এক বন্ধুর কাছে শুনলাম আই.আই. টির এন্ট্রান্স টেস্ট নাকি পৃথিবীর কঠিনতম পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেই প্রসঙ্গে খানিক আলোচনা হলো বন্ধুদের সঙ্গে। কিছু তথ্য, ফিটজি ইত্যাদি সংস্থা, এম সি কিউ, বইপত্তর ইত্যাকার বিষয়ে খানিক খোঁজ নেওয়ার পর একটি আশ্চর্য তথ্য পেলাম। যেখান থেকে এই লেখা লিখতে প্ররোচিত হলাম।আই আই টির এন্ট্রান্স যারা ক্র্যাক করেন তাঁরা নিঃসন্দেহে প্রতিভাবান, তাঁদের অনেকেই বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হন, কেউ হন নামী সংস্থার সি ই ও, কেউ বা গবেষণায় সফল, বিশেষত পলিসি মেকিং এও তাঁদের ভূমিকা থাকবেই। ... ...
কমল অর্চনার চুলের মুঠি ধরে তাঁকে চেয়ার থেকে টেনে তোলে এবং তাঁর মাথা দেওয়ালের দিকে ছুড়ে দেয়। দেওয়ালে মাথা ধাক্কা লাগার ঠিক আগে চুল ধরে হ্যাঁচকা টান মেরে নিজের দিকে নিয়ে আসে। এই পদ্ধতিতে অত্যাচার চলে ১৫-২০ মিনিট ধরে। অর্চনা আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। সারা শরীরে অসহনীয় যন্ত্রণা হচ্ছিল তখন অর্চনার। তাঁকে চেয়ারে বসতে বলা হল। কিছুক্ষণ পর আদিত্যকে রুণু নির্দেশ দিল অর্চনার চুল ধরে ঝুলিয়ে রাখতে। আদিত্য ঝাঁপিয়ে পড়ে অর্চনার চুল এত জোরে টানে যে তাঁর মাথার কিছু চুল ছিঁড়ে যায়। ... ...
প্রশ্নটা স্রেফ এনআরসি নিয়ে নয়। "অবৈধ অনুপ্রবেশ"এর সন তারিখ ১৯৫১ বা ৭১ বা ৮১ বা ২০১১ যাই হোক না কেন, তাতে কিস্যু এসে যায়না, কারণ প্রশ্নটা সালতামামি নিয়ে নয়। প্রশ্নটা "অবৈধ অনুপ্রবেশ" নামক একটি অদ্ভুত ধারণাকে নিয়ে। বলা ভালো "অবৈধ অনুপ্রবেশ" নামক বস্তুটির বৈধতা নিয়েই। "অনুপ্রবেশ" শব্দটি নতুন। বৃটিশ ভারত এই শব্দটির অস্তিত্ব জানতনা। ভারতে তখন শাসক ছিল, শাসিত ছিল, শোষক ছিল, শোষিত ছিল, ঔপনিবেশিক ছিল, সায়েবসুবো ছিল, জমিদার ছিল, জাতপাত ছিল, চোর-চোট্টা-চিটিংবাজ ছিল, ধান্দাবাজ্ব রাজনীতিবিদ ছিল, বহু রকম উঁ ... ...
এর কিছুদিনের মধ্যেই দিগম্বরী দেবীর মৃত্যু ঘটে। দিগম্বরী বেঁচে থাকতেই যে সম্পর্কে ভাটার টান লেগেছিল, তাঁর মৃত্যুতে সে সম্পর্কের পরিসমাপ্তি ঘটে নিশ্চিতভাবেই। তারপরও কি দ্বারকানাথ তাঁর অভ্যাস বদলেছিলেন একটুও? ইতিহাস জানান দেয় – না। সম্পর্কের দীর্ঘশ্বাস এভাবেই পাক খেয়েছিল সেবার, ঠাকুরবাড়ির দেওয়ালে-দেওয়ালে। ... ...
তখন পুলুর কচি বয়েস তখন পুলু ছাত্র খাতার মধ্যে স্বপনকুমার স্বপ্ন শুরু মাত্র... ... ...
বিউলির ডালভাদ্রের যে এমন নাভিশ্বাসের গরম আছে ইন্দুবালা আগে কখনও জানতেন না। কিম্বা ঠাহর করতে পারেননি তেমন। বিয়ের পর ছেনু মিত্তির লেনে এসে বুঝতে পেরেছিলেন শহুরে দমবন্ধ করা পরিবেশ কাকে বলে। গায়ে গায়ে ঠেকানো বাড়ি। চৌকো খোলা ছাদ। বাড়ির ভেতর থেকে একটুস খানি আকাশ। করপোরেশান কলের ছিরছিরে জল। শ্যাওলা ওঠা স্যাঁতসেঁতে দেওয়াল। বড় সোঁদা সোঁদা গন্ধ। আশে পাশে কোন নদী নেই। পুকুর নেই। তার বদলে বাড়ির সামনে আছে মুখ হাঁ করা বড় বড় নালা। তার দুর্গন্ধ। হুল ফোটানো মশা। গা ঘিনঘিনে মাছি। আর সন্ধ্যে হলেই টিমটিমে ... ...
আজকে ৩ জানুয়ারি। পীরেন স্নালের মৃত্যুবার্ষিকী। প্রশ্ন হচ্ছে পীরেন স্নাল কে? কোন দোষ নাই পীরেন স্নাল কে না চিনলে। কারন আমরা একটু বেভুলা জাতি আছি তা আমারা তো জানিই। পীরেন স্নালের কথা বলছি, আগে একটু দুইটা কথা বলে নেই।ধরুন আপনার বাড়ির উঠোনে কি হবে না হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে আপনার বাড়ি থেকে কয়েকশ মাইল দূরে। পরিকল্পনায় আপনার বাড়ি ভেঙ্গে তেঁতুল গাছ লাগানর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, কোন পাসে হয়ত বলা হচ্ছে নাটকের জন্য মঞ্চ বানাবে, কেউ হয়ত বলছে একটা উন্নত মানের বাথরুম কিন্তু রাখবেন দয়া করে! সব ... ...
অধ্যাপক ধীরেশ ভট্টাচার্য, বাবু কমলকুমার মজুমদার, খালাসিটোলার 'আইকন' কালী সাহা মশাই আর শিল্পী সুনীলমাধব সেন --- সবাইকে নিয়ে চলেছেন জন্মখ্যাপা শক্তি, যেন আতাচোরা পাখিটি। ... ...
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় লিজিয়ঁ দ্য-নর পাবার পরে কিছু বিদগ্ধ জনের আলোচনাতে প্রসঙ্গ হিসেবে এনার নামটিও উঠে এসেছে। কারণ ইনি ছিলেন আমাদের সেরিব্রাল ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতিনিধি, যাঁর লেখা রবীন্দ্রনাথের পর সবথেকে বেশি ফরাসী ভাষায় অনুবাদ হয়েছে, এবং ইংরেজি ভাষাতে অনুবাদ না হবার দরুন অ্যাংলোসেন্ট্রিক বাঙালী তাঁকে মনে রাখেনি। অথচ তিনিও সৌমিত্র-র মতই ফরাসি সরকারের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। লোকনাথ ভট্টাচার্য্য (1927-2001) ছিলেন সেই বিরল হয়ে আসা সেরিব্রাল ধারাটির প্রতীক, যিনি বাংলা ভাষায় লিট ... ...
গল্পটা ঠিক গুরমেহরকে নিয়ে শুরু হয় নি। শুরু হয়েছে তার দুদিন আগে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামজাস কলেজে দুদিনব্যাপী ডিবেটের অনুষ্ঠান ছিল, বিষয় ছিল প্রতিবাদের সংস্কৃতি। তো, সেই ডিবেটের দ্বিতীয় দিনে আমন্ত্রিত বক্তা ছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার, উমর খালিদ।এই অবধি পড়েই নিশ্চয়ই আন্দাজ করে নিয়েছেন কেন অচল সিকি আবার এক বছর বাদে বসে গেছে মন কি বাত লিখতে? বিচ্ছিন্নতাবাদী, রাষ্ট্রবিরোধী, আফজল গুরুর সমর্থক, “ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে” বলে স্লোগান দেওয়া “ভামপন্থী” উমর খালিদকে সেদিন ... ...
এখানে ইন্ডিয়ান গ্রোসারিতে মাঝে মাঝে লাউ পাওয়া যায়। তবে রান্ধুনি নামের মৌরি মসলা পাওয়া যায় না। রান্ধুনী ছাড়া লাউয়ের আসল স্বাদ আসে না। এটা নিয়ে আমার ক্ষোভ থাকলেও আমার স্ত্রীর ক্ষোভ অন্যত্র। তার দরকার কচি লাউ পাতা। লাউ পাতায় কই মাছ ভাতে সিদ্ধ করে খাবে। এটা শিখেছে আমার মায়ের কাছ থেকে। এর তুল্য সুস্বাদু খাবার এ জগতে নেই।ফ্রজেন কই মাছ দেশ থেকে গ্রোসারিতে আসে। কিন্তু কচি লাউ পাতা পাওয়া যায় না।আমার প্রতিবেশি উল্লাহ সাহেব করিতকর্মা লোক। তিনি বললেন, চিন্তা করবেন না। যোগাড় হয়ে যাবে ... ...
আসাম তার চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জি প্রকাশ করেছে। জায়গা হয়নি ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের। বাদ পড়ারা আবেদন করতে পারবে। অনেকের কাছেই এই তালিকা বিস্ময় হিসেবে এসেছে। সংখ্যা এত কমে যাবে ভাবেনি খোদ বিজেপি সরকার। তার ওপরে এই উনিশ লাখের মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যা বেশি। এতে আরও ক্ষিপ্ত বিজেপির নেতারা। যেই আওয়াজ তুলে এত ঘটা করে এই নাগরিক তালিকা করা হল তা পুরোটাই ভেস্তে যেতে বসেছে। রাজ্যের গণপূর্ত, স্বাস্থ্য ও অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা রীতিমত হতাশা ব্যক্ত করেছেন এই তালিকা নিয়ে। বাংলাদেশী মুসলিম তাড়ানোর যে পরি ... ...
নাহ বলতে কোন দ্বিধা নেই একসপ্তা আগেও দীপা কর্মকারের নামটা আমি শুনিনি। সেই ২০১৪ গ্লাসগো কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ পাবার পর হয়তো একটু মাতামাতি হয়েছিল হয়তো। কিন্তু একে জিমন্যাস্ট তাও আবার ত্রিপুরার, এতদিন কার মনে থাকবে বাওয়া? ভুল বুঝবেন না। আমার এই অজ্ঞতায় আমি যে লজ্জিত তা স্বীকার করতে কোন দ্বিধা নেই। তাই আর নতুন করে কমেন্টে “এতদিন মনে পড়েনি, এখন হুজুগে পড়ে নাচানাচি করছে” বলার কোন মানে নেই। নোবেল না পেলে বাঙালি অমর্ত্য সেন, এমনকি রবীন্দ্রনাথকেও মনে রাখত কিনা সন্দেহ।যাই হোক। নিউজফিডে নামটা খুব ঘুরছে দে ... ...
সমকামিতা - একটি প্রাকৃতিক / জন্মগত শারিরীক অবস্থা নাকি অভ্যাসগত / আরোপিত? ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দের ওপর কিছু কি নির্ভর করে নাকি তার কোন জায়্গাই নেই? সমকামিতা কি নৈতিক না অনৈতিক? উচিৎ না অনুচিৎ? গ্রহনযোগ্য না বর্জনীয়?অসংখ্য প্রশ্ন - যার উত্তর নিয়ে কাঁটাছেড়া চলছে৷ চলুক৷ আমরা এখানে এই প্রশ্নগুলির বাইরে বেরিয়ে কিছু বিষয় আলোচনা করতে চাই৷ করতে চাই কারণ সুপ্রীম কোর্ট সম্প্রতি (2013) জানিয়েছেন যে এই সংক্রান্ত আইনটি (দফা 377) বহাল এবং অপরিবর্তিত থাকছে আপাততঃ কারণ দিললী হাইকোর্টের এই আইন পরিবর্তন সংক্র ... ...
কলকাতা শহর এথেন্স বিশেষ। বুদ্ধিজীবীর সন্ধান মিলত দেশপ্রিয় পার্ক তথা রাসবেহারীর ফুটপাতে নিয়ত। দু দশক আগেও। বুলেভার্ডে সবুজ গাছে লাল থোকা ফুল, শরত এসে গেল! বস্তুত, উনিশ শতক যদি উত্তরের মননে ধরা দেয়, বিশ শতক দক্ষিণের। তো, এ হেন কলকাতায় পথচলতে প্রায় ধাক্কা-মেরে-চলে-যাওয়া অটোর মতোই চলে গেছেন বুদ্ধিজীবীরা। কানা ঘেঁষে। বার্লিনে মেঘ করলে, জল ঝড়েছে ফার্ন রোডে..দিনরাত্তির.. দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নতুন কলামে এবারে ধরে রাখবেন, সেসব স্মৃতি, সত্তা ও ভবিষ্যৎ। যা দু দশক পেরিয়েও, পুরোনো বই দোকান ও প্রবীণ নাগরিকের স্মৃতি হাতড়ে তিনি খুঁজে পান; হরপ্পা সভ্যতা। বলবেন, যে সব বিচিত্র মানুষদের দেখেছেন তিনি, তাঁদের নিয়ে। যারা যতটা পাড়ার ততটাই দুনিয়ার..এই মাত্র ফুটপাতের বই তুলে নিয়ে ঘাটছিলেন, একটু পরেই তাঁকে দেখা যাবে কন্সতানতিনোপলের সদর রাস্তায়..এ বাঙালির ভবানীপুর ছিল। রাজারহাট ছিল না। স্বপ্ন ছিল। টাকা ছিল না। সত্তরকে নব্বইয়ের প্রজন্মর এই আকুল খোঁড়ার পিছনে কি রয়েছে? ফ্যাসিবাদের হাওয়ার হিউমিলেয়াশান? নাকি পোস্ট-ট্রুথ ডিস্টোপিয়া? চল্লিশ বছরের অন্ধকারের ব্যবধানে ক্রাইসিস কি মেলাচ্ছে আবার দুটো প্রজন্মকে? ... ...
১৪শ শতক হচ্ছে ইউরোপের মধ্যযুগের শেষ শতক। দুর্ভিক্ষ, প্লেগ মহামারির মত নানান বিপর্যয়ে এই শতাব্দি পরিপূর্ণ। এই শতাব্দীতে জনসংখ্যার হ্রাসের ফলে ইউরোপের কৃষি, বাণিজ্য, শিল্পোৎপাদন সব কিছুতেই বিপর্যয় নেমে আসে। কিন্তু এই বিপর্যয়ের মাঝেই হয়তো আধুনিক যুগের উত্থানের বীজ নিহিত ছিল। এই বিপর্যয়ের প্রভাবের পতন ঘটে তদকালীন সামন্ততন্ত্রের। প্রচুর কৃষক-শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলেও যারা বেঁচে যায় তারা হয়ে ওঠে আগের থেকেও বেশি স্বাধীন, জীবনযাত্রার মান হয় আগের থেকেও উন্নত। এই শতাব্দীর বিপর্যয় আবার প্রভাবিত করেছিল পরের শতকের সমুদ্রযাত্রা, ভারত আবিষ্কার ও এর সাথে বাণিজ্যকে। সব মিলে পৃথিবীর ইতিহাসে এই শতাব্দীর গুরুত্ব অনেক। তাই ইউরোপের ১৪শ শতক সম্পর্কে জানতে চাইলে এই নিবন্ধটি পড়ুন (আগাম সতর্কতা - এই লেখায় সাহিত্যরসের ঘাটতি আছে)। ... ...
তোত্তো-চানের নামের অর্থ ছোট্ট খুকু। তোত্তো-চানের অত্যাচারে তাকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। যদিও সেই সম্পর্কে তোত্তো-চানের বিন্দু মাত্র ধারনা নেই। মায়ের সঙ্গে নতুন স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য সে চলছে। নানা বিষয়ে নানা প্রশ্ন, নানান আগ্রহ তার। স্টেশনের টিকেট চেকার থেকে শুরু করে আশেপাশের সব দিকেই তার সমান আগ্রহ। অন্যদিকে মায়ের দুশ্চিন্তা হচ্ছে নতুন স্কুলে তোত্তো-চান টিকতে পারবে কিনা তা নিয়ে। স্কুল দেখেই তোত্তো-চানের সমস্ত মনোযোগ স্কুলের দিকে চলে গেল। ও বিশ্বাসই করতে পারছিল না এমনও কোন স্কুল হতে পারে। প্ ... ...
অস্বীকার করবার প্রায় কোনও জায়গাই নেই যে ছোটবেলায় আমাদের অনেকেই প্রায় নিয়ার-পারফেক্ট শুদ্ধাচারী ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতিতে বড় হয়েছিলাম। হিন্দি গান শোনা ছিল মহাপাপ, গাওয়া তো উচ্ছন্নে যাওয়ার স্পষ্ট লক্ষণ ছিল। ছোটখাটো বিচ্যুতি, এই যেমন অনুপ জালোটা, মান্না দে এটুকু বাদ দিলে বাংলাময় ছিল আমাদের জীবন। পাড়া কালচারে বড় হয়েছি আমরা। গ্রাম নয়, আবার পুরোদস্তুর শহরও নয়, মফস্বল সংস্কৃতিতে কাজ করত পাড়া-কালচার। শুভানুধ্যায়ী কাকু-জেঠিমা-মোড়ের সিগারেটের দোকানের স্বপনদা, এঁদের স্নেহদৃষ্টির ছায়াতেই আমরা বড় হয়েছি। প্রায়শই ... ...
মিতাকে আমি ভাল করে চিনতাম না। আমিও, ওরই মত, যাদবপুরে বাংলা পড়তাম। ক্লাস করে ফেরার সময় সিঁড়িতে দেখা হত কখনো-সখনো। একই ব্যাচ, একই বিভাগ, বিষয়ও এক, কিন্তু এরকম হয়েই থাকে, আমার বন্ধুমহল আর ওর বন্ধুমহল আলাদা ছিল। আলাপ হয়েছিল রি-ইউনিয়নে। আমার ওপর দায়িত্ব পড়েছিল ডিপার্টমেন্ট সাজানোর, আর আমাকে সাহায্য করার জন্য ছিল আরো দশ-বারোজন, তাদের মধ্যে মিতাও ছিল। টানা চার-পাঁচদিন শোলা কেটে রঙ করে আঠা দিয়ে ঘর সাজাতে সাজাতে রি-ইউনিয়নের আগের দিন খুব ক্লান্ত হয়ে ও বলেছিল, ‘এত খাটলাম, কিছু খাওয়াবি না?’ অগত্যা সবাই মিলে ... ...