ভোরের শিশিরে অনেক রাত-আততায়ী লুকিয়ে থাকে-তারা রাতদুপুরে কড়া নাড়ে আর বাতাসে মিছরি হয়ে মিশে যায়।পৃথা সারারাত ধরে উর্বশীর মতো উচ্ছল; জঙ্ঘা ও নিতম্বের অনির্বচনীয় প্রদর্শনে অরুণের আরাধনায়!একটা একটা করে না-ফোটা রজনীগন্ধার কুঁড়ি গুলো ফুটতে থাকে কোথাও প্রসব বেদনার সুতীব্র চিৎকার আর উল্লাস-কোথাও বা প্রহরীদের সীমাহীন সতর্কতা।সেলের দরজা, খোলা ও বন্ধ হওয়ার পৈশাচিক আওয়াজে স্নায়ু ... ...
ক্লান্ত ধ্বস্ত জেব্রাকে মুঠোর মধ্যে নিয়ে সিংহ হঠাৎ নিজের দৌড় দিল থামিয়ে; একি তামাশা-নাকি কুয়াশা; সিংহ এমনই হয়; লাভ নেই দুঃখ পেয়ে!! ... ...
বিশ্বকর্মার সঙ্গে গভীর-ফণী মনসার আঁতাত ;কুটির ছিদ্র করে ফকির কান্ত নিশি তো স্যাঙাত!আদার রস কে ছিনিমিনিমাকড়সার জাল আঠালো;হঠাৎ করেই মৌ বনে'তে -মায়াবী জ্যোৎস্না আলো!? ... ...
- ও মশাই,একটু তাপ পাই কোথায় বলতে পারেন? সকাল থেকে বুড়িটা নিজের চরকায় তেল দেয়া বন্ধ করে বাটি হাতে তাপের জন্য দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর চেঁচাচ্ছে , - কোথায় সেই আবাগীর বেটা ?একবার তার দেখা পাই, তারপর হিসেব নিকেশ হবে ; তার ই একদিন কি আমারি একদিন। দারুন ঠান্ডায় বাছাদের একবারে যমের দখিন দুয়ারে রেখে ... ...
উনবিংশ শতকের গোড়ার কথা। তখনও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়নি। সেই সময় অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার আকাশে এক রহস্যময় পেঁচার আবির্ভাব, সঙ্গিনী ছাড়াই! তবে প্রথমেই সে উড়ে এসে বসে ছিল - গোঁড়া ক্যাথলিক চার্চের মাথায়। সে কি আঁকা না সঙ্গীত শিক্ষা ... ...
অতিরিক্ত ভদ্রলোক হয়ে গেলে যা হয় আর কি -অপমান, অসম্মান, উপেক্ষা, হেনস্থা এসব তো আছেই, চোখে চোখ রেখে তোমাকেই কোনোদিন কিছু বলা হয়ে ওঠে নি ! অথচ আমার অপদার্থতা জেনেও তুমি সেই ভোরবেলায় ফুল দিয়ে বসলে।আর আমি নিমকহারাম বিড়ালের মত শিকে ছিঁড়তেই দে ছুট... পালিয়ে এসেছিলাম!কি দিতাম বলতো তোমাকে?ফুলের বদলে একটা ফুল? একটা বই? কিম্বা এক তাড়া গানের ডালি?সে সব বড় ক্লিশে হয়ে যেত না? আর কিই বা দিতাম তোমায় এই আঁস্তাকুড় খুঁজে?তোমার একমাথা কোঁকড়ানো চুল, ছোট্ট কপাল আর সাঁওতালি সুন্দরীদের মতো মিষ্টি পুরু ঠোঁটে হারিয়ে যেতে চেয়েছিলাম -পারিনি তাই ছুট... ছুট... ছুট...কোনো বেশ্যা যেমন পয়সা জমায় তার ভালোবাসার লোকের জন্য ... ...
আজ থেকে বেশ কিছু সময় পিছিয়ে। সত্তর দশকের গোড়ার কথা। সময়টা রাজনৈতিক পটভূমিতে অত্যন্ত সঙ্কটময়। তবুও বাংলার জেলায় জেলায় তখন গ্ৰুপ থিয়েটারের রমরমা। চতুর্দিকে একাঙ্ক নাটকের সাজ সাজ রব। এককথায় এলাহি ব্যাপার। বিভিন্ন সংস্থার একাঙ্ক নাট্য প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং তাতে স্বতস্ফূর্তভাবে বাঙলার দূরদূরান্ত থেকে অনেক নাট্য দলের সাড়া এবং যোগদান। আর ছিল তৎকালীন প্রশাসনিক সন্ত্রাস। কারন বেশীরভাগ নাটকের বিষয় বস্তু ছিল তৎকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতির ব্যাখ্যা এবং বিরোধিতা। সুতরাং প্রশাসন তো আর চিনির পানা নিয়ে বসে থাকে না। যথারীতি গুন্ডা লেলিয়ে দেয়া ,বাহান্ন নং পুলিশের গাড়ির আচমকা হানা, আয়োজকদের ধরপাকড়, নাটক চলাকালীনই, ছিল আতঙ্কের পরিবেশ! সেইসব উপেক্ষা করেই চলতো মহড়া এবং ... ...
তোমার মহিমা বোঝা দায় সংখ্যা ঘুঘুযে বিড়াল ছিল বাঁধা সে তো মধ্যযুগে।প্রশ্ন হলো সে বন্ধন আজো কেন লাগুমতান্তরে ফতোয়া জারি কোন হুজুগে? ... ...
ঈশ্বর একা সব যুদ্ধ, দাঙ্গা লাগাতে পারেন নি - তিনি সৃষ্টি করেন হিটলার, তোজো, মুসোলিনি; হ্যারি ও যোসেফ মানবতার কফিন তৈরি করে শত্রু মিত্র নির্বিশেষে সবাই এখন দামোদরে।। ... ...
মামা-বাড়ি যাত্রা শুভ,ভাগ্নে-মুখে তুবড়িমাথা জোড়া টাক আর বগলেতে বাবরি; ইন্ডিয়া গেটে তে নন্দ করছে চৌকিদারিদেবেনা তো তালের বড়া,রটাচ্ছে রাবড়ি! ... ...