এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • LIVE ভাট

    Sumeru
    অন্যান্য | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ৪৫৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • sumeru | 59.93.215.64 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৬:৪৬445803
  • ক্যাবস আপ্রে-ফাপ্রে কইতাসিলো। আপাতত LIVE ভাট। ক্যাবস ও র‌্যাবস গিয়ে আমাগো নিয়ে এসেছে। তাপ্পর সিঁফো আর হুতো রে ফোন দিসি। স্যান বালিকে সে যেন কোথায়?

    সুতো কইল, হুতো ব্যাক গিয়ারে ৮০তেসে। পৌঁছাবে নিশ্চিত। ল্যাপটপ একটাই আপাতত রোটেশন চলবে।:)
  • em | 59.93.215.64 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৬:৫৮445814
  • কাবলিদা বললেন, আহা, সাথে যদি ছবিও তুলেও দেওয়া যেত! তা মন্দ হতো না বটে। নিচে, বাড়ির বারান্দায়্র গ্রিলে টাঙানো হয়েছে বড় ফ্লেক্স, এখানে বসার ঘরের শোকেস ঢেকে দেওয়া হয়েছে বড় ফ্লেক্স দিয়ে। বেশ একখান গুরু-গম্ভীর ভাব এসেছে;-)

    গুরু-আলোচনা চলছে আপাতত দুজনে। অপেক্ষাও চলছে। ভাটুরেদিগের। জো আছে রাস্তায়, পৌঁছুচ্ছে। যদিও জানে, সককলেই প্রথম প্রথম চেষ্টা করবে ইংরেজিতে কথা বলার, ও যাতে বোর না হয় কিন্তু একটা সময় সক্কলে ফিরে আসবে বাংলায়। জেনে শুনেই আসছে এই ভাটে। বইমেলা থেকেই কিভাবে যেন সেও জুটে গেছে এই গুরু, চন্ডালদের সাথে।

    ভুট শুধু প্রবল উৎসাহে উপর নিচ করে বেড়াচ্ছে কী বুঝে কে জানে।

    জো এসে গেছে। ব্যাবস আনতে যাচ্ছে।
  • kd | 59.93.215.64 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৭:০০445825
  • ধ্যাৎ। এরা কী সব আরম্ভ ক রেছে, আমার এসব পোষায় না। বাবাই গেছে স্পেশাল গেষ্টকে আনতে। প্রগতি এলে খুব ভালো হতো।
  • em | 59.93.215.64 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৭:২২445836
  • যতক্ষণ অন্য কেউ এসে না পৌঁছুচ্ছেন ততক্ষণ আমি একটু গল্প করি বরং। জো বিষয়ে।

    গতকাল অ্যাকাডেমির সামনে যে অনুষ্ঠান ছিল, সেখানে আমি যাই সন্ধেবেলায়, ৬টার দিকে। জো ছিলো সাথে। আমাদেরকে দেখে সুমেরু উঠে যায়, অনেকটা সময় সে একলা বসেছিলো। আমি আর জো বসি, বসেই থাকি। এক ভদ্রলোক, বুড়ো ভদ্রলোক, পাকা দাড়ি পাকা চুল, স্বপন বসু, কবি, যাঁকে আমি বইমেলাতেও দেখেছি, এসে জোয়ের সাথে আলপ করে গেছেন, জো'র নাম'ফোন নম্বর, ইমেইল আইডি ইত্যাদি নিয়ে গেছিলেন, তাঁকে কাল আবার দেখি, জো কে দেখামাত্রই এসে জানতে চান, তুমি কি জার্মানির? জো বলে,আমি ইউকে'র। আবার তিনি জো'এর নাম, ফোনে নম্বর, ইমেইল আইডি লিখিয়ে নেন কাগজে। এর মাঝে অমই জো'কে আস্তে করে বলি, তুমি জিজ্ঞেস করো, কী দরকার। জো সেটা জানতে চাইলে তিনি উল্টে জানতে চান, তুমি এখানে কি করতে এসেছ? জো বলে, আমি বাংলা শিখি এখানে। সাথে সাথে তিনি বলেন, আমি বাউলদের নিয়ে কাজ করি, তাদেরই কিছু ইনফর্মেশন তোমাকে পাঠাবো, তুমি কি সেটা জানতে চাও না? জো হেসে বলে, ও ইয়েস!

    তিনি সাথে সাথেই নোটবই বের করেন কাঁধের ঝোলা থেকে, লিখে নেন জো'য়ের নাম-ঠিকানা-ফোন নম্বর। আমি বেশ গম্ভীর মতো মুখ করে বসেছিলাম, সেটা কবি ভদ্রলোক খেয়াল করেন, এবং চলে যান। ঘন্টাখানেক বাদে জো উঠে চলে যায়, কাবলিদা ফিরে আসেন কাজ সেরে, সুমেরু চলে যায় ইটিভি, বসে থাকি আমি আর কেডি।

    সাহানা, সি ফোঁ এসে গেছে, এসে গেলো সুকন্যা সায়নও। আমি আবার পরে আসছি।

    ল্যাপি এবার জো'য়ের হাতে।
  • Jo | 59.93.215.64 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৭:৩৮445844
  • On my third visit to Kolkata I discovered my good friend Samran was fully occupied at the Boimela. What a fantastic opportunity to spend many days of my holiday wandering through the stalls and imbibing the great literary tradition of Bengal.

    During my amblings I was asked on many occassions about the bookfairs in the UK. We have bookfairs of course, but specialist tradefairs mainly, nothing to compare with the diversity, and dare I say passion of Kolkata's. Bookfairs in the UK are for the industry, not for the readers. That is what is so impressive about Boimela. So many people with such an interest in books. Perhaps in the UK a TV or film festival may attract crowds but books are different now.

    I came to Kolkata to learn Bangla and Boimela and Guruchandali in particular has fuelled that desire. Surrounded by literature in a language in which I can at best identify a few words is at once frustrating and exciting. I hope, if I am lucky enough to visit next year I will able to understand a little more, and the year after that.... well who knows?

  • su | 59.93.215.64 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৭:৫১445845
  • অবশেষে এসে পৌঁছুলাম; হুতো আনন্দে 4th গিয়ারে গাড়ি চালাতে গিয়ে back গিয়ারে ফেলেছিল। san এলো এখুনি। দিচ্ছি ওকে। তবে একটা খবর, এখানে ও ছোটোখাটো একটা চিড়িয়াখানা'র পরিবেশ তৈরী হয়েছে; সুমেরু দা, হুতো আর sinfaut কে দারুন gift দিল। ওদেরকে বলতে সুযোগ দিচ্ছি; ওরাই বলুক, কি পেলো!!
  • rabaahuta | 59.93.215.64 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৮:১১445846
  • ক্কি ক্কান্ড, কি বলিব আমি কি শুনাবো আজি এই ইন্দ্রপুরিতে, অপ্সরাদের কাহিনী মনশ্চক্ষে হবু, অ্যাম্বিয়েন্স ঘনমান, এসে গেছে সপুত্র বড়য়েম, এট্টু দাঁড়ান, তদারকি করে এসে বাকি খবর দিচ্ছি।
    ওভার টু অন্য কেউ।
  • sumeru | 59.93.215.64 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৮:১৮445847
  • জানালার কাছে বসেছিলাম। সূর্যটা অস্ত যেতে গেল খুব দেরী হল। আপাতত পানীয়েরা এসেছে, ওদিকে বড় M, স্যানবালিকে সকলে, কুহু কুহু পরিবেশ। পাখি ডাকল বলে। রাত পাখি, প্যাঁচা ও অন্যেরা, সিরিয়ালি।
  • SS | 128.248.169.119 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:০৭445848
  • অনাহূতরা লিখতে পারে এই পাতায়?

    দারুণ জমজমাট ব্যাপার তো! কী কী রান্না হল শুনি? আমার তো সবে গুড মন্নিং, দিনটা শেষ হবে আধফুট স্নো দিয়ে।
  • em | 59.93.215.64 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:৪৫445804
  • অনাহুত কেন হবে!!

    এখানে সক্কলে ভাটে ব্যস্ত। বম্মা চলে গেছে। ঋভু ঘুমিয়ে পড়বে বলে জদিও ঋভু জেতে চাইছিল না। বড়রা যখন যাবে, সেও তখন যাবে। কিন্তু বম্মা তো বম্মা। চলে গেল!

    জো প্রচুর কথা কইছে কেডির সাথে। সুকন্যা মাঝে মাঝে একটা করে গল্প শোনাচ্ছে। স্যান মাঝে মাঝেই ধমকে দিচ্ছে সুমেরুকে। গানও হলো। সায়ন মাঝে মাঝেই গান শোনাচ্ছে। হ্যাঁ।সিরিয়াসলি গান শুনিয়েছে সাহানা, ঋভু। গুনগুন করেছে সুকন্যা। প্রচ্চুর হাত্তালি ফর ঋভু।

    মেনু/ মাশরুম উইথ বেবিকর্ন, সর্ষে পনির, মুন্নার দোকানের খাসির ঝোল, সাদা ভাত, নারকোল দেওয়া মুগ ডাল,আলুর ঝিরি ঝিরি ভাজা।

    রান্না কেটারারের। নইলে আড্ডা নকি জমে না, একজন যদি রান্নাঘরে গিয়ে বসে থাকে।

    সকলেরই বাড়ি ফেরার তাড়া বোধ হয়। কাল সোমবার। ব্ল্যাংকি এসেই প্রচুর গল্প শোনালো।

    কেডি খুব টেনশনে, রান্না কেমন হলো? সক্কলকেই প্রায় জিজ্ঞেস কচ্ছেন:-)

    আবার আসিব ফিরে।
  • SS | 128.248.169.119 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:৫৮445805
  • এ:, অনাহুত বানান ভুল করেছিলাম।

    ভাট প্রায় শেষ হতে চল্লো? এদিকে সবাই মনে হয় ঘুমোচ্ছে।
  • Samik | 122.162.75.83 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:০২445806
  • ভাট শেষ?
  • sumeru | 59.93.215.64 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:২১445807
  • না হে, লড়ে যাচ্ছি।
  • su | 59.93.215.64 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:৩০445808
  • আজ সত্যিই আর বেশী সময় টানা যাবে না বোধহয়। কারণ বোধহয় একটাই " হায় হায় সোমবার কেন আসে বারবার " :( । খুব ভাল খাবার, দারুণ আড্ডা। মাঝে pi এর সাথে জমাট আড্ডা বাড়তি পাওনা!
  • M | 59.93.244.103 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:৪০445810
  • আর কি, ভাটে সপুত্র চললুম, বাড়ী যেতে বাইরে দেখি গুরুচন্ডালীর বিশাল পোষ্টার, সেই দেখে কিনা অন্য কার ঘরে গিয়ে প্রায় ঢুকে পচ্ছিলাম, তাঁরা আবার কাবলি ছোলা জানে, কাব্লিদা জানেনা, অবশেষে কাব্লিদার নাম শেষ মুহুর্তে মনে পড়াতে বলে দিলেন দোতলায়, অবশেষে ঋভু ব্যাটা ই খুঁজে বার করলো, বেল দিতেই দেখি উপর থেকে আওয়াজ ঠেলো, আর ঠেলতেই চিচিং ফাঁক। আমরা সিঁড়ি বেয়ে উঠছি, কে যেন কইলো একটা বাচ্চা উঠে আসছে , আর ঋভুর কি অভিমান! আমি তোমার ছেলে জানেনা? যেন সব্বাইয়ের জানার কথা ছিলো।

    উপরে দেখি কাবলিদা ,ভেরি গুড হোষ্ট, দারুন সামলাচ্ছেন, একবার জোকে একবার বাকিদের। ঋভুর পাশের ঘরে যাবার ছিলো, তা সে ব্যাটা কি আড্ডা ছেড়ে যায়? সেও জুটলো আমাদের সাথে, সুমেরু ও সিঁফো একটু উচ্চাসনে আড্ডা পরিচালনা কচ্ছিলো। আর হুতো একপাশে বসে মাঝে মাঝেই দারুন সব কথা বলছিলো। স্যান আর সাহানা স্বভাবতই ছটফট করে বেরাচ্ছে। মানে ছুটছে না, ঐ ছেলেমানুষেরা যেমন হয় আর কি, আর মাঝেমাঝেই সুতো দারুন সব গপ্প ঝোলা থেকে বার করছে, আর এমন সময় বুনুর আগমন।সাহানা খুব গান করলো। কি মিষ্টি মেয়েটা।ঋভু হেবি ঘ্যাম ট্যাম নিয়ে একটা গান শোনালো।

    তারপর? আমায় তো অনেকদুর ঐ ছেলে নিয়ে আসতে হবে তাই আমরা সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে খেয়ে চলে এলাম, আর সিঁড়িতে জুতো পড়তে পড়তেই ঋভুর আবদার আবার কবে আসবো? কিছুতেই আসতে চাইছিলো না এদিকে ট্যাক্সিতে উঠেই ঘুমিয়ে পড়লো, শেষে আমার বুড়ো ধেড়ে ছেলেকে টেনে নামিয়ে আনলাম।

    ব্যাস একটা সুন্দর দিন চলে গেলো। যদিও এই ভাষা দিবসে চোদ্দ বছর আগে আমার ভাষা বন্ধের ব্যবস্থা হয়েছিলো, আরেকজন তাই একা একা কাটিয়ে আমার পার্টি যাওয়া শুনে এখন হেবি গজগজাচ্ছে। আমার তাতে বয়েই গেলো।:P
  • pi | 72.83.210.50 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:৪০445809
  • এতো পুরো জোরদার জুড়িমেলানো ভাট হচ্ছে !
    এমন ভাটের জুড়ি মেলা ভার ! :)

    সামরানদির সাথে আমার ভাটানোর সময় এই ছিল বাকি জোড়াদের কম্বিনেশন:

    কাব্লিদা ও জো
    সাহানা ও স্যান
    সুমেরুদা ও মাল
    ব্ল্যাংকি ও চানাচুর
    সিঁফো ও ডিভিডি
    সুকন্যা ও পান
    কবিবর হুতো এবং কুসুমে কুসুমে চরণ চিহ্ন দিয়ে যাওয়া কোনো এক উদাসিনী। ;-)
  • M | 59.93.244.103 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:৪৩445811
  • সামরানের কথা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখেনা, খুব কম কথা বলে অথচ চারিদিকে পরিপাটি নজর রাখছে।
  • san | 203.91.201.56 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৩445812
  • তবে সমস্ত রকম মস্তির পরেও কিন্তু মনে রাখা দরকার , যে হুতোদার গানটা শেষ অব্দি কেউই গায়নি ;-)
  • san | 203.91.201.56 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৪445813
  • এমনকি পাইদিও না।
  • rabaahuta | 203.99.212.54 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:৩১445815
  • হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগিয়ে দিল।
    হায় ইয়ে, সোনালি ডানার ইসে।
  • Blank | 203.99.212.53 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:৪২445816
  • আর দোয়েল পাখী ইইইইইইই :( :( :(
  • su | 117.194.230.99 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১২:০৫445817
  • এ বাবা, blank হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিল একেবারে!!!
  • em | 117.99.187.36 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১২:১৩445818
  • ব্ল্যাংকির ফায়ার অ্যালার্মের গপ্পোটা পুরোটা শোনা হলো না, তুই কি শেষ করেছিলি নাকি আমিই মিস করেছি?
  • em | 117.99.187.36 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১২:১৭445819
  • বম্মার কাল সেই দিন ছিল নাকি! আগে বলবে তো! আমরা তাইলে আরেকটু আনন্দ করতাম। একস্ট্রা কোচ একটা জুড়ত।
  • M | 59.93.182.61 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৩:১২445820
  • :P
  • rabaahuta | 203.99.212.54 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৮:৫৯445821
  • নানান কিছু হলো।
    আদি গঙ্গার ঘাট দেখে কাবলিদর বড়ি ঢুকতে ঢুকতে মনে পড়ল ল্যাপটপ, পেনড্রইভ সব গাড়িতে, আর পার্কিঙের লোকেশন শুনে কাবলিদা বললেন ওটা ঘোর নো পার্কিং। তো আরেকপ্রস্থ খাটাখাটনি করে, কাব্লিদর সঙ্গে রাস্তা থেকে স্যান কে সংগ্রহ করে ওপরে উঠে সন্ধ্যের অপেক্ষা। তারমধ্যে সুমেরুদা আবার আমার আর সিঁফোর জন্যে কিছু কঠিন তাঙ্কিÄক চলচ্চিত্র নিয়ে এসেছে, সে আপনারা সম্যক বুঝবেননা, আর আমার জন্যে কি যেন সব ফোটোগ্রাফ, যেগুলো দিয়ে আমার কি যেন একটা কাজ করতে হবে। এমন সময় এল চা। হ্যাঁ, চা। হা হতোস্মি। তো কি আর করা চা-ই সই।

    এদিক ভাট বসেছে সানডে বারে, কাবলিভবন গঙ্গা পাড়ে, হে বংগ ভান্ডারে তব ঘ্যামা ঘ্যামা পিস, আর জো বেচারা, উদাসিনী, বোর হয়ে চুড়ান্ত। তো কাবলিদা কবি হয়ে গেলেন, আর আমার গান পেতে লাগলো উদসিনী বেশে বিদেশিনী কে সে। কিন্তু দু পাত্র গলাধ:করন না করে তো গান গাওয়াটা খারাপ দেখায়, তই বাধ্য হয়ে, নেহাৎ, কতিপয় পেগ বনিয়ে নিলাম। তারপর আর কি, পেগে পেগে বহে যায় বেলা, বেলা বহে, বোর করে ট্যালা, আমি না, কবি বলেছেন। জনে জনে অনুরোধ করলাম, কিন্তু কাকস্য পরিবেদন, গান গাওয়া তো দুরস্থান, এর কেউ অনুরোধে ঢেকিও গিলবেননা, হ্যা:। তবে না, অকৃতজ্ঞতা আমার মোটে ধাতে নেই, উদাসিনী বেশে না গাইলেও সাহানা গাইলো যদি তারে নাই চিনি গো, দক্ষিন খোলা জানলা, আরো কিছু মহীন এবং একছিঁটে বেলাফন্তে। যাঁরা গলা মিলিয়েছেন তাঁদের নাম আমি মোটেই বলবো না, কারন হা আমার কুসুমে কুসুমে, হা আমার উদাসিনী বেশে, কেউ গাইলোনা, জালিম।
    তবে যে যাই বলো, দুনিয়া বড় নিঠুর। সুমেরুদাকে আমি আমার নিজের টলোমলো বিবশ হাতে হুস্কিতে সোডা জল মিশিয়ে দিলাম আর সুমেরুদ সেটাকে বেমালুম স্প্রাইট বলে আমায় হ্যাটা দিল, এমনিতেও, সুমেরুদা তখন একটু ঝাপসা মতো হয়ে গেছিল, নিশ্চয় মাতাল হয়ে গেছিল, নইলে এরকম কেউ করে?

    ততক্ষনে বেশ কয়েক পত্র উড়িয়ে দিয়ে আমার সহজাত বিজন গগন বিহারী কবি সত্বা আমার গদ্যময় পার্থিব দিনযাপনের গ্লানিকে ধোবি পাটে ধুইয়ে দিয়েছে, তার মধ্যেই দেখলম স্যান বীয়ারের বোতল হাতে এতোবড়ো সুমেরুদকে বকাঝকা করছে, কাব্লিদা যেন সাক্ষাৎ সেক্ষপীয়র, বড়য়েম্নন্দনের কন্ঠস্বর মিষ্টি যেন গুড়, বুনানের হাতে গেলাস না চানাচুর কি যেন, দুরদ্বীপবাসিনী জো বাংলা প্রায় শিখেই ফেললো সামরান্দি আর কাব্লিদার কাছে, সাহানা একা কুম্ভ গান গুলো গেয়ে দিল, আর সুকন্যা লক্ষ্য রাখছে শ্যেন দৃষ্টিতে আমি কতটা ছড়াচ্ছি। পানসি চলল বেলঘরিয়া, চলে এলো মুড়িমাখা, ভুজিয়া, বাদাম (এই বাদাম গুলো কাজু-ই ছিল কিন্তু)। পাই ফোন করলো কাদের যেন, কি যেন কথা বললো, উ: এত কিছুর দিকে নজর রাখা যায় নাকি? একটু খানিক গন্ডগোল হয়ে গেছিল, কোনদিকে কোন গল্প হচ্ছে ঠিক ফলো কত্তে পারি নাই, চাক্ষিক কিনা আমি। টাইম ফ্রেমেও একটু গন্ডগোল আছে, তবে সেই যে, কবি বলেছে, নেশাতুর বলে চেয়োনা তোমার খিল্লি আঁখির কোনে, খিল্লী করবেননা যেন কেউ।

    খাবার দাবার অতি উপাদেয়, তবে কিনা অন্নের চেয়ে পরমান্ন, অর্থের চেয়ে পরমার্থ, ঐসবের দিকেই আমার কেমন ঝোঁক, তাই আমি মেনু নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারবো না। তাবে পাঁঠার ঝোল খানা আহা যেন অমের্ত সুধাপারাবারের তীরে বানানো শূলপক্ক শল্লকীও তার কাছে তুচ্ছু।

    ধীরে ধীরে রাত নামে, দুরের লোকেরা কেটে পড়তে থাকে, বড়এমের ছেলে যে কালে কালে একজন মহান ভাটুরে হবে তাতে এক্কেবারে সন্দেহ নেই, সে কিনা আমাকে গান গাইতে বলে।

    আমিও টালমাটাল পায়ে উঠে পড়ি, সুকন্যা নিঁখুতি সদৃশ নেভিগেশনে ভর করে বাড়ি যাই, বুনানের সংগে গলা মেলাই
    '... খেতে দেব কোকা কোলা/ তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা/ আমি গব্বর সিং..."

    প্রবাদপ্রতিম অদ্ভুত গাড়ল কিনা আমি, তাই মাথাটা গরম হয়ে যায় ফেরার পথে, জীবনটা চন্ডীমন্ডপে পুকুরঘাটে ভাটে ভাটে না কাটিয়ে করেকম্মে খেতে হয় কেন এইসব ভেবে। আছ, আপনারা কেউ আমাকে সভাল্যাদখোর হিসেবে রাখতে পারেননা? কেউ নবরত্ন সভা বানানোর কথা ভাবলে আমাকে স্মরনে রাখবেন যেন, কাইন্ডলি।
  • rabaahuta | 203.99.212.54 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:০৮445822
  • ও, এদিকে স্যান আর বুনান জানলা, কুসুম ঐসব নিয়ে হাসি তামাসা করছিল, তো ওরা অবোধ বালক বালিকা, আমি মার্জনা করে দিয়েছি, নিজগুণে। আর আমি কিনা ঘড়ির কাঁটার পিছনে আধুনিক জীবনের ইঁদুর দৌড়ে বীতশ্রদ্ধ, তাই আমার ঘড়িটা ফেলে এসেছি কাব্লিদার বাড়ি, আজ জানতে পারলাম।
  • sinfaut | 203.91.201.55 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:০৯445823
  • আমার ডিভিডিটা চলে নি।
  • rabaahuta | 203.99.212.54 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:৩৪445824
  • আমারটাও চলেনি। তবে সেটা অবশ্য আমার ডিভিডি প্লেয়ার/ড্রাইভের দোষে। :(
  • em | 59.93.223.241 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:৫৯445826
  • ওটা মনে হয় ড্রাইভের দোষ নয়। সে ভদ্রলোক কপি করে চেক করেছিলেন বলে প্রতয় হয় না। সুরাপানের ভাবনায় ওরকম ভুলে যাওয়াটা দোষের নয়।

    মন খারাপ করো না হে বালকসকল। পরবর্তী ভাটে-মুলাকাতে ত্রুটি শুধরে নেওয়ার অবকাশ তো রয়েই গেল।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন