পাগলা গণেশ আঁতেল হতে পারলেননা। তাঁর পড়ার উপযুক্ত বইঃ রোদ্দুর রায়ের নির্বাচিত রচনা ... ...
তুমি যে আমকে আম বলো, সেটা কি সে জানে? যদি তুমি তাকে আমড়া বলো, তাতে কি ও রাগ করবে? নিদেনপক্ষে যদি মিষ্টি না থাকে আর? তুমি কী করে জানলে, ওটাকেই কালো বলে? কী করে বলা যায় আকাশটা নীল? কেন কমলাটা স্কারলেট রেড ... ...
রেখে রেখে মিষ্টিখানি, শেষপাতে খাব বলে, শেষে আর খাওয়াই হলো না। জুতোর কাদা পড়ে গেল এসে। শুরু থেকেই কয়েকবার মনে হয়েছে, একটা কামড় দিয়েই ... ...
যখন আমাদের দুজনের শরীরের প্রীতিটি ভাঁজ চেনা হয়ে যাবে, যখন বারবার রিভাইজ করে মুখস্থ হয়ে যাব দুজনের কাছে, তোমার স্তনের বা আমার অন্ডকোষের অসাম্যতা, তখন আর অজানা থাকবে না, কথা তখন বড্ড কেজো হয়ে যাবে, হয়তো রাতের পর রাত আর ঘনিষ্ঠ হব না আমরা, হাজার দায়িত্বের মাঝে প্রেম চাপা পড়ে যাবে মনের স্টোররুমে, দরজা খুলতে চেয়েও খোলা হবে না কয়েক বছর, যদি খুলেও ফেলি, ময়লা মুছে আবার চর্চা করতে মন ... ...
এই পথে আমি শত-সহস্রবার গেছি আগে,আমি এখানের প্রতিটি ইঁট, সিমেন্ট,এমনকি বালির কণাকেও চিনি,এই পথের পাশের গাছ আমাকে বেশি ছায়া দেয়,পথের লোকেরা আমার আত্মীয়।কখনো আত্মীয়তা দাবি করিনি,ওটা স্বতঃস্ফূর্ত।আমি নিশ্চিন্তে যেকোনো ঘরের দরজায় কড়া নাড়তে পারি,আমার পরিচিত সবাই।কিন্তু মাঝে এক দশক কেটে গেছে হয়তো,আমি হিসেবে বড্ড কাঁচা কিনা?তবে বেশ অনেকদিন, একথা বলতে পারি।আজকে যখন হেঁটে এলাম,অনেক নতুন মুখ যোগ হয়েছে রাস্তায়,দরজায়,জানালায়,দোকানের কাউন্টারে।ওদের সাথে পুরোনো মুখের আদল মেলে,কিন্তু তাতে নতুন যুগের পালিশ।ওদের মুখের অবাক অপরিচিত ভাব বলে দেয়,আমি বাতিল হয়ে গেছি।তাই আমি ফিরে যাই কবরস্থানের দিকে,ওদিকে আমার পরিচিত বেশি।নতুন যারা, তারাও পুরোনো, চেনা।ওদের সাথে কথা বলা যাবে না, ঠিক।কিন্তু ওদের উপস্থিতিও আন্তরিক।আমি ঘন্টার ... ...
প্রতিটা ঘরের একটা আলাদা গন্ধ আছে,সেটা সেই ঘরের লোকে হয়তো বুঝতে পারে না,কিন্তু আমি পারি,আর পারে,যারা ওই ঘরের বাসিন্দা নয়।এই গন্ধ ওই ঘরের লোক,ঝরে পড়া পানির পরিমাণ,আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা কীট-পতঙ্গ,এমনকি ঘরের আয়তন,বাতাস সবাই মিলে নির্ধারণ করে।প্রতিদিন পাল্টে যায় একটু,কিন্তু তাতেও মিল থাকে আগের দিনের সাথে।তখন মনে হয়,ঘরটা মানুষের মতো।ওরও নিজস্ব সত্ত্বা আছে,ওরও প্রাণ আছে হয়তো,আমরা জানতে পারিনি।ও কী খায়?মানুষের প্রাণ? ... ...
যাদের ঘরের আঙিনা ছোট,রোদ পড়ে না সেখানে,ঘর স্যাঁতসেঁতে থাকে,বাতাস খেলে না ঠিক,যদি জানালা না খোলা থাকে।আমার আঙিনাহীন দেহ,আমি বহুতল ফ্ল্যাটের টবের চারা,আমার বৃদ্ধি ওই ঘরের আলোর মতোই,কৃত্রিম, ফ্যাকাশে, পুষ্টিহীন,চকচকে। আমি মাটি কেমন দেখিনি, আমার গায়ের চামড়া ... ...
হয়তো আমি এখনো ঈশ্বরের কাছে যেতে পারিনি, চেষ্টাই করিনি তো! প্রতিদিন ঈশ্বরের হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও আমি মোক্ষ নিইনি হাত পেতে, ঈশ্বরের ইগো বড্ড বেশি, তাই সে আমাকে ভালোবাসা সত্ত্বেও মুক্তির অমৃত দেয়নি। ভালোবাসে সে আমায় সন্দেহ নেই, কিন্তু অধোশির চায় ... ...
কি জানি কেন, আজকের রাতটা ঠিক স্বাভাবিক নয়! পাখিদের ডাক চড়া, আকাশে চাঁদ না থাকা সত্ত্বেও যেন ঠিক অন্ধকার নয়, গাছগুলোও ঠিক করে উঠতে পারছে না, হাওয়া বওয়ানো উচিত, নাকি ... ...
তোমার গরু-ছাগল মারলে খারাপ লাগে,কিন্তু গাছ কাটলে কেন লাগে না?মানুষের জন্য যদি হিউম্যান রাইটস থাকে,তবে বাকি প্রাণীরা কী করল?মানুষ আত্মহত্যা করলেও দোষী ঠাউরানো হয় কাউকে,তবে পিঁপড়ে, মশা, আরশোলা খুন করার জন্য যে বিজ্ঞাপণ দেওয়া হয়,সেগুলোর কেউ প্রতিবাদ করে না কেন?তামাকের, মদের বিজ্ঞাপণ যদি বন্ধ হয়,তবে ইনসেক্টিসাইডের ব্যবহার কেন বন্ধ হয় না?সবকিছু কি মানুষের উপকারের কথা বলে ন্যায়সঙ্গত করে ফেলা যায়?পৃথিবীটা কী শুধু মানুষের তবে!বাকিদের বাঁচার অধিকার কি তখনই থাকবে,যখন তাদের বেঁচে থাকা মানুষের জন্য লাভজনক হবে?যদি মানুষকে বেশ্যাবৃত্তি করতে বাধ্য না করা যায়,তবে কেন গরু, ছাগল, কুকুরদের যৌনমিলনে বাধ্য করা হবে!শুধু একথা বলেই কি পার পাওয়া যায়,"মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ জীব।সবকিছু মানুষের ... ...