এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হানি সিং, অশ্লীল র‌্যাপ ও বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে বিমর্শ

    ranjan roy
    অন্যান্য | ০৭ জানুয়ারি ২০১৩ | ৫৬৬৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a x | 138.249.1.194 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০১:০২578035
  • যেটা মহিলাকে আপনি বলছেন না, সেটা হল স্পেস ভায়োলেশনের গ্লোরিফিকেশন। অশ্লীলতা নিয়ে প্রবলেম হলে আলোচনা এই লাইনেই এগোবে।
  • riddhi | 138.62.27.31 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০১:০৭578037
  • রন্জন দা, স্লাইট ইন্টারাপ্ত, মানে মেয়েটাকে বলছি।
    এটা পার্সেপশ্নের সমস্যা ঠিক না। ৪০ বছর আগে বা পরেও এই গানটা ব্যান করার কথা কিন্তু কেউ বলেনি। গান টা গেয়ে 'রোজ' জ্বালাতন নিয়ে কম্প্লেন হয়েছিল।
    আজকে যদি 'আমার সকল রসের ধারা' গেয়ে কেউ রোজ জ্বালাতন করে, একি কম্প্লেন হবে।
  • riddhi | 138.62.27.31 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০১:২০578038
  • প্রত্যেকটা রাউন্ডে নতুন প্রজন্মের মেয়ে টির কাছে আমাদের এমনিতে যুক্তিবাদী রন্জন দার এই গো-হারান হার আর নেয়া যাচ্ছে না। মুস্কিলটা হয়েছে, আমরাও এখান থেকে কিছু করতে পারছি না। মেয়েটাকে চিনিই না, যে গিয়ে বলব।
    'কভি কভি জীতনে কে লিয়ে..' এসব তো আছেই কিন্তু তাই বলে এত?
  • ranjan roy | 24.99.80.19 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০১:২৩578039
  • মহিলাঃ দাঁড়ন কাকু! এক এক করে।
    প্রথম,
    আমরা সেন্সর চাই না কে বলেছে? অবশ্যই চাই। সামাজিক হলে ভাল হয়। পারিবারিক তো হতেই হবে। তবে আমরা রাষ্ট্র নামক লেভিয়াথানকে ঠিক বিশ্বাস করি না। সামাজিক ব্যাপার-স্যাপারে ওটাকে দূরে রাখতেই চাই, যথাসম্ভব। নইলে খাল কেটে কুমীর আনার পুরো সম্ভাবনা। সিরাজকে ঠেকাতে ইংরেজ ঢুকে যাবে। রাষ্ট্র সময়মত তিলকে তাল করে, নিজের এজেন্ডা ঢুকিয়ে দেয়।
    কিন্তু আপনাদের সেন্সর মানেই ব্যান কেন মনে হয়? অথবা ব্যান না করলে মনে কেন হয় যে ঠিক সেন্সর হল না? বা প্রাণদন্ড না হয়ে যাবজ্জীবন হলে মনে হয় ঠিক শাস্তি হয় নি? আগেই বলেছি যে আপনারা বাইপোলার জীব!))
    ব্যান হল একস্ট্রিম সেন্সর। ব্যানের মর্য্যাদা পাবে পথের দাবী, ডক্টর জিভাগো। তাদের সঙ্গে একাসনে হানি সিং? ছোঃ!
    দুই,
    মেজরিটি? কোন মেজরিটির কথা বলছেন কাকু? গুরুর মেজরিটি ? অথবা পাঞ্জাব ও ইউ কে'র মেজরিটি। এই টইয়ে জনৈকের ১১ তারিখের ৬-২৪ এর পোস্ট দেখুন। হানি সিং ২০০৮ থেকে ২০১২'র মধ্যে পাঁচটা অ্যাওয়ার্ড জিতেছে, আর একটা ইউ কে'র এশিয়ান বিভাগের।
    এটা কি সম্ভব যে শুধু অশ্লীল গান গেয়ে এত অ্যাওয়ার্ড জিতেছে বা অন্যরা কেউ কিছু বোঝে না, শুধু আমরা বুঝি।
    আমিঃ সব গুলিয়ে দিয়েছ। তোমরা তাহলে চাও কী? সেন্সর চাও, কিন্তু ব্যান চাওনা। ওর কিছু গান জুতোনোর যোগ্য, কিন্তু কিছু গানে ধেই-ধেই করে নাচা যেতে পারে। সন্ধ্যে বেলা। তামা-তুলসী হাতে নিয়ে বল, কী চাও?
    মহিলাঃ আমরা চাই, গোদা বাংলায়, 'ইনফর্মড অপশন' বা সিলেক্শনের অধিকার। কোন ব্যান নয়।
    আমিঃ মানে? কিসব বড় বড় কথা!
    মহিলাঃ না কাকু, খুব সরল কথা। এই যেমন তামাক ব্যান করা হয় নি। কিন্তু ছোটদের বিক্কিরি করা যায় না। কিন্তু বিধিসম্মত সতর্কীকরণের সঙ্গে বড়দের বিক্রি করা হয়। পাবলিক প্লেসে খেলে ফাইন হয়। মারা হয় না।
    আর আমি যদি তামাক হানিকর, ক্যান্সার ও নানারকম রোগ ও মৃত্যুর সম্ভাবনাপূর্ণ জেনেও রিস্ক নিতে রাজি, তাহলে অন্য কেন তার দায় নেবে? ভাববে মরগে যা! এটাই ইনফর্নড্‌ চয়েস।
    আমিঃ না-না! বাচ্চাদের মানা কেন? ওদেরও ছোটবেলা থেকেই বিড়ি ধরাও, পর্নো দেখাও। কোন ব্যান নয়, বাধা নিষেধ নয়। শিশুদেরও মানবাধিকার আছে তো! সেটা দেখতে হবে না?
    মহিলাঃ না কাকু! অপ্রাপ্তবয়স্কদের 'ইনফর্মড্‌ চয়েস ' বা খোলা চোখে রিসক নেয়ার ক্ষমতা নেই। তাই তো ফিল্মে বিভিন্ন বয়সের জন্যে আলাদা আলাদা নিষেধ থাকে, সার্টিফিকেট থাকে। এটাই ইনফর্মড চয়েসের নমুনা। কোন নতুন কথা নয়। তাই হানি সিংয়ের চেয়ে অনেক গালি সম্পন্ন ও অশ্লীল একস্প্লিসিট দৃশ্যজোড়া সিনিমা থাকে, ব্যান হয় না। কিন্তু সব জায়গায় দেখানো যায় না। অপ্রাপ্তবয়স্কদের তো নয়ই। হানি সিং এর চেয়ে বেশি মনোযোগ দাবি করে না। এটাই বলার ছিল।
    আমিঃ খুকি! তুমিও একটি যন্তর! সোজা কথাটা খোলসা করে গোড়ায় বললেই পারতে। খামোখা ইতনী বাইট খর্চ করনা পড়া!
    মহিলাঃ এহি তো বিমর্শ হ্যায়, চাচু!
    (সমাপ্ত)
  • ranjan roy | 24.99.80.19 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০১:২৬578040
  • অক্ষ,
    এইটাই তো সার্বিক চিত্র। একদিকে ভিক্টোরিয়ান প্রুডারি! আর এক দিকে---? লেখাটার উদ্দেশ্যই তো ওই গোল-গোল গোলমেলে ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের দিকে আঙুল তোলা! শেষটা দ্যাখ।
  • natun-prajanmer-chhele | 138.62.117.241 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০১:৪৭578041
  • রন্জন স্যার, একটা অনুরোধ। যে মেয়েটির রেন্জ বটতলা থেকে কোকশাস্ত্র, ব্রেখ্ট থেকে প্রসেনজিত, আরতি, আশার গানের কথাই না, রেকর্ডের ডেট টুকু যার নখদর্পনে, এসবের পরেও যে মাল খায়! প্লাস নাচে, আর সবথেকে বড় কথা, এত ধৈর্য ধরে বয়স্কদের সাথে (আমার বাবার বয়্স আপনার কাছাকাছি) ঝগড়া না করে তর্ক চালিয়ে যায়-- তার সাথে একবার আলাপ করিয়ে দেবেন? কোন খারাপ উদ্দেশ্য না, franship করব।
  • rabaahuta | 208.175.62.19 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০২:১৬578042
  • ব্যান কিংবা নির্ব্যান নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই, এবং বর্তমান প্রজন্মের ভদ্রমহিলা চৌকশ বটে, কিন্তু অশ্লীল আর বিদ্বেষমূলক যে দুটি আলাদা জিনিস।
  • a x | 138.249.1.206 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০২:৩৮578043
  • হুতো, বলে বলে গলা ভেঙ্গে গেল ঃ-(
  • rabaahuta | 208.175.62.19 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০৩:০০578046
  • হুঁ...
    বর্তমান প্রজন্মের ঐ ভদ্রমহিলাকে একটু বোঝালে কি তিনি বুঝবেননা?ঃ(
  • "বিদ্বেষমূলক" | 127.194.195.190 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০৮:০৯578047
  • হুতো, সমস্যা হল, এই "বিদ্বেষমূলক " ব্যপারটা ব্যক্তিগত পার্সেপশনের বাইরে ঠিক প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে না। মানে হানি সিং এর কয়েকটা (এখনো পর্যন্ত একটা-র উদাহরণ-ই পাওয়া গেছে) গানে যেটুকু এই "বিদ্বেষ" পাওয়া গেছে সেটুকু এমনকি পর্ণো ইন্ডাস্ট্রির চালু ট্রেন্ডের থেকে একটুও বাড়তি তো নয়ই বরং বেশ বেশ কম। (সেটা আবার যাদের পর্ণো দেখার বা পড়ার রেগুলার অভ্যেস নেই, তাদের বোঝানো মুশকিল)। হানি সিং এর গানকে এই সো কলড "বিদ্বেষ"এর জন্য ব্যান করতে হলে পর্ণ ইন্ডাস্ট্রির ৮০-৯০% জিনিস ব্যান করতে হয়।

    বেসিকালি এখনো পর্যন্ত এক্সপ্লিসিট অশ্লীলতা ছাড়া হানি সিং এর গানে তাই "বিদ্বেষ"টা নিয়ে ঠিক এগোনো যাচ্ছে না। আদালতে যে কেস ঠোকা হয়েছে তাতে ঠিক কি অভিযোগ সেটা ওয়াকিবহাল মহল জানালে একটু আলোকিত হই।
  • sosen | 125.241.38.137 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০৮:৪৯578048
  • "না কাকু! অপ্রাপ্তবয়স্কদের 'ইনফর্মড্‌ চয়েস ' বা খোলা চোখে রিসক নেয়ার ক্ষমতা নেই। তাই তো ফিল্মে বিভিন্ন বয়সের জন্যে আলাদা আলাদা নিষেধ থাকে, সার্টিফিকেট থাকে। এটাই ইনফর্মড চয়েসের নমুনা। কোন নতুন কথা নয়। তাই হানি সিংয়ের চেয়ে অনেক গালি সম্পন্ন ও অশ্লীল একস্প্লিসিট দৃশ্যজোড়া সিনিমা থাকে, ব্যান হয় না। কিন্তু সব জায়গায় দেখানো যায় না। অপ্রাপ্তবয়স্কদের তো নয়ই। হানি সিং এর চেয়ে বেশি মনোযোগ দাবি করে না। এটাই বলার ছিল।"
    ইনফর্মড্‌ চয়েস মানে খোলা চোখে রিস্ক নেওয়ার ক্ষমতা? :O
    ইনফর্মড্‌ চয়েস মানে দিকে দিগন্তরে ডিসক্রিমিনেশন, হেট স্পিচ ছড়িয়ে থাকবে, শুনব কি শুনব না তা আমরা ঠিক করে নেব? ভারতের সমাজ এত এগিয়েছে আমার জানা ছিল না। কাঁচের ঘরের সুরক্ষার ভিতরে সবকিছুই অমন রোজি মনে হয়, আমার হয়ে সেই মেয়েটিকে জানিয়ে দেবেন রঞ্জনদা। জানিয়ে দেবেন যে ওনার দৃষ্টিশক্তি ওনার নিজের পৃথিবীতে সীমিত। বৃহত্তর পৃথিবীতে হানি সিং এর গান শোনার অধিকারের পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সম্মান, অধিকারের লড়াই গুলো চলছে। সমান গতিতে এগোচ্ছে না, কখনই, হানুদা পয়েন্ট আগেই বলেছেন, কেউ দেখেছে বলে মনে হয়নি। একটা যদি অন্যটাকে কনট্রাডিকট করে তবে কোনটা বেছে নেব সেটা ঠিক করতে আমরা দু'বার ভাবব না, আর ইয়ে, আমি তো অন্তত বিগত প্রজন্মের নই!
    ভারতের যে সমাজ সারাক্ষণ সেক্সুয়ালি এবিউসিভ গালি দেয়, যে সমাজে প্রশাসন মেয়েদের কোনো অধিকারকে পাত্তা দেয় না, যে সমাজে কাউকে চরম শিক্ষা দেওয়া মানে "রেপ " করে দেওয়া, সেক্স সম্পর্কে যাদের খোলাখুলি মনোভাব গালাগালিতেই সীমাবদ্ধ, আজও যে সমাজে ট্রান্সজেন্ডারদের হিজড়াগিরি করেই খেতে হয়, বেশ্যাবৃত্তি এখনো স্বীকৃতি পেল না, অথচ অলিতে গলিতে খদ্দের ধরতে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ের সংখ্যা বেড়েই চলছে, সেই সমাজ মানসিকভাবে কতটা পরিণত ইনফর্মড্‌ চয়েস তৈরী করার জন্য ? নাকি সেক্স এবং সেক্সুয়াল এবিউজ বলিউডি গান, টিভি , মিডিয়া সিরিয়ালে যথেচ্ছ এলেই আরো বেশি পরিমাণে এলেই সমাজের টিন এজ কাটিয়ে পরিণতি আসবে? বাচ্চাদের না শোনালেই চলবে কি? না এই ধেড়ে বাচ্চাদের বড় করার জন্য আরো বেশি করে ওগুলো দরকার?
    যারা বলছেন, এই গানটা না শোনা গেলে কি রেপ হবে না? সেক্সুয়াল এক্সপ্লিসিটনেস, অবজেকটিফিকেশন সরিয়ে দিলেই কি রেপ হবে না? ---এমন কোনো গ্যারান্টি আজকে দেওয়া যায় না, যে কাল থেকে হবে না- কিন্তু পরীক্ষামূলক ভাবে ভারতীয় সমাজ যদি আজ থেকে আইন করে স্ত্রীলিঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত যে কোনো এবিউজিভ ভাষা বন্ধ করে, যে কোনো ভার্বাল / ফিজিক্যাল মলেস্টেশন এর ঘটনায় মেয়েটির চরিত্র বিশ্লেষণ না করে সঙ্গে সঙ্গে জড়িত অপরাধীকে জেলে পোরে, এবিউজিভ ব্যবহারে পুলিশেরও যদি চাকরি যায়, টিভি খুললেই অর্ধলঙ্গ নরনারীর গা দুলিয়ে নাচা, কথা বলতে পারেনা এমন তিন বছরের বাচ্চাকে দিয়ে শীলা কি জওযানি নাচানো, অঙ্গভঙ্গি করে, যদি বন্ধ করা হয়, প্রত্যেক আপিসে, স্কুলে ও হসপিটালে যদি সুরক্ষার বন্দোবস্ত হতে পারে, রেপ হলেই চাট্টি রাজনৈতিক, স্পিরিচুয়াল নেতাদের তা নিয়ে সুচিন্তিত খিল্লি করা যদি বন্ধ হয় আগামী কুড়ি বছরের জন্য, তা হলে লিখে নিন, ওই সময়ের মধ্যে ভারতীয় সমাজ পরিণতির দিকে একটা বেবি স্টেপ ফেলবেই। মুশকিল হলো, এটা হবে না। কারণ এই প্রত্যেকটি স্টেপেই বিরুদ্ধ পক্ষ বন্ধ করার বিপক্ষে একটা যুক্তি খুঁজে নেবে, যেটা এখানে দেখা যাচ্ছে। যুক্তির ও আত্মপরায়নতার গজদন্তমিনারে বসে কোনো একটি ধর্ষিতা মেয়ের চটকে যাওয়া নাড়িভুঁড়ি হাতে ধরা যায় না। যে মেয়েকে কাটারি নিয়ে প্রসপেক্টিভ ধর্ষকের জন্য তৈরী হয়ে থাকতে হয় তার ট্রমা বোঝাও খুব সহজসাধ্য নয়, তাকে বাহবা দেওয়াই যায়, কিন্তু সেটা একরকম নিজেরই পিঠ চাপড়ানো।
  • a x | 118.193.100.125 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০৯:৪৪578049
  • simply because we live in a society that both produces and consumes misogyny, does not vanishes away the misogyny। এই সহজ ব্যপারটা বুঝতে পৃথিবীর তাবৎ পর্ণ দেখার দরকার পড়েনা। তবে কিনা ম্যাচিস্মোর আঁটির তলায় চাপা পড়ে থাকলে বুঝতে বিলক্ষণ অসুবিধে হবার কথা।
  • SC | 34.3.20.47 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০৯:৫৭578050
  • কয়েকটা কথা।
    পিনাকিদা কি বাত মে দম হায়। আমিও এটাই ভাবলাম। কিন্তু আমার এখানে একটা জিজ্ঞাস্য আছে। হেট স্পিচ মানে কি?
    হেট স্পিচ দু ধরণের হতে পারে। উদাহরণঃ
    ১) মোল্লাগুলোর বাড়ি জ্বালিয়ে দে
    ২) মহম্মদ প্রতিদিন একটা নতুন মেয়ের সাথে ইয়ে করত

    (১) হেট স্পিচ, এবং বেআইনি কাজে উৎসাহ দেওয়া, মানা গেলো। কিন্তু (২) কেন হেট স্পিচ?
    কারুর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগছে বলে আরেকটা লোক নিজের কথা বলতে পারবে না, এটা কোনো দাঙ্গার ভয়েও মেনে নেওয়া যায় কি?
    ওয়েসির স্পিচ কিছু শুনেছি। (১) এর অন্তর্গত কিছু কথা বলেছেন, সেগুলো হেট স্পিচ মানলাম। কিন্তু হিন্দু দেব দেবীদের নিয়ে খিল্লি করেছেন, সেটা হেট স্পিচ কেন? তসলিমা নাসরিন, রুশদি এরাও (২) তে পড়বেন। এগুলো হেট স্পিচ মানতে আমার আপত্তি আছে।
    কারণ এর কোনো শেষ নেই। আমি প্রবল মমতাভক্ত হলে কালকে মমতার সমালোচনা করলেও বলব হেট স্পিচ।

    ঋদ্ধির ঝ্যাঙ্গের গল্পটা যদি দেখি, তাহলেও কিন্তু দেখব, যে ক্ষমতাবান, তাকে প্রোটেক্ট করতে রাষ্ট্র হেট স্পিচ বলে ব্যান করছে। বাস্তবেও, যে দাঙ্গা করতে পারে, তার বিরুদ্ধে বললেই হেট স্পিচ হয়। গৌতম বুদ্ধ মাগিবাজ ছিলো বললে কোথাও কোনো হেট স্পিচ বলে সরকার ধরতে আসবে না, কারণ তার সমর্থকদের দাঙ্গা করার মতো পেশীশক্তি নেই।

    এদিকে আইটেম নাম্বার, ন্যাংটো মেয়ের মুজরাতে পয়সা ছোঁড়া, এসব জিনিস নিয়ে লোকে বিচলিত কেন বুঝলাম না। দেহাতি লোক যারা ন্যাংটো মুজরা দেখে, তারাই রেপ করে নাকি শুধু? সংস্কৃতিবান মানুষ রেপ করে না? এইটা নিয়ে আবার বড় করে লিখব। রেপ একটা অপরাধ। সেখানে সমস্যাটা "কনসেন্ট" এর। অন্য আর কিছুর না।
  • a x | 118.193.100.125 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১০:০৭578051
  • ২ হেট স্পিচ না।

    ইনফ্যাক্ট যখন রুশদি বা তসলিমা ব্যান হয়েছিল তখন যদ্দুর মনে পড়ে হেট স্পিচের তলায় ব্যান হয়নি। রুশদির বই ইম্পোর্ট ব্যান হয় কাস্টম্সের কিছু একটা অ্যাক্টের তলায়। পোসেশন ব্যান না। এই ব্যানগুলো হয় উস্কানিমূলক ইত্যাদি বলে, যেটা নো-ডাউট একটা ডেঞ্জারাস টেরিটরি।
  • ranjan roy | 24.96.40.225 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১১:১৯578052
  • সোসেন,
    হ্যাঁ, ইনফর্মড চয়েস মানে জেনে শুনে রিস্ক নেয়ার অধিকার। যেমন সিগারেট বা গাঁজা খাওয়া, বা পর্দায় সতর্কবাণী ' কিছু সীন অস্বস্তিদায়ক' দেখেও সিনেমাটি দেখা।
    আইনের ভাষায় এর কাছাকাছি হল টর্টস্‌ এর "ভলেন্তি নন ফিট ইন্জুরিয়া" -- রিস্ক আছে জেনেশুনে হাত পোড়ালে অন্যদের দায়ী করা যাবে না, এবং ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে না, গোছের।
    আর ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাবধান বাণী (হনুর ও আপনার) নিয়ে কবি বলিয়াছেন-- জলে না নামিলে কেহ শেখে না সাঁতার,
    হাঁটিতে শেখে না কেহ না খেয়ে আছাড়।
    সাঁতার শিখিতে হলে আগে তবে নাম জলে,
    আছাড়ে করিয়া হেলা হাঁটো বারবার,
    একবারে না পারিলে দেখ শতবার!
    প্রায় একই কারণ দেখিয়ে ইংরেজরা ভারতের স্বাধীনতা দিতে দেরি করেছিল না?
    তবে সেই মেয়েটিকে আপনার কথা জানিয়ে দিয়েছি। সে হেসে বলল আপনাকে জানিয়ে দিতেঃ
    এক, সে মোটেই গজদন্তমিনারে সুরক্ষার ঘেরার মধ্যে বাস করে না। পেশায় লিগ্যাল প্রফেশনাল। গুরগাঁওয়ে একাই একটা ফ্ল্যাটে থাকে। পেশার কারণে ডি এল এফ বিল্ডিং থেকে রাত দশটা-এগারটায় ট্যাক্সি বা মেরু ক্যাব নিয়ে একাই বাড়ি ফেরে। আর গত বছরই একটি মেয়েকে গুরগাঁওয়ের নির্জন রাস্তায় দুষ্কৃতীরা গাড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলেছিল। তারপর পুলিশ অধিকর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন যে অত বড় এলাকায় খোলা যায়গায় রাত আটটার পর কোন মেয়ে একা পথে থাকলে তার সুরক্ষার দায়িত্ব তার নিজের, পুলিশ বিভাগের নয়। সে ভয় পায়, কিন্তু জেদি, সতর্ক থাকে, ক্যাব বদলায় ইত্যাদি।
    দুই, হ্যাঁ, ও নাচতে ভালবাসে। ছাত্রাবস্থায় নর্মদা বাঁধের জন্যে হরসুদ গাঁয়ের ডুবে যাওয়া নিয়ে ওর ডকু ফিল্ম গোয়ায় দেখানোর সময় ও রাত্তিরে পাবে এক নাইজেরিয় ও ইতালিয়ানের সঙ্গে নেচে বন্ধুদের কাছে হ্যাটা খেয়েছিল।

    @নতুন প্রজন্মের ছেলে,
    হ্যাঁ, মহিলাটিকে আপনার ইচ্ছের কথা জানিয়ে দেব। তখন ও ঠিক করবে ও নিজে আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী কি না! তবে আপনার নাম-পতা তো চাহিয়ে। সেই 'ইনফর্মড- চয়েস'ঃ))
  • T | 24.139.128.15 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১১:৪৪578053
  • ধুর! ইনফর্মড চয়েস ফয়েস ওসব ঠিক আছে। আগে বলুন, পার্টিতে গিয়ে কেউ যদি আপত্তি করে হানি সিং চলছে কেন, এবং সেসময় মেজরিটি যদি বলে হ্যাঁ হ্যাঁ চলবে, তখন সেই তো মুখ বুজে মেনে নিতে হবে। যাকে বলে 'চেপে যা'। এ জিনিস অন্যান্য অনেক ফর্মে সমাজে ছড়িয়ে আছে, যেমন হানুদা ও সোসেনদি লিখেছে। নিজের ঘরে কেউ হেব্বি ইনফর্মড হয়ে হানি সিং শুনল কি না শুনল কি এল গেল?

    আর এইসমস্ত গ্রে এরিয়াতে রিস্ক আসেসমেন্ট তো রিলেটিভ। এটা ওই সাঁতার শেখার মতো ব্যাপার নয়। পার্ক স্ট্রীটের মহিলাটি বলবে কোনো রিস্ক ছিল মনে করিনি, বারাসাতের পাবলিক বলবে ধুর ঐ খানে ঐ সময় কেউ ট্যাক্সিতে ওঠে! স্রেফ লজিক্যালি কোন স্ট্রং কনক্লুশনে পৌঁছতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হবে, ভারতীয় আইন তো স্রেফ শিশু।
  • ranjan roy | 24.96.40.225 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১২:২৯578054
  • @সোসেন,
    হ্যাঁ, এই হিংসায়- উন্মত্ত-পৃথ্বীতে আপনার যে সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা এবং যে আন্দোলনগুলোর কথা আপনি ও বোধি বলছেন সেগুলো নিয়ে ও নিজেও কন্সার্নড। কিন্তু হানি সিংএর গানের সঙ্গে নাচা বা ব্যানের বিরোধ করার সঙ্গে এই এজেন্ডাগুলোয় সামিল হওয়া নিয়ে কোন কন্ট্রাডিক্শন ও দেখতে পাচ্ছে না। কাজেই দুটোর মধ্যে কোন একটা বেছে নেওয়ার 'ইন্ফর্মড চয়েস' ওর মতে অবান্তর। নিজের স্টুডেন্ট লাইফে ওর সবগুলো প্রজেক্ট ছিল হিউম্যান রাইটস্‌ ও কন্স্টিটুশনাল রাইটস এবং সেক্সুয়াল হ্যারসমেন্ট।এবং জেন্ডার ভায়োলেন্স(ইনক্লুডিং
    প্যাডোফিলিয়া)।
    নিজেও এইসব প্রবলেমের শিকার হয়েছে, নিজের মত করে ফাইট করেছে। প্রথম বছর দিল্লির অটোওয়ালাকে চড়ও মেরেছে। এখন অন্যভাবে ফাইট করার কথা ভাবে।
    ও মনে করে ভিক্টোরিয়ান প্রুডারি ট্রান্সজেন্ডার ও গে অ্যাক্টিভিস্টদের ঠিকমত সম্মানের জায়গা না পাওয়ার অন্যতম কারণ।
  • sosen | 24.139.199.1 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১২:৩৯578055
  • রঞ্জনদা, আই ডিসএগ্রি।
    ১। ইনফর্মড চয়েস মানে অবহিত থেকে "সিদ্ধান্ত নেওয়া।" সিদ্ধান্ত নেওয়া মানেই রিস্ক নেওয়া নয়। রিস্ক থাকলে সেটা ওয়ার্নিং এর মাধ্যমে অথরিটি জানাবে-উহাই ক্লাসিফিকেশন, সিগারেটে হোক বা মিডিয়ায়, একথা বহুবার আলোচিত হয়েছে। রিস্ক ছাড়াও ইনফর্মড চয়েস হয়, উদাহরণ বইএ ব্লার্ব তৈরী করা। সি ডি তে বিষয়ের ছোট্ট সামারি থাকা। কেন চালু হয়েছে? ইনফর্মড চয়েস তৈরী করার জন্য। কোনো রিস্ক না থাকলেও আপনার পার্সোনাল স্পেস নিজের মত করে তৈরী করতে যাতে বিপণন আপনাকে প্রভাবিত না করতে পারে, সেজন্য। ইনফর্মড চয়েস এ আর একটা কম্পোনেন্ট আছে। সেটা হচ্ছে আপনি যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সেটা শুধু আপনাকেই প্রভাবিত করবে এ বিষয়ে ক্লিয়ার থাকা। যদি সেই সিদ্ধান্ত অন্য একটি মানুষেরও জীবনকে প্রভাবিত করে তাহলে সেটা ইনফর্মড চয়েস এর এক্তিয়ারে পড়ছে না।
    ২। ইনফর্মড চয়েস এ আরেকটি কম্পোনেন্ট এবিলিটি অফ জাজমেন্ট। কোনো পাগল, শিশু যদি মানুষ খুন করে ফেলে, তাহলে, যদিও সে ইনফর্মড, তার জাজমেন্ট অফ ইনফরমেশন ঠিক নেই।
    ৩। আমার জাজমেন্ট যদি ইন্ডাইরেকটলি প্রথম থেকেই ইম্পেয়ারড হতে থাকে? জাজমেন্টের কাছে যে চয়েস প্রেজেন্ট করা হচ্ছে সেগুলো যদি আমি ভুলভাবে এসেস করি? আমাদের মধ্যে কারো কাছে হানি সিং এর গান উত্তেজক মনে হচ্ছে না, জাস্ট স্টুপিড , মোটা মনে হচ্ছে। আমাদের কাছে এটাকে পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু কে বলল এই গান কারো কাছে উত্তেজক মনে হবে না? এই গান সমাজের কোনো স্তরে, কোথাও এবিউজ প্রমোট করবে না? ট্রিগার সবার কাছে সমান হয় না। যেখানে এই ট্রিগার , এবং একই রকম ট্রিগার সমাজকে আচ্ছন্ন করে রাখছে সেখানে প্রশ্ন করব না সেই ট্রিগারকে? প্রশ্ন করব না আমি যথেষ্ট রেস্পন্সিবলি সেই ট্রিগারকে দিস্ত্রিবিউট করেছি কিনা? অন্যদিকে পিতৃতান্ত্রিক সমাজ বদলাতে চাইব? কি করে আসবে সেই বদল?
    ৪। আমাকে যেটা জানালেন ওই মেয়েটির সম্পর্কে, সেটা আমাদের মত অনেকের ছবি। আমাদের একটু আর্থিক সুনিশ্চিতি আছে, ক্যাব নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারি। ওভারঅল একটু সুরক্ষা আছে। সেফ কর্নার খুঁজে নিয়ে সেখানে বাঁচতে আমরা শিখেছি। সেটাই গজদন্তমিনার, সেটাই। আমিও সেই মিনারেরই বাসিন্দা। তফাত এটাই , যে আমি তাঁদের চোখ দিয়েও ব্যাপারটা দেখতে চেষ্টা করছি যাঁদের জীবনে কোনো সেফ কর্নার নেই? ট্যাক্সি নিয়ে বাড়ি ফেরার সামর্থ্য না থাকায় যাদের শেষ অব্দি ওই অনিশ্চিতির মধ্যেই বাড়ি ফিরতে হয়, যে বাড়ির মধ্যেও তাঁরা সুরক্ষিত নন? যারা পেশাগত কারণে নিজেদের ওই অনিশ্চিতিতে এক্সপোজ করতে বাধ্য হন, পার্ক স্ট্রিটের এই মহিলার মত? ওঁর ধারণা এটা ইনফর্মড চয়েস ? না। এটা বাধ্যতা, নিরুপাযতা। সমাজের প্রেমিসেস আনসেফ থাকবেই, এটা বেদবাক্য কেন হবে? কিন্তু হয়ে যাচ্ছে। হয়ে গেছে।
    ৫। উনি নাচতে ভালবাসেন- এ প্রশ্ন আমি করিনি তো, যে উনি কি করতে ভালবাসেন? উনি যাই করতে ভালোবাসুন না কেন, ওনার ভালোবাসাকে অন্যের উপর ঠেলে দিতে পারেন না একটা থ্রেট হিসেবে। সেখানে একটু রেস্পন্সিবিলিটির দরকার, "আমাদের সমাজের" পরিপ্রেক্ষিতে। নাচতে ভালোবাসলেই অমন একটা গান পাবলিক প্লেসে চালিয়ে নাচা যায় কি? যে ভয়াবহ আধুনিকতা সিচুয়েশনাল এসেসমেন্ট নষ্ট করে দেয়, সেটাকে "আধুনিকতা " বলে আমি মানতে পারছি না। লাইফ স্টাইল বললে মেনে নিচ্ছি, অসুবিধা নেই।
    ৫। জলে নামলে, অর্থাৎ এক্ষেত্রে "ফ্রি ডিসট্রিবিউশন অফ সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স -(নট সেক্স) উইথ এন ইনটেনসন অফ এন্টারটেইনিং পিপল" শুরু হলে আমরা জাতি হিসাবে যৌনতার দিক দিয়ে পরিণত হয়ে উঠব? এটা আমি আজ অবধি কোনো তত্ত্বে শুনিনি। শক থেরাপি , নাকি এটা?
  • sosen | 24.139.199.1 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১২:৫৯578058
  • ওঁর চিন্তাভাবনার কথা পড়লাম, আমাদের নিজের মত করে অনেক চিন্তাভাবনা বা অভিজ্ঞতা থাকে। আমার তরফ থেকে ওঁকে জানাবেন আমার মনে হয় ভিক্টরিয়ান প্রুডারি আর হানি সিং এর গানের মাঝখানে অনেকগুলো স্তর আছে। নীতিবাগীশ হওয়া ও যেমন হেল্প করেনা, নীতি কে শূন্য করে ফেলাও কোথাও হেল্প করেনি। সেক্ষেত্রে আর একটু তলিয়ে ভাবলে ভালো হয়, আর একটু অন্যভাবে ভাবলেও । আর না ভাবলেও, কেউ এই গান পাবলিক প্লেসে , ক্লাসিফিকেশন ছাড়া , আইসোলেশন ছাড়া বাজার বিরোধিতা করলে তাকে নীতিবাগীশ বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না।
  • Sidhu | 24.96.42.214 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১২:৫৯578057
  • বাজার মনে হয় একটু বেশি ভাবেই আমাদের সমসাময়িকতা নিয়ন্ত্রণ করে। বা অন্যভাবে দেখলে, জলপুলিশ, মানে ক্ষমতা :) নাহলে থ্রী ইডিয়েটস সিনেমায় চমতকারীকে বলাতকারী বানিয়ে সেটা নিয়ে প্রচুর হাসাহাসি হলেও, মুলধারার আঙ্গীনায় মান্যতা পেয়ে যাবার জন্যে সেটা গ্রীন সিগনাল পায় । আমরা কেউ সেই সময় সেটা নিয়ে একটা কথাও বলিনি । আজ দামিনী মারা যাবার পর আমাদের শভিনিজম উথলে উঠছে ।
  • | 212.67.4.113 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১৩:২৭578059
  • নিতান্ত সময়াভাবে বিস্তারিত না লিখে সোসেনকে পুরোপুরি 'ক' দিয়ে গেলাম। অক্ষকেও।
  • Ekak | 69.99.230.125 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১৩:৫২578060
  • এই খেয়েছে ! এত নীয়প্যাত্রিয়ার্কির বটবৃক্ষ স্থাপন হয়ে গেছে :(
    এই ট্রিগার আর দিস্ত্রিবিউশোন এনালজি দিয়েই তো চাদ্দি রা বলে যে মেয়েরা মিনিস্কার্ট পর্বে না কারণ লজিকালি ওটাও ট্রিগার বই কি !
  • sosen | 24.139.199.1 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১৪:২৮578061
  • একক, ট্রিগারের গুরুত্ব আর সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট এর রিলেশনশিপ যাচাই করা যায় কি না? মেয়েরা মিনিস্কার্ট পরা = মিনিস্কার্ট পরা মেয়েদের এবিউজড হওয়া এটা লিনিয়ার ইকোয়েশন নয়। সমাজে জেন্ডার ডিসক্রিমিনেসন বাড়া, ও তাকে আপাত লেজিটিমেসি দেওয়া = মেয়েদের এবিউজড হওয়া এটা লিনিয়ার ইকোয়েশন। যে কোন সমাজে, শুধু ভারতে নয়।

    ভারতীয় সমাজে জেন্ডার ডিসক্রিমিনেসন মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধে সবচেয়ে বড় ট্রিগার। আর সেই ট্রিগার , আমাদের মানতে অসুবিধে হলেও বেড়ে যাচ্ছে মেয়েদের বাড়তে থাকা স্বাধীনতায়। পিতৃতান্ত্রিক সমাজ মানেই যৌনতা, সম্পত্তি, সামাজিক অধিকারের ক্ষেত্রে ছেলেদের অবাধ শেষ কথা বলার অধিকার। এটা যতই ধাক্কা খেতে থাকবে, ততই এরকম মিনিস্কার্ট, রাত্রে একা ঘুরে বেড়ানো, সিঙ্গল মাদারহুড, একা মেয়ের জীবনযাপন সব কিছুই বড় ট্রিগার হয়ে উঠবে, কিন্তু মূল ট্রিগার সেই জেন্ডার ডিসক্রিমিনেসন ই থাকবে। সেটা সরাতে মানুষ ইচ্ছুক কিনা, জানিনা। আইন না করে , ইমপ্লিমেন্ট না করে সরানো যায়না, এটুকু জানি।
  • Tim | 188.91.253.11 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১৪:৫৭578062
  • সোসেনকে অনেক ক দিয়ে গেলুম।
  • Ekak | 69.99.230.125 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১৫:১৪578063
  • @সোসেন
    জেন্ডার ডিসক্রিমিনেসন এর পয়েন্ট তো পর্ন তু রেপ কার্ভ এও প্লট করা যায় ।

    এই দেখুন :

    পর্ন বলুন বা শীলা কেজয়ানি এগুলো সব ই ছোট-বড় সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি । এবার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে ব্যাটম্যান ভাবাও এক ধরনের ফ্যান্টাসি । রুপকথা র গপ্পে যা যা লেখা থাকে সব ই ফ্যান্টাসি । আমরা সেগুলো করি না (খুব চত্ব বাচ্চারা করে তাই bachcha দের ক্ষেত্রে আপনার ডিসক্রিমিনেশন পয়েন্ট আগেই মেনে নিয়েছি) । কেন করি না ? কারণ কন্সিকয়েন্সেস জানি ।
    অথচ (ধরে নেওয়া যাক ) পর্ন বা ওই যে বললেন অষ্টপ্রহর টিভি তে অর্ধনগ্ন নারীশরীর দেখে কেন নিজেও ওরকম করার চেষ্টা করি ? কারণ জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন পুরুষ কে সেই আনেথিক্যাল পাওয়ার তা দিয়েছে বা পাওয়ার না দিলেও সে ভাবে যে আছে যে সেক্স করতে ইচ্ছে হলেই নারী শিকার এ বেরোনো যায় । জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন এর ফলেই কন্সিকয়েন্সেস এর জায়গা তা মুছে গেছে ।
    তাহলে আসলে দায়ী কে ? জেন্ডার ডিসক্রিমিনেসন ।

    সুতরাং যে নন লিনিয়ারিতির জায়গা থেকে একটি মেয়েকে মিনি স্কার্ট পড়তে বারণ করা যায়না এক ই জায়গা থেকে টিভি তে অষ্টপ্রহর অর্ধনগ্ন নাচাগানাও বন্ধ হওয়া উচিত নয় । কারণ দুটি ট্রিগার হলেও নন লিনিয়ার ।

    আর একটা কথা । এটাই আসল কথা । যেহেতু আমাদের যাবতীয় আলোচনা রেপ থেকে শুরু হয়েছিল । যে দেশে জেন্ডার ডিসক্রিমিনেসন অনেক কম সেখানে কি কোনো তন্বী মেয়ে বিকিনি পরে হেঁটে গেলে তাকে দেখে পুরুষ দের হার্ড অন হয়না ? একশবার হয় । কিন্তু সেখানে পুরুষ টি হয়এইভাবে ভাবতে শিখেছে যে যা কিছু দেখেই লোভ হয় তাই ঝাঁপিয়ে পরার নয় নতুবা সে রাষ্ট্রের ভয়ে হাত বাড়ায় না। কাজেই তার ডিসিশন এলগরিদম এ দুটো জিনিস কাজ করে
    ১) জেনেরাল ভ্যালু সেন্স । লোভ হচ্ছে মানেই কেড়ে খাব ইটা ভুল । সে পরের শরীর হোক বা পরের টাকা ।
    ২) ফিয়ার সাইকোসিস । যেটা রাষ্ট্র পয়দা করেছে ।

    এই জায়গা থেকেই আমার মনে হয় যে জেন্ডার ডিসক্রিমিনেসন কে মিনিমাইজ করা লং টার্ম এ খুব ই ভালো ব্যাপার কিন্তু রেপ হওয়া বা না হওয়ার সঙ্গে সেটাকে গোলানো একটু অতিসরলীকরণ । কারণ ওই মাঝের পয়েন্ট তা প্লট করলে হয় সবকিছু ঠিক নয় সবকিছু ভুল মার্কা উত্তর বেরিয়ে আসবে ।
  • S | 109.26.201.94 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১৫:৫৩578064
  • ইগো আর সুপার ইগো।
  • sosen | 24.139.199.1 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১৬:২৩578065
  • মিনিস্কার্ট পরাটা পুরুষের হার্ড অন হওয়ার ট্রিগার, কিন্তু ক্রমাগত সমাজে জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন ও তার লেজিটিমেসি আনার চেষ্টা ভুল রিস্ক এসেসমেন্টের ট্রিগার। একটা যদি Lust হয়, অন্যটা ডমিন্যান্স আনার চেষ্টা , সোশ্যাল আর্মস রেস। "রেপ হওয়ার" সাথে কেউ গোলায়নি, আমি তো না-ই। রেপ , as entertainment portray করা জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন এর একটা ফর্ম। এটাই বলেছি।
  • Blank | 180.153.65.102 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১৬:৪৫578066
  • সোসেনকে 'ক' আবারো/
  • de | 190.149.51.67 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১৬:৪৭578068
  • সোসেনকেই ক্ক!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন