এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিশুশিক্ষা ও বিদ্যালয় অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত

    rimi
    অন্যান্য | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ | ১৭২২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aja | 207.47.98.129 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০০:৩৫402351
  • এই ক্যালকুলাস নিয়ে একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল।

    আমি তখন মিশিগানে ইউ-মিশের একটা ছোট ক্যাম্পাসে মাস্টারি করি। একটা ইভনিং ক্লাস পড়াচ্ছি, কিউয়িং থিওরির ওপর। ডি: দিয়ে রাখি, এই ক্যাম্পাসটা নামেই ইউনিভার্সিটি, আদতে একটা কলেজের চেয়ে সামান্যই বেশী।

    একটা ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন সলভ করতে হবে। পাতি ইকুয়েশন। দুটো টার্ম ওপর-নীচ করে ইন্টিগ্রেট করলেই হয়ে গেল। সলভ করে আমি বিজয় গর্বে ছাত্তরদের দিকে তাকালুম। পিছনের বেঞ্চি থেকে ঘুম জড়ানো চোখে পোশ্নো এল - "হোয়াট ইস দ্যাট? আই মিন দ্যাট এলিফ্যান্ট ট্রাংক!"

    তখন বয়েস অল্প ছিল, পোচ্চুর হুজ্জোত করে ছেলেটিকে ইনসট্রাকটর ইনিশিয়েটেড ড্রপ করিয়েছিলাম। কিন্তু কথা হল, ছেলেটি মেকানিকাল ইঞ্জিনীয়ার, বিএস ডিগ্রী ছিল, এবং ফোর্ডে দশ বছর চাকরি করে খাচ্ছিল।
  • lcm | 128.48.7.222 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০০:৫০402362
  • বাহ! এ তো আমার মত স্টুডেন্ট :-)
    তাপ্পি তুপ্পি মেরে, তালেগোলে হরিবোলে, আর্ধেক জিনিস না পড়ে না শিখে না বুঝে ডিগ্রী অর্জন ভারতবর্ষ-এও হয়। স্যাম্পেল চাইলে হাজির হয়ে যাবো :-)
  • rimi | 168.26.215.135 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০১:০৭402373
  • ইন্টিগ্রেশন না জেনেও যদি ফোর্ডে দশ বছর চাকরি করা যায় তাহলে খামোখা ইন্টিগ্রেশন শিখবে কেন?

    আর ভারতীয় আইটি কোংএ দেখেছি বহু লোকজন অ্যালগো কি জিনিষ না জেনেও দিব্বি প্রোগ্রাম লিখছে, আইটির চাগ্রি করছে, এমনকি বছর বছর প্রোমোশনও পাচ্ছে। :-))

    এতে অসুবিধের কি আছে? ফোর্ড গাড়ি তো দিব্বি পপুলার :-)
  • aja | 207.47.98.129 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০১:১৪402384
  • শিখবে কেন প্রশ্নটা, যাকে বলে, অ্যাবভ মাই পে-গ্রেড। আমি যাস্ট রিপোর্ট করলুম - এরকম একটা ঘটনা দেখেছিলুম।

    ইন্টিগ্রেশন না শিখে ফোর্ডে ইঞ্জিনীয়ার হওয়া যায় বলেই লোকে ইন্টিগ্রেশন শেখেনা, এটা একদম ঠিক কথা। ইঞ্জিনীয়ারটিকে এ নিয়ে দোষ দিয়ে লাভ নেই। কিন্তু ফোর্ডকে এ নিয়ে দোষ দেওয়া যায় কিনা, সেটা ভেবে দেখার মত কথা।
  • rimi | 168.26.215.135 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০১:১৬402395
  • অংক পারা নিয়ে ভারতীয়দের মনে একটা অনাবশ্যক গর্ব আছে।

    হায় তবু যদি ....
  • aja | 207.47.98.129 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০১:১৯402406
  • অংক যারা পারে তাদেরই সে নিয়ে গর্ব আছে। রাশান-রা ভারতীয়দের চেয়ে অংক ভাল পারে। সে নিয়ে তারা গর্বও করে। কিন্তু গর্বটা অনাবশ্যক কেন বুঝলাম না।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০১:২২402417
  • ছাত্রতাড়ানো প্রতিক্রিয়াশীল অজদা নিপাত যাক। কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও।
  • aja | 207.47.98.129 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০১:২৫402428

  • :0 :) ;) :D:D:D:D:

  • rimi | 168.26.215.135 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০১:৪৮402439
  • অনাবশ্যক কারণ ভারতীয়রা জাতি হিসেবে অংকে ভালো এটা মিথ।

    আমেরিকানরা অংক ভালো পারে না এটাও মিথ। আমাদের মতন গণহারে ইন্টিগ্রেশন সলভ করতে না শিখলেও যারা অংক ভালোবাসে তারা বেশ ভালই অংক পারে।

    অজদা, আইএস আই, আই আইটির জনতার সঙ্গে কিন্তু মিশিগান স্টেটে কিম্বা কলম্বাস স্টেটে পড়তে আসা আমেরিকানদের তুলনা হয় না। আই এস আই আই আই টি র লোকজনের সঙ্গে তুমি স্ট্যানফোর্ড, বার্কলি, হার্ভার্ডের অংকের ছাত্র দের তুলনা কর, তাহলেই আসল ছবিটা পোস্কার হবে।
  • aja | 207.47.98.129 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০২:০০402451
  • ও, অনাবশ্যক গর্ব মানে ভুল গর্ব!! আমি ওটার মানে ভুল বুঝেছিলাম।

    ভারতীয়রা অংকে খুব ভাল নয়, সে কথাটা মেনে নিতে আমার খুব অসুবিধা নেই। একটি আইআইটি-তে ইঞ্জিনীয়ারিং ছাত্রদের ইন্টারভিউ করার অভিজ্ঞতা বলি। ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করলুম
    কি ভাল পার?
    ছেলে বলল অংক ভাল পারি।
    ইন্টিগ্রেশন কি?
    ডিফারেনশিয়েসনের উল্টো।
    আর কি?
    কার্ভের নীচের অংশের ক্ষেত্রফল, নির্ভুল উত্তর মেধাবী ছাত্রের।
    দুটো কি করে এক হয়? এবার ছাত্র চুপ।
    কখনো এ প্রশ্ন মনে জাগে নি?
    না তো।
  • Paramita | 63.82.71.141 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০২:০৮402462
  • উঁচু ক্লাসে তুলনামূলক চাপ নিয়ে কথা হচ্ছিল - সে ব্যাপারে কেউ দু ডাইম দেবে না?
  • nyara | 67.88.241.3 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০২:১১402473
  • কাল এনপিআরের 'অল থিংস কনসিডারড' অনুষ্ঠানে এক জনতার বই নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আমি মাঝখান থেকে শুনেছি। যা বুঝলাম, মূলত: রেশিয়াল ট্রেইটস নিয়ে ভদ্রলোকের কিছু সোশিওলজিকাল স্টাডিস আছে। উদাহরণ হিসেবে বললেন, যে এশিয়ানরা (জাপানি, চীনে, কোরিয়ান প্রমুখ) অ্যামেরিকানদের থেকে অংকে ঢের ভাল। ভদ্রলোকের বক্তব্য, এর কোন জেনেটিকাল কারণ নেই। এশিয়ার আবহমান কৃষিভিত্তিক সমাজে শেখান হয় যে তুমি মাঠে যেরকম পরিশ্রম করবে, তোমার ফসল সেরকম হবে। কালেকটিভ লার্নিং। সেটাই অংকের ক্ষেত্রেও নাকি প্রযোজ্য। 'যে অংক নিয়ে যত খাটবে, তত ভাল করবে' - এশিয়ানরা এই মনে করে গাঁতায় আর অংকে দড় হয়। অ্যামেরিকানরা মনে করে, 'যার অংক হয়, তার হয়। যার হয় না, তার হয় না।' আর অংকে ঢিলে দেয়।

    আমার লজিকটা বেশ তালেগোলে-হরিবোল লাগল। এই লজিক অংক ছড়া অন্য সাবজেক্টের ক্ষেত্রে কেন প্রয়োগ করা যাবেনা, ভেবে পেলাম না। আর যদি যায়ই, তাহলে শুধু অ্যাকাডেমিকস কেন, জীবনের সব ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা যাবে। এবং সেক্ষেত্রে, শিল্প নয়, কৃষিই আমাদের ভবিষ্যত।
  • aja | 207.47.98.129 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০২:২৬402484
  • আসলে অংকে ভাল হওয়া কথাটা দুটো অর্থে ব্যবহার হচ্ছে।

    ১। অংক কষতে ভাল হওয়া। এই ব্যাপারটা অনেকটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের রুল বেসড এবং প্যাটার্ন রিকগনিশন সিস্টেমের মত। কতগুলো প্যাটার্ন ও করেসপন্ডিং সিমপ্লিফাইং রুলস দেওয়া আছে। প্যাটার্ন রিকগনাইজ করে ঠিক রুল অ্যাপ্লাই করলেই চটপট অংক হয়ে যাবে। এশিয়ানরা সাধারনত: এই ব্যাপারটায় ভাল, মোস্টলি ডিউ টু আপব্রিংগিং।

    ২। বিয়িং ক্রিয়েটিভ, অর্থাৎ নতুন থিওরেম দেখতে পাওয়া, তাদের অ্যাপ্লিকেশন খুঁজে পাওয়া, এই সব। এই ব্যাপারটা আপব্রিংগিঙের ওপর খুব ডিপেনডেন্ট নয় মনে হয়। জেনেটিকসের ওপর হয়তো ডিপেনডেন্ট, কিন্তু রেসের মত ক্রুড প্রেডিকটর এ ব্যাপারটায় খুব ভাল কাজ করবে না।

    এখন একজন ইঞ্জিনীয়ারের পক্ষে প্রথমটায় ভাল হওয়া খুব দরকার। সায়েনটিস্টের পক্ষে দ্বিতীয়টায়।
  • lcm | 128.48.7.222 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০২:২৭402506
  • একেবারে ঠিক কথা। গণহারে ইন্টিগ্রেশন বলতে, প্রচুর ইন্টিগ্রেশন ফরমূলা প্লাস অ্যালজেব্রা/ট্রিগোনোমেট্রি-র ফরমুলার জাগলিং - উইদইন দ্য হাতির শুঁর। ইন্টিগ্রেশন সিম্বল যা কি না আসলে রোমান কার্সিভ হরফে ইংরিজি s, এবং, গ্রীক অ্যালফাবেটের s হল সামেশন সাইন (ভাঙ্গা ক্যাপিট্যাল ই-এর মতন) - উভয়ই পাতি যোগফল, কিন্তু উহাদের মধ্যে সম্পর্ক, কন্টিনিউয়াস ফাংশান... - এত শত বুঝতে গেলে চলে নাকি।
  • rimi | 168.26.215.135 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০২:২৭402495
  • যে অংক নিয়ে যত খাটবে তত ভালো করবে - ইহা যদি সত্য হইত, তাহলে ভারতীয়রা অনেকেই একেকজন রামানুজন হত।

    খাটাখাটনি করে অবশ্যই নিজের ক্ষমতাকে কিছুটা অতিক্রম করা যায়। কিন্তু একটা লিমিটের বাইরে যাওয়া যায় না। অন্যদিকে, হাজার ক্ষমতা থাকলেও সিস্টেমেটিকালি পরিশ্রম না করলে কিছুতেই ভালো করা যায় না। এটা অংক কেন? সব সাবজেক্টের ক্ষেত্রে সত্যি। আমি যদি প্রচুর ভালো ভালো লিটারেচার পড়ি, মাথা ঘামাই, প্রশ্নের উত্তর প্র্যাক্টিস করি, হয়ত বাংলা অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস পেতেও পারি। কিন্তু তাই বলে কি আমি দাড়িদাদু হতে পারব?

    "অংকে ভালো" বলতে ঠিক কি বোঝানো হচ্ছে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
  • rimi | 168.26.215.135 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০২:২৮402516
  • অজদা ডিটো। ঠিক এটাই বলতে চেয়েছিলাম।
  • lcm | 128.48.7.222 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০২:৩১402517
  • অজদা, প্রাচ্য-পাশ্চাত্য এর অংক শেখার অ্যাপ্রোচ নিয়ে রুট কস অ্যানালিসিস-টা বেশ করেছে।

  • arjo | 168.26.215.13 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০২:৩৬402518
  • ভারতে ১১-১২ র পরে কোনো চাপই নেই। ফেস্ট আছে, কমন রুম আছে, গাঁজা আছে, মদ আছে, টিটি আছে, সমাজ বদলে দেওয়া আছে, প্রেম আছে, পরীক্ষা পাশের জন্য ক্লাস নোট এবং টেন টীচার্স আছে, কিন্তু চাপ একেবারেই নেই। এরকম ভাবেই লোকে বেঁচে আছে, এটাই নিয়ম। ব্রিটিশ আমলের কেরাণী তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের এরকম ভাবেই তৈরি করে। আর কেউ এই স্থিতবস্থা ভাঙতেও কেউ রাজী নয়। অল্প দু একটি জায়গা ছাড়া এর রকমফের নেই।

    এখানে ১১-১২ তে কি হয় জানি না। ল্যাদোষ দার লিংকে যা দেখলাম ক্যালকুলাস আমাদের মতনই শেখে। ধরে নিচ্ছি অন্য সাবজেকটেও তাই। চাপ কেমন ডিপেণ্ড করছে পরীক্ষা পদ্ধতি কেমন তার ওপর। দুই বছর ধরে গাঁত মেরে একটা পরীক্ষায় সব নামাতে গেলে চাপ থাকবেই কেউ রুখতে পারবে না।

    একেবারে ছোটদের অবস্থা খুব ভালো। ভারতে শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতির হাল খুব খারাপ। অহেতুক চাপ, রেষারেষি, গুচ্ছ পরীক্ষা, পড়াশুনোর ইন্টারেস্ট ঠিক মতন তৈরি হবার আগেই শেষ। বলতে পারি আমার ছেলে যে ছোটবেলায় এখানের স্কুলে যাচ্ছে সেটা ভালো হয়েছে।
  • lcm | 128.48.7.222 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০২:৫৯402519
  • বৌ-এর এক সহকর্মীর মেয়ে এ বছর স্কুল শেষ করে বার্কলে-তে ডাক্তারি পড়তে ঢুকেছে। অন্য কয়েকটা ভালো জায়গায় চান্স পেলেও খরচার কথা ভেবে বা-মা পাবলিক ইউনিতে যেতে বলেছে। সেই মেয়ে ১০-১২ ক্লাসে দু-তিন বছর নাকি নাইবার খাইবার সময় পেত না, গভীর রাত অবধি অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি। এবং, এখন তার চাপ আরো বেড়ে গেছে, তার সহপাঠিরা নাকি আরও সিরিয়াস এবং মেধাবী, তাদের সঙ্গে তাল রাখতে ওকে এখন ...। চাপ, চাপ। চাপের জীবন।
  • Du | 67.111.229.98 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:০৮402521
  • আমার স্কুল শিশুকালে ৭-১০ আর ফাইভ থেকে ১০.৩০ থেকে ৩.৩০ । এখানে এলিমেন্টারী ৮-৩.১০। এতক্ষণ কথা না বলে নজরদারীতে থাকাও শিশুর পক্ষে চাপ বৈকী। পড়ার চাপ নয়, কিন্তু নিয়ম মানার চাপ।

  • aja | 207.47.98.129 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:১০402522
  • ইস্কুলে চাপ ব্যাপারটা ভাল কি মন্দ নির্ভর করছে ছেলে পাস করে বেরিয়ে কি অবস্থা ফেস করবে তার ওপর।

    এদেশে এতদিন পেট চালানো কুনো প্রবলেম ছিলো না। তাই নেখাপড়াতে তেমুন চাড় ছিলো না। ম্যাকডোনালডে বার্গার ফ্লিপ করে কি পাড়াতে দুকান খুলে পেট চলি যেত। এখুন দিনকাল খারাপ পড়িছে। তাই মনে লয় এই দিশেও জয়েন্ট, কুমন, কোচিং সেন্টার জাঁকাই বসিবে।

    এখন লেখাপড়া বলতে আমি ঐ এসিয়ান স্টাইল লেখাপড়া বলছি। ক্রিয়েটিভিটি ব্যাপারটা কোচিমে গিয়ে হয় না। মোটের উপর সুশিক্ষিত মানেই স্বশিক্ষিত।

    তবে বাবা মা কি করবেন সেটা বাবা মার ব্যাপার। বাবা মা ছেলেকে বলতে পারেন যা দিয়ে তুই ক্রিয়েটিভ হবি না, তা দিয়ে তুই কি করবি। লে, কোচিমে গুল্লি মার। অথবা জিপিএ নিয়ে ছেলেকে দুবেলা ঠুসবেন আর স্যাটের স্কোর নিয়ে গালি দেবেন।
  • Du | 67.111.229.98 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:৪৪402523
  • আচ্ছা, জিজ্ঞেস করেই ফেলি। তোমরা কি দক্ষিণ গোলার্ধে ফ্লাশের জল কোনদিকে ঘোরে এই প্রশ্নের জবাব জানতে?
  • rimi | 168.26.215.135 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:৫৭402525
  • হেঁ হেঁ হেঁ অজদা এক্কেবারে কারেক্ট কথা কয়েচ।

    আর বাপ মা-র উচিত ছেলে মেয়েকে কিছুই না বলা। ছেলে পুলে ক্রিয়েটিভ হবে না কি কেরানি হবে সে তার ব্যপার। বাপ মা-র শুধু এটুকু বোঝালেই হবে যে যাই করো তার কনসিকোয়েন্স তোমাকেই ভোগ করতে হবে বাপু। ব্যস মিটে গেল ঝামেলা।

    আমার ছোটোবেলায় আমি বড় হয়ে কি হবো সেটা ঠিক করার অধিকার পরিবারশুদ্ধু সকলের ছিল, শুধু আমারি ছিল না। কি ভয়াবহ ডিক্টেটরশিপ!!!
  • aja | 207.47.98.129 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৪:০৭402526
  • উঁম্‌ম্‌ম্‌। সেটা ঠিক এত্ত সিম্পল না। প্রথম কথা তো হল নাবালকের দায়িত্ব অভিভাবকের। এক বছরের বাচ্চাকে ঠিক চরে খা নইলে না খেয়ে মর বলা যায় না। তেমনি পাঁচ বছরের বাচ্চাকে পড়তে হলে পড় নইলে চুলোয় যা বলা ফেয়ার হয় না।

    দ্বিতীয় কথা হল, এমনকি বড়দেরও রেগুলেশন দরকার হয়। ওয়াল স্ট্রীট দেখলেই বোঝা যাবে।

    তিন নম্বর হল, বাবার পয়সায় পেট চালালে বাবার মতামত অবশ্যই খুব ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাপার। বাড়ী থেকে বেড়িয়ে গেলে অন্য কথা।
  • rimi | 24.214.28.245 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৮:১৪402527
  • "বাবার পয়সায় পেট চালালে ..." - তাহলে বাবাত্ব আর প্রভুত্বের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই!!!!!!!!!!!!!!!

    কে বলে জেনারেশন গ্যাপ আছে?
  • aja | 71.106.244.161 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৮:২৪402528
  • ফ্রী-লোডিং না করতে দিলেই প্রভু!!!
  • rimi | 24.214.28.245 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:০৮402529
  • এটাকে ফ্রি-লোডিং বলে?????

    আমি কেরানি হবো নাকি আর্টিস্ট হবো এটা এমন একটা ডিসিশন যেটার ফলাফল বাবার চেয়ে অনেক বেশি ভোগ করব আমি। অতএব সে বিষয়ে চূড়ান্ত মত দেবার অধিকার আমারই।

    এটা পাঁচ বছর বয়সের বাচ্চার জন্যে নয়। পনেরো বছরের ধেড়ের জন্যে।
  • santanu | 82.112.6.2 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:১৮402530
  • আমার ১৫ বছরের ধেড়ে ছেলে এবার মাধ্যমিক দেবে। তাকে আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি, যাই করো তার ফল তোমাকেই ভোগ করতে হবে। সে দিব্বি বুঝেছে আর আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে যে তার এখন পড়াশোনা, গান বাজনা কিছুই ভালো লাগে না, স্কুল যাবে, আড্ডা মারবে, অর্কুট করবে ব্যাস। সে ফল যখন আসবে তখন ভোগ করবে।

    আমরা তার মতামতকে চূড়ান্ত মেনে নিয়ে বসে আছি।
  • aja | 71.106.244.161 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:২০402532
  • হু পেস দ্য পাইপার কলস দ্য টিউন। সেটা না হলে তাকেই ফ্রী-লোডিং বলে।

    বাবার কথা পছন্দ না হলে ছেলের উচিৎ বাড়ী ছেড়ে এসে নিজের মত চলা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন