প্রতীককে একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি ধরিয়ে তাতে সই করে দিতে বলা হয়। চিঠিতে লেখা আছে ‘ব্যক্তিগত কারণে প্রতীক সান্যাল আজ এই মুহূর্তে এই সংস্থা থেকে পদত্যাগ করছে’। প্রতীকের বিভ্রান্ত মুখ দেখে উপস্থিত দুজনের একজন বলেন, কোভিডজনিত কারণে সংস্থার ব্যবসায় মন্দা দেখা দেওয়ায় তাঁরা প্রতীককে আর রাখতে পারছেন না। ... ...
আমরা যেন মাথায় রাখি, বঙ্গভাগের পর বছরের পর বছর ভূমিভাগের ব্যথা সহ্য করে বাংলার নানান অঞ্চল উদ্বাস্তুদের আত্মীকরণের লড়াই চালাচ্ছিল, সে সময় বিপুল সংখ্যক প্রায় সব হারিয়ে আসা মানুষ পথকে বেছে নিয়েছিলেন জীবিকার পাথেয় হিসেবে। কলকাতা, অন্যান্য অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল শহুরে নিম্নবিত্তদের জন্যে বিপুল স্বাভাবিক বাজার এবং ক্রমশ কলকাতার কপালে উঠেছিল শস্তাতম শহরের তকমা। ... ...
উন্নয়নের ভূগোল মোটের ওপর কেন্দ্র-পরিধির কাঠামো মেনেই চলে। আর এখানেই করোনার সংক্রমণ একটা নতুন সমস্যার জন্ম দিয়েছে। আমাদের উন্নয়ন প্রক্রিয়া গত অনেক বছর ধরেই যে নীতি ধরে এগিয়েছে সেটা হল সংযোগের নীতি। এই সংযোগটা কখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের রূপে এসেছে, কখনো কেন্দ্র-পরিধির রূপে। ... ...
১৯৮৭ সাল। বিজ্ঞানী ডেরেক লভলে পোটোম্যাক নদীর তীরে এসে সন্ধান পেয়েছিলেন সেই অদ্ভুত অধিষ্ঠানের। তারপরে ১৯৮৮ সালে কেনেথ নিয়েলসন পেয়েছিলেন দ্বিতীয় বিদ্যমানতার সন্ধান। এগুলি আর কিছুই নয়—কাদামাটিতে মিশে থাকা দুটি ব্যাকটেরিয়া মাত্র। কিন্তু তাতেই অনাবিল অব্যয় নিথর করে দিয়েছিল হৃদকম্পন। মানুষের জীবনের সবচেয়ে আদিম প্রশ্নটি হল, প্রাণ কী? উত্তরে সেদিন যেন অতলস্পর্শী ছুঁয়ে দিয়ে গেছিল অপলকে। ... ...
সত্যিই বড়ো বিচিত্র জীব মানুষ! সবকিছুকেই সে নিজের রঙে, নিজের ঢঙে সাজিয়ে নিতে চায়। মনখারাপের দিনেও সুরুচি ও শিল্পকলা তার সঙ্গ ছাড়ে না। মানুষের সাজপোশাক বলুন বা ফ্যাশন, সবকিছুর মধ্যেই তা জেগে ওঠে। বিহারের মধুবনী শিল্পীরা এখন বাঁচার তাগিদেই তৈরি করছেন মাস্ক। আর সেই মাস্কের গায়ে তারা এঁকে দিচ্ছেন মধুবনী চিত্রকলার মোটিফ। একই ঘটনা ঘটছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার নয়াগ্রামে। সেখানকার পটুয়ারা করোনা মাস্কের গায়ে ফুটিয়ে তুলছেন পটচিত্রের ছোটো ছোটো ছবি। ... ...
অথচ এই হাড়গিলেরা একদিন কলকেতাকে প্রায় ‘জোড়াসাঁকো পার্কে’ পরিণত করেছিল। শুধু কলকেতা নয়—ঢাকা, রেংগুন, গৌহাটি—প্রায় সব ক-টি বড়ো শহরই! তালঢ্যাঙ্গা চেহারা... বগের ঠ্যাং-এর পা... পিঠের ইয়া বঢ়কা পালকগুলিরই যত দ্যাখনশোভা... তারপর সেই যে শাপলার ডাঁটার মতো গলা চলছে তো চলছেই... মাঝে গলকম্বল... শেষ হল গিয়ে কাগের বাসার মতো একমাথা উশকোখুশকো মুণ্ডুতে আর দেড়ফুটিয়া লোহার পাতের মতো চঞ্চুর খাইখাই চাঞ্চল্যে! ... ...
কেরালার সেন্টার ফর পাবলিক পলিসি রিসার্চের সিনিয়র ফেলো জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রিও জনও দ্য ল্যান্সেট এর কাছে একই রকম সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কোভিড - ১৯ এর টেস্টিং এর তথ্য নিয়ে। তাঁরমতে বিভিন্ন রাজ্য বিভিন্ন ধরনের টেস্ট ব্যবহার করছেন; ক্রমশঃ র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টিং করার ঝোঁক বাড়ছে। এই ধরনের টেস্টে ফলস নেগেটিভের অনুপাত বেশি। অনেক রাজ্য ঠিক কী কী ধরনের টেস্ট কতবার করেছেন সেই তথ্য স্পষ্ট করছেন না। ফলে বিভিন্ন রাজ্যের তুলনা করার কোনো মানে দাঁড়াচ্ছে না। সব ধরনের টেস্টিংকে একত্রিত করে যে সংখ্যাটি প্রকাশিত হচ্ছে রোজ তার থেকে আমরা কেমন আছি, সেটা স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না। ... ...
রিপোর্ট অনুযায়ী ৬৫টি পেমেন্টের ক্ষেত্রে রোগীদের ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা দিতে হয়েছিল। অডিট করার পরে ৩৮ লাখ টাকা কমে যায়। আরেকটি ক্ষেত্রে ৩১টি ক্ষেত্রে ৫১ লাখ ৮৪ হাজার টাকার থেকে অডিটের পরে ১২ লাখ ৬ হাজার টাকা কম দিতে হয়। দুটো মিলে ৫০ লাখ টাকা। ব্যাঙ্গালোরের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় জানা যায় ৭ দিন হাসপাতালে থাকার বিল হয়েছিল ৯৩ লাখ টাকা। বিদেশে, একমাত্র আমেরিকা ছাড়া, ইউরোপের দেশগুলোতে এরকম বিলের কথা ভাবা যায়না। নিউজিল্যান্ড সহ অধিকাংশ দেশেই স্বাস্থ্যব্যবস্থা সরকারের পরিচালনায়। ফলে এ্ররকম ঘটনা ঘটেনা বললেই চলে। পুণেতে তাও সরকারি একটা অডিট হয়েছে, বিলের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। পশ্চিমবঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের মতো সংগঠনের তরফে বারংবার চিঠি দেওয়া এবং হস্তক্ষেপের পরেও অবস্থার খুব কিছু ইতরবিশেষ হয়নি। ... ...
কোভিড থেকে বাঁচার জন্যে সুরক্ষাসামগ্রীর দাম বেড়েছে বহুগুণ। N95 মাস্কের দাম কোভিড পরিস্থিতির আগে যা ছিল, কিছু ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে তার দশগুণ - পরবর্তীতে দামে কিছুটা লাগাম টানা গেলেও, কোভিড-পূর্ব দামে পৌঁছানো যায় নি। পিপিই কিট বা হেড শিল্ড সবকিছুর ক্ষেত্রেই তা-ই। এর সাথে বাড়তি বিপদ, নিম্নমানের সামগ্রীকেও চড়াদামে বেচে দেওয়া। সরকারি কমিটি, যাদের দায়িত্ব গুণমান যাচাই করা, তাঁরা প্রবল উদ্যোগে এবিষয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন - এমন অপবাদ কেউই দিতে পারবে না। যাঁরা এইধরণের সুরক্ষাসামগ্রী তৈরী করেন, যাঁদের এবিষয়ে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে - বিশ্বজুড়ে কোভিড মাথাচাড়া দেওয়ার সময়েই তাঁরা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ঠিক কী পরিমাণ বাড়তি সামগ্রী প্রস্তুত করে রাখা প্রয়োজন - অভিযোগ, সরকার তাঁদের একাধিক চিঠির উত্তরটুকুও দেননি। ... ...
এই সমস্ত সরকারি নথি এটাই প্রমাণ করে যে আসাম বিধানসভায় শিলচর স্টেশনের নামাকরণের প্রস্তাব স্থগিত রাখার ঘোষণা আসলে মিথ্যাশ্রিত এবং হিমশৈলের চূড়া মাত্র। মূল আক্রমণ আসবে এর পরে। বিভিন্ন ভাষিক গোষ্ঠীকে বাঙালিদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা, উপত্যকার সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর ভাষাকে অসমীয়ার উপভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা, সর্বোপরি আইন শৃংখলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হওয়ার অজুহাত, এসবই এক গভীর ষড়যন্ত্রের পূর্বপ্রস্তুতি। ... ...
দুনিয়ায় এখন আর্থিক অসাম্য যতখানি, টমাস পিকেটি সাক্ষী, শিল্প বিপ্লবের পর আর কখনও অসাম্য এতখানি বাড়েনি। অসাম্য জিনিসটা তার নিজের কারণেই খারাপ— জিনিসটা অন্যায়, অনৈতিক। কিন্তু, পুঁজিবাদের একটা কু-অভ্যাস, তা নৈতিকতার যুক্তিকে স্বীকার করতে চায় না। কাজেই, চাহিদা-জোগানের দিক থেকেও যে অসাম্য জিনিসটা খারাপ, সেটা মনে করিয়ে দেওয়া ভাল।ধরুন, মোট ১০০ টাকা আছে, সেটাকে দু’রকম ভাবে ভাগ করা যায়— দশ জনের মধ্যে দশ টাকা করে; আর, এক জন ৯১ টাকা, বাকি ন’জন এক টাকা করে। দ্বিতীয় বিকল্পে শেষ ন’জনের ক্রয়ক্ষমতা বলে কার্যত কিছু নেই, ফলে তাঁদের চাহিদাও নেই। প্রথম জনের হাতে অনেক টাকা, কিন্তু ভোগব্যয়ে খরচ করার প্রথমত একটা সীমা আছে; আর দ্বিতীয়ত, প্রাথমিকপ্রয়োজন মেটানোর পর যে ভোগব্যয়, তাতে খরচ হওয়া টাকার বণ্টনও এই দ্বিতীয় বিকল্পের মতোই অসম। ... ...
দুই মলাটের মধ্যে গ্রন্থিত তিনটি আখ্যান। তিনটিরই বিষয় স্বাধীনতা লাভের সময়ে বাংলার বিভাজন ও অগণিত মানুষের জীবনের ওপর তার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব । লেখক তানভীর মোকাম্মেল। পড়লেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। ... ...
সম্প্রতি পূর্ণ হল বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মের শতবর্শ। এ মুহূর্তে তাঁর কবিতা ফিরে পড়তে গিয়ে আমরা দেখি নিরন্তর ভালোবাসার, স্নেহের, এক নির্ঝর যেন জ্বালাপ্রান্তর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চলেছে। এই দেশ থেকে, যে দেশ কখনও বিশ্লিষ্ট নয় দেশের মানুষ আর মানুষের সময় থেকে, তার সঙ্গে হাড়ে-মজ্জায় শিরায় বিজড়িত রয়ে গিয়েছেন এই কবি। লিখছেন জয়া মিত্র ... ...
ইরানের রুদবার অঞ্চলের এই কবিতার কথা বহির্বিশ্বে প্রায় অশ্রুত। রুদবারি ভাষার এই বাচিক কবিতা বলে যাযাবর মানুষের সম্পর্কের কথা। বলে সারারাত ধরে মরুভূমিতে নিঃসঙ্গ উট-চালকের কথা। বলে কয়েক মুহূর্ত দেখা দেওয়ার পরেই ভীষণ বালু-ঝড়ে আবছা হয়ে যাওয়া প্রিয়তমার কথা। লিখছেন ইরানি কবি ও তরজমাকার মাহদি গঞ্জভি। ... ...
অসমিয়া সাহিত্যিক হোমেন বরগোহাঞি। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘সাউদর পুতেকে নাও মেলি যায়’। এক শিশুর বড়ো হওয়া, নিরাপদ গৃহকোণ ছেড়ে অজানাকে জানতে, অচেনাকে চিনতে তার বেরিয়ে পড়ার আখ্যান। এবার বাংলা তরজমায়। পড়লেন তৃষ্ণা বসাক। ... ...
মুর্শিদাবাদের সালারের মহরমের বৈচিত্র্য, ব্যান্ডেল গির্জার মা মেরির মূর্তির কাহিনি, পেনেটির দণ্ডমহোৎসবের শ্রীচৈতন্যের প্রিয় গঙ্গাজল নাড়ুর কথা, বাঙালির হেঁশেলে পটলের দোলমা চালু করায় কলকাতার আর্মানি সম্প্রদায়ের মানুষের অবদান। দুই মলাটের মধ্যে ধরা পশ্চিমবঙ্গের নানা অঞ্চলের ইতিহাস ও ইতিকথা। একটি সাম্প্রতিক বই। পড়লেন রামামৃত সিংহ মহাপাত্র। ... ...
ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বিভাজনের খেলাও। মুসলিম কমিউনিটিকে টোপ দেওয়া হচ্ছে তোমরা নিজেদের ভূমিপুত্র দাবি করো। হিন্দুদের বহিরাগত বলো। এবং প্রচার করো তোমাদের ভাষা অসমীয়াও নয়, বাংলাও নয়, সিলেটি। বলো সিলেটি নিজেই একটি ভাষা, তার স্ক্রিপ্ট নাগরী। গোপনে এমন প্রচারও চলছে যে বরাক এবং বাংলাদেশের সিলেট জেলা নিয়ে আলাদা রাজ্যের ডাক দিতে হবে। মোদ্দা কথা যেহেতু সিলেটি বাংলা নয়, ফলে বরাকে বাংলাভাষার দাবি এমনিতেই নস্যাৎ হয়ে যাবে। ... ...
সুন্দরবনের সন্দেশখালি, ন্যাজাটের বানভাসি গ্রাম বাউনিয়া। মেয়েরা এসেছিল মেডিক্যাল ক্যাম্পে ডাক্তার দেখাতে, তারই মধ্যে একটু ফাঁক পেয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে বসাল বেঞ্চিতে। পেট মোটা এক বিগ শপারে ঠাসা শাড়ি, এক মহিলা ঝুঁকে পড়লেন, অন্যরা বলতে লাগল, ‘বেগুনিটা নয় রে, হলুদটা দেখা।’ হলুদ শাড়িই বেরোল, দু’ধারটা ধরে মেলে দাঁড়ালেন দু’জন, আর সেই গাছ উপড়ে-পড়া, ছাদ উড়ে-যাওয়া বিধ্বস্ত গ্রাম যেন নিমেষে হেসে উঠল। পীতবস্ত্রে অজস্র সোনালি চুমকি, পাড়ে আরও ঘন হয়ে শোভা বাড়াচ্ছে, আর আঁচলে যেন জোনাকির মেলা। এমন অপরূপ শাড়ির কারিগরদের মুখ ম্লান। আগে ১২০ টাকা দিত শাড়িতে চুমকি বসাতে, এখন ৮০ টাকা দেবে বলছে ব্যবসায়ীরা। একটা গোটা শাড়িতে কাজ করতে তিন দিন থেকে সাত দিন লাগে। কত ঘণ্টা, তা চুমকির ঘনত্ব দেখে আন্দাজ করা কঠিন নয়। এই কাজের দাম ৮০ টাকা হলে ঘণ্টায় ক’টাকা মজুরি দাঁড়ায়, ভাবলে মনে মনে মরে যেতে হয়। ... ...
আমাদের দেশের রাজনীতিকরা যেমন ‘দেশ সেবা’ করার জন্য রাজনীতিতে যোগ দেন, আমাদের শিক্ষক চিকিৎসক ইত্যাদি পেশাগুলিও মানুষের কাছে যথেষ্ট ‘সম্মানের’। দুঃখ হল দেশ সেবাটা যেমন শিশুপাঠ্যের মধ্যেই বন্দী থাকে। বাস্তবে শিক্ষকদের সম্পর্কে জনমানসের মনোভাব রাস্তাঘাটে কান পাতলেই বুঝতে পারবেন। আমি শিক্ষক বলতে প্রাথমিক শিক্ষক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক সকলকেই রেখেছি। কেউ কেউ বলতেই পারেন, না গবেষকদের প্রতি শ্রদ্ধা এখনো অটুট আছে। একটু খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন গবেষকদের প্রতিও শ্রদ্ধা আর অবশিষ্ট নেই। তাঁরা শুধু অর্থের অপচয় করেন বা স্বজন পোষণ করেন এরকম অভিযোগ সর্বত্র শুনতে পাবেন। মোদ্দা কথা পেশা হিসাবে শ্রদ্ধা আর অবশিষ্ট নেই। তাই চলচ্চিত্রের নায়ক বা নায়িকা, ক্রিকেট খেলোয়ার বা রিয়েলিটি শো-র গায়ক, এরাই কিশোর-তরুণদের চোখে আইডল, মডেল, আদর্শ। ... ...
যাঁরা মারা গেছেন বিজয় রজকের চোখে তাঁদের অধিকাংশই দাঙ্গাকারী নন। বিশেষত, যদি খতিয়ে দেখা হয়, তাহলে বোঝা যাবে যে নিহতদের কেউই অতীতে কোনো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এখন সবকিছুতেই সাম্প্রদায়িক রং লাগানো হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমন জায়গায় দাঙ্গা শুরু হয়েছে যেখানে হিন্দু বসতি শেষ হচ্ছে আর মুসলিম বসতি শুরু হচ্ছে—বর্ডার জাতীয় এলাকায়। ... ...