বাসে স্বমেহনের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিটিকে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ওর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফুটপাথে হকারি করা স্ত্রী ওই ভিডিও দেখে অজ্ঞান হয়ে যান এবং জ্ঞান ফিরলে ঐ অসভ্য লোকটিকে চিরতরে ত্যাগ করবেন বলে দ্বিধাহীন ভাষায় জানান। Arka Bhaduriর রিপোর্টিং থেকে এটা জেনে ভদ্রমহিলাকে নিয়ে Rimi N একটি অসাধারণ পোস্ট দিয়েছেন। তার লিংক রইল। পড়বেন প্লিজ।
সত্যি, এতোখানি দৃঢ়চেতা মহিলা পয়সাওয়ালা ও তথাকথিত শিক্ষিতদের মধ্যেও বিরল। অন্যায় আমরা অনেকেই সয়ে নিই, সত্যিকারের প্রতিবাদীর সামনে তাই ... ...
ভামাবতী ছোট হতেই জ্যাটার শিরোমণি ছিলেন, বড় হতে জ্যাটামি ভাতের ফ্যানের মতো উতলে উঠলো। একেবারে প্রলয় জ্যাটা। তাই স্ত্রীলিঙ্গবাচক জেটি ডাক তার ছোটকাল হতেই কান-সওয়া। সহজপাঠ, সঞ্চয়িতা ও গল্পগুচ্ছ পড়ে জ্যাটামো এবং ভার্টিগো রোগ এমন বৃদ্ধি পেল যে টেগোরকুঠির সবচেয়ে নামী মানুষটি লালনের গানের খাতাচোর, দাদামশায়ের পোষা পতিতালয়ের পয়সাখোর, বৌদিদিবাজিতে এক নম্বর, এইসব শুনতে পেলেই তক্ক কর্তে যান, কাগজে প্রস্তাব লেখেন ও অন্যের লেখা থেকে প্রস্তাব চুরি করে আপনার বলে অহঙ্কার করেন।
সেই পাপ ও ঘোর কলির মিলিত ... ...
ওপরচালাক, পেশীকলাগর্বিত, ধনগর্বী, অথচ ভেতরে শিশুর মতো অসহায় এক চিত্রাভিনেতা সাজা পেয়েছে বলে, পুরো সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে হয় প্রবল চ্যাঁ ভ্যাঁ, নয়ত থুথুছেটানো ছিছিক্কার দেখে হাসি পায়, রাগও ধরে। হয় লোকে অন্ধ, কেবল সুগঠন দেখে অক্কা পায়, নয় তো মিচকে, ভেতর ভেতর বেজায় খুশি যে কোন ক্ষেত্রে ইন্দ্রপতন হলেই। দ্যাখ ব্যাটা কেমন লাগে, খুব বাড় বেড়েছিলি তো - গোছের মানসিকতা আর কি। স্যাডিস্ট, মর্ষকামী।
এই তুমুল আলোড়নে বিচারের বাণী বা বিচারব্যবস্থার ফাঁকফোকর নিয়ে কোন আলোচনা সেঁদোতেই পারছে না। সত্যিকারের নায়কদের ... ...
প্রতিভা সরকার লিখছেন;
তরতাজা ছেলেটার গলায় পোঁচের পর পোঁচ পড়েছিল ধারাল ছুরির। নিয়মিত শারীরিক কসরত করত বলে ওকে মারতে অনেক সময় লেগেছিল ফেজ টুপিওয়ালাদের। ওর দোষ ছিল ভালবাসা। ভালবাসার মেয়েটির ধর্ম ছিল আলাদা। আইনী স্ত্রীর মর্যাদা দেবে বলে মেয়েটির বাবার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিল ও। এতো স্পর্ধা সহ্য হয়নি ধর্মপ্রাণ পিতার। তাই মা বাবার চোখের সামনে দিল্লীর রাজপথে পোঁচের পর পোঁচে নিথর হয়ে যায় অঙ্কিত সাক্সেনার দেহ।
২)
এই অব্দি পড়ে যারা একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে অকথ্য গাল দেবার জন্য ... ...
নাটক নভেলে পুরুলিয়ার নাচনীকে জানা এক কথা, আর নারী দিবসের ঠিক আগে তাদের এক আইকনকে বুকে জড়িয়ে ধরে তার কেশের নারিকেল তেলের সুবাস নেওয়া, তার জীবনের নানা তোলপাড়ে ভেসে যাওয়া, আর এক।
আমার বাহুবন্ধনে পোস্তুবালা দেবী কর্মকার। নিজে নাচনী , আবার নির্যাতিত নাচনী সম্প্রদায়ের লড়াকু নেত্রী, পোস্তদানার মতোই মহার্ঘ এই নারী। দুর্বার মহিলা সমণ্বয় সমিতি এবং নাচনী সম্প্রদায়ের যৌথ উদ্যোগে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রাণনারী পোস্তুবালার সংগে নাচনীদের সাজঘরে বসে অনেক কথা হল।
আমাদের শনিদেব তুল্য এ এক স্প্যানিশ দেবী - ঘোর কৃষ্ণবর্ণা, লোল বক্ষ,বীভৎস উজ্জ্বল চক্ষু
- লা সান্তা মুয়ের্তো। শনির দৃষ্টিতে সব ছারেখারে যায়, আবার সুনজরে সর্বসুখ। লা সান্তা মুয়ের্রতোর সামনে নরবলি দেওয়া হয়, সদ্যচ্ছিন্ন রক্তমাখা আঙুল খেতে বাধ্য করা হয় গ্যাবিনো ইগলেসিয়াসের সাড়া জাগানো উপন্যাস জিরো সেইন্টসের নায়ক ফার্নান্দোকে।
কিন্তু এই দেবীর বরাভয় প্রাপ্ত হয় প্রান্তিকতম মানুষজন, গরীবগুর্বো, অসহায় দিন আনি দিন খাই মুটেমজুররা। যতো ছোটখাটো ড্রাগ পেডলার, দোকানী, মুটে মজুর, তাদের সকলের আশ্রয় দেব ... ...
এক পার্সি মেয়ে বিয়ে করলো হিন্দু ছেলেকে। গুলরুখ গুপ্তা তার নাম।
লভ জিহাদ? হবেও বা। লভ তো চিরকালই জিহাদ।
সে যাই হোক,নারীর ওপর অবদমনে কোন ধর্মই তো কম যায় না, তাই পার্সিদেরও এক অদ্ভুত নিয়ম আছে। ঘরের মেয়ে পরকে বিয়ে করলে সে স্বসম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেবার অধিকার হারাবে। যেমন,হিন্দু মেয়েরা মুসলমানকে বিয়ে করলে আর পুজোআচ্চা নয়, বা মুসলিম মেয়ের হিন্দু স্বামী কি তাকে নমাজ পড়ার অধিকার দেয় !
তো গুলরুখও তেমনি একরোখা। সোজা কোর্টের দরজা নেড়ে দিল জোরসে --- আমি কেন টাওয়ার অব সাই ... ...
এই সপ্তাহ-শেষটা কি একটু কম ঘটমান ? উত্তেজনা-চিবুনিদের কাছে একটু ম্যাড়মেড়ে ? প্রাচীন উৎসবের আলোয় ঝলমলে ? ব্যস, ব্যস তাহলেই হবে। এইরকম একটা সপ্তাহশেষই আমার চাহিদা ছিল তুঙ্গভদ্রা তীরের গল্প শোনাবার জন্য।
দক্ষিণ ভারতের মন্দিরগুলো এখনো আশ্চর্যজনক ভাবে, ঐ যাকে ইংরেজিতে বলে, কিকিং এন্ড এলাইভ। দলে দলে মানুষ বিঠঠলদেবার মন্দিরে বাঁদিকের দৈব রন্ধনশালাযুক্ত প্রকান্ড দরদালানে বসে রসম দিয়ে ভাত খান। খাওয়া হলে ফের কাজে চলে যান।দূরদেশী হলে পরের দিনের শ্রমদানের জন্য রাতটাও কাটিয়ে দেন ওই চত্বরে। নাওয়া খাও ... ...
আমার একান্ত অনুরোধে কারা এই পোস্ট এড়িয়ে যাবেন ?
যারা কমরেড কানহাইয়া কি বলেছেন সেটা নিয়ে কোন আলোচনা করেননি,অথচ যা বলেননি তা কেন বলেননি, তার উদ্দেশ্য কি, তা নিয়ে বেজায় ভাবিত, যারা বিশ্বাস করেন কর্তৃত্ববাদী বামপন্থা ভারী কাজের কথা। আর যারা জানেন না বা জেনেও মানেন না যে গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ রক্ষক হিসেবে একটা বামপন্থী সরকারের কাছে মানুষের সঙ্গত বা অসঙ্গত কি বিপুল প্রত্যাশা থাকে, আর কি গভীর সহনশীলতার সঙ্গে বামেরা সেইসব প্রত্যাশার যত্ন নেয় !
অনুগ্রহ করে তারা এই লেখা ইগ্নোর করুন।
সঙ্গের ছবিটা খুব ভালো করে দেখবেন। আজই তোলা। মে ডের ছবি। তবু মে ডে -র ছবি নয়। আসলে মে ডের দুটো ছবি। প্রথমটা এই।
পাতার ফাঁকেফাঁকে দেখুন বিশাল একটা মোটর সাইকেলে অবহেলায় বসে আছে দুই সুপুরুষ শাহেনশা। সামনের চাকার কাছে গড়াগড়ি খাচ্ছে এক মাতাল। আর এপাশের রাস্তা দিয়ে হনহনাচ্ছেন এক শ্রমজীবী মহিলা।
খুব প্রতীকী মনে হচ্ছে কি? শাসক শোষিত ইত্যাদির সহাবস্থান এক পরজীবীর মোবাইলে ?
ব্যাপারটা তা নয়। নেমিং আর শেমিং কখনো কখনো ঠিক কিনা মনস্থির করে উঠতে পারিনি এখনো, তাই দূর থেকে তুললাম কথা কাটাকাটির পর ... ...