প্রথম দফায় অনশন চলাকালীন যখন একের পর এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং কোনো সরকারি মেডিক্যাল টিমকে পাওয়া যাচ্ছে না তাদের দেখভালের জন্য সেই অবস্থায় ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি প্রতিষ্ঠানটির অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার আব্দুল রাজ্জাক। তাঁরই উদ্যোগে ডাক্তার আসে জিকেসিআইইটিতে। আন্দোলনের শুরু থেকে তিনি নৈতিক ভাবে ছাত্রছাত্রীদের পাশেই ছিলেন। হঠাৎ শোনা যায় আব্দুল বাবুকে জিকেসিআইইটি থেকে সরিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে এনআইটি দুর্গাপুরে। স্বভাবতই ছাত্ররা এই খবরে ষড়যন্ত্রের আভাস পায়। আবারও তৈরী হয় আন্দোলনের পরিস্থিতি। এনআইটির তৎকালীন ডিরেক্টর শ্রী অশোককুমার দে-র বক্তব্য অনুযায়ী অবশ্য এর সমস্তটাই অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ছাত্রদের আন্দোলনের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ... ...
তিরিশে জুলাই, সোমবার, গনি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-র ছাত্র সংগঠন জিকেসিআইইটি স্টুডেন্ট'স ইউনিটি-র উদ্যোগে মালদা মেন্ পোস্ট অফিসের কাছে ফোয়ারা মোড়ে বিকেল চারটে থেকে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়। এই সভার উদ্দেশ্য ছিল ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা বছরের পর বছর কিভাবে জিকেসিআইইটি কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রতারিত হয়ে আসছে সেই কাহিনী মালদা শহরের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। - একটি প্রতিবেদন। ... ...
দাবী ছিল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনাস্থলে এসে অ্যাফিলিয়েশনের বিষয়টি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলতে হবে। ৫ ঘন্টার ওপর অবরোধ চলার পরও ডিএম সাহেব আসেননি। তার বদলে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন মালদা সদরের তৎকালীন সাবডিভিশনাল অফিসার শ্রী সন্দীপ নাগ। ছাত্রদের বক্তব্য অনুযায়ী সন্দীপ বাবু আদেও তাঁদের সাথে কথা বলতে আসেননি। বরং তিনি এসেই অবরোধ তুলে নিয়ে "নাটক" বন্ধ করতে বলেন। ছাত্ররা সামগ্রিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা তাঁদের কি করা উচিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, "মরে যাও"! এই মন্তব্যের পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানুষজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ফলে খুব শিগগিরই ঘটনাপরম্পরা পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি এবং লাঠিচার্জের দিকে এগোয়। যদিও ঘটনাপরবর্তী কোনো সরকারি বিবৃতি নেই যা এই ঘটনাক্রমের প্রমান হিসেবে পেশ করা যেতে পারে। ... ...
বেশ কয়েকদিন ধরেই কানে আসছিলো যে মালদা মেডিক্যাল কলেজেও কিছু একটা চলছে। কানে আসছিলো বলার চেয়ে চোখে পড়ছিলো বলা ভালো বরং, সোশ্যাল মিডিয়ায় দু-একটা মন্তব্য দেখা যাচ্ছিলো। কিন্তু বিশদে বোঝা যাচ্ছিলো না কিছুই। খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, মেডিক্যাল নয়, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। কিন্তু কলেজ কি বলা যায়? নাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান? নাকি শুধুই কয়েকটি বিল্ডিং যার কোথাও কোনোদিন সঠিকভাবে নিবন্ধীকরণই হয়নি। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হয়তো পাওয়া যেতে পারতো প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের থেকে, কিন্তু মজার বা ভয়ের ব্যাপার হলো, তাঁরা নিজেরাও এ বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখেন না। ২০১৬ থেকে ধরলে সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা এই নিয়ে তৃতীয় দফায় আন্দোলনে নেমেছে। কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো সদুত্তর তারা পায়নি কর্তৃপক্ষের থেকে। ... ...
বিখ্যাত মানুষজন এসেছিলেন অনেকে, যাদের মিডিয়া বিদ্বজ্জন বলে টলে। বললেনও তাদের মধ্যে অনেকে, ভালই বললেন, তাদের অনেকেই সুবক্তা। বললেন কমলেশ্বর ভট্টাচার্য, অনীক দত্ত, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, কোশিক সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, পল্লব কীর্তনীয়ারা। ছাত্র রাজনীতিকে "অরাজনৈতিক" করে দেওয়ার কথা উঠে এল বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্যে, কৌশিক সেন অবশ্য বললেন ছাত্রদের তোলাবাজির রাজনীতি দেওয়ার কথা। পরিচালক অনীক দত্ত বললেন নিজের হারিয়ে ফেলা শহর কলকাতাকে ফিরে পেতেই তিনি এ আন্দোলনের পাশে, এই কলকাতা তাকে বিশ্বাস যোগায় এ শহরে থাকতে চেয়ে ভুল করেননি তিনি। কিন্তু যে বয়স্ক মানুষটি বললেন আমরা অনশন করব তোমাদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনিই বোধহয় গোটা সভাগৃহটাকে এক্সুরে বেঁধে দিলেন , কিংবা যে অভিভাবক বললেন আমরা আছি তোমাদের পাশে, থাকব এ লড়াইয়ের শেষ পর্যন্ত। অন্যান্য কলেজ থেকে আসা পড়ুয়ার দল যারা স্লোগান তুলল গলা মেলাল স্লোগানে, তারাই আজকের কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠল ক্রমশ। ব্যাকগ্রাউন্ডে পল্লব গাইলেন 'হোক লড়াই'। মৌসুমী গাইলেন তাঁর ক্লাসিক বহুস্বরের গান 'তুমি কোথায় ছিলে অনন্য'। গান আর স্লোগান, ভিড়ে ঠাসা সভাগৃহে ছাত্রছাত্রীদের অঙ্গীকার, এর পরে কনভেনশনই পরিণত হল মিছিলে। না হয়ে আর উপায় ছিলনা। ... ...
গত কয়েক বছরে স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমান রাজ্য সরকারের ভূমিকা জনমানসে বিরূপতার জন্ম দিয়েছে। ছাত্র, চিকিৎসক এবং রোগীসাধারণ, তিনটি গোষ্ঠীর মধ্যেই ক্ষোভ ও উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অথচ এটুকু বলে থেমে গেলে বস্তুত অর্ধসত্য বলা হয় এবং সরকারের প্রতি অন্যায় করা হয়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ আদর্শ না হলেও প্রশংসনীয়। স্বাস্থ্যখাতে ভারতের গড় সরকারি ব্যয়ের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি। বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু হাসপাতাল বিল্ডিং খাড়া করে বেশ কয়েক হাজার বেড বাড়িয়েছেন এই সরকার। সরকারি উদ্যোগে বা পিপিপি মডেলে ডয়ালাইসিস থেকে শুরু করে ইন্টেনসিভ কেয়ার জাতীয় বিভিন্ন পরিষেবা আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে দেবার মতো পরিকাঠামো তৈরি করার ক্ষেত্রে খানিক এগিয়েছেন। এগুলো অস্বীকার করে কেবলমাত্র সরকারকে দোষারোপ করার রাজনীতি করতে চাই না। সমস্যা হল ব্যয়বরাদ্দ বাড়িয়ে এবং পরিকাঠামোতে নজর দিয়েও স্বাস্থ্যবব্যস্থার প্রকৃত উন্নতি সম্ভব হল না পরিকল্পনার অভাবে। ... ...
কোলকাতা মেডিকেল কলেজে পুরনো হস্টেলের কিছু ছবি ... ...
অনিকেত এই চিকিৎসকদের সন্তান। অয়ন, সুমন, হিল্লোল এই চিকিৎসকদের উত্তরাধিকার। সুযোগ্য উত্তরাধিকার। অনিকেতরা সেই ডাক্তারিছাত্রদের প্রতিনিধি যারা ১৯৮০-র দশকে স্বাস্থ্য আন্দোলনে পথে নেমেছিলেন সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা এক্স-রে, ই সি জি ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা চালু করার জন্যে। অয়নরা সেই ডাক্তারিছাত্রদের উত্তরসূরি যারা নব্বই এর দশকে কলকাতার বিভিন্ন বস্তি এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে গেছেন, বস্তিবাসী মানুষদের স্বাস্থ্যের হাল হকিকতের খোঁজ তাঁদের মধ্যে গিয়ে নিয়ে এসেছেন। আর তাই শুধু বর্তমান নয়, যে কোন শাসক দলের কাছেই এই উত্তরাধিকার একটা বড় দু:স্বপ্ন। আসন্ন স্বাস্থ্য আন্দোলনের একটা প্রচ্ছন্ন হুমকি। এইটা মেনে নিতে চাইছেনা রাষ্ট্র। এইটা মানতে রাজি নয় কর্তৃপক্ষ। তাই চাইছে একদম ফার্স্ট ইয়ার থেকে, একদম 'তৃনমূল' স্তর থেকে এই সম্ভাবনা সমূলে বিনাশ করতে। অনিকেতদের এই আন্দোলন এই মূহুর্তে তাই এতখানি গুরুত্বপূর্ণ, এতখানি সময়োচিত, এতখানি জরুরি। ... ...
আন্দোলনের পাশে দাঁড়ান। সোশ্যাল মিডিয়াতে নয়। সশরীরে। গণ ডেপুটেশন দিন, অথরিটি কে, হেলথ সেক্রেটারিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। সমস্ত রাজনৈতিক রঙ ফেলে রেখে আসুন। এটা স্বাধীন ছাত্রছাত্রী আন্দোলন। কনভেনশন করুন, নাটক করুন, গান করুন, কবিতা লিখুন। সবাইকে জানান। আসতে বলুন মেডিকেলে। ... ...
এসব শুনতে বলছি কেন? কোন মেডিক্যাল কলেজের ঝামেলা বা কে মার খেল বা কে হোস্টেল না পেল তাতে আপনার আমার দিন গুজরানে সরাসরি কিছু যায় আসে না তো ঠিকই, কিন্তু আসতেও তো পারে কখোনো। হঠাৎ করে আপনার নিজের বা কাছের কারোর শরীর খারাপ তো হতেই পারে। এমনই অবস্থা, যে মেডিক্যাল কলেজের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এ (CCU) তে ভর্তি করতে হল। জানেন এই CCU এর ডেপুটি ইনচার্জ কে? এমন একজন ডাক্তার, যিনি ২০১৬ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। CCU এর কাজ, অর্থাৎ ক্রিটিকাল কেয়ারে কাজের জন্য প্রথামত কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণ ও ডিগ্রী তার নেই। উপরন্তু তিনি পাশ করার পর বড়জোর দুবছর রোগী দেখেছেন (যদিও এই দুবছরে কতদিন ডিউটি দিয়েছেন তার খবর যদি আপনি সঠিক ভাবে নেন তাহলে আপনি বাকরুদ্ধ হবেন এ নিশ্চিত) । ... ...
খুব হিসেব কষে, ছক কেটে ছড়ানো হচ্ছে গুজবটা। মান্দাসৌরের অত্যাচারিতা মেয়েটি নাকি মারা গেছে। এই মিথ্যের পরিবেশনাও খুব নিখুঁত। মেয়েটির মৃত্যুকালীন কাতরোক্তি দিয়ে শুরু করে শেষ হচ্ছে মোমবাতি জ্বললো না কেন এই হাহাকারে।তারপরই তীব্র বর্শামুখ বাম এবং প্রগতিবাদীদের প্রতি। এই শালারাই সব নষ্টের গোড়া। অমুকের বেলায় প্রতিবাদ, এব্বেলা চুউউপ। এদের মুখোশ টেনে খুলে ফেলা হোক। এই করতে গিয়ে স্বঘোষিত নিরপেক্ষদের খেয়াল থাকছে না যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অত্যাচারিতাদের নাম নেওয়া বারণ। দিব্যি কাঠুয়ার শিশু আর মান্দাসোরের শিশুকে নাম ধরে ধরে ডাকছেন তারা। ... ...
বাংলাদেশে আবারো খুন হলেন মুক্তমনা প্রকাশক, কবি ও কমিউনিস্ট নেতা শাহজাহান বাচ্চু(৫৫)। সোমবার (১১ জুন) বিকালে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কাকালদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহজাহান বাচ্চু ‘বিশাখা’ প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধীকারী ও মুক্তমনা লেখক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শাহজাহান বাচ্চু মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ বলছে, কাকালদী মোড়ে দুটি মোটরসাইকেলে করে চার দুর্বৃত্ত শাহজাহানকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার লাশ মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাচ্চুর মেয়ে দূর্বা জাহান সোমবার রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘আমার বাবা শাহজাহান বাচ্চু আজকে মরে গেছে। আমাদের গ্রামে। বাবাকে কারা যেন দুইটা গুলি করে মেরে ফেলেছে।’ ... ...
এই অ্যালিয়েনেশন, নিজেদের পৃথক ভাবার প্রবণতা বহু প্রজন্ম ধরেই আমাদের মধ্যে পালন করে চলেছি আমরা – এখন খালি ওই যাকে বলি অনুকুল জল হাওয়া, তার সুবাদে এগুলি প্রকাশ্যে আনতে দ্বিধাবোধ করিনা, জানি এটা সামাজিকভাবে গৃহিত এখন। প্রতিবাদ করতে গেলে, জামালদের হয়ে কথা বলতে গেলে আপনাকে “পাকিস্তানে চলে যান” শুনতে হতেই পারে। তবে কিনা শুনলাম তো অনেক – এবার মনে হয় পালটা বলা দরকার যে না, আমি পাকিস্তান যেতে রাজি নই। এই দেশ, এই মাটি, এই সংস্কৃতিকে তোমাদের চেয়ে অনেক বেশী ভালবাসি, বুঝি, আমি, আমরা। অতএব যেতে হলে তোমরা যাবে – আমাদের জলজমিন ছেড়ে, যেখানে খুশী, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট যে চুলোয় চাও। আমরা এখানেই থাকব, জামালরা এখানেই থাকবে, সুলতানারা থাকবে। ... ...
দেড়শো শিক্ষকের মধ্যে নাকি ভিডিও দেখে সত্তর জনকে সনাক্ত করা গেছে। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী জেলা প্রশাসন তাদের বেতন বন্ধ করেছে এবং তারা গ্রেফতারের অপেক্ষায়। রাজকুমারবাবুর পোলিং অফিসার বয়ান দেওয়ায় তিনি সহ আরও দুজন শিক্ষককেও অ্যারেস্ট করেছে পুলিশ, হেফাজতে নিয়েছে অপরাধীর মতো, অথচ প্রয়াত প্রিসাইডিং অফিসারের হত্যাকারীদের ধরবার কোনো তৎপরতা তো নেইই, বরং প্রশাসন আত্মহত্যার তত্ত্বে সীলমোহর লাগাতে ব্যস্ত! এমতাবস্হায় সোশ্যাল মিডিয়ায় এক শিক্ষক গ্রুপে মতবিনিময়ের মাধ্যমে পুনরায় কলকাতায় এক প্রতিবাদমিছিল আয়োজন করা হয়েছে আবারও সম্পূর্ন অরাজনৈতিক ব্যানারে, আগামী ২৮/০৫/১৮ তারিখ বেলা দেড়টায়। খবরটি ক্রমাগত চর্চা হতে থাকায় পাল্টা ‘খবর’ হচ্ছে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক স্তর থেকে নাকি শিক্ষক গ্রেফতার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে খবরের যাথার্থ্য অবশ্য যাচাই করা যায়নি! শিক্ষকসমাজের ত্রুটিবিচ্যুতি ফলাও করে প্রচার করে যে বাজারী সংবাদমাধ্যম, শিক্ষকসমাজের ন্যায়প্রতিষ্ঠা, নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের শাস্তি ও অনর্থক প্রতিহিংসামূলক হয়রানির বিরুদ্ধে লড়াই করতে তারা ঘন্টাখানেক তো নয়ই, মিনিটখানেকের প্রচারের আলো ফেলতেও রাজী নয়! আমরা আপোষ করেছি সমাজের নাগরিক তৈরীর ক্ষেত্রে, তাই আজ এ লড়াই আমাদের ভবিতব্য। ... ...
সুলতানার গ্রামের মানুষ তার প্রতিবশীরা অবশ্য বলেছিলেন, সরল,পরিশ্রমী এই মেয়েটির ন্যায়বিচারের জন্য যতদূর প্রয়োজন, তাঁরা যাবেন। সেই কথা তাঁরা রেখেছেন। এরপরই সুলতানার ধর্ষণ আর হত্যার বিচার আর দোষীদের শাস্তির দাবিতে সুলতানার গ্রামের মানুষ রাস্তায় নামেন। তাঁদের সাথে আমরা যাই সোনারপুর থানায়। সুলতানার দুই সন্তানও সেদিন বিচার চাইতে গিয়েছিল সোনারপুর থানায়। যেভাবে গোটা ঘটনাটার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রথম থেকে অসংবেদনশীলতার পরিচয় দিয়েছে, সুলতানার ধর্ষণ হয়েছে কিনা তার থেকেও বড় হয়ে উঠেছে মেয়েটি মদ খেয়েছিল কি খায় নি, সোনারপুর থানায় যাওয়ার পর যেভাবে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এলাকার মানুষদের ভয় দেখাতে শুরু করে,প্রায় এক ঘণ্টা তাদের সাথে উত্তপ্ত বাগবিনিময়ের পরই একমাত্র থানায় ঢোকা সম্ভব হয়। আমাদের শুনতে হয় যে, এলাকার মেয়ে,আমরা বুঝে নেবো,যদিও এত বড় নৃশংসতার পরও তাদের কাউকে কোনভাবে পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় নি। ... ...
তাহলে কি দাঁড়ালো ব্যাপারটা ? স্টেট ব্যাঙ্কের মতো বিশাল মজবুত স্বয়ংভর সংস্থার অংশীদার হবে এই গুণধর রিলায়েন্স। সরকারী অজুহাত, RLI ( reliance industries limited) আর SBI পরস্পরের দোসর হলে রিলায়েন্স জিও র লেটেস্ট টেকনোলজির দ্বারা উপকৃত হবে দুর্গম এলাকার গ্রামীণ মানুষ। একেবারেই বাজে যুক্তি, কারণ স্টেট ব্যাঙ্ক নিজেই ১,৫০,০০০ কর্মী নিয়োগ করেছে যারা কাজ করছে প্রান্তিক অঞ্চলে। এর ফলে কর্পোরেটটির হাতে বিনা আয়াসে পৌঁছে যাচ্ছে একটা বিশাল কর্মী- নেটওয়ার্ক। কোন বাড়তি খরচ ছাড়াই। ... ...
অনুবাদ ঃ জারিফা জাহান এরপরই সরকার বন্দুক ও কাঁদানে গ্যাস বের করে। ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, এদের মধ্যে মালতী দাস নামে এক সমাজকর্মী, গুলির ক্ষত নিয়ে আইসিইউ তে ভর্তি। বাকি আহতরা হলেন অনিমা খাতুন, রাশিতা খাতুন, গৌতম বৈশ্য এবং উৎপল পত্গিরি। এখানেই শেষ নয়, পুলিশ, শহরের বহু প্রতিবাদী কর্মীকে হুমকি ও ধরপাকড় শুরু করেছে, এদের মধ্যে বিশেষত কেএমএসএস ( কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি) এর ওপর তাদের নেকদৃষ্টি পড়েছে। কেএমএসএস দলনেতা ও উপদেষ্টা বেদান্ত লস্কর, যুগ্ম সাধারণ সচিব ধৈয্য কানোয়ার এবং কেএমএসএস কর্মী গোপী সাইকিয়াকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেন? কারণ তাঁরা প্রতিবাদীদের সমর্থনে দাঁড়িয়েছিলেন। বেদান্ত এবং গোপী তো ঘটনাস্থলে উপিস্থিতই ছিলেন না, বাইকে চেপে ফেরার সময় শহরের মধ্যে ওঁদের ধরা হয়। আজ তাঁদের আইপিসির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ এনে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে তোলা হয়েছে। ... ...
এই টুকরো খবর এবং ছবিগুলি ঠিক যে ভাবে হাতে এসেছে, সেভাবেই তোলা হল। ধূলাগড় নিয়ে অজস্র উড়ো খবর ইত্যাদিতে অন্তর্জাল ছেয়ে যাবার পরে এই ছবি এবং খবর বিশেষ গুরুত্ব বহন করে বলেই মনে হয়। পঁচিশে বৈশাখে পরস্পরকে রাখি পরিয়ে আপন করে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রায় ২০০-২৫০ হিন্দু মুসলমান। তারপর একে অপরকে রাখি বেঁধে শুরু হয় পদযাত্রা আর তার সাথে মৈত্রীর বার্তা হাতে নিয়ে হাতে হাতে সোনালি সুতো বেঁধে দেওয়ার পালা। হাওড়া জেলার এই অঞ্চল, যেখানে বিগত ডিসেম্বর মাসে ইদ মিলাদ উন নাবি উপলক্ষে সাম্প্রদায়িক সংঘাত দেখা গিয়েছিল, সেই অঞ্চলের বহু সাধারণ মানুষ অভাবনীয় স্বতঃস্ফূর্ততার সাথে যোগ দিলেন এই উৎসবে। ... ...
আগুনের আঁচে কিম্বা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে নষ্ট হল আরও অন্তত কুড়ি-তিরিশখানা ছাউনি এই উপরে বলা সম্পূর্ণ পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া দোকান ছাড়াও। সবই নানা রকমের খাওয়ার দোকান। মিষ্টি- ইডলি-দোসা- চা- আখের রস- চাওমিন- শরবৎ এই রকমেরই আর কি। দোকানিদের অধিকাংশই স্থানীয় মানুষ। হাতে গোনা কয়েকটা দোকান চালান বিহার এবং উৎকলবাসীরাও। বাঁশের এবং সরু কংক্রীটের স্তম্ভের ওপরে দরমা-পলিথিন শীট দিয়ে ঢেকে তৈরি এই দোকানগুলো ছিল বেশ কিছু চাকুরের নিত্য প্রয়োজনীয়তা এবং তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভাবে অন্তত দোকানপিছু একটা বা দুটো পরিবারের জীবিকাও। ... ...
ব্লগ সাইটটির নির্মাতা ও আমারব্লগ লিমিটেডের পরিচালক সুশান্ত দাসগুপ্ত এক সংবাদ বিবৃতিতে জানান, আমারব্লগ ডটকম বাংলাদেশের কিছু কিছু আইআইজি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। গত ছয় মাসে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশে আমারব্লগ ডটকম বন্ধ করা হলো। গত দুবারের মতো এবারও আমারব্লগ ডটকম কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোন সরকারি কিংবা আনুষ্ঠানিক চিঠি পায়নি। ব্লগ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানাতে পেরেছে যে বেসরকারি এবং সরকারি ইন্টারনেট প্রভাইডারকে আমারব্লগ ডটকম সম্পূর্ণভাবে ব্লক করবার সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ... ...