এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শোক ও শস্যের ওয়াগন/৫

    Siddhartha
    অন্যান্য | ২৮ মার্চ ২০১২ | ৩৭১৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 168.26.215.13 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০০:৫৩540855
  • রিদ্ধির সবেতে পাকামো। ইন্দিরা মারা যাবার সময়ে আদৌ সুচিত্রা কোন গান করে নি। এসব তখন হত না। তখন টেলিভিশনে রাজ করত শ্বাশতী, চৈতালি, ছন্দা সেন, দেবরাজ রায়। কে খবর পড়বে এই নিয়ে আমরা বাজি ধরতাম। তখন কেউ মারা গেলে ঘ্যানঘ্যানে সুরে ধর্মগ্রন্থ পড়া হত।
  • byaang | 122.178.251.38 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০০:৫৫540856
  • না না আকা, ঋদ্ধি ঠিকই বলেছে, সুচিত্রা মিত্র, সুবিনয় রায়দের রবীন্দ্রসঙ্গীতও হত ধর্মপুস্তক পাঠের ফাঁকে ফাঁকে। সাধে আমার স্লো রবীন্দ্রসঙ্গীতে অ্যালার্জি!
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০১:০০540857
  • নব্বই এর আরেকটা মিথ ছিল মুনমুন সেনের পানু। ভুত ভগবান আর মুনমুনের পানু এই তিনখানা জিনিস-ই সক্কলে জানত আছে, কিন্তু কেউ দেখেনি।

    স্কুলে সে কি উত্তেজনা! কেউ দাবী করছে সে দেখেছে, জর্জ বেকারের সাথে নাকি। একটু চেপে ধরতেই বেরিয়ে গেল ঢপ মারছে। কেউ আবার পাড়ার লোকাল ভিডিও শপে খোজ লাগাচ্ছে, পাওয়া যায় কিনা।

    আজকাল মনে হয় সত্যি মিথ্যে মিলিয়ে ওটাও একটা মিথ-ই ছিল। ইমাজিন্ড কমিউনিটির অংগ হয়ে আমাদের সাথে রাস্তা হেঁটেছিলেন মুনমুন সেন :)
  • rimi | 168.26.205.19 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০১:০৪540859
  • ব্যাঙের সঙ্গে আমার কি অদ্ভুত মিল!! ইন্দিরা গান্ধী মারা যাবার সময়ে আমিও ক্লাস ফোরে পড়তাম।

    আর সেই সময়ে শিবুদা প্রেসিতে পড়ত, নাকি আই এস আইতে? মোট কথা দাড়ি রাখত, লুংগির সঙ্গে পাঞ্জাবী পরে পড়ে কলেজ যেত, আর তার ফলে শিয়ালদা স্টেশনে নাকি একদল লোক শিখ ভেবে শিবুদাকে চেপে ধরে খানিক উত্তম মধ্যম দেবার তাল করছিল।

    বলা বাহুল্য, এই গল্প শুনে আমি এমন মুগ্‌ধ হয়ে গেছিলাম যে পরের্দিন স্কুলে হেন বন্ধু ছিল না যাকে ডেকে এই গল্প শোনাই নি :-))
  • aranya | 144.160.226.53 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০১:০৪540858
  • সিদ্ধার্থ, টু গুড। তাতিন, তোমার লেখাটাও।
    আমিও পাপ স্বীকার করি। ইন্দিরা মারা যাবার খবর পেয়ে, আমরা কজন হস্টেলে আলোচনা করছিলাম, ভারতে বাম আন্দোলনের জন্য এটা একটা পজিটিভ ঘটনা হতে পারে - এইসব।
  • Tim | 198.82.25.157 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০১:০৬540860
  • :-))
  • byaang | 122.178.251.38 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০১:০৭540861
  • বাবা রে রিমি, কী সাঙ্ঘাতিক থ্রিলিং গল্প এটা। আমি এত বছর পরেও কল্পনা করতেই শিউরে উঠছি। :-))
    ইন্দিরা গান্ধী মারা যাওয়ার পরেরদিন তোদের স্কুল খোলা ছিল? কী বিচ্ছিরি স্কুল রে তোদের! আমাদের তো ছুটি দিয়েছিল।
  • Tim | 198.82.25.157 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০১:১২540862
  • সিপিএম স্কুল ছিলো বোধয়
  • rimi | 168.26.205.19 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০১:১৪540863
  • আরে পরের দিন মানে থিওরেটিকালি পরের দিন, মানে পরে যেদিন ইস্কুলে গেলাম :-)))
  • kc | 178.61.96.29 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০১:৩৩540241
  • বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার সময় বোধ হয় তিনদিন ধরে বন্‌ধ চলেছিল। হোস্টেলে চাল আর আলু আর তিন লিটার তেল একটু নুন হলুদ ছাড়া কিচ্ছু ছিলনা, সেকেন্ড দিন থেকে ছেলেরা আলপিন বাঁকিয়ে বঁড়শি বানিয়ে হোস্টেলের পুকুরে বসে পড়েছিল তেলাপিয়া মাছ ধরবে বলে। ওই মাছের কি একটা হত, আর আলুসেদ্ধ ভাত। এর ফাঁকে একজন খবর আনল গড়িয়াহাটের আনন্দমেলা ভেঙ্গে ফেলেছে লোকে। হোস্টেল থেকে কিছু পাবলিক বেড়িয়ে পড়েছিল, আমাদের ঘরে এসেছিল দুটো লোট্টো জুতোর বাঁ পাটি আর একটা দেওয়াল ঘড়ি।

    দিব্যা ভারতীর শোকে আমাদের দুদিন মাসকাট হয়েছিল। তিনদিন হোস্টেলে প্ল্যানচেটের আসর বসেছিল। আমি ছিলাম মিডিয়াম। তিন দিনই।

    সত্যজিৎ রায় মারা গেলে সবাই মিলে নন্দনে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে আমাদের একজন শ্‌শ্‌শ করে এক্‌জন প্রখ্যাতা অভিনেত্রির দৃষ্টি আকর্ষন করে চোখ মেরে পুলিশের কাছে মার খেয়েছিল।
  • ranjan roy | 122.168.46.36 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০৭:৪৬540242
  • কেসি, নিজেই নও তো?:)))))
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০৮:০৬540243
  • তবে আমাদের আর্বান লোককথায় অনেক মিথ্যেও মিথ হয়ে যায়।

    এই যেমন আজকাল শুনি সত্যজিত রায় মারা যাবার পর নাকি কলকাতা শকস্তব্বধ হয়ে গেছিল।

    কিস্যু হয়নি। সাধারণ পাব্লিকের মনে বিশেষ রেখাপাত-ও করেনি। ঐ শ্মশান স্বপন কেসটা বাদে।

    সত্যিকারের গণ-হাহাকার দেখেছি হেমন্ত মরে যাবার পর।

    আর দিব্যার মরে যাওয়াটা ঠিক হাহাকার ছিল না। বরং নীরব দু:খ টাইপের ছিল। প্রবাবলি আমার দেখা একমাত্র আইকন যে কোনো মিডিয়া ছাড়াই মিথ হয়ে গেল, জাস্ট বেঁচে রইল, থেকে গেল আমাদের মনে।
  • tatin | 117.197.69.117 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০৮:২৬540244
  • সত্যজিৎ রায় মারা যাওয়ায় স্কুলে রেজান্ট বেরোনোর দিন মারা গেলেন। রেজাল্ট পিছিয়ে গেছিল, বাড়ি এসে সের সত্যজিৎ-এর ব্যাক কভার থেকে ছবি দেওয়ালে টানিয়ে ক্রিকেট খেলতে গেছিলাম।

    আর, কোনো একদিন ক্লাসটেস্ট বা হোমওয়ার্ক হয় নি, মতীশ রায় (সম্ভবত: পূর্ত মন্ত্রী) মারা গেলেন বলে ছুটি দিয়ে দিল-
  • siki | 155.136.80.36 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০৮:৫৯540245
  • না:, সিদ্ধার্থ তা হলে খানিকটা ছোট।

    ইন্দিরা গান্ধি মারা যাবার সময়ে অমি ক্লাস টু-তে পড়ি। অন্তত এক পক্ষকাল ধরে পাড়ায় দূরে কোথাও অষ্টপ্রহর মাইক বাজত, এই কথাটি মনে রেখো, আমি যে গান গেয়েছিলেম। অরুন্ধতী হোমচৌধুরী বোধ হয়।
  • byaang | 122.167.209.77 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০৯:০৮540246
  • খিক খিক মোটে ক্লাস টু!! আমি আবার তার দু মাস পরেই ক্লাস ফাইভে উঠে গিয়েছিলাম।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০৯:৪৪540247
  • ১৯৮৪ তে অরুন্ধতী হোমচৌধুরী?

    ভদ্রমহিলা এত পুরনো জানতাম না তো! অবশ্য আজকাল বয়স্ক-ই লাগে বেশ
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০৯:৫২540248
  • কলকাতা ভেঙ্গে পড়েছিলো উত্তমকুমার চলে যেতে। আমরা কেওড়াতলা অঞ্চলেই রাজনীতি করতাম। সেদিন যা দেখেছিলাম তা সত্যিই অভুতপূর্ব। মানুষ কেওড়াতলার আশেপাশের বাড়িতে বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়ে ছিলো যাতে শ্মশানের ভিতরটা দেখতে পাওয়া যায়। বাড়ির মানুষেরাও কিচ্ছুটি বলেনি তাদের।

  • Tim | 98.249.6.161 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০৯:৫৬540249
  • ৯০ নিয়ে কিছু কইবোনা, তাও কি হয়! অতএব...

    একেবারে শুরুতেই ইটালিয়া ৯০। বলা যেতে পারে জ্ঞানচক্ষু উন্মোচনের পরে প্রথম খুঁটিয়ে দেখা বিশ্বকাপ। ছিয়াশিতে এতটা বুঝিনি, নব্বইতে ঝেঁপে এলো ফুটবল জ্বর। তখন আমরাও খেলার মাঠে কাদা মেখেটেখে বাড়ি ফিরতে ফিরতে স্বপ্ন দেখি একদিন কৃশাণু-বিকাশ হবো। যুবভারতীতে ইবে-মোবা খেলা হলে পরেরদিন প্র্যাক্টিসে ম্যাচ অ্যানালিসিস হয়, দিনটা রবিবার হলে চিফ কোচ সুশীলস্যার নিজেই নানান গল্প বলেন খেলার। তখন একটা বাব্‌ল গামও বেরোতো, ওয়র্ল্ড কাপ নামে। সেটার সাথে ছোট ছোট কার্ড দিত, ফ্রি। আমরা সেগুলো জমাতাম, আর প্রতিযোগিতা হতো, কে আগে সেটটা পুরো করতে পারবে। বাজ্জিওর একটা বিশেষ ভঙ্গীতে ড্রিবল করে যাওয়ার কার্ডের চাহিদা তখন তুঙ্গে। প্রবল চাহিদা এসকোবার, ইংল্যান্ডের সাথে মারাদোনার ড্রিবল করে বেরিয়ে যাওয়ার ছবিগুলোরও। কিভাবে সেসব জোগাড় করেছিলাম মনে নেই আজ আর। তবে বহু উৎকণ্ঠিত দুপুর, বহু উত্তেজিত বিকেল কেটেছে সেসব লেনদেনে। তারপরেও বহু বছর রেখে দিয়েছিলাম কার্ডবোর্ডের সেই বাক্সটা, থাকথাক কার্ডসমেত। আরো পরে, হয়ত বা নব্বই এর দশক পেরোবার পরেই, সেসব দানছত্তর করে দেওয়া হয়েছিলো।

    দিব্যা ভারতী তো বেশ ভালোভাবে কভার হয়েছে, ও বিষয়ে আর বেশি কিছু বলার নেই। খেলার মাঠে খবর পাওয়া আমারো কমন পড়ছে। যতদূর মনে পড়ে, মনা বললো। মনা একটু মিচকে টাইপের ছিলো, খুব ভালো সেন্স অফ হিউমার ছিলো সেই বয়সেই। তো, সেদিন সেও চুপচাপ। আমরা হত্যা না আত্মহত্যা সেইসব নিয়ে আলোচনা করেটরে বাড়ি এলাম। আমাদের বাড়িতে হিন্দি সিনেমা শুধুই বড়োদের জগৎ ছিলো তখন। তাই আমার কাছে অন্যরকম কিছুই মনে হয়নি। কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে জল্পনা করছিলো, উত্তেজিত কথোপকথন বড়োজোর, ব্যস। সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেঙে যাওয়া ভালো মনে নেই। কাগজ পড়তাম, বাড়িতে কিছু কিঞ্চিৎ আলোচনা হয়েছিলো সেও মনে আছে, খুবই আবছা স্মৃতি।

    এরপরেই মনে পড়ে '৯২। সত্যজিৎ রায় মারা যাওয়ার পরে শ্মশ্মান স্বপন বিখ্যাত হলো। আরো অনেকের সাথে টেলিভিশন পত্রিকাও সত্যজিতের ওপর বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। সেই প্রথম আমি গুপি-বাঘার সমস্ত গানের কথাগুলো পড়ি। হীরকরাজার দেশের সম্পূর্ণ স্ক্রিপ্টও বেরিয়েছিলো সেখানে। সত্যজিৎ রেট্রস্পেক্টিভ হয়েছিলো এক সপ্তাহ। ইশকুলে রচনার সাজেশনে একটা নাম বেড়ে গেছিলো সেইবার। আর মনে আছে '৯২ বইমেলার জন্য। সেই প্রথম বইমেলা যাওয়া। সেই প্রথম বই কেনার জন্য বাসভাড়ার হিসেব কষা। সেই প্রথম মনে মনে ভাবা, কোনদিন চাকরি করলে সারাবছর ধরে বই কেনার টাকা জমাবো। '৯৩ তে বাজিগর এলো। নতুন কনসেপ্ট : অ্যান্টি হিরো। শাহরুখের এর আগের সিনেমা রাজু বন গয়া... জোরদার হিট, যদিও দেখিনি। সেও ৯২ এর ঘটনা। রাজদীপ বারপাঁচেক ইশকুল কেটে রা-ব-গ-জে দেখেছিলো। আমি তো সাদা বাংলায় যারে কয় ইম্প্রেসড। পাঁচ বার! বিস্ময়টা টাকা কিকরে জোগাড় পরলো সেইটা নিয়েই বেশি হয়েছিলো।

    তারপর একেরপর এক সিনেমা আসতে থাকলো। ডর, আঞ্জাম ইত্যাদি। ইতিমধ্যে দাদা আর দ্রাবিড়ের অভিষেক হয়ে গেছে। ক্রিকেটেও তখন নতুন হাওয়া, খোলনলচে বদলে যাচ্ছে একে একে। টেনিসে বরিস বেকার- স্টেফি গ্রাফের খেলা থাকলে দেখি। ভারতের ডেভিস কাপের ম্যাচে লিয়েন্ডার অফুরন্ত এনার্জি নিয়ে তখন সবে সবে প্রকট হচ্ছে। এমনকি হকিও দেখি মাঝেসাঝে সময় পেলে। ধনরাজ পিল্লাইদের খেলা দেখে টেখে তখন আমরা এমরোখেবরো জমিতে উইকেট আর রবার ডিউস বল দিয়ে কয়েকবার হকি খেলার চেষ্‌তাও করেছিলাম। গোলকিপারের পায়ে পরীক্ষার ক্লিপবোর্ড বাঁধার পরে সে খেলা জীবনের মত বন্ধ হয়ে যায় অবশ্য। এছাড়া ফুটবল তো ছিলোই।

    এর মধ্যেই মাধ্যমিক হয়ে গেল। তার আগেই এক দিদির বিয়ে উপলক্ষে এক সপ্তাহ ধরে আড্ডা আর হইচই হলো। সেই বছরই প্রথম কাছ থেকে মৃত্যু দেখলাম।

    আমাদের চারপাশ দ্রুত পাল্টে যাচ্ছিলো। মেট্রো চ্যানেল, সঞ্জয় দত্তর প্রচন্ড মাস্‌ল বানিয়ে ফিরে আসা, উচ্চমাধ্যমিকের হাতছানি, খেলাধুলোর থেকে সরে এসে ""মন দিয়ে লেখাপড়া করে যেই জন"" এ বিশ্বাস --- ক্রমশই পাল্টে যাচ্ছিলাম আমরা। ততদিনে সুমন এবং নচিকেতা এসে গিয়েছেন। ""চোর"" আর "" কখনও সময় আসে"" শুনেছিলাম পুজো প্যান্ডেলে। বন্ধু অনুপম, যে প্রচন্ড মুখচোরা ছিলো বলে গল্প করতে পারিনি আগে কোনদিন, তার কাছ থেকে চেয়ে আনলাম তোমাকে চাই। কাকুর স্টিরিওতে ক্যাসেট কপি করার ব্যবস্থা ছিলো। সেই কপি করা ক্যাসেটই আমার প্রথম মালিকানা। একটা মোটামত কাগজে নিজেই লাল আর সবুজ ডটপেনে ক্যাসেটের ইন-লে কার্ড বানিয়েছিলাম - মনে আছে।

    নব্বই ও পাল্টাচ্ছিলো দ্রুত। শেষের দিকটায় সব কেমন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিলো। কলেজ, চাকরির বাজার, টিউশন, বন্ধুবান্ধবের সাথে যোগাযোগ কমে আসা, সব মিলিয়ে আচ্ছন্ন অবস্থা। একে একে ছেড়ে দেওয়া অনেক কিছুই। অনেকটা সুমনের গানের মত। এখন ভাবলে ৯২-৯৬ খালি মনে পড়ে খুব। ঐ মাঝখানের কয়েকটা বছর যেন অপার্থিব, ঘোর লেগে যাওয়ার মতন। ঐ সময়েই শ্রীকান্ত দিয়ে শুরু করে আরণ্যক।

    তো, সব মিলিয়ে দশটা বছর যেন ম্যাজিকের মত। টাইম মেশিনে চেপে ফিরে যেতে চাইলে আমি যুদ্ধের সময়ে ফিরে গিয়ে লোহা কিনতে চাইনা, স্রেফ নব্বইয়ের গোড়ায় ফিরে যেতে চাই আরো একবার। ঐ দশটা বছর ফিরে পেলে হাসিমুখে বছর কুড়ি আগে মরে যেতে পারি।
  • cb | 192.193.160.9 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১০:০৬540250
  • শ্মশান স্বপন এর কেস টা একবার কেউ বলুক মাণিকদার ক্রিমেশন এ। ছোটোবেলায় কিছু একটা শুনেছিলাম।

    এই লোক টি আমাদের পুরনো বাড়ির দোতলায় মাস আটেক (২০০৩ সাল নাগাদ) বাস করেছিল নিচের ফ্যামিলিটির সাথে। সেই দুর্ধর্ষ দুশমন কে আমার ৭৬ বছরের বুড়ি ঠাকুমা ৩ তলা থেকে নিয়মিত ধমক দিয়ে টাইমকল বন্ধ করাত। ঠাকুমা র গলার আওয়াজ এ সারা বাড়ি কেঁপে উঠছে, আর কোন এক ব্যক্তি মাথা নিচু করে কল ধরে ডান র বাঁ ঘোরাতে গিয়ে গলদঘর্ম হচ্ছে :)। নির্মল নির্মল
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১০:৫৬540252
  • Tim, একঘর। মাঝে মাঝে সেই কার্ডগুলো খুঁজে পাই। আরও আগে ৮৭ ওয়ার্ল্ডকাপের সময় ক্রিকেটরদের চিট পাওয়া যেত মনে আছে, ২০০ রান আর দশ উইকেট জমালে প্রাঅইজ দেবে বল্‌ত
  • byaang | 122.167.209.77 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১১:০০540253
  • তাতিন, ঐ প্রাইজটা আমি পেয়েছিলাম , খেলোয়াড়দের সই করা একটা ছোট্ট ব্যাট।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১১:০৪540254
  • আমি পাইনি- :(
    আমার ২০০ রান হয়নি কখনও, দশ উইকেটও না।
    আর, প্রায়ই স্বপ্ন দেখতাম পাচ্ছি বলে
  • siki | 155.136.80.36 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১১:০৬540256
  • এবং রুড গুলিট।
  • byaang | 122.167.209.77 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১১:০৬540255
  • বাবল গামটার নাম ছিল বিগ বাবল। চিবিয়ে চিবিয়ে গালে-চোয়ালে ব্যথা হয়ে যেত, তবে না দুশো রান!!
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১১:০৭540257
  • স্বপন ছিলো টালিগঞ্জ রোডের ছেলে। ৬৫ পল্লীর ঘাটের কাছে থাকতো। পড়তো সাহানগর স্কুলে। সেই সুবাদে স্বপন এক বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়কের ছাত্র - পীযুষকান্তি সরকার, ওদের ইংরাজি পড়াতেন। ক্লাস ৮ কি ৯এ পড়া ছেড়ে দেয়। তখন স্বপন এভেন্যু সম্মিলনীতে ফুটবল খেলতো, ভালোই খেলতো। স্বপন, শ্রীধর সহ ওদের একটা বড় দল ছিলো। ওদের নেতা ছিলো ভীম। সে অবশ্য হিউম রোডের ছেলে। ওদের সাথে টক্কর চলতো চেৎলার ধ্রুবর। পরে ভীম পুলিশের গুলিতে মারা যায়। তখন স্বপন নেতা হয়। মূলত: কংগ্রেসের ছায়ায় থাকতো। ওদের সাথে পুলিশের দহরম-মহরম ভালোই ছিলো। তখনকার পুলিশ কমিশনার বি কে সাহার সাথে ওঠা বসা ছিলো।
    সত্যজিতবাবুর শেষকৃত্য যাতে নির্বিঘ্নে ঘটতে পারে তার জন্য ইলেকট্রিক শ্মশানের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। সে সময় এলাকার দাদা হিসাবে স্বপন ঢুকতে চায়। গেটে পুলিশ বাধা দিলে, ও ভিতরে থাকা বি কে সাহার দৃষ্টি আকর্ষন করতে চ্যাঁচায়
    - ও সাহাদা, দেখুন না ঢুকতে দিচ্ছে না।

  • siki | 155.136.80.36 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১১:০৮540258
  • ভালদেরামা, গায়কোচিয়া, ভ্যান-বাস-ট্রেন (ভ্যান বাস্তেন)। আমিও বেশ কিছু কার্ড পেয়েছিলাম। অকাতরে বন্ধুদের দান করে দিয়েছিলাম, কারণ খেলাধূলো চিরদিনই আমার নন ডিপ।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১১:২১540259
  • পীযুষকান্তি লেকস্কুলে পড়াতেন না? যেইটা লেকমর্কেটের্মধ্যে দিয়ে যেতে হয়?
  • phutki | 121.241.218.132 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১১:২২540260
  • টিমের সাথে চূড়ান্ত চূড়ান্ত মিল। বাজ্জিওর সেই ছবি। "র ব গ জ" । সত্যজিত রায় রেট্রো। বরিস বেকার আর তার বারবারা ফেলটুস। নচিকেতার চোর।

    আজ অফিস গেল গিয়া। আর কাজ হবে না।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১১:২৪540263
  • তাতিন। না, পীযুষকান্তি চিরকাল টালিগঞ্জ রোডের সাহানগর হাইস্কুলে ৭/৮/৯/১০, আরও আগে ১১ ক্লাসেও ইংরাজি পড়াতেন।
  • dd | 110.234.159.216 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১১:২৪540261
  • হঠাৎ হঠাৎ কোনো খবরে বা ঘটনায় টের পাই যাই নিজের (আসল) বয়সের ফিচেল হাসি "শালা, কদ্দিন আর ন্যাকা সেজে ঘাপটি মেরে থাকবি? বুরো ভাম।"

    এই যেমন - হেথায় ছেলেপুলেরা দিব্যা ভারতী নিয়ে নস্টালজিতে কেঁদেই আকুল আর আমি স্মৃতির তোরংগ উল্টে পাল্টে হাৎড়েও মনে করতে পারছি না সে কে ছিলো।

    ঠাকুর তো বলেইছেন "কালক্রমে সবই যায়,জীবন,যৌবন ধনমান। ওরে পোদো, পাসপোর্ট টা রিনিউ হয়েছে তো?'
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন