এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সর্ষেবাটা মোচাকাটা চিতলের মুইঠ্যা ইত্যাদি ইত্যাদি (৩)

    d
    অন্যান্য | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ | ২২৫০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a x | 138.249.1.194 | ২৮ জুন ২০১২ ২৩:১১426236
  • হু, এই কোর্মাটাতো ঝাল হত না। চাইলে শুকনো লংকা গুঁড়ো দিতে পার। কিন্তু ঘিতে দিলে আলাদা আরেকটা গন্ধ/ফ্লেভার হবে। মাংসের সাথে দিয়ে দেখতে পার।
  • ঐশিক | 132.178.216.63 | ২৮ জুন ২০১২ ২৩:৪৭426237
  • অ ক্ষ দি, এই শনিবারই হবে ছানা পোস্ত ভাতে, দেখলেই জিভে জল নো-মোর কোলেস্টরল ইত্যাদি।
  • | 60.82.180.165 | ২৯ জুন ২০১২ ০০:২২426238
  • আমাদের বাড়ির ছানাভাপে টা সেদিন ভাটে দিয়েছিলাম, আজ এখানেও দিয়ে রাখি।

    ১, ছানা জল ঝরিয়ে নিন।
    ২,পোস্ত বাটা নিন।মিহি না চাইলে একটু দানাদানা ভাব রাখতে পারেন।
    ৩,সর্ষে,নুন,কাঁচালংকা দিয়ে বেটে নিন।
    ৪, পোস্ত বেশি,সর্ষে কম।
    ৫, হাতে চটকানো ছানার সঙ্গে বেশ করে ২,৩ মিশিয়ে নিন।
    ৬, সর্ষের তেল দিন, নুন দিন,আরো ঝাল চাইলে গোটাকতক কাঁচা লংকা চিরে দিয়ে দিন।

    ৭, মুখবন্ধ কৌটোয় ভরে গরম জলের উপর বসিয়ে দিন। ভাপে সেদ্ধ হবে।

    খুলে গরম ভাত দিয়ে খেয়ে ফেলুন।

    আমার দিদা এতে অল্প নারকেল বাটাও দিতেন, আমি নারকেল টা দিই না সবসময়।
    চাইলে চিনি দিতে পারেন;)

    তবে এটি নিরামিষ রান্না বলে কোনো পেঁয়াজ দেওয়া হয় না।
  • Du | 183.74.228.249 | ২৯ জুন ২০১২ ০৫:২২426239
  • এক বান্ধবীর রান্নার সাইট - তুলে দিলাম http://www.khanadana.com
  • | 24.99.223.134 | ২৯ জুন ২০১২ ১১:৩৩426240
  • আমিও মিঠুর মতই নিরামিষ ছানাভাতে করি। পেঁয়াজ দিই না।

    এখন বাজারে প্রচুর কাঁঠালবীচি উঠছে। কাঁঠালবীচির কড়কড়ে ভাজা, কাঁঠালবীচির ডাল তো নিশ্চই প্রায় সব্বাই জানে, আমি কাঁঠালবীচির রসা'র রেসিপী দিয়ে যাচ্ছি।
  • | 24.99.223.134 | ২৯ জুন ২০১২ ১১:৩৮426241
  • কাঁঠালবীচির রসা
    ===========

    উপকরণঃ

    কাঁঠালবীচি - ১৫০ - ২০০ গ্রাম
    জিরেগুঁড়ো
    লঙ্কাগুঁড়ো
    বেসন (মটর ডালের বেসন হলেই ভাল)
    গরম মশলা গুঁড়ো
    কাঁচা লঙ্কা - সরু লম্বা বেলডাঙার লঙ্কা হলে খান চারেক মত
    টমেটো
    পেঁয়াজ (ইচ্ছে হলে)
    হিং (ইচ্ছে হলে, আমি দিইনা)
    নুন - পরিমাণমত
    চিনি - এক চিমটি

    পদ্ধতিঃ

    কাঁঠালবীচি আনার সময় বেশ শুকনো দেখে আনুন| যদি তেমন শুকনো না পান, তাহলে বাড়ি এনে ভাল করে শুকিয়ে নিন| বীচিগুলোর খোসা ছাড়িয়ে লম্বালম্বি দুফালা করে সিদ্ধ করে নিন| দেখবেন একেবারে নরম হয়ে গলে যেন না যায়, একটু শক্তমত থাকে| এবারে সিদ্ধ বীচির জল ফেলে দিয়ে বীচিগুলো একটু চটকে মেখে নিন| কিছু কিছু দানা দানা থাকে যেন| জিরেগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, আন্দাজমত নুন, (যদি হিং দেন তো হিং) আর বেসন দিয়ে কাঁঠালবীচি মাখার সাথে মিশিয়ে ভাল করে মাখুন| কোপ্তার সাইজের বড়া বানিয়ে অল্প তেলে কম আঁচে আস্তে আস্তে উল্টেপাল্টে ভাজুন| ভাজাটা কড়া হবে না, কিন্তু সমানভাবে ভাজা হবে|

    টমেটো (পেঁয়াজ দিলে সেটাও নিয়ে একটু খসখসে বাটা করে নেবেন, পেঁয়াজবাটা যেন মিহি না হয়) ছোট ছোট করে কেটে নিন| লুডোর ছক্কার সাইজে কাটুন, যাতে খুন্তি দিয়ে অল্প নাড়লেই ভেঙে মিশে যায়| কাঁচালঙ্কা কুচিয়ে নিন| কড়াই ভাল করে গরম করে এক চামচে তেল গরম করুন| তেল ভাল গরম হলে টমেটো কুচিগুলো দিয়ে দিন| যদি পেঁয়াজ দেন তো আগে পেঁয়াজটা দেবেন, পেঁয়াজ হাল্কা বাদামী হলে টমেটো দেবেন| ১ মিনিট হাইহিটে উল্টেপাল্টে জিরেগুঁড়ো, কাঁচালঙ্কাকুচিগুলো দিয়ে আন্দাজমত নুন দিয়ে ভাল করে কষান| টমেটো আর নুনের জন্য প্রচুর জল বেরোবে, আলগা জল দেবার দরকার নেই| কিছুটা কষানোর পরে একটু গরমমশলাগুঁড়ো আর ঐ একচিমটে চিনিটুকু দিয়ে দিন| আরো কিউছুক্ষণ কষানোর পর সুন্দর গন্ধ বেরোতে শুরু করলে অল্প জল দিয়ে তাতে ঐ ভেজে রাখা বড়াগুলো দিয়ে আঁচ একদম কমিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন|

    এসে ফেসবুকের নোটিফিকেশানগুলো চেক করুন, উত্তর টুত্তর যা দেবার দিন| মিনিট ১০ বাদে গিয়ে দেখুন, জল প্রায় শুকিয়ে এসেছে কিনা| এবারে খুন্তি দিয়ে ২-৩টে বড়াকে ভেঙে মিশিয়ে দিন, বাকীগুলো আস্ত থাকুক| এক চিমটি গরম মশলা নিয়ে পুরোটায় ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকা দিয়ে আরো মিনিট রেখে গ্যাস অফ করে দিন| এই শেষবার ঢাকা দিয়ে রাখার আগে দরকার হলে আঁজলা করে একটু জল দিয়ে দেবেন| খেয়াল রাখবেন পুরো জিনিষটা যেন মাখা মাখা নরম নরম হয়| ঝোল থাকা যেমন চলবে না, তেমনি একেবারে শুকনো কাঠ কাঠ হলে ভাল লাগবে না|

    ব্যাস! এইবারে ভাত, রুটি, পারোটা -- যা খুশী দিয়ে খেয়ে ফেলুন|
    *************************************************************************
    এতকিছু না করতে চাইলে ঐ বড়া বানানোর সময়েই মাখার মধ্যে একটু পেঁয়াজবাট (অথবা খুব সরু কুচি)া মিশিয়ে বড়াগুলো ডোবাতেলে কড়া করে ভেজে ডালের সাথে বা এমনি পকোড়া হিসেবেও খেতে পারেন|
  • | 24.99.156.61 | ২৯ জুন ২০১২ ১৪:১৬426242
  • আমি আলুপোস্ত, ঝিঙেপোস্তয় কখনও পেঁয়াজ দিই না। ভাল্লাগে না।

    সামরানের জন্য একটা সহজ নিরামিষ রেসিপী দিলাম। কচি পটল হলে মোটামুটি ২০-২৫ মিনিটে নেমে যায়।

    তেল পটল
    =======

    উপকরণঃ
    পটল - ৪-৫ টা
    আস্ত জিরে
    জিরেগুঁড়ো/বাটা
    আদাবাটা
    হলুদগুঁড়ো
    লঙ্কাগুঁড়ো/বাটা
    দুধ - ২ টেবিল স্পুন
    কাঁচা লঙ্কা - ২-৩ টে
    গরম মশলা গুঁড়ো

    পদ্ধতিঃ

    পটলের দুইদিকের সরু মাথাগুলো কেটে বাদ দিয়ে দিন। এইবার আস্ত পটলের খোসা এমনভাবে ছাড়ান যাতে কিছুটা ব্যবধানে অল্প একটু খোসার পাতলা স্তর থাকে। মানে পটলটা দেখতে হবে গাঢ় সবুজ ডোরাকাটা হালকা সবজেটে ঢোল এর মত। এইবার একমাথার দিকে গোল অংশটায় আড়াআড়ি আর লম্বালাম্বি চিরে দিন। একটু ডীপ করে চিরবেন। একইভাবে পটলের অন্যদিকের গোল অংশটায়ও দুদিকে চিরে নিন ডীপ করে। এইবারে ঐ ডোরাকাটা ঢোলের দুইদিকের গোলাকার অংশগুলোতে চারটে করে অংশ হবে। খেয়াল রাখবেন পটল যেন এই চেরাচিরির ফলে আলাদা টুকরো না হয়ে যায়। পটলের কাটটা এখানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। :-)

    সবগুলো পটল কাটা হয়ে গেলে কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করতে দিয়ে পটলগুলো নুন হলুদ মাখিয়ে রাখুন। তেলে আস্ত জিরে ফোড়ন দিন, পটলগুলো দিয়ে ভাজতে থাকুন। নরম হয়ে অল্প ভাজাভাজা হয়ে এলে জিরে-আদা-লঙ্কা বাটা দিয়ে ভল করে কষান। কষানো হলে এবার ঐ দুই চামচ দুধ আর অল্প জল দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢাকা দিয়ে বসিয়ে দিন। ইচ্ছে হলে এইসময় অল্প একটু নারকোলবাটাও দিতে পারেন। পটল সুসিদ্ধ হয়ে জল শুকিয়ে মাখামাখা হয়ে এলে ঢাকনা তুলে এক চিমটে গরম মশলা দিন। এইবার কাঁচালঙ্কাগুলো চিরে দিয়ে দিন, নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। এই রান্নাটা অতি অবশ্যই সর্ষের তেলে এবং একটু বেশী তেলে করতে হবে। মশলাটা মজে পটলের গায়ে বসে যাবে আর ঐ চেরা অংশগুলো দিয়ে ভেতরেও ঢুকবে। আর একটা জিনিষ খেয়াল করে -- নুন কিন্তু ঐ পটলে ভাজার সময়ে যা দিয়েছেন তাই, আলগা করে আর কোনও নুন পড়বে না, কাজেই তখনই আন্দাজমত দিয়ে দিন।

    আর কি .... ভাতের সাথে খেয়ে ফেলুন।

    সামরান, করলে জানিও কেমন লাগলো খেতে।
  • | 24.99.156.61 | ২৯ জুন ২০১২ ১৫:১৭426243
  • কুমুর জন্য এঁচোড়ের ডাল

    উপকরণঃ

    এঁচোড়
    ছোলার ডাল
    আস্ত জিরে
    তেজপাতা
    শুকনো লঙ্কা
    গরম মশলাগুঁড়ো
    ঘি
    সাদা তেল
    নুন

    পদ্ধতিঃ

    এঁচোড়ের ছিবড়ে জাতীয় ব্যপারগুলোকে ছাড়িয়ে ফেলে দিন। বীচিগুলোও ফেলে দিন। (তবে এঁচোড় কেনার সময় অল্প কচি কচি বীচি আছে এমন এঁচোড় কিনবেন, নাহলে এঁচোড়ে ঠিক স্বাদ হয় না)

    ছোলার ডাল সিদ্ধ করে নিন। একদম গলিয়ে ফেলবেন না, একটু দানা দানা রাফমত থাকে যেন। এঁচোড় আলাদা করে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ এঁচোড়কে হাতে একটু চটকে নিন।

    কড়াইয়ে অল্প সাদা তেল গরম করে জিরে, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। চড়বড়িয়ে উঠে লঙ্কাগুলো কালো হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্ত্তে এঁচোড়টা দিয়ে দিন। ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করে ডাল দিয়ে দিন, নুন দিন। দরকার হলে কিছুটা জল দিন। ঢাকা দিয়ে মিডিয়াম হিটে ৬-৮ মিনিট রাখুন। ঢাকনা খুলে দেখুন পুরোটা মিশে তৈরী হয়েছে কিনা। না হলে আরো ১-২ মিনিট রাখুন।

    একটা বড় চামচে গরম মশলার গুঁড়ো আর ঘি নিয়ে গরম করুন। ঘিটা গলে গেলে ডালে দিয়ে নেড়েচেড়ে পুরো পাত্রটা একবার ঝাঁকিয়ে গ্যাস অফ করে ঢাকনা দিয়ে গ্যাসের ওপরেই বসিয়ে রাখুন মিনিট দশেক।
  • কাজু | 131.242.160.180 | ২৯ জুন ২০১২ ১৫:৫১426244
  • ওঃ রেসিপিটার নামেই 'কুমুর জন্য এঁচোড়ের ডাল '। আমরা খেতে পারবো না। তাহলে আর দেখে লাভ নেই। ঃ(
  • | 127.194.101.181 | ২৯ জুন ২০১২ ২১:৩৯426246
  • দমু,
    পটলের যা তরিকা লিখে দিলে তার হাফ আমি করি। মানে ওই পটল চিরে নুন হলুদ মাখিয়ে তেলে ভাজা। কাটার সময়ে একটু কসরত করি, পটলের দুই মাথা কাটি না, আর বটি নিয়ে বসে মন দিয়ে পটলগুলোকে একদিকে যতখানি সম্ভব চিরে চিরে দিই, কাটটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, একটু এদিক ওদিক হলেই টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়বে। ডুবো তেলে ভাজার সময় ফুলের পাপড়ির মত ছড়িয়ে যায় যদিও দেশ-গেরামে একে বলে পটলের ঝাঁটা বিরানঃ-) ভাত-পোলাও সবেতেই দিব্য যায়।

    মশলা দিয়ে করে দেখব এবং জানাব।

    আজকাল আমার সবকিছুই শর্টে চলছে, মাসির কেনা এবং কুটে দেওয়া সবজি, একের বেশি পদ নয়, ওই এক পদই যেন ১০-১২মিনিটে নেমে যায় সেরকম রান্না।

    কাল মাসি ঝিঙেটাকে যা কেটেছিল দেখে বহুক্ষণ মুখে কথা সরেনি আমারঃ-(

    কাঁঠালবিচির রসা! শুনেই লোভ হচ্ছে খাওয়ার জন্যে। কাঁঠালবীচি খাওয়া বলতে যা জানি, মাংসে আর শুটকিতে বড়জোর খোলায় ভেজে নিয়ে ভর্তা। রসা। এটা করতেই হবে।

    এঁচোড়টাও সদ্য খেতে শিখেছি, মানে রাঁধতেও। আমাদের বাড়িতে কখনও এঁচোড় খাওয়া হয় না, সম্ভবত কুমিল্লা অঞ্চলে চল নেই, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতেও কখনও রাঁধতে বা খেতে দেখিনি। শুধু জানতাম, কচি কাঁঠাল খাওয়া হয় রান্না করে। আরেকটা জিনিস- বড়ি। শুধু নামেই জানতাম, সিলেটে বা চাঁটগায় কখনই দেখিনি। হয়ত বাজারে পাওয়া যেত বা যায়, যেহেতু খাওয়ার চল নেই তাই কেনা হত না। যেমন কাঁচকলার কোফতা। মাংস আর চিতলের কোফতা ছাড়া কাঁচকলারও যে কোফতা হয় আর সে খেতেও দিব্য এ কি আমি আগে জানতাম!

    বম্বেপি কাল আপত্তি জানাল নিরামিষ রাঁধতে জানি না বলায়। সত্যি সত্যিই যে জানি না সে শুধু আমিই জানিঃ-((
  • ঐশিক | 213.200.33.67 | ০২ জুলাই ২০১২ ১০:৪৬426247
  • কাল খেলুম ছানা-পোস্ত ভাতে, আহা কোনো কথা হবে না
  • Paakhi | 106.245.10.125 | ০৩ জুলাই ২০১২ ২০:৩০426248
  • পটল আধফালি করে কেটে নুন মাখিয়ে ঢিমে আগুনে গ্রিল করলাম, দু পিঠ নরম বাদামি হওয়া পজ্জন্ত। অতীব সুস্বাদু।

    এমন কি মদ্যের সাথে অনুপান হিসেবেও চলতে পারে (ডিঃ ইহা অনুমান)।
  • প্পন | 122.133.206.25 | ০৫ জুলাই ২০১২ ০৯:৩৭426249
  • ছানাভাতে খেলাম। (উইদাউট পেঁয়াজ, আমাদের বাড়িতে পোস্ততে পেঁয়াজ পড়ে না)

    জাস্ট অসা।
  • ঐশিক | 213.200.33.67 | ০৫ জুলাই ২০১২ ১৭:৫৭426250
  • পেয়াজ দিয়ে পোস্তবাটা আর পেয়াজ ছাড়া পোস্তবাটা দুটো দুরকম, কোনো তুলনা চলে না,
    পোস্তবাটা ব্যাচেলার দের জন্য আদর্শ খাবার, একদিন বানান তিন দিন খান।
    প্প্ন্দা একবার পেয়াজ দিয়ে খেয়ে দেখো।
  • a x | 138.249.1.202 | ১০ জুলাই ২০১২ ২৩:৩০426251
  • মিঠু, এই যে মেটের রান্না।

    বড়দের জন্য - মেটের চাংক নিয়ে, একদম ফ্ল্যাট করে স্লাইস করতে হবে। তারপর ভিনিগার, রসুন, লংকা দিয়ে ম্যারিনেট। হয়ে গেলে তেলে ভাজা ভাজা মত, শেষের দিকে নুন। এটা চাট টাইপ, মদ্য সহকারে খাবার জন্য।

    এমনি রুটি, নান দিয়ে খাবার জন্য - মেটে ঐ ভাবে কেটে নিয়ে ভিনিগার, রসুন, পেঁয়াজবাটা (বাটার সময় গরমমশলাও একসাথে বাটা), লংকা, নুন, চাইলে হলুদ এইসব দিয়ে ম্যারিনেট। মেরিনেশনের পরে, ফ্ল্যাট বটম পাত্রে তেল দিয়ে একটা লেয়ার করে সব ঢেলে দাও, আস্তে আস্তে উল্টে নেড়ে নাও। একটা গা মাখা টাইপ ব্যপার হবে। খুব তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায়, মেটেটা স্লাইস করে কাটা বলে।
  • Abhyu | 222.201.75.211 | ১০ জুলাই ২০১২ ২৩:৫৮426252
  • থ্যাঙ্কু আমি আলু মেটে দিয়ে একটা চচ্চড়ি টাইপ বানাই সেটাও বেশ লাগে আমার।
  • | 60.82.180.165 | ১১ জুলাই ২০১২ ০০:০৮426253
  • থ্যাংকস , তবে মম রেসিপিতে আমি আদা,জিরে ইত্যাদি দিয়ে থাকতাম- এইবার মাইনাস আদা,জিরা দিয়ে করে দেখবো।

    আলু মেটে টাও দিয়ে রাখো।
  • pipi | 139.74.191.52 | ১১ জুলাই ২০১২ ০০:৩৯426254
  • আমি একবারই জীবণে মশলাপাতি দিয়ে চিকেন মেটে টেরাই করেছিলাম। কি হতকুচ্ছিত অখাদ্য যে খেতে হয়েছিল কি বলব! তারপ্র থেকে পণ করেছি চিকেন মেটে হরগীz নহি!
    পাঁঠার মেটে আলাদা কথা - উহা দেবভোগ্য বস্তু।
  • aka | 178.26.215.13 | ১১ জুলাই ২০১২ ০০:৪১426255
  • চিকেন মেটে ভেজে খেতে হয়, ডিপ ফ্রাই। ওপরে ব্যাটার লাগবে অবশ্য।
  • de | 213.197.30.4 | ০৮ আগস্ট ২০১২ ১৪:১৩426258
  • এখানেও রেখে দিলাম -- যদি কারো কাজে লাগে

    শ্রীখন্ড বা আম্রখন্ড বাড়িতে বানাতে হয়। খুব সোজা। দোকানের্টা কিনে খেলে বাজে লাগবে।

    যা যা লাগবে --

    হাং কার্ড মানে পাতলা কাপড়ে ফ্রেশ দই (রাত্তিরে পেতে সকালে নেওয়া, টক না হয়ে যায়) ঝুলিয়ে রাখতে হবে অন্তত তিন ঘন্টা, একটুও জল থাকলে চলবে না। গুঁড়ো চিনি, এলাচ গুঁড়ো, ম্যাঙ্গো পাল্প (আম্রখন্ডের জন্য,আলফানসো তে সবচে' ভালো হয়)।

    একটা বাটিতে হাং কার্ড, চিনিগুঁড়ো, এলাচগুঁড়ো দিয়ে খুব ভালো করে মিক্স করে নিতে হবে চামচ বা বিটার দিয়ে। বাটিতে ঢেলে ফ্রীজে রেখে একটু সেট করে নিলেই শ্রীখন্ড। আম্রখন্ডে এর সঙ্গে আমের পাল্পটা মেশাতে হবে ভালো করে। তারপর ঐ বাটিতে ঢেলে সেট!

    এর সঙ্গে আটার লাল-লাল, ছোট-ছোট পুরী ভেজে গরম পুরী দিয়ে ঠান্ডা শ্রীখন্ড/আম্রখন্ড খেতে হবে।
  • S | 147.187.241.6 | ০৮ আগস্ট ২০১২ ২১:৪৩426259
  • আমি ইউটিউবে তিতলি নিহান নামে একজন ব্রিটিশ শেফের চ্যানেল দেখি। চ্যানেলটির নাম তিতলি'স বিজি কিচেন। তিতলির লেবানিজ স্টাইলের মেটে রেসিপি -

    খুব সহজ এবং দুর্দান্ত ভাল খেতে। অন্য কিছু নন-ভেজ রেসিপি ট্রাই করে দেখেছি, খুব সহজ এবং সুস্বাদু।
  • | 60.82.180.165 | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০০:০৮426260
  • এইটি রেঁধে খারাপ লাগলে আমাকে গাল দেবেন না।তবে সাহস করে ট্রাই কত্তে পারেন।
    বাড়িতে এক লালমুখো হুদো হুদো শশা পাঠিয়েছে- আজ জয় মা বলে রেঁধে ফেল্লাম শশা চিংড়ির ঝোল।

    লাগবেঃ ১ টি কচি শশা, (বাড়তি থাকলে আরো দিলে ক্ষতি নেই)
    কিছু চিংড়ি( মাঝারি সাইজ)

    বাকি মশলাপাতি রান্নাঘরেই থাকবে।
    ১, তেজপাতা ১টি
    ২, জিরে(ফোড়নের জন্যে)
    ৩,লাল পেঁয়াজ মাঝারি মাপের ১ টা
    ৪,অল্প একটু আদা বাটা বা গ্রেট করা
    ৫, জিরে গুঁড়ো
    ৬,লংকা
    ৭,হলুদ
    ৮ তেল আর নুন
    ৯, এলাচ,দারচিনি

    কড়ায় দু দু-তিন চামচ তেল গরম হলে তাতে তেজপাতা আর জিরে ফোড়ন দিন।

    মাঝারি আঁচে চৌকো করে কাটা শশা দিয়ে নাড়ুন।

    আদা দিন, নাড়ুন, জিরে দিন, হলুদ ,লংকা চেরা দিন- শশা থেকে জল বেরোবে। নাড়তে থাকুন।
    ভালো করে ধোয়া চিংড়ি ছাড়ুন। মাঝারি মাপে মোটা করে কাটা পেঁয়াজ টা দিন। সব একসঙ্গে ভাজাভাজা হোক।

    নুন দিন।
    জল দিন। ফুটে উঠলে ঢাকা দিয়ে দিন।

    শশা বেশ তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে গেলো দেখলাম।

    দুতিনটে এলাচ আর অল্প দারচিনি উপরে ভেঙে দিয়ে দিন।

    গরম ভাত দিয়ে পাতলা চিংড়ি-শশার ঝোল খান।

    সহজেই একটু অন্যরকম হলোঃ)
  • pipi | 139.74.191.52 | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০০:৫২426261
  • অ মামী, আমি এইভাবে জুকিনি বানাই তো। খালি গরম মশলার বদলে MDH এর তাওয়া ফ্রাই মশলা ছড়িয়ে দেই। খুব ভাল লাগে খেতে।
  • Abhyu | 107.81.110.8 | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০৭:৩৪426262
  • গুলাই লাবু (মালয়েশিয়ান ডিশ)
    ===================

    ৩৫০ গ্রাম চিংড়ি
    ২৭৫ গ্রাম শশা
    ১০০ গ্রাম শ্যালোট অনিয়ন (বিচ্ছিরি সাদা/হলুদ আমেরিকান পেঁয়াজ না)
    ৬ কোয়া রসুন
    ২ চামচ ধনে গুঁড়ো
    ১ চামচ জিরে গুঁড়ো
    ১ চামচ মৌরী গুঁড়ো
    ১ চামচ গোটা মৌরী
    ১ চামচ গুঁড়ো হলুদ
    ১ চামচ নুন
    ১ চামচ চিনি
    ৪০০ মিলি কোকোনাট মিল্ক (এশিয়ান স্টোর থেকে কেনা ভালো
    ৪ চামচ তেল (কিপটেমি করবেন না)
    ৩-৪টে শুকনো লাল লঙ্কা।

    পেঁয়াজ রসুন কাটুন সরু করে। তেল গরম করে ২০০ গ্রাম পেঁয়াজ , চার কোয়া রসুন, ধনে-জিরে-মৌরী গুঁড়ো, ৪৫০মিলি জল দিন। লঙ্কাগুলোকে ক্রাম্বল করে দিন। ৫ মিনিট টগবগ করে ফুটতে দিন। ইতিমধ্যে খোসা ছাড়িয়ে গোল গোল করে শশা কেটে নিন (১ সেমি মতো চওড়া করে)। এবার ঐ শশা দিয়ে পাঁচ মিনিট সিমার করতে দিন। চিংড়ি দিন। নুন চিনি দিন। নেড়ে দিন ভালো করে। এবার ১ মিনিট সিমার করতে দিন। তারপর নারকেলের দুধ দিয়ে আবার একবার টগবগ করে ফুটিয়ে নিন। তারপর সিমার করতে দিন ২ মিনিট।

    অন্য একটা পাত্রে তেল গরম করে বাকি পেঁয়াজ আর দু কোয়া রসুন স্টার ফ্রাই করুন। গোটা মৌরীগুলো দিয়ে একবার নেড়ে নিন তারপরে তাড়াতাড়ি তেল সুদ্ধ পুরো জিনিসটা তরকারিতে ফোড়ন দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঢেকে দিন।

    গরম ভাতের সাথে ...
  • Abhyu | 107.81.110.8 | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০৭:৩৫426263
  • ধনে-জিরের সাথে হলুদও পড়বে।
  • Abhyu | 107.81.110.8 | ০৯ আগস্ট ২০১২ ০৭:৩৯426264
  • লিংটা ঠিক আসে নি দেখছি

    আর এটা দেবার আগে ভালো করে নেড়ে নেবেন, নইলে বাজে হবে। কৌটো কাটার আগে আচ্ছা করে উল্টে পাল্টে ঝাঁকানোর নিয়ম।
  • hu | 34.13.11.220 | ০৯ আগস্ট ২০১২ ২০:৫৩426265
  • মিঠুদি, শশা যদি এখনও কটা পড়ে থাকে মটর ডালের বড়া দিয়ে তরকারি বানিয়ে নাও। দিব্যি হবে।
  • | 60.82.180.165 | ০৯ আগস্ট ২০১২ ২১:১৬426266
  • হুচি, রেসিপিটা দিয়ে রাখো।
  • pi | 82.83.90.116 | ০৯ আগস্ট ২০১২ ২১:১৮426267
  • কারো গাজর কিম্বা ক্যাপসিকাম বেশি পড়লে বলবেন ঃ)
  • | 60.82.180.165 | ০৯ আগস্ট ২০১২ ২১:২৭426269
  • পিপি, শশা দিয়ে কোনো রান্না কোনোদিন আমাদের বাড়িতে খাই নি। শুধু শুনেছি। শশাচিংড়ি দিয়ে হাতেখড়ি/জিবেখড়ি হলো;)

    বহুবছর আগে মিতাদি আমাকে একটা জুকিনি চিংড়ির রান্না শিখিয়েছিলো- কিন্তু তার ফোড়ন আর পেঁয়াজ লাগে কিনা নিয়ে এত সন্দেহ হলো যে সেটা কনফার্ম কত্তে ভদ্রমহিলাকে ফোন করলাম- কিন্তু রান্নার সময় ওনাকে পাওয়া গেল না- ফলে আপন মনের মাধুরি মিশায়ে রেঁধে ফেল্লাম- পাশে একটু রসুন ও রেখেছিলাম- সেটা দিলে আরো ভালো/খারাপ হতো কিনা জানি নাঃ)))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন