এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • লালগড়: পটভূমি, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত - II

    a x
    অন্যান্য | ০৬ মে ২০১০ | ৩৫৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a x | 143.111.22.23 | ০৬ মে ২০১০ ২১:৪৬448834
  • আগের টইতে বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল, উত্তর ছিলনা। কিছু ধারণা কথা ছিল, যেগুলো ঠিক না ভুল জানা ছিলনা।

    এরকম একটা ধারণা আমাদের অনেকের আছে যে লালগড়ে শালবনী ব্লাস্টের আগে, লোকে মোটামুটি সুখেশান্তিতেই থাকতেন, পুলিশও বেশি ঘাঁটাত না। হয়ত মানুষ খেতে পড়তে পেতনা, কিন্তু যে তান্ডব পরে আমরা দেখেছি, সেরকম কিছু ছিলনা।

    আরেকটি প্রেভেল্যান্ট ধারণা বা মতামত যা নিয়ে সবচেয়ে বেশি জলঘোলা, তর্ক ইত্যাদি তা হল মাওবাদীদের ভূমিকা, প্রথম থেকে এখন অবধি, পিসিপিএ মাওবাদীদের "ফ্রন্টাল অর্গানাইসেশন" কিনা ইত্যাদি।

    এই দুটো প্রসঙ্গেই কিছু খবর সম্প্রতি নজরে এসেছে। বেশ বড় সড় লেখাগুলো, তাই ছোট করে মূল কথা গুলো লিখছি, অজ্জিনাল লিংকে গিয়ে পড়ে নেবেন।
  • a x | 143.111.22.23 | ০৬ মে ২০১০ ২১:৫৮448845
  • ২০০৮'এ বুদ্ধর কনভয় টার্গেট করে শালবনী ব্লাস্ট, তারপর পুলিশের অমানবিক অত্যাচার শুরু। গল্পটা মোটামুটি এই জানি আমরা।

    যা আমরা কেউ কেউ জানিনা বা ভুলে গেছিলাম তা হল বহু দশক ধরেই পুলিশের নির্মম অত্যাচার এখানে চলেছে। ২০০২ সালে টাইম্‌স্‌ অফ ইন্ডিয়াতে Inside Midnapore বলে ভেটেরান সাংবাদিক নীলাঞ্জন দত্তর একটা সিরিজ বেরোয়। তার থেকে কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি -

    TOI, Kolkata, 8.10.2002

    ...on Tuesday, they would be marching to the block development office at Belpahari to press for their modest but long unfulfilled demands for development– a health centre, water for irrigation and electricity.

    This time, the banner that would lead them would be that of Shara Bharat Krishak Sabha, the peasant organization of the CPM.

    Politics, for the impoverished, tribal-dominated population of the rough terrain at the tri-junction of West Midnapore, Bankura and Purulia, has been rather complex. They are willing to rally behind CPM’s mass organization, vote for Jharkand Party sometimes, or on other occasions, boycott elections at the call of the Naxalite People’s War and the Maoist Communist Centre. It is evident from the numerous tiny handwritten posters plastered on the hut walls, that the hand that calls for fighting the state also spreads the message of the ruling party’s peasant front. It is people’s strategy for their own war, their struggle for existence.

    TOI, Kolkata, 9.10.2002
    ... Even going to the distant health centres has become difficult after the raids started. When Badal Sarkar,30, of Hatchalipara fell seriously ill, he could not taken to the hospital. All cars refused to go fearing police action. The patient died.
    A surprising feature is the thurst for education. Most of the families, however poor, send their girls and boys to school. There is a primary one nearby, with only two teachers for more than 300 pupils, and a high school at Banshpahari.

    The Naxalites have raised their issues, and the people responded. The agitations took various forms, ranging from deputation to road blockades,. In the last Assembly elections, only 76 among the 12,00-odd voters at Pachapani voted.

    TOI, Kolkata, 10.10.2002

    Banshpahari: Boycotting the elections was cardinal sin for poor tribals. The powers that be, blissfully unaware of these people until then, suddenly realized that they should be taught a lesson. Scores of police vehicle began to roll down to the hamlets since late last year. Heavily armed men in combat gear descended. They broke into houses, dragged men, women and children out, beat up many and took away some.
    ...Many have been tagged with cases in faraway places they had not even heard of earlier. Like those in a batch of 22, linked with a case in Siliguri.

    The raids have indeed surprised the people. “Why are we being punished so much for demanding so little?” they ask. These people are minimalist by nature and do not seem to make an issue out of a little bit. If you ask Kartik Ruidas of Chakodoba whether he was tortured, he would replied stoically, “No, they just gave me electric shocks”. That was twice a day for 3 days in his ears.

  • a x | 143.111.22.23 | ০৬ মে ২০১০ ২২:০১448856
  • TOI, Kolkata, 11.10.2002

    At “15” or “16”, Sulochona Kalindi has gone through hell... She had come to visit her parents at Pachapani and was asleep at her aunt’s hut when there was a night raid. “Who’s sleeping there?” they asked. “Its my niece,” her aunt said. “Its a boy”, challenged an officer. “She’s my niece and she can’t be a boy.” Sulochana’s sindoor and red and white bangles were clearly visible in the searchlights. The officers had other things in mind. “Let’s see if it’s a man or a woman.” Sulochana was made to strip and pass a bizzare sex determination test.

    Bimala Mura of Chakodaba was taken from home with husband Uttam to Ranibandh police station in Bankura. They were humiliated in front of each other. Recently bailed out after two months, she remembers other tortured women in jail. Particularly Allahadi Murmu, who was battered by women police.

    Behula Kalindi of the same village has gone through long spells of beating in custody. Unable to bear it, she pleaded with the “top officer” in Bankura, “Sir, I have to look after my children, I am a poor housewife.” She made a grave mistake.

    “You are housewife?”

    “Yes, sir.”

    “You are a whore. She did not know what to say.

    “I’ll prove to you that you are a whore”. She remained silent.

    “Strip.”She looked at the armed hostile men.

    “I said strip.” She complied slowly and remained motionless.

    “Look, how can a housewife do this?”

    All these women are suffering from post-traumatic stress disorder.

  • a x | 143.111.22.23 | ০৬ মে ২০১০ ২২:০৬448867
  • TOI, Kolkata, 14.10.2002

    ...But this Belpahari in West Midnapore, the terra firma of the People’s War and MCC. ...

    People allege that they are being told to get involved in either the CPM or the Jharkhand Party, otherwise it will be construed that they were still with PW and MCC. There are also little games going on. Once MCC leader, Ujjwal Sardar, has allegedly been set free as he has joined the CPM a few days ago, while another, Jagannath Sardar, is still wanted.

    About 25 km away in Kankrajhor, which would be throbbing with tourists in this festive time, is deserted. The tourist lodge caretaker sits idle on a bullock cart. Cart operators at Jhargram cannot get passengers even at half the seasonal fare. “Some time ago a large tourist party came in five cars. I was driving one. A tree trunk blocked the jungle road and we stopped. Three girls with pistols appeared from nowhere and questioned everyone. They let us go only after being satisfied that it was a tourist group.”

    “They don’t harm the common people,” said villagers.

    “Some kendu leat contractors, however, were beaten up. Perhaps they deserved it, as they used to deceive and torment us themselves,” they added.

    Women like the three who have questioned the driver used to bear the brunt of the “deception and torment”.

    Now they are paying dearly. People of Banshpahari would tell you that one of their village girls, Khari Sardar alias Mina, has become mentally deranged due to torture. She is now in jail.

  • a x | 143.111.22.23 | ০৬ মে ২০১০ ২২:১৫448878
  • লালমোহন টুডু মারা যাবার পর তার মৃতদেহ নিয়ে টানা-হেঁচড়ার গল্প জানি, কখনও শুনেছি কেউ আইডেন্টিফাই করছেনা বলে পুলিশ কি করবে জানিনা, কখনও শুনেছি পুলিশ বডি ছারছেনা, সেই দেহে পচন ধরেছে।

    শেষ শুনেছিলাম এপিডিআর মৃতদেহ নিতে গেছিল, কিন্তু লালমোহনের আত্মীয়রা দেহ নিতে অস্বীকার করায় তাদের পিছিয়ে আসতে হয়।

    মাঝে মাঝেই শুনি অমুক মাওবাদী মারা গেছে পুলিশের এনকাউন্টারে, কিম্বা সিপিএম করার জন্য মাওবাদীরা অমুককে মেরেছে। কখনও বা শুনি মাওবাদীরা পিসিপিএ কে মারছে, কখনও শুনি সিপিএম মেরে মাওবাদীদের নামে পোস্টার রেখে যাচ্ছে।

    গত কয়েকদিন আগে পিসিপিএ থেকে একটি চিঠি আসে। ১৮-১৯ পাতার চিঠি। চিঠিটি এপিডিআর, লালগড় মঞ্চ ও বুদ্ধিজীবিদের উদ্দেশ্যে। মাওবাদীদের ভূমিকা, "ফেক এনকাউন্টার", সাংবাদিক ঢুকতে না দিয়ে শুধুমাত্র ইন্টেলিজেন্স সোর্স থেকে খবর "ইমপ্ল্যান্ট" করা, লালমোহনের মৃতদেহ হ্যান্ডওভারের আসল ঘটনা এরকম অনেক কিছুই সেই চিঠিতে আছে।

    পুরো চিঠিটা এখানে - http://sanhati.com/wp-content/uploads/2010/05/letter-from-lalgarh.pdf

    অল্প অল্প করে আমার কাছে যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, তুলে দিচ্ছি।
  • a x | 143.111.22.23 | ০৬ মে ২০১০ ২২:৩০448885
  • প্রিয় বন্ধুগণ,
    হুল জোহার,

    প্রায় ১০ মাস হয়ে গেল যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। ...

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলা-ঝাড়খন্ড-উড়িষ্যা-বিহার এর সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে গ্রাম-জঙ্গলে চিরুনী তল্লাসী চালিয়ে তারা কি পেলেন? কিছুই নয়...
    দিনের পর দিন ১৪৪ ধারা জারি রেখে জঙ্গলমহলের সামাজিক জীবন অবরুদ্ধ করে মর্টার ফেলা হল। বাজার, পিচ রাস্তা সহ সমস্ত সরকারী ভবনগুলিতে যৌথবাহিনী বিদেশী সেনার মত অবস্থান করে আক্রমণ চালালো। এখন চারদিক ঘিরে ফেলে গোটা জঙ্গলমহলকে একটা বড় নাৎসী কনসে®¾ট্রশন ক্যাম্প বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনারা যেদিকে এগোবেন হার্মাদ ও যৌথবাহিনীর দর্শন পাবেন। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে, তারপরে আপনি জেলে যাবেন, নাকি "নিখোঁজ" হবেন বা হার্মাদ ক্যাম্পের নিয়ে গিয়ে মিথ্যা এনকাউন্টারে লাশ হবেন তা সিপিএম পার্টি অফিস কিংবা যৌথবাহিনীর-সিপিএম পার্টি সদস্য ও অফিসাররা সিদ্ধান্ত নেবে।
    ...

    জনগণের চোখে অনুজ, সুশান্ত, দীপক এরা সবাই খুনী। সিপিএম পার্টি অফিস মানে আসলে পুরানো দিনের জমিদারের কাছারি বাড়ি এবং টর্চার চেম্বার। ওদের সুরক্ষার জন্য যৌথবাহিনী। জঙ্গলমহলের জনগণের হার্মাদ বাহিনীর ভয়ঙ্কর কাজকর্ম সম্পর্কে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থাকার জন্য তাদের বিরুদ্ধে বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ে সংগ্রামের রূপ কি হবে তা জনগণ নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। জনগণের নেওয়া সংগ্রামের বিভিন্ন রূপকে কেউ মানতে পারেন কিংবা নাও মানতে পারেন - এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। কেউ সংগ্রামের রূপ নিয়ে পরামর্শ বা নির্দেশ দিতে চান তা যদি বাস্তব পরিস্থিতি-পরিবেশ এবং ইতিহাসের শিক্ষার সঙ্গে খাপ না খায় তবে সেই নির্দেশ বা পরমর্শ মেনে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে জঙ্গলমহলের বিদ্রোহকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং আমাদের দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব।
  • bb | 117.195.177.143 | ০৬ মে ২০১০ ২২:৩৪448886
  • জনগণের কমিটি ইত্যাদির নামে মাওবাদীদের খুনের রাজনীতিকে বৈধতা দেবার এই চেষ্টার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এরা আবার সেই নকশাল আমলের বীভৎস দিন গুলি ফেরানর চেষ্টা করছেন।
    নকশালরা যারা বেঁচে আছেন তারা হয় বিদেশে বসে আছেন নয় আর নইলে বিরোধীদের সঙ্গে মিলে 'এলোমেল করে দে মা লুটে পুটে খাই' এই চেষ্টা করছেন।
    আর সংহতির link দিয়ে এই মাওবাদীদের গ্লোরিফাই করার চেষ্টার প্রতিবাদ জানালাম।
  • a x | 143.111.22.23 | ০৬ মে ২০১০ ২২:৪২448887
  • চিঠি কন্টিনিউ -

    গত বেশ কয়েকদিন ধরে সাংবাদিকের আসা যাওয়ার উপর প্রশাসন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখছে। জানুয়ারী থেকে সাংবাদিকরা এলাকায় আসাও বন্ধ করতে বাধ্য হলেন। গোয়েন্দা রিপোর্ট যা বলছে, সরকার যে রিপোর্ট দিচ্ছে, তাই তাঁরা লিখছেন। এরকম করে জনগণের মাঝে একটা অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরী করতে চাইছে প্রশাসন। জুন মাস থেকে সরকার সমস্ত মানবাধিকার সংগঠন ও গণতান্ত্রিক বুদ্ধিজীবীদের জঙ্গলমহলে আসা বন্ধ করে দিলো। অপরদিকে এই একই সরকার ১৪৪ ধারা জারি রাখলেও সিপিএম পার্টির মিটিং-মিছিলকে সফল করার জন্য বড় আকারে পুলিশ মোতায়েন করে তার গুরুদায়িত্ব পালন করছে।
    ...
    ২০ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত লালগড়-শালবনী ও কোতায়লী সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারে বাহিনীকে মোতায়েন করে চিরুনী তল্লাসীর নামে সারাদিন মর্টার ফাটাচ্ছে এবং গুলি চালাচ্ছে। এই মুহূর্তে "কর্ডন অ্যান্ড সার্চ অপারেশন" এর নামে অভিযান চলছে। এই অভিযানের লক্ষ্য গ্রামগুলিকে ঘেরাবন্দী করা এবং এক এক করে ঘেরাও করে ঘরের দরজা খোলার আগে ঘরে ঘরে তল্লাসী করে গ্রামবাসীর জঙ্গলে যাওয়া আটকানো।
    ... যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই ১৫-২০ বা ১৫০-২০০ জনকে গ্রেপ্তার করছে, মারধোর করছে, মানসিক ভাবে টর্চার করছে ।।। মেরে দিচ্ছে এবং "নিখোঁজ" করার ঘটনা বড় আকারে ঘটাচ্ছে।
    ... বর্তমানে জঙ্গলমহলে বেশীর ভাগ "নিখোঁজ" করলো হার্মাদ বাহিনীর সঙ্গে মিলে যৌথবাহিনী। ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ১৫ জন নিখোঁজ হয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে সরকার নিজেই স্বীকার করে। তার পরবর্তীকালে আরো ১৫-২০ জন "নিখোঁজ" হলেন। মার্চের ১৬-২০ তারিখ পর্যন্ত ৫ দিন "নিখোঁজ"দের কোর্টে পেশ করার দাবিতে আমরা দুইদিন অনশন, একদিন অরন্ধন, দুদিন মিছিল-মিটিং করলাম। শত শত গ্রামে এই কর্মসূচী পালিত হল। আমাদের পাঁচদিনের কর্মসূচী চলাকালীন সময়ে আরো দুজন "নিখোঁজ" হলেন।
  • a x | 143.111.22.23 | ০৬ মে ২০১০ ২২:৪৭448824
  • আরে bb ইনফর্মেশনকে এত ভয় পান কেন? আমি তো পাতি একটা চিঠি তুলে দিচ্ছি। সারাদিন তো NDTV, টাইমস নাও দেখেন; আনন্দবাজার, আজকাল পড়েন, এটাও নাহয় পড়লেন।

    বাকিটা আবার পরে লিখছি।
  • PM | 113.21.67.16 | ০৬ মে ২০১০ ২৩:৪৯448825
  • bb ইনফর্মেশন কে ভয় পাচ্ছেন না। পাইকারি হত্যার favour এ নির্লজ্জ প্রচার এর বিরোধিতা করেছেন মাত্র। কোনো আছিলায় একজনের খুন করা সমর্থন করলে পাল্টা আরেকদফা খুন-ও বৈধতা পায়। তখন তকে আর ' হার্মাদ' বলার justificatioin থাকে না কারন তার-ও একট যুক্তি অছে মানুষ মারার। এমন কি কাল রাস্তায় আমি ax কে মারলে-ও... আমি তাকে justify করার জন্য surely ৫ টা reason খাড়া করব। আর কোনো bx আমার যুক্তির সপখে্‌খ পোস্ট করবে এই টই-তে।

    এই-টার-ই বিরোধিতা করা হচ্ছে।

  • a | 208.240.243.170 | ০৭ মে ২০১০ ০০:৩৩448826
  • এই চিঠিতে যা আছে, তাকে সত্যি বলে মানব কিকরে?
  • a x | 143.111.22.23 | ০৭ মে ২০১০ ০০:৪০448827
  • PM কি চিঠিটা পড়ে এটা বললেন নাকি না পড়েই?

    a, কিসে কে বিশ্বাস করবে বলা খুব মুশকিল। নিজস্ব জাজমেন্ট, পার্সিভড নলেজ, এবং গ্রাউন্ডের সাথে যোগাযোগ এগুলো অনেকটাই ডিটার্মাইন করে। কিন্তু রাষ্ট্রের তৈরি করা বহু খবর আমরা সারাদিন পাই, সেগুলো যে ম্যানুফ্যাকচারড্‌ হয় তার প্রমাণও বহুবার পেয়েছি কিন্তু তাও NDTV বা Times Now এর লিংক পেলে কেউ হৈ হৈ করিনা। এই চিঠি তো মেনস্ট্রীম ছাপাবেনা। চাপাই পরে থাকবে।

    যাই হোক এখনও অনেক বাকি। ১৯ পাতা তো।
  • a x | 143.111.22.23 | ০৭ মে ২০১০ ০০:৪৩448828
  • একটা জিনিস একটু খেয়াল করা দরকার। কিছু প্যাটার্ণ পাওয়া যায়। বিশেষ বিশেষ সময়ে সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট, মানবাধিকার কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হয়না। কলিঙ্গনগর থেকে নন্দীগ্রাম এই হালেই এরকম নজির প্রচুর। সেটাকে প্রশ্ন না করে শুধু সরকারের বা IB থেকে আসা খবরের ওপর নির্ভর করে নিজের মতামত গড়ে তুলতে সবাই নিশ্চয়ই রাজি হবেনা বলেই মনে হয়।
  • a x | 143.111.22.23 | ০৭ মে ২০১০ ০১:০৪448829
  • চিঠি - পাতা দুই

    লোধাশুলি অঞ্চলে পুলিশী সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির নেতা ছিলেন মঙ্গল মাহাতো, মন্মথ মাহাতো। মঙ্গল মাহাতোকে যৌথবাহিনী ধরে নিয়ে গেল ... আজ পর্যন্ত তাঁর খোঁজ পাওয়া যায় নি।
    ...
    ২৫শে ফেব্রুয়ারী রেলওয়েতে চাকরীরত মঙ্গলের ভাইকে পুলিশ ডেকে নিল। মঙ্গলের সাথে কথাবার্তা করালো। মঙ্গলকে ছাড়াতে গেলে মাওবাদী নেতাকে ধরিয়ে দিতে হবে এই শর্ত পেশ করলো। তিনি বললেন - আমি একজন রেলওয়ে কর্মী, কাউকে ধরিয়ে দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এইসব বলার আগে ও পরে যৌথবাহিনী মঙ্গলের ভাইএর কোয়ার্টারে তল্লাশী করলো। রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই বিষয়ে একটি শব্দও ব্যয় করেন নি। ... ২৮শে মার্চ হয়ে গেলো। আজও মাননীয় শিক্ষক মহাশয় মঙ্গল মাহাতোর কোনো খোঁজ নেই। মন্মথ মাহাতোর কেসও একইরকম। অন্যান্য কেসও একই রকম। সনাতনকে যৌথবাহিনী ধরলো ২২ শে মার্চ ... ভারতীয় সংবিশান, ভারতীয় আইন মেনে চলা পুলিশ সনাতনকে কোর্টে পেশ করলো ২৭শে মার্চ। এরকম ঘটনা অসংখ্য।

    ...

    ২৫-২৬-২৭ মার্চ লালগড়-শালবনী-কোতোয়ালী সীমাবর্তী এলাকায় বড় আকারে যৌথবাহিনী মোতায়েন হয়। গোটা এলাকায় মানুষ গ্রাম ছাড়া হন। এই তিনদিন কমপক্ষে ১০০ মর্টার শেল, হাজার হাজার গুলি চালানোর আওয়াজ সমস্ত মানুষ শুনেছেন। দুজন কোবরা বাহিনীর জওয়ান নিহত হয়েছে এবং ১ জন আহত হয়েছে। সব গ্রামের মানুষের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়লো। অপরদিকে পুলিশ দাবি করছে: মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই-এ ১৮-২৫ জন মাওবাদী মারা গেছে। আবার পুলিশ প্রথমে এটাও বলে তাদের লাশ পায় নি। ২৬ শে মার্চ সকালে শম্ভূ মাহাতোর লাশ পাওয়া গেছে বলে রেডিও'র স্থানীয় সংবাদে জানানো হল। শম্ভূ মাহাতো নামে আমাদের জনসাধারণের কমিটির একজন নেতা। তবে তিনি ঠিক আছেন বলে আমরা জানি। ... পুলিশ এটাও বলছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (কলকাতা) প্রাক্তন ছাত্র অভিষেক মুখার্জী মারা গেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুপরিকল্পিতভাবে এই প্রচার চালানোর পেছনে আগামীদিনে আমাদের নেতা, কর্মীদের মেরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিন লাশের গল্প যে বলা হচ্ছে এটা কাদের লাশ তা টিভি ও সংবাদমাধ্যমে শনাক্ত করানোর চেষ্টা কেউ করছে না। ৩-৪ দিন ধরে গোটা এলাকা ঘিরে কাউকে ঢুকতে ও বেরোতে দিচ্ছেনা।।। এখন যেখানে যাকে পাচ্ছে তাকেই মেরে লাশ মিলছে বলে পুলিশ বিভ্রান্ত করছে।

    আজকে (২৭শে মার্চ) পুরুলিয়া থেকে খবর পেলাম আমাদের আরো একটা গণ-সংগঠন "আদিবাসী-মূলবাসী জনসাধারণের কমিটির" একজন নেতাকে যৌথবাহিনী ও হার্মাদরা মেরে দিয়েছে। কিন্তু তারা এই হত্যার দায়িত্ব স্বীকার করছে না। ২২-০৩ তারিখে... আমাদের কর্মী সন্তোষ মুর্মুকে হার্মাদ ও যৌথবাহিনী মিলে মেরে দিলো। গত ১৯-০৩ তারিখে শালবনীর কাছে কাশিজোড়া হার্মাদ ক্যাম্প থেকে ১টা ফোর্স দেউলকোন্ডা গ্রামে এসে যুক্তশানী নামে ৮২ বছর বয়সী তেলীহাতির গ্রামবাসীকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে গেল। উনি আজও নিখোঁজ।
  • a x | 143.111.22.23 | ০৭ মে ২০১০ ০১:০৭448830
  • যুক্তশানী নামে ৪২* বছর বয়সী ...
  • SC | 67.186.56.191 | ০৭ মে ২০১০ ০৭:৪০448831
  • আমি এইখেনে একটা প্রশ্ন করতে চাই। যারা পি সি পি এ কে মাওবাদীদের ফ্রন্ট বলে অভিহিত করছেন, তারা কি তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এটা বলছেন?
    ছত্রধর মাহাতো জেলে আছেন আজ ছয় মাস হতে চললো, ওনার বিরুদ্ধে কি অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে?

  • ganatantra priya | 121.241.218.132 | ০৭ মে ২০১০ ১০:১৫448832
  • "জনগনের নেওয়া সংগ্রমের বিভিন্ন রূপ কে কেউ মানতে পারেন নাও মানতে পারেন,আমাদের কিছু করার নেই।"

    ব্রেভো - চিঠিটা মাওদের মুখপাত্র লিখেছে নাকি?

    এর উত্তরে যদি কেউ লেখে -

    মাওবাদীদের অটোক্রেসির বিরুদ্ধে আমরা। গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের প্রাণে বাঁচার অধিকার আছে।আমাদের সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের । তাই রাষ্ট্রের পক্ষে থাকছি। আমাদের ও কিছু করার নেই ।

    Howz that ? :-)
  • SB | 219.64.65.185 | ০৭ মে ২০১০ ১০:২৮448833
  • Most of the human rights groups that operate in India today have emanated in the 1970s from the outer fringes of a variety of Naxalite factions. It is therefore obvious that these groups will be biased about the left sectarian adventurist politics of the Maoists and the organized violence perpetrated by them. These groups are purposely serving the cornered Maoists who are in desperate need for support from the civil society to broadcast and propagate their cause.

    http://wordsfromsolitude.blogspot.com/2010/05/cpi-maoists-and-their-disingenuous.html

  • a x | 143.111.22.23 | ০৭ মে ২০১০ ২২:০২448835
  • দান্তেওয়াড়ার গোম্পাদ গ্রামের ঘটনা অনেকেই জানি। মাওবাদী সন্দেহে বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের খুন, ছোট বাচ্চার আঙ্গুল কেটে নেওয়া ইত্যাদি। আরো জানি এর বিরুদ্ধে পিটিশন করতে যারা গেছিলেন পুলিশ তাদের যেদিন ধরে, তার বেশ অনেকদিন বাদে কোর্টে তোলে। অর্থাৎ পুলিশ হেফাজতে বেআইনী ভাবে তাদের রাখা হয়, সেই সময় তাদের ওপর অত্যাচার, নানারকম জবরদস্তি করে বয়ান লেখানো ইত্যাদি বহু অসাংবিধানিক কাজ হয়। এদের অনেকে এখনও নিখোঁজ।

    লালগড়েও একই ঘটনা ঘটছে। উদাহরণ পাওয়া যাবে তিন/চার নং পাতায়।

    ----
    "১০-০৩-১০ - বেলপাহারির নেগুড়িয়া ক্যাম্পের কাছে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। মিথ্যা কেসে তাদের জেল খাটালো। দমন পাল সাধারণ গ্রামবাসী, বাকিরা তার কুটুম ঘরের লোক।

    ১৩-০৩-১০ - লালগড়ের দোমোহানি, শালবনী বানিশোল গ্রামগুলি থেকে ১৫জনকে গ্রেপ্তার করলো ...বেদম মারধোর করল ... তাঁদের মধ্যে আমাদের ভুলাগাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ...ডাক্তারবাবু মাধব মাহাতো একজন। উনি রুগীর সেবা করা চাড়া গ্রামের অন্য বিষয়ে নাক গলান না

    ...

    ১৫-০৩-১০ - গোয়ালতোড়ের পাথরপাড়ার গ্রাম থেকে যৌথবাহিনী ৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করলো। তিনদিন পরে পুলিশ বললো ১০ জন কট্টর মাওবাদী গ্রেপ্তার হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশী সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির ঐ অঞ্চলের নেতা ননী বোস ও ১ জন রয়েছেন। ওনাকে কট্টর মাওবাদী তকমা দিলো পুলিশ। বাকী মানুশজনদের কেন ৩ দিন আটকালো?

    ১৫-০৩-১০ - লোধাশুলি অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে তল্লাশী করে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এদেরকে এখনও কোর্টে তোলা হয়নি।

    ১৫-০৩-১০ - ... আড়াবাড়ি হেতালশোলে ৫ জনকে মারাত্মকভাবে মারধোর করে। কেউ দাঁড়াবার মত অবস্থায় নেই।

    ...

    ১৮-০৩-১০ - "নিখোঁজের" খোঁজ পাওয়ার দাবিতে এবং ঝারগ্রাম অঞ্চলে নিরীহ মানুষদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে মানিকপাড়া পুলিশ থানা অঞ্চলে দেড়-দুই হাজার মানুষ, যেখানে অর্ধেকের বেশী মহিলা, মিছিল করেন। ঐ মিছিলের ওপরে যৌথবাহিনী ফায়ারিং করে ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। তারপরে কোর্ট থেকে ১৩ জন বয়স্ক মহিলাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। এদের সবাইকে মাওবাদী বলে পুলিশ দাবি করে।

    ...

    ২১-০৩-১০ - হাত পিছে্‌মাড় করে বেঁধে পথ চলতি সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, স্কুল শিক্ষকদের প্রকাশ্যে রাজ্য সড়কের ওপর লাঠিপেটা করল যৌথবাহিনী। সকাল ১১ টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত যৌথবাহিনী এই অভিযান চালায় শিলদা বাজারে। ... জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকে মারধর। যে কয়েকজন প্রতিবাদ করেছে, তাদের প্রচন্ড পাথুরে গরমের মধ্যে ঝাড়গ্রাম হয়ে বাঁকুড়া যাওয়ার ৯ নম্বর রাজ্য সড়কের ওপর পিছমোড়া করে বেঁধে নীলডাউন করে রাখা হয়।

    ২৫-০৩-১০ - লক্ষণপুর, রামেশ্বরপুর, পাহারি, বুড়ীপাল ও অন্যান্য আরো দশটা গ্রাম থেকে ৩৫জনকে গ্রেপ্তার করে। এরা সবাই মহিলা ও বয়স্ক পুরুষ। এরা সবাই নিরপরাধ মানুষ।

    ২৭-০৩-১০ ... শচীন মাহাতো নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধোর করে থানায় নিয়ে যায়। শচীনের স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকে বিবস্ত্র করে মারধর করে যৌথবাহিনী। সংসদে মহিলাদের ৩৩% সংরক্ষণ নিয়ে হৈ-চৈ করা স্বঘোষিত মহিলা নেত্রী সোনিয়া, বৃন্দা কারাত সহ অন্যান্যরা আদিবাসী মহিলাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারকএ নির্লজ্জভাবে সমর্থন করে চলেছেন!

    উপরের যে তালিকা আমরা দিলাম তা আরো দীর্ঘতর হবে। প্রতিদিনই এটা সাধারণ দৃশ্য।"
  • a x | 143.111.22.23 | ০৭ মে ২০১০ ২২:৩০448836
  • পুলিশের ক্যাম্প - কি জন্য, কাদের জন্য - চিঠি পাতা ৫, ৬ :

    "... গ্রামের নাম যাই হোক সর্বত্রই জনগণের দাবি একই - আমরা ক্যাম্প চাই না।"

    "নভেম্বর ২০০৮ থেকে জুন ২০০৯" (সময়টা লক্ষ্যনীয়*) "পর্যন্ত আমরা দাবি করলাম - পুলিশ ক্যাম্প তুলে নেওয়ার, এই ক্যাম্পগুলো জনগণের সুরক্ষার জন্য নয়। কিন্তু প্রসাশন সরায় নি। হাজার হাজার মানুষ সমবেত হলেন, ক্যাম্পগুলোকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়ে দীর্ঘদিনের প্রতিবাদের মাধ্যমে কয়েকটি ক্যাম্প সরালো। কিন্তু জানুয়ারী ১৬ তারিখ থেকে আবার বহু ক্যাম্প নতুন করে চলে এল। হার্মাদ ও সিপিএম নেতাদের সুরক্ষার জন্য এই সমস্ত ক্যাম্প পরিচালিত হয়। যেকোন ক্যাম্প থেকে পুলিশ বেরোলে গ্রামের রাস্তায় যাওয়া মানুষদের বাধা না দিয়ে যৌথবাহিনী ও হার্মাদরা চাড়বেনা।
    ...
    সাতনালায় (বাঁকুড়া) গ্রামবাসীদের রাস্তায় গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ছটি গ্রামের মহিলা জড়ো হন, যৌথবাহিনীর জওয়ানদের আটকান। সেই মুহূর্তে আমাদের জনসাধারণের কমিটির কোনো নেতা ছিল না। ... পুলিশকে তারা তাড়ালেন, পেটালেন। দীর্ঘদিনের পীড়নের ফলে জনগণ এরকম করলেন, আবারও করবেন।
    ... উপরোক্ত ঘটনার পরে তল্লাশীর নাম করে শত শত যৌথবাহিনীর জল্লাদ গ্রামে ঢুকে নির্মমভাবে মানুষদের পেটালো। বাড়ি থেকে বের করে বৃদ্ধ হোপেন সোরেনকে তালপুকুরিয়া গ্রামে ২৬শে জানুয়ারী প্রজাতন্ত্র দিবদের দিন চিদাম্বরম-মমতা-বুদ্ধের বাহিনী খুন করল। লক্ষী সোরেন ৩১শে জানুয়ারী হাসপাতালে মারা গেলেন। আমাদের মহিলা শাখার নেতৃত্বে ১ লা ফেব্রুয়ারী বারিকুল থানায় বিক্ষোভের জন্যে ৬-৭ হাজার মানুষ গেলেন। ৬ জন মহিলা স্মারকলিপি নিয়ে থানায় মধ্যে গেলেন। ওসিবাবু সবাইকে ফিরে যেতে বললেন। পুলিশী ও হার্মাদদের সন্ত্রাস থাকবেনা বললেন। ... ফিরে আসছি - পিছন থেকে "বীরপুরুষ" পুলিশ নির্বিচারে গুলি বৃষ্টি করা শুরু করলো। ৪ জন বয়স্ক মহিলা আশুমনী মুর্মু (৫০), চূড়ামণি মুর্মু (৪৫), ঠাকুর্মণি সোরেন (৪৮), ধনমনি মুর্মু (৪২) রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বলি হলেন।

    এই ঘটনা ঘটার পরে মিডিয়াকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসন যা বললো মিডিয়া তাই লিখলো। ঐ স্থানে এসে জনগণের কাছ থেকে প্রকৃত সত্যকে অনুসন্ধান পর্যন্ত করতে পারলোনা। ঐ দিন প্রকৃত ঘটনা কি হয়েছিল তা আমরা জতটুকু পারলাম সুশীল সমাজ, আপনাদের সামনে রাখলাম। কারা কি বললো আমরা জানিনা। ঐ দিন ওখানে কোনো মাওবাদী ছিল না। পাল্টা কোনো ফায়ারিংও হয়নি। রাষ্ট্রের প্রচার শক্তি আপনাদেরকে প্রভাবিত করলো কিনা আমরা বলতে পারবো না কিন্তু আপনাদের ও আমাদের মাঝে একটা দূরত্ব তৈরী হলো। ...
  • a x | 143.111.22.23 | ০৭ মে ২০১০ ২২:৫০448837
  • ক্যাম্প কন্টিনিউ -
    "গোয়ালতোড়, ভালুকচিড়া গ্রামে যৌথবাহিনীর ক্যাম্পকে ইতিমধ্যে প্রশাসন তুলে নিলো। আবার ক্যাম্প আসবে বলে প্রচার হলো। ২০-০৩-১০ তারিখে হাজার দুয়েক জনগণকে নিয়ে মাওবাদীরা বিক্ষোভ মিছিলে নিয়ে গেলো। দূর থেকে যৌথবাহিনীর জওয়ানরা ফায়ারিং শুরু করলো। মাওবাদীরা পাল্টা জবাব দিলো। জওয়ানরা পালিয়ে গেলো। জনগণ ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দিলেন - এটা ঘটনা। ... এখানের মানুষ যৌথবাহিনী কিংবা ক্যাম্প চাইছেন না। গরীব মানুষের সুবিধার্থে কোন ক্যাম্পই গড়ে তোলে নি সরকার।
    ... কাশিজোড়া, আসনাশুলি, সিন্দ্রাবাজারের হার্মাদ ক্যাম্পগুলিকে এবং সীতানাথপুরের সিপিএম এমএলএ'র বাড়িকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ২০০৩ সাল থেকে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে" (আবার সময় লক্ষ্যনীয়*)... এই সাতবছর ধরে পুলিশ প্রশাসন এবং সিপিএম জোর করে গ্রামের স্কুল দখল করে ক্যাম্প চালাচ্ছিল। বহুবার জনগণ ও পড়ুয়ারা ক্যাম্পকে তুলে নেওয়ার দাবি করেন কিন্তু সফল হয়নি।

    ...
    বর্তমানে লালগড়, শালবনী, গোয়ালতোড়, কোতোয়ালী এলাকায় ৩০ টা হার্মাদ বাহিনীর ক্যাম্পের খবর আমরা জানি। ... আরো ৫০টা হার্মাদ বাহিনীর ক্যাম্প গোটা জঙ্গলমহলে আছে। এই সমস্ত ক্যাম্পের হার্মাদ বাহিনী রীতিমত সশস্ত্র, প্রায় সবার কাছেই আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র আছে। এতদিন এরা কাজকর প্রাইভেট বাহিনী রূপে চালাতো। কিন্তু এখন যৌথবাহিনীর ডানার ওপর বসে চালাচ্ছে। সিপিএম যৌথবাহিনীকেই তাঁদের "লালফৌজ" ভাবছে।
  • SC | 128.237.254.217 | ০৭ মে ২০১০ ২৩:১৩448838
  • কিন্ত ছত্রধরের বিরুদ্ধে প্রমাণ?

    আর মানবতাবাদী সংগঠন যেখান থেকেই আসুক, তাতে কি এসে যায়?
    কি বলছে,সেটা বড় কথা, যেই বলুক।
  • heju | 121.241.218.132 | ০৮ মে ২০১০ ১০:১৭448839
  • আসে যায়। তারা যে মাওবাদীদের স্পন্সর্ড নয় তার কি প্রমান? মাওবাদীরাও তো "হবু রাষ্ট্র",তারা কোটি কোটি টাকা ট্যাক্সো তোলে। তাদের ও প্রচার যন্ত্র আছে,তাদের ও "আর্মি" আছে।
    তাই এই সংগঠনদের কথার সত্যতাও যাচাই করতে হবে।
  • SC | 67.186.56.191 | ০৮ মে ২০১০ ২২:০৬448841
  • তা করতে হবে বইকি। যে কোনো লোকের ক্ষেত্রেই সেটা সত্য। মাওবাদীদের প্রপাগান্ডা মেশিন নেই এরাম তো দাবী করিনি। আলব্‌ৎ আছে। কিন্তু কথা হচ্ছে অমুক লোকটা মাওবাদীদের টাকা খাচ্ছে, এই সন্দেহে তার যুক্তিগুলো শুনবো না, কিংবা তার দেওয়া তথ্য যাচাই করার চেষ্টা করব না, এটা কি সমর্থন করেন?
  • Blank | 64.255.180.66 | ০৯ মে ২০১০ ০০:৫২448842
  • অদ্দুর ও ভাবার কিস্যু নেই। সুজাত ভদ্র র দল হলে সেই কাগজ দিয়ে ইয়ে করি ....
  • SC | 67.186.56.191 | ০৯ মে ২০১০ ০১:৫৬448843
  • গণশক্তি সম্পর্কেও অনেকে একই কথা বলেন। দু:খিত, কিন্তু তাদের সাথে এই এটিচুডের কোনো ফারাক করতে পারলাম না।:(
  • Blank | 64.255.180.66 | ০৯ মে ২০১০ ০২:৪৭448844
  • ফারাক করতে বলছেই বা কে !! ঐ একই এটিচুড নিয়েই বল্লাম তো
  • a x | 143.111.22.23 | ০৯ মে ২০১০ ০৩:৫২448846
  • নাহ্‌ রাইটস্‌ গ্রুপ গুলো নক্সালাইট ফ্যাকশন জাত না অনেকেই। দুধরণের আছে। এক যারা লেফট্‌ পলিটিক্স এবং নকশাল ঘরাণা থেকে আরেক যারা সোশ্যালিস্ট রাজনীতির থেকে - এরা আসে এমার্জেন্সির জবাবে। যেমন PUCL - ফাউন্ডার জয়প্রকাশ নারায়ণ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন