Women's Equality Day এল আর চলেও গেল| তাতে কি ভাগ্যি বাড়লো জানি না, তবে ফিরে দেখার ইচ্ছে হলো একশো বছরের সালতামামি| সত্যিই কি কিছু বদলেছে? এ লেখার সব চরিত্র সত্যি, ইতিহাস থেকে নেওয়া| শুধু নায়িকার নামটি বদলে দিয়েছি| দুটি ভাগে লেখা এটি| একইসঙ্গে দিলাম| ... ...
আবার সব খুলতে শুরু করেছে ... ...
ধর্ম-কুকুরের মতো অত্যন্ত অনুগত ট্রাম অনুসরণ করে কবিকে। কবি হেঁটে চলেন। যুগ যুগান্তর, কাল কালান্তর পেড়িয়েও কবির চলা থামবে না। ... ...
স্রোতস্বিনী নিশ্চিত হতে চেয়েছিল। সে চেয়েছিল তার ম্যাজিকটা সারাজীবন তারই থাক। তার জন্য চেষ্টার কসুর সে করেনি কখনও। রোজ বিকেলে সে ঘন্টাখানেকের জন্য ম্যাজিকটাকে একা ছেড়ে দিত শুরুতে। যাতে ম্যাজিকটা নিজের মতো ঘুরেফিরে একটু শ্বাস নিয়ে আসতে পারে। তার বিশ্বাস ছিল তার ম্যাজিক যখন তার কাছেই ফিরে আসবে নিশ্চয়ই। কিন্তু ম্যাজিকটা একদিন ফিরলো না। বাধ্য হয়ে স্রোতস্বিনী তখন তাকে খুঁজতে বেরোলো। পাক্কা দেড়দিন পর দেখা গেলো সেখান থেকে তিনটে পাড়া পেরিয়ে একটা হলুদ বাড়ির দোতলায় একজন বয়স্ক মহিলার কোলে শুয়ে ম্যাজিকটা তখন চাঁদের বুড়ির গল্প শুনছে ... ...
আমার মতে, যিনি ফ্যান আবিষ্কার করেছিলেন তিনি পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক। যেকোনো মুহূর্তে খুলে মাথায় পড়তে পারে জেনেও নিচে আরামে শুয়ে থাকতে পারা, শুধুমাত্র আরামের জন্য - এ জিনিস পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দর্শন। ... ...
কথাটা বলা গেলে তার নিজের সম্বন্ধে নিজের ধারণাগুলো আরেকটু স্পষ্ট করে তুলে ধরা যেত সঙ্ঘমিত্রা-র কাছে। বলা যেত, আমি এই! এর বাইরে আমি অন্য কিছু নই। বাদবাকি যা তুমি বুঝেছো সেসব তোমার ধারণা মাত্র। তার সাথে আমার ভিতরের প্রকৃত আমি-টার কোনও সম্পর্ক নেই। সঙ্ঘমিত্রা-ও কিছু একটা বলতেই যাচ্ছিলো, কথার পৃষ্ঠে কথা যেমন হয়। সেই কথাটা শোনাও প্রয়োজন ছিল। সেই কথাটার প্রেক্ষিতে আরেকটু গুছিয়ে বলে ওঠা যেত তাহলে নিজের কথাগুলো। অথচ, সেরকমটা হলো না। অবশ ভাবটা ক্রমশ ঠোঁট থেকে গালের দিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো ... ...
আমার এক বন্ধু ওর একটা ভিজিটিং কার্ড আমাকে দিয়েছিল। আমি হাতে নেওয়ার সময় কার্ডটা দেখে বুঝতে পারলাম কার্ডটা গতানুগতিক কোন কার্ড না, বেশ দামি বলা চলে। আমি বাহ! বলে কাজ শেষ করে দিলাম। আমি আমার বন্ধুকে চিনি, ওর কার্ডের প্রতি এরচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখালে ও আমার মাথা নষ্ট করে দিবে এই কার্ডের আলাপ করেই। যা একশ তা হয়ত দু হাজার বলে বসে থাকবে। কিছু না বললেও হয়ত এই প্যাঁচাল আমাকে শুনতে হতে পারে, তাই আমি চুপ। কিন্তু আমি চুপ করলেও আমার পাশের জনের আর তর সইল না, জিজ্ঞাস করে বসল, দারুণ তো কার্ডটা, কত করে হাজার এই কার ... ...
বসুধা আমায় ধারণ করবে বলে সৃষ্ট হয়ে ছিল।আমার ফল থেকে, বীজ থেকে আরেকটা আমির জন্ম হয়।আস্তে আস্তে আমি ছেয়ে যাই সবখানে। ... ...
Been a while since i told a tale here. Much busy-ness collecting the tales, stitching 'em up and hanging 'em high! 3:-)The Bir Hors are a nomadic and traditionally hunting gathering tribe who number below 10,000 on this date, as per wiki wisdom. Presently, they have around sixteen settlements across Jharkhand and Odisha. Those are:•NTPC-Bolongi, Karanjiya Block, Anukul District •Kendu-mundi, Mayurbhanj District•Dhardhora, Jashipur Block, Mayurbhanj District•Chat ... ...
১৯৫৬ সালে প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যান (১৯১৮-৮৮) ক্যালিফর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজি-তে খ্রিস্টধর্মাবলম্বী ছাত্রদের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজনে মিলিত হয়ে একটি বক্তৃতায় বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক বিষয়ে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন। [Feynman 1956]। ষাট বছর পেরিয়ে, সেটি সম্প্রতি বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে খুব গুরুত্ব সহ ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছে। কেন? কেন??ফাইনম্যান একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। সেই যে ষাটের দশকে তিনি ক্যালটেকে স্নাতক ছাত্রদের পদার্থবিজ্ঞানের ক্লাশ নিতে গিয়ে একটা লেকচার-নো ... ...
অমর, আকবর ও অ্যান্টনি ... ...
এমনিতে দিবস-টিবস নিয়ে আমার মাথাব্যথা থাকে না। কারণ দিবস বানিয়ে যদি কিছু উদ্যাপন করতে হয়, বুঝতে হবে, সমস্যা আছে বলেই তার এত আড়ম্বরের ঘটা। নারী দিবস তাই আর পাঁচটা দিনের চেয়ে আলাদা। আর কোনো তন্ত্রে বা সিস্টেমে (সিস্টেম বললেই ব্যাপারটা বোধগম্য হয় আরও) শোষক এবং শোষিত এত কাছাকাছি অবস্থান করে না। আর কোনো সিস্টেমে এই দুই শ্রেণি চার দেওয়ালের মধ্যেও থাকে না, এক বিছানায় শোয় না দরজা বন্ধ করে। অন্য আর পাঁচটা সিস্টেমের থেকে এখানেই পুরুষতন্ত্র আলাদা, তাই পুরুষতন্ত্রের মধ্যে ‘নারী দিবস’ সেই সংখ্যালঘুর, গুরুত্ব ... ...
'পত্থলগড়ি'ঝুমা সমাদ্দার।রাঁচী থেকে তার পড়শী জেলা খুঁটির দূরত্ব ৩১ কিলোমিটার। পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা গ্রামে মুণ্ডা সম্প্রদায়ের মানুষের বাস।এ সব পাহাড়-জঙ্গুলে জায়গায় গ্রামের সাধারণ আদিবাসী মানুষ যেমন হয়ে থাকেন, এঁরাও তার ব্যতিক্রম নন, সহজ, সরল, নির্বিরোধী।'পত্থলগড়ি' এখানকার বহু প্রাচীন প্রথা । কারও মৃত্যু কিম্বা গ্রামের সীমানা নির্দেশ অথবা বিশেষ কোনো ঘটনাকে মনে রাখার জন্য একটি বড় পাথরে বক্তব্য খোদাই করে বিশেষ বিশেষ স্থানে খাড়া করে রেখে দেওয়া হয়।মাস কয়েক ধরে ... ...
এক জীবনে একজন মানুষের কি চাওয়া থাকতে পারে? যদি সে হয় একটু অভিযান প্রিয়, যদি সে হয় পুরো পৃথিবী ঘুরে দেখার ইচ্ছাসহ কোন মানুষ? কি চাইতে পারে সে? বিমল মুখার্জি নামক এক বাঙালি নিজের মনের ভিতরের দুনিয়া ঘুরে দেখার ইচ্ছাটা বাস্তবে রূপান্তর করতে পেরেছিলেন। সাথে পেয়েছিলেন একজন মানুষ এক জীবনে যা চাইতে পারে তার সব। তিনি ডেনমার্কের এক ধনাঢ্য পরিবারের সর্বোচ্চ স্নেহ ভালবাসা পেয়েছিলেন। তারা তাকে তাদের সম্পত্তির অংশীদার করে রেখে দিতে চেয়েছিলেন। জন্মদিনে বাড়ি, গাড়ি এমন কি বিমান পর্যন্ত উপহার দিয়েছিলেন।বিমান চালি ... ...
আজকে কেন জানিনা ঊনকোটি পাহাড়ের কথা খুব মনে পড়ছে। নিজেদের পুরোনো জীবনের কথাও। ১৯৬৯ কি ৭০সাল। সদ্য শিক্ষকতায় ঢুকেছি। কোথায় আমার বাড়ী কোথায় ভদ্রার বাড়ী। ছোট্ট শহর কৈলাশহর। সংস্কৃতিমনষ্ক রক্ষণশীল সমাজ। আমাদের বয়স তখন কম, দেখায় আরো কম। সহকর্মীরা ভালবাসেন, হেডমিস্ট্রেসের আমরা প্রিয়পাত্রী ছিলাম। স্কুলের সব কটি ক্লাসের মেয়েরা পিকনিকে আমাদের নিয়ে যেতে চায় আমরাও সাগ্রহে যাই। ঊনকোটিতে নিরামিষ খাওয়াই প্রথা; আমরা একদিন সর্ষেবাটা দিয়ে রান্না করা ডিম নিয়ে গেছিলাম, কেউ বাধা দেয়নি। তখন পাহাড়ে কেউ থাকতোও না; ক ... ...
প্রথমেই একটা কথা সগর্বে বলে নেওয়া দরকার যে আমি হচ্ছি সেই অবলুপ্তপ্রায় ছাত্র সমাজের যোগ্য প্রতিনিধি যারা ইসকুল লাইফে মাস্টার মশাইদের নিরন্তর ঠ্যাঙ্গানি খেয়ে বড় হয়েছে এবং মাথা নামিয়ে স্বীকার করি যে সেইসব মাস্টার মশাইরা আমার এবং আমার মতন অনেক গাধার জীবনে না এলে আজ হয়ত এই জায়গায় থাকতুম না।প্রলোভন কি ছিলনা,ছিল সার,দস্তুরমতন ছিল।ইসকুলের মাস্টারমশাইরা যখন বাবা বাছা করে মাথায় হাত বুলিয়ে কড়া কড়া ট্রানস্লেশন কি হোয়াংহো নদী কোথায় গোছের টাস্ক করিয়ে নিয়েছেন,তখনই বুঝেছি যে সাধকের পথে কত বাধা,কত ... ...
সেই ঘনায়মান আঁধারে এক সময় বালুদা এসে বসে ছিল আমার পাশটিতে। নেশা মেশানো নীচু গলায় বলেছিল : দাদাবাবু, আমার বড় সপপন ছিলো লালন মুর্দাফরাশ হবে না। জিন্দা আদমি তুলবে... ইলাজের জন্য হাসপাতাল আনবে এম্বুলেন্স চাপিয়ে। .... হল না । শালা মর্গে ডিউটি পেল -- অ্যানাটমি ঘরেও নয়। সবাই বলে ওখানে পয়সা আছে। ডেড দের গায়ের আংটি-হার ঘুরিয়ে দিলেই হলো। আমি লেকিন হেরে গেলাম দাদাবাবু। ..... মুর্দাফরাশের বেটা ডাক্তার হবে তো ভাবলাম না -- এটেন্ড্যান হবে... এটা তো ভাবা যায় বলুন? লালন তো ইন্টার পাশ ভি করল! তবুও.... "। স্তোকবাক্য শুনিয়েছিলাম বালুদাকে। বলেছিলাম : আরে, লালনের বিয়ে হবে... ছেলেমেয়ে হবে...তাদের ভালোভাবে পড়িয়ো... হয়ত একদিন কেউ ডাক্তারই হবে ! সেদিন যেন জানাতে ভুলোনা দাদা! " বালুদা ম্লান হেসে বলেছিল : দাদাবাবু, আর একটু মানসু নিতেই হবে লেকিন । ... ...