এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিশুশিক্ষা ও বিদ্যালয় অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত

    rimi
    অন্যান্য | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ | ১৭২২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sinfaut | 165.170.128.65 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:২১402533
  • :-)))
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:৩২402534
  • আমাদেরও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে অংক পুরো গোল্লায় যায় - অ্যাটলিস্ট আমাদের কলেজে কম্পিউটার সায়েন্সে তো যায়ই। অথচ, ইউকে (এবং সম্ভবত: আম্রিকাতেও) কম্পিউটার সায়েন্সটা পুরো অংকনির্ভর। লোকে কি ধাঁই ধপাধপ করে অ্যালগো অ্যানালিসিস করে - আর আমার ওই বড় ও টা দেখলেই ভয় লাগে। এবং তার দায় সম্পূর্ণভাবে ঢিসুমের। ঢিসুম যদি পড়াতে পারতো, আমরাও হয়তো শিখতুম।

    গ্রাফ থিওরি - কম্পিউটার সায়েন্সে (প্রোগ্রামিং-এর ক্ষেত্রে নয়, অন্য সব থিওরেটিক্যাল এরিয়ায়) অসম্ভব জরুরী। কিন্তু জনৈক সলিলেশ (বিশাল জ্ঞানী, অস্ট্রেলিয়ার কোনো ইউনির ডক্টরেট - ইয়ে মানে হাবভাবে বুঝিয়ে দিত আর কি) প্রথমদিন ক্লাসে ঢুকে একটা ইনডেফিনিট ইϾট্রগ্রাল (মাইন্ড ইট - তার আগে এইচ এসে শুধু ইϾট্রগ্রেশনই শিখেছি) দিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো - অ্যাজইফ ভুতে এসে আমাদের শিখিয়ে গেছে ওটা কি। তো আম্মো ওই এলেফান্ট ট্রাঙ্কের বেশি কিছু জানি নে।
  • aja | 71.106.244.161 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৪২402535
  • অজ্জিতের কথার উত্তরে।

    আমি এমটেক করেছিলুম আইএসআই-তে। আমাদের অ্যালগো পড়িয়েছিলেন কৃপাসিন্ধু শিকদার। অ্যানালিসিস অসাধারন পড়িয়েছিলেন। কত ভাল, সেটা আমি আম্রিকাতে এসে অ্যাপ্রিসিয়েট করতে শিখি, অনেকটা তার জোরেই করে খাচ্ছি আজও।

    কিন্তু তখন খুব কঠিন লাগত এবং আমরা খুবই বিটারলি কমপ্লেন করতাম। এতটাই, যে আমাদের নাকিকান্না শুনে এক দক্ষিন ভারতীয় অধ্যাপক (তিনিও স্বনামধন্য মানুষ, মার্টিঙ্গেলের ওপর খুব ভাল কাজ আছে বলে শুনেছি) স্বগতোক্তি করেছিলেন - কৃপাসিন্ধু!! হোয়াট এ মিসনোমার।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৪৭402536
  • অজদা - সাবজেক্টটা কঠিন তো বটেই। নুথের বইগুলো দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু আমাদের সেভাবে পড়ানোই হল না - জিনিসটা বোঝানোর চেষ্টাই কেউ করলো না...

    অ্যাকচুয়ালি, আমরা বেসিক্যালি "প্রোগ্রামিং' শিখেছি - সিনট্যাক্স - ইফ-এল্‌স, ডু-হোয়াইল - ব্যাস্‌। অ্যানালিসিসের অ-ও জানি না। আর এর জন্যে আমাকে পিএইচডি-র সময় অনেক ঝাড় খেতে হয়েছে...
  • aja | 71.106.244.161 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৫৩402537
  • আসলে আম্রিকাতেও অ্যানালিসিসের গুরুত্ব গত দেড় দশক ধরে ভীষনভাবে কমেছে। একটি টপ কনফারেন্সে একবার পেপার রিজেক্ট হয়ে ফেরৎ এসেছিল, রেফারির কমেন্ট - বড্ড বেশী থিওরী।

    ট্রনজাকশন অন নেটওয়ার্কিং-এ পেপার দেখেছি, প্রবলেম এনপি হার্ড প্রমান না করেই (যাস্ট ধরে নিয়ে) হিউরিস্টিক দেওয়া হয়েছে। পরে সেই প্রবলেমের পলিনোমিয়াল টাইম অ্যালগো বেরিয়েছে। সবটাই চটজলদি মিলিয়নেয়ার হবার সাইকি থেকে আসে আর কি।
  • Blank | 203.99.212.224 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৫৭402538
  • অজ্জিত দার প্রথম প্যরাকে সাপোর্টালুম। ইঞ্জিনিয়ারিং এর আমাদের সিলেবাসে প্রথম দুটি বছর বেশ কিছু অঙ্ক গেলানো হয়। একদম গেলানো। আর বাকি দুটো বছরে অঙ্ক থাকে না। খুব কম ছেলেই অঙ্কটা সিরিয়াসলি করে।
    পরে যখন এক এক করে আসতে থাকে অ্যালগরোদম, জেনেটিক অ্যালগরিদম ... তখন বোঝা যায় যে কোথায় ফাঁকটা রয়ে গেছে। আর ভবিষ্যতে এই কনসালটেন্সি ইন্ড্রাস্ট্রির বাইরে অন্য কিছু করতে চাইলে খুব সমস্যা হয় এই ফাঁকটার জন্য।
    অল্প কিছুদিন ISI তে কাজ করার সময় বুজেছিলাম যে অনেকটা বড় ফাঁক তৈরী হয়েছে। অথচ পাতি অঙ্কের সিলেবাস টাকে না গিলিয়ে ওটাকেই হালকা করে চারটে বছর টানা পড়ালে অনেক ভাল হতো।
  • r | 125.18.104.1 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:০৮402539
  • পশ্চিমবঙ্গে শিশুশিক্ষার হাল অত্যন্ত খারাপ। ভালো স্কুলে চিরদিনই ভালো পড়ানো হয়। কিন্তু মাঝারি ও মাঝারির তলায় যে সমস্ত বাংলা মিডিয়াম স্কুল আছে, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিশু পড়ে থাকে, সেগুলোর কথা বলছি। বিশেষত: ইংরিজির অবস্থা কহতব্য নয়। নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকেই দেখেছি, এইসব স্কুলের ক্লাস ফোর ফাইভের ছেলেরা "আই অ্যাম অ বয়" বা "মাই নেম ইজ ..."- এইটুকু বাক্যরচনাও করতে পারে না। ইংরিজি পড়তে শেখাটা হয়েছে ভিসুয়াল। মানে আই আর টি পাশাপাশি দেখলে বোঝে যে ওটা হল ইট। কিন্তু সেই একই যুক্তিতে এস, আই আর টি যে সিট হয় এটা বোঝানো হয় না। অথচ বাচ্চাগুলোর বুদ্ধিতে কোনো ঘাটতি নেই, পটাপট অঙ্ক শিখে নেয়। আমাদের ছোটোবেলায় কিন্তু এইসব স্কুলের মান এইরকম খারাপ ছিল না। স্লেট বা এস এস সি-র রেজাল্ট দেখলেই বোঝা যায় স্কুলগুলোর হাল কি হয়েছে। আই টি কোম্পানিগুলোতে ঢুকে বড় বড় প্রোগ্রাম লিখছে, অথচ এক পাতা ইংরিজি দিয়ে জোরে জোরে রিডিং পড়তে বললে পঁচিশবার অ্যাঁ অ্যাঁ করে, পাঁচশবার ঢোঁক গিলে ছড়িয়ে লাট।
  • Blank | 203.99.212.224 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:১৫402540
  • একটা বড় অভাব মনে হয়, ভাল টীচারের। টীচিং প্রফেশানে যারা আসেন তাদের অনেক কেই দেখেছি বাধ্য হয়ে আসতে। ঐ SSC দিয়ে একটা চাকরী ব্যাস।
  • r | 125.18.104.1 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩১402541
  • ক্যালকুলাস কিরকম পড়ানো হয়, বা সাউথ পয়েন্টে কি হয় বনাম পাঠভবনে কি হয়- এগুলো শিশুশিক্ষার মানের জন্য খুব একটা জরুরী প্রশ্ন হয়। ইংরিজি ও মাতৃভাষা ভালোভাবে পড়তে ও লিখতে শেখা, নিজে নিজে লিখতে পারার অভ্যাস, বেসিক পাটীগণিত ও জ্যামিতি নিজে নিজে করতে পারা এবং সব বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকা- এইটুকু হল ভালো শিশুশিক্ষার মাপকাঠি। এইগুলো ঠিকঠাকভাবে তৈরি হলে পরবর্তীকালে কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ স্কুলে এই ন্যুনতম অভ্যাসটুকুও তৈরি হয় না।
  • r | 125.18.104.1 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩২402543
  • *নয়।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৪৩402544
  • তার কারণ আমাদের ওষুধ গেলানোর কনসেপ্ট চলে। আমি তো এই বাচ্চাদের ক্লাসে পাঠ্য বইয়েরও কোন দরকার দেখি না।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:১৮402545
  • এবং এর জন্যে কেউ একা দায়ী নয়। সরকার, মিডিয়া, স্কুল কর্তৃপক্ষ, টিচার, এবং বাপ-মা - সবাই দায়ী। আজন্মকাল যা চলে আসছে তার বাইরে বেরোলে ঐতিহ্যে ধাক্কা লাগবে, তাই যা চলছে চলুক।

    এর আগে বর্ণপরিচয় নিয়ে একটা টইয়ে এই নিয়ে প্র্যাক্টিক্যালি বাওয়াল হয়েছিলো। আমি মনে করি এই মুহূর্তে শিশুশিক্ষায় বর্ণপরিচয় (অন্তত: অরিজিনাল ভার্সন এবং সহজ পাঠও) পুরো অচল। কেউ পারবে সরাতে? সব একধারসে হইহই করে উঠবে না? ঐতিহ্য গেলো, সব গেলো, কত বড় বড় নোক এই পড়ে শিকেছেন আর তুমি কোন কালাপাহাড় হে?
  • Du | 67.111.229.98 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ২৩:১৬402546
  • বাবা মায়েরা উৎসাহ দেওয়া মানেই সেই আনন্দের জিনিসের স্বর্গ হইতে বিদায়। আঁক তো ভালো আঁকো, গান গাও তো ভালো গাও এমনকী খেলা, তাও ভালো করে খেল। ;-)

    তার চেয়ে বাবা মায়েরা শুধু পড়াশোনায় উৎসাহ দেওয়াই ভাল।

  • nyara | 64.105.168.210 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ২৩:৪২402547
  • র-বাবু ঐ কথাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ - 'সব ব্যাপারে জানার আগ্রহ'। 'ক্লাসে ফার্স্ট হও' বলাটা এত বেড়ে গেছে, যে আপাত অপ্রয়োজনীয় জিনিস সম্বন্ধে কৌতুহল না থাকা ও না জানার একটা বিরাট খারাপ ফল হচ্ছে। এমনিতেই আমাদের স্কুলের কারিকুলাম অত্যন্ত বইকেন্দ্রিক ও কেঠো। নামকোবাস্তে ওয়ার্ক এডুকেশন আর ফিজিকাল এডুকেশন রাখা হয়। ছেলেপুলেরা 'মার্ক্সিজমের ভবিষ্যত' কিম্বা 'অয়লারের প্রতিপাদ্য' নিয়ে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদতে পারে, কিন্তু একটা নতুন ছবি কি গান কি নাটকের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারে না এটা কেন ভাল কি কেন খারাপ। মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পুঙ্খাণুপুঙ্খ রাজনৈতিক অ্যানালিসিস করে দিতে পারে, কিন্তু কিন্তু খবরের কাগজ পড়ে কোন রাজনৈতিক ঘটনার গুরুত্ব আন্দাজ করতে অপারগ। আগে অন্তত: বাড়িতে লোকেরা বাইরের জিনিস নিয়ে উৎসাহ না দিলে 'ও করে কি হবে' বলে জল ঢালতেন না। এখন সেসব আর হয়না। এর অনেক কারণ নিশ্চয়ই আছে, সেসবে না গিয়েও বলা যা - ভাল হচ্ছে না।

    কলেজেও যেটা শেখান উচিত বেশি করে, তা হল স্বাধীন চিন্তা ও কাজ করার ক্ষমতা। ফিজিক্সের অপটিক্সের চ্যাপটার পড়ান হলে ভাল, না হলেও ছেলেপুলেরা পড়ে নিতে পারবে যদি স্বাধীন চিন্তা আর কাজ করার অভ্যেস গড়ে তোলা যায়। লাইব্রেরি ওয়ার্ক (এবং এখন ইন্টারনেট ওয়ার্ক) ফরমালি তো শেখানই হয়না, অভ্যেসটাও গড়ে ওঠে না। ফলে কলেজ থেকে বেরিয়েও ছাত্রছাত্রীরা পরমুখাপেক্ষী, নোট ও বই নির্ভর। একা পথচলায় অন্ধ। এ ছবি বোধহয় সত্তরের দশকের থেকেই শুরু হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে তত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
  • lcm | 128.48.7.222 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০০:৪০402548
  • যাক, r আলোচনাটাকে আবার সাবজেক্ট ম্যাটারে এনে ফেলেছে, আর, ন্যাড়া সুন্দর বক্তব্য রেখেছে।
    ইন্ডিপেন্ডেন্ট থিংকিং-এর ভিত্তি হল ইন্ডিপিন্ডেন্ট রিডিং। সোজা কথায় একটা নতুন কিছু নিজে পড়ে শেখা, বোঝা এবং আনন্দ পাওয়া। ইন জেনারেল, রিডিং ব্যাপারটা বেশী সিলেবাস এবং কারিকুলাম নির্ভর হয়ে পড়েছে।শুধু তাই নয়, সিলেবাসের নির্ধারিত বইগুলো-ও নিজে নিজে পড়ে বুঝে নেওয়ার প্রয়াসকে হ্রাস করে দেওয়া হচ্ছে খুব অল্প বয়স থেকে প্রাইভেট টিউটর এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত অ্যাডাল্ট সার্ভেইল্যান্স/সুপারভিশন এর ফলে। আরবান মিডিল ক্লাসে এই প্রবণতা আরো বেশী। সিস্টেমে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয় রিটেন কমুনিকেশনের ওপর, ততটা দেওয়া হয় না ভার্বাল-এ। কারণ, ইভ্যালুয়েশন সিস্টেমটা মূলত রিটেন এক্সপ্রেশন-এর ওপর ডিপেন্ডেন্ট, স্কুলে ভাইভা ইত্যাদি চালু হলেও তেমন গুরুত্ব নেই।
  • arjo | 168.26.215.13 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০১:২৮402549
  • ইংরিজির সমস্যা শুরু হয়েছে লার্ণিং ইংলিশ শুরু হবার সময় থেকে। আমরা মনে হয় তৃতীয় ব্যাচ। সারা জীবনের মতন পিছিয়ে দিয়েছে। যাদের বাড়িতে বা অন্য কোথাও অল্টারনেটিভ বন্দোবস্ত ছিল তারা উৎরে গিয়েছে। বলা তো অভ্যেসের ব্যপার। ভাষাটা ঠিক মতন জানলে পরে ধরে নিতে অসুবিধা হয় না। মূল সমস্যা ইংরিজি ঠিক মতন না জানা। লার্ণিং ইংলিশ পড়লে ইংরিজি শেখা যায় না। তো সেই সমস্যা তো আছেই, কিন্তু সেটাই সব নয়।

    বাংলা মিডিয়াম স্কুলে ইংরিজির সমস্যা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই, পাড়ায় পাড়ায় ব্যঙের ছাতার মতন ইংরিজি মিডিয়াম স্কুল শুরু হয়েছে। যেকোন একটা মফ:স্বল শহর ধরে নিলেই এই ট্রেন্ড চোখে পড়ার মতন। বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারের বাচ্ছারা আজকাল ইংরিজি মিডিয়াম স্কুলে পড়ছে। লজিক টা হল ইংরিজিটা তো শিখুক, অংক ইত্যাদি বাড়িতে দেখিয়ে দেওয়া যাবে। আর অন্য লজিক হল ইংরিজিটা বলতে শিখলে নিদেন পক্ষে মেডিকাল রিপ্রেসেনটিটিভ তো হবে। এইসব স্কুল গুলো মারাত্মক, এখানে কেউ দায়ে না পরলে পড়াতে যায় না। তাই শিক্ষক শিক্ষিকার মান খুব নীচু। বাংলা মিডিয়ামে পড়লে ইংরিজিটা শিখবেন না, আর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়লে ""হাই বাডি"" ছাড়া আর কিছু শিখবেন না। জ্বলন্ত উনুন না তন্দুর চয়েজ আপনার।

    আর একটা বিরাট সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে। ন্যাড়াদা যা বল্লে আর কি ফার্স্ট হতে হবে। সবাই নম্বরের পেছনে দৌড়চ্ছে। তা সেটা খারাপ না, কিন্তু শুধুই সেটা হলে নাম্বারো হয় না, জানাও হয় না। ফার্স্ট হবার জন্য বাড়িতে বাড়িতে প্রবল চাপ। কয়েক বছর আগে একটা আর্টিকল পড়েছিলাম কলকাতায় শিশু এবং টিন সাইকলি্‌জকাল পেশেন্ট অনেক গুণ বেড়েছে। তার অনেকটাই এই চাপের সাথে মানিয়ে নিতে না পারার জন্য।

    আর বাকি ন্যাড়াদা যা বললে সমর্থন করলুম। একটা তথ্য কলকাতা ইউনিভার্সিটির স্ট্যাটিসটিক্সের সিলেবাস লাস্ট আপডেটেড হয়েছে ১৯৭২ সালে (এটা অবশ্য ১০ বছর আগের তথ্য, সেই হিসেবও বেশ বাজে)।

    সব মিলিয়ে শিশু শিক্ষার হাল প:ব: এ অত্যন্ত খারাপ। কিন্তু সেদিকে যথেষ্ট নজর সরকারের নেই। কোনো কর্মসূচী নেই, অদূর ভবিষ্যতে নেওয়ার কোনো চান্সও নেই।
  • rimi | 168.26.215.135 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০১:৫৭402550
  • আমি যখন স্কুলে পড়তাম, আমাদের স্কুলে লাইব্রেরি পিরিয়ড ছিল। লাইব্রেরিতে নানারকম বই থাকত, বেশির ভাগ গল্পের বই, লাইব্রেরি পিরিয়ডে আমরা নিজেরা বেছে বই নিতে পারতাম। এছাড়াও লাইব্রেরি টিচার কোনো একটা বই পড়ে শোনাতেন, যা সিলেবাস বহির্ভূত।

    সম্প্রতি শুনলাম সেই লাইব্রেরি পিরিয়ড স্কুল থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত প্রধানা শিক্ষিকা পিরিয়ডটি তুলে দিয়েছেন, কারণ এতে "সময় নষ্ট হয়"।
    এদিকে আমাদের স্কুল থেকে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে বিশেষ স্থানাধিকারিদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কারণ ছাত্রীরা আজকাল আর কেউ "সময় নষ্ট" করে না। আমার মা এই স্কুলেই কিছুদিন আগে পর্যন্ত ইংরাজির টিচার ছিলেন। বড়দির কড়া নির্দেশ ছিল/আছে "ড্রিলিং করান।" হ্যাঁ, লিটারেচারও ড্রিলিং করাতে হত/হয়। নইলে পরীক্ষায় নম্বর উঠবে কেমন করে?
  • aja | 207.47.98.129 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০২:৪০402551
  • ভেবেছিলুম এটা নিয়ে বেশী কথা বলব না। কিন্তু একটা মিটিঙের আগে হাতে খানিক ফাঁকা সময়, সুতরাং ওমর খইয়াম যেমন বলে গেছেন - my threadbare patience apices tore

    ১। 'র'-এর কথা গুলো স্কুল শিক্ষায়, মানে অষ্টম শ্রেনী পর্য্যন্ত সত্যি। তারপরে কমিউনিকেশন স্কিল ও বেসিক অ্যারিথমেটিক ছাড়া অন্য ব্যাপারগুলোর গুরুত্ব বাড়ে।

    ২। ন্যাড়ার কথাগুলোর সাথে আমি মোটামুটি একমত। তবে কলেজে ফিজিক্সের ছাত্র যদি অপটিক্স না পড়ে থাকে, তাকে ফিজিক্সের ডিগ্রী দেওয়া যায় না। কলেজ ডিগ্রী শুধু পোটেনশিয়ালএর মেজারমেন্ট হলে (অ্যাচিভমেন্টের হিসেব বাদ দিয়ে) বিপদ আছে। তেমন ছাত্তরকে আমি ইন্টারভিউতে পাসমার্ক দেব না। আমার বিশ্বাস ন্যাড়াও দেবে না। আর যে ছাত্তর ৩/৪ বছর ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টে কাটাল, অথচ অপটিক্সের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিছু শিখতে চাইল না, তার শেখার আগ্রহ ও ইচ্ছা নিয়েই তো সন্দেহ হয়।

    ৩। সবাইকে ফার্স্ট হতে হবে, এই কথাটা শিক্ষাব্যাবস্থার সমস্যার চেয়ে সমাজব্যাবস্থার সমস্যার দ্যোতক। আমাদের সমাজে আমরা একটা প্রিডেটরী সিস্টেম চালু রেখেছি, যেখানে উইনার টেকস অল। সেই ব্যাবস্থায় উইনার হতে শেখানোটাই ঠিক শিক্ষা। এ নিয়ে দু:খু করে লাভ নেই। হয় এই সিস্টেম বদলে তুলনায় সোশ্যালিস্ট সিস্টেমের কথা বলা হোক, নইলে ইঁদুরদৌড় ভাল করে শেখানো হোক।
  • rimi | 168.26.215.135 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:০৫402552
  • ৩ নং পয়েন্টের সঙ্গে একমত নই।

    উইনার টেকস অল - খাঁটি কথা।

    কিন্তু উইনার = পরীক্ষায় ফার্স্ট হওয়া?

    একেবারেই মানা গেল না।
  • rimi | 168.26.215.135 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:১০402554
  • পরীক্ষায় ফার্স্ট হতে হবে এটা অ্যাবসোলুটলি শিক্ষা ব্যবস্থার দ্যোতক। সমাজব্যবস্থার দ্যোতক হলে সব সমাজে সব দেশে ফার্স্ট হবার বা নম্বর পাবার ইন্দুর দৌড় চালু থাকত। কেননা উইনার টেকস অল সব সমাজে সব দেশে সব কালে মোটামুটি সত্যি।
  • aja | 207.47.98.129 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০৪:০৯402555
  • পৃথিবীর যে সব দেশে উইনার টেকস অল চালু আছে, সে সব দেশে কোন না কোন চেহারায় ইঁদুর দৌড়ও আছে। কোন দেশে নম্বর, কোন দেশে ফুটবল - এই তফাৎ।

    আম্রিকার অভিজ্ঞতা বলি। আমার বড় মেয়ে এই সেমেস্টারে কালেজে গেছে। সেই অভিজ্ঞতা এখনো টাটকা। প্রসঙ্গত: বলি, আমার মেয়ে তার হাই স্কুলে ওপরের দিকে মাঝারি। তার বন্ধুরা অনেকেই আইভি লীগে গেছে। যারা তা পারেনি তারা বার্কলি, অ্যান আর্বার, অস্টিন, ইউসিএলএ এই সব জায়গায় গেছে। আমার মেয়ে ইউসি-র একটি তুলনায় ছোট ক্যাম্পাসে গেছে। তো তেনার বন্ধুদের পড়াশুনার চার আমাদের চেয়ে কম দেখিনি। বেশীর মধ্যে আমাদের শুধু নেখাপড়া করলেই হত। আমার মনে আছে সোশ্যালি অকওয়ার্ড হলে অসুবিধা হত, কিন্তু এদেশের মত একেবারে একঘরে হতে হত না। এদেশে নেখাপড়ার পাশাপাশি একটি ভাইব্র্যান্ট সোশ্যাল লাইফ মেনটেন করতে হয়।

    আমাদের দেশেও শতকরা নব্বই শতাংশ লোকের জীবনে এই ইঁদুর দৌড় নেই। মানে ঝি, চাকর ইত্যাদিদের ছেলেরা জয়েন্ট, আইআইটি, ইংরাজী বলা নিয়ে মাথা ঘামায় না। এদেশেও নব্বই শতাংশের তাই। আমরা ঐ নব্বই শতাংশকে একশো ভাগ ধরে নিয়ে ভুল করে ফেলি।
  • nyara | 64.105.168.210 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০৪:৪৯402556
  • আমার বক্তব্য ছাত্রছাত্রীদের অপটিক্স না জেনে পাশ বা ফেল করা নিয়ে নয়। আমি বলছি যে ছাত্রছাত্রীদের যেহেতু ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওয়ার্ক করতে শেখান হয়না বা উৎসাহ দেওয়া হয়না, কলেজে যদি কোন একটা জিনিস না পড়ায়, ছাত্র-ছাত্রীরা তার গুরুত্ব বুঝতে পারে না। ফলে পরীক্ষায় সেই প্রশ্ন এলে ঝামেলা আরম্ভ হয়ে যায়, 'আমাদের পড়ান হয়নি তবুও পরীক্ষায় এসেছে' এই বলে। যদি ছাত্রচাত্রীরা গুরুত্ব বুঝতে পারত, তাহলে অপটিক্স না পড়ালে টিচারের লাইফ হেল করে দিত। কিন্তু এখনকার অবস্থায় ছেলেপুলেরা ভাবে, 'স্যার পড়াননি, তাহলে নিশ্চয়ই ওটা তেমন ইম্পর্ট্যান্ট নয়।'

    এবং এও বলে রাখা ভাল যে কোনভাবেই আমি শিক্ষকদের না-পড়ান ও ফাঁকি মারাকে সমর্থন বা তারিফ করছি না। কিন্তু সেটা অন্য আলোচনা।
  • aja | 207.47.98.129 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০৫:০৩402557
  • ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওয়ার্ক করতে কি শেখানো যায়? আর ওটা করতে উৎসাহ দেওয়াই বা যায় কি করে?

    ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওয়ার্ক যদি শিক্ষক করতে পারেন তো তাকে দেখে হয়তো একটু উৎসাহ পাওয়া যায়। কিন্তু যেহেতু ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওয়ার্ক করার মত মানুষ কম, তাই ডজন ধরে সেরকম শিক্ষক যোগাড় করার আশা দুরাশা।

    সুতরাং কলেজে গিয়ে ছেলেপুলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাজ করতে শিখবে - ইটি কখুনো হবে নি। যার শেখার, সে নিজে নিজেই শিখবে।
  • shyamal | 24.119.209.40 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০৫:২৮402558
  • গত তিন দিনের অজস্র পোষ্ট পড়লাম। অজ ঠিকই বলেছে, নব্বই না হলেও পঞ্চাশ শতাংশ বাচ্চার জয়েন্ট দেওয়া , ডাক্তারি ইত্যাদি পড়া চিন্ততেও আসেনা।
    ১) আজ কি হয়েছে বলতে পারবনা, কিন্তু আমাদের আমলে স্কুল পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যারা ঢুকত, সবাই টেক ইট ইজি করত। আমদের প্রধান কাজ ছিল ল্যাব রিপোর্ট ভাল করে তৈরী করা আর ক্লাসে নোট নেওয়া। ক্লাসে কি পড়ানো হচ্ছে কেউ জানেনা। তার কারণ বাড়িতে প্রায় কেউ বই উল্টেও দেখেনা। তার পর সেমেস্টার পরীক্ষার আগের ছুটিতে দ্যাখ দ্যাখ বই উল্টে, নোট উল্টে কি বোঝা যায়। শুধু তাই নয়, আমরা ডিভিশন অফ লেবার করতাম। ক বানাবে রেডারের নোট, খ ই এম থিয়োরী, গ লাইন কমিউনিকেশন, ঘ অ্যান্টেনা। ব্যাস, পরীক্ষার আগে অল্প পরিশ্রমে ভাল নম্বর।
    ২) আমি কম্পুটার সায়েন্সের কথা জানিনা, কিন্তু আমাদের তো ইলেকট্রনিকসে আটটা ম্যাথ পেপার ছিল। কাজেই অংক কম করিনি।
    ৩) আমেরিকানরা একটা কথা বলে , আমেরিকায় ইঞ্জিনিয়ারিংএ ঢোকা সহজ, বেরোন কঠিন। আর জাপানে উল্টো। এ ব্যাপারে ভারতও জাপানেরই মত। অর্থাৎ ভারত বা জাপানে প্রতিযোগীতার জন্য ঢোকার সময়েই ফিল্টার হয়ে যায়। তাই বাকিটা সহজ।
  • aja | 207.47.98.129 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০৫:৩৮402559
  • নব্বই শতাংশের হিসেবটা কি করে করা বলি।

    আমাদের স্কুলে যত ছাত্র মাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশন পেয়েছিল, তার মোটামুটি শতকরা আশি জন জয়েন্টে বসেছিল। যতদূর মনে পড়ছে, আমাদের বছরে লাখ খানেক ছাত্রের মধ্যে হাজার দশেক ফার্স্ট ডিভিশন পেয়েছিল। যেহেতু কিছু সেকেন্ড/থার্ড ডিভিশন পাওয়া ছাত্রও জয়েন্ট দেয়, আমি ঐ মোটামুটি দশ শতাংশ ছাত্রকে ইঁদুর দৌড়ে ঢুকিয়ে নিয়েছি :D
  • shyamal | 24.119.209.40 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০৫:৪৬402560
  • রিমি বোধ হয় বললেন, আইসোটোপ কি জেনে কি হবে? ব্যাপারটা হল রোজগার খুবই দরকারী কিন্তু সেটাই সব নয়। আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই কিছুটা সায়েন্স, অর্থনীতি, সাহিত্য, আর্ট, খেলা, ম্যানেজমেন্ট, সিভিক্স ইত্যাদি জানা প্রয়োজন। তাতে অর্থকরী লাভ না হলেও।

    এদেশে স্কুল পাশ করা ছেলেপিলের স্ট্যান্ডার্ডে প্রচুর তফাৎ। এমনকি কলেজ পাশ করাদেরও। কারণ এদেশে ফাঁকিবাজি করে সহজ কোর্স নিয়ে স্কুল, কলেজ পাশ করে যাওয়া যায়। তার সঙ্গে অবশ্য ভবিষ্যৎ কেরিয়ারের ঠিক যোগ নেই। তবে দেখা গেছে, যারা গড়ের চেয়ে ভাল তারা সাধারণত: আইভি তে গেলে বা না গেলেও ভালই টাকা করে।

    কেন পড়াশোনা দরকার? এদেশে পঞ্চাশের দশকে লোকে হাই স্কুল পাশ করেই বড় কোম্পানিতে ঢুকে পড়ত। তারপরে সেখানে কাজও শিখত, চাইলে পার্ট টাইম কলেজও করত। অনেক দূর উন্নতি করা যেত আর এদের মান ছিল মধ্যবিত্ত।
    কিন্তু আজ হাইস্কুল পাশ হলে বার্গার ফ্লিপ করতে হবে বা গ্রসারী স্টোরের কাউন্টারে কাজ করতে হবে। বিশ্বায়নের সাথে সাথে মার্কিনিদের শুধু পাশের ছেলের সঙ্গে নয়, কাঁথিতে যে ছেলে ভাল রেজাল্ট করে কলেজে যাচ্ছে, তার সঙ্গেও কম্পিট করতে হচ্ছে। ভাল মাইনের কাজ আর মার্কিনি সীমার মধ্যে আটকে নেই। তাই আজকের ছেলেমেয়েদের আগের প্রজন্মের চেয়ে অনেক বেশী পড়াশোনা করতে হবে। এদেশে হার্ভার্ড থেকে বেরিয়েও আজ অনেকে বেকার কারণ হয়তো ইতিহাসে ডিগ্রি করেছে যার বাজারে দাম নেই।

    অথচ এদেশে স্কুলে সায়েন্সের মান আমাদের দেশে যারা সায়েন্স নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তার চেয়ে অনেক নীচে। কজন আর এপি কোর্স নেয়? এপি কোর্স গুলো আমাদের দেশের কাছাকাছি। এজন্য পরের প্রজন্মকে ঝাড় খেতে হবে।
  • shyamal | 24.119.209.40 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০৫:৫১402561
  • অজর হিসেবটা বোধ হয় একটু কমের দিকে। কারণ আমাদের হায়ার সেকেন্ডারিতে (তখনও মাধ্যমিক হয়নি) পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ষাট হাজার। ফার্স্ট ডিভিশন ৩২০০।
  • lcm | 128.48.7.203 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০৬:০১402562
  • আমেরিকা-তে স্কুল সায়েন্স কারিকুলাম ইন্ডিয়া-র থেকে বেশী রিচ। ইন্ডিয়া-তে কজন আর সায়েন্স পড়বার সুযোগ পায়।
  • lcm | 128.48.7.222 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০৬:৩৪402563
  • কিন্তু শ্যামল, যারা এখানে বার্গার ফ্লিপ করেন, তাদের তো কাঁথির ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে ফ্লিপিং-এ কম্পিট করতে হচ্ছে না? ইঞ্জিনিয়ার-রা কি ভালো বার্গার বানাতে পারে?

    যা! আলোচনাটা আবার সাবজেক্ট ম্যাটার থেকে সরে যাচ্ছে। সরি!
  • rimi | 24.214.28.245 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০৮:১০402565
  • শ্যামলবাবু, এটা ঠিকই যে প্রত্যেকেরই রোজগারের জ্ঞানের বাইরেও কিছু সাধারণ জ্ঞান সব বিষয়ে থাকা উচিত।

    ভারতে সব বিষয়ে জ্ঞানলাভ দশম শ্রেণী পর্যন্ত। এরপরেই যার যার স্ট্রিম অনুযায়ী আলাদা খাতে পড়াশুনো। আমেরিকাতে কিন্তু আন্ডারগ্র্যাড লেভেলেও বিভিন্ন সাবজেক্ট পড়তে হয় (লিবারাল আর্টস এডুকেশন)। কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রকে সে জন্যে পলিটিকাল সায়েন্স, সাইকোলজি ইত্যাদি সবই পড়তে হয়।

    শুধুমাত্র আইসোটোপ কাকে বলে বা সোনা ভারি না সীসা ভারি এই দিয়ে কারোর জ্ঞানের গভীরতা যাচাই করা যায় না। যদি বা যায়, ভারতীয় উচ্চ শিক্ষিত লোকেদের কজন নিজের প্রফেশনের বাইরে এই সব তথ্য জানে বা মনে রাখে??

    এখানে যারা উচ্চশিক্ষিত তারা কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে ভালৈ পড়াশুনা করেন ও জানেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন