এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আম্রিগা - একটি নির্মোহ ব

    pi
    অন্যান্য | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ | ২০৪৫০ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 168.26.215.13 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০২:৪৫529026
  • আমেরিকাও দাবী করে না তাদের সিস্টেম পারফেক্ট। পৃথিবীতে কোন কিছুই পারফেক্ট নয়। একটা বাজ ওয়ার্ড ইউজ করি - কন্টিনিউয়াস ইমপ্রুভমেন্ট - উন্নতি আসলে একটা জার্নি, যার কোন শেষ নেই। একটা সিস্টেম যদি সেই জার্নিকে সাপোর্ট করে তবেই সেটা একটা ভালো সিস্টেম। আমেরিকার একটা ভালো সিস্টেম আছে এই জার্নিকে সাপোর্ট করার জন্য। আর অবশ্যই সেই সিস্টেমকে সাপোর্ট করার জন্য আমেরিকার প্রচুর টাকা আছে। কাল রিসেশনে টাকা না থাকলে কি হবে বলা মুশকিল।

    ভারতের টাকা পয়সার অভাব তো আছেই। তারও পরে এমন সিস্টেমের যে দরকার আছে সেই বোধেরও প্রচুর অভাব আছে। নইলে ক্লাস ওয়ানে ভর্তির বয়স একবছর ৫+ তো অন্য বছর ৬+ হত না, একবার ক্লাস ফাইভ থেকে ইংরিজি তো কদিন বাদেই ক্লাস ওয়ান থেকে ইংরিজি হত না।

    আজ কি আছে তার থেকেও সেইজন্য সিস্টেমটা এবং সিস্টেম তৈরি করার বোধটা অনেক বেশি জরুরি।
  • pi | 128.231.22.249 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০২:৪৭529027
  • রিমিদিকে পরে লিখছি।

    নিশি, কিছু পরিবর্তন তো দরকার। কিন্তু আমাদের সিস্টেম কেবল মুখস্থ, কোন প্রশ্ন তোলার সুযোগ দেওয়া হয়না, সব ভয়ানক খারাপ .. এগুলো পুরো মানতে পারলাম না। আর আমাদের বলতে কি প:বঙ্গ বোর্ডের কথা বলা হচ্ছে ? হাতের কাছে সি বি এস সি র ই তো বেটার সিলেবাস রয়েছে।
  • nk | 151.141.84.239 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৩:৩৬529028
  • পাই, একেবারে প ব বোর্ডের অজ পাড়া গাঁ ও মফস্বলের কথা বলছিলাম আমি। সেইসব ছাত্রী ও ছাত্রদের কথা বলছিলাম, যাদের কাছে নানাকারণে অপশন খুব কম। স্কুলের বাইরে নানারকম ভালো লাইব্রেরী কিংবা অন্য কোথাও গিয়ে শিখে নেবার সুযোগও তাদের নেই। স্কুলের বাইরে আছে কেবল কোচিং, তার কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো।
    এইসব ছেলেমেয়েদের হলো শাঁখের করাত, যাঁতাকলে পড়া অবস্থা।
  • aka | 75.76.118.96 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৫:৫৪529029
  • এনকে, 'গজদন্তমিনারে' বসে থাকা, সেন্ট জেভিয়ার্স, ডন বসকো দেখা লোকজনের এদের কথা ওঠানোতে বড় আপত্তি। আছে তো আছে, আমরা তো অ্যাভারেজ আমেরিকানদের থেকে বেশি জানি। তাহলেই চলবে। ( অবশ্য বেশি জানার/ বোঝার যে দু একটা নমুনা পেয়েছি, তা ভয়ন্‌কর)।

    এদ্দিন গুরু করে এইটুকু বুঝেছি অধিকাঙ্গশ দেশ মাতৃকার প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া লোকের প্রান্তিক লোকজনদের সম্বন্ধে ধারণা খুবই সীমিত। নিজেরা সুখের চাকরি করেন, খুব বেশি সমস্যা জীবনে নেই, তাই এদের কথা উঠলে ইগোতে কোথাও খুব লাগে। এখানেও দেখেছি স্লামডগ মিলিয়নিয়ার নিয়ে কথা ঊঠলে খুব ডিফেন্সিভ হয়ে পড়ে।

    মুশকিল হল এরাই সন্‌খ্‌য়ালঘু, সিলেবাস টিলেবাস ইত্যাদি বদলাক, তারও আগে ছাদের জায়গায় ছাদ, স্বাস্থ্যকর বাথরুমের জায়গায় একটা স্বাস্থ্যকর বাথরুম অনেক জরুরী। গুরুতে তক্কো করে কি কিছু হবার। ঐ মূল সমস্যাটাকে একটু বোঝা যদি কিছু হয়। ল্যাদোষ-দা অবশ্য বলে টাইম পাশ। :)
  • nk | 151.141.84.221 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৬:৩৬529030
  • চাদ কি ঘানা দূরের কথা, আমরা নিজেরাই অনেকে কি জানি বাংলাদেশের কোন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ভালো? কী হয় সেখানে? টেকনোলজিকাল ইন্সটিটিউট চেইন সেখানে আছে কিনা!
    অথচ সেটা আমাদের গায়ে লাগা দেশ, আমরা একই ভাষা বলি।
    কিন্তু সেই যে নাকের উচ্চতা! নতুনদা মনে আছে? নতুনদা বলেছিলো, "ঐ মেড়োর দেশের ছেলেরা বাজাবে হারমোনিয়াম!"
    ওদের আবার ইঞ্জিনিয়ারিং, থাকলেই বা কী না থাকলেই বা কী! হুঁ হুঁ বাবা, আমরা হলাম বড়দা, আমাদের আছে হ্যানো ও ত্যানো, আমাদের আইআইটি ভাই সত্য ত্রেতা দাপর মে কৈ নেহি কিয়া, আমাদের সঙ্গে ঐ গরীবদের তুলনা! :-)

    ডি: :-) সকলের কথা নয়, কেউ কেউ হয়তো জানেন, কিন্তু পবয়ের বেশীরভাগ আমজনতা জানেন না।
    গ্লাস ব্যারিয়ার আছেই, নানা ব্যাপারে, মানা হোক ছাই নাই হোক।
  • aka | 75.76.118.96 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৬:৫২529031
  • এটা আমি জানি কিন্তু বলব না। :)
  • tatin | 117.197.67.253 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৭:১৯529032
  • বুয়েট তো খুব ভালো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। আন্ডারগ্র্যাড অবধি অন্তত:
  • S | 71.191.163.151 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৭:২৪529033
  • সিদ্ধার্থ বললেন, আমেরিকায় স্কুল লেভেলে কিছুই অঙ্ক শেখায় না।
    সিদ্ধার্থ আবার বললেন গ্র্যজুয়েট লেভেলে ব্যাপক অঙ্ক পড়ান হয়।
    তাহলে গ্র্যজুয়েট লেভেলে যারা পড়ায় তারা কোথায় অঙ্ক শেখে ? তারা কি এলিমেন্টারি, মিড্‌ল আর হাইস্কুল স্কিপ করে সোজা গ্র্যাজুয়েট স্কুলে চলে আসে ?
    দাদা, অঙ্ক কী কঠিন !
  • tatin | 117.197.67.253 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৭:২৭529034
  • গ্রাজুয়েট লেভেলে তো মূলত: চিনা আর ভারতীয়রা পড়ে। কিছু ইউরোপিয়ন ইরনি। আর দু চারজন এক্‌স্‌ট্‌রআ অর্ডিনারি আমেরিকান
  • aka | 75.76.118.96 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৭:৩০529037
  • সিদ্ধার্থর কেসটা ইন্টারেস্টিঙ্গ। নিশ্চয়ই বাজে এক্সপেরিয়েন্স। কোন ক্লাস পড়াতে গিয়ে হয়েছে আর দু একটা উদাহরণ পেলে বোঝা যাবে। এমনিতে আমার ছেলে এখন যা অন্‌ক করে তা আমি কেলাস ওয়ানে জিন্দেগিতে করি নি। এক্সট্রাপোলেট করলে হাই স্কুলে কিছু শেখে না এটা ঠিক মানতে মন চায় না।
  • S | 71.191.163.151 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৭:৩০529036
  • পড়ে নাহয় চীনা আর ভারতীয়রা। পড়ায় কারা ?
  • nk | 151.141.84.221 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৭:৩২529038
  • তুখ্‌খার তুখখার সব বুদ্ধিমান প্রাণী মহাকাশ থেকে নেমে নেমে মানুষ সেজে গ্র্যাড লেভেলে আমেরিকানদের পড়িয়ে টড়িয়ে চলে যায়। তাই না ওরা এতো এগিয়ে যায়! আমরা বেচারারা হোমো স্যাপিয়েন্স মাত্র, গোল গোল চোখ করে তাকিয়ে থাকি, কিস্‌সুই বুইতে পারি না এসব কি লীলাখেলা! :-)

  • S | 71.191.163.151 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৭:৩৭529039
  • উফ্‌ফ nk আপনি আমার মুখের কথাটা কেড়ে নিলেন। এক্ষুনি লিখতে যাচ্ছিলাম তাহলে কি এলিয়েনরা পড়িয়ে যায় ?
  • aka | 75.76.118.96 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৭:৪০529040
  • তাতিন এলেসইউকে বেন্‌চ মার্ক করে ফেলেছে।

    কোন তুলনাই হয় না

    http://www.nsf.gov/statistics/wmpd/pdf/tab3-1.pdf
  • SC | 96.235.41.93 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৮:০২529041
  • ইঞ্জিনিয়ারিং গ্‌র্‌যাড স্কুলে আমেরিকান থাকে না? কোড্ডিয়ে এলো এরাম স্ট্যাট?
    বরং বেশীরভাগ ইন্ডিয়ান তো মাস্টারস করে পালায়।
    আমি তো বরং আফিসে সারাদিন ফুটবলের স্কোর গুনত দেখে বিরক্ত হতাম। এখানে একটু ডক্টরাল ছাত্রদের তুলনা করে দেখা যাক, কিভাবে কিছু আমেরিকান আর বেশীরভাগ ভারতীয় আর চাইনিজ।( এর মধ্যে আবার কিছু চাইনিজ ছাত্রছাত্রী আমেরিকাতে বড় হওয়া। তবে সেটা না ধরলেও ক্ষতি নেই)
    http://bit.ly/GYq5CX
  • aka | 75.76.118.96 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৮:০৪529042
  • এটা আরও ভালো

    ১৯৯৮-৯৯ থেকে ২০০৮-০৯ এর ডেটা

    মাস্টার্সে ৭১.২% এবঙ্গ ৬৪.৬% হোয়াঈট যেখানে ৬ থেকে ৭ % এশিয়ান। এশিয়ানদের মধ্যে চাইনিজ, সাউথ কোরিয়ান এবঙ্গ ইন্ডিয়ান ইনক্লুডেড

    বাইঅ দা ওয়ে, চাইনিজ, সাউথ কোরিয়ান ও ইন্ডিয়ানরাই সবথেকে বেশি ইমিগ্রেন্ট ছাত্র যোগায়।

    ডক্টরেটে,

    ৬৩% এবঙ্গ ৫৮% হোয়াইট যেখানে ৫% এবঙ্গ ৫.৭%

    ওভারজেনারালাইজেশন বায়াসে ভুগছে তাতিন।
  • Jhiki | 182.253.0.99 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৮:৪৪529044
  • আমেরিকা নিয়ে মোহ তো বাপু জীবনে কম দেখলাম না। গাল্ফে থাকতেও দেখেছি, এখানেও দেখছি, সব ভারতীয় ছেলেরা (ক্ষেত্রবিশেষে মেয়েদেরও) ছোট থেকেই জানে যে পড়াশোনায় সে যেমনই হোক না কেন, ১২ গ্রেড শেষ হলে বাবা-মা তাকে আমেরিকা পাথাবেই পাথাবে....

    আমার এক কলীগের ছেলে এখন ইলেভেনে পড়ে, ছেলেটা ভালৈ, IGCSE তে প্রায় সব বিষয়েই A++ পেয়েছে। বাই ডিফল্ট সে সামনের বছর আমেরিকা যাবে.... আমার কলীগ তার জন্য আপাতত ১ কোটি টাকা রেখেছেন বললেন, আরও দরকার পড়লে তাঁর নয়ডার একটি প্লাট বেচে দেবেন বললেন!!

    ডি: ডানদিকে বাংলা দেখা যাচ্ছে না, টাইপোর জন্য দু:খিত।
  • Tirthang | 128.103.11.111 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৯:৩২529047
  • টইটা পড়ে মনে হল গত চার বছরের অধ্যাপনার সুবাদে এই প্রসঙ্গে যেটুকু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি সেটা সকলের সাথে শেয়ার করে যাই। আমার অভিজ্ঞতা সিদ্ধার্থ'র থেকে অনেকটাই আলাদা - মূলত: সেটাই জানাতে।

    যে মার্কিন ইউনিভার্সিটিতে পড়াই সেখানে আন্ডারগ্র্যাডের অধিকাংশই মার্কিন হাইস্কুলের প্রোডাক্ট। যে ভারতীয় বা চীনা ছাত্রছাত্রীরা আছে তারা প্রায় সকলেই এদেশে জন্মেছে এবং বড় হয়েছে। এবং এদের মধ্যে বেশিরভাগই অত্যন্ত ভালো এবং অঙ্কে তুখোড়। যারা ততটা ভালো নয়, তাদের প্রধান ইন্টারেস্ট অঙ্ক বা স্ট্যাটিস্টিক্সে নয়।

    যেমন উইলিয়াম কার্লসন - গভর্নমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ছাত্র, কিন্তু স্ট্যাটিস্টিক্সের কোর্স করে সোশিও-পলিটিক্যাল ডেটা অ্যানালাইজ করার জন্য। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র, দুর্দান্ত ভালো কোড লেখে, অ্যাপ্লায়েড পার্স্পেকটিভ থেকে বিচার করলে ক্লাসের সেরা। কিন্তু রিয়াল অ্যানালিসিস বা থিওরিটিক্যাল স্ট্যাটিস্টিক্সে বিশেষ বুৎপত্তি নেই - কেননা সে রিয়াল অ্যানালিসিসের ক্লাস কখনও করেইনি। এবং না করলে তার কিছুই যাবে আসবে না।

    অথবা ডেব্বি লিন। সেকেন্ড (বা থার্ড) জেনারেশন চাইনিজ। মেডিক্যাল প্রফেশনে যেতে চায়; ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পর্কে সম্যক ধারণা করতে এক্সপেরিমেন্টাল ডিজাইনের ক্লাস করতে আসে। লিনিয়ার অ্যালজেব্রার জ্ঞান খুবই সীমিত। কোর্সের শুরুতে সতর্কবাণী দেওয়া সঙ্কেÄও পিছপা হয়নি। ক্লাসে প্রথমদিকে প্রচুর প্রশ্ন করত, যা শুনে আপাতদৃষ্টিতে গবেট মনে হওয়াই স্বাভাবিক। ব্যাকগ্রাউন্ডে যেটুকু খামতি ছিল, সেমেস্টার চলাকালীন অনেকটাই পুষিয়ে নিল। মিডটার্মে ততটা ভালো না করলেও ফাইনাল পরীক্ষায় দিব্যি উতরে গেল। এখন হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের ছাত্রী।

    আর যারা স্ট্যাটিস্টিক্স বা অ্যাপ্লায়েড ম্যাথ্‌স কনসে®¾ট্রটর? আমার পড়ানো অন্তত: দুটো পি এইচ ডি লেভেল কোর্সে সেরা চাইনিজ ইউনিভার্সিটি থেকে আসা অংকে তুখোড় ডক্টরাল ছাত্রছাত্রীদের পিছনে ফেলেছে এক বা একাধিক আন্ডারগ্র্যাড ছাত্র। তাদের থিওরিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড এবং চিন্তাভাবনার গভীরতা এক কথায় অবাক করার মত। প্রতি ব্যাচে অন্তত: দশ জনকে মেধার বিচারে আমার আই এস আইয়ের বি স্ট্যাটের ভালো ছাত্রদের সমতুল্য মনে হয়। এটা অবিশ্যি সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত মত।

    এখন সারা ভারতে স্ট্যাটিস্টিক্সের সেরা এবং আন্তর্জাতিক মানের ছাত্রদের ধরলে সেটা বি স্ট্যাটের ঐ পনেরো বা কুড়ি জনই হবে (তার সাথে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুনে ইউনিভার্সিটির সেরা ছাত্রদের ধরলে সংখ্যাটা আরেকটু বেশি হবে)। বি ম্যাথের ছাত্রদের ধরছি না, কারণ সেক্ষেত্রে তুলনাটা ম্যাথ্‌স্‌ ডিপার্টমেন্টগুলোর সাথে করতে হবে।

    এবার খুব কনজারভেটিভ এক্সট্রাপোলেশন করে মার্কিন দেশের সেরা পঞ্চাশটি ইউনিভার্সিটির স্ট্যাটিস্টিক্স কনসেনট্রেটরদের থেকে গড়ে এক-আধজন করে আন্তর্জাতিক মানের ছাত্র খুঁজে বার করলেও কিন্তু সংখ্যাটা ভারতের থেকে বেশিই হবে।

    ভারত এবং আমেরিকার স্কুলশিক্ষা বিষয়ক কোনও তুলনায় যেতে চাইছি না - পারবও না, যেহেতু এদেশের স্কুলিং সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই সীমিত। আমরা যে সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছি, তার বেশ কিছু ভাল দিক ছিল। আবার খারাপ দিকও কিছু ছিল। তেমনি এদেশের সিস্টেমের নিশ্চয়ই ভালো-খারাপ দুইই আছে। তবে মার্কিন দেশের স্কুলে পড়া ছাত্রছাত্রীরা অঙ্কে (বা অন্যান্য বিষয়ে) খাজা - এই তঙ্কÄ আমার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মানতে পারছি না।
  • SC | 96.235.41.93 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৯:৩২529045
  • SC | 96.235.41.93 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৯:৩৮529048
  • "সব" ভারতীয় ছেলে! এ কোন ভারত।
    মাইরি, আমি যখন পড়াতাম, আমার ক্লাসে খানদশেক ভারতীয় আন্ডারগ্রাড ছিলো। আমি তাদের দেখতাম আর ভাবতাম, ভারতে এমনও লোক আছে,যাদের এত টাকাপয়সা যে ছেলেমেয়েকে আমেরিকায় আন্ডারগ্‌র্‌যাড পড়ায়, তায় আবার সেমিস্টারে ১৭০০০ টিউশন দেওয়া প্রাইভেট স্কুলে।অআমি ভারতে থাকতে এরকম লোকজনদের কোনোদিন দেখিনি, যাদের বাপের এত পয়সা।
    আমেরিকাতে পড়ানোর হুজুগ কি ভারতীয় মা বাবাদের মধ্যে দিনদিন বাড়ছে নাকি?
  • Jhiki | 182.253.0.99 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১০:০৩529049
  • খুবই বাড়ছে!! এই ভারত মানে মিডল ইস্ট বা ফার ইস্টে বড় হওয়া ভারতীয়্রা।

    তবে দেশে থাকা লোকজনও খুব পিছিয়ে নেই, আমার এক কলেজতুতো দিদির মেয়েও গতবছর CBSE গ্রেড ১০ পেরোলো, পড়ত নয়ডা অআমিটি তে, তারও রেজালট খুব ভালো। দিদি একদিন কথায় কথায় জানালো যে মেয়ে জোর করে SAT এর প্রিপারেটোরি ক্লাসে ভর্তি হয়েছে, তবে ওরা কিচুতেই ১৮ বছরেই মেয়েয়েকে আমেরিকা পড়তে পাথাবে না, এখনো একবছর বাকি আছে, দেকি কে জেতে!
  • pi | 72.83.76.34 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১০:৫০529051
  • নিশি, আমার পোস্টগুলো কি পড়েছ ? দেশে এই সব স্কুলের কী খারপ অবস্থা, আর সেটাই অনেক বেশি সমস্যা, এই পশ স্কুলে আম্রিগার স্কুলের তুলনায় কী খারাপ শেখানো হল, সেই সমস্যার চেয়ে, সে কথা অন্তত খান তিনেক পোস্টে লিখেছি।
  • pinaki | 138.227.189.9 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১০:৫০529050
  • একটা ব্যাপার মিস হচ্ছে। দুই জায়গার ছাত্রদের মানের নিরিখে যখন দুই সিস্টেমের তুলনাটা করা হচ্ছে, তখন একটা চূড়ান্ত কম্পিটিটিভ সিস্টেমের মধ্যে একটা ছাত্রের নিজস্ব বাড়তি উদ্যোগ আর আর একটা চূড়ান্ত নন-কম্পিটিটিভ সিস্টেমের মধ্যে একজন ছাত্রের কিছুটা উদ্যোগহীনতা - এই ব্যাপারটা মাথায় রাখা হচ্ছে না। আমরা দেশে মূলত: এই উদ্যোগী অংশটার সাথে মিশেছি। তাই সেই রেফারেন্স ফ্রেমটা আমাদের মাথায় একভাবে সেট হয়ে আছে। তাই আম্রিকায় ক্যাজুয়াল অংক না জানা আন্ডারগ্র্যাড দেখলে আমাদের একটা বাড়তি অস্বস্তি হয়।

    এছাড়া এই ব্যাপারে অন্য কিছু কথা আছে। পরে সময় পেলে লিখব।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১১:২০529052
  • nsf এর রিপোর্টটা ১০ বছর আগের। কারেন্ট কিছু বেরোয় নাই?
    তবে ৩৯% বাইরের দেশের ছেলে এসে গ্র্যাড স্কুলে ঢুকছে, এইটাও খুব কম নয়।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১১:৩৩529053
  • এটা মনে হয় আমর পোস্ট র পরিপ্রেক্ষিতে হচ্ছে: একটু এদিক ওদিক হয়ে গেছে:

    ১) বুদ্ধদেবের ( বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা) বাবা র নাম কী?
    ২) ঘানার উপরাষ্ট্র পতির নাম?

    ডিক্লে: আমি মুখস্ত বিদ্যের বিরোধী। ছোট ছোট Sc exeperiment করে বুঝিয়ে দিলে কনসেপ্ট ক্লিয়ার হয় আর মনেও থাকে।

    ২। bb দা, CBSE, ISE ওদের সিলেবাস কম্পেটেটিভ exam চোখ রেখে তৈরী। আর আমাদের প্রশ্ন এমন হয় যাতে নম্বর তোলা চাএর। এখন অবশ্য অবজেক্টিভ টাইপের প্রশ্ন বেশী আসছে।
  • lcm | 69.236.169.38 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১১:৪১529054
  • তাতিন,
    হিসেবটা এই রকম।
    ইউএস-এর কলেজে ফরেন স্টুডেন্ট ৪-৫% এর মতন।
    ২০০৯-২০১০ তে সব রকম কলেজ (প্রাইভেট, পাবলিক, স্টেট, কম্যুনিটি... আন্ডারগ্র্যাড, গ্র্যাড, পিএইচডি) মিলিয়ে স্টুডেন্ট এনরোলমেন্ট ছিল ২০ মিলিয়ন।
    এদের মধ্যে ৭২০,০০০ ছিল ফরেন স্টুডেন্ট।
  • lcm | 69.236.169.38 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১১:৪৩529055
  • বাই দ্য ওয়ে, ফরেন স্টুডেন্টরা ইউএসএ তে বছরে ২০ বিলিয়ন ডলার আনে। ইনকাম।
  • lcm | 69.236.169.38 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১১:৫৫529056
  • বড় নামকরা ইউনিভার্সিটি গুলোতে এমরোলমেন্ট বেশী। কিন্তু ১০-১৫% এর মতন।

    এখানে দ্যাখো -
    http://www.ucop.edu/news/factsheets/2011/fall_2011_admissions_table_2.pdf

    বার্কলে - ১০%
    ইউসিএলএ - ১৫%

    আবার, লুইসিয়ানা স্টেট দেখবে ৫% এর মতন।

  • rimi | 168.26.205.19 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১৯:২৮529058
  • মুখস্ত করে বহু কিছু বিষয় মগজে রাখা সম্পর্কে একটা কথা শেয়ার করে যাই:
    জওহরলাল নেহেরুর লেখা গ্লিম্পসেস অব ওয়ার্ল্ড হিস্টরি বইতে পড়েছিলাম যে প্রাচীন ভারতে যখন বই টই কিছুই ছিল না, তখন যাঁরা জ্ঞান চর্চা করতেন, তাঁদের বিরাট বিরাট কবিতা বা শ্লোক হুবহু মুখস্ত করে রাখার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল। আমরা সবাই "শ্রুতি" ব্যপারটা তো জানি। জওহরলাল লিখেছেন যে সে সময় এই মনে রাখার স্কিলটা খুব জরুরি ছিল কেননা অন্য কোনো ভাবে "জ্ঞান" বা তথ্য সংগ্রহ করে রাখার উপায় তখনো আবিষ্কার হয় নি। বই আবিষ্কার হবার পর এই মনে রাখার প্রয়োজনীয়তা ধীরে ধীরে কমতে লাগল। আর মানুষের সেই অসাধারণ অভূতপূর্ব স্মৃতিশক্তি, যা আগে খুব কমন ছিল, তা ধীরে ধীরে কমে আসতে লাগল। জওহরলাল আরো লিখেছেন যে যে সব দেশে প্রাচীন সভ্যতা ছিল, সেইসব দেশে এখনো (মানে জওহরলাল যখন লিখেছিলেন তখনো) কবিতা ও গান স্মৃতিতে ধরে রাখার সংস্কৃতি কিছু রয়ে গেছে।

    এই প্রসঙ্গে আমার মনে হয় যে আমরা এখন এমন একটা ট্রানজিশনাল সময়ে রয়েছি যেটা প্রাচীনকালে বই প্রচলিত হবার সময়ের সঙ্গে তুলনীয়। বইএর ব্যবহার যদি সে সময়ে স্মৃতিশক্তির ব্যবহারকে অনেকখানি কমিয়ে দিয়ে থাকে, তাহলে টেকনোলজির ব্যবহার আরো কয়েকশো বছরের মধ্যে মানুষের স্মৃতিশক্তির ব্যবহারকে আরো অনেকখানিই কমিয়ে দেবে।
    স্মৃতিশক্তি নির্ভর লেখাপড়ার পদ্ধতি ক্রমশ অবসোলিট হয়ে পড়বে, বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় যদি স্বাধীন চিন্তা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা ইত্যাদিকে গুরুত্ব দেওয়া না হয়। (যেটা ভারতীয় স্কুল শিক্ষায় একেবারেই প্রোমোট করা হয় না।)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন