এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • এলেবেলে | 202.142.96.172 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:৫৮453141
  • ভারতবর্ষের সংস্কৃতি ইউরোপের মতো লিখিত সংস্কৃতি নয়। তাই শ্রুতি, স্মৃতি, লোকগান। কাজেই চরক-সুশ্রুত তা লিপিবদ্ধ করার প্রয়োজন দেখেননি। কিন্তু ভারতবর্ষে চিকিৎসাশাস্ত্রের চর্চা যে ১৮২৪ সালেও ছিল এবং ভালোভাবেই ছিল তা মালাবারের রিপোর্ট প্রমাণ করে। আপনি ১৮২৪ সালের চিকিৎসাবিদ্যা কি ২০২৪-এর মতো চাইছেন!

  • এলেবেলে | 202.142.96.172 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:৫৩453140
  • ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ডিসক্রিমিনেশন কি ওদের বানানো ?

    এটা নতুন জানছেন নাকি? আগে হিন্দুদের তোল্লাই, পরে সৈয়দ আহমদকে। শিক্ষাকে উচ্চবর্ণের কুক্ষিগত করে রেখেছিল কারা। বাউন আর কায়েতরা? নাকি সেই সুযোগ তাদের ব্রিটিশরা করে দিয়েছিল?

    ঘোতনা 'বানাম্ভুল' সংশোধন করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। প্রসঙ্গত এটা কি কেবল আমার ক্ষেত্রেই করে থাকেন? ভালো, শুধরে নেওয়া যাবে। 

    এসেম চরক-সুশ্রুতে পিছলে গেলেন যে!

  • sm | 42.110.130.230 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:৫০453139
  • এলেবেলে বাবু বড্ড বেশি দিক ভ্রান্তের মতন কইছেন।সুশ্রুত  (৬০০ বিসি) সার্জারি করতেন। উনি সার্জারি শেখার জন্য মৃত ব্যক্তির ব্যবচ্ছেদ এর নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যবচ্ছেদ এর আগে লাউ কেটে প্র্যাকটিস করতে বলেছেন। কিন্তু যেটা করেন নি,তাহলো শব ব্যবচ্ছেদ করে কি কি পেলেন অর্থাৎ বডির অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অভ্যন্তরীণ বর্ণনা,লিখিত দিয়ে যান নি।তাই সুশ্রুত কে কোনমতেই অ্যানাটোমিস্ট বলা যায় না।

    সুশ্রুত সার্জারির পর ক্ষত হানি আর মাখন দিয়ে চর্চা করতে বলেছেন। তখনকার সময়,এনাস্থেশিয়া এলকোহলের সঙ্গে ক্যানাবিস মিশ্রিত করে করা হতো। এইসব নিঃসন্দেহে কৃতিত্বে র ব্যাপার।নাকের সার্জারি অবধি করেছেন।

    কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যা আলোকবর্ষ এগিয়ে গেছে ।আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র এর ডাক্তার গণ ও  বর্তমানে অ্যালোপ্যাথি মতেই  এনেসথেসিয়া,সার্জারি মেথড, ফলো করে।কারণ আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রের উন্নতি থমকে গেছিলো দ্বাদশ শতাব্দী থেকে।সুলতানী আমলে এর বিকাশ ঘটে নি।ক্রমশ পিছিয়ে পড়ে।

    গ্রীসে হেরোডফিলাস (৩০০ বিসি) প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ করেন। পুঙ্খানপুঙ্খভাবে বর্ণনা করতে পারেন নি।  তাই উনি ও  অ্যানাটোমিস্ট হিসাবে বাদ লিস্ট থেকে।

    ভেসালিয়াস  (১৫৯০ সাল নাগাদ ) শব ব্যবচ্ছেদ করেন ও ডিটেল বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেন। তাই ওনাকে প্রথম অ্যানাটোমিষ্ট বলা যেতে পারে।

  • ঘোঁতন | 103.214.144.196 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:২৯453138
  • জ্ঞানচঞ্চুর লজিক হচ্চে চরক-সুশ্রুত কি সার্জারি জানত না? জানত না সার্জারি? তাইলে গোরারা আবার কী শেখাবে? হে জ্ঞানচঞ্চু, খোরাক চাই খোরাক দাও।

  • sm | 42.110.130.230 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:১৯453137
  • ন্যাচারাল ফিলোজফি সম্পর্কে এলেবেলে বাবুকে ,দু পয়সা।ন্যাচারাল ফিলজোফি হলো আদি সায়েন্স।আজকের ফিজিক্স শব্দ টিও এর থেকেই এসেছে।
    নিউটন ১৬৮৭ সালে যে বইটি লেখেন তার পুরো নামটি হলো 'ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস
    প্রিনসিপিয়া ম্যাথমেটিকা' । এর মধ্যে ক্যালকুলাস,লজ অফ মোশন,গ্র্যাভিটি,প্ল্যানেটারী মুভমেন্ট সব কিছু আছে।কি কি রত্ন আছে বুঝতেই পারছেন।নিউটন নিজেকে ন্যাচারাল ফিলোজফার বলতেন।
    এই নামকরন এর অনেক ইতিহাস আছে।নিউটন প্রমুখ , কোন থিওরি বা মতের ফিলজোফিক্যাল দিক আছে ভাবতেন।
    অন্য দিকে নিউটনের আগে জন্মেও বিখ্যাত বিজ্ঞানী রবার্ট বয়েল (গ্যাস ও প্রেসার ল) ,রবার্ট হুক প্রমুখ এক্সপেরিমেন্টাল একসপ্লানেশন চাইতেন।অর্থাৎ কোন যন্ত্র বা কিছু দিয়ে ,হাতে কলমে বোঝানো যায় ;সেইরূপ ব্যবস্থা।
    ক্রমে বয়েলের মতাদর্শ বেশি গ্রহণ যোগ্য হতে থাকে।১৮৩৩ সালে প্রথম কেমব্রিজে 'সায়েন্টিস্ট 'টার্ম ইউজ করা হয়।
    ন্যাচারাল ফিলোজফি থেকে সায়েন্স এর বিভিন্ন ধারা তৈরী হয়।
    ফিজিক্স,কেমিস্ট্রি, ম্যাথ স, বায়োলোজি,সাইকোলজি, ইত্যাদি।
    সুতরাং ফিলোজোফি থেকে সায়েন্স এর উৎপত্তি।
  • Amit | 27.32.184.199 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:১০453136
  • 'আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা' কী দিল আমাদের? নারকেল ফাটিয়ে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস নাকি কবচ-মাদুলি-তাবিজের ঢালাও ব্যবসা করার শিক্ষা।‘

    “ যেটুকু ক্ষীর খাওয়ার সেটা খেয়েছে বাংলার উচ্চ ও মধ্যবিত্ত উচ্চবর্ণের হিন্দু বাঙালি, বাকিরা ফক্কা। সংখ্যাগুরু কারা? তাদের কী লাভ হল?“

    তো এর সবের পেছনে ব্রিটিশ দের রোল টা ঠিক কি কি ? ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ডিসক্রিমিনেশন কি ওদের বানানো ? আমাদের নিজেদের সমাজের কাস্ট সিস্টেম র জমানো ময়লা কি আমরা আশা করছি অন্য কেও বাইরে থেকে এসে , প্রভুত্ব করে সেই ময়লা সাফ করে দেবে ? চমৎকার আশা.
    তো যদি ধরে ও নি , আগে যা হয়েছে সব ভুল , আপনার বিকল্প মডেল টা কি যেটা করা উচিত ছিল ? যেটায় সব ঠিক হয়ে যেত ?
  • ঘোঁতন | 103.214.144.196 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:০৯453135
  • হে জ্ঞানচঞ্চু ইতিহাসবৃক্ষ, বানামটা সুশ্রুত।

  • এলেবেলে | 202.142.96.172 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:৪৭453134
  • উইকি থেকে পণ্ডিতি করে লাভ নেই। টমাস মুনরো ১৮২৪-এর রিপোর্টে জানাচ্ছেন মালাবারের কালেক্টর জানান, তাঁর জেলায় গৃহশিক্ষকদের কাছে ১,৫৯৪ জন ছাত্র শিক্ষালাভ করছে ধর্মতত্ব (Theology), আইন, জ্যোতির্বিদ্যা, অধিবিদ্যা (Metaphysics), নীতিবিদ্যা ও চিকিৎসাশাস্ত্র। এইবারে নিজে চিকিৎসক হিসেবে বলুন চরক-শুশ্রুত দেহব্যবচ্ছেদের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন কি না। 

  • sm | 42.110.130.230 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:৪৪453133
  • 1822, the Native Medical Institution was established in Calcutta to provide medical training to Indians. Around 20 young Indian students were instructed in the vernacular medium. European texts in anatomy, medicine, and surgery were translated into the local languages for the benefit of students.[4] Though dissection was not performed, clinical experience in different hospitals and dispensaries was mandatory. John Tyler, an orientalist, was the first superintendent of the Native Medical Institution. Parallel instruction was given in both Western and indigenous medical systems. In 1826, classes on Unani medicine were held at the Calcutta madrasa, while the Sanskrit college conducted classes in ayurvedic medicine. Successful native graduates were absorbed into government jobs.[2,3]

    এইবার বুঝেছি এলেবেলে বাবু কোথায় ঘেঁটে ছেন।আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েন না। আমি আগেই উল্লেখ করেছি ইংরেজ রা লোক্যাল ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে আধুনিক মেডিকেল শিক্ষা শুরু করেছিলেন কিছু ছাত্রের মধ্যে।ট্রান্সলেশন এ অসুবিধে হবার দরুন,বেন্টিনক ১৮৩৫ সালে মেডিকেল কলেজ কলকাতা স্থাপন করেন ও ইংলিশে কোর্স চালু করেন।
    প্রাক মেডিকেল কলেজ যুগে ,জন টাইলর সাহেব তাঁদের অ্যানাটোমি শিক্ষা দিতেন। ওই শব ব্যবচ্ছেদ সাহেব নিজে করতেন।ভারতীয় রা নয়। আপনার আপত্তি কোথায়?সাহেব তো আধুনিক শিক্ষা ই দিচ্ছেন,ভারতীয় দের।সুতরাং আপনার মূল পয়েন্ট নাকচ।
    বাকি রইলো শব ব্যবচ্ছেদ বাই ভারতীয়।ওটি মধুসূদন বাবুর আগে কেউ করেন নি। --)))
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::11f:bfb2 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:৩৯453132
  • ইয়োরোপীয়ানরা না এলে ইন্ডিয়াতে কবে মডার্ণ সায়েন্স আর টেকনলজি আসতো, সেটা বলা কঠিন। কিন্তু তার সাথে অন্তত ওতোপ্রতোভাবে বিদেশী ভাষা শেখার বাধ্যতামূলক কন্ডিশানটা থাকতো না।
  • এলেবেলে | 202.142.96.172 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:৩৮453131
  • কোনটা 'আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা'? যে শিক্ষা সবাইকে বঞ্চনা করার রসদ জোগায়? মেয়ো এবং ক্যাম্পবেল যখন বাংলায় জনশিক্ষার বিস্তারে আগ্রহী, তখন তার পেছনে ছুরি মেরেছিল কারা? ব্রিটিশরা না চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে আঙুল ফুলে কলাগাছ খয়ের খাঁ-রা?

    'আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা' কী দিল আমাদের? নারকেল ফাটিয়ে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস নাকি কবচ-মাদুলি-তাবিজের ঢালাও ব্যবসা করার শিক্ষা। বিজ্ঞানের অগ্রগতির নিরিখে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের দেশের স্থান কোথায়? আগে তার থেকে ভালো ছিল না খারাপ? তৈরি তো হল বঙ্কিম-ভূদেব-রাজনারায়ণের গুষ্টি। না হলে কী ক্ষতি হত স্যার?

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::981:b0d1 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:৩৬453130
  • ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভোলিউশনের একটা বড় সমস্যা হল সেটা মূলত অ্যাপ্লিকেশন ওরিয়েন্টেড। সেইকারণেই রিভোলিউশনটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল, সায়েন্টিফিক নয়। আর এই অ্যাপ্লিকেশনের মূল টার্গেট ছিল মিলিটারি। যার ফল কলোনিয়ালিজম। পশ্চিমী সভ্যতার এই অ্যাপ্লিকেশন ওরিয়েন্টেশানের সমস্যাটা এখনও আছেঃ প্রথমে মিলিটারি, তারপর ইন্ডাস্ট্রি, শেষে ওয়েলফেয়ার। আর সেকালে বেসিক সায়েন্সের যেটুকু বেনিফিট হয়েছে, সেটা সেকেন্ডারি এফেক্ট। এর ফলে অর্থনীতি দারুন উন্নতি হয়েছে। ফলে যেটুকু বিজ্ঞানমনস্ক হয়েছে সেটা যতটা না ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভিলিউশনের ফল, তার থেকেও বেশি বোধয় অর্থনীতির প্রভাব।
  • রঞ্জন | 182.68.34.52 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:১৬453129
  • @এলেবেলে,

          এইডা কি কথা অইল? কথা হচ্ছিল ভারতে আধুনিক শিক্ষা প্রসারে ইংরেজের ভূমিকা নিয়ে , আপনি প্যারাডাইম শিফট করে আলোচনা নিয়ে এলেন শিক্ষার ফল ক্যান একা উচ্চবর্ণ হিন্দুরা পেল? আতরাফ মুসলিম ও নিম্নবর্ণ ক্যান বঞ্চিত ? সেতো সমানতা ভিত্তিক আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় এরকমই হবে। আজও খুব তফাত হয়েছে কি? ইউরোপ আমেরিকায় হয়ত একটু বেশি ডেমোক্র্যাটিক শিক্ষার ডেলিভারি। কিন্তু আজও ইনিক্যুয়ালিটি ও জাস্টিস নিয়ে আগে রলস , বর্তমানে অমর্ত্য ও নুসবাউমরা লড়ে যাচ্ছেন।

      দুইশতাব্দী আগে ইংরেজের শিক্ষায় কি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ সুযোগ পাবে? এই আশাই বাতুলতা। প্রশ্ন হল দেশ উপনিবেশ না হলে আরও দ্রুত আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা আমরা কতটা পেতাম এবং কীভাবে? তার সম্ভাব্য রোডম্যাপ?

  • এলেবেলে | 202.142.96.172 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:০১453128
  • আচ্ছা, নিজের কাজকম্মো সেরে এতক্ষণে ভাটে আসার ফুরসত পেলাম।

    দু'পয়সা লিখেছেন //এলেবেলে যদি এভাবে বলে থাকেন যে ঔপনিবেশিকরা আমাদের ছিঁটেফোটা অনিচ্ছাস্বত্বে দিয়ে গেছে এবং তাতে শিল্পবিপ্লব বা সার্বজনীন শিক্ষাবিস্তার কিংবা বিজ্ঞানের উচ্চতর চর্চা কোনোটাই ঠিক মতো হয় নি। কয়েক ব্যতিক্রমী মনিষী ওই ব্যবস্থা অতিক্রম করে নিজদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, পিএইচডি, ডি.লিট, নোবলে এনেছেন তবে তিনি খুব ভুল বলেন নি।  তবে যদি বলে থাকেন, ইংরেজ একেবারেই আধুনিক শিক্ষা বা বিজ্ঞানের কিছু আনে নি বা আনতে চায়ও নি (একটা বড় অংশ আনতে চায় নি সত্য) তবে সেটা একেবারেই ঠিক নয়।//

    শেষ বাক্যটা আমি কখনই বলিনি। এনেছে, কিন্তু অনেক পরে এনেছে - এটা ছিল আমার প্রথম মত। দ্বিতীয় মত ছিল এনেও সাধারণ মানুষের দশা যে তিমিরে ছিল, তার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি বিশেষত শিক্ষার আঙিনা থেকে ব্রাত্য হয়ে যাওয়া দরিদ্র অন্ত্যজ হিন্দু ও আতরফ মুসলমানদের। একটা ডেটা দিচ্ছি। সুমিত সরকার দেখিয়েছেন ১৮৫৮ থেকে ১৮৮১ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১,৭২০ জন গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে মাত্র ৩৮ জন মুসলমান। আর হান্টার বলছেন ১৮৭১-এ বাংলার সমস্ত বিভাগের ২,১১১ জন গেজেটেড অফিসারের মধ্যে ১,৩৩৮ জন ইউরোপীয়, ৬৮১ জন হিন্দু এবং মুসলমান মাত্র ৯২ জন। তার মানে যেটুকু ক্ষীর খাওয়ার সেটা খেয়েছে বাংলার উচ্চ ও মধ্যবিত্ত উচ্চবর্ণের হিন্দু বাঙালি, বাকিরা ফক্কা। সংখ্যাগুরু কারা? তাদের কী লাভ হল?

    সম্বিৎ লিখেছেন //হেস্টিংস ইন্ডোফাইল ছিলেন। উইলিয়াম জোন্স, এশিয়াটিক সোসাইটি এসব করে হেস্টিংস পুরনো দেশীয় চর্চার পেছনে পয়সা ঢেলেছিলেন। এই ওরিয়েন্টালিস্ট শিক্ষার জোরে বিলিতি শিক্ষা, বিশেষতঃ বিজ্ঞানের দিকে কোন ঝোঁকই পড়ল না। এ হল সরকারী পজিশন।//

    সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। সদ্য দেওয়ানি লাভ করেছে কোম্পানি অথচ দেওয়ানি আদালতে চালু ফারসি ও সংস্কৃত নিয়ে সাহেব বিচারকদের কোনও জ্ঞানই নেই। কাজেই ঠ্যাকায় পড়ে বাঘে ধান খেয়েছিল মাত্র। সুযোগ বুঝে সবার আগে ফারসিকে এবং পরে সংস্কৃতকে লাথি মারা হয়। জাঁকিয়ে বসে জোন্সের তৈরি করা আইন। আর তারপরেই চালু হয়ে যায় মেকলের লাফালাফি। সাহেবদের এত এত আরবি-ফারসি-সংস্কৃতচর্চার জোয়ার নামছে একটাই কারণে। হেস্টিংস দ্বিধাহীনভাবে জানাচ্ছেন, সাহেবরা তাদের শাসনের সুবিধার্থে শাসিতদের সমস্ত কিছুকে নিজেদের পছন্দসই মাপে কেটে-ছেঁটে এমনভাবে হাজির করবে যাতে ‘to graft Western notions and methods on to the main stem of Eastern Institutions’। [A. M. Davies, Strange Destiny: A Biography of Warren Hastings, New York, 1935, p. 71] অর্থাৎ হেস্টিংস আসলে বীজ বুনছেন ফল খাবেন বেন্টিঙ্ক ও তার পরবর্তী বড়লাটেরা।

    ইভ্যাজেলিকালিস্টরা খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা চালু না করতে চাইলে মিশনারিরা কলকাতাতে আসতেই পারে না। এসেছে ১৮১৩-র চার্টার অ্যাক্টের পরে। আর বিজ্ঞান কারা শেখাবে? খোদ অক্সফোর্ডে কেমিস্ট্রি চালু হয়েছে ১৮০৩ সালে। আর ন্যাচারাল ফিলসফি বলে এক অদ্ভূত পদার্থ ১৬২১এ।

    এসেম শব ব্যবচ্ছেদ কলকাতা সংস্কৃত কলেজে ১৮২৮ সালে। অ্যাডামের রিপোর্ট। এর লিঙ্ক হয় নাকি? আর মাদ্রাজের কারিগরি শিক্ষা নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই কেন?

    ফাঁসুরের ফ্যান, বেথুন স্কুলের উদ্বোধনের দিন বেথুনের ভাষণটা চেষ্টাচরিত্তির করে পড়ে নিয়ে ট্রোল করুন বরং। আর সিলেবাসটাও। কেমন?

  • S | 2a0b:f4c0:16c:14::1 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১২:৪৩453127
  • রঞ্জন | 182.68.34.52 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১২:৩৮453126
  • @এতোজ,

    "আচ্ছা, ধোবিপাট বলে সত্যি সত্যি কি কোনো কুস্তির প্যাঁচ আছে?"

    -- হিন্দি বলয়ে বলে "ধোবি পাছাড়"। মানে ধোপা যেমনি করে দুহাতে কাপড় তুলে মাথার ঊপর তুলে আছড়ায় তেমনই আর কি। ভিলাই সেক্টর টুতে ছিল স্টিল প্ল্যান্টের সরকারি কুস্তিগীর যোগীন্দার সিং এর কুস্তির আখড়া। সেখানে সকাল সন্ধ্যে চেলাদের নিয়ে ট্রেনিং দিতেন, প্র্যাক্টিস ম্যাচ হত । আমি মাঝে মাঝে পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম। সেখান ব্যাপারটা দেখেছি।

  • রঞ্জন | 182.68.34.52 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১২:২৫453125
  • @এতোজ, টিম ও অমিত,

       আমার গল্প খুব আলাদা কিছু নয় । তখন এমন ঘটনা অনেকের ঘরে।

    কিন্তু একটা ব্যাপার ছিল।  আমরা তিন ভাই, বোন নেই। তিনটেই রেকটাম-রাইপ। তিনটেই ঘর ছাড়ল। ছোটটা তখনও স্কুলের গন্ডি পেরোয়নি। সে বেশি পাকা। ম্যাথসের টিচার করে বোলে দিল --খামোখা পড়াতে আসবেন না। এই ব্যবস্থায় ' যে যত পড়ে , সে তত মূর্খ হয়'। মাও বলেছেন। বাবা অবাক। মাও তাহলে কাদের জন্যে এত গাদাগাদা বই লিখেছেন? বাবা-মার হতাশাটা বুঝুন।

    সে ঠাকুমাকে বলল-- শচীমাতা যদি না কাঁদিত, তাহা হইলে নিমাই কী করিয়া জগতকে প্রেমধর্ম শিখাইত?

    (আবার সেই চৈতন্য ?) 

    যাকগে, সবাই বলল --আসল পাজি বড়টা, ওই ন্যাকা সেজে থাকা রঞ্জন। সবাইকে ঘরছাড়া করেছে।

    তারপর "সব পাখি ঘরে আসে, সব নদী--" ইত্যাদি। সেসব অন্য গল্প।

  • রঞ্জন | 182.68.34.52 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১২:১৪453124
  • @দু'পয়সা,

    চমৎকার লিখেছেন। কিন্তু আভ্যন্তরীণ জড়তা কাটাতে বাইরের শক্তি অনেক সময়ই ক্যাটালিস্টের কাজ করে না ? ধরুন, বৃটেন। ওরা কারও কলোনি হয়নি বটে, কিন্তু কন্সটান্টিনোপলের পতনের পর সেখান থেকে হাতফেরতা হয়ে আসা গণিত ও অ্যাস্ট্রোনমি বিজ্ঞানের উন্নতিতে কিছু সহায়ক হয়েছিল বলেই মনে হয়। চীনে বারবার পাশ্চাত্ত্য শক্তির কাছে মারখাওয়ার পর , বিশেষ করে লর্ড এলগিনের নেতৃত্বে উইন্টার প্যালেস পুড়িয়ে দেবার পর ,অভিজাতবর্গের মধ্যে পাশ্চাত্ত্য জ্ঞান বিজ্ঞান ও টেকনোলজির সুপিরিয়রিটি মেনে সেখান থেকে শেখার প্রবৃত্তি ( বিশেষ করে ডাওএজার এম্প্রেসের সময়) বেড়ে গেল। এই ধারাটিই সান ইয়াৎ সেন এবং মাওয়ের জেনারেশনকে প্রেরিত করে বোলে আমার মনে হয় । ছেলেদের লম্বা বেণী কেটে ফেলা ও মেয়েদের লোহার জুতো পরিয়ে দুলে দুলে চড়ার ট্র্যাডিশন ভেঙে ফেলার ডাকও মনে হয় ওই প্রভাবের সাংস্কৃতিক ফলশ্রুতি।

     তবে নকশাল আমলে একটা কথা উঠেছিল।

    ঔপনিবেশিক ভারতে ইংরেজের তাঁবেদার হিসেবে পুঁজির বিকৃত বিকাশ হয়েছে। ফলে আধুনিক শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চা অপেক্ষাকৃত ভাবে পিছিয়ে পড়েছে, বিশেষ করে বৈজ্ঞানিক মানসিকতা জনমানসে কম প্রভাব ফেলেছে।যদি দেশ কলোনাইজড না হত , তাহলে হয়ত আজ নয় কাল ইউরোপের মত  দেশি শিল্পবিপ্লব এবং দেশি পুঁজির বিকাশ ঘটত।

    তবে বিচ্ছিন্ন স্বয়ং সম্পূর্ণ গ্রামসমাজের ইকনমিতে এর প্রেরণা কোত্থেকে আসত তা স্পষ্ট নয় । আসলে ওই "এক ধর্মরাজ্য পাশে  খন্ডচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ভারত বেঁধে দেব আমি" জাতীয় কবিকল্পনা বাস্তবে কখনই সফল হয়নি।

  • সম্বিৎ | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১২:০০453123
  • অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝ থেকে ইংরেজরা ক্রমশঃ আধিপত্য বিস্তার করতে আরম্ভ করে, সেটা ঠিক। 1720-তে তা নয়।

  • অরিন | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১১:৫৭453122
  • Amit:"বুদ্ধ ধর্মে কি দলাই লামার পসিশন টা মোটামুটি ক্যাথলিক চার্চ এর পোপের একুইভ্যালেন্ট -?"

    দলাই  লামা তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের গেলুগ ট্র্যাডিশন (স্কুল? :-) )  এর সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক চরিত্র  ।   কাগযু , শাক্য, নিঙমা (তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের বাকি তিন স্কুল), মহাযান বা থেরাবাদী বৌদ্ধধর্মে  তাঁর কতটা প্রভাব আমি জানিনা ।

    দলাই  লামা পোপের সমান নন ।

  • Amit | 121.200.237.26 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১১:৪৫453121
  • 16থ -17থ সেঞ্চুরিতে ইউরোপ এ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলুশন এর পরে ব্রিটিশ, স্পেন, ফ্রেঞ্চ, ডাচ - সবারই লক্ষ্য ছিল এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকার দেশ গুলোতে কলোনী বানানো. সেই কম্পেটিশন এ শুরুতে সবাই পাল্লা দিচ্ছিলো, কিন্তু ব্রিটিশরা পরের দিকে ভারত, আমেরিকা , অস্ট্রেলিয়া , নিউ জিলণ্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, মালয়েশিয়া , ফিজি- আরো কত কেজানে - এতগুলো দেশে কলোনী বানিয়ে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে বাকিদের টেক্কা দিয়ে বেরিয়ে যায়. এট ওয়ান পয়েন্ট অফ টাইম , ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দুনিয়ার 25-% জায়গায় একা রুল করতো, দুনিয়ার সবথেকে পাওয়ারফুল কোম্পানি, ভারতে 1857 মুটিনি র পরে কোম্পানিকে সরিয়ে ব্রিটিশ সরকার আসে.

    ঐতিহাসিক তপন রায়চৌধুরী এর কিছু লেখায় ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির spice ট্রেডিং নিয়ে ভালো ইনফো আছে.

    এটা ভালো , খারাপের প্রশ্নই নয় আদৌ. যা ঘটেছে ইতিহাসে, ঘটে গেছে. কোলোনিজশন নাহলে আজকে র গোটা দুনিয়ার ম্যাপ, দেশের সংখ্যা পুরোপুরি অন্যরকম হতো. হয়তো অনেক কনফ্লিক্ট কম হতো , বা উল্টো টাও হতে পারতো. কিন্তু শুধু ব্রিটিশকে আলাদা না করে ওভারঅল সেই সময়ে ইউরোপের বিজ্ঞান বা মেডিকেল বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর যা কান্ট্রিবিউশন , সেটা অনস্বীকার্য. আজকে আমরা যে দুনিয়া দেখছি, তার ভিত টাই ওখান থেকে এসেছে.

    আবার বলি এতে ভালো , খারাপ , ওরা আমাদের ভালো চেয়েছিলো কি খারাপ, এসব আদৌ আসে ই না একুয়েশন এ , যা ঘটেছে, সেটাই.
  • sm | 42.110.130.230 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১১:৪৪453120
  • https://en.m.wikipedia.org/wiki/Royal_Navy

    From the middle decades of the 17th century, and through the 18th century, the Royal Navy vied with the Dutch Navy and later with the French Navy for maritime supremacy. From the mid 18th century, it was the world's most powerful navy until the Second World War. The Royal Navy played a key part in establishing the British Empire as the unmatched world power

    https://www.encyclopedia.com/social-sciences-and-law/political-science-and-government/naval-and-nautical-affairs/navy

    French naval power collapsed in the 1710s and Great Britain emerged as the dominant sea power. Britain retained this position until the twentieth century, and other great powers were reduced to more or less successful challengers of British supremacy over the European and transoceanic sea-lanes.
  • sm | 42.110.130.230 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১১:৩৩453119
  • এলেবেলে বাবুর জন্য। ইটন দিয়ে পুরো ব্রিটেন এর বিচার করলে হয়,খণ্ডিত দর্শন।

    In the 1820's a new type of school started appearing. These included Liverpool Institute (1825), the London University, later renamed the London College School, and Kings College School in 1829. These schools were less expensive due to being funded by a committee and, because they had been aimed at providing education for the middle classes, they sought more utilitarian ends. Because of its importance in the world of trade, commerce and industry, Mathematics (and other sciences) was given a pride of place in the syllabus.
  • sm | 42.110.130.230 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১১:২৬453118
  • এখানে সেটাও বলা আছে। ডাচরা ছিলো নিয়ারেস্ট কম্পিটিটর।কিন্তু নৌ শক্তি ইংল্যান্ডের ই বেশি ছিলো।
  • সম্বিৎ | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১০:৫২453117
  • By the 1720s Britain was one of the most prosperous countries in the world, and Daniel Defoe boasted... 

    এটা একেবারেই ঠিক কথা নয়। নৌশক্তি সম্বন্ধেও কথাটা ঠিক নয়। ডাচ আর পর্টুগিজদের কাছে নিয়মিত ল্যাজেগোবরে হত ইংরেজরা। 

  • sm | 42.110.130.230 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১০:৩২453116
  • এলেবেলে বাবুর কয়েক্তি ভুল ভ্রান্তি --
    এক, ইটন কলেজ নিয়ে ভ্রান্তি ছড়ানো। সপ্তদশ -অষ্টাদশ শতকে ব্রিটেন এ বিজ্ঞান চর্চা একটু অন্যরকম ভাবে হতো।ন্যাচারাল ফিলোজফির মধ্যে সায়েন্স এর ব্যাপার স্যাপার ঢোকানো হতো।
    সরকারী পৃষ্ঠ পোষকতা যুক্ত স্কুল ,কলেজ গুলোতে চার্চের প্রভাব ছিল প্রচুর।সরাসরি বিজ্ঞান চর্চায় বাঁধা দেওয়া হতো। অনেক কলেজে সায়েন্স এর কিছু শাখা ঐচ্ছিক রাখা হতো।এমন নয় যে সর্বত্র এক I সিস্টেম ফলো করা হতো।অর্থাৎ কোন কলেজে পুরোদস্তুর সায়েন্স পড়ানো হতো।
    এর পর ছিলো প্রাইভেট শিক্ষা।অনেক যুক্তিবাদী বড়োলোক,লর্ড এরা সরাসরি বিজ্ঞান চর্চা কে প্রমোট করতেন। এনারাই বিভিন্ন একাডেমী গড়ে তোলেন।
    পরবর্তী কালে দেখা যায়,শিল্প বিপ্লব উত্তর কলে বিজ্ঞান চর্চা করলে বেশি চাকরী পাওয়া যায় ও অর্থ উপার্জন করা যায়।ধীরে ধীরে চার্চের প্রভাব কমে আসে।ন্যাচারাল ফিলোসফি মুছে যায়,সরাসরি ম্যাথ,ফিজিক্স,কেমিস্ট্রি বিভাগ শুরু হয়।
    দুই,ভারত শোষণ করে নিয়ে যাওয়া টাকায় ,ব্রিটেন এর বিজ্ঞান এর প্রসার ঘটেছে। একদম ভুল কথা।ব্রিটেন এর সায়েন্স এর চূড়ান্ত উন্নতি হয়,সপ্তদশ শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝা মাঝি।অর্থাৎ পলাশীর যুদ্ধের আগের একশ বছর।এই সময়ে বানিজ্যে ও নেভির ক্ষেত্রে দুনিয়ার একনম্বর দেশ ছিলো ব্রিটেন।অর্থাৎ পলাশীর যুদ্ধের আগেই দুনিয়ার রাজা।
    By the 1720s Britain was one of the most prosperous countries in the world, and Daniel Defoe boasted:

    we are the most "diligent nation in the world. Vast trade, rich manufactures, mighty wealth, universal correspondence, and happy success have been constant companions of England, and given us the title of an industrious people."[34]

    তিন, ডাক্তারির ক্ষেত্রে ইংরেজ রা না চাইলে,কবরেজ দের দিয়ে নাড়ি টেপা চিকিৎসা এর জড়ি বুটি ই চলতো। দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার দেশ বলে লোক জান তো --))
    আপনি দয়া করে ১৮২৪ সালে সংস্কৃত কলেজে শব ব্যবচ্ছেদ এর রেফারেন্স টি দেবেন।
  • sm | 42.110.130.230 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১০:১১453115
  •  দু পয়সা,আপনি বেশ নিরপেক্ষ লিখেছেন।ভালো লাগলো।দু তিনটে প্রশ্ন আছে।

    এক ,জাপান অনেক উন্নতি করেছে।কিন্তু আফ্রিকান কলোনি গুলো তো প্রায় কিছুই উন্নতি করতে পারে নি।আজ ও গৃহ যুদ্ধ,কু সংস্কার,আর্থিক ভাবে খুব দূর্বল। আগে এঁরা ছিলো ইওরোপীয় দের কলোনি,বর্তমানে চায়নার। যদি কলোনি প্রভুরা এঁদের বিজ্ঞান মুখী,ও প্রগতিশীল করতে না চায়,তাহলে ডিপেন্ডেন্সি কাটবে কি?

    দুই,মধ্য এশিয়ার দেশ গুলো দেখুন।এতো ধনী দেশ (তেলের জন্য) ও বিজ্ঞানের  স্ট্রং ইতিহাস থাকা সত্বে ও, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ছোট দেশ গুলো যেমন কোরিয়া,ভিয়েতনাম,তাই ওয়ান,মালয়েশিয়া ইত্যাদির সঙ্গে বিজ্ঞানে এঁটে উঠতে পারবে না। এটা কি সঠিক মনে করেন?

    তিন, সপ্তদশ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দী হলো,আধুনিক বিজ্ঞানের  জয়যাত্রা কাল।প্রায় পুরোটাই ইওরোপের করায়ত্ব ছিলো। যেটার শুরু হয়,ব্রিটেন থেকে। নন ইওরোপীয় দেশ গুলো যে যতটা এই বিজ্ঞান কে উদরস্ত করেছে,সেই দেশ ততো এগিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে কলোনিয়াল প্রভুদের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না।

  • Tim | 174.102.66.127 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১০:০৮453114
  • এবাবা বাজে ভুল। হ্যাঁ ম্যাথু। থ্যাংকু অরিন ঃ)
  • অরিন | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১০:০৪453113
  • " মাইকেল হেডেন ক্রিজে এসে "

    ম্যাথু ?

  • | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১০:০০453112
  • বাহামা বার্বাডোজ ব্রিটিশ গায়ানা মানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রিটিস কলোনী কেমন ছিল? কোথাও একটা একলাইনের রেফারেন্স দেখেছিলাম যে ভারত্ব্র তুলনায় অনেক বেশী অত্যাচার করত সেখানে।

    ডাচ ফ্রেঞ্চ কলোনীগুলো অন্যান্য দেশে কিরকম ছিল? ইন্দোনেশিয়ায় ডাচ কলোনী ত খুব একটা সুবিধের ছিল বলে মনে হয় না একা কুর্নিয়াওয়ান পড়লে।

    ভারতও কাশ্মীরে কলোনী বানাতে গিয়ে জঘন্য সব কাজ করছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত