আমি বেশ ক য়েক দিন গুরু তে আসি নি b. ।আমি নিজে দিন সাতেক বাড়ির বাইরে বেরোয় নি।
আমি খোজ নিয়ে জানাচ্ছি ।
বোধি দা, কিছু না জেনে বুঝে হঠাৎ এক জনকে শিবু দা বলা টি বেশ খারাপ লাগলো। যখন তুমি শিবু দাকে মিট করেছো আর চেনো। বহুবছর শিবু দা লেখে না এখানে । আর তার লেখা দেখে কি কোনদিন মনে হয়েছে যে তার বিজেপি র দিকে টাল আছে।
Did not expect it from u :((((
বাংলা দেউলিয়া হবার পথে
বিজেপি যেন বাংলার ক্ষমতা না নেয়
-------------------------------------------
মমতা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ধার নেবার অধিকার চায়, এর অর্থ কোনো কোথাও থেকে তার অভাবী রাজ্য চালাবার জন্য অদূর ভবিষ্যতে আর ঋণ পাবেনা, ধরে নিয়েছে! এর অর্থ কি জানেন? বাংলা দেউলিয়া! সরকারি কর্মী আর সরকারি দলের দালালি করবেনা! TMC দল এর দলদাস রা TMC ছাড়বে, কারণ কিছু পাবার নেই! টাকা রোলিং হবেনা। অনেক লোকের কাজ যা আছে, সেটাও যাবে। বাঙালি না খেয়ে থাকবে মানে গৃহযুদ্ধ র পরিস্থিতি! রাজ্যের টাকা ছা পাবার অধিকার নেই! মানে সরকারি ট্যাক্স বাড়বে। উন্নয়নমূলক কাজ মানে রাস্তাঘাট সারানো,ক্লাব প্রীতি, দূর্গা কার্নিভাল, ... মেলা উৎসব আর হবেনা!
আর বাংলা যদি ব্যাংকের কিস্তি দিতে না পারে, আপনাদের টাকা গেলো! কারণ ব্যাঙ্ক আপনাদের টাকা কখনো কোম্পানি কে কখনো রাজ্য কে বা অন্যত্র ঋণ দিয়ে প্রফিট করে আপনাদের সুদ দেয়। কিস্তির টাকা দিতে না পারলেই দেউলিয়া হয়। বর্তমানে ঋণ করে পুরানো ঋণের কিস্তি দেয় ও বর্তমান খরচ চালায়। বিজেপি ক্ষমতা নিলেই, সব আক্রোশ বিজেপির ঘাড়ে পরবে , সব দোষের ভাগী বিজেপি হবে! মাওবাদী রা ক্ষমতা দখল করবে, মূর্খ, ক্ষুধার্ত লোকদের সাথে নিয়ে। একটাই সমাধান, ভোট করে সর্বদলীয় সরকার!
ক্রমবর্ধমান করোনা সংকটকে সমস্ত শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করে চলেছে ভারত। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সীমান্তে গুলি চালিয়ে জঙ্গী অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তানেও করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করলেও পাকিস্তান তার নাপাক প্রচেষ্টা থেকে সরতে নারাজ। কিন্তু ভারতীয় সেনার জবরদস্ত পাল্টা আক্রমণে কার্যত বেসামাল ভারতের চিরশত্রু দেশ।
এবার ভারতকে বিপাকে ফেলার উদ্দেশ্যে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টির প্রচেষ্টা করল চিন। উল্লেখ্য, চিন বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে মিত্র দেশ। সূত্রের খবর, গতকাল সীমান্তে ভারত ও চিন সেনার মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। এতে উভয়পক্ষেরই বেশ কয়েকজন সৈনিক আহত হন। সেই রেশ কাটতে না কাটতে আজ আবারও লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করে চিন। এবারে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভারতের সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা চালায় চিন। কিন্তু ভারতীয় সেনা ফাইটার জেট পাঠালে তড়িঘড়ি পিছু হটে চিন।
আমেরিকার সঙ্গেও এই মুহূর্তে চলছে কূটনৈতিক চাপানউতোর। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির পর বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা চিন থেকে তাদের কারখানা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমস্ত দিক বিচার করে এই মুহূর্তে ভারত-চিন সংঘর্ষ তৈরি হলে গোটা বিশ্বে চিন যে কার্যত একঘরে হয়ে যাবে, তা একপ্রকার নিঃসন্দেহ।
The government released Rs 6,195 crore to 14 states as the second equated monthly installment of the Post Devolution Revenue Deficit Grant on Monday.
"This would provide them additional resources during the Corona crisis," the finance ministry said in a statement.
The grant was recommended by the 15th Finance Commission, and an equal first installment was issued by the Centre on March 14.
The Centre released advance payments of a whopping Rs 1,276 crore to Kerala, followed by over Rs 952 crore to Himachal Pradesh and over Rs 638 crore to Punjab.
Assam received Rs 631 crore, Andhra Pradesh Rs 491 crore, Uttarakhand Rs 423 crore, and West Bengal got Rs 417 crore.o
ঔরঙ্গাবাদের রেলদুর্ঘটনায় পরিযায়ীদের মৃত্যুতে বিচলিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি গভীর শোকপ্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘এতগুলো প্রাণ একসঙ্গে শেষ হয়ে গেল। আমরা মর্মাহত।’ তিনি সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। তবু শুরু হয়েছে কেন্দ্রকে দোষারোপের পালা। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সাংসদ ডাঃ মানসরঞ্জন ভূঞ্যা স্পষ্ট অভিযোগ করে বললেন, ‘দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে কেন্দ্রসরকারের যে ভূমিকার কথা বলা হয়েছে, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তা মানছেন না।’ এ রাজ্যের পরিযায়ীদের ফেরানৈর প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে দুষে তিনি বলেন, ‘রাজ্যসরকার পরিযায়ীদের ফেরানোর জন্য একশোটি ট্রেনের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য পেয়েছে সাকুল্যে আটটি।’
পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপি’র জেলা সভাপতি শমিত দাসও। জানালেন, ‘রেলদপ্তর ট্রেন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কোথায় কত পরিযায়ী রয়েছেন, সেই হিসেব মোতাবেক রাজ্যকেই তো জানাতে হবে রুটম্যাপ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজ্যসরকার এখনও পর্যন্ত সেটি রেলমন্ত্রককে জানাতে পারেনি।’ এ প্রসঙ্গে রাজ্যকে দুষে তিনি আরও জানালেন, ‘ ভিনরাজ্যের পরিযায়ীদের যোগ জন্য রাজ্যসরকারের তরফে একাধিক ফোন নাম্বার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে ফোনগুলোতে কোনও সাড়া মেলে না।’ আজ অব্দি রাজ্যসরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকা প্রস্তুতির কাজটিও শেষ করে উঠতে পারেনি বলেই অভিযোগ তুললেন তিনি। রাজ্যের একশোটি ট্রেনের দাবির প্রসঙ্গে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন শমিত― ‘ক্ষমতা থাকলে সেই দাবির প্রমাণ দিক রাজ্য।’
কিন্তু লকডাউনের আগেই কেন পরিযায়ীদের ফেরার সুযোগ দিল না কেন্দ্র? শমিতবাবু জানালেন― ‘ওইটি করতে দিলেই শুরুতেই গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকত। একে অজানা ভাইরাস, তারওপরে দেশের সবজায়গার চিত্রটিও স্পষ্ট ছিল না সরকারের কাছে। ফলে করোনা সংক্রমণের হাল বোঝার জন্য এই সময়টা নেওয়া জরুরি ছিল।’ প্রায় পঞ্চাশদিন পেরিয়েছে লকডাউনের মেয়াদ। দেশের মানুষ বুঝেছেন। সচেতন হয়েছেন। এই মুহূর্তে পরিযায়ীদের ঘরে ফেরানোটা অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন শমিতবাবু। কারণ, সংক্রমণের গতিরোধ এখনও করা সম্ভব হয়নি। ফলে ভিনরাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে ফিরিয়ে আনাই শ্রেয়। নাহলে রাজ্যের উদাসীনতায় প্রাণ যাবে আরও পরিযায়ীর। মহারাষ্ট্র, গুজরাট প্রভৃতি রাজ্য থেকে এখনও পরিযায়ীদের ফেরাতে নারাজ রাজ্য। এ প্রসঙ্গে শমিতবাবু বলেন, ‘পরিযায়ীদের এভাবে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়াট উচিত হচ্ছে না।’ পরিযায়ীদের দ্রুত ফেরানোর দাবিতে তাঁরা ইতিমধ্যে রাজ্যব্যাপী আন্দোলনেও নেমছেন বলে জানালেন তিনি।
তবে মানসবাবু, শমিতবাবু দু’জনেই মানছেন, এই বিপর্যয়ের থেকে বাঁচতে কেন্দ্র ও রাজ্যের বোঝাপড়া অত্যন্ত জরুরি। এ নিয়ে রাজনীতি করাটা মোটেও কাম্য নয়। কিন্তু কাম্য না হলেও পরিযায়ীদের মৃত্যু ঘিরে চাপানউতোরেই রয়েছে রাজনীতির দুর্বিষহ গন্ধ। ‘বোঝাপড়া চাই’ বললেও বোঝাপড়া হচ্ছে কই! সেই তো মৃত্যুর মিছিলে দেশজুড়ে হাঁটছেন পরিযায়ীরা। যাঁদের রক্তেঘামে সভ্যতার এগিয়ে চলা, তাঁরাই আজ অপাংক্তেয়, অবয়বহীন। রাজনীতির তরজায় তাঁরা নিতান্তই অসহায় বোড়ে। ঔরঙ্গাবাদের রেললাইনের রক্তাক্ত রুটিগুলোই আজ এ দেশের পরিযায়ীদের দুর্দশার প্রতীক হয়ে উঠেছে!
করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ, কেরল সহ ১৪ রাজ্যের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা কেন্দ্র সরকার। ১৪টি রাজ্যের জন্য ৬১৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করল অর্থমন্ত্রক। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি কেরলকে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ৪১৭.৭৫ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানান, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে রাজ্যগুলিকে ৬১৯৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমানে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে সাহায্য করবে।এই বরাদ্দে সবচেয়ে বেশি টাকা পেয়েছে কেরল- ১২৭৬.৯১ কোটি টাকা। এরপরই রয়েছে হিমাচলপ্রদেশ, ৯৫২.৫৮ কোটি। পাঞ্জাব পেয়েছে 638 কোটির বেশি। অসম পেয়েছে ৬৩১ কোটি, অন্ধ্রপ্রদেশ ৪৯১ কোটি, উত্তরাখণ্ড ৪২৩ কোটি টাকা পেয়েছে।
সপ্তাহখানেক আগেই নির্মলা সীতারমন এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে রাজ্যগুলিকে রাজস্ব ঘাটতি খাতে অর্থ বরাদ্দ করা হবে। সেইমতোই গতকাল অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরালা, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মণিপুর, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজ়োরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিমকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের বকেয়া টাকা দিচ্ছে না, এনিয়ে বার বার অভিযোগ তুলেছে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে পঞ্জাব, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালার মতো রাজ্যগুলি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানায়। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিও লিখেছেন। দাবি একটাই, করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্র বকেয়া আটকে রাখলে সমস্যায় পড়বে রাজ্যগুলি।
এই অর্থ রাজ্যগুলিকে করোনা মোকাবিলায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়া, নমুনা পরীক্ষা, ল্যাবরেটরি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি তারা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য পিপিই কিনতে পারবে। এছাড়া থার্মাল স্ক্যানার ও এয়ার পিউরিফায়ারও কেনা যেতে পারে।
ভারতবর্ষে সেবার সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ইংরেজি বা অন্য কোন বিদেশী ভাষায় সেবা শব্দটিকে সম্পূর্ণরূপে বোঝান সম্ভব নয়। ‘Service’ সেবার একটি দুর্বল ইংরেজি প্রতিশব্দ। ভারতীয়ত্বের সঙ্গে এই সেবা জিনিসটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর মহত্তম সেবা হল নিষ্ঠাসহকারে স্বার্থশূন্য দায়িত্ব পালন করা নিজের মাতৃভূমির জন্য, ধর্মের জন্য।
অধ্যাপিকা মালিনী ভট্টাচার্য তাঁর “Disaster Relief and The RSS: Resurrecting ‘Religion’ Through Humanitarianism” গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে, সেবা হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অন্যতম প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি। ‘The Brotherhood In Saffron: The Rashtriya Swayamsewak Sangh and Hindu Revivalism’ গ্রন্থে Walter K. Anderson এবং Sridhar D. Damle মন্তব্য করেছেন যে, ‘community’ এবং ‘commitment’ – এই দুটি জিনিসের ওপর ভিত্তি করে সঙ্ঘ ধীরে ধীরে তার বিস্তৃতির সোপান নির্মাণ করেছে।
সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা সর্বদাই দেশবাসীর কোন সংকটের সময় সর্বাগ্রে এগিয়ে এসেছেন। তা দেশবিভাগের সময়ই হোক (১৯৪৭) বা চীনা আগ্রাসনের সময় সীমান্তে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতেই হোক (১৯৬২) বা অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িষ্যায় সাইক্লোনের সময়ই হোক (১৯৭১) বা ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় (১৯৮৪) ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা করতেই হোক। পরবর্তীকালেও ওড়িষ্যায় সুপার সাইক্লোনের সময় (১৯৯৯), গুজরাটে ভূমিকম্পের সময় (২০০১), সুনামির সময় (২০০৪), উত্তরাখণ্ডে বন্যার সময় (২০১৩) এবং বর্তমানে করোনা মহামারীর সময় (২০২০) সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা দুর্গত মানুষদের জন্য সেবাকার্যে সর্বত্র ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। জাত-পাত, ধর্ম, অর্থনৈতিক অবস্থা ইত্যাদির বিচার না করেই তাঁরা সেবাকাজ চালান এবং এর দ্বারা মূলত সমাজের প্রান্তিক মানুষরাই বেশি উপকৃত হন।