এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের নিরিখে বাংলা

    Sourav
    গান | ২১ মে ২০১০ | ৩৫৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Sourav | 117.194.201.183 | ২১ মে ২০১০ ১০:৩৭446474
  • বাংলা আধুনিক গানকে ক্লাসিকাল Pattern এ দেখতে চাই | ভারতীয় বা পশ্চিমী ক্লাসিকাল দুটৈ চলবে |
  • Shibanshu | 59.97.227.66 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৫:১০446485
  • 'ক্ল্যাসিকল প্যাটার্ন' ব্যাপারটা কী?
  • kallol | 124.124.93.205 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৫:৪২446496
  • উ: ও দ: ভারতীয় ক্লাসিকাল হলে তো কতই আছে।
    বাংলা রাগপ্রধান গান বলে একটা জঁর আছে। মূলগতভাবে সেগুলো আধুনিক গানই তো। তাছাড়াও বহু বহু বেসিক/সিনেমার গান হয়েছে নানান রাগের ওপর ভিত্তি করে।
    রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, অতুলপ্রসাদীও কি আধুনিকের মধ্যে পড়ে না? তাহলে তো কথাই নেই। বাংলা গানে উ: ভারতীয় ক্লাসিকাল - একটা উদাহরণ - বেগম আখতরের গাওয়া বাংলা ঠুমরীগুলো। দ: ভারতীয় ক্লাসিকাল - ও মন্ত্রীমশাই ষড়যন্ত্রীমশাই, পায়ে পড়ি বাঘ মামা। র:স: ধরলে - বাজে করুণ সুরে।
    পশ্চিমী ক্লাসিকাল - ওমনি করে মনে পড়ছে না। র:স: ধরলে আগুণের পরশমণি, কিছুটা আকাশ ভরা সূর্য্য তারা। সলিল চৌধুরী কিছু কিছু সিম্ফনিক মুভমেন্ট ব্যবহার করেছেন বেশ কিছু গানে - প্রায় ওনার সিগনেচার ছিলো।
    বিনয় চক্রবর্তির সুরে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্ন কবিতার সুরে খুব প্রভাব আছে - তবে সেটা চার্চ হাইমের। তাকে বোধহয় ক্লাসিকাল বলে ধরে না। তাই কি?
  • Shibanshu | 59.97.227.66 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৬:৪৭446507
  • কল্লোল,

    আপনার যুক্তি অনুযায়ী তো চর্যাপদের গানও বস্তুত 'আধুনিক গান'। কখনও তো তা অধুনার সীমারেখার মধ্যেই ছিলো। আসলে কোনও বাংলা গানের আগে এই 'আধুনিক' তকমাটাই বড়ো বিভ্রান্তিকর। 'জীবনমুখী' বিশেষণের মতো 'আধুনিক'ও রেকর্ড ব্যবসায়ীর অবদান, এতে কবি, শিল্পী, সুরকার বা শ্রোতার কোনও ভূমিকা নেই।
    যতদূর বুঝছি 'ক্ল্যাসিকল প্যাটার্ন' বলতে ভারতীয় রাগভিত্তিক বা পশ্চিমী স্বরলিপিভিত্তিক রচনাগুলিকে বোঝানো হচ্ছে। যদিও এই সব লঘু সঙ্গীত যাদের এক গোত্রে 'আধুনিক' নাম দেওয়া হয়, সেগুলি কখনও পূর্ণ রাগভিত্তিক স্বরানুসারে রচনা করা যায়না। পশ্চিমী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। তাই রচনাগুলি সুরানুসারী হয়ে ওঠে, রাগানুসারী নয়। একটি রাগ যেন একটি প্রাণবন্ত মানুষ ( অন্তত আমাদের ঐতিহ্যে এরকমই কল্পনা করা হয়েছে) তার নিজস্ব মর্জিমেজাজ আছে। তা অধিকাংশ সময়েই কাব্যসঙ্গীতের কথাপ্রধান মেজাজের সঙ্গে মেলেনা। বেগম আখতারের ঠুমরি বা গজলের শব্দ বাংলা বা উর্দু যাই হোক না কেন, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তারা বেগম আখতারের গান। যেমন রবীন্দ্রনাথের গানগুলির ভিত্তিরাগ কী, তা বিচার্য নয়, সেগুলি রবীন্দ্রসঙ্গীত, এই মাত্র। এমন কোনও সুরসৃষ্টি করা সম্ভব নয় যার মধ্যে কোনও না কোনও প্রতিষ্ঠিত রাগের অঙ্গ সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া যায়। তাই আমার প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে.....
  • kallol | 124.124.93.205 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৭:৩৯446518
  • উ: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বিস্তার গভীরতা ও বৈচিত্রে এতোটাই যে বাখ বা ভিভালদির রচনাকেও মিশ্র রাগের উদাহরণ হিসাবে ধরা যেতে পারে। সেই অর্থে এক জ্যাজ ছাড়া সবই রাগভিত্তিক। জ্যাজের ডিসকর্ড উ: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে মানা। কিন্তু আমি স্বরলিপি দিয়ে বিচার করতে চাই নি। কোন কোন গানে রাগের উপস্থিতি খুবই প্রবল ও সেই রাগের চলন অনুসারী। সেই ধরনের গান গুলোকেই রাগভিত্তিক গান বলে মনে করেছি। উদাহরন : দিলকি ঝরোখোমে তুঝকো বিঠাকর/য়াদোঁ কো তেরী ম্যায় দুল্‌হন বনাকর - গানটায় শিবরঞ্জনী ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে গানটা শিবরঞ্জনী হয়ে যায় না। আবার মেরে নয়না / শাওন ভাদোঁ তেও শিবরঞ্জনী। কিন্তু এটার আবেদন, চলন (গানটার), গাওয়ার ধরন রাগটাকেই প্রাধান্য দিয়েছে। ফলে এটা রাগভিত্তিক গান হয়ে যায়।
    পায়ে পড়ি বাঘমামা - বোধহয় ত্যাগরাজার সিংঘেন্দ্রমধ্যমম - রাগটির শুদ্ধতাকে বজায় রেখে রচনা করা। কিন্তু এক চতুর নার/করকে শৃঙ্গার দ:ভারতীয় কোন (আমি জানি না) রাগের আদলে তৈরী করা হলেও রাগের শুদ্ধতার কথা মাথায় রাখার প্রয়োজন হয় নি। তফাৎটা এইরকম বলে আমার মনে হয়েছে।

  • kallol | 124.124.93.205 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৭:৫১446523
  • আধুনিক গান বলতে আমি আমি তাকেই বুঝিয়েছি যার নির্মানে বিচার্য থাকে শুধুই রসসৃষ্টি। চর্যাপদ বা বাউল বা ভাটিয়ালি বা সেই অর্থে ভজনও গানের রসসৃষ্টির জন্য তৈরী নয়। গানটি নিমিত্ত মাত্র বৃহত্তর কিছুতে পৌঁছানোর জন্য। যে অর্থে গণসংগীত বলে যে জঁর তৃতীয় বিশ্বে চলে। সলিল চৌধুরী(আইপিটিএ আমল) থেকে ভীক্তর জাঁরাঁ যে ধরনের গান রচনা করেছেন তা আমার মতে আধুনিক গান নয়।
    রবীন্দ্রনাথের/নজরুলের/অতুলপ্রসাদের সব গান হয়তো সেই বিচারে আধুনিক নয়, তবে বেশীরভাগই আধুনিক।
  • Shibanshu | 59.97.225.79 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৮:০৬446524
  • 'আধুনিক' গান মূলত কাব্যসঙ্গীত, সেখানে রাগের শুদ্ধতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনা। কাব্যসঙ্গীতের নিজস্ব প্যাটার্ন রয়েছে, তার অসংখ্য বৈচিত্র্যও রয়েছে। বিভিন্ন গানবিশেষকে বেছে যদি আলোচনা করতে হয় তবে তা অতি দীর্ঘ হয়ে যাবে। আমার প্রশ্ন আবার সেই, 'ক্ল্যাসিকল প্যাটার্ন', কী ও কেন?
  • kallol | 115.242.146.161 | ০৩ জুলাই ২০১০ ০৫:৫৮446525
  • আধুনিক গান মূলত: কাব্যসঙ্গীত, এতে আমার মন সায় দেয় না। শুধু গানের কথা দিয়ে গানকে বিচার করা কেমন একপেশে লাগে। লালনের গানেও কাব্য আছে, চর্যাপদের গান তো কাব্যই। তাতে তো তারা অধুনিক গান হয়ে যায় না।

  • pi | 128.231.22.89 | ০৩ জুলাই ২০১০ ০৬:২৬446526
  • শিবাংশুদা, রাগাশ্রয়ী বা রাগভিত্তিক গানকে পূর্ণ রাগভিত্তিক স্বরানুসারে রচিত হতে হবে ক্যানো ?
  • pi | 128.231.22.89 | ০৩ জুলাই ২০১০ ০৭:০৭446475
  • ' এমন কোন সুরসৃষ্টি সম্ভব নয়, যার মধ্যে কোন না কোনো প্রতিষ্ঠিত কোন রাগের অঙ্গ সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া যায়' ... এর উত্তর তো কল্লোলদা উদাহরণ দিয়ে দিয়েইছেন। রাগ তো শুধু ক'টা স্বরের ভিত্তিতেই হয় না, তার চলন থাকে, ভাব থাকে। সেটা না থাকলে রাগাশ্রয়ী বলবার ও কোনো কারণ দেখিনা।
    আর, কোন রাগের 'অঙ্গ' ( যদিও অঙ্গ কোন অর্থে ব্যবহার করেছেন, খুব স্পষ্ট না আমার কাছে) সম্পূর্ণভাবে না এলে সেটাকে খামোখা সেই রাগ বলবো ক্যানো ?

    আর বেগম আখতার গাইলে ঠুমরি কে রাগাশ্রয়ী বলা যাবে না! কয়েকটা প্রশ্ন আছে। করছি একটু বাদে।
  • kallol | 115.184.124.34 | ০৩ জুলাই ২০১০ ০৮:৫৯446476
  • একই গান, গাওয়ার ভঙ্গী পাল্টে দিলে অন্য গান হয়ে যায়। পশ্চিমে আখছার হয়। তবে ওদের গানের দর্শন আলাদা। ইমাজিন - লেনন গাইলো সফট-রক, জোন বায়েজ গাইলো ফোক। এখানে পিয়া ভোলো অভিমান - বেগম আখতার গাইলেন বাংলা ঠুমরী, অজয় চক্রবর্তি গাইলেন বাংলা রাগপ্রধান।
    যদিও এইসব বর্গগুলোর এমনিতে যে খুব মানে হয় তা নয়। নাম দিয়ে গান বা যে কোন সৃষ্টিকে বড়ো বর্গীকৃত, বড়ো গন্ডীবদ্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা নাম ছাড়া অস্বস্তি বোধ করি। আমায় এটা খুব সইতে হয়। আমি কি গান গাই জিজ্ঞাসা করলে বলি বাংলা গান। তাতে লোকে সন্তুষ্ট হয় না। তখন বাধ্য হয়ে বলি মরণমুখী। তাতে খুব তুষ্ট না হলেও (আশাব্যঞ্জক নাম নয়) নিশ্চিন্ত হয় দেখেছি।

  • Shibanshu | 59.97.225.47 | ০৩ জুলাই ২০১০ ১২:৩২446477
  • কল্লোল, পাই

    গান নিয়ে আলোচনা মহাসাগরে ডুব দেওয়ার মতো। এই স্বল্প পরিসরের আলোচনার মধ্যেই আমি দেখছি সম্পূর্ন পৃথকভাবে চর্চা করার মতো অন্তত পাঁচ-ছটি বিষয় উঠে আসছে। সব গুলিই অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং এই মূহুর্তে এতো বেশি ছড়িয়ে যাবার লোভ সম্বরণ করছি। এখনও আমি মূল প্রশ্ন, অর্থাৎ বাংলা গানের 'ক্ল্যাসিকল প্যাটার্ন' বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে?
  • nyara | 122.172.14.64 | ০৩ জুলাই ২০১০ ১২:৫৪446478
  • আদতে যিনি কথাটা লিখেছেন, সৌরভ, জবাব দিলেই ভাল।

    আমি সেকেন্ড গেসিং করি। হয়তো কোন গানের পেটে কোন হিন্দুস্তানী রাগ, বন্দিশ বা পশ্চিমি মুভমেন্ট, ফ্রেজ, লেটমোটিফ আছে সে সম্বন্ধে আলোচনাকে 'ক্লাসিকাল প্যাটার্ন' বলতে চেয়েছেন।
  • Sourav | 117.194.197.104 | ০৪ জুলাই ২০১০ ১৭:১৫446479
  • ন্যাড়া একেবারেই সঠিক |ClassicalMusic এর চোখ দিয়ে গানটাকে দেখা | সেটা ভারতীয় বা পাশ্চাত্য যাই হোক | এবার কি বোঝাতে পারলাম ? অবশ্য ন্যাড়া অনেক ভালো ভাবেই বুঝিয়েছেন | যদি বোঝা যায় এবার একটা গানের উদাহরণ দিয়ে শুরু হোক |
  • Shibanshu | 59.97.227.197 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৪:৪২446480
  • সৌরভ,

    সময়সীমা কী রেখেছেন? কারণ নিধুবাবুকে যদি বাংলা 'আধুনিক' গানের 'জনক' ধরা হয়, তবে গত দুশো বছরের গান নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
  • Sourav | 117.194.202.131 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২১:৫২446481
  • তাই হোক না | অথবা সময়সীমা ছোট করতে চাইলে রবীন্দ্রোত্তর বাংলা গান নিয়ে আলোচনা হোক | এটা যারা লিখবেন তাঁদের ওপর ছেড়ে দিলাম | আর কোনো প্রশ্ন ?
  • nyara | 203.83.248.37 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২৩:২৭446482
  • রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা গানে রাগের প্রয়োগ মূলত: দুভাবে এসেছে।

    এক হল, পুরো গানটাই একটা রাগ আশ্রয় করে তৈরি হয়েছে। (রাগমালা হলে হয়তো একটা রাগ নয়, কিন্তু গানের অংশে একটা রাগের পর্দাই ব্যবহার করা হয়েছে)। অতুলপ্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রলাল, রজনীকান্ত থেকে নজরুলের বা তার পরেও। জ্ঞান গোঁসাই কি ভীষ্মদেব, তারাপদ চক্রবর্তীর বাংলা গান এই গোত্রের। শচীনদেবের প্রথম দিকের গানও তাই। চালু বন্দিশে বাংলা গান করলেন ভৈরবীর 'মধুবৃন্দাবনে' বা নট বেহাগের 'ঝন ঝন ঝন ঝন মঞ্জির বাজে'। অনেক পরে অখিলবন্ধু ঘোষের বাংলা গানের একটা অ্যালবাম - 'মরমে মরি গো লাজে', 'কী করে জানাব বল শ্যমরাই' ইত্যাদি যাতে ছিল - সেও এই রকম। এই গানের টাইপের কয়েনেজ হয়েছিল 'রাগপ্রধান' গান।

    দ্বিতীয় যেটা, সেটা হল একটা রাগের ছায়া নিয়ে শুরু করে সেটাকে একটা এমন রূপ দেওয়া যে রাগটা আর বিশেষ চেনা যায় না। রাগের সব নিয়মও মানা হয়না। অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ। তারপর দ্বিজেন্দ্রলাল, নজরুলও। এরপর হইহই করে এলেন হিমাংশু দত্ত, শচীন দেব বর্মণ, সলিল চৌধুরীরা। সেই ট্র্যাডিশনে মান্না দে-ও করেছেন, রাহুল দেব বর্মণও। সলিল চৌধুরীর 'ঝনন ঝনন বাজে' মিশ্র কলাবতীতে। একই রাগে রাহুল দেব বর্মণ করছেন, 'বল কী আছে গো'। কিন্তু রাগ এখানে অপ্রধান। মান্না দে-ও 'এ তো রাগ নয়, এ যে অভিমান' গানে দুর্গার চলন ধার নিচ্ছেন, কিন্তু দুর্গা এখানে প্রধান নয়। সেই দুর্গাতেই তুলনা করুন জ্ঞান গোঁসাইয়ের 'দুর্গা দুখহারিণী' গান।
  • Shibanshu | 59.97.224.145 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১১:৩৫446483
  • আমি ন্যাড়ার আলোচনাকে একটু এগিয়ে দিই।

    ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রান্তের সমসাময়িক সঙ্গীত পরিমন্ডলকে যদি প্রেক্ষাপট হিসেবে ব্যবহার করি তবে দেখবো বাংলা গানের বিবর্তন একটি অনন্য উদাহরন। ব্যক্তিগতভাবে আমি যা দেখেছি তাতে একটা ব্যাপার স্পষ্ট, ভারতীয়দের সঙ্গীতবোধের মূল খুব গভীরে। এর মধ্যেও দুটি প্রান্ত, মহারাষ্ট্র এবং পঞ্জাবের অধিবাসীদের সঙ্গীতরুচি খুবই উচ্চকোটীর। কিন্তু যখন আমরা বাংলা সঙ্গীতরুচির সঙ্গে এর তুলনা করবো তখন দেখবো বাংলা সঙ্গীতের ব্যপ্তি অনেক বহুমুখী। সামগ্রিক সঙ্গীতের দুটি মেরু, লোক ও শাস্ত্রীয়, এবং মধ্যপথে কোথাও বৃহত্তর জনমনোরঞ্জনকারী লঘুসঙ্গীত, সব নিরিখেই বাংলা গানের উৎকর্ষ অবশ্যস্বীকার্য। একথা আমি একজন বাঙালি হিসেবে বলছি না, একজন ইতর শ্রোতা হিসেবেই বলছি। মহারাষ্ট্রের প্রবাদপ্রতিম শাস্ত্রীয় শিল্পীদের থেকে লোকজ লাউনি শিল্পীদের মধ্যপথে নাট্যসঙ্গীত, যা শাস্ত্রীয় ও লোকজ গানের মিশ্রণ, তাঁদের গানের মূলস্রোত। আবার পঞ্জাবে পূর্ণ ও অর্ধশাস্ত্রীয়, অর্থাৎ ধ্রুপদ-ধামারের সঙ্গে টপ্পা, ঠুমরি, কব্বালি, গজল ইত্যাদি সঙ্গীতধারার সঙ্গে লোকজ সুফিসঙ্গীত যা অধিকাংশ হীর বা অন্যান্য গড়নের লোকগানের সঙ্গে ওতোপ্রোত। একদিক থেকে দেখতে গেলে এই সব প্রান্তের সঙ্গীত ঐতিহ্য বাংলার থেকে সমৃদ্ধতর, কিন্তু বিংশ শতকে এসে একজন স্রষ্টা সব হিসেব উল্টে দেন। যে গান রাজার দরবারি উপস্থাপনা নয়, আবার একেবারে রোদ-জল-হাওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রাকৃত লোকজ নির্মানও নয়, অথচ যে গানের গুণমান স্থির করবে একটি সংস্কৃতির সাঙ্গীতিক মাপদন্ড, কারণ তার সৃষ্টি হয়েছে নবোন্মেষ মধ্যবিত্ত সঙ্গীতরুচিকে ঋদ্ধ করতে, বাংলাগান সেই ভূমিকা নিলো এবং তার স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ বাংলাগানকে উসেন বোল্টের দ্রুততায় এগিয়ে দিলেন নতুন যুগের ভারতীয় গানের পুরোধা হিসেবে।
  • Shibanshu | 59.97.224.145 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১১:৫০446484
  • যৎসামান্য পরিপ্রেক্ষিত দিলাম এখানে, রবীন্দ্রপরবর্তী বাংলা গানের ভূমিকা হিসেবে। মনে হয় নির্দিষ্ট গান ধরে আলোচনা সঠিক গতিপ্রকৃতিটিকে সামগ্রিকভাবে ধারণ করতে পারবে না। তাই যদি বিভিন্ন প্রবণতাভিত্তিক সঙ্গীতধারা নিয়ে আলোচনা হয় তবে হয়তো পূর্ণাঙ্গ রূপটি পাওয়া যেতে পারে।
  • Shibanshu | 59.97.224.145 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১১:৫৬446486
  • উল্লেখ করতে ভুলে গেছি, এই প্রবণতা অবশ্যই বিভিন্ন শাস্ত্রীয় ও উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীত ধারার সঙ্গে সমন্বিত হওয়া চাই।
  • kallol | 124.124.93.205 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৩:২৯446487
  • একটু ঝগড়া করি।
    পঞ্জাব ও মহরাষ্টের সঙ্গীত ঐতিহ্য কি ভাবে বাংলার থেকে সমৃদ্ধতর ?
    মহারাষ্ট্রের গান নিয়ে বেশী জানি না। তামাশায় প্রচুর গান থাকে। এর বেশী জ্ঞান-গম্যি নাই।
    পঞ্জাবের লোকসঙ্গীত যেমন বৈচিত্রপূর্ণ, ভাঙ্গরা, সুফি, টপ্পা, কাওয়ালি, নানান গীতিকহিনী (হীর-রঞ্ঝা, সোহিনী-মহিয়াল, শিরিঁ-ফরহাদ, লায়লা-মজনু ইত্যাদি), তেমনি বাংলার লোকসঙ্গীতও। বাঁকুড়া-পুরুলিয়া-পশ্চিম মেদিনীপুরের ভাদু টুসু থেকে রাঢ় বাংলার চটকা, সাঁওতাল, কোল, মুন্ডাদের চাষের গান, পূজার গান,শিকারের গান। পূর্ব মেদিনীপুরের পটের গান। ওদিকে দিনাজপুর-মালদার গম্ভীরা, আলকাপ থেকে উত্তরবঙ্গের সারী, জারী, ভাওয়াইয়া। এদিকে দ: বাংলার - গাজীর গান, পাঁচালী। পূব বাংলার সিলেট প্রান্তের মারিফতি, মুর্শিদা, ফকিরি হয়ে ভাটি দেশের ভাটিয়ালী, ধামাইল, বিচ্ছেদি। গোটা বাংলা জুড়ে বাউল আর সব ছড়িয়ে লালন। বাংলায় গীতিকাহিনীও কম নয়। বেহুলা ভাসান বা মনসা মঙ্গলের গান। বাগদী-ডোমেদের লঠি-সড়কি খেলার গান। নানান অঞ্চলের বিয়ের গান। এর পরেও ওঁরা সমৃদ্ধতর হনেল কেমনে?
    জানা কিস্‌সা - তবু এ বাবদে পেশ করতে লোভ হলো।
    মুজতবা আলি সায়েব, সম্ভবত জর্মানীতে এক বন্ধুর বাসায় "অওসাম" লোকসঙ্গীত শুনতে গেছেন। ভোলগা বোট সং। ওভারকোটের তলায় লুকিয়ে নিয়ে গেছেন আব্বাসঊদ্দিনের ভাটিয়ালী(ভাটিয়ালী গানে যিনি প্রথম ৫এও পড়েন না)। তা, ভোলগা..... শেষ হলে উনি ইজাজত চাইলে বন্ধুবর ইর্শাদ বল্লেন। এরপর রেকর্ডখানা গ্রামাফোনে চাপানো হলো। গানও শেষ হলো ৩ মিনিটেই। বন্ধুবর বল্লেন - এয়ার্কি পেইচো!! এডায় লোকগান?? এই কম্পোজিশনে অন্তত: পাঁচ পাঁচটা নোট লেগেছে। এডায় লোকসঙ্গীত হইতেই পারে না।
  • kallol | 124.124.93.205 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৩:৩০446488
  • *হলেন
  • kallol | 124.124.93.205 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৩:৩৪446489
  • বলতে ভুলে গেছি। আমার নরকেও স্থান হবে না - কীর্তন। বাণী-সুর (লোক আঙ্গীকের সাথে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মিশে যাওয়া) - ও: এমনটা দুনিয়ায় কম আছে।
  • Shibanshu | 59.97.224.145 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৫:০৭446490
  • আমি একশো ভাগ একমত বাংলা লোকগানের বৈচিত্র্য ও ঐশ্বর্য ভারতবর্ষের কোনও প্রান্তের সঙ্গীত সম্ভারে পাইনি। কিন্তু... একটা কিন্তু থেকে যাচ্ছেই... ভাববিলাসী বাঙালি লোকগানের স্বতোৎসারে যত স্বচ্ছন্দ, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শ্রমসংকুল, অনুশীলননিপীড়িত, কঠোর বিধিনিষেধ বিজড়িত দুনিয়ায় তর্কাতীত স্বীকৃতি সে কখনও লাভ করতে পারেনি। এমন সঙ্গীত পাগল একটা জাত, কিন্তু সর্বমান্য কোনও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঘরানা নেই। সেই একা বিষ্ণুপুর, তাও বেশ অর্বাচীন এবং দেশের উল্লেখ্য ঘরগুলির মধ্যে পড়েনা। মাইহারকে আমি বাঙালি ঘরানা ধরিনা, তার অনেক কারণ আছে। কীর্তন, তা পালাকীর্তন বা নগরকীর্তন যাই হোকনা কেন, তার "বাঙালি' শরীরধারণ পরবর্তীকালের ব্যাপার। প্রাথমিকবিচারে তার উৎস মিথিলা অঞ্চলে। যে কীর্তন বাঙালির প্রাণের গান (ব্যক্তিগতভাবে আমার এক প্রিয়তম সঙ্গীত শৈলী)তার বিবর্তন ঘটেছে অনেক পরে। শ্রী চৈতন্যের সময় কীর্তন, তখন ধামালি হিসেবেই অধিক জনপ্রিয় ছিলো, উত্তর ভারতের ধামার শৈলী থেকে উদ্ভূত। যদিও আমি মনে করি ধামার থেকে কীর্তনের সৃষ্টি বাঙালির এক মাস্টার স্ট্রোক, তবু অনুশাসিত সঙ্গীত অভ্যাসে বাঙালি পিছিয়ে থেকেছে। আবেগ সর্বদাই মালিক এখানে, যুক্তি ভীরু পদাতিক। তাই সামগ্রিক বিচারে আমি সঙ্গীত ঐতিহ্যে ঐ দুই প্রান্তের উৎকর্ষ বাংলার উপরে রাখি।
  • SB | 219.64.153.79 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৫:২৮446491
  • দারুন আলোচনা, একটু ফুট কাটি, দিলিপ কুমার রায় ওনার কোন একটা বইতে (সাঙ্গীতিকি?) লিখেছিলেন, লোকসঙ্গীত কোন কাজের কাজই নয়, একদমই পাত্তা দেওয়া উচিত নয়, ওতে কিস্যু নেই। আসল হলো শাস্ত্রীয় সঙ্গীত।
  • Shibanshu | 59.97.224.145 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৬:০৫446492
  • দিলীপকুমার রায় ( আমার একজন প্রিয় শিল্পী) সতত জটিলতার পূজারী। এই কারণে তাঁর ঘরানা টিকলো না। অতো জটিলনির্মানের গান তিনি নিজে ছাড়া আর কেউ গাইতে হিম্মত করলো না। এ বিষয়ে শচীনকত্তা হলেন গুরু। কারণ বিপুল শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্য থাকা সঙ্কেÄও তাঁর শিকড়টা ছিলো বাংলা লোকসঙ্গীতের কাদামাটিতে। তিনি গান কম্পোজ করে প্রথমে তাঁর ড্রাইভারকে শোনাতেন। সে খুশি হলে তার পরেই সেই গান রেকর্ড হবে। তিনি বলতেন, যে গান লোকে গাইতে পারবে না সে গান টিকবে না। দিলীপকুমার ও রবীন্দ্রনাথ এবং ধূর্জটিপ্রসাদ এনাদের সঙ্গীত নিয়ে আলোচনা শ্রদ্ধেয় মুজতবা আলির ভাষায় 'জজেও মানে', তবু জনগণেশের রায় একেবারে ফেলনা নয়। রবীন্দ্রনাথ সেটাকে প্রমাণ করেছেন। নয়তো কপিরাইট উঠে যাবার আতঙ্কে বহু 'আশ্রমিক' টাইপের বাঙালির রাতের ঘুম উড়ে গেছিলো। কিন্তু রবিবাবু আবার প্রমাণ করিলেন তাঁহাকে বধ করা সহজ নহে। ( তবে 'বাংলা ব্যান্ড" যদি উদ্যোগী হয়, তবে কী হয় বলা যায়না)
  • kallol | 124.124.93.205 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৬:২৯446493
  • এসসি - মাথা ঝুকিয়ে একমত।
    কিন্তু।
    আমার মনে হয়। একদম অলটপকা মনে হয়। বাঙ্গালী কি চিরকালই মূলস্রোত বিরোধী? অবশ্য বাঙ্গালী বলতে আমি বঙ্গজ ভদ্রসন্তানদের কথা বলছি। প্রান্তবাসীদের এসব ""উচ্চ"" চিন্তা করার সময় থাকে না।
    তাই কি উ:ভারতীয় মার্গ সঙ্গীত একটু অচ্ছুত ছিলো?
    আবার আপনি যেটা বলেছে পরিশ্রমবিমুখতা, সেটাও একটা কারন।
    সহজ সরল জীবনযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে সহজ সরল গান, তাও হতে পারে।
    এপ্রসঙ্গে শচীনকর্তার সঙ্গীত দর্শন একদম বাঙ্গালী।

    দিলীপ কুমার রায়। আমার ভালো লাগেনি। সত্যিই খুব জটিল। আমার মনে হয় অকারন জটিল। অত তানটান করে যদি লঘু সঙ্গীত গায় কেউ, তাতে গানটা নষ্ট হয়ে যায়। খেয়াল গাও না বাপু। ভালো লাগবে। মন দিয়ে শোনাও যাবে। যে আঙ্গিক যেখানে যতটা লাগে ততটাই লাগাও।
    ব্যাক্তি হিসাবেও খুব জটিল ছিলেন। ভীষ্মদেবের ""হারিয়ে"" যাওয়ার পেছনে ইনি ও এনার পুঁদেচ্চেরী।
  • Souva | 122.177.175.160 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৬:৫৩446494
  • @কল্লোলবাবু,

    দিলীপকুমার আর ভীষ্মদেবের ব্যাপারটা কী? একটু আলোকপাত করলে ভালো হয়। কুতুহল হচ্ছে আর কি।
  • kallol | 124.124.93.205 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৭:০২446495
  • ভীষ্মদেবের স্কিজোফ্রেনিয়া ছিলো। তাই মাঝে মাঝেই গান বন্ধ। অনেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। ওনার সতীর্থ শচিনকত্তা আরও অনেকে। এর মধ্যে কোথাও কিছু নেই, দিলীপকুমার ওনাকে নিয়ে গেলেন পন্ডিচেরী অরবিন্দ আশ্রমে। ভীষ্মদেব তখন বেশ অসুস্থ। ওখানকার অনুশাসনে অবস্থা আরও খারাপ। বাসন মাজতে হতো। কলকাতা থেকে কিছু শুভানুধ্যায়ী পন্ডিচেরী গিয়ে ওনার সেই দুর্দশা দেখে কলকাতায় ফিরিয়ে আনেন।
    আমি ওনার গান প্রথম শুনি কলকাতায় ফিরে আসার পর ১৯৭৪এ। সে গপ্পো অন্যত্র।
  • kallol | 124.124.93.205 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৭:০৩446497
  • খেয়াল করিনি। বাবু-টা কাটিয়ে দিলে স্বস্তি পাই।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন