পুজোর ছুটিতে দার্জিলিং মেলে AC 2 tier এ confirmed টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা বা এবারের ICC Test Championship এ ভারতের champion হওয়ার সম্ভাবনা কতটা --- এই ধরণের আলোচনা তো আমরা হামেশাই করে থাকি। যদুবাবু এই সব ধরণের সম্ভাবনা নিয়েই আলোচনা করেছেন। তবে তাঁর আলোচনাগুলো একেবারে আমাদের মত আনাড়ি সুলভ নয়। আবার যদুবাবু এই বিষয়ে পণ্ডিত হলেও তাঁর লেখার মধ্যে পণ্ডিতি ব্যাপার স্যাপার একেবারেই নেই। বরং দৈনন্দিন জীবনে, রকেট উৎক্ষেপণ বা যুদ্ধক্ষেত্রে, বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কারের পেছনে কিভাবে লুকিয়ে আছে সম্ভাবনা তত্ত্বের প্রয়োগ --- যদুবাবু পুরোটাই আলোচনা করেছেন বৈঠকি মেজাজে। ... ...
এমন এক প্রলয়ের কালে আমরা যারা স্বপ্ন দেখতে জানি, তারা অন্ধ ও বধির হয়ে যাই নি, আমরা যারা সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বুকে নিয়ে পথ হাঁটি সেই স্বপ্ন আজ আমাদের তীক্ষ্ণ অনুসন্ধিৎসু করে তুলেছে। স্বপ্নভঙ্গকে আমরা হতাশার প্লাবনে ভেসে যেতে দেইনি বরং স্রোতের বিরুদ্ধে সাঁতার কাটার অভ্যাস আমাদের ডুব দিতে শিখিয়েছে সমস্যার গভীরতম তলদেশে। আমরা এই প্রচন্ড প্রলয়ের মুখে লাথি মেরে এখনও রাস্তায় বা আলোচনা সভায় প্রতিবাদ জারী রাখার সাথে সাথে স্বপ্ন দেখে যাচ্ছি সাম্যবাদের বিজয়ের, সাম্যবাদী তত্ত্বের অগ্রগতির, নতুন করে সমস্ত ভাবনা-চিন্তাকে সজীব ও সৃজনশীল করে তোলার। ... ...
আমার সুযোগ না হলেও ভোরের বাতাস গায়ে মাখতে বাবা বের হয়ে গেছে এরই মধ্যে। সাথে রহিম চাচা। যমুনার ধার ঘেঁষে হাঁটতে হাঁটতে বাবা চলে যায় বটতলার শ্মশান ঘাটের দিকে। ওই ঘাট পার হলেই জেলখানার ঘাট। সেখানে সারারাত জাল ডুবিয়ে বসে থাকা জেলেদের জালে এসময় মাছের বাড়বাড়ন্ত। বেলা উঠলেই ঘাটের পাড়ে শুরু হয় সদ্য নদী থেকে তোলা মাছের বিকিকিনি। সেখানে খালুই ভরা—কখনো আইড়-ভেউশ, কখনো রূপালী পাবদা। সেসব খালুই থেকে বেছে বেছে সেরা মাছ বাবার জন্য তুলে নেয় রহিম চাচা। ... ...
- মা, শ্বেত পাথরের টেবিলের গল্পটা বলবে বলেছিলে! - টেবিলের গল্প? টেবিলের তো আর আলাদা কোন গল্প হয়না রে বাবু, এ হল টেবিলের চারপাশের মানুষের গল্প। - সেটাই বল শুনি। - শোন তবে। আমাদের ছোটবেলায় খুব রেডিওতে নাটক শোনার চল ছিল। যেদিন যেদিন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের শ্বেত পাথরের টেবিল নাটকটা হত, সেদিন মা, মামা, মাসিরা সব কাজ ফেলে রেডিও ঘিরে বসত আর নানান মন্তব্য করত। নাটকটা শেষ হয়ে যাবার পরেও অনেকক্ষণ সেই আড্ডা চলতেই থাকত। আলোচনার মূল কথা হল, এ তো আমাদের বাড়ির গল্প, সঞ্জীব বাবু কীভাবে জানলেন? ইত্যাদি। সেই সব গল্প থেকেই প্রথম জানতে পারি যে, আমার মামার বাড়িতে এককালে বিশাল এক নকশাকাটা শ্বেত পাথরের টেবিল ছিল। - নাটক থুড়ি গল্পটার সঙ্গে মিলটা কী? - গল্পটা তোকে পড়তে হবে, তবে তো? মোবাইলে খোল, গুগলে আছে। - আচ্ছা, ওয়েট, দেখি, ... ...
উভিনজায় ঢুকতেই যে সম্ভাষণ শুনতে পাই তার থেকেই বোঝা যায় যে এক নতুন উপজাতি, নতুন রীতিনীতির সঙ্গে এবার পরিচিত হতে যাচ্ছি। দুজন ভিনজার মধ্যে প্রথম পরিচয় একটি ভয়ানক ক্লান্তিকর ব্যাপার। পরস্পরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা দুহাত বাড়িয়ে দেয় আর ‘‘জাগো, জাগো’’ বলতে থাকে। তারপরে, একে অপরের কনুই আঁকড়ে ধরে হাত ঘষতে থাকে আর দ্রুত বলতে থাকে, ‘‘জাগো, জাগো, জেগে ওঠো, জেগে ওঠো,’’ যার শেষটা হয় "হু, হু" দিয়ে। তাতে পারস্পরিক তৃপ্তি বোঝায়। মেয়েরা এমনকি কাঁচা বয়সের ছেলেদেরও অভিবাদন করে। সামনে পিঠ ঝুঁকিয়ে, আঙ্গুলের ডগা দিয়ে পায়ের আঙ্গুল ছুঁয়ে। অথবা পাশে ঘুরে, হাততালি দিয়ে বলে, ‘‘জাগো, জাগো, জেগে ওঠো, জেগে ওঠো, হুহ, হুহ’’। পুরুষরাও হাততালি দেয় আর একই শব্দে জবাব দেয়। ... ...
বাইনারি দুনিয়ায় কোনও লিঙ্কে ক্লিক করতে না করতেই দেখি, পর্দাজুড়ে হুটোপাটি করছে শেয়ার করার বিভিন্ন আয়োজন। আমার এক কবিবন্ধুর কথায়, “সুরাসিক্ত লিঙ্ক আঁকশি বাড়িয়ে বিষ-আলিঙ্গনের কথা বলে।” যখন কোনও খবর পড়ি, পনেরো সেকেন্ড যেতে না যেতেই দেখি, লাইক করার হরেক টুল নেমে আসছে স্ক্রিন জুড়ে। পড়া স্তব্ধ করে দিয়ে বলে, লাইক করো আগে। কিভাবে করতে চাও বলো। তুবড়ির ফুলকির মতো উড়ে আসে হোয়্যাটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম আর ইমেলে শেয়ার করার আইকন। কোনও বিষন্ন খবরে তুমুল রেগে এমন অপশন বন্ধ করে দিয়ে দেখেছি, দশ সেকেন্ড পরে ফের হাজির হয়েছে অপশন অমনিবাস। মানেটা হল, শুধু আমি পড়লেই হবে না, মেঘের ওপাশ থেকে গর্জনের মতো তা বিলিয়ে দিতে হবে বিশ্বচরাচরে। আমি জানি, প্রতিটি লিঙ্কের পর্দার ওপারের ডেটাবেস আমার শেয়ার করার দলিলের খবর রাখে। যত বেশি শেয়ার করব, সংস্থার আরও বড় প্রিয়পাত্র হব আমি। আমার সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে ফুটে উঠবে ওই সংস্থার এমন খবরের আরও, আরও ফিড। পালাবার পথ নেই। ... ...
মৈতৈরা সিংহভাগ হিন্দু। কিছু সংখ্যক মৈতৈ মুসলিম, সানামাহি-ধর্মী ও খৃষ্টান। কুকিরা বেশিরভাগ খৃষ্টান। দাঙ্গার কারণ ধর্মীয় নয়, জাতিগত। দাঙ্গায় মৈতৈদের সতেরোটা মন্দির পুড়েছে, কুকিদের ২২১টা চার্চ- ২রা জুনের ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুযায়ী। ঐ সময় অবধি মৈতৈদের প্রায় দু'হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। কুকিদের প্রায় দেড় হাজার। শুরুতেই অনেকগুলো সংখ্যা একের পর এক তুলে ধরার উদ্দেশ্য হল দাঙ্গার ব্যাপ্তি ও ভয়াবহতাটা বোঝা। হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষিত ভারতীয়রা শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমস্যার গল্প শুনে ভারতে ভোট দেয়, তাই দেশের ভেতরের সমস্যার কথা তাদের বলার জন্য সবার প্রথমে ঘরহারা মানুষ আর ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ি ও ধর্মস্থানের সংখ্যা তুলে ধরা জরুরি। ... ...
দাল মে কুছ কালা হ্যায় যারা বলেন তাঁদের আমরা সামগ্রিকভাবে বংশীবাদক—হুইসলব্লোয়ার—আখ্যা দিয়ে থাকি, যুগে যুগে তাঁদের দেখা পাওয়া গেছে। খুব কম ক্ষেত্রেই তাঁদের কথা মানুষ শুনেছে। তবে এক্ষেত্রে বাজারি কানাকানির ভিত্তিতে মিউনিকের টনক নড়ে। তাঁদের তাড়ায় অতি দ্রুত রিয়েচকা বাঙ্কার তদন্তকারি অফিসাররা খাতাপত্র দেখে আবিষ্কার করলেন সব্বোনাশ, এডুয়ার্ড নদিলো বিগত চার বছর (১৯৯৮ থেকে) ডলারের দামের ভবিষ্যৎ নিয়ে ফাটকা খেলেছেন। অনেক লোকসান লুকিয়ে রেখেছিলেন বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রার ব্যাবসায়ের আবরণে—তাঁর বসেরা টের পাননি। ... ...
নাসির সাহেবের ভাষায়, “ধর্মের নামে যে সমস্ত ভণ্ড সমাজহিতৈষী কথায় কথায় বিরুদ্ধবাদীদের কাফের ও ইসলামের শত্রু আখ্যা দিয়ে সমাজের অশিক্ষিত জনসাধারণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাচ্ছে, নানা তহবিলের সৃষ্টি করে যে সমস্ত প্রবঞ্চকের দল সে সব তহবিলের টাকা আত্মসাৎ করে সম্পত্তি ক্রয় করছে, ঐ সব ধর্মব্যবসায়ীদের ভণ্ডামির মূলোৎপাটনই সওগাতের উদ্দেশ্য।” ... ...
বাস্তব হল এই, যে, রিজার্ভ ব্যাংকের নিজস্ব রিপোর্ট অনুযায়ী – ৯৯.৩ শতাংশ নোট ব্যাংকে ফিরে এসেছে। বড় ব্যাগধারী রাজাদের টাকা ডোবেনি, গরিবদের সুদে পড়ে থাকা কিছু নোট অবশ্যই পচে গেছে। বোঝাপড়া ছিল, যে, দুর্নীতিবাজরা নোটের বান্ডিল লুকিয়ে রাখে। দেখা গেল—তারা আমাদের চেয়ে বেশি চালাক এবং তাদের টাকা বেনামি সম্পত্তি, জমিজমা বা হীরা ও গহনাতে রূপান্তরিত করে রাখা হয়। জাল নোটের সংখ্যা অনেক বেশি বলেও দাবি করা হয়েছে। পরে, রিজার্ভ ব্যাংক নিজেই জানিয়েছিল যে জাল নোটের অনুপাত মাত্র ০.০০০৭ শতাংশ। ... ...
- ও মা! আমি টেবিলের ওপরে আলু কাটছি। - চপিং বোর্ড নিয়ে নে। নইলে ছুরির দাগ পড়ে যাবে। - কিন্তু হোটেলে যে টেবিলের ওপরে কাটে দেখেছি। - সে টেবিলের ওপরে পাতলা মার্বেল লাগানো থাকে, তাই। - আমরা মার্বেল লাগাইনি কেন? আচ্ছা মা, তোমাদের কলেজের সেই গোল শ্বেত পাথরের টেবিলটা এখনও আছে? ... ...
গ্রামের মাতৃস্থানীয়রা যখন এটা-ওটা-সেটা নিরীহ কথা কানাকানি করে , তখন পরিবারের কর্তাদের পাওয়া যায় ছেলেদের আড্ডায়। সেখানে জিনিসপত্রের দাম, এলাকার রাজনীতি নিয়ে আলোচনা চলে। সম্ভবত আরো অনেকটা সভ্য দেশে একই ধরণের জায়গায় যতটা বিচক্ষণতা ও বোধের সঙ্গে এই ধরণের আলোচনা হয়, এখানকার আলোচনাও সেই একই গোত্রের। কিন্যামওয়েজি গ্রামের সকলের একত্রিত হওয়ার জায়গাকে ওদের ভাষায় "ওয়ানজা" বা উওয়ানজা বলা হয়। এটা সাধারণত গ্রামের চৌকোনো জায়গার একটেরেতে থাকে। ফাঁকা সময়ে- অবশ্য ব্যস্ততা খুব কমই থাকে - তারা উবু হয়ে বসে ধূমপান করে, আর সম্ভবত মায়েদের মুখে একটু আগে যে আলোচনা শোনা গেছে, সেই একই বিষয় নিয়ে আলোচনা করে । সদ্য আগত সাহেবটি হল সেই বিষয় । ... ...
"He has avenged the great Argentine people oppressed by ignoble imperialist in the Malvinas..It's a political act..he humiliated them, you understand?" - বৃদ্ধ আঙ্কল আলফ্রেডো উত্তেজনায় ফ্যাবিয়েত্তর হাতটা চেপে ধরেন! মালভিনাস হল ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ। ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের প্যাটাগোনিয়ান শেল্ফে অবস্থিত। এই দ্বীপপুঞ্জের আবিষ্কার ও ইউরোপীয়দের দ্বারা এর উপনিবেশায়ন নিয়ে প্রভূত বিতর্ক আছে। ফরাসিরা, স্প্যানিশরা ও আর্জেন্টিনীয়রা বিভিন্ন সময়ে এই দ্বীপগুলিতে বসবাস করলেও ১৮৩৩ সালে ব্রিটিশরা তাদের শাসন পুনরুদ্ধার করে। কিন্তু আর্জেন্টিনা এই দ্বীপপুঞ্জের উপর তাদের দাবি বজায় রাখে। ১৯৮২ সালে ২রা এপ্রিল আর্জেন্টিনা সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশদের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ আক্রমণ করে ও দখল করে। তাদের দাবি ছিল দ্বীপগুলি আর্জেন্টিনার ভূখণ্ডেরই অংশ এবং এই আক্রমণের দ্বারা তারা আসলে নিজস্ব ভূখণ্ডই পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। ৫ই এপ্রিল ব্রিটিশ সরকার পাল্টা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। অঘোষিত এই যুদ্ধ চুয়াত্তর দিন স্থায়ী হয়েছিল। ১৪ই জুলাই আর্জেন্টিনা আত্মসমর্পণ করে এবং দ্বীপগুলিতে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ ফিরে আসে। আঙ্কল আলফ্রেডো এই ফকল্যান্ড যুদ্ধের কথাই বলছেন। ... ...
এমন ঘটনা ইদানীং অনেক ঘটছে। বস্তত এত বেশি পরিমাণে ঘটছে যে আঠারোর কাছাকাছি নাবালিকাদের বিয়ের খবর পেলে আজকাল চাইল্ড লাইন বা প্রশাসনের তরফে সেই বিয়ে বন্ধ করার খুব একটা সদিচ্ছা দেখা যায় না। দিন পনেরো আগের ঘটনা। সতেরো বছর পাঁচ মাস বয়সী একটি মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে শুনে থানায় ফোন করেছিলেন হুগলী জেলার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ‘থানা থেকে তো পরিষ্কার বলে দিল, কী লাভ মাস্টারমশাই এই বিয়ে আটকে? আর তো মাত্র ক’মাস, একবার আঠারো বছর হতে দিন, দেখবেন ও মেয়ে নিজেই পালিয়ে যাবে বয়ফ্রেন্ডের সাথে।’ – দুঃখ করছিলেন তিনি। ... ...
এই যে আপনারা, মানে যারা জুনিয়র বা সাব জুনিয়ার সিটিজেন, তাদের যে জিনিস দেখে আমি মুগ্ধ হই তা হচ্ছে আপনাদের গভীর আত্মবিশ্বাস আর দুঃসাহস। আমরা সিনিয়র সিটিজেনরা, কীরম একটা ন্যাকাটে ও ক্যাবলা কার্তিক ছিলাম। এখনো। তো, সেই সময়টাই সেরকম ছিল। মা বাবা গুছিয়ে ক্যালাতো, অংকের মাস্টারের তো কথাই নেই। এমন কি ভূগোলের মাস্টার মশাইও সাতটা রাজধানীর নাম না বলতে পারলে উত্তাল পেটাতেন। "শালা" বলেছি, শুনতে পেয়ে পাড়াতুতো এক কাকা উদ্যোগ নিয়ে কান মলে দিতেন। সে এক মুক্তাঞ্চল। ... ...
আমাদের ধারণা ছিল কলেজের ছেলেমেয়েরা তো বড় হয়েছে, এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে ওদের সচেতনতার শিক্ষা খুব বেশি প্রয়োজন নেই, কারণ টেলিভিশন বা সমাজ মাধ্যমের কারণে এরা সব কিছুই দেখেছে, শুনেছে, জেনেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখলাম একেবারেই ভুল ভেবেছি। যেহেতু প্রথম ঢেউয়ে গ্রাম তেমনভাবে আক্রান্ত হয়নি, তাই এই ছেলেমেয়েরা বেশিরভাগই অসুখটার ণত্ব ষত্ব কিছু জানেনা। টেলিমেডিসিন কি, অসুখের প্রোটোকল কি? কতদিনের মধ্যে কী ধরণের পরীক্ষা করাতে হবে, পরীক্ষা কোথায় হয়? অক্সিজেন কেন, কখন লাগতে পারে এগুলো তারা বিশেষ কিছুই জানেনা। তাছাড়া বেশিরভাগের বাড়িতে অক্সিমিটার তো দূর থার্মোমিটার পর্যন্ত নেই। ... ...
ন্যামওয়েজিদের কিছু অদ্ভুত রীতি আছে। একটা বাচ্চার জন্মের পরে তার বাবা পিতা নাড়িটা কেটে ফেলে আর সেটা নিয়ে রাজ্যের সীমানায় গিয়ে সেখানে মাটিতে পুঁতে দেয়। যদি সে জায়গাটা একটি নদী হয়, তাহলে নদীর পাড়ে পুঁতে দেয়; তারপর একটা গাছের শিকড় নিয়ে সে ফিরে আসে, আর বাড়ি ফিরে নিজের দরজার চৌকাঠে সেটা পুঁতে দেয়। তারপর সে তার বন্ধুদের জন্য একটা ভোজের বন্দোবস্ত করে। একটা বলদ বা গোটা ছয়েক ছাগল মারে, পোম্বে বিলোয় সবাইকে। যমজ সন্তানের জন্ম হলে, তারা কখনই একজনকে মেরে ফেলে না, বরং সেটা আরও বড় আশীর্বাদ মনে করে। ... ...
কেল্লায় যে এত ভূতের বসবাস আমি নিজেও তা জানতাম না আগে, আমি তো সপ্তাহে অন্তত পক্ষে একদিন হলেও কেল্লায় যাই, কিন্তু কেল্লার ভেতরে জ্বিন দেখার সৌভাগ্য আমার এখনও হয়নি। একবার তো কেল্লার জঙ্গলে ঢাকা বেগম মহলে ভরা শীতের সময় প্রায় সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত ছিলাম, কিন্তু সেদিনও সেখানে কিছুই দেখতে পাইনি—তবে নিশ্চয় কোনো না কোনো দিন ঠিকই কেল্লার ভেতরে জ্বিনের দেখা পাবো—এই আশা রাখি। ... ...
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—অনেকে জানলেও, এখনও বেশিরভাগ মানুষই জানে না, যে—এই ভারত জোড়ো অভিযান ছিল যোগেন্দ্র যাদবের ‘ব্রেন চাইল্ড’। তিনি জানতেন এই অভিযান রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে করা সম্ভব হলে সমাজে ও রাজনীতিতে তার প্রভাব হবে অপরিসীম এবং নির্ণায়ক। সেই উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করতে দীর্ঘদিন যোগেন্দ্র যাদবের টিম অসীম ধৈর্য সহকারে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা ও তাঁদের মা সোনিয়া গান্ধীকে বুঝিয়েছেন, আশ্বস্ত করেছেন এর সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক সুফল সম্পর্কে। কারণ, কংগ্রেস নেতৃত্বের একটা বড় অংশ বিষয়টিকে খুব একটা সুনজরে দেখেননি এবং এক অজানা আশঙ্কায় এটিকে অনাধিকার চর্চা বলেই মনে করেছেন। এমনটা যে বাস্তবে সম্ভব—অনেকেই তা ভাবতে পারেননি। এই যাত্রার সাফল্য নিয়ে সংশয় ছিল খোদ রাহুলের ও তাঁর পরিবারেরও। ... ...
তাদের মাঝখান থেকে তাপ্তী, তরুণকে এক হ্যাঁচকা টানে তুলে ফেলে টানতে টানতে আমাদের দিকে নিয়ে আসতে লাগল। এমন সময় দুই ডাইনোসরের যুদ্ধে একটা গোটা গাছ আমাদের চারজনের মাঝখানে এসে পড়ল। তরুণকে যখন এদিকে আনার চেষ্টা হচ্ছে তখন আমি হঠাৎ আমার পকেটে একটা দড়ি আবিষ্কার করলাম। একটা পাথর ঐ দড়ির মাথায় বেঁধে আমি তরুণদের দিকে ছুড়ে দিলাম। সেটা পড়ে যাওয়া গাছের ওদিকের একটা ডালে আটকাল। তরুণ দড়ি বেয়ে সহজেই এদিকে চলে এল। কিন্তু তাপ্তী যখন দড়ির কাছে যেতে যাবে, তখন ভয়ংকর এক চিৎকারে আমরা সবাই চমকে গেলাম। দেখা গেল যে, টি-রেক্স অ্যালোসরাসকে ঘোরতর যুদ্ধে পরাজিত করেছে। তাপ্তী ততক্ষণে দড়ি বেয়ে উঠতে আরম্ভ করেছে। ডাইনোসরটা এবার তাপ্তীর দিকে এগোতে শুরু করল। তাপ্তী গাছ থেকে লাফিয়ে নেমে এক হ্যাঁচকা টানে দড়িটা ছাড়িয়ে ছুট দিল। ... ...