#চলো এগিয়ে চলি #সুমন গাঙ্গুলী ভট্টাচার্যমন ভালো রাখতে কবিতা পড়ুন,গান শুনুন,নিজে বাগান করুন আমরা সবাই শুনে থাকি তাই না।কিন্তু আমরা যারা স্পেশাল মা তাঁদেরবোধহয় না থাকে মনখারাপ ভাবার সময় না তার থেকে মুক্তি। আমরা, স্পেশাল বাচ্চার মা তাঁদের জীবন টা একটু অন্যরকম ভাবে সাজাতে হবে ,যেদিন থেকে বুঝবেন আপনিএকজন spl বাচ্চার মা।আমাদের অনুভূতি বোধকরি প্রথম থেকেই কন্ট্রোল করা ভালো।ধরুন আপনি এবং আপনার স্বামী দুজনেই বাচ্চার অটিজম মেনেনিয়েছেন, ভালো বোঝাপড়া।কিন্তু দিনের শেষে ... ...
গাছ যা মাটির কাছ থেকে নেয় ফেরৎ দেয় তার চেয়েও বেশি - অক্সিজেন বানিয়ে দেয়, বাতাসের দূষণ নিয়ন্ত্রণ করে, বৃষ্টি আনে, পশুপাখিদের থাকার জন্য বিনামূল্যে বাসস্থান বানিয়ে দেয়, প্রোটিনকে রুপান্তরিত করে। একটা পঞ্চাশ বছরের গাছের এফিসিয়েন্সি মূল্য ১৫ লাখ টাকা বছরে, অঙ্ক কষে বুঝিয়েছিলেন বিখ্যাত উদ্ভিদ বিজ্ঞানী তারকনাথ দাশ । ... ...
তোমার জন্য আজকে দেখো পিঠের ওপর দগ্ধ ক্ষততোমার জন্য দরজা ঘিরে রাত জেগেছে বহিরাগততোমার জন্য গান গেয়েছে, মার খেয়েছে ছেলের দলআসবে তুমি আকাশ হয়ে, মুক্তধারায় নতুন জলসেই জলে স্নান সারব বলে দাঁড়িয়ে আছি দেশজুড়েতোমার নিশান বর্ধমান আর মিশিগানেও ওই ওড়েতোমার জন্য বিশ্বজুড়ে একশো শহর স্লোগান লেখেতোমার মুখটি দেখবে বলে অন্ধ ছেলেও হাঁকতে শেখেহাঁকতে হাঁকতে দূরদূরান্ত মারের মুখেও বন্ধু হয় শেখাও তুমি গর্জে ওঠা, তুমিই শেখাও সমন্বয়তোমার জন্য দু ... ...
‘’আপকা পেমেন্ট হো গয়া স্যার,’’ কাউন্টারের ভদ্রলোক জানালেন। মানে ? কে করল আমাদের পেমেন্ট ? ভদ্রলোক যাঁকে আঙুল তুলে দেখালেন, তাঁকে আমরা অনেকক্ষণ আগেই দেখেছি বসে আছেন একটা সোফায়। উনিই হলেন অমুক বাবু। আমরা অবাক হয়ে এগিয়ে গেলাম ওনার দিকে, উনি উঠে দাঁড়ালেন। একটু হাসাহাসি হল এই নিয়ে যে প্রায় পাশাপাশি আধ ঘণ্টা থেকেও আমরা কেউ কাউকে চিনতে পারিনি। পারার অবশ্য কথাও নয়, আমরা একে অন্যকে কোনও দিন দেখিনি। ... ...
কথা দুখানা।১। শীত এসে গেল, তাই গুরুর মোচ্ছবও শুরু হয়ে গেল নিয়মমাফিক। ২৪শে ডিসেম্বর, শনিবার, ক্যাফে কবীরায় গুরুর ঠেক। ঠিক দুক্কুর বেলা। হিসেব মতো উপলক্ষ একটা আছে। বিপুল দাসের নতুন বই, "কামান বেবি" র উদ্বোধন হবার কথা ওই দিন। হবে শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের ততটা-নতুন-নয় বই "অনুষ্ঠান প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় দুঃখিত" নিয়ে আলোচনা। এছাড়াও টুকটাক পোস্টার টোস্টার বাজারে ছাড়ার ফলে অনেকেই জেনে গেছেন, যে, গুরু প্রকাশ করতে চলেছে একটি বইয়ের সিরিজ, "এক ব্যাগ নব্বই"। অন্য কিছু না, শাক্য রচিত নব্বইয়ের নস্টালজিয়ায় ... ...
হোক কলরব - হেমকণিকার মতো বিন্দু বিন্দু আলো মালা গেঁথে অন্ধকার কলকাতায় পিচঢালা রাস্তার ওপর দিয়ে সুদীর্ঘ পেশল সর্পিল পিচ্ছিলতায় ছড়িয়ে যায়। বিন্দু বিন্দু আলো হাতে বিন্দু বিন্দু উদ্ভাসিত মুখ অজস্র স্তব্ধদ্বার দোকান আর রুদ্ধবাক মানুষের সামনে দিয়ে পেরিয়ে যায়, তাদের মুঠো করা হাত অন্ধকার আকাশে ঘুষি পাকিয়ে গর্জন করে, যে গর্জনের ঢেউয়ের শেষে 'চাই' শব্দটি দূর দূর পর্যন্ত ধেয়ে যায়। শহরের পাণ্ডুর ত্রিফলা আলোর নিচে এলে সেই ভিড়ে খুদে খুদে বাচ্চাদের হাতে ধরা কার্ডবোর্ডের প্ল্যাকার্ডে রক্তলাল ... ...
“শুয়োরের বাচ্চা জনগণ, / বছর বছর নির্বাচন?” --সব তো হল। বোমা বাঁধা, কামানের গোলা, এক ঘুসিতে একটা ছেলের ঠোঁট ফাটিয়ে দেওয়া, বই পোড়ানো, স্যারের হাত থেকে বেত কেড়ে নেওয়া; আর কিছু বলার নেই? ... ...
সে প্রায় গতজন্মের গপ্পো। চিন্টু তখন হাপপ্যান্টুলে। বিকেলগুলো পাড়ার লাইব্রেরিতে ঝুঁকে কাটিয়ে দ্যায় সে, যে সময় বাকিরা ফুটবল আর কোচিং পিটছে। কলকাতা থেকে আসতেন যে লাইব্রেরিয়ান যুবতী, ছিপছিপে শাড়ি ও চশমা; টয়লেটে যাতায়াতের পথে আশ্চর্য দেখতেন এক ব্রণওলা ক্যাবলা কিশোর, ফ্যালফেলিয়ে রয়েছে অন্ধকার হতে থাকা টেবিলের ওপর। চিন্টু কখনওই কোনও দেবতা ছিল না। পেট-পিঠ মিশে যাওয়া কোমরের খাঁজে সে সময় সে প্র্যাকটিস করত বই-ঝাড়া শিল্প। আর এমনই এক সোনালি গোধূলিতে সে ঝেড়েছিল একটা পত্রিকা। 'যষ্টিমধু' নাম; পাতায় পাতায় হ ... ...
ঝাঁ চকচকে ক্যান্টিনে, বিফ কাবাবের স্বাদ জিভ ছেড়ে টাকরা ছুঁতেই, সেই দিনগুলো সামনে ফুটে উঠলো। পকেটে তখন রোজ বরাদ্দ খরচ ১৫ টাকা, তিন বেলা খাবার সঙ্গে বাসের ভাড়া। শহরের গন্ধ তখনও সেভাবে গায়ে জড়িয়ে যায় নি। রাস্তা আর ফুটপাতের প্রভেদ শিখছি। পকেটে ঠিকানার চিরকুট। শহর চিনতে চিনতে বন্ধু বেড়ে গেল। অনেক বন্ধুর সাথে হারিয়ে যাওয়া একটা নাম, আজ আবার ফিরে এলো ডাউন মেমরি লেন বেয়ে…. ফারুক। বন্ধুত্ব বাড়তেই ও আমার পকেটের খোঁজ নিল আর তখন থেকেই ফারুক আমার গাইড। ওর কাছে শিখেছি ১৫ টাকায় দিন যাপনের উপায়। ... ...
(আমার এ রচনা বিভিন্ন সিঁড়ি নিয়েই। হঠাৎ করেই একদিন অন্যমনায় ছিলাম। সে সময়ে মাথার মধ্যে ছোটবেলার আমাদের বাড়ির এক প্রাচীন আমলের সিঁড়ির নানান ঘটনা ভেসে উঠল অতর্কিতেই। ভাবলাম লিখেই ফেলি। এই নিয়ে গুগুল মামার শরণাপন্ন হতেই দেখলাম - ওরে বাবা, এই সিঁড়ি নিয়েই হয়তো একটা বিরাট রচনা নামিয়ে ফেলা যায়। সারা বিশ্বের নানান সিঁড়ি, সেগুলোর ইতিহাস, সবচেয়ে বড় কথা সেই আদিম যুগ থেকে কতই না পরিবর্তন হয়ে আজকের গতিমান লিফট থেকে এস্ক্যালেটর। আমারই চোখে দেখা কত কিছুই। স্মৃতির মননে ছোট বেলা থেকে কলেজ জীবন পেরিয়ে চাকরি জীবন। সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে এই সিঁড়ি।) ... ...
ছোটোবেলায় প্রতি রথযাত্রায় নতুন পালার নতুন চমক সিরিজে 'সিঁদুর দিওনা লেপে', টাইপ নামের ছড়াছড়ি থাকতো। ‘নামভূমিকায় লাস্যময়ী নায়িকা। অন্যদিকে কোনও মিহিগুম্ফ নায়ক। তৎসহ কিশোরকুমার, "...হাটবাজারে শাঁখাসিঁদুর অনেক পাওয়া যায়/ কপালে থাকলে পরে তবেই পরা যায়...." শাঁখা ও সিঁদুরের এই দ্বৈত বাদ্যবাদন থেকেই মেয়েদের প্রোফাইল নির্ধারিত হয়ে যেতো সেকালে। এখনও হয় অনেক জায়গায়।----------------------------- আমাদের গ্রীষ্মপ্রধান দেশের সংস্কৃতিতে প্রকৃতির তিনটি মৌলিক রং, যাদের earth coloures বলা হয়,, তার বিশ ... ...
পৌষ সংক্রান্তির রীতি খণ্ডিত শ্রীহট্টীয় ভাবনায় বর্তমানের স্মৃতিচারণ ... ...
সম্প্রতি একটি ছবি চোখে পড়ল বাংলাদেশে এক গৌরাঙ্গ মন্দিরের সামনে ঈদ আল আধাতে গরু কোরবানী দেওয়া হচ্ছে। প্রেক্ষাপট যেখানে বাংলাদেশে হিন্দুদের ক্রমাগত প্রান্তিকীকরণ সেখানে ছবিটি দেখে রাগ আর দুঃখ ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। আমার গরু নিয়ে কোনো ধর্মীয় আবেগ নেই, জোর করে গরু খাওয়া বন্ধ করার বিরোধিতা নিজের দেওয়ালেই আগে করেছি। কিন্তু কারুর ধর্মাচরণে জোর করে আঘাত দেওয়ার পক্ষপাতিও নই।আমার ধর্ম নিয়ে জ্ঞান সীমিত তাই ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতে চাই না, কোনটা ধর্মে জায়েজ কোনটা নয় সেটা জানি না। আমি বরং ইতিহাস নিয়ে সা ... ...
কেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বাঙালির এতো প্রিয়? ... ...
হাজারিবাগ জেল আসলে ছিল মূলত বিচারাধীন বন্দীদের স্বল্পকালীন আটকখানা। তাই এখানে অন্য বড় জেলের মত অত কাজকর্ম থাকতো না। সকালে, পুরুষ বিভাগের দর্জিখানায় তৈরি সরকারি উর্দিতে মেয়েরা বোতামের ঘর সেলাই করতো। তারপর উঠোন, আশপাশ পরিস্কার করা, বাগান করা, রান্না, আর গল্পগাছা। এখানে একটা অদ্ভুত নিয়ম ছিল - রোজ সকালে ডাল আর সব্জি রান্না করা দেওয়া হত, কিন্তু ময়দা আর চাল দেওয়া হত এমনি। এবার যে যারটা যেমন করে পারো ফুটিয়ে, বানিয়ে খাও। কোন জ্বালানী বা বাসন কিন্তু দেওয়া হত না! হয়তো একদিনের খাবারের বিনিময়ে একটু কয়লা পাওয়া যেত, কিন্তু রান্নার জন্যে, যে অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে রান্না খাবার আসতো, ভাত রুটি তার মধ্যেই বানাতে হতো। ... ...
হৃৎপিণ্ডসরিৎ চট্টোপাধ্যায় / ভৌতিক অণুগল্পডাঃ সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায়, চিফ সাইকিয়াট্রিস্ট, প্যারাসাইকোলজিস্ট ও অ্যাসাইলাম সুপার। যেমন কাজ পাগল লোক তেমনি দোর্দণ্ড প্রতাপ। আজ যদিও নিউ ইয়ার, তাও দোতলার রাউন্ডে ঢুকছেন রাত এগারোটায়। ফ্লোর ইনচার্জ রাখাল ছুটে আসে। - কাকে দেখবেন স্যার?- চার আর সাত নম্বর। ওদের কন্ডিশন কদিন হল ডিটোরিয়েট করছে। আজ থেকে দুবার করে কাউন্সেলিং করব। চার নম্বর ঘরে, অরুণিমা সেন, ৫৫। এককালে নামকরা অভিনেত্রী ছিলেন। ঘরে ঢুকতেই ফ্যাসফ্যাসে গলায় বল ... ...
বিদেশিদের ইতিহাসে তিনি ‘বিশে ডাকাত’ হলেও আমাদের শ্রদ্ধায় মুছে যাক সে ইতিহাস, অক্ষয় হোক শহিদ বিশ্বনাথ সর্দারের নাম স্বাধীনদেশের ইতিহাসের পাতায়। ... ...
একটা বয়স ছিল, যখন ট্রেনে উঠলেই মনে হত, আহা উল্টোদিকের সিটে যদি কোনও সুন্দরী এসে বসে! তখন এসে বসতো পাকা বাচ্চা, কানে ট্রানজিস্টর লাগানো দাদু, এরা। দু’এক বার আমাকে পরিহাস করতে সন্ন্যাসীও এসে বসেছে। তারপর ট্রেনে যাওয়া-আসা বাড়তে লাগলো, আর আমিও বুঝলাম, সুন্দরী মেয়ে আসলে ইয়েতির মতো একটা ব্যাপার। স্লীপার ক্লাসে তাকে খোঁজা বৃথা; তার চেয়ে পিএইচডি করা ভালো। ... ...