এই কিছু বছর ধরে আমার স্বভাব এমন পল্লবগ্রাহী হয়েছে, একসাথে দুই তিনখানা বই, কখনও বা চার পাঁচখানাও একসাথে শুরু করি, তারপর তারা বিভিন্ন সময়ে পড়া শেষ হয়৷ হঠাৎই মনে হল প্রতি মাসের শেষে কোনগুলো শেষ হল আর কেমন লাগল তার একটা হিসাব রাখলে মন্দ হয় না৷ নিতান্তই আটপৌরে এই পড়ার ইতিহাস একেবারেই নিজের জন্য লিখে রাখা৷ ১) ‘বড়ো বাড়ির ছোটো স্মৃতি' - স্মৃতি মিত্র২) ‘আমার সংসার' - শরৎকুমারী দেব৩) স্মৃতির সৌরভ' - কল্যাণী সুর৪) 'আশকথা পাশকথা' - মন্দার মিত্র৫) 'ছড়াসমগ্র' - শঙ্ ... ...
খাবারের বাছবিচারে প্রতাপ রায় সাবেক কলকাত্তাইয়া। রয়ালের চাঁপ, সাবিরের রেজালা, নিজামের রোল, চাচার ফাউল কাটলেটে এমনই আস্থা যে সে জায়গায় অন্য কাউকে বসাতে পারেন না। তবে আশাভঙ্গও হয়। যেমন চাচার ফাউল কাটলেট। আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে যে আশাভঙ্গ প্রতাপ রায়ের হয়েছিল, আমার হল বছর তিন-চার আগে। চাচা তো ফুটপাত বদল করে উল্টোফুটে চলে এসেছে। সেজে উঠেছে নবসাজে। সে রূপ অবশ্য পাড়ার নতুন কাফে ডি তেলেভাজার থেকে থেকে কিছু ভিন্ন নয়। তবু এখনও ফাউল কাটলেটটি করে। কিন্তু সে শুষ্কং-কাষ্ঠং কাটলেট খেলে চাচার দোকানের ওপর শ্রদ্ধার থেকে অন্য কিছুর উদয় হয় মনে। শিককাবাব আর করে না। ... ...
বেচারা সরকার বাবু, গন্ধ সাবান আর কানাই ভ্যারাইটি স্টোর্সের গপ্পো.... ... ...
এক'কিছুটা থাক আলগোছেতে...কিছুটা থাক কাছে...কিছু কথা ছড়িয়ে পড়ুক...চেনা আলোর মাঝে...।''খুব সকালে ঘুম ভাঙতে চাইতো না আমার। লেপের পরে লেপ, চাদরের পরে চাদর এর গা থেকে ওর কাছ থেকে, ছেড়ে যাওয়া বিছানা থেকে টেনে টেনে গায়ে চলে আসতো আমার। লম্বা চাটাইয়ে স্যাঁতসেঁতে পলেস্তারা খসা ঘরে শুয়ে থাকতো ওপার বাংলা থেকে অনিচ্ছায় আসা উদ্বাস্তু মানুষ গুলো। আমিও তাদের মধ্যে কুন্ডুলী পাকিয়ে লেপ, চাদর আর কাঁথার পাহাড়ের মধ্যে সেঁধিয়ে থাকতাম। সকালের রোদ আমাদের বালীর বাসায় ঢুকতো না একটুও। কিন্তু মায়ের উনুনের ধো ... ...
যেকোন নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে সামনে আসার পর নাগরিক হিসাবে আমাদের একটা ঈমানি দায়িত্ব থাকে। দায়িত্বটা হল অভিযুক্ত ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির দাবি করা। কঠোরতম শাস্তি বলতে কারোর কাছে মৃত্যুদন্ড। কেউ একটু এগিয়ে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার কথা বলে। আবার কেউ আরও একটু এগিয়ে ধর্ষককে কুচিকুচি করে কেটে নুনলঙ্কা মাখানোর বিধান দেন । কাল একটা গ্রুপে দেখলাম একজন অতি দরদী নাগরিক বলেছে "শ্লা রেপিষ্টের মা বোনকে রেপ করা হোক, তবেই রেপিষ্ট বুঝবে জ্বালা"। ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর 'প্রতিবাদ' করতে গ ... ...
গরমের দিনে মাটির কলসী, শীতের দিনে আসকে পিঠে বানাবার মাটির সড়া, সরুচাকলীর তাওয়া, সর্বসময়ের ধুনুচী, পুজোর সিজিনের ঘট, মোচ্ছবের – হব্যিষ্যির মালসা ইত্যাদি নানা মাটির জিনিসের ওয়ান স্টপ শপ্ আমাদের গ্রামে ছিল রশিদ চাচার দোকান। চাচার বাড়ির কাঠামো ছিল অনেকটা প্যারিসের ল্যুভের মিউজিয়ামের মত, মানে তিন দিক খোলা, একদিক ফাঁকা – আর যে তিন দিক ঘেরা তার দুই দিকে যথাক্রমে পুরানো এবং নতুন বাড়ি এবং একদিকে পাঁচিল। বাকি খালি দিকে রইল গিয়ে জুঙ্গিতে নামক এক দীঘি এবং চাচার অন্দর মহলের অপার রহস্য। এমন নয় যে চাচার অনেক ... ...
কৈশোরে গড়ের মাঠে (তখন মনুমেন্ট ময়দান নয়, গড়ের মাঠই বলা হত) ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়ে মাউন্টেড পুলিশের তাড়া খেয়ে (ঘোড়সওয়ার পুলিশ) গ্যালারিতে বসার পর টের পেলাম — এটা ঘটিদের, থুড়ি মোহনবাগান সাপোর্টারদের এলাকা। মুখে কুলুপ এঁটে ওদের কথোপকথন শুনতে গিয়ে জানলাম — খেলার মাঠে বাঙালদের কোড নেম ‘জার্মান’! কেন? কে জানে! ... ...
“হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন”মাইকেল মধুসূদন দত্ত ***প্রবাদ কাকে বলে, এ ব্যাপারে সবারই জানা আছে । ব্যাপারটা হলো, কেউ ঠিক এর সংজ্ঞা নির্দেশ করতে চাইবেন না ।প্রবাদ বলতে, সাধারণত আমরা যা বুঝি- সেটা এত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানা রকম বিচিত্র ভাষায় প্রকাশ হয়, তাদের মধ্যে আপাত দৃষ্টিতে কোনো একটা সাধারণ লক্ষণ খুঁজে পাওয়া বড় মুশকিল ।অসংখ্য উৎসমুখ থেকে আসা, ক্ষীণ স্রোত ধারাতে প্রবাহিত হয়ে, যা কিছু একসঙ্গে মিশেছে- তাদের একের সঙ্গে অপরের কোনো মিল বা যোগাযোগ নেই ।এগুলোই প্রবা ... ...
দুঃসময়ে ছোট্ট স্ফূলিঙ্গও জোগায় অবান্তর রচনা লেখার প্রয়াসে আত্মমগ্নতায় ডুবে থাকার দাওয়াই। লেখার উপাদান সংগ্ৰহকালে জানা যায় নানা চমকপ্রদ বা আনন্দময় তথ্য। পলায়নবাদীরা এভাবে এড়িয়ে থাকতে চায় বিষাক্ত বর্তমানের অভিঘাত। ... ...
জানুয়ারীর শেষের দিকের সেই ঠান্ডাকে পাতলা জামাটা বাগে আনতে পারছিল না, আমি ক্রমশঃ কুঁকড়ে যাচ্ছিলাম। কাঁধের গামছাটা গায়ে ভালো করে জড়িয়ে নিলাম যতটা ঢাকা যায়। ফাঁকা জায়গায় কাঁচা বাঁশের চৌদল্লা ছুঁয়ে বসে আছি অনেকক্ষণ – গঙ্গার হাওয়া থেকে বাঁচার জন্য উঠে এসে একটু আড়াল পানে যাব তার উপায় নেই। কারণ আমাকে নাকি ছুঁয়ে থাকতেই হবে! পদা-কাকার অবশ্য শীত করার কথা নয়, তবুও সাদা কাপড়টা ভালো করে টেনেটুনে দিলাম। চন্দনের গন্ধ আছে, আছে রজনীগন্ধার আর নতুন কাপড়ের। মাথায় গোড়ায় তখনও জ্বেলে রাখা ধূপ গোছার থেকে ধোঁয়া পায়ের গোড়ায় আমার দিকেই ভাসিয়ে দিচ্ছে গঙ্গার হাওয়া। গাছের পাতা দেখা যায় না অন্ধকারে, ওরা অনেক দূরে – তাই ধোঁয়া দেখেই বুঝতে পারি বাতাসও মাঝে মাঝে আনমনা হয়! এতদূরে বাল্বের আলোও এসে ওঠে নি ঠিকঠাক – প্রায় অন্ধকারই – যেটুকু আবছায়া তাও ওই হ্যারিকেনের আলোয়। পদাকাকুর মুখটা দেখতে পাচ্ছি না পায়ের দিকে বসে, যেন মনে হচ্ছে শুধু সাদা তুলো আভাস পাচ্ছি মুখের আশেপাশে। কতই বা বয়স আমার তখন! মনে হয় সেই প্রথম একাকীত্বের অনুভব – আনমনা ভাবতে থাকি, আসলেই এই ভাবেই সবাই একদিন একা হয়ে যাব – তখনও হয়ত অন্য কেউ চন্দনের গন্ধ পাবে – প্রিয়জন, প্রতিবেশী, অচেনা? উত্তর তো জানা নেই আমার! ... ...
বস্তুত আমার অনেক বন্ধু বান্ধব গনের মতোই ' ইপির ফকিরের’ বিষয়ে আমি আদপে বিন্দুবিসর্গ কিছুই জানতাম না , আর এখনো যে বিশেষ কিছু যে জানি তা আদপেই নয় । আর জানবোই বা কি করে - তার নাম না আছে ইতিহাসের পাতায় , না ভারত বা পাকিস্তানের কোথাও পালিত হয় তার জন্মদিন সাড়ম্বরে , না প্রকাশিত হয়েছে কোন ডাকটিকিট , না তার সম্বন্ধে নেতাদের ভাষণ কানে আসে ,এমনকি এই যে আমাদের ইন্টারনেটের দুনিয়া তাতেও আধাখেঁচড়া কিছু ইনফরমেশান -আর কেই বা কবে বাউল ফকিরদের কথা মনে রেখেছে দু এক জন লালন ফকিরের ব্যাতিক্রম স ... ...
আমাদের ভোঁদাদার সব ভাল, খালি পয়সা খরচ করতে হলে নাভিশ্বাস ওঠে। একেবারে ওয়ান-পাইস-ফাদার-মাদার। নিজে নাহক ভাল কাজ করে। শুধু পয়সাই নয়, অঢেল সময়ও হাতে। বাড়িতে শুধু আপনি আর কপনি - ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, বেয়াই-বোনাই, জগাই-মাধাই কেউ নাই। কাজেই ভোঁদাদা বই পড়ে। বাছবিচার নেই, বই পেলেই হল। আর এই বই পড়ে পড়ে বিচিত্র সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছে। ভাসা-ভাসা নয়, একেবারে গভীর সুচিন্তিত জ্ঞান। ভোঁদ্দা আজ এর সঙ্গে ভ্যালু ইনভেস্টিং নিয়ে আলোচনা করল, তো ওর সঙ্গে প্রাচীন মোঘলাই রন্ধনপ্রণালী নিয়ে; কার সঙ্গে দেখলাম গভীর তর্কা ... ...
সম্প্রতি আয়ার্ল্যান্ডে আইনসিদ্ধ হল গর্ভপাত । যদিও এ সিদ্ধান্তকে এখনও অপেক্ষা করতে হবে রাষ্ট্রপতির আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের জন্য, তবু সকলেই নিশ্চিত যে, সে কেবল সময়ের অপেক্ষা । এ সিদ্ধান্ত সমর্থিত হয়েছে ৬৬.৪ শতাংশ ভোটে । গত ২৫ মে (২০১৮) এ ব্যাপারে আইরিশ সংসদের (Oireachtas) উভয় কক্ষে প্রস্তাবিত হয়েছে সে দেশের সংবিধানের ছত্রিশতম সংশোধনী, যাতে ওই সংবিধানের ১৯৮৩ সালের অষ্টম সংশোধনকে বাতিল করার কথা রয়েছে । ওই সংশোধনীতে গর্ভস্থ সন্তানের জীবনের মূল্য তার মায়ের জীবনের মূল্যের সমান বলে ঘোষণা করা হয়েছিল । সে স ... ...
শীতের সেই শিহরিত সন্ধেগুলো মনে পড়ে, আশিস? হাড়জমানো বাঘের মত জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ত দক্ষিণবঙ্গের ডিসেম্বর-অধ্যুষিত 'মাওয়া' গ্রামে। বাঁদর টুপি, রঙিন মাফলার ও ধূসর চাদরে ঢেকে যেত নানাবয়সের মুখ, কান, নাকসকল। সন্ধে থেকে রাত শীতকালীন গ্রামবাংলা মেতে উঠত পাঁচদিন ব্যাপী যাত্রানুষ্ঠানে। এ সেই সুসময়, যখন খেজুর রসের মৌতাত ও শস্যফলনের হাসি বাংলার ঘরে ঘরে, আপামর বাংলার গ্রামীণ জীবনের এ এক ঐকান্তিক উদযাপন। গ্রামের, গঞ্জের আবালবৃদ্ধবনিতাকে জাপটে ধরত শীতের বিশ্রুত যাত্রাজ্বরের তাড়স।ক্লাস ফোরে দে ... ...
যখন এই ভিডিওটি আপলোড করেছিলুম, সে অনেককাল আগে, ইউটিউবে অনেক ভয় অনেক দ্বিধা কাটিয়ে আপলোডাবার দিনগুলোর একদম প্রথমদিকে, তখন কীকরে গানের ফাইল থেকে ভিডিও বানাতে হয় তাই জানতাম না, জানার খুব আগ্রহ ছিল, তাও নয়। এক বন্ধু বানিয়ে দিয়েছিল, জিগিয়েছিল, কী ছবি দেবে। আমি নিতান্ত আতান্তরে পড়েছিলুম। গানের কি ছবি হয় ?হয়। অন্ততঃ হত, আমার কাছে। তবে সে আরো আরো অনেককাল আগে।তবে সে ছবি গানের না, শুধু সুরের। এক একটা সুর, না না, সব সুর না, কিছু কিছু গেঁথে যাওয়া সুরের সাথে এক একটা ছবি জোড়া ছিল। একেকটা সুরের সাথে ... ...
"....অনেকদিনের মনের মানুষ যেন এলে কেকোন ভুলে যাওয়া বসন্ত থেকে...."-------------------------------চার দশক আগের কথা। সদ্য কলেজ ছেড়েছি। চাকরিতে তখনও ঢোকা হয়নি। একটা পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলুম রাঁচি। বি আই টি, মেসরায় ছিলো পরীক্ষাকেন্দ্র। ফেরার পথে একটু দিক বদলে বুটি রোড ধরে মোরাবাদি। ভাঙাচোরা রাস্তা। কিছু ট্রেকার, কিছু রিকশা। বাকিটা এগারো নম্বর। যাবো নিশ্চিন্দিপুর, অর্থাৎ ঠাকুর পাহাড়। মোরাবাদি ধরে যেতে যেতে বাঁদিকে ছোটো খাপরা, খড়ের প্রাসাদ। ডানদিকে মস্তো বাগানঘেরা বাংলোবাড়ির সারি। দেউড়ি ... ...
বেওমকেশ বাকশির সহিত আমার প্রথম পরিচয় হইয়াছিল বোধকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমনরূমে।পয়সার আমার টানাটানি থাকার কথা ছিল না, কিন্তু পিতৃদেব যে শুধু দ্বিতীয়বার দার পরিগ্রহ করিলেন তাহাই নহে, উপরন্তু চাকরি হইতে বিতাড়িত হইলেন। তিনি ঠিক কী করিতেন জানা নাই, কিন্তু শুনিয়াছি আফিম-কোকেন জাতীয় নিষিদ্ধ বস্তু লইয়া নানাবিধ পরীক্ষানিরীক্ষা করিতেন।স্থির করিয়াছিলাম, কৌমার্যব্রত অবলম্বন করিয়া সাহিত্যচর্চায় জীবন অতিবাহিত করিব, কিন্তু সে গুড়ে বালুকাকণা। পিতৃদেব একদিন বেবাক নিরুদ্দেশ হইলেন।কিন্তু ... ...
আমাদের ইতিহাস পাঠ অনেকাংশেই ক্ষমতার ইতিহাস - এবং ক্ষমতাবানের ইতিহাস। ক্ষমতাহীন যে সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাঁদের নিয়ে চর্চার অভ্যেস, ইতিহাসবিদদের মধ্যেও, তেমন পুরোনো নয় - জনপ্রিয় ইতিহাসের ডিসকোর্সে সে বয়ান ঢুকতে বহু দেরী। ক্ষমতাবানের শাসনের চিহ্ন হিসেবে - যুগে যুগে শাসকের ক্ষমতার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে - রয়ে গিয়েছে অজস্র স্থাপত্য। এবং আমাদের ইতিহাস লিখনপ্রক্রিয়ায় সে স্থাপত্যের গুরুত্ব অনিবার্য। তারই সাথে সাথে নব্য শাসক পুরাতনের ক্ষমতার চিহ্ন মুছে ফেলতে গিয়ে ধ্বংস করেছেন পুরাতন স্থাপত্য - পুরাতনকে গড়েপিটে করে নিয়েছেন নতুন - এবং সেই নব্যরীতি নতুন ক্ষমতার প্রতি মানুষের সম্ভ্রম নতুন করে আকর্ষণ করেছে - এ নজির প্রত্যেক দেশে প্রতি যুগেই অঢেল। ... ...
সব চরিত্র জ্যান্ত............................দুটি অল্প বয়সী ছেলে মেয়ে প্রেমে পড়ল। দুজনেই আমার থেকে বয়সে ছোট এবং আমার বন্ধু স্থানীয় ছিল। কলকাতার একটা শপিং মলে দুজনে সেলসে চাকরী পায়। সেই সূত্রেই আলাপ ও প্রেম। ছেলেটা জেলা থেকে আসা, গড়পরতা বাঙালীছাপ চেহারার ছেলে। মধ্যবিত্ত পরিবার কিন্তু অনটন আছে।বাবা মারা গেছে। মা একা যতটা পেরেছে টেনেছে, এবার ছেলে দায়িত্ব নিয়েছে। মেয়েটা ভয়ানক ফর্সা, রূপসী। লেকটাউনে পুরনো বাড়ি। মধ্যবিত্ত পরিবার কিন্তু অনটন আছে।বাবা মারা গেছে।বাড়ি প্রমোটর নিচ্ছে। প্রচু ... ...
আপনেরা কেউই আমার নিবারন মামুকে চেনেন না। তা চিনবেনই বা কী করে। আমার মামু গাঁয়ে গঞ্জে থাকেন,সাতে পাঁচে নেই, এমন কি ছয়েও নেই। সাড়ে তিন, পৌনে আড়াই, চার লক্ষ চুয়ান্ন ........... নাঃ, আমার মামু কোথাও নেই। সারাদিন মাঠে ঘাটে নিজের মনেই ফ্যা ফ্যা করে ঘুড়ে বেড়িয়ে মামুর আমার দিন দিব্বি কেটে যায়।মামুর খালি একটাই সখ - সেটা হচ্ছে বিখ্যাত হবার। সেই ছোটোবেলার থেকেই আমার মামু একটু অন্য রকমের। ঠাকুমাকে জাপ্টে ধরে ঘুমাতে যান আমার মামু, তখন আমার মামুর বয়স কুল্লে সাত। তো ঘুমের মধ্যে মামুর কী খিল খিল ... ...