আর এস এসের মুসলিম সংগঠন রাষ্ট্রীয় মুসলিম মঞ্চ নাচাচ্ছে, কিছু ইমাম বিক্রি হয়ে গেছেন বা রাজনৈতিক নেতাদের চেয়েও তারা বেশি ক্ষমতাশালী প্রমাণ করতে জমায়েতের ডাক দিচ্ছেন। তার মধ্যে কয়েকটি জমায়েত থেকে সংঘ পরিবারের লোক টুপি পরে বা কিছু অপরিণত মস্তিষ্ক বা কিছু অতি উৎসাহী বা কিছু টাকা খাওয়া মুসলিম দুষ্কৃতি অশান্তি পাকাচ্ছে। কোথাও অনেকে মিলে অবরোধ করছে ট্রেন, জাতীয় সড়ক। বদনাম হচ্ছে, সমগ্র মুসলমানদের। দল মত নির্বিশেষে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব সক্রিয় হোন। বাংলাকে আসন্ন প্রলয় থেকে বাঁচতেই হবে।বিজেপি চায় সমাজ হিন্দু মুসলমানে ভাগ হয়ে যাক।কিছু ইমাম বুঝে বা না বুঝে সেই কাজটাই করছেন।বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত কিছু অপরিণত মস্তিষ্ক আরো বড় নেতা হওয়ার বাসনায় ... ...
সঙ্ঘ পরিবার সবচেয়ে বেশি ভারত ও ভারতীয়ত্ব বিরোধী। ভারত মানে বহুত্ববাদ, ভারত মানে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, ভারত মানে মিলেমিশে থাকা। সঙ্ঘ পরিবার ভারত তো বটেই হিন্দু ধর্মেরও কলঙ্ক। এক সম্প্রদায় ( নাগপুরি ব্রাহ্মণ), এক ভাষা, এক খাদ্যাভ্যাস ভারতীয় ধারণার বিরোধী।ভারতের হিন্দুদের খাদ্যাভ্যাস বিচিত্র।এমনকী বেদ উপনিষদে বর্ণিত খাদ্যাভ্যাসের বিরোধী সঙ্ঘ পরিবার ও তার শাখা সংগঠন ভাজপা। রামায়ণ একটি সুলিখিত মহাকাব্য। তার বর্ণনা অনুযায়ী রামচন্দ্র এবং সীতা তো নিরামিষ খেতেন না। রীতিমতো বহু ধরনের মাংস খেতেন। এবং সঙ্ঘ পরিবারের বেছে বেছে আপত্তি করা একটি বিশেষ মাংসের রুচি ছিল বলেই তো রামায়ণ বলছে।মহাভারত। আরেকটি বহু পঠিত বহু শ্রুত মহাকাব্য।তাতে 'অনুশাসন' অংশ পড়লে কী পাবেন।পিতৃআত্মা তো ... ...
কুবের তো নই, তাই উবের চড়তে ভয়। ওলা? আছে টাকার ঝোলা? নেই। তাই রাপিড। সে তো খাপিড। টাকার অঙ্ক বাড়াইয়া দিলে তবে যাইব। বাড়াইয়া দিব! তো খাইব কি? বাজার আক্রা। কে কথা বলবে? তখনো কে কে পর্ব আসে নি। মৌন মুখর হয়ে উঠবে মুখবদন-- কে জানতো। ফেসবুকে সাড়া পাইনে, কে কে সাইনে বুঝিলাম -- উহারা সব লক্ষ্য করিয়া থাকেন, 'উপর্যুক্ত' নরম সরম লক্ষ্যবস্তু পাননি বলিয়া চরম অসন্তোষে ছিলেন। এইবার মিলিয়াছে। ইউরেকা ইউরেকা। সহি 'ভারতিয়' হইবার পেরমাণ দিবার নাগপুরিয়া বা এম্নিপুরিয়া অনুপ্রেরণা জুটিয়াছে-- খাপ আর খাপ খাইয়ে নিতে পারলেই লাইক লাইক লাইক।আমি তো চৈতন্য অনুপ্রেরণার মানুষ। মাথা ঝোঁকানো হাত তোলা লোক। উবেরে ... ...
বাঙাল-ই ও কাঙাল-ই বদলে যাচ্ছে নাকি বদলে ফেলা হচ্ছে, কলকাতার রাস্তাঘাটের বাণিজ্যিক মানচিত্র। আশির দশকে নতুন দোকান বলতে মনোহারি নয় ভিডিও পার্লার, ক্যাসেট বা জুতোর দোকান। নয়ের দশকে বাড়ল কম্পিউটার দোকান। অল্প। আর চলল টেলিফোন বুথ। একুশের প্রথম দশকে সোনার দোকানের বিজ্ঞাপন বাড়ল। বাড়ল একটু একটু করে মোমো ও বিরিয়ানি দোকান। এখন পাড়ায় নতুন দোকান মানে বিরিয়ানি মোমো সোনা মিষ্টি বা কেকের দোকান।বাঙালি খাবারের দোকানও বেড়েছে। তবে পাড়ার মোড়ে নয় শহরের নানা জায়গায়।এছাড়া বাড়ছে চা ও সিগারেটের দোকান।বাঙালি তাতে নেই। সিকঞ্জি মেলে মেলে ঠান্ডা ও উষ্ণ পানীয়।নগরে উষ্ণতা বাড়ছে। বাড়ছে ম্যাসাজ পার্লার। বাঙালিনী ম্যাসেজকারিণী। খদ্দের বেশি ভিন্নভাষী।নগরে বাঙালি কমছে। সল্ট লেক ... ...
কংগ্রেস মানেই তখন নিন্দার বিষয়। সিপিএমের চোখে। আমাদের চোখেও। রাজীব তো আরো সর্বনাশা! মডেল স্কুল, কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি, গ্যাট চুক্তি, প্ল্যাস্টিক আমদানি, স্যাম পিত্রোদা-- রাতদিন মুন্ডপাত। এরপর গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এল বোফর্স চুক্তি। চোর চোর ধ্বনিতে মেদিনী কম্পিত।১৯৯১ এর ৭ মে আসানসোল পোলো গ্রাউন্ডে প্রথম দেখলাম সাংবাদিক হিসেবে। বেশ কাছ থেকে। দেখে মনে হল, ইনি আর যাই হোন চোর নন। স্বপ্ন দেখা চোখ। জনতা উন্মাদ তাঁকে ছুঁতে চেয়ে। তিনি ছুঁতে দিচ্ছেন। জনতার সঙ্গে মিশে এগোচ্ছেন। মনে হল, এতো ভয়ঙ্কর ভয়ের বিষয়। যে কেউ মেরে দিতে পারে। এভাবে নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে জনতার মাঝে।ঠিক দু সপ্তাহ পর ২১মে কাগজের অফিসে বসে ... ...
মুখে লেখায় খুব মুসলিম প্রীতি দেখালেও অনেকেই ভাবেন, মুসলমানরা একটি এঁদোডোবা এবং তাঁরা আসলেই মুসলমান। বাঙালি নন। রবীন্দ্রনাথ বা বাঙালিয়ানা তাঁদের কাছে অস্পৃশ্য। এক আধজন অতি ব্যতিক্রমী। কোনো লেখায় এই উপাদান খুঁজে পেলে একদল গদগদ হয়ে যান ... ...
রামপুরহাটে গণহত্যার প্রতিবাদে নাগরিক মিছিলকলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা বুধবার, ২৩ মার্চ দুপুর ২ টা। জমায়েত: কফি হাউসের সামনে। ... ...
প্রতিটি কবিতার জন্ম, তুমি চাও বা না-চাও, হয় রাজনীতি থেকে। প্রতিটি শিশুর জন্ম, সঙ্গমের ফলে শুধু নয়, নিবিড়-নিবিড়তম রাজনীতি থেকে। রাজনীতি মানে আমি মানুষকে ঘৃণা করা, মানুষকে রুদ্ধশ্বাস ভালোবাসা বুঝি, এবং, মানুষ চিনি নাম দিয়ে নয়, ক্ষমা কোরো, কাজ দিয়ে, পার্টি দিয়ে চিনি।হে আমার গণতন্ত্রী প্রাণীশাবকেরা, তোমাদের সাথে আমি শুয়ে আছি ভাগাভাগি তেঁতুলপাতায় সে কেবল তোমাদের ফুসলে নেব বলে। তারপর,“ইটস ইওর টাইম কমরেড মাউজার...” [জয়দেব বসুর ‘ভবিষ্যৎ’ কাব্যগ্রন্থের ‘বাম ও গণতান্ত্রিক ঐক্য বিষয়ে’ কবিতা] ছেঁড়াখোঁড়া যে-সব স্বপ্নের শেষে ‘আত্মঘাতী’ জয়দেবইমানুল হক১. ‘উঃ, এত গণতন্ত্র নিয়ে যে কী করি...!’ আক্ষেপ গণতন্ত্র নিয়ে, নাকি যাবতীয় ন্যাকামি ও আরোপিত বিষাদ ছুঁড়ে ফেলে দিতে; বিষ্ঠার সমুদ্রে ডুবিয়ে দিতে অনন্তের প্রার্থনা –– আমাদের পাওয়া ... ...
দেখতে পাচ্ছে দেখতে পাচ্ছে সেই আশ্চয্য ভোরকে। অন্যদিন লেপ কাঁথা ছাড়তেই চায় না। আজ টলটল করা পায়ে উঠে পড়ার চেষ্টা করছে এক বছরের ছেলেটা। সবাই জেগে গেছে। কেন? একটা বছর বয়স বেড়ে যায়। ছেলেটা জেনে গেছে আজ মেলা। ফুফু এসে গেছে। ছেলেমেয়েদের নিয়ে। সবাই গাদাগাদি করে শুয়েছে। কাল রাতে এতোল বেতোল গপ্প জুড়েছিল ননদ ভাজে। বলে আর খিলখিল করে হাসে। কী ভাব কী ভাব! ফুফু বলছিল, যাই মায়ের ঘরে শুই।থাক না, এখানেই।শুনে তার কী আনন্দ। তার থেকেও ছোটো একটা ভাই আছে। সে শুয়েছে ওপাশে। মাঝে বড়দি।এখন মা বড়দি মেজদি কেউ নাই। তার চেয়ে এক বছরের বড় রিজিও নাই। সে বলে, ... ...
বাঙালির খাদ্য সিরিজ ৩প্রথমে টক, তারপর ভাজা। কিন্তু মাছ? বাঙালি মাছ ছাড়া বাঁচবে? ওইসব পাস্তা পিজ্জা হটডগ দুদিনের ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত বাংলার জল হাওয়া পানি মাটি মাছ ভাতের ফেরাবেই।এবার মাছ ভাজা ও মাছের বড়া নিয়ে লিখুন বন্ধুরা।Emanul Haque ইমানুল হক সীমা দত্ত১.তোপসে ও ২.লোটে মাছ বেসন দিয়ে ভাজা ৩. লেটা মাছের পুর সর্ষে দিয়েউজ্জ্বল গোপ৪.ভেন্ডি দিয়ে চুনা মাছ ( ছোট মাছ ) ভাজা।৫. তেঁতুল দিয়ে চিংড়ি ভাজা৬. বেসন দিয়ে মাছের ডিম ভাজা৭. বেসন দিয়ে মাছের বড়া ভাজা ৮.. কড়া পাকে চারাপোনা ভাজা.৯. আলু পেঁয়াজ কুচি দিয়ে চুনোমাছ ভাজাসুব্রত গুহ, কাঁথি১০. সার্ডিন মাছ ভাজা। ১১.পমফ্রেট মাছ ভাজা।১২. ইলিশ মাছ ভাজা১৩.. পুঁটি মাছভাজা১৪. রুই মাছভাজা১৫. তোপসে মাছভাজা১৬. ... ...