এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ - ১৩   

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ মে ২০২৪ | ৪৯ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব - ১৩

    আহেলির মায়ের মৃত্যুর আগে পরে কল্পনা ওদের বাড়িতে এসে বাড়ির মেয়ের মত অনেক সার্ভিস দিয়েছে। সেই সুবাদে আড়ষ্টতা অনেকটাই খসে গিয়ে নন্দর সাথে কল্পনার সম্পর্ক বেশ ঝরঝরে হয়ে গিয়েছিল। তবু নিজে প্রপোজ করা সাহসে কুলোয়নি। বোনকে মনের কথা জানিয়েছিল। আহেলি তার বান্ধবীকে জানিয়েছিল দাদার মনের কথা। কল্পনার কাছ থেকে ইতিবাচক উত্তর এসেছিল। এলাকার পর্যবেক্ষকদের তীক্ষ্ণ নজর এড়িয়ে ভাব ভালবাসার খেলা কিছুদিন চলেছিল। সেকালের প্রেমে ভাবের আদানপ্রদানে চিঠির বিরাট ভূমিকা ছিল। অন্তরের অন্তস্থল থেকে উৎসারিত প্রেমরসে সিক্ত বেশ কয়েকটি চিঠির লেনদেন হয়েছিল। কয়েকবার রিভিশন দেওয়ার পর কল্পনা যত্ন করে চিঠিগুলো লুকিয়ে রেখে দিত তার গোপন আস্তানায়। ওই ডকুমেন্টরি এভিডেন্সই কাল হল। কল্পনাদের আর্থিক অবস্থা আহেলিদের থেকে অনেকটাই ভাল ছিল। কল্পনার বাবা রতন ব্যানার্জী সওদাগরি অফিসে মোটা মাইনের চাকরি করতেন। মানুষটা এমনিতে মন্দ নয় কিন্তু বড্ড বদরাগী। বাড়িতে কল্পনার আলাদা ঘর ছিল। একদিন কিছু লেখালিখির জন্য কাগজের সন্ধানে কল্পনার বাবা ওর ঘরে গিয়ে খাতা থেকে পাতা ছিঁড়তে গিয়েই ঘটল সর্বনাশা কান্ড। খাতার মধ্যে থেকে ভাঁজ করা একটা কাগজ মাটিতে পড়ল। কাগজটা মাটি থেকে কুড়িয়ে খাতার ভেতরে রাখার সময় কি মনে হওয়ায় পিতৃদেব ওটি খুলে দেখলেন। মেয়েকে কেউ চিঠি লিখেছে। সম্বোধনটাই কেমন গোলমেলে। একটু এগোতেই বাঁড়ুজ্যে মশাইয়ের চুল খাড়া হয়ে গেল। কি ভয়ানক ব্যাপার, এ যে প্রেমপত্র। মেয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করে! কল্পনা তখন কলেজে। কল্পনার মা কত্তাকে দেখে আন্দাজ করলেন, কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। কি হয়েছে জানতে চাইতে ধমকে পালটা প্রশ্ন এল—বাড়িতে বসে করটা কি? কোন দিকে নজর নেই।

    -- কি হয়েছে সেটা তো বলবে।

    -- তোমার মেয়ে গোল্লায় গেছে, প্রেম করে। মেয়ে ধাষ্টামি করছে, আর মা হয়ে বসে বসে দেখছো।

    এমনভাবে কথাগুলো বলা হল যেন মিতালীর সামনে ঘরে বসেই মেয়ে প্রেম করে। কথা বাড়িয়ে লাভ নেই, মিতালী চুপ করে গেলেন। মেয়ে ঘরে ফেরার পর অবশ্যম্ভাবী অশান্তির কথা চিন্তা করে মিতালী খুবই বিচলিত হলেন। রতন তখন গোড়ালি ঠুকে সশব্দে বাইরের বারান্দায় পাক খাচ্ছেন, হাতে ধরা রয়েছে মেয়ের নষ্টামির প্রমাণপত্র।

    কল্পনা বাড়িতে পা দেওয়া মাত্র প্রশ্ন ধেয়ে এল—এটা কি?

    কল্পনা দেখে বাবা ওর দিকে একটা মোড়া কাগজ তুলে ধরে আছে। কল্পনা মাথামুন্ডু কিছু বুঝতে না পেরে পালটা প্রশ্ন করল—কি ওটা?

    -- তোমার খাতার ভেতর যত্ন করে রাখা ছিল, চিনতে পারছ না? তলে তলে এতদূর! ওই নন্দদুলাল জানোয়ারটি কে? কোথায় থাকে?

    এইবার কল্পনার কাছে ব্যাপারটা পরিস্কার হল। ওর চিঠিপত্র ধরা ছোঁয়ার বাইরে গোপন জায়গায় থাকে। ওই চিঠিটা সবে আগের দিন পেয়েছে, একবার মাত্র পড়া হয়েছে। আর একবার রিভিশনের জন্য খাতার মধ্যে রেখেছিল। বাবা যে ঘরে হানা দেবে কে জানত। কল্পনা প্রথমটায় নত মস্তকে চুপ করে বসেছিল। কিন্তু বাবার দাবড়ানির ঠেলায় কলকল করে ভেতর থেকে সব তথ্য বেরিয়ে এল।

    ছেলে বেকার জানার পর আরো ক্ষেপে গিয়ে বললেন—ভাবতেই পারছি না আমার মেয়ে হয়ে কি করে তোমার একটা বেকার লোচ্চা ছেলেকে পছন্দ হল। পাঁচজনে জানতে পারলে বাড়ির সম্বন্ধে কি ধারণা হবে, এটা একবার ভেবে দেখেছ? তোমার মুখে তো চুনকালি পড়বেই আমাদেরও আর মান সম্মান বলে কিছু থাকবে না।

    কল্পনা মৃদু স্বরে বলল—বাবা ও লোচ্চা নয়, ভদ্র ঘরের ছেলে। বিএ পাশ করেছে। কিছুদিনের মধ্যে ঠিক চাকরি পেয়ে যাবে।

    -- জানোয়ারটার হয়ে আবার ওকালতি হচ্ছে, চুপ কর অসভ্য মেয়ে কোথাকার। ‘কিছুদিনের মধ্যেই চাকরি পেয়ে যাবে’, চাকরি যেন ছেলের হাতের মোয়া। রোজগারের মুরদ নেই প্রেম করে, তাকে লোচ্চা নয়ত কি বলব!

    কল্পনার মা বোঝাবার চেষ্টা করল—চেন না, যান না, কেন একটা ছেলের সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলছ?

    -- তুমি চুপ কর। তোমার আশকারাতেই মেয়েটার এই অধঃপতন হয়েছে।

    কল্পনাও দু একটা কথার পর চুপ করে গিয়েছিল। ওর বাবাও কিছুক্ষণ গর্জন করার পর প্রতিপক্ষের অভাবে থেমে গেলেন। কল্পনার ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি হল। কলেজে যাওয়া ছাড়া একলা বাড়ির বাইরে বেরন বন্ধ হল। তার মধ্যেও একদিন ঝুঁকি নিয়ে নন্দর সাথে দেখা করে বাড়ির পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নিজের অসহায়তার কথা জানাল। নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের বেকার ছেলে নন্দর পক্ষেও চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাদের ভালবাসার কোরকটিকে প্রস্ফুটিত করার জন্য প্রয়োজনীয় দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরিসমাপ্তি ঘটল তাদের স্বল্পকালীন প্রেম পর্বের।

    এই ঘটনা জানার পর কল্পনার বাবা আর কোন রকম ঝুঁকি নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না। যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে মেয়ের জন্য পাত্র দেখা শুরু করলেন। কলেজের গন্ডি টপকাবার আগেই কল্পনার বিয়ে হয়ে গেল। ছেলে দেখতে শুনতে ভাল। পারিবারিক ব্যবসা, আর্থিক অবস্থাও ভাল। সবথেকে বড় কথা বাড়ির কাছেই শোভাবাজারে ছেলের বাড়ি। পথভ্রষ্ট কন্যাকে মনোমত ঘরে পাত্রস্থ করে কল্পনার বাবা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লেন। রতন ব্যানার্জীর ওই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিয়ের কিছুকাল পরেই রতন বুঝতে পারলেন যে তড়িঘড়ি বিয়ে দিতে গিয়ে ছেলের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার ব্যাপারে বিরাট খামতি থেকে গিয়েছে। পাত্রের খবর দিয়েছিল রতনদের এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়। লোকটি জ্ঞাতসারেই হোক বা অজ্ঞাতসারে ছেলের কোন সমস্যার কথা জানায়নি। জয়ন্ত তার মা বাবার সাথে এসে কল্পনাকে দেখে গেছে। রতনও একবার সস্ত্রীক গিয়ে ছেলে এবং তাদের বাড়িঘর দেখে এসেছিলেন। অপছন্দ করার মত কিছু নজরে আসেনি। বিয়ের পর নতুন জায়গায় এসে প্রথমদিকে কল্পনার বড় কোন সমস্যা হয়নি। কেবল কখনো কখনো রাতে বিছানায় জয়ন্তর অতিরিক্ত উৎপীড়নে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েও নিজেকে সমর্পণ করতে হত। কল্পনার নিরাবরণ শরীরের দখল নেওয়াই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। সেক্সে যে শরীরের সাথে মনেরও একটা যোগ আছে তা জয়ন্তর বিবেচনায় থাকত না। মিলনের আনন্দ সব সময় উপভোগ না করলেও ব্যাপারটা মেনে নিয়েছিল। বরং অনেক সময় মনে হত যে সমস্যাটা হয়ত ওরই। ওই হয়ত সেরকম সেক্সচুয়ালি রেস্পন্সিভ নয়। যাইহোক একরকম চলছিল। কল্পনা অতীতের স্মৃতিকে অন্তরের চোরাকুঠুরিতে বন্ধ রেখে নতুন পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে ধীরে ধীরে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। টুকটাক কিছু সমস্যা বাদ দিলে জয়ন্ত বা ওর বাড়ির লোকেদের সম্পর্কে অভিযোগ করার মত তেমন কিছু ছিল না। বাড়ির লোক বলতে জয়ন্তর বাবা, মা আর ভাই। বাবার বৌবাজারে জামা কাপড়ের বড় দোকান। দুই ছেলেও বাবার সাথে ওই দোকানে বসে। কল্পনাকেও একবার শ্বশুরমশাই সঙ্গে করে নিজেদের দোকান দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল। বেশ বড় দোকান। দোকানে গিয়ে কল্পনার একটা দামী শাড়ি লাভ হয়েছিল।

    শ্বশুরবাড়িতে কয়েকদিন কাটার পর জয়ন্তর তিনটে অস্বাভাবিক ব্যাপার কল্পনার চোখে পড়েছিল। প্রথমটি হল সকাল আর রাতে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া। জয়ন্তর মা দাঁড়িয়ে থেকে খাইয়ে দিতেন। কি কারণে রোজ ওষুধ খেতে হয়, এই প্রশ্নের কোন সদুত্তর কল্পনা জয়ন্তর কাছে পায়নি। ওর মাও এটা ওটা বলে উত্তরকে পাশ কাটিয়ে গেছেন। এত কম বয়সে কেন রোজ ওষুধ খেতে হয় এটা কল্পনাকে ভাবাত।

    দ্বিতীয় ব্যাপারটা হল, জয়ন্তর মাঝে মাঝেই দোকানে না গিয়ে বাড়িতে বসে থাকা। এমনটা নয় যে কল্পনার আকর্ষণেই কামাই করত। চুপচাপ ঘরে বসে গান শুনত, নয়ত শুয়ে থাকত। কল্পনা কাছে গিয়ে বসলে খুশি হত। শরীর খারাপ কি না জানতে চাইল জানাত যে সে ঠিক আছে।

    তৃতীয় ব্যাপারটা হল, জয়ন্তর কোন বন্ধুবান্ধব নেই। এই বয়সে যা খুবই অস্বভাবিক। নিমে বলে একটা ছেলে মাঝে মাঝে ওর কাছে আসত। একমাত্র ওর সাথেই জয়ন্ত একটু আধটু গল্প করত।

    নতুন জায়গায় সবকিছু নিজের মনোমত হয় না, এই ভাবনা মাথায় রেখে কল্পনা সাধ্যমত নিজেকে এই বাড়ির মত করে অ্যাডজাস্ট করার চেষ্টা করছিল। প্রথম মাসটা ঠিকঠাকই কাটল।

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন