আশেপাশের সব জায়গার থেকে প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু। মাগালা কেপের থেকে উত্তর দিকে, দুটো পর্বতমালার মধ্যে দিয়ে হ্রদের জল বয়ে যাচ্ছে। এই পর্বতশ্রেণি দুটো আমাদের অবস্থানের প্রায় ত্রিশ মাইল উত্তরের একটি বিন্দুতে এসে মিলেছে। মাগালার রুন্ডিরা খুবই সভ্য ভব্য। অবশ্য নিষ্পলক হাঁ করে তাকিয়ে থাকতেও এদের জুড়ি নেই। তাঁবুর দরজার কাছে ভিড় করে এরা আমাদের দিকে হাঁ করে তাকিয়েছিল, যেন আমরা অতীব কৌতূহলের বস্তু, আর ঝপ করে উবেও যেতে পারি। ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। এ কিস্তিতে সিম্বামওয়েন্নি থেকে উগোগো অঞ্চলের উদ্দেশে পথচলার কথা। তরজমায় স্বাতী রায় ... ...
২০ জানুয়ারি, ১৮৭২। আজ আমাদের যাত্রা স্থগিত ছিল। শিকারের জন্য বেরোতে গিয়ে দেখি এগারোটা জিরাফের একটা পাল। এরকম একটার চামড়া পেলে কী ভালই না হত! এমপোকওয়া নদী পেরিয়ে আমি তাদের একজনের দেড়শ গজের মধ্যে আসতে পেরেছিলাম আর এটাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাই; কিন্তু, এটা আহত হলেও, পেড়ে ফেলতে পারিনি। ... ...
শিবিরে পৌঁছানোর সামান্য আগে আমি একটা চিতাবাঘের দিকে গুলি ছুঁড়লাম, কিন্তু মারতে পারলাম না, ব্যাটা ছুটে পালাল। রাতভর এমটাম্বু নদীর কাছে সিংহেরা গর্জন করতে থাকল। ঘন জঙ্গলের গহীন গোধূলিবৎ-ছায়ায় আমরা হাঁটতে থাকলাম।লম্বা পথ হাঁটায় বনের ছায়া আমাদের প্রখর তপনতাপ থেকে রক্ষা করেছিল। পরের দিন আমরা শিবিরে পৌঁছালাম। উজিজি থেকে আগত একদল আরব এই শিবিরটা সদ্যই তৈরি করেছে। তারা এই রাস্তা ধরে উন্যানয়েম্বের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এতটা আসার পর মিরাম্বো আর আরবদের মধ্যে যুদ্ধের খবরে শঙ্কিত হয়ে তারা ফিরে যায়। আমাদের পথ ছিল রুগুফু নদীর ডানধার ধরে। একটা চওড়া মন্থর জলস্রোত, মাটাটা নলিকা ও প্যাপিরাসের ঝোপে আটকা-পড়া জলধারা । সর্বত্র মোষদের পায়ের ছাপ আর গাদা গাদা নাদা পড়ে আছে। যা সব চিহ্ন তাতে কাছাকাছি যে গন্ডারও রয়েছে তা পরিষ্কার। নদীর কাছেই একটা ঘন গাছের ঝোপড়ার মধ্যে একদল দাড়িওয়ালা, সিংহ সদৃশ বানরের দেখা পেলাম। ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। চলছে সিম্বামওয়েন্নি থেকে উগোগো অঞ্চলের চুন্যো জনপদের উদ্দেশে বেরিয়ে ভয়ঙ্কর মাকাটা জলা-অঞ্চল পার হওয়ার কথা। তরজমায় স্বাতী রায় ... ...
এক রাতে আমার নোট-বই বের করলাম, আর তাঁর মুখ থেকে তাঁর ভ্রমণ সম্পর্কে বক্তব্য শোনার জন্য বসলাম; নিঃসংকোচে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বললেন। তার একটি সারসংক্ষেপ নিচে দেওয়া হল। ডাঃ ডেভিড লিভিংস্টোন ১৮৬৬ সালের মার্চ মাসে জাঞ্জিবার দ্বীপ থেকে রওনা দেন। পরের মাসের ৭ তারিখে তিনি সদলবলে কিন্ডিনি বে থেকে আফ্রিকার অভ্যন্তরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাঁর দলে ছিল বোম্বাই থেকে আসা বারোজন সিপাই, কোমোরো দ্বীপপুঞ্জের জোহানার নজন লোক, সাতজন মুক্তি পাওয়া দাস, আর দু'জন জাম্বেজির লোক। তাদের পরীক্ষামূলক ভাবে দলে নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ছটা উট, তিনটে মোষ, দুটো খচ্চর আর তিনটে গাধা। এইরকম মোট ত্রিশজন লোক সঙ্গে ছিল, যাদের মধ্যে বারোজন যেমন সিপাই ছিল, যারা দলকে পাহারা দেবে। তাদের বেশিরভাগই এনফিল্ড রাইফেল দিয়ে সজ্জিত । সেই রাইফেলগুলো বোম্বাই-এর সরকার ডাক্তারকে উপহার দিয়েছিল। ... ...
কত রকমের যে ঝাউ আর বাবলা পাওয়া যায় সে একেবারে দেখার মত, একটু খানি জায়গা পেলেই হল। বাবলা গাছ তো সর্বত্র আর এমন ভাবে তারা ডালপালা ছড়ায় যে কাফেলাগুলোর জন্য তারা ভারি যন্ত্রণার! কাঁটাগাছ ও গঁদের গাছগুলো অভিযাত্রীদের জন্য সবচেয়ে ঝামেলার। কাঁটাগাছের প্রজাতিগুলো সমস্ত রকমের মারাত্মক কাঁটায় ভরা! আমার দোভাষী সেলিম একদিন আমাশায় কাতর হয়ে ঘোড়ায় চড়ে যাচ্ছিল, তার ঘাড়ের একেবারে শিরার খুব কাছে বাবলার কাঁটায় এমন বিচ্ছিরি ভাবে কেটে যায় যে সেই দাগ তার মৃত্যুদিন অবধি রয়ে যাবে। ... ...
শুরু হচ্ছে একাদশ অধ্যায়। এ অধ্যায়েও চলছে উকাওয়েন্ডি, উভিনযা ও উহহা-র মধ্য দিয়ে উজিজি যাত্রার বর্ণনা। ... ...
উত্তরকাশী জেলায় ৩০২৪মিটার উচ্চতায় প্রাকৃতিক হ্রদ ডোডিতাল-এখান থেকেই জন্ম নিয়ে আশিগঙ্গা নদী মিশেছে গঙ্গাতে।পথ শুরু হয়েছে উত্তরকাশী থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরের সঙ্গমচট্টি থেকে।আগোডা,বেবরা হয়ে ডোডিতাল।প্রথমদিন পেরোতে হবে ৮ কিলোমিটার,গন্তব্য বেবরা গ্রাম, এপথের শেষ গ্রাম।থাকা যায় আগোডাতেও,গ্রামের লোকের বাড়িতে হোম-স্টে প্রথায় অথবা নিজেদের তাঁবুতে।ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পথ গিয়েছে।প্রথম দু কিলোমিটার অবশ্য ‘পথ’ কিনা তা নিয়ে ঘোর সংশয় জাগে।গাইড জানালেন ২০১৩ সালের বৃষ্টি,ধ্বসে ভেঙ্গে গিয়েছে পথ।এখন তো সবে ২০১৮,সারানোর সময় হয়নি বোধহয়।মনে পড়ল –হৃষিকেশ থেকে শুরু করে সারা রাস্তা জুড়ে দেখে এসেছি কর্মকাণ্ড,চারধামের জন্য তৈরি হচ্ছে সুপ্রশস্ত রাজপথ পাহাড় কেটে, গাছ কেটে।সময় কোথায় গ্রামের পথের দিকে নজর দেওয়ার, হোক না সে গ্রামের একমাত্র পথ।সে যাক,দু কিলোমিটার পর ‘পথ’ চোখে পড়ল। ... ...
৭ই অক্টোবর, শনিবার, শিবির গোটানো হল। মাংস-প্রেমী পেটুক এনগোয়ানাদের খুবই দুঃখ। তারা ভোরবেলা আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য বোম্বেকে ধরেছিল। ওখানে আরও একদিন থেকে যাওয়ার অনুরোধ জানানোর জন্য। সবসময়ই এরকম হয়। মাংস পাওয়া গেলে আর কাজ করতে ইচ্ছে করে না। ... ...
খড়গপুর চৌরঙ্গী থেকে শুরু হয়ে সদ্য শেষ হওয়া ফোর লেনের জাতীয় সড়ক সব কিছু ওলটপালট করে দিয়েছে। রাস্তা জুড়ে অজস্র আন্ডারপাশ সমস্ত চেনা জায়গাকে আড়াল করে অচেনা করে দিয়েছে। নিমপুরায় পথের পাশেই থাকা সিঙাড়া সিংয়ের ধাবা কিংবা মুন হোটেল এখন পথের নীচে, লোধাশুলির মাহাত হোটেলও নজরে পড়েনি। মোহনপুরের যে ঘন জঙ্গলের জন্য জাতীয় সড়কের ওপর সূর্যের আলো পড়তনা তাও এখন নির্বিরোধী, ফর্সা। ঘাটশিলারও তাই অবস্থা। তারই মধ্যে আন্দাজে দ্বিতীয় আন্ডারপাশের পাশ দিয়েই বেঁকে জাদুগোড়া-মুসাবনির রাস্তা ধরেছি। ৩৭ বছর পরেও এরাস্তা বড় চেনা! ঝাঁপানো বৃষ্টির মধ্যেই একটুও অসুবিধা হয়নি রাস্তা চিনতে। ডানদিকে টুমানডুংরি আর মৌভান্ডারক আর বাঁয়ে হিন্দুস্থান কপার লিমিটেডকে রেখে দিব্যি আমরা উঠে পড়লাম সুবর্নরেখা সেতুর ওপর। ... ...
আমাদের জাহাজটা উগোমার একটি বিশাল এমভুলে গাছ থেকে বানানো। এটা একটা নড়বড়ে ক্যানো ছাড়া আর কিছু নয়। এটা একটা আফ্রিকান আর্গো। এর গ্রীক দেশীয় বিখ্যাত প্রতিরূপের থেকে অবশ্য এই জাহাজ অনেক বেশি ভাল কাজে নিযুক্ত। আমরা সোনার লোম আনতেও যাইনি, কোন ভাড়া খাটতেও যাইনি। বরং একটা বাণিজ্যপথ খুঁজতে গিয়েছিলাম যার মারফত নীলনদের জাহাজগুলো উজিজি, উসোওয়া এমনকি আরও দূরের মারুঙ্গু অবধি আসতে পারে। ... ...
১০ই নভেম্বর। শুক্রবার। সমুদ্রের ধারের বাগামোয়ো থেকে ২৩৬তম দিন। আর উন্যানয়েম্বে থেকে ৫১তম দিন। মোটামুটি পশ্চিম-নৈর্ঋত কোণে উজিজি। হাঁটার সময়, ছয় ঘণ্টা। দারুণ সুন্দর, আনন্দের সকাল। তাজা, ঠান্ডা বাতাস। ধরিত্রী আর তার সন্তানদের দিকে আকাশ ভালোবাসার হাসি ছড়িয়ে দিচ্ছে। গভীর অরণ্যের মাথায় উজ্জ্বল তাজা পাতার মুকুট; জঙ্গলে ঢাকা নদী পাড়ের পান্না-সবুজ ছায়ায় ছায়ায় এমুকুটির জলস্রোত কলকল শব্দে ছুটে চলেছে, যেন আমাদের চ্যালেঞ্জ করছে, কে আগে উজিজি পৌঁছাতে পারে। ... ...
আমি ডাক্তারকে শেখ সাইদের কাছে লোক পাঠানোর জন্যও অনুরোধ করলাম। তার কাছে এটা জানতে চাওয়ার দরকার যে ডাক্তার উজিজিতে প্রথম বার পৌঁছানোর পরে ডাঃ কার্ক ও লর্ড ক্ল্যারেনডনের জন্য যে দুটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন, সেটা তিনি পেয়েছেন কিনা; আর ডাক্তার যেমন চেয়েছিলেন, সেইমত তিনি চিঠিদুটো উপকূলে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন কিনা। দূত এসে খবর দিল যে হ্যাঁ পাঠানো হয়েছে। পরে ডাক্তারের উপস্থিতিতে প্রশ্ন করেও একই উত্তর পেয়েছি। ... ...
নিজেদের কালো ভালুক-চামড়া, উজ্জ্বল পারস্য দেশীয় কার্পেট ও পরিষ্কার নতুন মাদুরের উপর গুছিয়ে বসে ভারি আরাম হল। দেওয়ালে ঠেসান দিয়ে আরামসে চায়ে চুমুক দিতে দিতে আমাদের পিকনিকের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে গল্প শুরু হল। লিভিংস্টোন আমাদের রুসিজির যাত্রাকে পিকনিকই বলে থাকেন। মনে হচ্ছিল পুরোন সুখের স্মৃতিচারণ করা দিনগুলো ফিরে এসেছে। যদিও আমাদের বাড়িটা নেহাতই সাধারণ, চাকরবাকরেরাও নেহাতই সামান্য, নগ্ন, বর্বর; তবু উন্যানিয়েম্বে থেকে সেই ঘটনাবহুল যাত্রার পর এই বাড়ির কাছেই আমার লিভিংস্টোনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল— এই বারান্দাতে বসেই টাঙ্গানিকা হ্রদের পশ্চিমপারের বহুদূরের, মনোমুগ্ধকর জায়গাগুলোর সম্বন্ধে তাঁর বিস্ময়কর গল্পগুলো শুনেছিলাম; ঠিক এই খানেই তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয়; আর সেই থেকে তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেড়েই চলেছে আর তিনি যখন বললেন যে আমার প্রহরায়, আমার খরচে আর আমারই পতাকার তলায় তিনি উন্যানিয়েম্বে যেতে চান, আমি তো সপ্তম স্বর্গে পৌঁছে গেলাম। ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস ধরে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। তরজমায় স্বাতী রায় ... ...
এ অধ্যায়ে চলছে উজিজির পথে রওনা হয়ে উগান্ডা গ্রামে পৌঁছনর বর্ণনা। ... ...
বাবিসা সর্দারের গ্রামে থাকাকালীন, হ্রদের পশ্চিম তীরের থেকে এক মিশ্র-বর্ণের আরব এসে পৌঁছায় ও খবর দেয় যে মাজিতুর একটা দল তার সব কিছু লুঠ করেছে। ঘটনাটা এমন একটা জায়গায় ঘটেছে যেটা তারা এখন যেখানে আছেন তার থেকে কমপক্ষে ১৫০ মাইল উত্তর-বায়ু (উত্তর-উত্তর-পশ্চিম) কোণে। ডাক্তার ও জোহানাদের সর্দার মুসা দু'জনেই সেটা খুব ভাল করে জানেন। মুসা খুব আগ্রহ নিয়ে আরবদের গল্প শুনেছিল আর সেটা পুরো বিশ্বাস করেছিল। তার অবশ্য অন্য কারণ ছিল, সেটা এখনই বলব। ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। চলছে সিম্বামওয়েন্নি থেকে উগোগো অঞ্চলের উদ্দেশে পথচলার কথা। তরজমায় স্বাতী রায় ... ...