এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • কিশোরকুমার - ফিরবে না সে তো আর কারো আকাশে

    lcm
    গান | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ | ১১৭৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • nyara | 209.131.62.144 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৩423480
  • ঝিলিক ঝিলিকের কম্পোজিশনটা তো আমার খুব ভাল লাগে।
  • m | 173.26.17.106 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৪423481
  • আজ্জো:))))
    অর্চনা! একে দেখে নি নির্ঘাত বেশি সিনেমায়।
    আর একটা গান কম বয়সে খুব ভালো লাগতো, গুম হ্যায় কিসিকে পেয়ার মে- কিন্তু শুনতেই ভালো লাগতো, দেখে অতি অখেদ্য লেগেছিলো:)
  • Du | 65.124.26.7 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৫423484
  • সরি পুরো ভুল, কিন্তু ঐটেই বলেছিল কেউ সেইসময় :(

    রেহানা সুলতানা দস্তক ঠিকই এটা নয়
  • sinfaut | 117.194.197.13 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৫423483
  • ঝিলিক ঝিলিক তো দারুন গান। গেয়েছেন কেমন সে জানিনা। লতার বাংলা উচ্চারন ভালো না।
  • nyara | 209.131.62.144 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৫423482
  • আর ডি-র একটা কম্পাইলেশনে দুটো রেয়ার গান পেলাম -

    রাত কলি-র স্লো (ইয়ানি কি 'স্যাড') ভার্সান আর কিশোরের গাওয়া 'একদিন বিক জায়েগা'। দুটোই একশোয় একশো।
  • tkn | 122.162.42.125 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৭423485
  • এই গানটা শুনতে শুনতে কত রাত গাড়ি চালিয়েছি...
    অল টাইম ফেব

  • aka | 168.26.215.13 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৯423486
  • সিংফোং দাবা খেলে খেলে কেমন হয়ে যাচ্ছে। যদি নাই শোনে তাইলে জানল কেমনে ভালো গান। আর যদি শোনেই তবে লতা কেমন গেয়েছে জানল না কেন?

    কেন খারাপ লাগে তা তো বলতে নারি। লতার বাংলা উচ্চারণের জন্যই মনে হয়। ঐ তোমায় তাআআআ দিলাম শুনলেই বিরক্ত লাগে।
  • sinfaut | 117.194.197.13 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:০০423487
  • আরে শুনেছি বললাম তো। গানটা খুব ভালো লাগে, অন্য কেউ গাইলে আরও ভালো লাগতো।
  • m | 173.26.17.106 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:০২423488
  • আজ্জো বিষম একাত্ম হয়ে পরেছিলো তাই গান গানে তা দেওয়া একদম পছন্দ হয় নি :)
  • tkn | 122.162.42.125 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:০৪423490
  • ব্রেকফাস্ট মিস করলে কি হয় এমনটা? বা কোনো কারণে ডিম ইত্যাদি খাওয়া বারণ থাকলে?
    তবে আজ্জোবাবুর রেকর্ড অনুযায়ী যা ওনার প্রথমে অপছন্দ পরে তাতেই ডুব্‌ব্‌ব্‌ব :-))
    সুতরাং...
  • Tim | 198.82.16.51 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:০৮423491
  • আরে এই তা দেওয়া নিয়ে খিল্লিটা খুব কমন। আজ্জোদার সাথে এই বিষয়ে ক। গানটা কেমন যেন।
  • pi | 137.187.178.57 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:০৯423492
  • সেটাই তো বলছি, এই তো হেথায় পরের দিকে গাইলেও অমনি ই ভালো গাইতেন।
    তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে ঐ প্রথম যুগে গাইলেও অমনি ই খারাপ শোনাতো।
    সমস্যাগুলো গানের।
  • tkn | 122.162.42.125 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১৩423493
  • দু, রেহানা সুলতানা...

  • tkn | 122.162.42.125 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১৫423495
  • তবে এটা.. তুলনা হয় না.. ভাগ্যিস মনে করালে..

  • m | 173.26.17.106 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১৫423494
  • সমস্যাটা গানের? কথা গুলো খুব খারাপ সন্দেহ নেই, সুর টাও তথৈবচ- কিন্তু ওর যে সে গলাটাই আর নেই- তখন এই যে হেথায় গাইলেও কানে আঙুল দিতে হতো- বল্লাম না রিটায়ার করার সুবন্দোবস্ত ছিলো না ।
  • nyara | 209.131.62.144 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৩১423497
  • সবিতা চৌধুরীর আরও ভাল গান পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সলিলববুকে বম্বেতে করে খেতে হয়েছে। সলিল যদি সবিতাকে দিয়ে আরও কিছু গান করাতেন আমি খুব খুশি হতাম। কারণ সবিতার অধিকাংশ গানই কাস্টম মেড। এটা সলিলবাবু অধিকাংশ গায়কের জন্যেই করতেন বটে, কিন্তু সবিতার কেসে আরও বেশি। সবিতার স্টাইলের সঙ্গে হয়ত আশার স্টাইল কিছুটা মেলে বলেই আশাকে দিয়ে সলিলবাবু তেমন বেশি গান গাওয়াননি। সবিতার 'ঝিলমিল ঝাউয়ের বনে ঝিকিমিকি' আমি একমাত্র আশার গলাতেই কল্পনা করতে পারি। একটা সুর, বাংলায় 'যা রে যা, আমার আশার কূল ভেসে যা' সবিতা গেয়েছেন আর হিন্দিতে 'বাগ মে কলি খিলি' আশা গেয়েছেন - তুলনা করে দেখুন। সবিতার গানটা আমার বেটার লাগে। এমনকি সবিতার 'এনে দে এনে দে ঝুমকা', লতার 'মিলা হ্যায় কিসিকা ঝুমকা'-র থেকে বেটার লাগে। লতার থেকে ভালো, এটা কম কথা নয়। কারণ লতা লতাই।

    মুকেশের মজা হল মুকেশ খুব শক্ত গানও এমনভাবে গাইবেন যে মনে হবে এ আর এমন কি শক্ত গান! এছাড়া মুকেশের একটা ইউনিক টিম্বার ছিল যেটা হিন্দি গানের কিছু সিচুয়েশনে একেবারে খাপে খাপ। উচ্ছল গানে মুকেশের গান তেমন খোলেনা, কিন্তু অল্প থেকে বেশি ব্যথার গানে ফাটিয়ে দিয়ে যান। হিন্দি ছবির গানের একটা ট্রেন্ড ছিল, নৌশাদ-টৌশাদরা একেবারে টেমপ্লেটের মতন ব্যবহার করেছেন, যে দু:খ-ব্যথার গানে রাগভিত্তিক সুরের ব্যবহার। এই জনরাতে রফিসাহেব ফাটিয়ে দিতেন (সঙ্গে, গানের শেষে পর্দা চড়িয়ে রেঞ্জ দেখানোর খেলা)। এমনকি আরডির মতন মস্তান কম্পোজারও এই চক্কর থেকে অনেকসময়ে বেরোতে পারেননি। সলিলবাবু এই পথে হাঁটলেন না। মুকেশের গলায় ভাবুন 'ক্যায়সে মানাউঁ পিয়া' ভাবুন, কি আরও জনপ্রিয় 'কঁহি দূর যব দিন ঢল যায়ে' ভাবুন। দুটো গানেরই বাংলা কাউন্টারপার্টে ('চঞ্চল সোনালী পাখনায়' এবং 'আমায় প্রশ্ন করে') অন্য গলা ব্যবহার করেছেন। এবং সেই গানগুলোতে বিষাদ অনেক কম। আমার ধারণা, এইখানেই সলিলবাবুর কাছে মুকেশের মূল্য। 'কঁহিবার ইঁউহি দেখা হ্যায়' কিম্বা 'ম্যয়নে তেরে লিয়ে' ধরণের গান মুকেশের ফোর্টে নয়।
  • nyara | 209.131.62.144 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৩২423498
  • কিশোর ভালিচার বইটা বেশ পেডেস্ট্রিয়ান।

    আমাকে কেই ভিশওয়াস নেরুকারের আর ডি বায়োগ্রাফিটা জোগাড় করে দিতে পারল না। শেম শেম।
  • Tirthang | 140.247.29.247 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০২:০৬423499
  • কেউ সলিলবাবুর সুরে কিশোরের "গুজর যায় দিন দিন দিন' গানটার কথা বলল না তো? কি অদ্ভুত কর্ড প্রোগ্রেশন। এর বাংলাটা ("চলে যে যায় দিন দিন দিন')সলিলবাবু অরুন্ধতী হোমচৌধুরীকে কে দিয়ে গাইয়েছিলেন।



    বাপ্পীদার কম্পোজিশনে কিশোরের বেশ কিছু ভালো গান আছে, "চলতে চলতে মেরে ইয়ে গীত', "পগ ঘুঙরু বান্ধকে' তো সবাই শুনেছেন, কিন্তু এই গানটা "ইয়ে নয়না ইয়ে কাজল' বেসিকালি তিন কর্ডের সহজ সুরের গান হলেও দিব্যি লাগে শুনতে। গীটার আর হারমনিকা বেস্‌ড্‌ সোজাসাপ্টা অ্যারেঞ্জমেন্ট বেশ ভালো। ইউটিউব আসার আগে গানটার পিকচারাইজেশন (অখাদ্য) দেখার দুর্ভাগ্য হয়নি অবিশ্যি। এই লিঙ্কটা অবিশ্যি পিকচারাইজেশন ছাড়া।



    শচীনকত্তার সুরে কিশোরের গানগুলো নিয়েও আলোচনা হোক। "হম হ্যায় রাহী প্যার কি, হমসে কুছ না বোলিয়ে' - আহা! অনবদ্য। তবে "ফুলোঁ কে রংগ সে'র বদলে পার্সোনালি আমি "বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে' শুনতে প্রেফার করব।

    আর কল্যাণজী-আনন্দজীর সুরে সফর ছবিতে "জীবন সে ভরী তেরী আঁখে মজবুর করে জীনে কে লিয়ে' - ভারী ভালো। একটু যেন রাগেশ্রীর ছোঁয়া পাওয়া যায়, বিশেষ ক'রে "কোই লিখে তুঝপে কবিতা' জায়গাটাতে।


    আর আর ডি'র সুরে পছন্দসই গানের কথা বলতে গেলে তো ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে।
  • Tirthang | 140.247.29.247 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০২:১০423501
  • সলিল-সবিতা প্রসঙ্গে আমি ন্যাড়াদাকে ডিটো দিলাম। "লাগে দোল পাতায় পাতায়' আর "ও আমার পদ্মপাতার দিন ঝ'রে গেল' - এই দুটো গানও আমার মনে হয় একদম টেলর-মেইড ফর সবিতা।
  • pi | 137.187.178.57 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০২:৪৪423502
  • সবিতা চৌধুরীর আরেকটা ভারি সুন্দর গান ছিল। ' মরি হায় গো হায়, যখন (কখন ? ) এলে আমার ভাঙ্গা ঘরে শূন্য আঙিনায়' । জানিনা এটার হিন্দি ভার্শন আছে নাকি।
  • Paramita | 63.82.71.141 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৩:৪১423503
  • সবিতার গান অসম্ভব ভালো লাগে। একবার এখানে স্টেজে গাইতে গিয়ে বললেন, "উনি সব ভালো ভালো গানগুলো লতাদিকে দিয়ে দিতেন বলে আমি খুব রাগ করতাম"। খুব বেশী তো উনি গান পান নি? "সুরের এই ঝর ঝর ঝরনা" "গুরু গুরু মেঘের মন্দ্র বাহারে" "ঘুম ঘুম ঘুমন্ত পাহাড়ে" "হলুদ গাঁদার ফুল" "লাগে দোল" ইত্যাদি কোনদিনই "শুনতে শুনতে কান পচে গেল" হয় না।
  • nyara | 216.145.54.158 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৫:৩১423504
  • কল্যানজী-আনন্দজীর সুরে কিশোরের বেশ কিছু গান আমার অসাধারণ লাগে। 'ইয়ে জীবন হ্যয়' আর 'ম্যায় আয়া হুঁ' তো অলটাইম ফেভারিট।

    শচীন কর্তার সুরে তীর্থং যা বলল, 'হম হ্যায় রাহি' বা 'হুজুর আপকা' অথবা 'দুনিয়া ও দুনিয়া তেরা জওয়াব নহি' কিংবা 'দিল আজ শায়র হ্যায়' একদম ওপরের দিকে থাকবে। আসলে শচীনকর্তা বা আরডির সঙ্গে কিশোরের কম্বো নিয়ে কিছু লিখতে যাওয়া বৃথা।

    শুধু 'বর্ণে গন্ধে'-ই নয়, যে গানেরই শচীনকর্তার বাংলা ভার্সান আছে, আমি শচীনকর্তাকেই প্রেফার। এক্সেপশন হিসেবে হয়তো 'ঘুম ভুলেছি' আর 'হম বেখুদি মে' খুব কাছাকাছি থাকবে।
  • nyara | 216.145.54.158 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৫:৩৮423505
  • 'মরি হায় গো হায়' ছাড়াও আরও কিছু টেলর-মেড-ফর-সবিতা -

    - ও বউ-কথা-কও বলে পাখী আর ডাকিস না
    - সুরের ঝর্ণা
    - মনময়ূরী ছড়াল পেখম তারই
    - দাঁড়াও আমি ঠিক করে নিই
    - যা রে যা যা মনপাখী
    - তোমার বুকের খুনের চিহ্ন

    ইত্যাদি।

    সবিতা নচিকেতা ঘোষের সুরে গান গেয়েছেন।
  • lcm | 128.48.7.99 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৫:৫৯423506
  • শচীন দেব-এর নিজের গাওয়া ভার্সান গুলো তো অসাধারন। শুধু একটা গান, আমার দুজনেরটাই ভালো লাগে, ইন ফ্যাক্ট, কিশোর-এর রেন্ডারিংটা (সায়গল স্টাইল) একটু বেশী -
    নিশীথে যাইও ফুল বনে (শচীন)
    ধীরে সে যা না বাগিয়ান মে (কিশোর)

    তবে সিনেমার ভিডিও দেখলে হবে না, কিশোরের (এবং আর ডি) বেশীর ভাগ গানেরই পিকচারাইজেশন জখাদ্য। গান দেখলে হবে না, শুধু শুনতে হবে। ব্যতিক্রম আছে, যেমন, পড়োশন-এ 'বিন্দু রে বিন্দু'-তে কিশোরের ধুতি/পাঞ্জাবীতে একটা অসাধারন নাচ।

  • Tirthang | 128.103.187.128 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৬:৫০423507
  • "ধীরে সে যানা বাগিয়ান মে'-র শেষে কিশোর শচীনকর্তাকে "ধীরে সে জানা - ভঁওয়ারা' বলে ভেঙিয়েছিল। গোটা গানে কোত্থাও ভঁওয়ারার নামগন্ধও নেই। সত্যি মিথ্যে জানি না, তবে গপ্পো শুনেছিলাম যে ওই ইনপ্রম্পটু ভ্যাঙানোর পর শচীনকর্তা নাকি স্টুডিওর মধ্যেই কিশোরকে পায়ের চটি খুলে তাড়া করেছিলেন। তবে ব্যাপারাটা এতই অরিজিনাল, যে ওই রেকর্ডিংটাই রেখে দেওয়া হয়েছিল।
  • Tirthang | 128.103.187.128 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৭:৪০423508
  • মান্না দে'র আত্মজীবনী "জীবনের জলসাঘরে' (অনুলেখক: গৌতম রায়) থেকে একটু কোট করছি (লেখা হিসেবে খুব উচ্চাঙ্গের হয়ত নয়, কিন্তু এটা তো একজন সঙ্গীতশিল্পীর বায়োগ্রাফি, অতএব অ্যালিগরির বাড়াবাড়ি রকমের প্রয়োগকে ক্ষমা-ঘেন্না করে দেওয়া যেতেই পারে)

    "মেহমুদ যখন আমায় ওর পড়োসন ছবির জন্য গান করতে ডাকল - আমি যেই শুনলাম যে কিশোরের সঙ্গে ডুয়েট গাইতে হবে, খুব সতর্ক হয়ে গেলাম। ভাল করে ভাবনা-চিন্তা করতে লাগলাম যে, ঐ চতুর নার গানটির মধ্যে এমন কিছু মৌলিক কাজ কিভাবে যোগ করে দেওয়া যায়, যে কিশোরের ওই খোলা গলার গানের পাশেও জোলো হয়ে যাবে না। তাই পঞ্চম যখন সুর করছিল আমি মাঝে মাঝেই ওর সঙ্গে বসে ওই গানটি শুনতাম আর গানের ফাঁক ফোকরগুলো আবিষ্কার করতে চেষ্টা করতাম, যে ফাঁক ফোকরগুলো দিয়ে আমার গায়কীর বৈশিষ্ট্য, মৌলিকত্বগুলো আমি ঠিকমতো তুলে ধরতে পারি।

    যেদিন রেকর্ডিং হল গানটি, অন্য অনেক যন্ত্রীরাও সেই গানের রাম-রাবণের যুদ্ধ দেখতে এসেছিল। মনে আছে সেদিন গানটির রেকর্ডিং শুরু হয়েছিল প্রায় সকাল ন'টা থেকে, চলেছিল একটানা প্রায় রাত ন'টা পর্যন্ত। ও যা গেয়েছিল না, সত্য অপূর্ব। ওর গলায় ভার্সেটিলিটি ছিল অবিশ্বাস্য রকমের ভালো। ওই গান রেকর্ডিং হবার পর একবাক্যে সবাই বলাবলি করেছিল, দেখো, দো রং দেখো। দো খুবসুরতী দেখো। এক তরফ মান্নাদা যব গাতে হ্যায় তো লগতা হ্যায় কি কোই আদমী গানা মে তপস্যা কর রহে হ্যাঁয়; অউর দুসরি তরফ দেখো কিশোরজীকো, কিতনা ন্যাচারাল গানা গা রহা হ্যায়। সত্যিই কিশোরের গলায় এই ন্যাচারালিটি শুধু আমায় না, সমস্ত সংগীতপ্রিয় মানুষকেই ভাসিয়েছিল সেদিন একটা ভালোবাসায়, মুগ্‌ধতায়। আমার মনে আছে, ক্ষেমচাঁদ প্রকাশের সুরে কিশোর যখন মুকদ্দর ছবিতে প্রথম গান গাইতে আসে, তখন আমরা সবাই বুঝে গিয়েছিলাম যে, কালবৈশাখীর ঝড়ের মতো একজন এসেছে এই সংগীতজগতে, যে তার নিজের প্রতিভার দ্যুতিতেই এক দিন অন্য সবাইকে ম্লান করে দিয়ে করবে নিজের সুরের প্রতিষ্ঠা। সত্যিই, ওর কথা আমি যখনই ভাবি অবাক হয়ে যাই। কোনও দিন সেভাবে গান শেখেনি, রেওয়াজ করেনি, কিন্তু তা সঙ্কেÄও ওর ওই অসাধারণ খোলা গলাতে গান করে মাতিয়েছিল সমস্ত সঙ্গীতপ্রিয় মানুষকে, সমস্ত সাধারণ মানুষকে। আরও কিছু ডুয়েট গেয়েছিলাম ওর সঙ্গে। চলতি কা নাম গাড়ী তে "বাবু সমঝো ইশারে' এবং শোলেতে "ইয়ে দোস্তি হম নেহী তোড়েঙ্গে' গানটিও গেয়েছিলাম পরে।

    ....

    কিশোরের গলা যদি শরতের দিগন্তজোড়া নীল আকাশ হয়, তবে মুকেশের গলা যেন মনে হত ঠিক ঘন মেঘে ছওয়া অনেক নিচু হয়ে আসা দু:খী দু:খী আকাশ। দু:খের খোলামেলা গান ও খুবই ভাল গাইত। তবে আমি শুনেছি, এক-একটা গান ওকে তোলাতে সঙ্গীত পরিচালকদের প্রচুর সময় লাগত। তবে একবার ভালো করে গলায় তুলে নেওয়ার পর ও খুবই ভাল গাইত।

    কিশোর এবং মুকেশের সঙ্গে যদি মহম্মদ রফির গলাও ওই একই আকাশের সংগে তুলানা করি, তা হলে বলা যায় রফির গলা ছিল কখনও রৌদ্রোঙ্কÄল দিন আবার কখনও সন্ধের লাজুক লাজুক গোধূলি আলোয় ভরা। কখনও বা আবার তা মেঘের ফাঁক দিয়ে ছিটকে আসা তীক্ষ্ণ রোদের তীর হয়ে উঠত। নানারকম বৈচিত্র ছিল ওর গলায় ... ওর গানের তো রীতিমতো ভক্ত ছিলাম আমি।
  • Bratin | 117.194.96.233 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:৩৫423509
  • বাহ খুব সুন্দর। তীর্থ দা মান্না দে কে নিয়ে ও কিছু লেখো। আমি মান্না দে র অন্ধ ভক্ত। ওনার একটা অসুবিধা ছিল ওনার আর রফি র গায়কী অনেক টা এক ই রকম । এবং দু জন প্রায় এক সময়ের।

    আর বাংলা সিনেমা তে কিশোরে র গাওয়া শেষ গান হল 'জ্যোতি' সিনেমা তে । গান টা হল 'পারি না সইতে না পারি কইতে, তুমি কি কুয়াশা ? ধোঁয়া ধোঁয়া ধোঁয়া ' .....
  • Bratin | 117.194.96.233 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:৪৩423510
  • সলিল চৌধুরি র সুরে আরেক টা খুব পছন্দের গান ' আমি চলতে চলতে থেমে গেছি , আমি বলতে বলতে ভুলে গেছি'। পুরুষ কন্ঠে গান টি করেন 'পিন্টু ভট্টাচার্য্য'। স্ত্রী কন্ঠে 'লতা'। অবশ্য পিন্টু র গাওয়া গান টাই আমার বেশী ভালো লাগে।
  • aka | 24.42.203.194 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:৫২423512
  • বার টার খেয়ে আইপড বেরলো, আই টিউন ডাউনলোড হল, তাতে শত শত গানও আপলোড হল। অবশ্যই বেশ কয়েক শত কিশোর কুমার। এক টই মানুষকে কতই না খাটাতে পারে, উফফ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন