ফিরে আসে বার বারলেখিকাঃ পল্লবী সেনগুপ্তপ্রকাশকঃ পত্রভারতীপাঠ প্রতিক্রিয়া বইটি কেনার মূল এবং একমাত্র ভাবনা ছিল, মহাভারতের কথা, নতুন প্রজন্মের সাহিত্যিকের নজরে জানা এবং খোঁজা। পল্লবী দেবীর কোনও রচনা আমার পড়া ছিল না, এটাই প্রথম। এক বেলাতেই পড়া শেষ হয়ে গেল। বইটির ব্যাক ফ্ল্যাপে পড়লাম, লেখিকার গল্প শর্ট ফিল্ম এবং ওয়েব সিরিজের জন্য নির্বাচিতও হয়েছে। বর্তমান বইটিও যেন তিনি চিত্রনাট্যের রূপেই বোধহয় লিখতে চেয়েছেন। পাশাপাশি তিনটি ভিন্ন পরিবেশের মানুষ এবং চরিত্র নিয়ে তার রচনার বিস্তার। তা কখনও ৫০০০ বছর আগে, দ্বাপরের শেষ পর্বে, কখনও আজকের দিনে - কলকাতায়? কখনও উত্তরাখন্ডের গন্ডগ্রাম পাউরিতে। যদিও কলকাতা স্পষ্ট করে বলা নেই কোথাও। সুপার লং শট, তারপর ডিরেক্টরের কাট, ফোকাস ... ...
সেই অর্থে আমি রিভিউকারী নই। সাপ্তাহিক বর্তমানে আমার জানাশোনা এক দাদা একটি গল্প লিখেছেন - সেটি পড়ার জন্য খবরের কাগজওয়ালাকে বলে কয়ে ৩০-শে সেপ্টেম্বরের সাপ্তাহিক বর্তমানটা হাত করি। অরুণাচল দার "নিখোঁজ" সত্যিই এক অদ্ভুত গল্প। কি বলা যায়, আধি ভৌতিক না'কি প্টারের দুনিয়ার ম্যাজিকের দুনিয়া। আমরা যারা পড়ছি, তারা হলাম মাগলুরা। লেখা একেবারে স্বচ্ছ্ব এবং কল্পিত হলেও, একেবারে মাখনের মত স্মুদ। কোথাও কষ্ট কল্পনা মনে হয় না। তবে চমকে দিয়েছেন তিনবার। সেই অজানা স্টেশন থেকে অজানা ট্রেনের যাত্রাপথে, বাথরুমের মধ্যে দুব্যাগ ভর্তি হাড়! ডাক্তার মানুষ ছাড়া, কল্পনার এই সীমায় কেউ সহজে পৌঁছাতে পারবেন না, হলফ করে বলা যায়। এমন গ্রাম ... ...
এই বছরের আশ্বিন মাসের, বাঙালির এই বাতসরিক অনুষ্ঠান আমার জন্য অভুক্তের সামনে খাদ্য সামগ্রীর অঢেল উপস্থিতির মত ছিল। কাজের গুঁতোয়, গত ৪০-টা বচ্ছর বাইরে বাইরে কাটিয়ে, এবার নিজের ঘরে ফিরি। তাই মহালয়া থেকে এক দুরু দুরু অপেক্ষা নিয়ে দিন গুণছিলাম। কিন্তু হতাশ হলাম। কলকাতার পূজো হয়তো জাঁক জমক আর আকারে প্রকারে বিরাট হয়ে উঠেছে - বিশেষত তকমাধারী হবার পরে। তা বলে মায়ের রূপও পালটে দেবে? বন্ধু বান্ধব আর প্যান্ডেল হপিং করে বেড়ানো কিছু উৎসাহী পরিচিতের পাঠানো হোয়াটস অ্যাপ ছবিতে, মা-কে বেশির ভাগ মন্ডপেই, অ্যালিয়েন রূপে দেখতে পাচ্ছি। মায়ের এ রূপ আমি জানি না, পড়ি নি, বীরেন বাবুর বর্ণনাতেও পাই নি। এই কি আমাদের ... ...