সবার জন্য স্বাস্থ্য - একটি আন্দোলন, আন্দোলকেদের কথায় একটি স্বপ্ন যা সত্যি করা যায়। ঠিক এই নামেই আজ ওয়েস্ট বেঙ্গল ভলান্টারি হেলথ এসোসিয়েশন কেন্দ্রে ডঃ পুণ্যব্রত গুণের সম্পাদনায় প্রকাশিত হল একটি বই - সবার জন্য স্বাস্থ্য। গুরুচণ্ডা৯ এবং সবার জন্য স্বাস্থ্য কমিটির যৌথ প্রয়াসে। একগুচ্ছ লেখা রয়েছে নিবেদিতপ্রাণ স্বাস্থ্যকর্মীদের। বইপ্রকাশের সঙ্গে কনভেনশন। সেখানে লেখকদের সঙ্গে উপস্থিত প্রত্যন্ত গ্রামের ডেলিগেটরা। হাতে হাত বেঁধে থাকা এইসব মানুষগুলির কথায় বাস্তব হয়ে উঠে আসে এমন এক দেশের কথা ... ...
হুতোম সেই কবে বাঙালীদের খোঁচা মেরে লিখে গেছেন "হুজুকে কলকাতা "।
শাইনিং ইন্ডিয়াতেও এখন নিত্যি নতুন হুজুক, তাতে মিথ্যাকে আটপৌরে হাফ প্যান্ট বা ঘরে পরা নাইটির মতো ব্যবহার করা চলছে দেদার। জড়িয়ে নিলেই হলো।
নেড়ে বা কাটাদের নিয়ে হুজুকের শেষ কবেই বা ছিলো। তীব্র শ্লেষের সঙ্গে হুতোম একটির উল্লেখ করেছেন। কাবুলি মেওয়াওয়ালারা নাকি ছেলে ধরে কাবুলে নিয়ে যায়, তারপর ছেলেটাকে ছেড়ে দেয় মধু মিষ্টি মেওয়া বাগানে। মেওয়া খেয়ে খেয়ে সে একেবারে ফুলে ওঠে, গায়ের রঙ যেন দুধে আলতা। টুস্কি মারলে রক্ত বেরোয়। ... ...
One who says 'hm' will be jailed
One who asks 'why'? will be exiled.
লিখেছিলেন তামিল কবি ভারথী।
আমাদের দেশের অবস্থা তো এখন এইরকমই। তবু না লিখে পারছি না কাল রন্ধন প্রতিযোগিতায় অংশ আপনি নিতেই পারেন, কিন্তু আমাকে দয়া করে ট্যাগ করবেন না। আলপনা দেওয়া খুব পছন্দ করি,বিশেষ করে আদিবাসী গ্রামের আলপনা। কিন্তু কাল সেরকম প্রতিযোগিতাতেও অংশ নেব না। কারণ কালকের দিনটা মেয়েদের ললিতকলায় পারদর্শিতা দেখাবার দিন নয়। রন্ধন বিদ্যায় নৈপুণ্য দেখাবারও নয়। হেভি ডিস্কাউন্টে জুয়েলারি, শাড়ি বা অন্য ভোগ্য খরি ... ...
চিরকালই আমার মনে হয়েছে মৃত্যু কোন সীমারেখা, ভেদাভেদের পরোয়া করেনা। আর যে মৃত তার ওপর এই পৃথিবীর কোন লেনদেন, সম্পর্ক,লিঙ্গ,ধর্ম, সমাজ সংস্কৃতির কোন নিয়ম খাটে না।
কারণ সে আর কোথাও নেই। আঙুলের ফাঁকে গলে পড়া জল যেমন, শুধু স্মৃতির আর্দ্রতা অনুভব করা যায়। এমন কি আপাদমস্তক তিক্ততাকেও মন্ত্রবলে ঔদাসীন্যে বদলে দিতে পারে মৃত্যু।
তাই হুমায়ুনের মূল সমাধিগৃহ বেড় দেওয়া প্রশস্ত চাতালে যে কবরগুলি রয়েছে সেগুলো হিন্দুস্তানের মহামহিম বাদশার মতো অভিজাত কারোর নয় জেনেও একটির ওপর জুতো পায়ে বসে থাকা ... ...
দৈহিক যন্ত্রণার কান্না আর তীব্র আবেগের অশ্রু, যার জন্ম যন্ত্রণাতেই, এই দুটোর মধ্যে তফাৎ করা খুব মুস্কিল এটা বোঝাবার জন্য সোনার গৌর সাহেবজান ঘর ভর্তি দর্শকের সামনে প্রথমে কচকচিয়ে একটি পেঁয়াজ খেলেন, তারপর একটি বিরাট কাঁচা লংকার অর্ধেকটা ! ফলে তার ঈগলচঞ্চু নাসা আরো টকটকে লাল হয়ে গেল, মুখ একটু হাঁ ।
কিন্তু তার চোখে জল এলো না। অথচ সে দৃশ্যে তখন পুরো এক প্লেন ভর্তি মানুষের ছোঁয়াচে হাপুস কান্নারোগে আক্রান্ত হবার কথা বলা হচ্ছিল। ব্যতিক্রম ওই চরিত্রটি।একেবারে শেষে পাগলের মতো হ্যান্ড স্যানিটাইজার ঘষত ... ...
ভারত মহাসাগরের তীরে এক বর্ণময় নারীর জীবনাবসানের সাক্ষী হতে হচ্ছে নেহাত ঘটনাচক্রে। হঠাতই এসে পড়েছি তামিলনাড়ুর পাশে, ইচ্ছে ছিল আজ শ্রীরঙ্গাপত্তনমে টিপুর কাছে যাবার, সব ভন্ডুল করে দিয়ে ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে এক বৃদ্ধা অভিনেত্রীর, আপাতসফল কিন্তু নিষ্ঠুর একনায়িকার অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু। সে আগুনের আঁচের সেঁক নিচ্ছে চেন্নাইতে এপোলো হাসপাতালের সামনে মানুষের কাতার, সন্ত্রস্ত সেবাকর্মীরা,রেলস্টেশন,এয়ারপোর্ট জুড়ে আটকে পড়া অসহায় মুখের ভিড়, বন্ধ দোকান বাজার আর ক্রমশ জনবিরল হতে থাকা রাস্তাঘাট। বন্ধ করে দেওয়া হ ... ...
আজ অটোর জানালা দিয়ে রাজাবাজারের মোড়ে দেখি আকাশের অনেক উঁচুতে চৌকো গোল নানা রঙিন ছোপ।
ঘুড়ি !
নাকি হৃদয়ের কথা যা কোনদিন কেউ শুধোল না!
সে যাই হোক, ছোটবেলাটা ছুট্টে এলো কোথা থেকে এই ঘিঞ্জি ভিড় ঠেলেও! তার মাথায় এখনো রিবন বাঁধা, হাঁটু ঝুল ফ্রক। মনে করিয়ে দিল ডানপিটে মেয়েটাকে যে একগাদা ছেলের সঙ্গে পাশাপাশি দুটো বড় গাছে ঘুড়ির সুতো পেঁচাচ্ছে। ঘুরিয়েই যাচ্ছে।
তেতলার হাতে এরারুট বা গদের আঠা। ওই আঠা ন্যাকরায় নিয়ে পেঁচানো সুতোয় লাগাতে হবে। আর সাগরের হাতে হামানদিস্তায় পেষা ফটো ... ...
মেয়েছেলেরা বেশি রাত করে বাইরে থাকবে না। ওটা পুরুষের একচেটিয়া। লক্ষ্মীর স্বামী রোজ দেড় রাতে টলোমলো হয়ে বাড়ি ফিরতে পারে। ওকে চুল ধরে টেনে ওঠায়। সোয়ামির জন্য যত রাতই হোক জেগে বসে থাকতে হয় ওর বারোভাতারি মা শেখায়নি ?
ধুপধাপ মারের চোটে বস্তি জেগে যায়। কিন্তু কেউ এগোয় না। বাবুরাও তো কারো ঘরেলু মামলায় দখল নেয় না।
লক্ষ্মী তাই পা টেনে টেনে আমার ঘর মোছে, বাসন মাজা সাবান কাটা আঙুলে ঢুকে গেলে আঃ উঃ করে। আমারও কষ্ট হয়, কিন্তু ওর চোয়াড়ে বর এই সৌখিন ফ্ল্যাটে চড়াও হলে সম্মান যাবে এই ভয়ে চুপ থাকি।
ভোরবেলা ঘরের দরজা খুলতেই প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ! পা যেন পিছলে গেল হলুদ পেছল আধা-তরলের ওপর ! কি ভয়ংকর ! এ তো মানুষের মল।!
আমার খুব ছোটবেলার ঘটনা। মনে আছে পাশের বাড়ির কাকিমার চিলচিৎকারে মা ছুটে গিয়েছিলেন টিউকলের পাশে জিগা গাছের নীচ দিয়ে।
সবে তখন সূর্য উঠছে। সেই অল্প আলোতেই সদ্য ঘুম ভাঙা ছোট্ট আমি মায়ের পেছন পেছন না গিয়ে বোকার মতো উঠোনে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম দূরে ধূসর আকাশের গায়ে মহাকাল পর্বতের আবছা নীল রেখা।
ব্যাপারটা হয়েছিল কি, তখন ওদিকে প্রায় বাড়িতে খাটা পায়খানা। বাড়ির চৌহদ্দি যেখা ... ...
এই সপ্তাহটাতেও মেয়েটার কথা কেউ বললো না। অথচ ঈদ ছিলো, ঈদের চাঁদ ছিলো, ছিলো,দাওয়াত ছিল, উৎসবের আমেজ ছিলো।আমার আশা ছিলো হয়তো আল্লার বান্দাদের হৃদয় পরিবর্তন হবে।
কিন্তু না, ফেসবুকের পাতা জুড়ে ব্রেক্সিট আছে, হিন্দু মুসলমানের লেঙ্গী মারামারি আছে, দিদির প্রশংসা, বিরোধীর মুন্ডুপাত, ইতিহাস, পরিবেশ, সওওওওব আছে, শুধু মেয়েটা নেই !!
কিন্তু মেয়েটা হাসলে গালে টোল পড়তো, ঘাড় অব্দি উজ্জ্বল ঘন চুল ছিল। বুদ্ধির দীপ্তি ছিল। ত্রিশের কোঠাতেই বয়স আটকে ছিল। আর ছিল দুরন্ত সাহস, মানুষের ভালো করার অদম্য ইচ্ছে ... ...