এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • প্রজাবৎসল প্রশাসিকা অহল্যাবাঈ হোলকার 

    Suchetana Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ৩০ জুলাই ২০২৩ | ৫৭২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)

  • বাদশাহ ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মহান মোঘল সাম্রাজ্য তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। গোটা পশ্চিম ভারত জুড়ে এখন মারাঠা পেশোয়া প্রথম বাজিরাওয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য। তাঁর অন্যতম প্রধান সেনাপতি মল্লার রাও হোলকার মধ্যভারতের মালওয়া মালভূমিকে পদানত করে গড়ে তুলেছেন এক সমৃদ্ধ সামন্তরাজ্য। 

    ১৭৩৩এর কোন এক বিকেলবেলা, আহমেদনগরের ভিতর দিয়ে পেশোয়ার রাজধানী পুনার পথে এগোনোর ফাঁকে চৌন্ডি গ্রামের মন্দিরপার্শ্বে বিশ্রাম নিচ্ছে মল্লার রাওয়ের কাফিলা। সেসময়ই মালওয়া রাজ প্রথম দেখেছিলেন বালিকা অহল্যাকে। স্নিগ্ধ বালিকাটি পরম মমতায় সমবেত দীনদুঃখী মানুষদের দান করছে অন্ন বস্ত্র জল। মুহূর্তে মনস্থির করলেন মালওয়াধীশ। চৌন্ডির পাতিল অর্থাৎ গ্রামপ্রধান মানকোজী শিন্দের অষ্টমবর্ষীয়া কন্যা অহল্যা বাঈয়ের সাথে খুব দ্রুত বিবাহ সম্পন্ন হল মল্লার রাওয়ের একমাত্র পুত্র যুবরাজ খান্ডে রাওয়ের। 

    বালিকা অহল্যা রাজধানী মহেশ্বরের প্রাসাদে শ্বশুর-শাশুড়ির স্নেহছায়ায় তরুণী হলো এক সময়। ক্রমে তার কোল আলো করে জন্ম নিল পুত্র মালে রাও আর কন্যা মুক্তা। দুর্বল মোঘল সম্রাট আহমেদ খানের প্রধান রক্ষাকর্তা তখন হোলকার রাজবংশ, তাই খান্ডে রাওকে নিয়ত ব্যস্ত থাকতে হতো যুদ্ধ-বিগ্রহে। আর অন্যদিকে  মহেশ্বরে বিদ্যাবতী পুত্রবধূকে পরম যত্নে প্রশাসন ও সমরনীতির পাঠ দিচ্ছিলেন বিচক্ষণ মল্লার রাও। ১৭৫৪ সালে পূর্ব রাজপুতানার কুমহের দূর্গ অবরোধের সময় নিহত হলেন খান্ডে রাও। হিন্দু রাজপরিবারগুলিতে সেসময় মৃত স্বামীর চিতায় বিধবা স্ত্রীর সহমরণে গমন ছিল এক স্বাভাবিক প্রথা। কিন্তু প্রবল পারিবারিক আর ধর্মীয় চাপ উপেক্ষা করে মল্লার রাও একা অহল্যাবাঈয়ের সতীদাহকে রদ করেছিলেন। ১৭৬৬তে মল্লার রাওয়ের মৃত্যু হলে পরবর্তী রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসেন অহল্যাবাঈয়ের পুত্র মালে রাও। কিন্তু মানসিকভাবে অসুস্থ নবীন রাজা একবছরের মধ্যেই প্রয়াত হলেন। পুরুষ উত্তরাধিকারীহীন হোলকার রাজ্যের এই কঠিনতম সময়ে দ্বিতীয়বার চিরাচরিত প্রথা ভেঙে, স্বয়ং পেশোয়া মাধব রাওয়ের সম্মতিক্রমে ১৭৬৭ তে মহেশ্বরের রাজসিংহাসনে আসীন হলেন মহারাণী অহল্যাবাঈ হোলকার। 

    সুবিশাল এই রাজ্যের প্রধান রূপে স্বাভাবিকভাবেই একজন মহিলাকে দেখতে চাননি সমকালীন পুরুষ মারাঠা নেতারা। একদিকে পেশোয়া পদপ্রার্থী রঘুনাথ রাও, অন্যদিকে হোলকারদের দেওয়ান গঙ্গাধর যশোবন্ত সহ বহু সামন্তপ্রভু প্রথম থেকেই নতুন রাণীর বিরোধিতা করতে শুরু করলেন। কিন্তু প্রখর বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে অহল্যাবাঈ তখনই বলপ্রয়োগের পথে বিদ্রোহ দমনে না গিয়ে, মল্লার রায়ের অপর দত্তকপুত্র ও জনপ্রিয় সামরিক নেতা তুকোজী হোলকারকে প্রধান সেনাপতির পদে বসালেন। এভাবে প্রথমে সেনাবাহিনীর আস্থা অর্জন করলেন রাণী। এরপর তাঁর বিরোধী অভিজাতদের রাজ্যের দায়িত্বশীল পদগুলিতে নিয়োগ করে তিনি নিজপক্ষে আনেন আর পার্শ্ববর্তী সিন্ধিয়া রাজ্যের সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করে নিজের রাজনৈতিক শক্তি ও মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করেন। বিচক্ষণ রাণী জানতেন, দেশজুড়ে চলতে থাকা অরাজকতার মধ্যে হোলকার রাজ্যের শান্তি ও নিরাপত্তা টিকিয়ে রাখা এক দুরূহ কাজ। তাই তিনি সচেতনভাবে প্রথম থেকেই রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির লালসা থেকে নিজেকে বহুদূরে রেখে তাঁর নিরীহ প্রজাদের দীর্ঘকাল যুদ্ধের অহেতুক বিপদ ও ধ্বংসলীলা থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিলেন সেই দুর্দিনেও। 
     
    ১৭৬৭ থেকে ১৭৯৫ পর্যন্ত দীর্ঘ তিনদশক ধরে অহল্যাবাঈ সর্বোচ্চ পারদর্শিতা ও প্রজাবৎসলতার সঙ্গে তাঁর রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন। রাণীর সুদক্ষ দিশানির্দেশে অতিদ্রুত মালওয়া এসময় কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যক্ষেত্রে বিকাশের শিখরে পৌঁছায়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রজাদের কৃষিঋণ মকুব, ভূমিহীন চাষীদের জমির মালিকানা দান, রাজস্ব ব্যবস্থার সরলীকরণ, মুদ্রা ব্যবস্থার উন্নতি, রাজধানীর মহেশ্বরকে বস্ত্রশিল্পের এক প্রধান জাতীয় কেন্দ্র রূপে গড়ে তোলা, বণিক ও কারিগরদের নানা ভাবে পেশার সুরক্ষাদান, বাণিজ্যের জন্য তথা জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে স্থল ও জল যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি,  পথপাশে বিপুল পরিমাণ বৃক্ষরোপণ ও জলাশয় খনন, শাস্তিমুলক ব্যবস্থার মাধ্যমে সবস্তরের কর্মচারীদের দুর্নীতি দমন, রাজ্যের আয়ব্যয়ের নিখুঁত হিসাবরক্ষা ও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে তিনি বাহ্যিক অরাজকতা স্বত্তেও নিজের শাসনাধীন অঞ্চলকে এক সুখী ও সমৃদ্ধ রাজ্যে পরিণত করেন। সাধারণ জনগণের জন্য তাঁর দরবার ছিলো সদা উন্মুক্ত। প্ৰশাসনিক বা সামাজিক, যে কোন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তাঁরা যাতে সরাসরি রাণীর কাছে পৌছাতে পারেন, সেজন্য অহল্যাবাঈ দৈনিক দুবার প্রকাশ্য সভার আয়োজন করতেন। তাঁর শাসন, আইন ও বিচারব্যবস্থা ছিলো সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ ও মানবিক। এমনকি তিনি মালওয়ার সীমান্ত এলাকায় ভীল ও গোন্দ উপজাতির দুর্ধর্ষ লুটেরাদেরও জমি এবং অন্য কিছু অধিকারদানের মাধ্যমে শান্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

    তবে ভারত ইতিহাসে রাণী অহল্যাবাঈ কেবল এক সুদক্ষ প্রশাসিকা হিসেবেই নন, বরং শিল্প, স্থাপত্য, সাহিত্য ও সংগীতের এক মহতী পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও চিরস্মরণীয়া হয়ে আছেন। তাঁর আমলে রাজধানী মহেশ্বর হয়ে উঠেছিল মারাঠি ও সংস্কৃত সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় কেন্দ্র। দেশ-বিদেশের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী, চিত্রকর, স্থপতি ও ভাস্করেরা রাণীর শান্তিপূর্ণ আশ্রয়ে পেয়েছিলেন শিল্পচর্চার আদর্শ পরিবেশ। তবে হোলকারবংশের মহান পরম্পরা অনুযায়ী অহল্যাবাঈ জনগণের অর্থে নয় বরং নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তির আয় থেকেই তাঁর যাবতীয় জনকল্যাণমূলক কাজগুলি নির্বাহ করতেন। রাজ্যের সর্বত্র তিনি অসংখ্য মন্দির, প্রাসাদ, দূর্গ, স্মৃতিসৌধ, পান্থশালা প্রভৃতি নির্মাণ করান। তাঁর উদ্যোগেই একটি নামহীন গ্রাম থেকে ইন্দোর পরিণত হয়েছিল সমকালের এক বিখ্যাত নগরীতে। মালওয়া রাজ্যের সীমানা অতিক্রম করে অহল্যাবাঈয়ের বিপুল জনসেবা ও স্থাপত্যকীর্তির উদ্যোগ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল। উত্তর হিমালয়ে দুর্গম কেদারনাথ থেকে, বারাণসী, অযোধ্যা, গয়া, পুরী, মথুরা, দ্বারকা, সোমনাথ সহ দেশের দক্ষিণতম প্রান্তে রামেশ্বরম পর্যন্ত তাঁর প্রচেষ্টায় নির্মিত হয়েছিল শত শত মন্দির, সরাইখানা, স্নানঘাট আর জলাশয়। এই বিপুলসংখ্যক মন্দিরগুলি রাণীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় কেবল পূজার্চনাতেই নয় বরং অগণিত দরিদ্র মানুষের রোজকার অন্নসংস্থান ও আশ্রয়দানের কাজেও নিয়োজিত থাকতো। 

    ধর্মপ্রাণা অহল্যাবাঈয়ের ব্যক্তিগত জীবন ছিলো পুরোপুরি অনাড়ম্বর। হিন্দু মহিলাদের পর্দাপ্রথা ও সহমরণের ঘোর বিরোধী প্রগতিশীল অহল্যা তাঁর কন্যা মুক্তাবাঈকে সতীদাহের আগুন থেকে বাঁচাতে পারেননি। প্রিয়তমা আত্মজাকে সমাজের এই নৃশংস প্রথার কাছে হারিয়ে অহল্যা গভীর ভাবে ভেঙে পড়লেও মালওয়া রাজ্যের আপামর বিধবা ও অসহায় নারীদের পক্ষে দাঁড়ানোর সংকল্প নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন সন্তানহারা এই মা। এরপর আজীবন হিন্দুধর্মের মুরুব্বিদের শত বাধা সত্ত্বেও তিনি স্বামীহারা অগণিত মেয়েকে তিনি সহমরণপ্রথা থেকে রক্ষা করেছিলেন। এছাড়াও অহল্যাবাঈ তাঁর রাজ্যের বিধবা ও সন্তানহীন নারীদের সম্পত্তি ও দত্তকসন্তান গ্রহণের অধিকারকে মঞ্জুরি দিয়েছিলেন আর কঠোরভাবে সেই সংক্রান্ত আইন প্রয়োগ করতে উদ্যোগীও হয়েছিলেন। 

    ১৮ শতকের দ্বিতীয়ভাগ জুড়ে মারাঠা, মহীশূর, নিজামসহ সমস্ত আঞ্চলিক শক্তিগুলি যখন পারস্পরিক ঈর্ষা ও সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মত্ত, তখন অহল্যাবাঈ কেবল শান্তি ও নিরপেক্ষতা নীতি অনুসরণ করে নিজ রাজ্যকে সুসংগঠিত ও রাজ্যবাসী প্রজাদের সমৃদ্ধ করে তুলেছিলেন। অশান্তির ঘোলাজল থেকে দূরে থাকলেও  অহল্যাবাঈয়ের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ছিল প্রখর। তাই তিনি বারবার এঁদের ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন সম্পর্কে  ভারতীয় শাসকদের সতর্ক করে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেকালের পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিবিদরা অহল্যাবাঈয়ের মহতী ব্যক্তিত্বকে সম্মান করলেও তাঁর বিচক্ষণতাকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করেননি। 

    রাণী অনুভব করেছিলেন, অস্ত্র ও যুদ্ধের মাঝে নয়, হোলকার রাজ্যের সর্বত্র ব্যাপকতম জনকল্যাণের মাধ্যমে অর্জিত জনতার অকুণ্ঠ সমর্থন ও একনিষ্ঠ ভালোবাসার মধ্যেই নিহিত আছে তাঁর প্রধানতম শক্তি। তাই ১৭৯৭ তে জীবনাবসান পর্যন্ত নিজেকে প্রতিদিন জনসেবাতেই নিয়োজিত রেখেছিলেন তিনি। মালওয়া সহ গোটা দেশে ছড়িয়ে থাকা তাঁর বহুমুখী সংস্কার কার্যাবলী, অজস্র স্থাপত্যকীর্তি, সাংস্কৃতিক অবদান ও সর্বোপরি অপার প্রজাবৎসলতার মাধ্যমে জনমনে তাঁর সম্পর্কে যে অসামান্য শ্রদ্ধাবোধ গড়ে উঠেছিলো, সেসব কিছুর শিকড় আজও, তাঁর রাজত্বকালের তিন শতাব্দী পরেও একইভাবে প্রোথিত। আর ঠিক এই কারণেই মধ্য ও পশ্চিম ভারতের সর্বত্র জনতার মাঝে 'লোকমাতা' নামে আজও গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে পূজিতা হয়ে থাকেন মহারাণী অহল্যাবাঈ হোলকার।

    উৎস সূত্রঃ
    ১) Lokmata Ahilyabai- Arvind Javlekar
    ২) Ahilyabai And Her Benevolent Administration- N.N. Nagrale (Indian History Congress)
    ৩) Indian states: A Biographical, Historical And Administrative Survey- R.V Solomon And J.W. Bond 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ৩০ জুলাই ২০২৩ | ৫৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ৩০ জুলাই ২০২৩ ২৩:০৯521931
  • ভাল লাগল। এঁর কথা কিছুটা জানতাম। এত বিস্তৃতভাবে জানতাম না। 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ৩০ জুলাই ২০২৩ ২৩:২৭521932
  • অসাধারণ জীবন।
     
    আপনার লেখায় প্রায় অজানা মহান জীবনের কথা জানতে পারি, ভালো লাগে খুব।
  • Mousumi Banerjee | ৩১ জুলাই ২০২৩ ১৫:২০521956
  • খুব ভালো লাগল। খুব সামান্য কিছু জানতাম। এই লেখার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। 
  • অহল্যাবাই রোড | 14.139.196.16 | ৩১ জুলাই ২০২৩ ১৭:১৭521960
  • বর্ধমান থেকে আরামবাগ থেকে যে রাস্তাটি হাওড়ার দিকে এসেছে সেটি একটি প্রাচীন তীর্থপথ (আরামবাগ থেকে বিদ্যাসাগর এই রাস্তা ধরেই কলকাতা আসতেন  ) । অহল্যাবাই হোলকর রাস্তাটিকে সারিয়ে সুরিয়ে দেন। হুগলী জেলার কোনো কোনো জায়গায় ও রাস্তা এখনও অহল্যাবাই রোড বলে পরিচিত। 
  • hu | 172.58.160.188 | ৩১ জুলাই ২০২৩ ১৯:২৩521963
  • লেখাটি ভালো লাগল। অহিল্যেবাইয়ের সড়কের উল্লেখ আছে বিভূতিভূষণের ইছামতী উপন্যাসে। মাহেশ্বরী শাড়ির যে মোটিফগুলো এখন GI ট্যাগ পেয়েছে সেগুলো রাণী অহল্যাবাইয়ের উদ্যোগেই মাহেশ্বরের প্রাচীন মন্দির থেকে সংগৃহীত হয়।
  • Name | 24.206.65.28 | ০১ আগস্ট ২০২৩ ০১:১৭521978
  • অহল্যাবাই রোড সংক্রান্ত মন্তব্যটা বুঝলাম না - ইন্দোরের রাণী বাংলার রাস্তা সারাচ্ছেন কিভাবে?  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন