এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ - ১৪    

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ মে ২০২৪ | ৪৭ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব - ১৪

    শ্বশুর বাড়ি থেকে কল্পনাদের বাড়ি মিনিট পনেরর হাঁটা পথ। কাছে হওয়ায় কল্পনা মাঝে মাঝেই বাগবাজারে বাপের বাড়ি যেত। কখনো দিনের দিনেই ফিরে আসত কখনো বা এক আধ দিন থেকে আসত। একাই যেত, সাথে জয়ন্ত কমই গেছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন কখনো এ নিয়ে আপত্তি করেনি। বিয়ের মাস খানেক পর একবার কল্পনা বাপের বাড়িতে এসে দিন দুয়েক ছিল। তৃতীয় দিন সকাল সকাল শ্বশুরবাড়ি ফিরে এল। শ্বশুর আর দেওর তখন দোকানে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। জয়ন্ত বারান্দায় একটা চেয়ারে চুপচাপ বসে রয়েছে।

    কল্পনা জিজ্ঞেস করল- আজ দোকানে যাবে না।

    সংক্ষিপ্ত উত্তর এসেছিল- না।

    কল্পনা আর কিছু জিজ্ঞেস না করে ঘরে চলে এসেছিল।

    কিছু পরে জয়ন্তর মা এসে ছেলেকে শুধল—কিরে খোকা, আজকেও দোকানে যাবি না?

    -- না।

    -- টানা দু দিন এভাবে বাড়িতে চুপচাপ বসে থাকতে ভাল লাগে! দোকানে যা, কাজের মধ্যে থাকলে মনটাও ভাল থাকবে। যা তৈরি হয়ে নে।

    জয়ন্ত চিৎকার করে উঠল—বললাম তো যাব না। আমাকে আমার মত থাকতে দাও। কেন বিরক্ত করছ? দূর হয়ে যাও আমার সামনে থেকে।

    চিৎকার শুনে কল্পনা ঘর থেকে বেরিয়ে এল। জয়ন্তর মা তখনো ছেলেকে কিছু বোঝাবার চেষ্টা করছেন। জয়ন্ত চেয়ার থেকে উঠে মাকে সজোরে একটা ধাক্কা দিয়ে বলল, “বেরোও এখান থেকে।” মহিলা টাল সামলাতে না পেরে মেঝেতে পড়ে গেলেন। কল্পনা দৌড়ে গিয়ে শাশুড়িকে মেঝে থেকে টেনে তুলল। এগিয়ে এসে জয়ন্তকে বলল—এটা তুমি কি করলে? তুমি মায়ের গায়ে হাত দিলে! মা তোমায় কি অন্যায় কথা বলেছেন?

    “চুপ কর মাগি, যা করেছি বেশ করেছি” বলে জয়ন্ত সজোরে কল্পনার গালে একটা চড় কসাল। এমন পরিস্থিতির কথা কল্পনা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। জয়ন্তর ভাই আর বাবা তাড়াতাড়ি ছুটে এসে ওকে ধরে একটা ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দিল। বন্ধ ঘরের ভেতর থেকে জয়ন্ত বাড়ির সকলের উদ্দেশ্যে গালমন্দ করতে থাকল। কল্পনা হতবম্ব হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। জয়ন্তর বাবা আর মা ওর কাছে এসে ছেলের কৃতকর্মের জন্য অনেক দুঃখপ্রকাশ করল। ওর মা কল্পনার গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন-কষ্ট পেওনা মা। একটু পরে ওর মাথা ঠান্ডা হলেই আগের মত হয়ে যাবে। ছেলের আমার এই একটাই সমস্যা, রাগলে কাণ্ডজ্ঞান থাকে না।

    কল্পনা চুপ করে থাকে। ব্যাপারটা হজম করা সম্ভব হচ্ছে না। তার থেকেও বড় কথা বাড়ির লোকেদের জয়ন্তকে ওভাবে জোর করে ঘরে ঢুকিয়ে বন্ধ করে দিয়ে আসাটাও কল্পনার একদমই স্বাভাবিক মনে হয় নি। দু বেলা ওষুধ খাওয়া, মাঝে মাঝেই দোকানে না যাওয়া, পাশবিক রাগ এবং সর্বোপরি ধরে বেঁধে ঘরে বন্ধ করে দেওয়া, এই সবকটা একত্রে জয়ন্তর বয়সী কোন মানুষের ক্ষেত্রে একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। একটু ধাতস্থ হওয়ার পর কল্পনা অন্য ঘরে গিয়ে শাশুড়িকে সোজাসুজি জিজ্ঞেস করল—আপনার ছেলের কি কোন মানসিক সমস্যা আছে?

    হঠাৎ ধেয়ে আসা এই প্রশ্নে শাশুড়ি একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেও নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন—না না, ওসব কিছু নয় বৌমা। ওর রাগটা বড্ড বেশী। একটু বাদে রাগ কমে গেলে দেখো, তোমার কাছে এসে ঠিক দুঃখপ্রকাশ করবে।

    -- এই বয়সের একটা ছেলেকে রোজ কিসের জন্য ওষুধ খেতে হয়? আপনাকে আগেও কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু আপনি সঠিক কারণটা জানাননি। আজ আপনাকে বলতেই হবে, ও কেন রোজ ওষুধ খায়।

    চরম জেরার মুখে পড়ে মহিলা কি বলবেন ভেবে পেলেন না। বানিয়ে আমতা আমতা করে বললেন—ওটা ওর ওই রাগ কমাবার জন্য ডাক্তার দিয়েছে।

    জয়ন্তর মার মিথ্যে কথাটাও সত্যির অনেকটা কাছাকাছি হয়ে গেল।

    কিছু সময় পর বন্ধ ঘর থেকে জয়ন্তর গলা পাওয়া গেল—মা, দরজাটা একটু খুলে দেবে?

    গলার সূরটাই পাল্টে গেছে। জয়ন্তর মা দরজা খুলে দিয়ে এলেন। ঘর থেকে বেরিয়ে এল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক একটা মানুষ। কে বলবে একটু আগে এই মানুষটাই তাণ্ডব করেছে। কল্পনার হাত ধরে কৃতকর্মের জন্য অনেকবার সরি বলল। কল্পনা কোন উত্তর দেয়নি। জয়ন্তর ওষুধ ওর ঘরে থাকত না, থাকত ওর মায়ের কাছে। উনি সেগুলো সময়মত ছেলেকে খাইয়ে দিতেন। সেদিন ওই অশান্তির পর ভুলবশত ওর মা ওষুধের ব্যাগটা ঘরে ফেলে গিয়েছিলেন। অশান্তির অনেকটা পরে কল্পনা ঘরে এল। ঘরে ঢুকে ড্রেসিং টেবিলের ওপর ওই ব্যাগটা চোখে পড়ল। জয়ন্ত তখন ধারে কাছে ছিল না। বাইরে কোথাও বেরিয়েছিল। কৌতুহলবশত কল্পনা ব্যাগটা খুলল। ব্যাগের ভেতরের জিনিসপত্র ঘেঁটে দেখতে গিয়ে বেরিয়ে এল বেশ কয়েকটা প্রেসক্রিপশন। প্রেসক্রিপশন দেখেই কল্পনা চমকে উঠল। ডাক্তার একজন সাইক্রিয়াটিস্ট। ডঃ রণজয় সরকার, এম বি বি এস, এম ডি, এম আই পি এস। এইরকমই একটা কিছু কল্পনা সন্দেহ করছিল। এদিক ওদিক দেখে একটা কাগজে ডাক্তারের নাম ঠিকানা আর ওষুধের নাম গুলো লিখে নিল। একটা পুরনো প্রেসক্রিপশনও নিজের ব্যাগে রেখে দিল। কল্পনা দেরি না করে ডাক্তারের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিল। ডাক্তারের চেম্বার শেয়ালদায়। বিকেল চারটে থেকে চেম্বারে বসেন। দুপুরে খাওয়ার পর শাশুড়িকে জানাল যে সে তার একজন গুরুতর অসুস্থ বান্ধবীকে দেখতে বিকেলে তালতলায় যাবে। এসব ব্যাপারে এ বাড়িতে এমনিতেই বিশেষ বিধি নিষেধ ছিল না, তার ওপর সকালের ওই ঘটনার পর শাশুড়ি মরমে মরে ছিলেন। কোন রকম প্রশ্ন না করেই সম্মতি জানালেন। সময়ের একটু আগেই পৌঁছে গেল ডাক্তারের আস্তানায়। চেম্বারে তেমন একটা ভিড় ছিল না। পেশেন্ট হিসেবে নাম লিখিয়ে ডাক্তারের সাথে দেখা করল। চেয়ারে বসে ডাক্তারের দিকে এগিয়ে দিল জয়ন্তর পুরনো প্রেসক্রিপশন।

    ডাক্তার গম্ভীরভাবে জিজ্ঞেস করলেন — পেশেন্ট কোথায়?

    -- বাড়িতে।

    এরপর নিজের পরিচয় দিয়ে জয়ন্তর রোগের ব্যাপারে ডাক্তারের কাছে জানতে চাইল। জয়ন্তর আচরণে এই অল্প সময়ে কল্পনার যা যা অস্বাভাবিক লেগেছে তা অকপটে বলে শেষে সকালের ঘটনার কথাও ডাক্তারকে জানাল। ডাক্তার বুঝতে পারলেন যে রোগের কথা গোপন রেখে বাড়ির লোকেরা ছেলের বিয়ে দিয়েছে। অল্পবয়সী মেয়েটির অসহায়তায় ডঃ রণজয় সরকার কিছুটা ব্যথিত হয়ে জানালেন—মা একটা কথা তোমাকে খোলাখুলি বলি। জয়ন্তর সমস্যা কিউরেবল নয়। নিয়মিত ওষুধ খেলে সমস্যাগুলো অনেকটা অ্যারেস্ট করে রাখা যাবে, একেবারে সারান সম্ভব নয়। ও আমার কাছে প্রায় সাত আট বছর যাবত চিকিৎসা করাচ্ছে। আগে ওর মানসিক অবস্থা আরো খারাপ ছিল, এখন তীব্রতা অনেকটাই কমেছে। তবে ঐ যে বললাম, সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। সারা জীবন ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। ওরা এত বড় ব্যাপার চেপে বিয়ে দিয়ে খুবই অন্যায় কাজ করেছে। আমার মনে হয়, তোমার বাড়ি থেকেও ভালভাবে খোঁজখবর নেওয়া হয়নি কারণ, এই ব্যাপার তো চেপে রাখা সম্ভব নয়। পাড়া, প্রতিবেশী সকলেরই জানার কথা। ওর ব্যাপারে আমি যতটুকু জানি তোমাকে জানালাম। এই পরিস্থিতিতে এবার তুমি কি সিদ্ধান্ত নিতে চাও সেটা তোমার ব্যাপার। একটা কথা জানিয়ে রাখি। কোন আইনি কারণে যদি আমার প্রয়োজন হয়, জানিও। আমি সাধ্যমত সাহায্য করব।

    কল্পনা ডাক্তারবাবুকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে চেম্বার থেকে বেরিয়ে এল। সিদ্ধান্ত তাকে নিতেই হবে, আর সেক্ষেত্রে বিকল্পের কোন জায়গা নেই। ডাক্তারবাবুর সব কথা শোনার পর তার জীবনের এই পরিণতির জন্য জয়ন্তর বাড়ির লোকেদের পাশাপাশি নিজের বাবাকেও একই রকম অপরাধী মনে হচ্ছে। শীতের বেলা, ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরোতে বেরোতে চারিদিকে অন্ধকার নেমে এসেছে। অন্ধকার নেমে এসেছে কল্পনার জীবনেও। সেই মুহূর্তে সে কোথায় যাবে, কি করবে, কিছুই ভেবে পাচ্ছে না। মনটাকে একটু শান্ত করার জন্য ফুটের ধারে একটা চায়ের দোকানে গিয়ে বসল। চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিতে দিতে চোখে পড়ে কর্মব্যস্ত দিনের শেষে মানুষের ঘরে ফেরা। তাকেও তো এবার ফিরতে হবে। কিন্তু সে কোন ঘরে ফিরবে?

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন