গ্রামেরই একজন বাসিন্দা গোকুল মাইতি আমাদের বলেন যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বদলে গ্রামে অশান্তিই দেখা দেয়। জোর করে গ্রামবাসীদের দিয়ে ক্যাম্পের রান্না করানো, কাপড় কাচানো হত। ওই গ্রামেরই প্রদীপ রায়ের বক্তব্য অনুসারে ক্যাম্পে মোটামুটি ২০ থেকে ২৫ জন সশস্ত্র ব্যক্তি ছিল। একেকজন গ্রামবাসীকে একদিনে ৪০ থেকে ৫০টা চাপাটি তৈরি করতে বাধ্য করা হত। রান্না ভালো না হলে বা নুন বেশি হলে বা রাঁধুনীর যে কোনও ভুলের জন্য ক্যাম্পবাসীদের গালিগালাজ শুনতে হত। একদিন তারা গ্রামবাসীদের বন্দুক দেখিয়ে সিপিআই (এম)-এর মিছিলে অংশ নিতে বাধ্য করে। এই জোর-জবরদস্তির চাপে নিরস্ত্র গ্রামবাসীরা ক্যাম্পের সশস্ত্র ব্যক্তিদের পাহারাও দিয়ে থাকতেন। অনিচ্ছাসত্ত্বেও তাঁদের সেই ক্যাম্পের সমস্ত আদেশই মেনে চলতে হচ্ছিল। ক্যাম্পে সময় দেওয়ার জন্য চাষের কাজের ক্ষতি হচ্ছিল, আর ক্যাম্প-সদস্যরা গ্রামবাসীদের সম্মান রক্ষা করছিলেন এমনও নয়। ক্যাম্প তৈরি হওয়ার পরে সিআরপিএফ-এর টহলদারি বন্ধ হয়ে যায়। সিআরপিএফ ওই গ্রামের ভবিষ্যৎ ক্যাম্পের হার্মাদদের হাতেই ছেড়ে দেয়। নেতাই গ্রামের ক্যাম্পের ৩ থেকে ৪ কিলোমিটারের মধ্যেই বীরকর, বেলাটিকরি আর সিজুয়াতে সিপিআই (এম)-এর হার্মাদ বাহিনীর অন্যান্য ক্যাম্প রয়েছে। হার্মাদ বাহিনীর ভয়ে কাঁটা হয়েই গ্রামবাসীদের দিন কাটছিল। ... ...
তিনি বলছেন ইন্ডিয়ার কয়েকশ' মিলিয়ন গরিবলোকের উপকার, যাদের কোনো আইডেন্টিটি নেই, যারা কোনো বেনিফিট পান না। তিনি আরও বলছেন ঝুঁকির থেকেও বড় হল এই গরিবলোকেদের আইডেন্টিটি দেওয়া, তবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে ঝুঁকি পুরোপুরি দূর হয়। এর পরই অরুণোদয় মুন্সিয়ানার সাথে আমাদের দেখাচ্ছেন একটি উপকারের উদাহরণ। দিনমজুর রাম বাবুর নম্বর না থাকার জন্য এতদিন সেল ফোন হচ্ছিল না, এখন আইডেন্টিফিকেশন হবার সাথে সাথে সেলফোন হল - আই ডি কে ধন্যবাদ। তার পর আবার অরুণোদয়ের তথ্য সম্বৃদ্ধ রিপোর্টিং - ৩০০০কোটি টাকার প্রজেক্ট শুরু হচ্ছে "পুওরেস্ট অফ দ্য পুওর'-দের দিয়ে। ২০১৪ সালের মধ্যে ৬০০ মিলিয়ন ভারতবাসী এই কার্ড পাবেন। একজন আদর্শ সাংবাদিকের মত অরুণোদয় লেখার শেষদিকে ইন্ডিয়ানদের আশার আলো দেখাচ্ছেন। বলছেন, হরি সিং-এর মত ভিখারীরাও, যারা দিল্লীর ওখলা ফ্লাই-ওভারের তলায় থাকেন, আশা করছেন লাইফ বেটার হবে, - "থ্যাংক্স্ টু এ ফিউ ডিজিট্স্।' আই ডি ছাড়া ফ্লাই-ওভারের তলায় থাকা আর আই ডি নিয়ে ফ্লাই-ওভারের তলায় থাকার যে তফাত, তা বুঝে নিতে কোনো অসুবিধেই হল না এইবার। ... ...
১। জনৈক দীপক চৌবে তাঁর সাক্ষ্যে বলেছেন ¢ত¢ন নারায়ণ সান্যালকে পু¢লশ গ্রেপ্তার করার ¢কছু¢দন আগে ডাক্তার ¢বনায়ক সেন-এর সুপা¢রশক্রমে ¢নজের বা¢ড়তে ভাড়া থাকতে ¢দয়ে¢ছলেন। ¢বচারপ¢ত এই তথ্য¢ট উপেক্ষা করেছেন যে দীপক চৌবে আদৌ ঐ বা¢ড়র মা¢লক নন এবং বা¢ড়¢ট ¢ত¢ন ভ¢গ্নপ¢তর হয়ে ভাড়া ¢দয়ে¢ছলেন। ¢ত¢ন বা¢ড়র মা¢লক না হওয়া সত্ত্বেও পু¢লশ বা¢ড়র মা¢লক ¢হসেবে তাঁর সাক্ষ্য ন¢তভুক্ত করেছে। ২। রায়ে প্রকাশ, ডাক্তার ¢বনায়ক সেন মাওবাদী নেতা নারায়ণ সান্যাল-এর সঙ্গে গত ১৮ মাসে ৩৩ বার দেখা করে¢ছলেন, ¢কন্তু এই তথ্য অনু¢ল্ল¢খত থেকে ¢গয়েছে যে প্র¢ত¢ট সাক্ষাৎই জেল কত«Ñপক্ষের আগাম অনুম¢তর ¢ভ¢ত্ততে হয়ে¢ছলো। ¢বচারপ¢ত একজনও জেল কর্মচারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ¢ন। ৩। ¢বচারপ¢ত প্রশ্নাতীতভাবে পু¢লশের ¢ববরণী গ্রহণ করেছেন জব্দকালীন সাক্ষী অ¢নল ¢সং-এর বয়ানের ¢ভ¢ত্ততে। এ¢বষয়ে পীযূষ গুহ ও সহ-অ¢ভযুক্ত ডাক্তার ¢বনায়ক সেন-এর আপ¢ত্ত - যে পু¢লশ পীযূষ গুহকে গ্রপ্তারের পরে গুহ এবং পু¢লশের এক¢ট কথোপকথন সাক্ষীর কণর্গোচর হয়ে¢ছলো এবং পু¢লশী হেফাজতে থাকাকালীন পীযূষ গুহ-র সমع বক্তব্য ভারতীয় প্রমাণ আইন, ১৮৭২ অনুসারে প্রমাণ ¢হসাবে বে-আই¢ন - তা সম্পূর্ণত: অস্বীকার করা হয়েছে। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে সাক্ষী অ¢নল ¢সং তল্লা¢শ ও ধরপাকড়-এর সময়ে পু¢লশের সহগামী ¢ছলেন না, ও ¢ববরণানুযায়ী একজন ¢নকটবর্তী ব্য¢ক্ত, যাঁকে পু¢লশ গুহ-র গ্রেপ্তারের পরে থা¢ময়ে সক্ষক্ষী করে¢ছলো। আসামী পদ্ধ¢ত ¢ব¢ধ-র ১৬২ ধারা অনুসারে কোন অ¢ভযুক্ত / সাক্ষী পু¢লশী হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর সমع বক্তব্য সাক্ষ্যপ্রমাণ ¢হসেবে ব্যবহার করা যায় না - ¢কন্তু এই ¢বচারে তা সর্বতোভাবে উপে¢ক্ষত হয়েছে। ৪। ¢বচারপ¢ত পীযূষ গুহ-র আবেদন - যে চার ¢দন তাঁকে বেআই¢নভাবে আটকে রাখা হয়ে¢ছলো ও হেফাজতে অত্যাচার করা হয়ে¢ছলো - পুরোপু¢র উপেক্ষা করেছেন। ¢বচারের এই উপেক্ষা পু¢লশী অত্যাচারকেই আড়াল করে। ... ...
ধ্যাৎ, আমরা জানি যে ওসব কূটকচালিতে আমাদের মত ছাপোষা মানুষদের পড়তে নেই। তাই শহরের কোন মানবাধিকার কর্মী, কোন সংগ্ঠন এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাইছে না। ঘরে জব্দ দাস ক্যাপিটাল, দুটো চিঠি আর একটি লোকের কথায় যদি বিনায়ক সেনের মত হাই প্রোফইল লোক, যাঁর বিরুদ্ধে কোন ক্রিমিনাল কেস নেই, যিনি বহুবছর ধরে গরীবদের জন্যে স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁকে জেলে পোরা যায় তবে আমরা তো শাকভাত খাওয়া ভেতো বাঙালী। দাস ক্যাপিটাল যে আমার ঘরেও আছে, স্যার। আর ওই হাই প্রোফাইল কেসের পাশাপাশি আরেক কোর্টে এক লো-প্রোফাইল মামলায় এক সত্তর পার বুড়ো বাঙালী অসিত সেনগুপ্ত ঘরে মাওবাদী সাহিত্য রাখার ও এক ছাত্রকে সরকার বদলে মাওবাদী সরকার বানাতে হবে বলার অপরাধে ঐ দেশ্দ্রোহের ধারায় আটবছর জেলে থাকার সাজা পেয়েছেন। বেশ হয়েছে। এবার পি ইউ সি এল এর ছত্তিশগড় ইউনিট বাঙালীমুক্ত হবে। বিনায়ক সেনেরা রায়পুরে মানবাধিকার আন্দোলনকে স্বাস্থ্য ও শিশুদের পরিপ্রেক্ষিতে জুড়ে দিয়ে যে সম্মানজনক ও ঈর্ষণীয় স্তরে নিয়ে গেছিলেন তাতে প্রাক্তন সচিব রাজেন্দ্র সায়েলকে বাঙ্গালোরের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। এখন বিনায়ক জেলে যাওয়ায় সায়েল (যাঁর পেশা বলতে আমেরিকান ক্রিশ্চিয়ান সংস্থার গ্র্যান্ট পাওয়া) আবার রায়পুরে ফিরে এসেছেন। কিন্তু কাজের স্তর কি হবে কে জানে? ... ...
অভিযোগ ও বিচার: ১) ২০০৭-এর মে মাসে বিলাসপুর থেকে গ্রেফতার হন সমাজসেবী চিকিৎসক বিনায়ক সেন,নক্সাল নেতা নারায়ণ সান্যালের চিঠি মাওবাদীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে। ২) বিনায়ক সেন, নক্সাল আইডিওলজিস্ট নারায়ণ সান্যাল ও কোলকাতার ব্যবসায়ী পীযূষ গুহ মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাষ্ট্রবিরোধী নেটওয়ার্ক চালান। ৩) আদালত প্রমাণ পেয়েছে যে ড: বিনায়ক সেন নারায়ণ সান্যালের চিঠি আন্ডারগ্রাউন্ড নক্সাল সংগঠনের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। ৪) ছত্তিসগড় পুলিস যে জনসুরক্ষা অধিনিয়মের ভিত্তিতে বিনায়ক সেনকে গ্রেফতার করেছে উনি শুরু থেকেই সেই অধিনিয়মের বিরোধিতা করছিলেন এবং এটি অসংবিধানিক বলে প্রচার করেছেন। ... ...
গত বিশে ডিসেম্বর ইরানের সরকার জাফর পনাহীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ছ-বছর কারাদণ্ড দেয়। তার সাথে এই ফর্মান জারী করে যে পনাহী কুড়ি বছর কোনো চলচ্চিত্র মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন না, মিডিয়ায় কোনো প্রকার কোনো সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না আর দেশের বাইরেও যেতে পারবেন না। এমন ঘৃণ্য অবিচারের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের চলচ্চিত্রপ্রেমী এককাট্টা হয়ে লড়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। পনাহীর প্রতি এই ধরনের বিদ্বেষ নতুন নয়। ২০০৯-তে ওনাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়, পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০১০-এর শুরুতে ওনাকে আবার ধরা হয়, কাঠ-খড পুড়িয়ে শিল্প-প্রেমীরা দু-লাখ মার্কিন ডলার যোগাড করে তাঁকে জামিনে ছাড়ান। ... ...
উপরের ঘটনাটি থেকে কিছু অসঙ্গতি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, আর তা হল- (১) জনাব তরিকুল ইসলাম, যিনি নিজেই এসএসএফের সহকারী পুলিশ সুপার, তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, মিনা মানসিক রোগী ছিলেন। কিন্তু কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ কি কোন মানসিক রোগীকে গৃহকর্মী হিসেবে কাজে রাখবে? তাহলে কি আইনের ধ্বজাধারী তরিকুল নিজেও বিকারগ্রস্ত? আর কোন মানসিক রোগীকে দিয়ে কাজ করানোটাও বেআইনী, তা তো এসএসএফের সহকারী পুলিশ সুপারের জ্ঞাত না থাকার কথা নয়। এখানে উল্লেখ্য যে, তরিকুলের প্রতিবেশীদের (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সাথে কথা বলে জানা গেছে, মিনা আদতে কখনোই মানসিক রোগী ছিল না। তবে তার উপর চলত ঐ ফ্ল্যাটের বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর অমানুষিক নির্যাতন। ... ...
খুবই অদ্ভূত সেই যন্ত্র। তিনটে আলাদা অংশ। আলাদা তাদের কাজ। আলাদা তাদের নাম। কিন্তু উদ্দেশ্য একই। "জাজমেন্ট' কার্যকর করে এই যন্ত্র। 'জাজমেন্ট' জানান হয় না দন্ডিতকে। ছ'ঘন্টা ধ'রে একটা অংশ অসংখ্য ছুঁচ দিয়ে অনেকটা উল্কির মত 'জাজমেন্ট' খোদাই করে দেয় দণ্ডিতের চামড়ায়। ততক্ষণে দন্ডিত তার শরীর জোড়া রক্তাক্ত ক্ষত থেকে জেনে যায় কী সেই 'জাজমেন্ট'। ... ...
বাঙালির ঐতিহ্য বুঝতে হলে দশমীতে টিভি চালান। আজ একান্নবর্তী পরিবারের দিন। সংসার স্টেশনে ঢুকছে চন্ডীমন্ডপ লোকাল। সিঁদুর খেলা স্পেশাল। ননদ-বৌদি শাশুড়ি-বৌমার আর কোনো ভুল-বোঝাবুঝি নেই। বড়োরা ছোটোদের প্রণাম করছে। ছোটোরা বড়দের আশীর্বাদ ;-)। সম সেক্সে কোলাকুলি হচ্ছে। বিষম সেক্সে ঢলাঢলি। সমকামে নিষেধাজ্ঞা আছে। সবাই সবার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। আকাশ আমায় ভরল আলোয়, আকাশ আমি ভরব গানে। ... ...
থিমের নাকি আকাল। নতুন-নতুন থিম পাওয়া ক্রমশ দুষ্কর হয়ে উঠছে, এই নিয়ে টিভিতে উদ্যোক্তাদের স্লাইট হাহুতাশ শোনা গেল। কারো-কারো কপালে ভাঁজ। কারো মাথায় হাত, কারো বা টাকে। পড়ারই কথা। পুজো শেষ হবার সাতদিন পরেই তাঁরা নাকি পরের বারের প্রস্তুতি শুরু করেন (কি পরিশ্রমী, বাপরে)। ... ...
পুজোয় চাই নতুন জামা আর নতুন গান। ও ও ও ও পুজোর গন্ধ এসেছে। এফএম খুললেই তাই ঝমঝম করে বাজছে "অটোগ্রাফ' ছবির নতুন গান -- আমাকে আমার মতো থাকতে দাও। আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি। অবশ্য চাইলেই বা কে আর কাকে নিজের মতো থাকতে দিচ্ছে কে জানে। ... ...
]এমনিতেই বাঙালির বুদ্ধির ঠেলায় জগৎ উদ্ধার। তার উপরে পুজোর বাজারে লোকে নাকি হঠাৎই সদলবলে অধিক বুদ্ধিমান হয়ে পড়েছে। সক্কলে বুঝে গেছে যে এই মোচ্ছব-ঋতুতে সন্ধ্যেবেলায় রাস্তাঘাটে ভিড়-ভাট্টা হবেই। ফালতু অচেনা লোকের সঙ্গে গা-ঘষাঘষি করে ঘাম ঝরিয়ে মাঝরাত্তিরে ঠাকুর দেখার বদলে বাঙালি নতুন জামা নতুন জুতো ও নতুন বান্ধবী নিয়ে সক্কাল সক্কাল বেরিয়ে পড়েছে রাস্তায়। দলে দলে লোক আজ পথে নেমেছে। ফলে জ্যাম এখন দুপুর থেকেই। আজ হরতাল, আজ চাক্কা বন্ধ। উত্তরে শ্যামবাজার থেকে দক্ষিণে গড়িয়া অব্দি, এয়ারপোর্ট থেকে হাওড়া স্টেশন অব্দি জ্যাম। আজ শুধু হাঁটার দিন। ... ...
এই মৃত্যু নিয়ে চাপান উতোর চলছিলই। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি জানিয়েছিলেন, যে, গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে ছোট পারুলিয়ার জঙ্গল এলাকায় গুলির লড়াই-এ উমাকান্তের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে জনগণের কমিটির তৎকালীন সম্পাদক মনোজ মাহাতো (অধুনা নিখোঁজ) দাবী করেছিলেন, গুলিযুদ্ধ নয়, বরং ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে উমাকান্তকে। সম্প্রতি মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ বা মাসুমের একটি "ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট' এই বিতর্কে আরও একটি মাত্রা যোগ করেছে। ... ...
নব দত্তকে সাদা পোশাকের পুলিশ গ্রেপ্তার করে, যা পুলিশের গ্রেপ্তার বিধি সংক্রান্ত মামলায় (AIR 1997 SC 610) বিচারপতি ডি এ বসুর রায়ের সম্পূর্ণ বিরোধী। নব দত্তের পরিবারকে তার গ্রেপ্তার সম্পর্কে কিছুই জানানো হয় নি। ওঁদের গ্রেপ্তারের সময় কাউকেই কোন 'অ্যারেস্ট মেমো' দেওয়া হয় নি, যা সম্পূর্ণ বেআইনী। এই ঘটনায় পুলিশের কার্যকলাপ প্রমান করে যে আইনের শাসন ভেঙ্গে পড়ার মুখে। সমস্ত ধরনের প্রতিবাদী স্বরকে বোবা করে দেবার স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রযন্ত্র। ... ...
দিল্লীর কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে হট্টগোলের শেষ নেই। হাতে গরম রেফারেন্স হিসেবে রইল তারই এক ঝলক। খবর্নয়ের আজাদি ইস্পেশাল ১। ... ...
দিল্লী থাক। কেমন চলছে ভারতের কমন ওয়েলথ? রইল আরেকটি হাতে গরম রেফারেন্স । খবর্নয়ের আজাদি ইস্পেশাল ২। ... ...
কমন ওয়েলথ ৩। আরও কিছু টুকরো। আজাদি ইস্পেশাল খবর্নয়ের শেষ পর্বে দেখুন-- ভারতবর্ষ: এক উদীয়মান গ্লোবাল সুপারপাওয়ার। ... ...
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার সোমপেটা। এখানে নাগার্জুন কনস্ট্রাকশন কোম্পানীর প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের বিরোধীতা করছেন স্থানীয় মানুষ। এলাকাটি `ইকোলজিক্যালি ফ্রেজাইল' বলে চিহ্নিত এবং প্রকল্পটি রূপায়িত হলে নিকটবর্তী এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যয়ের সন্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেতে যাতে কোন অসুবিধে না হয় সেজন্য বিভিন্ন সরকারি এজেন্সি গুলি দৃশ্যতই মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিয়েছে। ১৪ ই জুলাই পুলিশি প্রহরায় প্রকল্পের কাজ শুরু হলে, জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। উত্তেজিত জনতার উপর পুলিশ গুলি চালালে দুজন মারা যান। ... ...
৩০ জুন, ভোর ৫টা। গ্রামটি ঘিরে ছিলো যৌথ বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশের ৩০০ জনের একটি দল। জঙ্গলে ঝোপে লুকিয়ে ছিলো লাঠি আর বন্দুক। শেষ পর্যন্ত ওরা এলো। মাথায় কলো কাপড়, জংলা ঊর্দি গায়ে ওরা এলো অসংখ্য জিপ আর কালো ভ্যান নিয়ে। সাথে এলো ওখানকারই বীরচন্দ্রী গ্রামের বীর চাঁদেরা, সিপিএম কর্মীরা। প্রশান্ত দাস আর জিতু সাউ, স্থানীয় সিপিএম নেতা। এরা অবশ্য এর কিছুদিন আগে থাকতেই সোনামুখীতে আসছে আর শাসিয়ে যাচ্ছে মহিলাদের - ইজ্জত থাকবে না। ৩০ জুন, যখন যৌথ বাহিনী এলো তখন গ্রামের পুরুষরা সবাই গ্রাম ছেড়ে গেছে। সেটা বড়ো কিছু নয়। এ তো নিত্যনৈমিত্যিক। পুলিশ বা যৌথ বাহিনী আসছে খবর পেলেই পুরুষদের গ্রাম ছেড়ে যেতে হয়। এটাই নিয়ম। অন্যথায় মার-ধোর, জেল-হাজত, মিথ্যা মামলা-হয়রানি। সোনামুখী ও তার আশেপাশের গ্রাম বীরহান্ডি, শিমলি, বাঁকশোল, ঘৃতখাম, দিদিধা, জারুদিয়ায়ও এসব নিত্যিকার ব্যাপার স্যাপার। সরকারী খবর, সোনামুখীতে মাওবাদীরা ছিলো। অথচ সেদিন যারা আহত, লঞ্ছিত হয়েছেন দুজন বয়স্ক মানুষ বদে সকলেই মহিলা । ... ...
আপনার, আমার - আমাদের সক্কলের জীবনে যা একক ও স্বতন্ত্র - আমাদের সেই ডি এন এ সিকোয়েন্সকে সুরে বাঁধার এক আশ্চর্য প্রয়াস নিয়েছেন অ্যান্ড্রু মর্লে নামে এক গান পাগল মানুষ। ... ...