আন্তর্জালে ভুয়ো খবর আর ভুলভাল হাস্যকর অবান্তর কথাবার্তার প্রবাহ নিরন্তরই চলে, চলতেই থাকে। তার বেশিরভাগই চোখে পড়েনা, এবং যা চোখে পড়ে তারও প্রায় সবটাই নীরবে উপেক্ষা করা ছাড়া গত্যন্তর থাকেনা। কারণ, প্রথমত, যেসব বিচিত্র ব্যাপার নিয়ে কথা হয় তার সব কিছু বিস্তারিত ভাবে জানা থাকেনা, আর জানা থাকলেও তার পেছনে পড়ে থাকতে গেলে নাওয়া খাওয়া ভুলতে হয়। কিন্তু, মাঝে মাঝে সত্যিই কিছু না বলে আর পারা যায়না, এবং এখন বোধহয় সেই মুহূর্ত আবার এসেছে। গত বছরখানেক যাবৎ কোভিড আর তার ভ্যাকসিন নিয়ে ষড়যন্ত্র-তাত্ত্বিকদের নির্বোধ ও কুৎসিত শোরগোলে কান পাতাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সত্যি, এ আর বাস্তবিকই নেওয়া যাচ্ছে না! ... ...
পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকাংশ এলাকাই এখনো বিদ্যুতের সুবিধার বাইরে। জলবিদ্যুত প্রকল্পের সব বিদ্যুত সরবরাহ করা হয় জাতীয় বিদ্যুত সঞ্চালন ব্যবস্থাপনায়, অর্থাৎ সমতলে। কাপ্তাই লেকের মাধ্যমেই পাহাড়িদের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সূচনা ঘটে, এ যেন আরেক উপ-উপনিবেশ! ... ...
পৌষ সংক্রান্তির রীতি খণ্ডিত শ্রীহট্টীয় ভাবনায় বর্তমানের স্মৃতিচারণ ... ...
নামদাফা টাইগার রিজার্ভ - অভয়ারণ্যের নাম এটাই। ব্যপ্তি মিশমি পাহাড়ের দাফা-বাম রেঞ্জ আর পাটকাই রেঞ্জের মাঝের পুব পশ্চিমে বিস্তৃত প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার এলাকা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ৬৫৬ ফুট (২০০ মিটার) থেকে ধাপে ধাপে বেড়ে প্রায় ১৫০০০ হাজার ফিট (৪৫৭১ মিটার) অবধি উঠেছে। বলা হয় যে এই অঞ্চলের উদ্ভিদসম্পদের পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা করতে কমবেশী ৫০ বছর সময় লাগবে, এত বহুল ব্যপ্ত এর উদ্ভিদবৈচিত্র। মিশমি-তিতা বা কপতি-তিতা নামের ভেষজ উদ্ভিদ নামদাফার গহীনেই একমাত্র পাওয়া যায়। স্থানীয় জনজাতির মানুষেরা এই ভেষজ উদ্ভিদ তাঁদের প্রায় সবরকম অসুখ বিসুখেই ব্যবহার করেন। এই উদ্ভিদের রপ্তানী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখানে বলে রাখি ডিব্রুগড়ে নেমে ঈপ্সিতার সাথে কথা বলার সময় ঈপ্সিতা বলেছিল নামদাফায় গিয়ে লোকজনকে জিগ্যেস করতে যে জ্বর টর হয় কিনা। তা,আমি জিগ্যেসও করেছিলাম, শুনলাম না না জ্বর হয় না তো। হলে ঐ লতা পাতা বেটে খেলেই কমে যায়। কী পাতা? শুনলাম জংলী পাতা এই জঙ্গলেই পাওয়া যায়। পাতা মানে তাহলে হয়ত মিশমি-তিতার কথাই বলছিলেন ওঁরা। ‘নামদাফা’ শব্দটা দুটো সিংফো শব্দের মিশ্রণে তৈরী। নাম হল জল আর দাফা মানে উৎস। দুইয়ে মিলে দাফা-বাম হিমবাহে উৎপন্ন নদীকে বোঝানো হয়। নদীর নামটাও ভারী মিষ্টি – নোয়া ডিহিং’ ... ...
- কোনো ক্রাইসিস পিরিয়ডে ঘুম থেকে উঠে, আগে ভাত আর ডাল বসিয়ে দিতে হয় জানোনা। তুমি তো অনেকক্ষণ উঠেছো। ডালটা সিটি দেওয়া থাকলে, তাতে ডুবিয়েও তো সবাই পাঁউরুটি খেতে পারতো। তিনটে অসুস্থ, দুটো সুস্থ মানুষ খাবে কী এখন। ঘড়িতে সকাল দশটা বাজতে যায়? কর্তা দেখলাম জুৎসই উত্তর হাতড়াচ্ছেন। এমন সময় রান্নার মেয়েটি ঘর থেকে বেরোলো, আর বাংলার পাঁচ, ছয়, সাত সবরকম মুখ করে চাল ধুতে শুরু করলো। সহোদরাও বেরিয়ে পড়লো। আমাদের ঘরে তো আর অ্যাটাচড বাথ নেই। আর পতিদেব সুযোগ বুঝে - 'ওরে বাবা, চারদিকে করোনা বেরিয়ে পড়েছে, মাস্ক আমার মা - স্ক' - এই বলে এক লাফে বেডরুমে ঢুকে পড়লেন। আমি দাঁত কিড়মিড় করে ঘরের দরজার ফাঁক দিয়ে দেখলাম, কর্তা একেবারে কম্বলের তলায় ঢুকে পড়েছে আর দুটো চোখ বার করে দেখছে, আমি তাকে দেখছি কিনা। যেই আমি তাকিয়েছি, দেখি মুখে একটা অসহায় হাসি, এদিকে কম্বল থেকে একটা পা বার করে নাচাচ্ছে - পা দেখিয়ে আমায় রাগাচ্ছে। কী আর করি। পাত্তা দিলাম না। কিন্তু বুঝলাম মাটন স্টুটা আমাকেই রাঁধতে হবে। একমনে মহা করোনাঞ্জয় মন্ত্র আওড়ালাম - "মাটোন আমার কাঁটোন সই উনুনের ঝিক। রাম করোনা বুকে আছে পারবো আমি ঠিক।" ... ...
সে প্ল্যানটা, কি বলব মশাই, এক্কেবারে লালে লাল। লাল পান্ডা, লাল কাঠবেড়ালি, লাল শিয়াল, লাল খ্যাঁকশিয়াল, লাল লাল প্রজাপতি, তিনরকম গন্ধগোকুল, চার রকম উদবেড়াল, উল্লুক, হনুমান, শম্বর, কয়েক রকম হরিণ আর অনেকরকম পাখি দেখা যাবে শুধু নয়, আদিম অ-মানুষ বা না-মানুষ (non human primate)ও দেখা যাবে বলে লেখা। এতকিছু তো আর আমাদের দেখা দেবে বলে তৈরী হয়ে বসে নেই, কিন্তু এর চার ভাগের একভাগ দেখতে পেলেও ভারী খুশি হয়ে যাব নির্ঘাৎ। অতএব চলো গোছগাছ করি। ওদিকে জানুয়ারী মাসে অফিস যদি নিতান্তই খুলে যায় তার আগে অন্তত দুই এক সপ্তাহ ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন করে নেওয়া দরকার, নাকি? ... ...
কাঁচে ভাপ জমে, আঙুল দিয়ে দাগ কেটে তার ভেতর দিয়ে পৃথিবীটাকে দেখি। গভীর রাতে আমার ফ্লাইট। ... ...
বিজয়া মুখোপাধ্যায়ের কবিতা আদ্যোপান্ত পড়া ও তা নিয়ে বিশ্লেষণ করার একটি চেষ্টা। ... ...
.সন্দেহবাতিক ........... ক্ষমতায় এসেই দেশের সব নাগরিককে ‘চোর’ ঠাওরানো আসলে একটা ‘মহান’ দ্বিচারিতা------- চৌকিদারকে চোর ধরে দেখাতে হয়, চোর চোর বলে চিৎকার করলে হয় না। সমস্যার কথা, এ ক্ষেত্রে চিৎকার শুধু নয়, গোটা দেশের নাগরিকের জীবনযন্ত্রণা বাড়িয়ে দেওয়ায় আগুয়ান ভূমিকা নিয়ে খলনায়কের ভূমিকায় প্রযুক্তি। প্রযুক্তি তো আর নিজে নিজে হাঁটতে পারে না, তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় নিজেদের মতাদর্শ মতো- ‘নাচে কারা? তারা তারা !’ ... ...