স্ট্র্যান্ড রোডে স্ট্র্যান্ডেড
---------------------------
কথা ছিল বড় ঘড়ির নিচে তিনটেয়। কেননা গাড়ি তিনটে চল্লিশে। বাপিকে জিগ্গেস করলাম-বাপি, ক'টায় বেরোনো যায়? বাপি মাছি তাড়ানোর মত করে বলল-কেন, দুটোর সময় বেরোবেন ! তেঘরিয়া থেকে হাওড়া স্টেশন যেতে আর কত সময় লাগবে ?
যেন, এটা কোনো প্রশ্নই নয়।
আমরা কিন্তু তাও সাড়ে বারোটা। বিশেষ করে রাত্রি। সাড়ে বারোটার কথা আমার মাথাতেই এসেছিল, পরে রাত্রি তাতে স্টিক করে যায়। আমি এদিকে যেমন ফলোয়ার চিরকালের, জবরদস্ত কথা শুনলেই মজে যাই, বাপিতে প্রভাব ... ...
বিশ্বখ্যাত নাট্যমনীষী, স্তালিনবাদবিরোধী নিরলস সংগ্রামে সমর্পিতপ্রাণ শ্রীমতী সমর্পিতা বোসের সাম্প্রতিকতম পালা "নাট্যখামার" দেখতে বঙ্গের সকল নাট্যানুরাগী মা ও মানুষকে (মাটির মানুষ, বলাই বাহুল্য-বেঁড়েপাকা হলে চলবে না) আহ্বান জানানো হচ্ছে। নাটকের মূল চরিত্র তুষারকণা-র চরিত্রে সমর্পিতা স্বয়ং এবং ন্যাপলা-র চরিত্রে বিশ্রুত নাট্যব্যক্তিত্ব শিক্ষাগুরু অমাত্য বসু অভিনয় করছেন। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন খ্যাতনামা নট ক্ষৌণীশ পাত্র ও মানবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। ... ...
NH 31 C থেকে রাস্তাটা ডানদিকে বেঁকে যায়। সরু, ছোট্ট রাস্তা। ধুলো-ওড়ানো । শুকনো হলং নদীর ওপরে একটা কাঠের ব্রীজ আছে। সেই ব্রীজ পেরিয়ে মাদারিহাট ট্যুরিস্ট বাংলো। কাঠের ব্রীজ চোখে এলেই-আর ঐ লাল-নীল পতাকাগুলো,- ঘরে ফেরার শান্তি হয়। অথচ এর আগে একবারই তো এসেছি। মাত্রই একবার। আসলে জঙ্গল। ডুয়ার্স। তবে বাংলোটাকেও বড় ভালো লেগে গেছিল।
এবার এসেছি কড়া দুপুরের মধ্যে। প্রথমবার, মনে পড়ে, সকাল তখনও নরম ছিল। এবার পাহাড় থেকে নেমে আসা। কোলাখাম থেকে লাভা এসে একপ্রস্থ দাঁড়িয়ে থাকা। পাহাড়ী ড্রাইভাররা কেউই সমতলে ... ...
কলেজ স্ট্রীটের পাশে বসে আছে ছেলেধরা বুড়ো।
পুরোনো অভ্যাসবশে দুচোখ এখনও খুঁজে ফেরে
যেসব ধমনী ছিল এ পথের সহজ তুলনা
ঈশান নৈঋত বায়ু কখনো বা অগ্নিকোণ থেকে
যেসব ধমনী ছুঁয়ে পৃথিবীও পেত উত্থান
রূপের ঝলক লেগে সে কি এত মিথ্যে হয়ে গেল?
উপমার মৃত্যু হল এই নবদুর্বাদল দেশে?
বুড়ো তাই গান গায়, থেকে থেকে বলে "আয় আয়"
লোকেরা পাগল ভাবে লোকেরা মাতাল ভাবে তাকে
ঢিল ছুঁড়ে দেখে তার গায়ে কোনো সাড় আছে কি না
সে তবু গলায় আনে নাটুকে আবেগ, হাঁকে "এই
শিশুঘাতী নারীঘাতী ... ...
বেশ নেশায় পড়ে গেছি। কেবল পাখির কথা মনে হচ্ছে। চেম্বারে রোগী বলছে বুক ধুপধাপ করছে-আমার মাথায় ঘুরছে অ্যাশি প্রিনিয়া। রেড স্কেলড মুনিয়া। ইকো করতে করতে মনে পড়ছে ওরিয়েন্টাল হোয়াইট আই। যদি আর একটু সময় নিয়ে ছবি নিতাম। যদি আর একটু কেয়ারফুল থাকতাম! অত হন্তদন্ত ভাব কোনো পাখিই পছন্দ করে না।সার্কল অফ ফিয়ার বলে একটা ব্যাপার আছে না ! আহা, যদি সেন্টার ওয়েটেড মিটারিং রাখতাম! কেন যে ম্যাট্রিক্স মিটারিং ব্যাভার করতে গেলাম! আহা, যদি ৮০-৪০০ থাকতো ! আর একটু সময় পেলে পাইড কিংফিশারের ছবি হত। ওটা কী ঈগল-লং লেগড না কমন ... ...
শিউলিদির বাবাকে দেখতে গেছিলাম। বাবা টার্মিন্যাল ক্যান্সারের রোগী। কল্যাণী রোডের ধারে শিউলিদিদের বাড়ি। বাড়ি বলতে আমি যা ভেবেছিলাম তেমন নয়। তার থেকে ন্যুন। সেই এম ডি পাশ করে আমি যখন আমাদের মফঃস্বলের একটি আধা-দাতব্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চুপ করে বসে থাকতাম, তখন থেকে শিউলিদির সঙ্গে আলাপ। শিউলিদি ঐ প্রতিষ্ঠানটির ডে ম্যানেজার গোছের ছিলেন। আমি প্রায়ই যেতাম, চুপচাপ বসে থাকতাম। দু-তিন জন রোগী হত কোনো কোনো দিন। রোগী পিছু চল্লিশ টাকা করে নিত ওরা মনে হয়, তার থেকে চোদ্দ টাকা কেটে আমায় হাতে দিত ছাব্বিশ টাকা ।ঠিক ... ...