(২৬/১১ কে মনে করে... ) 'সন্ত্রাসবাদ' কী আর কেনই বা এই সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছি আমরা - ভাবতে মাথার মধ্যে অসংখ্য প্রশ্ন কিলবিল করে ওঠে। আতঙ্কের একটা কালো চেহারা সমানে গ্রাস করে চলে আমাদের। বুধবার ২৬/১১ র ভয়ানক হামলা যখন মুম্বাইকে গ্রাস করল আবার নতুন করে নড়ে চড়ে বসলাম এই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে। রাতারাতি মুম্বাইয়ের পাঁচটি ল্যান্ডমার্কে একসাথে জঙ্গি হামলা, ও ভয়াবহ গুলিবাজি সহ ত্রাস আবারও প্রমাণ করে গেল যে দেশকে এখনও ততটা সুরক্ষিত করা যায়নি। সর্বোপরি ভারত তথা পৃথিবীর ইতিহাসে ২৬/১১ র এই কালো রাতটাকে মনে রাখবেন অনেকেই, মনে থাকবে চারপাশের বারুদ গন্ধ, চাপ চাপ রক্ত ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কত শত মৃতদেহ, চোখের জল আর ... ...
আমাদের বাড়িতে তখন একটা ঢাউশ মত বাক্স ছিল, যার কপাট খুললেই ভেতর থেকে আসত গান, ছায়াছবি, ক্যুইজ – সে এক আজব জগত। পিসির ছিল দূর্দান্ত হাতের কাজ, তাই সাদা ক্রুশের সুতো দিয়ে কভার করে দিয়েছিল ওর ওপর।যারা টিভি দেখতে আসত, প্রায় সকলেই জিজ্ঞেস করত, কে বানিয়েছে। ফলে টিভির সাথে ওই সাদা কভারেরও পরিচিতি বাড়তে লাগল। তখন সাদা কালোতে খবর পড়ত ছন্দাদি। বেশি প্রিয় ছিল, তাই নামটা মনে থেকে গেছে... মিনিমাম হাসিটুকু সারাক্ষণ তাঁর গালে। আরেকজনও ছিলেন, এক দাড়িওয়ালা গম্ভীর মানুষ, দেখে মনে হত বকলেই ঝর ঝর করে চোখে বেয়ে গড়িয়ে যাবে জল। তবে গলাটা ভরাট, জমজমাট। তাঁর কন্ঠস্বর ধাক্কা খেত ... ...
১ ঠিকঠাক মতো ঠিকানা দেয় না মেয়েরা। জায়গা বললে ব্লক ভুলে যাবে, বা রাস্তার নাম বলতে গিয়ে প্লটটা। মিতুলও এমনটাই করেছে। পই পই করে বলে দেওয়ার পরেও ঠিকানা খুঁজতে গিয়ে হয়রান হচ্ছে রাজীব। ভাইসাব, নীলশিখা অ্যাপার্টমেন্ট কিস তরফ? সেক্টর বাতাইয়ে ...সেক্টর তো নহী হ্যেঁফির! পরে জানা গেল এখানে এক দুই তিন অনেকগুলো নীলশিখা কিন্তু মিতুল কোনটায় থাকে তা জানায়নি। রাজীবও আর কথা না বাড়িয়ে এগিয়ে গেল।২ঠিক তিনমাস আগে মিতুলের সাথে পরিচয়। মেসেঞ্জারের হলুদ হাসি নিয়ে একটা উৎপটাং নাম এসে হাজির। রাজীবও কৌতূহল বশতঃহাই, রাজীব হিয়ার!উত্তর দিল না সে। ভাবটা এমন যেন বয়েই গেল। মিতুল শুনেছে চ্যাটিং এমনই হয়, হাই হ্যালো দিলেই হল ... ...
শুভ জন্মদিন আমন মাথুর উর্ফ রাজু, রাহুল ও প্রিয় বাদশাহকে...ভালোবাসার এবিসিডি তোমার কাছ থেকে শেখা... ভাড়াটে শাহরুখ – ঝর্না বিশ্বাসকুয়োতলার তিন নম্বর গলির প্লাস্টার খসা বাড়িটা এতদিন কেউ চিনত না। তবে গতবার পৌষ মেলায় একটা ঘটনা ঘটে গেল আর তার পর থেকেই বিখ্যাত হয়ে গেল সুদান মন্ডলের ছেলে।ভালো নাম একখানা অবশ্য আছে, তবে লোকে ওকে ‘শাহরুখ’ বলে ডাকে। কুয়োতলার এই শাহরুখ ফেসবুক থেকে ইউটিউব - সবেতে ভাইরাল - তাঁর নাচ দেখে আর ডায়লগ বাজি লোকের বেশ ভালোলাগছে। কেমন যেন মিল, আদতে আর বেয়াদপিতেও।পাড়ার মনা-র ওপর অনেক আগে থেকেই ওর একটা টান ছিল। কিন্তু মেয়েটা নিজের থেকে একবারও কথা বলত না। যদিও ... ...
১অটোর নীচ থেকে মাথাটা বেরোতে বেশ বেগ পেতে হলো। কপালের ডানপাশ ফুলে ঢোল। রজত দেখলে গজ গজ শুরু করে দেবে। কিন্তু ওকে সামান্য হলেও বোঝাতে পেরেছিল বাবলি। তাই ফুরফুরে ছিল দিনটা। রজত অফিসে বেরোনোর আগে পই পই করে বুঝিয়ে দিল,– দুজনেই মাস্ক নেবে আর ব্যাগে যেন একটা স্যানিটাইজার অবশ্যই থাকে।সব ঠিকঠাক মত নিয়ে মেয়ের সঙ্গে বেরিয়ে পড়লাম। মোড়ে এসে একটাও অটো না দেখে খুব মন খারাপ হলো ... ...
তেনারাই আসল হিরোপর্দায় হিরো এসে কেরামতি দেখালো, গাছের ডাল ধরে ঝুলে ঝুলে গাইল বেশ কটা গান তারপর হিরোইন উদ্ধারে কলার উঁচিয়ে নেমে ঢিস্যুম ঢিস্যুমে। এসব খুব পরিচিত সিন, এতদিন মেইনস্ট্রিম সিনেমাগুলোতে এগুলোই দেখানো হয়েছে। কিন্তু আজ সেখানেই একটা দাঁত উচু ছেলে ক্যাবলামো করে স্ক্রীন কাঁপিয়ে যায়। যার দাঁড়ানোতে, চেহারায় তেমন কোনও আহামরি নেই, তবুও তাকে ভালো লাগে! কিন্তু কেন? আসলে এদের দেখলেই মনে হয় এ আমার পাশের বাড়ির লোক,খুব চেনা কেউ। প্রত্যেক পাড়ার সেই দাদারা যাদের দেখলে শুরুতে কোনও ঝাঁকুনি নেই, তবে মিশতে গিয়ে এতটাই আপন লাগে যে একদিন না দেখলে কষ্ট হয়। আজকাল পর্দা জুড়েও দাপিয়ে বেরাচ্ছে এমন সব চরিত্রগুলো। রোজকার খুব চেনা ... ...
এই ‘ইমোজি’ তোমার আমার... ঝর্না বিশ্বাসচন্দ্রানী আমার খুব ভালো বন্ধু। প্রায়ই কোন না কোন বিষয়ে আমাদের চর্চা হয়। এই যেমন গতকাল বঙ্গতনয়া ও বিজনেস টাইকুনের আদরমাখা ছবি দেখে মেসেজ করলাম। খুব হ্যাপি জানিস...দিব্যি লাগছে দুজনকে... ও উত্তরে একটা রাগি ইমোজি পাঠিয়ে দিল। আমি থ। বুঝলাম ব্যাপারটাতে ওর কোন ইন্টারেস্ট নেই বা এসবে খবরে পাত্তা না দেওয়াই ভালো।ক বছর আগেও এই ব্যাপারগুলো এত সহজ ছিল না। ফিলিংস বোঝাতে বোঝাতেই কেমন বয়স এগিয়ে গেল। প্রায়ই এই আপশোসটা ঘিরে ধরে। সেই সময় ইমোজি ব্যাপারটা থাকলে নির্ঘাত প্যাচআপ হয়ে যেত তাদের সাথে, যাদের মুখটাও এখন ঠিকমত মনে পড়ে না। তবে ভাঙনের কারণটা বেশ জ্বলজ্বলে।শত ... ...
মিঠাই সুন্দরী – ঝর্না বিশ্বাসপাড়ার মিষ্টির দোকানে সেদিন এক আজব কান্ড ...মিষ্টিগুলো নিজেদের মধ্যে হাই হ্যালো করছে...শুরুটা জিলিপি দিয়েই...হ্যোয়াটস্ আপ দোস্তো...গুড মর্নিং...অবাঙালি হাতে ঘুরতে ঘুরতে ওর আস্কারাটা প্রচন্ড...তাই হিন্দি - ইংরেজি এক জগাখিচুড়ি ভাষা ওর বলনে ও চলনেও...এতে রসগোল্লা অল্প হাই তুলে ডোবা রসের মধ্যে থেকে মাথা বের করে... কিছুটা রাগে পাশে শোয়া ওর ছোটভাইটা কনুইয়ের ধাক্কা দেয়। বলে,দিদি শুয়ে পড়...বেলা এখনও হয়নি...ওদের পাশের ট্রে-তে কালোজাম...স্কিন কালারের জন্য নিজেই একপ্রকার সকলের থেকে গুটিয়ে...তাও জিলিপির হ্যালোকে তুচ্ছ করতে পারেনা...তাই রাশভারী গলায় বলে ওঠেশুভ সকাল বন্ধু...জিলিপি এতে হাত নাড়ালে রাবরীর মুখ ভার হয়...ও ভীষণ পজেজিভ, জিলিপিকে নিয়ে...ওর মনে হয়, জিলিপি শুধু ওর ... ...
যে চিঠি কখনও পাঠানো হয়নিইরফান খানকেআপনি আমাকে চেনেন না। কস্মিনকালেও দেখা হয়নি আমাদের। তবু উনত্রিশে এপ্রিল এক মন কেমনের দিন। সেদিন সকালটা ছিল থমথমে, সূর্যেরও মন ভারী। টিভি স্ক্রীনে সকাল হতেই বারবার ভেসে আসছিল একটি মুখ। তা আপনি। বিশ্বাস হচ্ছিল না এই হাসির এখানেই শেষ।সেদিন সবার চোখে জল ছিল। আড়ালে আবডালে আঁচল মুছেছে কেউ, কেউ ফুঁপিয়ে, কেউ আবার সজোরে...কারো বুকের বাঁ দিকটা একদম খালি ... ...
আত্মকথন – ঝর্না বিশ্বাস সুমিকে একদিন দুম করে বলে বসলাম, আজ তোর নোটবই দেখব। দূর থেকে তখন ডবলডেকারগুলো ছুটে যাচ্ছিল - চার্চগেটের গির্জাতেও ঘন্টা পড়ছিল ডং ডং ডং... একটা অচেনা মুখের লোক তাঁর পোষা বুলডগটিকে ভ্রমনে নিয়ে এলে সেও লাইন মারছিল পার্সী মহিলার সোনামণিটিতে... ... ...