ডুবজলে যেটুকু প্রশ্বাস ... ...
এখনও মর্ম খোঁজা সম্পূর্ণ হয় নাই ... ...
গত ষাট বছরেও যাহা মর্মে প্রবেশ করিতে পারে নাই ... ...
কালকের জয় শুধু মেসির শ্রেষ্ঠত্বের জন্য না, আর্জেন্টিনার সমর্থকদের জন্যও জরুরি ছিল। ৩৬ বছর কাপ পায় নাই একটা দল। এমন না যে দলটা উরুগুয়ের মত হারিয়ে যাওয়া দল। ভাল দল কিন্তু কই জানি গড়বড় করে ফেলে কাপ নেওয়া হয়। বিপক্ষের তীব্র বিদ্রূপের জবাবে গলার জোর ছিল প্রধান অস্ত্র। জন্মের পরে কাপ নিতে দেখছস? এই কথার উত্তর কী? আমার নিজের ৯৪ সালের খেলার কথা তেমন মনে নাই, ফাইনালে ব্যাজিও পোস্টের অনেক উঁচু দিয় মেরে ইতালিকে হারিয়ে দিছিল, এইটা ঠিক মনে আছে না পরবর্তীতে সিনেমা ডকুমেন্টারি, ভিডিও দেখে জানি তাও ঠিক মনে নাই। ৯৮ বিশ্বকাপের কথা হালকা পাতালা মনে আছে। পরিষ্কার মনে আছে ২০০২ সালের কথা। পরিবার থেকে বিদ্রোহ করে আমি তখন ইংল্যান্ডের সমর্থক, আমাদের বাড়ির চৌদ্দ গোষ্ঠী ব্রাজিলের সমর্থক! আমি তখনই সবাই যা করে তার থেকে বের হতে চাচ্ছিলাম। আর ছিল ব্যাকহাম নামের এক খেলোয়াড়, যে কারণেই হোক আমি তার মুগ্ধ ভক্ত হয়ে গেলাম। ব্রাজিল সমর্থকেরা সেবারও কাপ জিতার স্বাদ পেয়ে গেল! স্বভাবতই অন্তত আমাদের বয়সই আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা জন্মের পরে কাপ দেখছস প্রশ্নের সম্মুখীন হতে থাকল নিয়ম করে! এখন অবশ্য জন্মের পরে কাপ দেখছস কথা ব্রাজিল সমর্থকদেরও শুনতে হচ্ছে! তবুও আর্জেন্টিনার কষ্টের কাছে কিছুই না। আরও যন্ত্রণা ৩৬ বছর আগের যে কাপ তাও ম্যারাডোনার হাত দিয়ে দেওয়া গোলের কলঙ্ক লেগে আছে। সমর্থকদের জন্য, এমন অন্ধ ভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার জন্য একটা কাপ জেতা খুব জরুরি ছিল। কালকে সমর্থকদের শ্রেষ্ঠ উপহার দিয়ে দিয়েছে মেসি ইতিহাসের সেরা ফাইনাল জিতে। ... ...
শহরের মানুষ এতটা আকাশ দেখতে অভ্যস্ত নয়, তারা হঠাৎ ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবে শেষ কবে এতটা আকাশ দেখেছিল। ... ...
রিহার্সাল দিতে দিতে একদিন নূপুর বললো, নাটক করতে গেলে তো গয়না কিনতে হবে - চলো চাঁদা তুলি। ক্লাসের মেয়েরা কতো আর চাঁদা দেবে, তবু কেউ কেউ দিল। সামান্য সেই টাকা নিয়ে নূপুর আমাদের কয়েকজনকে নিয়ে এলো শহরের বড় ইমিটেশন গয়নার দোকানে। মালিক খুব সস্নেহ ব্যবহার করছিলেন কিন্তু নিজে নিজে গয়না কেনার উত্তেজনায় আমরা কী করে যেন শোকেসের কাঁচ ভেঙে ফেললাম। উনি আর কী করেন, বললেন স্কুলে জানাবেন। উপায়ান্তর না পেয়ে যৎপরোনাস্তি ভীত সন্ত্রস্ত আমরা সবাই গিয়ে দিদিমণিকে বলতেই দিদিমণি ক্ষোভে দুঃখে অস্থির। নূপুর কি করেছো, উইদাউট পারমিশন সরকারি স্কুলে চাঁদা তুলেছো। আমার মানসম্মান জলে গেল, বেআইনি কাজ করেছো তোমরা ইত্যাদি ইত্যাদি। ঐসব নিয়ে একপ্রস্থ লাঞ্ছনা গঞ্জনা হলো। ... ...
ধরিত্রী শব্দটির মধ্যে ছিল বেঁচে থাকার মন্ত্রণা।সমুদ্র দিয়েছিল তার সন্ধা ... ...