আমার দুই সন্তানেরই জীবন শুরু হয়েছিল দুটি নিজস্ব অমূল্য সম্পদের মালিক হিসেবে। মেয়েকে তার বড়দিদা, মানে আমার জ্যেঠিমা দিয়েছিলেন আর ছেলেকে দিয়েছিলেন আমার মা। মূল্যের বিচারে তারা তুচ্ছ হলেও আমাদের কাছে তারা অমূল্য। দুটি কাঁথা। রঙিন সুতোর সঙ্গে ভালবাসার বুননে তৈরী দুটি অসাধারণ বস্ত্র খন্ড। নিতান্তই তুচ্ছ, পুরোন কাপড়ের টুকরো দিয়ে তৈরী..... তবু সামান্যকে যেন যাদুস্পর্শে অসামান্য করে তোলা হয়েছে।
মেয়েলি শিল্প। ঠিক যে টানে শিকেয় কড়ি গেঁথে সাজিয়ে তোলা হত, সেই একই টানে কাঁথা সেলাই। কাপড় গুলো কোনক্রম ... ...
হায় আইটি ইন্ডাস্ট্রি! তোমার স্বর্ণযুগ ফুরাইয়াছে! জয়েন করিলেই আমেরিকায় লং টার্ম অ্যাসাইনমেন্ট নাই, পাড়া প্রতিবেশীর কাছে “বিলেত-ফেরত” আখ্যায় ভূষিত হইবার সুযোগ ক্রম-সঙ্কুচিত, তদুপরি পিতৃ-পিতামহের কালে না শোনা হায়ার-এন্ড-ফায়ার নীতির ব্যবহার শুরু ! এ যে ঘোর কলিকাল! এবং কলিকালের অন্যতম লক্ষণ যে কর্মী- সংগঠন, এখন তাহাই সকলের ভরসা!
নাঃ এবার একটু সিরিয়াস কথা! ... বলার আগে একটু গৌর-চন্দ্রিকা প্রয়োজন। প্রথমতঃ আমার ব্যক্তিগত পরিচয় শুধু আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে, আইটিইএস সম্বন্ধে আমার বিন্দুমাত্র ধারনা ... ...
"আজ্ঞে আমি কুসুম সরেণ, গেরাম বল্লভপুর জিলা বীরভূম " বলেই কুসুম তাড়াতাড়ি মাইকটা পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চিন্তাদিদির হাতে তুলে দিল| আর কিছুক্ষণ| পরিচয় দেওয়ার পালা শেষ হতে যেটুকু সময় লাগে. তারপরই ফেরার বাস ধরতে পারবে|
কুচকুচে কালো পিঠে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে শুরু করেছিল আগেই। এখন সরু ধারায় পিঠের উপর দিয়ে গড়িয়ে নামছে। খোঁপাটা ঘাড়ের উপর শক্ত করে বাঁধা। তাই সেটা এখনো আস্ত আছে। সিঁদুরের টিপ গলে কখন লেপটে যেত। নেহাত কিনা দোকানের পাতার টিপ , তাই ঘামে চকচকে মুখেও এখনো সেঁটে আছে।পরণের লালপেড়ে শাড়ীটা নতুন , গ ... ...
বাংলা মাধ্যম নাকি ইংরাজী মাধ্যম ? সুবিধা কি, অসুবিধাই বা কি? অনেক বিনিদ্র রজনী কাটাতে হয়েছে এই সিদ্ধান্ত নিতে! তারপরেও সংশয় যেতে চায় না। ঠিক করলাম, না কি ভুলই করলাম? উত্তর একদিন খানিক পরিস্কার হল। যেদিন একটি এগার বছরের আজন্ম ইংরাজী মাধ্যমে পড়া ছেলে এই লেখাটা ধরিয়ে দিল ... কিছু বানান ভুল সংশোধন করে দিতে হয়েছে অবশ্য। বাকীটা পাঠকই বলুন। ...
লক নেসের দানব
- শ্রুতকল্যাণ দে
আমার নাম শ্রুত। আমার পেশাটি একটু অদ্ভুত।আমি একজন ক্রিপ্টোজুলজিস্ট। আমি আর আমার বন্ধু রবার্টো দুজনে একসঙ্গে ... ...
সত্তরের দশকের উত্তর কলকাতার প্রান্তসীমায় তখনো মধ্যবিত্ততার ভরা জোয়ার. পুজোরা সব বারোয়ারি. তবু তখনো পুজোরা কর্পোরেট দুনিয়ার দাক্ষিণ্য পায় নি. পাড়ার লোকের অর্থ সাহায্যেই মা দুর্গা সেজে ওঠেন তখনো. প্যান্ডাল হপিং তখন শুরু হয়ে গেছে. পুজোর সময় তখনই মহঃ আলি পার্কের ঠাকুর বা সঙ্ঘশ্রী , সঙ্ঘমিত্র র ঠাকুর দেখাটা "পুজোয় চাই নতুন জুতো"র মতই মাস্ট. আর আবশ্যিক ছিল পুজোর অজ্ঞলি দেওয়া. অষ্টমীর সকালে নতুন জামা পড়ে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে ঠাকুরের পায়ে ফুল বেলপাতা ছুঁড়ে দেওয়া. মাইকে মন্ত্র বাজছে .... কিন্তু সে শোনার থ ... ...