বাংলাভাষায় ‘দীক্ষা’ শব্দটি বড়ই অভাগা। ‘শিক্ষা-দীক্ষা’-র মতো যুগলে ছাড়া সে এককভাবে কানে এলেই কেমন একটা ‘ধম্ম-ধম্ম’ গন্ধ পাওয়া যায়! বেশিরভাগ অভিধানেই শব্দটির অর্থ হিসেবে পাওয়া যায়, ‘হিন্দুধর্মীয় সংস্কারবিশেষ’ বা ‘গুরু কর্তৃক শিষ্যকে বিশেষ কোনো দেবতার মন্ত্র দান’ বা ‘নির্দিষ্ট দেবতার উপাসনায় উপদেশ দান’, ইত্যাদি। এই কথা ঠিক যে, হিন্দুধর্ম্মে শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব, ইত্যাদি বিভিন্ন মতে দীক্ষার প্রচলন আছে। তান্ত্রিক মতে দীক্ষা দুই প্রকারের হয়, ‘বহির্দীক্ষা’ ও ‘অন্তর্দীক্ষা’। পূজা, হোম প্র ... ...
মামাতো ভাই ইমুর নামে প্রায়ই উল্টাপাল্টা কথা শুনি। পাশের বাসার আন্টি প্রায় রোজই আমাকে দেখলেই বলেন, তোমার ভাই এত বেসন কেনে কেন? পাড়ার দোকান থেকে যখনই দেখি বেসন কিনছে। আর বারবার বলে বেসনের দাম এত বাড়াইছেন,আব্বার কাছ থেকে টাকা নেয়াই ঝামেলা। এত বেসন সে কি করে? তোমরা কি ভাজাভুজির ব্যবসা শুরু করেছো?ব্যাপারটা বুঝে নিয়ে আমিও হালকা হেসে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে করতে বলি,রোজার মাসতো আন্টি! বেসন একটু বেশী লাগে। তাছাড়া আমাদের বাসার সবার চপ,পেঁয়াজু এসব একটু বেশী পছন্দ।কিন্তু ভ ... ...
কিছু টাকা তোলার চেষ্টা কিরছি আমার মামার ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য।রোগটি জটিল ও ভীষণ ব্যয় সাপেক্ষ। আর্থিক অসঙ্গতির জন্য প্রথমে সরকারি হাসপাতালে (নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ) চেষ্টা করা হয়রছিল কিন্তু রোগীর শারীরিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে নিউটাউন টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালের দ্বারস্থ হয়।ওনারা যা এস্টিমেট দিয়েছেন তাতে চিকিৎসার খরচ প্রায় ৫ লাখ(সমস্ত মেডিকেল চেকআপ, সিটিস্ক্যান, এম আর আই যা এস্টিমেশনের মধ্যে ধরা নেই)এখনো অবধি আমরা সমস্ত রকম ব্লাড টেস্ট, সিটি স্ক্যান এম আর আই, কোলনস্ ... ...
৩৪ বছরের বাম শাসনে অত্যাচার ছিল। সরকারী অব্যবস্থা ছিল। স্বজন পোষণ ছিল। লোকাল কমিটির একচ্ছত্র ক্ষমতা ছিল। সামান্য আড়াল রেখে তোলাবাজিও ছিল। এমন কি আর্থিক কেলেঙ্কারীও ছিল। একজন সিপিএম কর্মী সমর্থক হিসাবে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। এগুলো জেনেই মাঠে নেমেছি।৩৪ বছরের পালা শেষ হবার পরে আরো আট বছর কেটে গেছে। উপরিউক্ত প্রত্যেকটা সমস্যা এখনো শুধু আছে তাই নয়, শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে এমন জাঁকিয়ে বসেছে, মাঝে মাঝে মনে হয় যেন তারাই শুধু আছে। সেটাও সত্যি নয়, বর্তমান সরকারেরও কিছু ভাল দিক আছে, বিরোধী ... ...
আপনাকে কিছু কথা বলার আছে। এটা সেই সময় যখন "গণশত্রু" পাঁচবার দেখা হয়ে গেছে। কিন্তু খুব কষ্ট হচ্ছে দেখে। হাঁসফাঁস লাগছে। সত্যজিত তখন স্বাস্থ্যজনিত কারনে আউটডোর শুটিং বন্ধ করে দিয়েছেন। বাড়িতে অতিথি আসামাত্র ডাক্তার গৃহিণী বলছেন,"আপনি চা খাবেন তো?" অতিথি তখনও দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। খবরের কাগজের সম্পাদককে আনন্দিত চিত্তে বলছেন, "আমার মেয়ে একটা স্কুলে চাকরি করে।রমেশের সঙ্গে বিয়েটা হয়ে গেলে অবশ্য চাকরিটা ছেড়ে দেবে।" এতে কারুর কোনো ভাবান্তর দেখা যাচ্ছে না। ডাক্তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস ... ...
ফেক আইডিতে সুন্দর একটা মেয়ের ছবি প্রোফাইলে দিয়ে বরকে নক দিলাম। "কেমন আছেন? আপনি আমার রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করছেন না কেন?"ঘন্টাখানেক পর রিপ্লাই পেলাম,"আসলে এই আইডিতে একটু সমস্যা আছে,এটাতে সব ফ্যামিলি মেম্বার! বাইরের মেয়ে দেখলে রাগ করে। আপনি আমার ফেক আইডিতে রিকোয়েস্ট দিতে পারেন!''আমি আঁতকে উঠলাম। দুঃখী চোখে মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললাম,-আপনার ফেক আইডির লিংক দেন।সে লিংক পাঠালো। আইডি নেম, এলোন বয় শিহাব! প্রোফাইলে ... ...
ভণিতা করার বিশেষ সময় নেই আজ্ঞে। যা হওয়ার ছিল, হয়ে গেছে আর তারপর যা হওয়ার ছিল সেটাও শুরু হয়ে গেছে। কাজেই সোজা আসল কথায় ঢুকে যাওয়াই ভালো। ভোটের রেজাল্টের দিন সকালে একজন আমাকে বললো "আজ একটু সাবধানে থেকো"। আমি বললাম, "কেন? কেউ আমায় ক্যালাবে বলেছে নাকি"? সে বললো, " না, বলা তো যায় না আজ কে কাকে ক্যালাবে... তাই..." এইবার কথা হচ্ছে, ফাটা দু'রকমের হয়। এক হলো ভয়ে ফেটে যাওয়া, আর দুই, প্রকৃত অর্থেই ফাটা, অর্থাৎ যখন কিনা চচ্চড় করে শব্দ বেরোয়। প্রথমে আমরা দ্বিতীয় রকমের ফাটার কথা ... ...
সবাই বলছেন বাম ভোট রামে গেছে বলেই নাকি বিজেপির এত বাড়বাড়ন্ত। হবেও বা - আমি পলিটিক্স বুঝিনা একথাটা অন্ততঃ ২৩শে মের পরে বুঝেছি - যদিও এটা বুঝিনি যে যে বাম ভোট বামেদেরই ২ টোর বেশী আসন দিতে পারেনি, তারা "শিফট" করে রামেদের ১৮টা কিভাবে দিল। সে আর বুঝবও না হয়তো কোনদিনই - কারণ আমরা তো উদ্ধত। আমরা ভুল থেকে শিখি না।হ্যাঁ আমরা উদ্ধত - কিন্তু মোদির মত উদ্ধত হতে পারলে হয়তো আরেকটু বেশী ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারতাম। মমতার মত উদ্ধত হতে পারলে মুখ্যমন্ত্রী। হ্যাঁ আমরা অত্যাচারী - কিন্তু এন আর ... ...
ভারতের নির্বাচনে কে জিতল তা নিয়ে আমরা বাংলাদেশিরা খুব একটা মাথা না ঘামালেও পারি। আমাদের তেমন কিসছু আসে যায় না আসলে। মোদি সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক বেশ উষ্ণ, অন্য দিকে কংগ্রেস বহু পুরানা বন্ধু আমাদের। কাজেই আমাদের অত চিন্তা না করলেও সমস্যা নেই খুব একটা। তবে যেহেতু প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নির্বাচন, তিন দিক দিয়ে পরিবেষ্টিত আমরা যে দেশ দিয়ে তার নির্বাচন নিয়ে কেউ যদি একটু মাথা ঘামায়ও খুব একটা দোষ দেওয়া যাবে না মনে হয়।এবার আমি একটু মাথা ঘামাই। বিজেপিকে সমর্থন দেওয়া কোন সুস্থ মানুষের ... ...
আম তেলবিয়ের পরে সবুজ রঙের একটা ট্রেনে করে ইন্দুবালা যখন শিয়ালদহ স্টেশনে নেমেছিলেন তখন তাঁর কাছে ইন্ডিয়া দেশটা নতুন। খুলনার কলাপোতা গ্রামের বাড়ির উঠোনে নিভু নিভু আঁচের সামনে ঠাম্মা, বাবার কাছে শোনা গল্পের সাথে তার ঢের অমিল। এতো বড় স্টেশন আগে কোনদিন দেখেননি ইন্দুবালা। দেখবেনটা কী করে? এই যে প্রথম ট্রেনে উঠলেন তিনি। নামলেনও। মাথার ওপর রাজপ্রাসাদের মতো ছাদ দেখলেন। এতোবড় বাড়ি দেখলেন। এতো লোক। সবাই যেন মাথা নীচু করে সামনের দিকে ছুটছে। কেউ কারো সাথে দু-দন্ড দাঁড়িয়ে একটুও কথা বলছে না। কুশল বিন ... ...
আমি যে গান গেয়েছিলেম, মনে রেখো…। '.... আমাদের সময়কার কথা আলাদা। তখন কে ছিলো? ঐ তো গুণে গুণে চারজন। জর্জ, কণিকা, হেমন্ত, আমি। কম্পিটিশনের কোনও প্রশ্নই নেই। ' (একটি সাক্ষাৎকারে সুচিত্রা মিত্র) ... ...
ডক্টর্স ডাইলেমা : হোসেন আলির গল্পবিষাণ বসুচলতি শতকের প্রথম দশকের মাঝামাঝি। তখন মেডিকেল কলেজে। ছাত্র, অর্থাৎ পিজিটি, মানে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি। ক্যানসারের চিকিৎসা বিষয়ে কিছুটা জানাচেনার চেষ্টা করছি। কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, এইসব। সেই সময়ে যাঁদের চিকিৎসার সাথে যুক্ত থেকেছি, তাঁদের কয়েকজনের কথা খুব মনে আছে। ক্যানসার এমনই এক অসুখ, যেখানে জেতার পাশাপাশি হারের সংখ্যা অনেক। আবার, তিনবছরের ছাত্রজীবনে এমন সংখ্যাও কম নয়, যেখানে জয় নাকি পরাজয় ঠিক কোনটা ঘটেছে, সেই খবর পাওয় ... ...
টিভিটা অন করতেই দেখি অফিসের বসকে টিভিতে দেখাচ্ছে। সাংবাদিক তার মুখের সামনে মাইক ধরে বলছে, কতদূর হলো ঈদের শপিং? বস হাসিহাসি মুখ করে বলছেন,এইতো! মাত্র ছেলের পাঞ্জাবী আমার স্যুট আর স্ত্রীর শাড়ি কেনা হয়েছে। এখনো সবই বাকি।সাংবাদিক:কত টাকার শপিং হলো এ পর্যন্ত?বস: এইতো গতকাল আর আজ দিয়ে মাত্র আড়াই লাখের মতো হয়েছে। এখনো যদিও সবই বাকি!আমি বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে আছি। এদিকে আমরা কেউ ঈদ বোনাস পাইনি। বস সবাইকে ডেকে নিয়ে দুঃখী দুঃখী গলায় বলেছেন,এবারের ... ...
‘কেন? আমরা ভাষাটা, হেসে ছেড়ে দেবো?যে ভাষা চাপাবে, চাপে শিখে নেবো?আমি কি ময়না?যে ভাষা শেখাবে শিখে শোভা হবো পিঞ্জরের?’ — করুণারঞ্জন ভট্টাচার্যস্বাধীনতা-পূর্ব সরকারি লোকগণনা অনুযায়ী অসমের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষাভাষী মানুষ ছিলেন বাঙালি। দেশভাগের পরেও অসমে বাঙালি ছিলেন মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। স্বাভাবিক কারণেই সেই সময় অসমিয়া প্রধান সরকারি ভাষা ঘোষিত হলেও সমগ্র অসমে সরকারি স্তরে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে চালু ছিল বাংলা। কিন্তু তার পর শুরু হয় ঠান্ডা মাথায় ছক কষার কাজ। অসমের প্রথ ... ...
‘কেন? আমরা ভাষাটা, হেসে ছেড়ে দেবো?যে ভাষা চাপাবে, চাপে শিখে নেবো?আমি কি ময়না?যে ভাষা শেখাবে শিখে শোভা হবো পিঞ্জরের?’ — করুণারঞ্জন ভট্টাচার্য স্বাধীনতা-পূর্ব সরকারি লোকগণনা অনুযায়ী অসমের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষাভাষী মানুষ ছিলেন বাঙালি। দেশভাগের পরেও অসমে বাঙালি ছিলেন মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। স্বাভাবিক কারণেই সেই সময় অসমিয়া প্রধান সরকারি ভাষা ঘোষিত হলেও সমগ্র অসমে সরকারি স্তরে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে চালু ছিল বাংলা। কিন্তু তার পর শুরু হয় ঠান্ডা মাথায় ছক কষার কাজ। অসমের প্র ... ...
দুইবার এসএসসি ফেইল আর ইন্টারে ইংরেজি আর আইসিটিতে পরপর তিনবার ফেইল করার পর আব্বু হাল ছেড়ে দিয়ে বললেন, "এই মেয়ে আমার চোখে মরে গেছে।" আত্নীয় স্বজন,পাড়া প্রতিবেশী,বন্ধুবান্ধব সবাই একএক করে ধিক্কার জানিয়ে বলে গেল, তোর জীবনে কি হবে? তোর ভবিষ্যত অন্ধকার! সমবয়সী কাউকেই তাদের বাবা-মা আমার সাথে মিশতে দেয় না। বলে, ঐ গাধার সাথে মিশলে ওর মতো হয়ে যাবি। বড়বোনের বাচ্চা হবে। সে একদিন আমাকে কঠিন গলায় বললো, তুই আমার আশেপাশে আসবি না। বাচ্চা পেটে থাকতে মা যার সংস্পর্শে বেশী ... ...
সে ছিল এক দিন আমাদের যৌবনে কলকাতা, যখন, শিক্ষিত ভদ্রজনের এক বড় অংশের মনের ভেতরে লুকোনো সাম্প্রদায়িকতা পোষা থাকত বটে, কিন্তু তাঁরা জানতেন যে সেটা খুব একটা গর্বের বস্তু নয় । সর্বসমক্ষে সে মনোভাব প্রকাশ করতে তাঁরা কিঞ্চিৎ অস্বস্তি বোধ করতেন । ভাল জামাকাপড় পরা শিক্ষিত লোক, তার হাতে জ্যোতিষের আংটি, জামার হাতার তলায় লুকোনো মাদুলি, কথাবার্তার অসতর্ক মুহূর্তে বেরিয়ে পড়া সাম্প্রদায়িকতার ইঙ্গিত, এইসব দেখলেই তাকে নিয়ে আমরা খুব হাসাহাসি করতাম । ওই যে তখন সুমন ‘এমনি আর ওমনির গান’-এর এক পংক্তিতে লিখেছিলেন --- ... ...
কয়েকদিন আগে বন্ধুদের মধ্যে প্রেম নিয়ে এক আলোচনায় জন্ম নেয় এ লেখার বীজ। সেই আলোচনায় একটি কথা আমাকে ভাবায়, প্রেম্ মানে সমর্পণ। মনে পড়ে যায় বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের এক প্রেমপত্রের কথা – “...আমি বেশ কিছু ভালো জিনিস নিয়ে আসার চেষ্টা করব, যা কিছু সম্ভব আমার পক্ষে আর তারপর তুমি ডাকলেই আমি ছুটে যাব পরের ট্রেন ধরেই, যে অবস্থায় থাকব সেই অবস্থাতেই। কিন্তু এটাকে আমার দুর্বল নম্রতা ভেবো না, আমি নম্র খুব একটা নই। এ আমার গর্বিত সমর্পণ। এভাবে আমি সবার সঙ্গে মিশি না।““গর্বিত সমর্পণ”...কি বোঝাতে চেয়েছি ... ...
হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান আদতে একই প্রকল্পের অংশ। আজকের সরকারি হিন্দি একটি অর্বাচীন ভাষা, তথাকথিত নব্য হিন্দুত্বের হাত ধরেই তার জন্ম। দেশভাগের আগে একটি-পৃথক-ভাষা হিসেবে হিন্দির কোনো অস্তিত্ব ছিলনা। ১৯৩৮ সালে হরিপুরা কংগ্রেসের ভাষণে সুভাষচন্দ্র বসু অখণ্ড ভারতবর্ষের যোগাযোগরক্ষাকারী হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন 'হিন্দুস্তানি'কে, হিন্দি নয়। হিন্দি বা উর্দু নামের আলাদা কোনো ভাষা সে সময় ছিলনা। শব্দদুটো ছিল, তারা লিপির পার্থক্য বোঝাতে হিন্দুস্তানির প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হত মাত্র। আর এই হিন্দুস্তানি কোন ... ...
"লাবণ্য! লাবণ্য!! লাবণ্য!!! আমি মা হতে চলেছি!"নীরা আপুর কথায় আঁতকে উঠলাম। নীরা আপু আমার ফুপাতো বোন। এখনো বিয়ে হয়নি তার। সেই মেয়ে মা হতে চলেছে আর সেটা এত আনন্দের সাথে বলছে!আমি ভীতু গলায় বললাম, কি বলো এইসব তুমি! তোমার এখনো বিয়ে হয়নি আর তুমি এই আকাম করে এসেছো! ছিঃ আপু ছিঃ!নীরা আপু ঠাস করে আমার গালে একটা চড় কসিয়ে দিয়ে বললেন, বাচ্চা হতে বিয়ে হওয়া লাগে? বাচ্চা হতে যদি বিয়ে হওয়া লাগতো তাহলে বিয়ের আগে বাচ্চা হওয়ার সিস্টেমই থাকতো না। এইসব সমাজের অন্ধ কা ... ...