মেঘলা মেদুর দিনে এক ব্যাংবাজির গল্প হয়ে যাক। ... ...
তিরিশ মাইল দূরের ছাতরার সাব-জেল থেকে একটি অল্পবয়সী মেয়ে এল - কোলে তার কংকালসার ছেলে, শ্বাসটুকুই যা চলছে। হাত পা গুলি সরু কাঠি, ব্যথায় মলিন বড় বড় চোখদুটি যেন মুখ থেকে ঠেলে বেরিয়ে এসেছে। কনুই, গোড়ালি, হাঁটু খোস পাঁচড়ায় ভরা, শরীর রক্তশূণ্য, চামড়া ঝুলে পড়ছে। বাচ্চাটার কাঁদারও শক্তি নেই - এমন ভাবে মায়ের কোল আঁকড়ে থাকে মনে হয় যেন কোনভাবে নতুন করে বাঁচার জন্যে ও মায়ের গর্ভে ফিরে যেতে চাইছে। দুমাস ধরে আন্ত্রিক রোগে ভুগছে - ছাতরায় চিকৎ্সার কোন ব্যবস্থা নেই। বাঁচার আর আশা একেবারেই নেই বোঝার পর ওখানকার জেলার তড়িঘড়ি হাজারিবাগে পাঠিয়েছে "চিকিৎসা"র জন্য। ঠিক মাথায় দু'দিনের ছেলেটা আমার কোলেই মারা গেল। কী দুঃসহ অপচয় একটা জীবনের, আঠারো মাসের একটা শিশুর মৃতদেহ এই প্রথম আমি চোখের সামনে দেখলাম। পাথরের মত বসে তাকিয়ে রইলাম - ডোম এসে কাপড়ে মুড়িয়ে কংকালসার দেহটাকে নিয়ে গেল - জেলখানার দেওয়ালের ঠিক বাইরেই ঝিলের ধারে ওর দাহ হবে। ... ...
আসলে শেকড়ের শেকল থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে মানুষের আকাঙ্ক্ষা যেন আরেক পেষণের, আরেক শেকলের; ধরণীতলের কঠিন শেকল যা মানুষকে করেছিল গুহাবন্দী, তাকে ছিন্ন করে উপরের জলে গড়া নরম শেকলে সে স্বপ্ন দেখে মুক্তির। নিয়ম আর আচারের শেকড়-বাকড় উপড়ে ফেলে বর্ষা নগ্ন মানুষকে মুখোমুখি করে প্রকৃতিদেবীর, যার জন্য সে কতদিন পথ চেয়ে ছিল! বৃষ্টির কোলে শায়িত অবস্থায় এক তীব্র পেষণে যখন ফিনকি দিয়ে রক্ত ছোটে আদিম সব গুহা থেকে, এক নতুন পৃথিবীর জন্ম হয় তখন! বৃষ্টির পরম শাসনে সভ্যতার মুখোশ খোলার অব্যর্থ সব বাণ নিক্ষিপ্ত হতে শুরু করে সেখানে; তার পিঠের উপর পড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্র চাবুক! বর্ষা তাই পৃথিবীর আরেক রেঁনেসা। নগ্নতার অমোঘ আহবানে পরিচয়-যুদ্ধের মাতাল মাঠ ছেড়ে মানুষ পাড়ি জমায় অকুলের অনন্ত নৌকোয়। ... ...
মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গার্সেটি এই সেদিন কলকাতা এসে ঘুরে গেলেন। আসার আগে দিল্লির বঙ্গভবনে গিয়ে তিনি মোচার চপ, মাছের ঝোল খেলেন। কলকাতায় এসে হলুদ ট্যাক্সির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললেন, রাস্তার পাশে ভাঁড়ের চায়ে চুমুক দিলেন। অলি-গলিতে হেঁটে বেড়ালেন। বিবিধ সংস্কৃতির পীঠস্থান লস এঞ্জেলেস শহর। গার্সেটি আগে ছিলেন সেখানকার মেয়র। দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের দায়িত্ব নেবার পরে বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার রান্নার বৈশিষ্ট্য, বাংলার মন বুঝতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই চেষ্টায় বোধ হয় একটা ফাঁক থেকে গেল। মল কালচার, দেশি-বিদেশি রেস্তোঁরা, ফুড ডেলিভারি অ্যাপ আর বিলীয়মান ঘরোয়া রান্নার এই যুগে আমেরিকান সাহেব দুপুরের আহারটা কলকাতার কোন একটি পাইস হোটেলে সারলেই পারতেন। কারণ, এই পাইস হোটেলগুলিই কলকাতার আসল হেরিটেজ ইটারি। মেনুতে থাকত সদ্য ধোয়া কলাপাতার ওপরে লেবু-লঙ্কা সহ ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত, সুক্তো, পাঁচফোড়ন দেওয়া পাতলা মসুরির ডাল, কুমড়ো ফুলের বড়া আলু-পোস্ত এবং আলু-পেঁপে-কাঁচকলা সহ মাছের কবিরাজি ঝোল, হাঁসের ডিমের ডালনা, আলুর বড় টুকরো দিয়ে কচি পাঁঠার ঝোল এবং কাঁচা আমের চাটনি। সঙ্গে রাখা যেত মাটির খুড়িতে মিষ্টি দই, একটা নরম পাকের সন্দেশ ও রসগোল্লা। বেরিয়ে আসার সময় একটা মিঠে পাতার পান। বাঙালির ইটিং আউটের প্রায় শতবর্ষের বিবর্তনের সঙ্গে জড়িত এই রাজ্যের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, পারিবারিক আচার, জাতীয়তাবাদের উন্মেষ এবং ব্যবসার বর্তমান হাল হকিকতের একটা পরিষ্কার চালচিত্র তাহলে তিনি পেয়ে যেতেন। তিনি আরও উপলব্ধি করতেন, এই সব পাইস হোটেলে একটা সময় সাধারণ মানুষ মাত্র এক পয়সার বিনিময়ে ঠিক বাড়ির মতো রান্না খেয়ে পেট ভরাতেন। কলকাতার আসল বাঙালিয়ানার হদিস পেতে হলে এই পাইস হোটেলগুলিতেই আসতে হবে। বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতির ইতিহাসে পাইস হোটেলের হেরিটেজ কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না। সেখানে বসে সাবেকি রান্নার আস্বাদ গ্রহণ তারিয়ে তারিয়ে ভিনটেজ ওয়াইন উপভোগ করার মতোই অতুলনীয়। ... ...
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ? তাঁকে দেখাবো আমার কাঁচা প্রেমের কবিতা ? যার মাত্র সতেরো বছর বয়েসে লেখা কবিতা ‘ একটি চিঠি ‘ সাগরময় ঘোষ দেশ পত্রিকায় ছেপেছিলেন ? যিনি লিখেছেন , ‘ আমার যৌবনে তুমি স্পর্ধা এনে দিলে / তোমার দুচোখে তবু ভীরুতার হিম’। এই তো সেদিন চৌঠা এপ্রিল, শুক্রবার ওভারটুন হলে কৃত্তিবাসের সভায় যাকে প্রথম চাক্ষুষ করে এসেছি! তেত্রিশ বছরের দুঃখ উজাড় করে বলে গেলেন মাঝি নাদের আলী , আগমনী গাওয়া বোস্টুমি তাদের কথা রাখে নি। সুনীলদার সামনে বসে এই প্রথম তাঁর আবৃত্তি শোনা । তারপরে কত পূর্ণিমা অমাবস্যা কেটে গেলো কিন্তু সেদিন শোনা ‘ কেউ কথা রাখে নি ‘ মনে থেকে গেছে সারা জীবন। কোন কবি পারেন সে গীতি শোনাতে। তার রেশটুকু আজও থেকে গেছে। হাতের কাছে বইটা পেয়েও সোনালি দুঃখ আর পড়িনি । ত্রিস্তান ইসোলদে নামক হলিউডি ছবিটি দেখা দেয় বছর পনেরো আগে , দেখি নি। এক আশ্বিনের বিকেলে বীরভূমের গ্রামের দিগন্ত বিস্তৃত মাঠের মুখোমুখি বসে দু চোখ ভিজিয়ে দেওয়া পাওয়া ও হারানো ভালোবাসার যে রাগিণী শুনেছিলাম সেটি বাজে মাত্র একবার। ... ...
অঁতনা আতো'র কথা ... ...
সোমবার ফ্লাইট। তাই আমাকে বিদায় জানাতে ক্যাম্পে তেমন কেউ ছিল না। যারা ছিল তাদের মধ্যে একজনের চোখ কী ছলছল করে উঠেছিল? না কি আমারই চোখ ভিজে যাচ্ছিল? কিন্তু কেন? এই সেই কুখ্যাত ক্যাম্প, যেখানে বৃষ্টিতে আমাদের রুমে নোংরা পানি ঢুকে সয়লাব হয়ে গেছিল। এখানেই বদমায়েশ কোম্পানি দুই মাস ধরে গরম পানি বন্ধ করে রেখেছে। এখানেই শীতের সময় হিটার বন্ধ করে দিত। এই ক্যাম্পের একটা স্ক্রুরর প্রতিও কোন প্রেম থাকার কথা না আমার। অথচ বুকের ভিতরে মোচড় দিয়ে উঠল কয়েকবার! অদ্ভুত মানুষের মন। ... ...
কিছুদিন পর সুপার জানালো ২৯শে মার্চ জামশেদপুরে আমার আদালতে হাজিরার দিন ঠিক হয়েছে। বাবা চিঠি লিখেছিল - তাতেও এই খবর ছিল। সুপার বললো একটা চার্জশিট জমা পড়েছে, আরেকটার কাজ চলছে। আমি আকাশ থেকে পড়লাম - দ্বিতীয় কেস বলে কিছু আছে আমার তো তাই জানা ছিল না - কিসের চার্জশিট ! সুপার নিজেও মনে হল ধন্দে পড়ে গেছে। একজন দপ্তরী আমাদের কথা শুনে দেখে বললো সত্যিই আমার বিরুদ্ধে আরেকটা সমন আছে। কাগজপত্র ঘেঁটে সেটা বেরুলো - ঐ কেসটা নিয়ে আমাকে কেউ কিছু জানানোরই প্রয়োজন বোধ করে নি। ওটা প্রথমটা থেকে অনেক বেশি ভয়ানক - রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও যুদ্ধঘোষনা। এই অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। অভিযোগ, ১৯৭০ সালের জুন মাস পর্যন্ত আমি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলাম। ওদিকে ঐ সময়ে আমি দু'সপ্তাহ জেলে কাটিয়ে নিয়েছি। ... ...
দৃষ্টিপ্রতিভা ... ...
এই হাই রেস্ট্রিকটিভ ট্রিপল লকডাউন মোড চালু হবার আগেই অনিলের জীবনে তিনটি বেদনাবৃত্তান্ত ঘটে গেছে। অদিতির মৃত্যু। জনাথন চলে গেছেন। মারা গেছেন ফাদার ম্যাথ্যু। যিনি সুখে দুঃখে এই পরিবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অনিলের সুস্থতা উপলক্ষ্যে, হোম কোয়ারানটাইন থেকে মুক্তি উপলক্ষ্যে যে ছোট্ট গ্যাদারিং হয়েছিল, ফাদার ম্যাথ্যু সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ... ...
বেঙ্গিয়া নামে একজন অন্য জেল থেকে বদলী হয়ে এসেছিল, আমাকে একদিন ওর হাত দেখে দিতে বললো। ওর দেখা মত একমাত্র জ্যোতিষীদের কাছেই বইপত্র থাকে, তাই আমারও নিশ্চয় ওরকম কোন ক্ষমতা আছে! আসলে ওর একটাই জিনিস জানার ছিল - এক ডাকাত দলের ডাকাতের সঙ্গে ওর ভাব ভালোবাসা - ঐ ডাকত প্রেমিকের বেঙ্গিয়ার ওপর এখনও টান আছে কিনা তাই নিয়ে ওর চিন্তা। দুটো ডাকাতির শাড়ি ওর কাছে পাওয়া গেছে - কিন্তু পুলিশকে ও কিছু বলেনি, তাই আটক হয়েছে। বেঙ্গিয়া আমাদের সঙ্গে অল্পদিনই ছিল। যেদিন ওকে ধানবাদ নিয়ে যায় সেদিন শুনলাম ফাটকের দিক থেকে খুব হইচই বাক বিতণ্ডা শোনা যাচ্ছে। ... ...
গল্পগুলি আমাদের অন্য এক জগতে নিয়ে যেতে পারে – যে জগৎটা আমরা প্রতিনিয়ত হারিয়ে চলেছি আঙুলের ফাঁক দিয়ে ঝরে পড়া বালুর মতো। ... ...
ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেবার স্বাধীনতা ... ...
বাইরের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন একটা গ্রাম যেন একটা দেশ - গ্রামের সীমানার মধ্যেই তাদের জীবনের যত অভিজ্ঞতা। এইসব সরল গ্রামীন মানুষের জীবনে ভূত পেত্নী দানো ডাকিনী রাজা রানী, হাজারো সংস্কারের ভীড়। এরা খবরের কাগজ চোখে দেখেনি - প্রতিদিন আমার কাগজে কী লেখা শুনতে এসে গোল করে বসে। কখনো কখনো কেউ জিজ্ঞেস করে ওর কেস নিয়ে বা ওদের গ্রামের কথা কাগজে কিছু লিখেছে কিনা। "সরকার" শব্দটা সবাই শুনেছে, কিন্তু দেশটা ঠিক চলে কীভাবে কেউ ওদের কোনদিন বলে দেয়নি। কিন্তু ওরা সবাই খুব আগ্রহী - জানতে, শিখতে। একেকজনের একেকেরকম প্রশ্ন - কেরোসিন তেল কোথা থেকে আসে, কাগজ কী করে তৈরি হয়, খবরের কাগজ কেমন করে ছাপা হয়। ... ...
ঋষিকেশকে বিদেশীদের মধ্যে আরো জনপ্রিয় করেছে ষাটের দশকের শেষদিকে বিটলসদের এখানে আগমন। বিটলসরা এসেছিলেন মহেশ যোগীর কাছে 'ট্রান্সেন্ডেন্টাল মেডিটেশন' শিখতে। আশ্রমটা ছিল সরকারের থেকে লিজে নেওয়া জায়গা। লিজ শেষ হয়ে যাবার পর পুরো আশ্রম পরিত্যক্ত হয়ে যায় এবং প্যান ট্রিনিটি দাসের মত হিপি শিল্পীরা ঢুকে ভাঙা বাড়িগুলোর সর্বত্র গ্রাফিত্তি করে যেতে থাকে। এতদিন রাজাজী জাতীয় উদ্যানের জঙ্গল ধীরে ধীরে খেয়ে নিচ্ছিল আশ্রমের ভাঙা ঘরবাড়ি। সরকার জায়গাটা ঘিরে দিয়েছে যাতে বন্য জন্তু না ঢুকে পড়ে। কিছু কিছু বাড়ি সারানো হয়েছে। ... ...
সেনসরের ভুলে একটা খবর আমাদের চোখে পড়ে গেল। উত্তর কলকাতার কাছে বারাসাতে রাস্তার ধারে এগারোজন "সন্দেহভাজন নক্শাল" তরুণের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গুজবে প্রকাশ, পুলিশই এই খুনগুলি করেছে। একই রকম ভাবে দমদম আর শহরতলীর ডায়মন্ড হারবারেও তরুণদের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া গেল। কাগজে বেরোচ্ছিল যে থানায় নক্শাল সন্দেহে তরুণদের স্রেফ পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। একবার কাগজে এক পাঠকের চিঠি বেরুলো - বাড়ির কাছের থানা থেকে ভেসে আসা আর্তনাদে পাড়ার মানুষ ঘুমোতে পারছে না। কল্পনার বাড়ি থেকে বেশ কদিন কোন খবর আসছিল না - একদিন জানা গেল ওর এক ভাই আর ভাইপো নকশাল সহযোগী সন্দেহে গ্রেপ্তার হয়েছে। ... ...
সকাল নটার সময় বন্দুক পাহাড়ে একগাদা জাদু ,হাতসাফাই দেখানোর দোকান। এটা মূলত বাচ্চাদের সময় কাটানোর জায়গা বোঝা গেল। বেশিরভাগ তামাশার দোকান তখনো খোলেনি। চাঁদমারিতে সাজানো ছিল রংবেরঙের বেলুন। পাশে দু তিনটে খেলনা বন্দুক সাজিয়ে রাখা। দোকানের লোকজন সেগুলোতে ছররা ভরছে। নীচের ম্যাল থেকে বন্দুক পাহাড়ে রোপওয়ে চলে। সেটাও এখনো চালু হয়নি। কুকুরগুলো কুয়াশাঘেরা মেঝেতে শুয়ে ঘুমোচ্ছে। ... ...
প্রকৃতিকে ছারখার করে, প্রকৃতিকে নিংড়ে নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করাই সভ্যতার সংজ্ঞা। ... ...
আমার উড়াল ... ...
অহল্যা বাঈ হোলকার কে ছিলেন? কেন মধ্যভারতের এক বিশাল অঞ্চলে আজও তিনি 'লোকমাতা' রূপে স্মরণীয়া হয়ে রয়েছেন? সচরাচর এই ধরনের ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্বদের আজকাল আর ফিরে দেখা হয়না প্রায় কারোরই। ইতিহাস চর্চার নতুন আবহেও প্রায়ই বাদ পড়ে যান তাঁরা। তবুও অসহিষ্ণু এই দেশে -এই সমকালে অহল্যা বাঈদের মতো মানুষরা চির প্রাসঙ্গিক। ঠিক যেমন চির অমলিন তাঁর অসামান্য জীবন - অনন্য কীর্তিসমূহও। ... ...