এখন তো বছরের সেই সময়টা শুরু হয়ে গেছে জাপানে যখন লক্ষ লক্ষ বিদেশী পর্যটক সেই দেশে পাড়ি জমায়। জাপান বছরের মার্চ-এপ্রিল-মে এই তিন মাসের মধ্যে খুব সময়ের জন্য সেজে ওঠে চেরী ফুলের সম্ভারে, যাকে ওরা বলে ‘সাকুরা’। সেই সাকুরা দেখতেই পর্যটকদের আগমন। আজ তো নতুন বছরের প্রথম দিন, ভাবলাম সেই চেরী ফুলের গল্প ভাগ করে নেওয়া যাক। ... ...
রাস্তার পাশে দেখি ফুল ছড়িয়ে আছে হালকা বেগুনী তার রঙ আকাশের মত নয়, ছাদ জুড়ে উড়তে থাকা চুলের মত নয় সমুদ্র যখন ঠোঁট লবণাত্ব করে, তেমন সন্ধ্যের জলের মতও নয় বরং অনেকটা জামার ভিতরে উঁকি মারা গোপনীয়তার মত ফুলগুলিতে অসতর্ক পা দিয়ে দেখি বড়ই নরম বড়ই নরম সেই বেগুনী রঙ হাঁটু মুড়ে বসে হাতের তালুতে মেখে নিই পেলবতা, চকিতে ছুঁয়ে যাওয়া গোপন স্পর্শগুলি ... ...
বাতাসের সাথে লেগে থাকা জলকণা ঘরে ঢুকে ভিজিয়ে দেয় না ঝোলানো ছবির অলিভ বাগান চিঠি লিখতে ইচ্ছে করে ইচ্ছে করে সেই নকশা কাটা ধূসর পাতায় আঁকিবুকি করে ফুটিয়ে তুলি নরম পায়ের শব্দ কিংবা গ্রীলের ওপাশে গল্প করতে আসা পশমের ওম ... ...
ভ্রমণ নিয়ে যে বিশাল লেখাপত্র ফেঁদে বসব এমনটা খুব বেশ দিন আগেও ভাবি নি। আর আগে তেমনটা আগে ভাবি নি বলেই মোটা ডায়েরী নিয়ে ঘুরেছি বা ঘুরে এসেই সব লিখতে বসে গেছি – এমনটাও হয় নি। অন্যদিকে দেখতে গেলে গত কুড়ি-পঁচিশ বছরে ঘোরা ঘুরিও কম হল না! এই কুড়ি এত ঘুরেছি যে সেটাই যেন স্বভাবিক এমন ভাবনায় মস্তিষ্ক নর্মালাইজড হয়ে গিয়েছিল! ... ...
এক সময় কবিতা লজিক্যাল থাকে না – আর থাকার দরকারও তো নেই মনে হয় সবসময়! সব সময় কবিতা দিয়ে সাহিত্যের বাঁকবদল নাই বা হল! কোন নতুন যুগের সূচনা করার জন্য কবিতা লিখতে চায় নি সে। কবিতা ছিল তার প্রকাশ – তার সাময়িক নিঃসঙ্গতার সাথী। ... ...
উত্তরাখন্ড বেড়াতে গিয়েছিলাম ডিসেম্বরের ছুটিতে, তারই টুকিটাকি ঘটনা ... ...
জুল ভার্ণ তাঁর বই “ফ্রম আর্থ টু মুন” এ ১৮৬৫ সালে লিখে ফেললেন, “ ... এই চমকপ্রদ ধাতু রূপোর মত সাদা ভাবের, সোনার মতন অবনিশ্বর, লোহার মতন দৃঢ়, তামার মতন জুড়ে দেওয়া সহজ, আর কাঁচের মতন হালকা। এই ধাতুকে আকার দেওয়া সোজা, পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে এর আকরিক, বেশীর ভাগ পাথরেই কিছু না কিছু থাকে এই ধাতুর আকরিক, লোহার থেকে এক-তৃতীয়াংশ হালকা। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে এই ধাতু যেন আমাদের ‘প্রোজেক্টাইল’-এর জন্য একদম কাষ্টম-মেড”। ... ...
আমার মতে ভিয়েতনামের যত উত্তর দিকে যাবেন তার সৌন্দর্য্য তত খুলবে। আর সেই সৌন্দর্য্যের ব্যাপারটা চরমে পৌঁছোবে হ্যালং-বে তে গিয়ে। তো সেই ক্ষেত্রে হ্যালং-বে দিয়েই ভিয়েতনাম ভ্রমণ শেষ করা ভালো। কারণ যদি হ্যালং-বে দিয়ে আপনি ট্রিপ শুরু করেন তা হলে আপনার এক্সপেক্টেশন হয়ত এতো বেড়ে যাবে যে বাকি ভিয়েতনামে সেটা আর আপনি ম্যাচ করতে পারবেন না! বিয়ে বাড়িতে মিষ্টি জিনিস শেষ পাতে দেওয়া হয় তার একটা কারণ আছে! ... ...
বানভাসি কথার কত রকম মানে হয় কোজাগরী পূর্ণিমার রাতের চাঁদ দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল এমনি জোছনা ভরা রাতে নামে অপ্সরা কচি ধানের ডগার সবুজে একটু পরেই সেই রঙ বদলাবে আলো মাখা ওড়না সরে গিয়ে দেখা যাবে চেনা ঠোঁট বলছে বানভাসি – ... ...
আগে যদি কোন ফিলিপিনো-র (ফিলিপিন্স দেশের লোকজন) সাথে আলাপ থাকত, তা হলে আর কলেজ বেলায় আমাদের মেদিনীপুরের বন্ধুদের ইয়ার্কির ছলেও তাদের ভাত খাওয়া নিয়ে কিস্যু বলতাম না। আমরা বন্ধুদের বলতাম, তোরা এত ভাত খাস যে পাতের উপর দিয়ে বেড়াল ডিঙোতে পারবে না! তো সেই হিসাবে ফিলিপিনো-দের ভাত খাওয়ার পরিমাণ দেখলে বলতে হয়, পাতের উপর দিয়ে বিড়াল তো কোন ছাড়, ঘোড়া পর্যন্ত ডিঙোতে পারবে না! আমি নিজে বর্ধমানের ছেলে – আমরাও ভাত খেতাম। কিন্তু মেদিনীপুর আমাদের টেক্কা দিত এই ব্যাপারে। বর্ধমান এগিয়ে মুড়ি খাওয়ায়! তবে শুধু ফিলিপিন্স কেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় সব দেশেরই মূল খাদ্য – ভাত। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কাম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া যাই হোক না কেন। এরা অনেকেই দিন রাত ভাত খায় – ব্রেকফাষ্টে ভাত, দুপুরে ভাত, রাতে ভাত – মানে ভাতই ভাত। ... ...