সদ্য তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে।ফ্যাসিস্ট বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয় ঘটেছে।পৃথিবীর ইতিহাসে এক যুগসন্ধিক্ষণ।পৃথিবী জুড়ে সব মানুষের বাধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। যারা যারা যুদ্ধে নিজের প্রিয়জনকে হারিয়েছে, তারাও এই বিভৎসতার শেষে হাপ ছেড়ে বেঁচেছে।সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষ এই যুদ্ধে চেয়েছিল হিটলারের পরাজয়।কারন পৃথিবী নিয়ন্ত্রণের ভার এক উন্মাদের হাতে পরলে সে যে কী ভয়াবহ অবস্থা হত তার ধারণাও করা যায় না।
কিন্তু বাংলায়, তখনকার অবিভক্ত বাংলা প্রদেশে অবস্থাটা একটু অন্যরকম।ভারতে তখন চলছে ব্রিটিশ শাসন, আর ব ... ...
বম্বে থেকে কোনো গানের রেকর্ডিং করে মান্না দে কলকাতায় ফিরছেন।এয়ারপোর্ট থেকে পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় ওনাকে রিসিভ করে নিয়ে আসছেন।শ্যামবাজারের দিক দিয়ে পুলক বাবু ড্রাইভ করে আসছেন, সেই সময় মান্না দে হঠাৎ একটা ভজন গেয়ে উঠলেন 'ঘুংঘট কে পট খোলো'।পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় একবার শুনলেন।তারপর বললেন 'দাদা আরেকবার গানটা করুন তো'।মান্না দে ও আরেকবার গানটা গাইলেন।গাড়ি তখন শ্যামবাজার মোড় পাড় করে গেছে।পুলকবাবু গাড়ি ঘুড়িয়ে শ্যামবাজার মোড়ে বাণীচক্র গানের স্কুলের সামনে এসে দাঁড়ালেন।গাড়ি থেকে মান্না দে কে টেনে ... ...
১৯৫১ সালে অশোক কুমারের আহ্বানে সারা দিয়ে বম্বে টকিজের ব্যানারে নিউ থিয়েটার্স ছেড়ে বিমল রায় তার ইউনিটের একাংশ নিয়ে বম্বে চলেছেন হিন্দি সিনেমা বানাবেন বলে।ইউনিটের সদস্যরা হচ্ছেন প্রধান সহকারী অসিত সেন,এডিটর হৃষিকেশ মুখার্জি, পল মহেন্দ্র, চিত্রনাট্যকার এবং সহকারী নবেন্দু ঘোষ।হ্যা, এনারা প্রত্যেকেই পরে বলিউড কাঁপানো এক একজন নামী শিল্পী হবেন, কিন্তু তখন কেউই তাদের চেনে না।
বম্বেতে তাদের স্থান হয় বনবিহার নামের একটা তিনতলা বাড়ির একদম ওপরের ফ্ল্যাটে।সেই সময়কার পশ্চিম বাংলার বিখ্যাত সুন্দরী ... ...
'শো ম্যান অফ দ্যা মিলেনিয়াম' এমনি এমনি হওয়া যায় না।সব তো আর হরলিক্স নয় যে লোকে রাজ কাপুরকে এমনি এমনি খাবে।রাজ কাপুর নিজেও হয়ত জানতেন না সিনেমার প্রতি তার দায়বদ্ধতা কোন জায়গায় নিয়ে গেছেন উনি।সেটা যারা তার সাথে কাজ করেছে তারাই বলতে পারে।তার লিপে কেউ যদি প্লে ব্যাক করেন তাহলে সেই শিল্পীর রিহার্সালের সময়টা পুরোটা থেকে গানটা তুলতেন এবং গান গাওয়ার সময় গায়ক কিভাবে অঙ্গভঙ্গি করেন সেগুলো খুব খুঁটিয়ে লক্ষ্য করতেন।এরপর গানটা যখন সিনেমায় ব্যাবহার করা হত তখন ঠিক সেই ভাবেই গানের সাথে এক্সপ্রেশনগুলো দিতেন ... ...
দাদামণি অশোক কুমারের প্রপিতামহ মানে মায়ের ঠাকুরদা ছিলেন ভাগলপুরের রাজা শিবচন্দ্র ব্যানার্জি।আগেই লিখেছি সে কথা।ছোটবেলায় অশোক কুমার একটা বড় সময় ভাগলপুরে কাটিয়েছিলেন।সেই সময় মাঝে মাঝেই রাজা শিবচন্দ্র ব্যানার্জি বাচ্চা অশোক কুমারকে ডেকে বলতেন 'অ্যাই ছোড়া, একটা গল্প শোনা'।আসলে অশোক কুমার ছোটবেলায় খুব ভালো বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলতে পারতেন।এবার পরদাদা,মানে প্রপিতামহর নির্দেশে গল্প বলতে শুরু করতেন, 'কাল আমি একটা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাঁটছিলাম তখন কত কত পাখিরা কিচিরমিচির করছিল ময়ূর নাচছিল আমার খুব ভালো ... ...
আমাদের পাশের পাড়ায় একটা কালিপুজো হত আদর্শ বালক সঙ্ঘের নামে।আমার জন্মের বহু আগে থেকে সেই পাড়ার কাকা জ্যাঠারা তারা যখন বালক ছিল সেই সময়ে ওই পুজোটা চালু করে।সেই জন্যই নাম ছিল আদর্শ বালক সঙ্ঘ বা এবিএস।তো বালকরা কালের নিয়মে কৈশোর পার করে যৌবনে উপনীত হল, তাতেও নামটা আর পালটালো না।যখন তারা কাকা জ্যাঠা হয়ে গেছে, অর্থাৎ বিয়ে থা করে ছেলেপুলের বাপ হয়ে গেছে তখনও পুজোটা তারা ওই নামেই করে যেত।ওরা করত শ্মশানকালীর পুজো।শ্মশানকালীর পুজো সারারাত ধরে হয়ে ভোরবেলা অঞ্জলী হয়।পুজো শুরু হত মোটামুটি রাত বারোটা ফারো ... ...
বারো তেরো বছর আগেকার কথা।তখন হৈ হৈ করে দুর্গা পুজো কালি পুজোর চাঁদা তুলতাম।একবার হয়েছে কি যে যে বাড়ির কোটাগুলো ছিল সেই সব কটা বাড়ির চাঁদা তোলা হয়ে গেছে।হাতে আরো কয়েকদিন সময়ও আছে।তো নতুন মার্কেট ধরার জন্য আমরা পাড়া থেকে একটু দূরে গেলাম।যদি কিছু চাঁদা আরো এক্সট্রা পাওয়া যায় তাহলে সেটা হবে ওভার টার্গেট অ্যাচিভ এর মত ব্যাপার।সেই অনুযায়ী একটা বাড়িতে ঢুকেছি।দরজায় নক করলাম, ভেতর থেকে একজন বলল কে? বললাম আমরা দুর্গা পুজোর চাঁদা নিতে এসেছিলাম এই ক্লাবের থেকে।দরজা খুলে গেল।তখনো লোকে চাঁদার নামে এখনকার মত এ ... ...