এখন বুঝতে পারি যে সেবার কানকুনে গিয়ে আমি এই ভিন্নায়নেরই জালে পড়েছিলাম। সেখানে সবই আছে, একেবারে দস্তুরমতো, ঝাঁ-চকচকে, কিন্তু, আমি যেন থেকেও নেই। আমি যেন সব পেতে চাই, কিন্তু কোথায় যেন বাধে। আমার একইরকম পোশাক-পরিচ্ছদ, একই বুলি, একই পড়াশুনো, একই গবেষণা - তবুও আমি আর সবার থেকে দূরে, আর সবার থেকে ভিন্ন। দস্তয়েভস্কির লেখায় যেন এক ভিন্নায়িত মানুষেরই মনের গোপন অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা ভয়মিশ্রিত বিস্ময়বিষাদের অনুরণন ধরা পড়ে। ... ...
একসাথে থাকতে গিয়ে ধর্ম কখনও মাঝখানে এসে দাঁড়ায় নি। মতান্তর হয়েছে অনেক সময় অনেক বিষয়ে, যেমন অন্য যে কোন পরিবারে হয়। তাই বলে কেউ কারো ধর্মীয় মত অন্যজনের ওপর চাপিয়ে দেয় নি। ঈদ বা দুর্গাপুজো দুজনের কাছেই ছিল উৎসব। ... ...
প্লেটো থেকে হিউম অবধি সকলেই প্রায় নানা আঙ্গিকে আত্মহত্যার আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আত্মহত্যার মনস্তত্ত্বের দিকটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। যুগে যুগে আত্মহত্যার আশ্রয় নিতে দেখা গেছে এমন বহু মানুষকে যাদের জীবনে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক প্রভাবগুলির প্রতিকূলতা প্রায় কিছুই ছিল না। তবুও, তাঁরা সে পথ বেছে নিয়েছিলেন। সুতরাং, আত্মহত্যার অন্তরালে যে কারণের বৈপরীত্য, ব্যাপকতা ও দ্বন্দ্বময়তা দেখা যায় তা শুধুমাত্র মনস্তত্ত্বের আঙ্গিকেই সুবিচার লাভ করে। ... ...
দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমি কিছু সোচ্চার বর্ণবাদী বাঙালি ভদ্রসন্তানের কাছে আসন্ন অমঙ্গলের সংকেত। এই অ্যাকাডেমি সফল হলে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ওপর ভদ্রসমাজের বংশানুক্রমিক বজ্রআঁটুনি শিথিল হবার সম্ভবনা রয়েছে। ভদ্রসমাজের একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতেই দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির ওপর আক্রমণ হানার চেষ্টা চলেছে। এক্সক্লুশানের সংস্কৃতি এক ভগ্নপ্রায় সংস্কৃতি। বাঙালি ভদ্রসমাজের এই অপচেষ্টা ব্যর্থ না করতে পারলে সমগ্র বঙ্গসংস্কৃতিই চরম সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে। ... ...
আনন্দবাই-এর জীবন বড়ো সুখের ছিলনা। মহারাষ্ট্রের কল্যাণে এক ক্ষয়িষ্ণু জমিদার পরিবারে জন্ম ৩১ মার্চ, ১৮৬৫। পরিবারের ১০ সন্তানের মাঝে ৬ নম্বর সন্তান তিনি। তাঁর আরও পাঁচ বোন এবং চার ভাই ছিল (অবশ্য দুজন পুত্র সন্তানের অকালমৃত্যু হয়)। মাত্র ৯ বছর বয়সে ৩১ মার্চ, ১৮৭৪ সালে বিয়ে হল তাঁর চেয়ে ২০ বছরের বড়ো গোপালরাও যোশীর সাথে। আনন্দবাই স্বামীর রাখা নাম – “হৃদয়ের আনন্দ”, বাবার বাড়িতে নাম ছিল যমুনা। আনন্দবাই-এর ১৪ বচর বয়সে অর্থাৎ ১৮৭৮ সালে এক সন্তানের জন্ম হয়। ১০ দিনের মাথায় সে সন্তান মারা যায়। তাঁর গভীর উপলব্ধি হল যে উপযুক্ত চিকিৎসক না থাকার জন্য শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা তাঁকে চিকিৎসক হবার ব্রতের দিকে যেতে উজ্জীবিত করে তুললো। সন্তানের মৃত্যুর পরে তাঁর উপলব্ধি আমাদের গভীরভাবে নাড়া দিয়ে যায় – “একটি শিশুর মৃত্যু তার পিতার কোন ক্ষতি করেনা, কিন্তু মা চায় না তার সন্তান তাকে ছেড়ে চলে যাক।” ... ...
জামিনে মুক্ত বারোটি বর্ণহিন্দু পরিবারের পুরুষ, মহিলা, এমনকী নাবালকরাও ঝাঁপিয়ে পড়ে সুরেখা, সুধীর, রোশন, আর সতের বছরের প্রিয়াঙ্কার ওপর। ভাইয়ালাল সেই সময় বাড়ির বাইরে ছিলেন, বাঁচাতে পারেননি তাঁর পরিবারের কাউকে। বাড়ি থাকলেও বাঁচাতে পারতেন বলে মনে হয় না। হয়ত নিজেই বাঁচতেন না। বর্ণহিন্দু মহিলারা টেনে বের করে আনে সুরেখা, সুধীর, রোশন, প্রিয়াঙ্কার দলিত দেহগুলি, আর ছুঁড়ে দেয় তাদের পুরুষদের উন্মত্ত বাহুতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হতে। ... ...
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং আরএসএস এর সমালোচনা করে গর্গ জানালেন, খুব সুকৌশলে হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্থানের একটি প্রকল্প বাঙালির ওপর চাপানো হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বাংলায় কথা বলার জন্য অপদস্থ হতে হচ্ছে বাঙালিকে। এ ধরনের ঘটনার বিরোধিতায় বাংলা পক্ষ সর্বদা তৎপর থেকেছে বলে তাঁর দাবি। ... ...
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মহিলা ছাত্রদের ভর্তি করা নিয়ে চিন্তাভাবনা ১৮৭৬ সাল থেকে শুরু হয়। সেসময়ের বাংলার লেফটন্যান্ট গভর্নর স্যার রিচার্ড টেম্পল এ বিষয়ে উৎসাহী ছিলেন। ১৮৮১-তে প্রধানত ভর্তি হতে উৎসাহী ছাত্রীদের অভিভাবকদের চাপে এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় “discussing the question of accepting an inferior admission qualification for lady students.” (Centenary Volume, 1935, p.46) এই দলিলের ভাষ্য অনুযায়ী সম্ভবত ১৮৮৪ সালে প্রথম মহিলা হিসেবে কাদম্বিনী গাঙ্গুলি অ্যাডমিশন নেন (বা বলা ভালো অ্যাডমিশনের অধিকার পান)। উল্লেখ করা দরকার যেহেতু অক্সফোর্ড এবং কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের প্রবেশাধিকার ছিলনা সেজন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ মহিলাদের ভর্তির ব্যাপারে গররাজি ছিল। ... ...
ইজ্জতের দোহাইতে মুড়ে এ কালে বানান হয়েছে লাভ জিহাদ, যদিও এদেশে কোথাও হিন্দুত্ববাদীদের বানানো অর্থে লাভ জিহাদ হয়েছে এমন প্রমাণ নেই। অর্থাৎ প্রেমের ভান করে সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় লাভ তুলতে চাইছে কোন সংখ্যালঘু যুবক, এরকম প্রমাণ আজও নেই। প্রমাণ নেই যে এই কাজের দ্বারা সে হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছে। ... ...
শুধু পাহাড়গুলো চাষের আওতায় আনলেই চলবে না, সব ঝোপঝাড়ও কেটে ফেলতে হবে, কেননা সেগুলো অপ্রয়োজনীয়। কেননা সেখানে স্থান নেয় নানান বুনো জানোয়ার। এই প্রাণীরা ফসলে ভাগ বসায়, কিংবা মাংসাশী হলে মানুষ আর গবাদি পশুর ওপরই হামলা চালায়। পাহাড়ে কোনো বুনো প্রাণীর প্রাকৃতিক আশ্রয় থাকা চলবে না। পাহাড়ের মতোই সেই একই ভাবনার নমুনাই আমরা দেখতে পাবো উপকূলীয় অরণ্যের বেলাতেও। উপকূলীয় এই শ্বাসমূলীয় উদ্ভিদেরা এমনিতেও তখন মারা পড়ছে খাড়ি দিয়ে আসা জোয়ারের লোনা জল বন্ধ করায়, কিন্তু যেটুকু বাকি আছে, সেগুলোও কেটে ফেলার তাগিদ দিচ্ছেন বুখানন। এভাবেই ৯ এপ্রিলের ভুক্তিতে রামুর উপকূলে গজিয়ে ওঠা 'অপ্রয়োজনীয়' সুন্দরী গাছদের জন্যও মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বুখানন, নোনা জোয়ারের আগমনে সেগুলোর একটা বড় অংশের মৃত্যুদণ্ড ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়ে যাওয়ায় সন্তোষও প্রকাশ করছেন ... ...
মধ্যমানের ও তুলনামূলক কম অভিজ্ঞ কর্মী নেওয়ার একটা বিশেষ সুবিধাও রয়েছে। তা কম খরচসাপেক্ষ। একটু কম দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী নিয়োগ করা এবং নির্ভুল হতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা না-রাখা, অনেকটা খরচ বাঁচায়। এর ফলে অত্যুচ্চপদস্থ উপরওয়ালা, কম লগ্নির মাধ্যমে আরও একটি আঞ্চলিক ভাষায় ব্যবসা সম্প্রসারণ ঘটিয়ে দিয়ে তস্য উপরওয়ালার সুনজরে থাকতে পারেন এবং নিজস্ব উচ্চ বেতন ও অন্যান্য সুযোগসুবিধার রক্ষাকবচ বজায় রাখতে পারেন। আরও একটি দৈনন্দিন সুবিধাও এর ফলে ঘটে। কম দক্ষতাসম্পন্নরা অনেক বেশি ইয়েস ম্যান গোত্রের হয়ে থাকেন। তাঁদের তর্ক করার প্রবণতা কম থাকে, যে তর্ক একদা নিউজরুমকে জাগরূক রাখত। ... ...
ফ্রম আলপিন টু আল কায়দা – বিবিধ বিষয়ে প্রবন্ধ ফাঁদতে ঘুরে-ফিরে আসতে লাগল সম্পাদকের পছন্দের তালিকায় থাকা একই নাম। ফলে অধিকারীভেদ রইল না, বই কিংবা উইকি-টোকা রচনায় মৌলিকতা পৌঁছোল তলানিতে। লেখক-সম্পাদক ভাই-ভাই হয়ে উঠল আর বিনা বাক্যব্যয়ে লেখা আসামাত্রই চলে গেল কম্পোজে, সামান্যতম কাটাছেঁড়া ছাড়াই। কফির টেবিলে তুফান উঠল না, উঁকি দিয়ে গেল না সারস্বত মতান্তরের লেশমাত্র। কেবল অধ্যাপকের চাঁদমারি হয়ে প্রচ্ছদে আইএসএসএন আর ভিতরে আমাদের নাম ছাপা হতে থাকল ঈষৎ বড়ো পয়েন্টে, সম্পাদক হিসেবে। ... ...
সর্বভারতীয় বলে পরিচিত যে ইংরেজি কাগজগুলো, সেগুলোর শিরোনামে প্রায়শই হিন্দি শব্দ/শব্দবন্ধ নিয়ে খেলা লক্ষ্য করা যায়, রোমান হরফে পুরোপুরি হিন্দি শিরোনামও দেখা যায়। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে ২০১০ এর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এন ডি এ জোট জয়ী হওয়ার পর ‘দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এর শিরোনাম ছিল ‘Rajnitish’। ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’ র পাতায় অভিনেত্রী জেসি রনধাওয়া সম্বন্ধে প্রতিবেদনে ‘Jesse jaisi koi nahin’ শিরোনাম ব্যবহৃত হয়েছে। স্পষ্টতই এইসব কাগজের হিন্দিভাষী সম্পাদকরা ধরে নেন যে পাঠকের মাতৃভাষা হিন্দি নয়, সে-ও হিন্দি বোঝে। বাংলা, ওড়িশা বা দক্ষিণ ভারতের পাঠকদের অসুবিধার কথা ভাবা হয় না। ... ...
বই ছাপতে গেলে প্রথমে কী লাগে? বা কী কী লাগে? মাল মানে অর্থ লাগে, লগ্নি লাগে – তার পর তো অন্য কথা। অর্থাৎ একজন ইনভেস্টর চাই – কিন্তু তাঁকে তো ইনভেস্ট করিয়ে ডুবিয়ে দেওয়া যায় না – সুতরাং…। তাহলে দাঁড়াচ্ছে, একজন গাইড করার লোক চাই, এবং সেই মালটিই আসল মাল যে মাল এনে দেওয়ার রাস্তা দেখাবে। হ্যাঁ, ইনিই হলেন এডিটর বা সম্পাদক – আসলে দুকান কাটা এবং চার অক্ষর। ... ...
ডাঃ বোস বেশ জোরের সঙ্গে বলেছেন যে গাঁজা টানেন এবং ভাং পান করেন কলকাতা শহরের জনসংখ্যার প্রায় একের আট ভাগ মানুষ। যে সমস্ত শ্রমজীবীরা হাড়ভাঙা খাটুনির ক্লান্তি দূর করতে গাঁজা-ভাং ব্যবহার করেন, কিংবা জলবহনকারী ভিস্তির দল ও বাড়ির চাকরেরা, তাঁদের প্রতি খুবই অবিচার হবে যদি তাঁদের গাঁজা- ভাং বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই কোনোরকমেই নিষেধাজ্ঞা একটা বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হতে পারেনা। শুধু যে এতে মদের ব্যবহার বেড়ে যাবে তাই নয়, রাজনৈতিক অসন্তোষও ধূমায়িত হতে পারে। তাঁর চিকিৎসক জীবনে তিনি মোট তিরিশটা ইন্স্যানিটির কেস দেখেছেন কিন্তু কোনোটারই কারণ গাঁজা-ভাং ব্যবহারের জন্য নয়। গাঁজা-ভাং ব্যবহারে উন্মাদ রোগ হতে পারে বলে তিনি মনে করেন নি। ... ...
রাষ্ট্রসংঘের একাধিক মানবাধিকার ঘোষণায়, সনদে ‘জরুরি অবস্থায়’ রাষ্ট্রের হাতে (ইউ এন এর পরিভাষায় নেশন) কিছু বিশেষ ক্ষমতার ব্যবহার ও কিছু নাগরিক/মানবাধিকারের উপর নিয়ন্ত্রণের অনুমোদন দেওয়া আছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সেই ধরনের বিপর্যয়ভুক্ত। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এ কথাও বলা জরুরি যে, এই ‘বিশেষ ক্ষমতা’ মোটেই নিরঙ্কুশ নয়। ... ...
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সরকারি কর্মীর হাতে, পুলিশের হাতে, সেনাবাহিনীর হাতে, বিচারকদের হাতে, সাংবাদিকদের বা প্রচার মাধ্যমের হাতে, ব্যবসায়ীদের হাতে, এমনকি জঙ্গিদের হাতেও থাকে স্বেচ্ছাচারিতার অগাধ ক্ষমতার উপস্থিতি। তারাই ক্ষমতা বৃত্তের ভরকেন্দ্র। সাধারণ মানুষ এখানে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। ... ...
এ দেশে মহৎ স্থাপত্যকে গুঁড়িয়ে দেওয়া কিছু মানুষ কর্ম বলে বিবেচনা করেন, আদালত সে ঘটনায় দোষী খুঁজে পায় না, অন্যদিকে কাল্পনিক মহাকাব্য স্থান পায় লক্ষ্মীর আসনের নিত্যকর্ম পদ্ধতির পাশে। হিন্দুর পুজোকে এদেশে সামাজিক উৎসব আখ্যা দিয়ে দেওয়া হয়, ধর্মীয় আচারকে সামাজিক নাম দিয়ে তাতে মেতে ওঠেন লিবারাল, সেকুলার, মায় নাস্তিক বলে দাবি করা লিবারেলরা। ... ...
মৃত্যুদণ্ড বা ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড, এসব অপরাধ কমাতে কতটা কার্যকর, সে পৃথক তর্কে না গিয়েও এই যে তাৎক্ষণিক ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা, তা কোনও আইন বা সংহিতা (কোড)গ্রাহ্য হতে পারে না। আইনের রাস্তায় কোনও অপরাধ প্রমাণে সময় লাগে, তা সে যত ন্যূনতমই হোক না কেন। এখন একটা সওয়াল প্রায়শই ওঠে, যে এই তাৎক্ষণিক শাস্তিদানের আকাঙ্ক্ষা আসলে বিলম্বিত বিচারের অতিপ্রতিক্রিয়া। ... ...
সেপ্টেম্বরের এক রাত্রিবেলা যাদবপুর শ্রমজীবী ক্যান্টিনে স্বেচ্ছাশ্রমিকরা প্যাকেট তৈরির কাজ শেষ করে ক্যান্টিন থেকে বেরোচ্ছে, তখন তিনি এলেন। দরজার সামনে রাস্তার ওপর জটলার মাঝে এসেই বললেন- 'আপনারা কি কমরেড?' সম্মতিসূচক উত্তর পেয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে রেড স্যালুট দিয়ে জানালেন - 'আমিও কমরেড।' ... ...