ্‌ডালিয়ায় খুব ভীড় হত, এইটুকু মনে পড়েছে। কিন্তু, পূজোয় কোলকাতা না ফেরার দু:খটা কেমন সেটা ঠিক ভালো করে মনে পড়ছেনা।
  • Du | 65.124.26.7 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৩১423067
  • এখনই তাহলে ঘুরে আসুন, দ্রি। মেয়ে বড় হলে তো আর পুজোয় যেতে পারবেন না।
  • a x | 143.111.22.23 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৩১423069
  • কনস্পিরেসির পোকাগুলো তখনও কিলবিলিয়ে ওঠে নি।
  • dri | 75.5.174.134 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৪১423070
  • হ্যা, আর গুরুচন্ডালীর পোকাও ছিল না। তবে অন্যান্য পোকারা ছিল। কাফকা, কামু, বার্গম্যান, ফেলিনি। ক্লাসিকাল মিউজিক। তখনও প্রেমে পড়তাম। প্রেমে পিছলোতাম। আর ভাবতাম বুঝি পরিবেশবাদীরা খুব সবুজ, আর অবুঝ।

    এক কথায় অনেক নাইভ ছিলাম।
  • rimi | 24.42.203.194 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৪:১১423071
  • ইশান, :-)))))
    অ্যাতোদিনে একজনকে খুঁজে পেলাম যার কলকাতার পূজো নিয়ে নস্টালজিয়া নেই!! (আমার মতন)।
  • Binary | 198.169.6.50 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৩৩423072
  • কোলকাতার পুজো নিয়ে নষ্টলজি আমার-ও ত্যামোন নেই। অন্তত: কলেজ-টলেজে ঢুকে বিড়ি-টিরি ধরার পর থেকে। যা আছে, তা সেই স্কুলের। আর, কোলকাতার শেষ পুজো দ্যাখা নাইন্টি নাইনে, তাও আবার আগের চার বছর পর। তা সে নাইন্টি নাইনে-ও দোকান থেকে জরুরী তলব পেয়ে, নবমীর দিন তল্পিতল্পা নিয়ে শহর ছাড়তে হয়েছিলো।

    আর হ্যাঁ, নরসিংহ রাও আর মানমোহন যখন ভারত কাঁপাচ্ছে, আর বাবরি মসজিদ কিছুকাল হল ভেঙ্গে পড়েছে, দাদা-কে অ্যাডিলেটে (??) একটা মাত্র ওয়ান-ডে খেলিয়ে বসিয়ে দিয়েছে, আর সম্বরন ব্যানার্জি তাই নিয়ে খুব চিল্লাচ্ছে, আমিতাভ-র পঞ্চাশ হল, সেই সময়ের পুজোতে কলকাতা ছিলাম বটে। তবে নষ্টলজি বলতে অষ্টমীর রাতে, এল নাইনে, গোলপার্কে নেমে সোজা হেঁটে বালিগঞ্জ লেকের প্রায়ান্ধকার বেঞ্চিতে বসে, পাটভাঙ্গা নতুন তাঁতের কাপড় পড়া মেয়েবন্ধুকে হামি খাওয়া।
  • Pintu | 80.219.211.177 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৪৬423073
  • ছেড়ে কোলকেতা বন হবো পগার পার।
    ঘটি-বাটি চুলোয় গেলো, পেট চালনো ভার।

    ছেড়ে কোলকেতা বন হবো পগার পার।
  • Samik | 122.160.41.29 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৫৫423074
  • রাদ্দুপুরে এসব কী অসৈরণ কথাবাত্তা, হ্যাঁ বাইনারি? আপিসে বসে আছি, এখন এসব কেউ লেখে?
  • Binary | 198.169.6.50 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০২:৫১423075
  • আরে খারাপটা কি লিখলাম ? আমার নষ্টলজি-টা আরো অনেকের আছে, কেউ লিখচে না তাই।
  • debu | 72.130.151.116 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:৩১423076
  • সব পাবে এইখানে

  • Binary | 198.169.6.50 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:৪৫423077
  • পুজোর খুচরো প্রেম
    ---------------------
    -- এইই এদিকে সরে এসে বোস না।
    -- সরে আসবো ?
    -- হ্যা
    --ঁ আইত্তারা, আজ কি ব্যাপার ?
    -- ফাজলামি করিস না, ওদিকের বেঞ্চির কাঠটা ভাঙ্গা আছে
    -- আট্টু ভেঙ্গে রাখি (হে হে হাসি)
    -- আবার ইয়ার্কি ?
    ......
    ......

    -- তুই কি মেখেছিস রে ?
    -- কি মেখেছি ?
    -- গন্ধ
    -- ......
    -- কেন মেখেছিস ?
    -- ......
    -- কোথায় কোথায় মেখেছিস ?
    -- গাঁট্টা খাবি
    .....
    .....

    -- উ: কি মশা
    -- হ্যাঁ, পা ফুলিয়ে দিল
    -- তোর পাটা খুব সুন্দর, নতুন চটি পরেছিস? কবে কিনলি চটিটা ?
    -- এইত্তো মহালয়ার দিন
    -- কালো স্ট্র্যাপটা, তোর ফস্‌সা পায়ে খুব মানিয়েছে
    -- উ:
    -- কি হল ?
    -- হাত সরা
    -- (হাত সরিয়ে) কেন ?
    -- সুস্‌সুড়ি লাগছে
    -- আরো দি ? (আবার হে হে হাসি)
    -- এমন চাঁটাবো না
    ....
    ....

    -- আজ শাড়ী পড়েছিস যে ?
    -- এমনি
    -- পুজো বলে ?
    -- ঠিক পুজো বলে নয়, এমনি ইচ্ছে হলো, অবশ্য পুজো না হলে হয়ত ইচ্ছে হত না
    -- কে পরিয়ে দিলো ? দিদি ?
    -- ধুৎ, নিজে পড়েছি
    -- তোর শাড়ীর গন্ধটা খুব ভালো
    -- রঙটা ?
    -- আকাশী ? অন্ধকারে বোঝা যাচ্ছে না
    -- না, মেঘলা ধুসর
    -- মন খারাপ করা রঙ, আজ পরলি কেন ?
    -- এমনি, এটা পরলে মনে হয় ভিজে গেছি, ব্‌ষ্টিতে, তাই
    -- আজকে তো শুক্‌নো
    -- হুঁ
    ....
    ....

    -- চল না, কোনো মন্ডপে যাই, এখানে অন্ধকার, লোকজন নেই
    -- রাস্তায় ভীড়, বেশী আলো
    -- ভীড়তো ভালো
    -- না
    -- কেন ?
    -- কি দেখার আছে ?
    -- শোনার তো আছে, হইচই, লাউডস্পীকারে গান, তালপাতার ভেঁপু, ক্যাপ পিস্তলের ঠাসঠাস
    -- ধুস
    -- তাহলে কি ভালো লাগে ?
    -- এখানে, জলের শব্দ
    -- আর ?
    -- ঐ যে লেকের ওপাসে ট্রেন গেল শুনতে পেলি ?
    -- হ্যাঁ, ট্রেনের শব্দ
    -- আটটা কুড়ির ক্যানিং গেল মনে হয়
    -- তাই তুই ধুসর শাড়ী পড়েছিস ?
    -- উঁ ?
    -- মন্ডপে যাবিনা বলে ?
    -- না, বললাম তো এমনি, ব্‌ষ্টিতে ভিজবো বলে
    -- ভিজবি ?
    -- হুঁ
    .....
    .....

    -- আজ তুই খুব সেজেছিস
    -- না তো
    -- গলায় কি পড়েছিস ?
    -- এটা তো টেরাকোটার , দিদি এনেছে
    -- একটু হাত দিয়ে দেখবো ?
    -- অসভ্যতা করবি না
    -- না
    -- হাত সরা
    -- না
    .....
    .....

    -- তোর ঠোঁটটা সত্যি ভিজে
    -- হু'ন
    -- ক্ষিদে পেয়েছে
    -- চল যাই তবে, রোল খাই, এগ মাটন

    ****
    ওরা ওঠে, মেয়েটা আগে, মেয়েটার হাত ধরে ছেলেটা। ইঁটের রাস্তায় পাশাপাশি আসে। মেয়েটা হাত বাড়িয়ে বলে, 'আমাকে লাঠিটা দে, তুই আমার হাত ধর'। ছেলেটা এগিয়ে দেয়, ফোল্ডিং স্টিক, সাদা রঙের, দ্‌ষ্টিহীনরা যা ব্যাবহার করে। মেয়েটা ফিসফিস করে বলে,
    -- ভিজে গেলেই তো তুই বুঝতে পারিস, আর সব শুকনো তো ......
  • aishik | 122.166.22.73 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:২১423078
  • binary খুব ভালো, আর কিছুই বলার ভাষা নেই।
  • Samik | 8.4.8.12 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:১৮423080
  • বাইনারি পুরো ক্লিন বোল্ড করে দিলে হে।

    প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে সকলের লেখার হাত এমন খুলে যায় না ...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন