".... আমি তো সুড়ঙ্গের পথ বেয়ে
কুবেরের চূড়োয় সিঁদ কাটতে চাইনি
কেবল ঘাস ফুলের শিশিরে জাজিমে
এক চিলতে আকাশের বুক ছুঁতে চেয়েছিলাম..."
বাবা'র কথা কীভাবে লিখতে হয়? নাহ, সে মডেল তো এদেশে অনেক আছে। কিন্তু সে সব কথা তো সবার আলাদা। তাঁরা কেমন হ'ন? ঠাকুরদাস, মহর্ষি, রাজনারায়ণ দত্ত, বিশ্বনাথ দত্ত, উপেন্দ্রকিশোর, তাঁরা তো সব বিখ্যাত মানুষ। নয়তো একজন হরিহর বাঁড়ুজ্যে বা সেই একজন বাবা, যিনি ছেলের কাঁধ ছুঁয়ে বলেন, দেখিস, আমরাও একদিন....
ছেলে'দের বাবা আর মেয়ে'দের বাবা কি কখনও এক রকম ... ...
-অন্য মেয়েটা'কে সবাই ভিলেন কেন মনে করে? সে তো অনেক রিস্ক নিয়ে ভালোবাসতে চেয়েছিলো। অনেক বেশি আবেগ নিয়ে তার আঁকড়ে ধরা.....বিয়ে করতে কী লাগে? একটা নোটিস, দু'চারশো টাকা, একটা সইকরা কাগজ....
-বড্ডো উত্তেজিত হয়ে পড়েছো... কফি খাবে? আরেকটা?
-তুমি এড়িয়ে যাচ্ছো....
-কে জানে... কাছে আসার জন্য দূরে যেতে হয় বোধ হয়...
-ঐ সব শেষের কবিতা টাইপ ডায়ালগ দিও না... অসহ্য লাগে...
-অসহ্য কী লাগে? কাকে লাগে? মানুষ'কে? বিয়ে'কে? না নিজেকে....?
-তোমাকে.... তোমার এই সো কল্ড দায়িত্ব, দায়িত্ব মার্কা ম ... ...
নারী ও নেমোসিস: ২০১৫
-----------------------------
অহল্যা ভারতীয় মহাকাব্যের জটিল জগতেও একটি জটিলতম চরিত্র। সম্ভবতঃ কৃষ্ণা দ্রৌপদী'কে নিয়েও কেউ এই স্তরের সত্ত্বাসম্ভব নারীকল্পনা করেনি। কে অহল্যা, কেন অহল্যা, কীভাবে অহল্যা? অগণন ব্যাখ্যা রয়েছে তার। সেই ঋগবেদের খ্রিস্টপূর্ব নবম শতকের ব্রাহ্মণ থেকে পঞ্চদশ শতকের অর্বাচীন পুরাণকাল পর্যন্ত অহল্যা নামক প্রতীকটিকে কেন্দ্র করে ভারতীয় পুরুষ তার সন্ধান চালিয়ে গেছে, 'নারীত্ব' কী ও কেন?
--------------------------------------
শব্দার্থে 'অহ ... ...
বিদেশে বিভিন্ন শিল্পমাধ্যমের রস গ্রহণ করার উপায় বাতলাবার জন্য বকায়দা অ্যাপ্রেসিয়েশন কোর্স পড়ানো হয় শুনেছি। এদেশে চলচ্চিত্রের জন্য সেরকম কিছু সীমাবদ্ধ ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বাকি অন্য মাধ্যমগুলি, যেমন চিত্রকলা, সঙ্গীত, কাব্যসাহিত্য, ভাস্কর্য ইত্যাদি, সাধারণ গ্রহীতা ঠিক কীভাবে উপভোগ করবে, তার কোন স্বীকৃত ও সুলভ দিকনির্দেশ পাওয়া যায়না। এর মূল কারণ মনে হয় আমাদের দেশে সব শিল্পের পাঠই গুরুমুখী, তাই এই অন্তর্মুখী প্রবণতাটি অতি প্রবল। অতএব যেসব রসিক ব্যক্তির মনোজগতে রস উপভোগের বাসনা প্রবল, কিন্তু তাঁদের ... ...
অশান্তি তাঁকে ক্রমাগত আঘাত করে যায়। সবাই শান্তিতে, স্বস্তিতে দিনযাপন করে যাচ্ছে। কিন্তু তিনি তার স্বাদ পাচ্ছেন না। তাঁর জাগতিক কোনও কিছুর অভাব তো ছিলোনা। ঊনত্রিশ বছর বয়স হয়েছে। একজন যাবতীয় ক্ষাত্রবিদ্যায় নিপুণ নৃপতিপুত্র। বধূ শুয়ে ছিলো ঘরে, শিশুটিও ছিলো। তবু অর্থ নয়, কীর্তি নয়, স্বচ্ছলতা নয়, কোন বিপন্নতা তাঁকে ঘরছাড়া করেছে, তিনি নিজেও বুঝে উঠতে পারেন না। জরা, ব্যধি, মৃত্যু'হীন এক মানবসমাজ তো নিতান্ত অসম্ভব সন্ধান। যদি রক্তমাংসের মানুষ এই প্রাকৃত পরিণতি'কে স্বীকার করতে বাধ্য হয়, তবে তার জন্য দুঃখ ... ...
শুধু পয়লা মে নয়, বছরের প্রতিটি দিনই তাঁর গান আমার সঙ্গে থাকে। কখনও শুনি, কখনো গাইতে চাই, কখনও বা আলোছায়ার মতো গানগুলি মাথার ভিতরে আসে যায়। কতোদিন হলো? বছর চল্লিশ? বেশিই হবে হয়তো বা।
---------------------------------
ভার্সাটাইলের বাংলা 'বহুমুখী'। ব্যপ্তিটা ঠিক ধরা যায়না এই প্রতিশব্দে। ভারতীয় সঙ্গীত ও তার বৈচিত্র্যের ব্যপ্তিকে আকাশ বা সমুদ্র কোনও প্রতীকেই যথেষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা যায়না। তিনি ছিলেন সেই নীহারিকাপ্রতিম ব্যাপ্তির অলখ নিরঞ্জন । কতো রকম গান, কতো ভিন্নমুখী, কতো ভিন্ন পারদর্শিতার ... ...
জাদুগোড়া জামশেদপুরের পূর্বদিকে একটা ছবির মতো ছোট্টো জনপদ। ট্রেনে গেলে রাখামাইনস টিশনে নেমে রিকশায় চার-পাঁচ কিমি। গপ্পোটা প্রায় তিন দশক হতে চললো। তখন রাস্তা দিয়ে আসতে গেলে হাতা হয়ে আসতে হতো। নরওয়া পাহাড় ফুঁড়ে রাস্তা বা মাইনস কিছুই তখনও তৈরি হয়নি। জাদুগোড়ার দিক দিয়ে আসতে গেলে পাহাড়ের গোড়ায় ভাটিন মাইনস পর্যন্ত রাস্তা ছিলো শুধু। বহু বহুদিন আগে যখন হাইওয়ে নম্বর ৩৩ তৈরি হয়নি, তখন সড়কপথে জামশেদপুর থেকে ঘাটশিলা আসতে গেলে সেই টাটা টিশন ছাড়িয়ে খাসমহল, করনডি, সুন্দরনগর, গিতিলতা,হাতা, পোটকা, কালিকাপুর, রংকি ... ...
এই রাগটা আমার প্রিয়, অনেকেই জানে। যেভাবেই গাওয়া বাজানো হোক না, ডুব দিয়ে শুনি। তা বড়ে ঘুলাম যখন "সঁইয়া বোলো, তনিক মোসে রহিও না যায়" বলে আবার সঁইয়া'তে নেমে আসেন। অথবা ভীমসেন দু'তিনবার ঘনশ্যাম, ঘনশ্যাম বলতে বলতে গেয়ে ওঠেন "যমুনাকিনারে মোরা গাঁও" ... বুঝতে পারি গায়ে আমার পুলক লাগে আসলে কেমন অনুভূতি। বেগম আখতার তো রয়েছেনই, "পিয়া ভোলো অভিমান।" রয়েছেন নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় অথবা বিলায়ত তাঁদের বড়ো করে বাজানো রাগ পিলু নিয়ে, রবিশংকরের ছোটো মিশ্র পিলু। আসলে পিলু'ও ভৈরবির মতো একটা মনভোলানোর সুর। ঘর ভোলানোর সু ... ...
মুগ্ধতা মানে কী? একটা মানসিক অবস্থান? আরোগ্যহীন আত্মসমর্পণ? যুক্তিরহিত জেদ? অথবা গ্যাসবেলুনের প্রতি শিশুর অনন্ত মোহের আর্তি?
----------------------------------------------
তাঁকে প্রথম 'পড়ি', সাড়ে চার দশক তো হয়েই গেলো। তাঁকে নিয়ে আমার প্রথম ছাপা লেখা, তাও প্রায় ততোদিন হলো। সেটা ছিলো নিশ্ছিদ্র মুগ্ধতার ঋতু। প্রশ্নহীন, অনুগত, অভিভূত বাঙালি কিশোর। চার দশক আগে কৃত্তিবাস পত্রিকার নবসংস্করনে কিছু ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন ছাপা হতো। সেখানে একজন লিখছেন,' কেউ কি এই দুটো লাইনের ইংরেজি অনুবাদ করে দিতে পার ... ...
একটা কি চাঁদ উঠেছে না বৃষ্টিতে ভিজেছে অর্জুন গাছ
সেই অর্জুন গাছে বসেছে পায়রা
লাল পা, শাদা গা, নীল ঘুম?
ও জাদুবাজ তামাড়িয়া, সিল্ক, গরদ আর টায়রা
একটা কি সূর্য উঠেছে না আগুনের ব্লুম?
( জাদু-স্বদেশ সেন)
জাদুর মতো-ই হয়তো বা; হয়তো নিতান্ত গতানুগতিক কোনও প্রাকৃত অভ্যেস। সূর্য যেভাবে ওঠে, রোজ, একভাবে, কখনও নিশ্চুপ ফুটে ওঠে, কখনও বা অশ্বারোহী'র অহংকারে ছিঁড়ে দেয় মায়াবী তন্তুময়
পিছনের জাল। তাই কি আগুনের ব্লুম। বিবাহের মতো তীব্র, ভবিতব্যের মতো নিশ্চিত, ভালোবাসার মতো অনিবার্য। হা ... ...