অনেকেই বলছে এইটা একটা নোংরা কাজ হয়েছে। খাওয়ানো তারপরে আবার ছবি তুলে ছেড়ে দেওয়া, খুব খারাপ কাজ হয়েছে। কোন সন্দেহ নাই, আসলেই ভাল কাজ হয়নি। কিন্তু আপনি কী চিন্তা করে এমন আন্দোলনের মধ্যে ডিবি পুলিশের সাথে খেতে বসে গেলেন? এর উত্তর কে দিবে? অনেকেই বলছে পুলিস হয়ত জোর করে খাইয়েছে! মানে পুলিশের ভয়ে তিনি খেতে বসেছেন। ধরেন এই আন্দোলনটা আওয়ামীলীগ করছে, মতিয়া চৌধুরী বা তোফায়েল আহমেদকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এদের কাওকে ডিবি পুলিশ সোনারগাঁ হোটেল থেকে খাবার এনে আপ্যায়ন করে খাওয়াত পারত? অসম্ভব! এখানেই রাজনীতিতে পরিপক্বতার প্রসঙ্গ এসে যায়। যা বিএনপির ক্ষেত্রে পাওয়া মুশকিল। ক্যান্টনমেন্ট থেকে জন্ম নেওয়া একটা দলের ক্ষেত্রে এর চেয়ে ভাল আর কিছু আশা করা যায় না। ... ...
“যে ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করা সার্থক, তেমন কোনো ভবিষ্যতে যদি আমাদের পৌঁছাতে হয় তাহলে ন্যূনতম মানবাধিকারগুলির সংস্থান ও সুরক্ষা তার সর্বপ্রথম শর্ত।“ ... ...
‘ चलो अब घर चलें ‘ – और चल दिये सब, मरेंगे तो वहीं जा कर जहां पर जिदगी है ! – गुलजार ... ...
সে এক অন্যরকম সময়। সত্তরের শেষ থেকে আশির দশক। ঘরে-বাইরের সব কাজ সামলে সুরে সুরে বলা শ্রমজীবী মেয়েদের কথা-কথকতা খুঁজতে বেরোলেন এক দিদিমণি। নাম তাঁর চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়। সফরের গোড়াতে, সেসময় তাঁকে পথ দেখাচ্ছেন সংগীত শিক্ষক মৃণাল বড়ুয়া অপার বাংলার নারীগান সংগ্রহের পথিকৃৎ গৌরীপুরের রাজকন্যা নীহার বড়ুয়া, দিকপাল নাট্যব্যক্তিত্ব খালেদ চৌধুরী আর আরো নানা গুণীজন...... ... ...
জয়া মিত্রের লেখায় শৈব্যা ... ...
কেতকী কুশারী ডাইসন এবং নোটন ... ...
লীলা মজুমদারের 'আমি নারী' সম্পর্কিত কিছু কথা। ... ...
ইনশেরিন হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের ছোট একটা দ্বীপ। গল্পটা এই দ্বীপকে ঘিরেই। খুব সহজ সরল জীবন এখানে। নিরুত্তাপ নিশ্চল জীবন এখানে। এই দ্বীপেই বাস করে পদ্রেইচ সুলেভান ও তার বোন সিওভান সুলেভান। পদ্রেইচের তেমন কোন কাজ নাই, গরুর দুধ বিক্রি করে, বন্ধু কমের সাথে আড্ডা মারে বারে, মদ খায় বাড়ি ফিরে। পদ্রেইচের বুদ্ধি একটু কম, বলা চলে সহজ সরল ছেলে পদ্রেইচ, তার তুলনায় সিওভান বেশ সপ্রতিভ, বুদ্ধিমান, বইপত্র পড়ে, দিন দুনিয়ার খোঁজ খবর রাখে। গল্পটা শুরু হয় একদিন দুধ বিক্রি করে যখন পদ্রেইচ কমকে ডাকতে যায় তখন। কম পদ্রেইচের ডাকে সাড়া দেয় না। ঘরে থেকেও সাড়া না দেওয়ার কারণ খুঁজে পায় না পদ্রেইচ। উল্টো দেখে পিছন দরজা দিয়ে কম চলে যাচ্ছে দ্রুত পায়ে। পদ্রেইচ বারে গিয়ে খুঁজে পায় কমকে। কম কোন কথাই বলতে রাজি না পদ্রেইচের সাথে। কী দোষ করল, কোথায় ভুল হল জানতে চায় পদ্রেইচ। কিন্তু কম কথাই বলবে না। চাপাচাপির পরে কম বলে এক অদ্ভুত কথা, জানায় ওর বয়স হয়ে যাচ্ছে, জীবনের বাকি যে সময় টুকু আছে তা সে সংগীতের পিছনে দিতে চায়, এমন কিছু সুর সৃষ্টি করে যেতে চায় যা আজীবন মানুষ মনে রাখবে। মোজার্ট বেটোফেন মত কিংবদন্তীর সুরকার হতে চায় ও। এ জন্য পদ্রেইচের সাথে সময় নষ্ট করতে কম রাজি না! কম শর্ত দেয় এক অদ্ভুত শর্ত, যদি এরপরে কখনও কমের সাথে কথা বলে তাহলে সে তার নিজের একটা আঙুল কেটে ফেলবে! আবার কথা বললে আরেকটা আঙুল কাটবে। ... ...
মানুষ বেঁচে আছে পরবাসে। আর তার চারপাশে দাপিয়ে বেড়ায় থর। বালি আর বালি তাঁবুর সমুদ্রে, ভাতের থালায়। খেজুর কাঁটায় রক্তাক্ত হয় মানুষের শ্রান্ত হাত। এসব দেখে দেখে মরামাছের চোখেও শোক জেগে ওঠে। সে দ্যাখে, আর অশ্রুগ্রন্থির আগুনে সেঁকে নেয় মরূদ্যান। ... ...
এখনও মর্ম খোঁজা সম্পূর্ণ হয় নাই ... ...
গত ষাট বছরেও যাহা মর্মে প্রবেশ করিতে পারে নাই ... ...
কালকের জয় শুধু মেসির শ্রেষ্ঠত্বের জন্য না, আর্জেন্টিনার সমর্থকদের জন্যও জরুরি ছিল। ৩৬ বছর কাপ পায় নাই একটা দল। এমন না যে দলটা উরুগুয়ের মত হারিয়ে যাওয়া দল। ভাল দল কিন্তু কই জানি গড়বড় করে ফেলে কাপ নেওয়া হয়। বিপক্ষের তীব্র বিদ্রূপের জবাবে গলার জোর ছিল প্রধান অস্ত্র। জন্মের পরে কাপ নিতে দেখছস? এই কথার উত্তর কী? আমার নিজের ৯৪ সালের খেলার কথা তেমন মনে নাই, ফাইনালে ব্যাজিও পোস্টের অনেক উঁচু দিয় মেরে ইতালিকে হারিয়ে দিছিল, এইটা ঠিক মনে আছে না পরবর্তীতে সিনেমা ডকুমেন্টারি, ভিডিও দেখে জানি তাও ঠিক মনে নাই। ৯৮ বিশ্বকাপের কথা হালকা পাতালা মনে আছে। পরিষ্কার মনে আছে ২০০২ সালের কথা। পরিবার থেকে বিদ্রোহ করে আমি তখন ইংল্যান্ডের সমর্থক, আমাদের বাড়ির চৌদ্দ গোষ্ঠী ব্রাজিলের সমর্থক! আমি তখনই সবাই যা করে তার থেকে বের হতে চাচ্ছিলাম। আর ছিল ব্যাকহাম নামের এক খেলোয়াড়, যে কারণেই হোক আমি তার মুগ্ধ ভক্ত হয়ে গেলাম। ব্রাজিল সমর্থকেরা সেবারও কাপ জিতার স্বাদ পেয়ে গেল! স্বভাবতই অন্তত আমাদের বয়সই আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা জন্মের পরে কাপ দেখছস প্রশ্নের সম্মুখীন হতে থাকল নিয়ম করে! এখন অবশ্য জন্মের পরে কাপ দেখছস কথা ব্রাজিল সমর্থকদেরও শুনতে হচ্ছে! তবুও আর্জেন্টিনার কষ্টের কাছে কিছুই না। আরও যন্ত্রণা ৩৬ বছর আগের যে কাপ তাও ম্যারাডোনার হাত দিয়ে দেওয়া গোলের কলঙ্ক লেগে আছে। সমর্থকদের জন্য, এমন অন্ধ ভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার জন্য একটা কাপ জেতা খুব জরুরি ছিল। কালকে সমর্থকদের শ্রেষ্ঠ উপহার দিয়ে দিয়েছে মেসি ইতিহাসের সেরা ফাইনাল জিতে। ... ...