এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শোক ও শস্যের ওয়াগন/৫

    Siddhartha
    অন্যান্য | ২৮ মার্চ ২০১২ | ৩৬৫৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১৭:৩৫540430
  • হিমেশ বোলে তো

  • rimi | 168.26.205.19 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১৮:৪৯540431
  • সব্বাই কতো কতো হিন্দি সিনেমা দেখেছে রে বাবা!! এমন কি ব্যাং পর্যন্ত!
    ওদিকে আমি আশি থেকে নব্বইএর দশকে, মানে পুরো কুড়ি বছরে গুণে গুণে ঠিক তিনটি হিন্দি সিনেমা দেখেছি - প্রথমটা ছিল ভূতের, নাম ভুলে গেছি, সাজন আর রোজা। বছর পাঁচেক গ্যাপে।

    এমনিতেই আমার বরাবরি অন্যের প্রেম দেখে সময় নষ্ট করার থেকে সেই সময়ে নিজে প্রেম করাটা সময়ের বেটার ইউটিলাইজেশন মনে হত। তারপরে ঐ তিনটেই.. দু:খের বিষয়.. হিন্দি সিনেমার অ্যান্টিডোট।

    ভূতেরটায় আবার মুনমুন সেন ছিল। ভূতের ব্যপারটা, মানে প্রথম হাফটা মন্দ ছিল না। কিন্তু শেষে যখন এক সাধু না ওঝার কাছে গিয়ে সেই ভূতকে ভাগানো হল, তখন হল থেকে বেরোতে পারলে বাঁচি!!

    সাজন দেখার পরে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আর যাই করি, সলমন আর সঞ্জয় থাকলে সেই সিনেমা আমি দেখছি না, কিছুতেই না। নায়করা যে কত ন্যাকা চৈতন্য হতে পারে সাজন না দেখলে বিশ্বাস হয় না।

    আর রোজা???? ওফ!!! অরবিন্দ স্বামী দড়াম করে জ্বলন্ত পতাকা গায়ে জড়িয়ে গড়িয়ে গেল পু উরো কুমড়োপটাশের মতন। :-(((
  • Du | 117.194.199.42 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১৮:৫১540432
  • আরে রিমি সেই eyes of laura mars টাইপের ছিল সিনেমাটা কি? মাধুরীও ছিল?
  • Tim | 98.249.6.161 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১৯:০৩540434
  • আশি চাইনা, এমনকি বিশ্বকাপ দিলেও না। নব্বইতে বরং অনেক বৈচিত্র। ক্রিকেট বললে হিরো কাপের ফাইনালে শচীনের শেষ চার বল। ফুটবল বললে ইতালিয়ান লিগে নাপোলি-মিলান-জুভেন্তাসের খেলা দেখা। গুলিত-বাস্তেন-রাইকার্ডের ফ্যান ছিলাম। টেনিসের কথা তো আগেই বলেছি। সর্বকালীন ট্র্যাজিক হিরো ইভান লেন্ডল। মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা যুগের অবসান।

    সিনেমার সাথে সাথে লাইফস্টাইলের পরিবর্তন ঘটে যেত চটপট। সলমনের মত করে পাতা চুল ফুলশার্ট, শাহরুখের মত করে তোতলানো-জিন্স-বুকখোলা জ্যাকেট বা টিশার্ট একটু নামিয়ে পড়া জামা যাতে বুকটা খানিকটা দেখা যায়, আমীরের মত টিপটপ ফুলবাবু, সুনীল শেট্টির মত বা সানির মত মাসল বাগানো--এইসব ছিলো মোটের ওপর এক একটা ঘরানা। খুব কম হলেও, কেউ কেউ অনিল কাপুরকে নকল করতো। যেমন আমার তৎকালীন ইষ্টদেবতা জ্যাঠতুতো দাদা। ঐ সামনে একটু ঝুঁকে থাকা চুলের তবক, মধ্যিখানে সিঁথি করা, পেছনে জড়িয়েমড়িয়ে একেবারে শেষে উল্টে একটু ঢেউ খেলে আছে-- সেইরকম। শাহরুখের ঐ সময়েই করা কভি হাঁ কভি না অনেক পরে দেখেছিলাম। আমার মতে শাহরুখের সেরা ছবি।

    সুনীল শেট্টি তো ভারতীয় সোয়ারজেনেগার। কত বন্ধু যে সেইসময় জিমে যেতে শুরু করে ইয়ত্তা নেই। আমরা গুটিকয় আবার তখন একটু উন্নাসিক হইছি। ওয়েট ট্রেনিং করলে বুদ্ধি ভেস্তিয়ে যায় - এইসব ভাবতাম।

    নব্বইতে শিন্ডলার্স লিস্ট আসে কলকাতায়। আমার তখনকার বন্ধুরা সব দল বেঁধে দেখতে গেল, মনে হয় নন্দনে। আমি সাহস করে বাড়িতে জিগিয়ে উঠতে পারিনি, দেখতে যাওয়া উচিত কিনা। অবশ্য ওরা নবীনাতে ব্লু লেগুন বা বেসিক ইন্সটিংক্ট ও দেখতে যেত, তাই ঠিক ভরসা করতে পারিনি প্রথমে। ইংরেজি সিনেমা বলতে হিচককের দুয়েকটা ছবি রাতের দিকে চুরি করে দেখে নিয়েছিলাম, তাও দাদা যখন দেখতে বসতো, তখন। সে এক অদ্ভুৎ অভিজ্ঞতা। স্প্যাশ মনে আছে? টম হ্যাঙ্কসের সিনিমা। সেইটা গভীর রাতের স্লটে দিয়েছিলো। পরেরদিন স্কুলে বন্ধুদের সে কি উত্তেজনা আর আমায় কি অনুকম্পা। তখন বেশ একটা জেদ ধরে গেল। তারপর থেকে দাদা টিভি চালালেই মশারির মধ্যে থেকে অদ্ভুৎ অ্যাঙ্গেলে শরীরটা ভাসিয়ে রেখে দেখার চেষ্টা করতাম কি হচ্ছে। একেক মশারিরি টেক্সচার, তায় ঘুমচোখ, তায় সতর্কতা- এই বুঝি পাশে ঘুমোনো ঠাম্মা উঠে পড়ে বা দাদা বুঝে ফেলে যে জেগে আছি -- সে এক রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা। এইভাবে একটা থ্রিলার দেখেছিলাম, সেখানে লাল রঙের কার্পেটের নিচে লাশ লুকোনো ছিলো। আর জানিনা। নব্বইতে প্রথম সোনার কেল্লাও দেখি কি কোন একটা সময়? মনে নেই।

    নব্বই তো মারাদোনার পতনের দশকও। কোকেন নেওয়া, জেলে যাওয়া যা নিয়ে অশোক দাশগুপ্ত লিখবেন ""মারাদোনা হে"" আর চন্দ্রবিন্দু অনেক পরে গান লিখবে। নব্বই বোধহয় আরো একটু বেশি করে হিন্দি-ইংরেজির দিকে ঝুঁকে পড়াও। সোভিয়েতের পতন যেন সিম্বলিক।

    দুশো রান আর দশ উইকেটের ফান্ডাটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য সক্কলকে থ্যাঙ্কু। আমি অতদূর যেতে পারিনি। পঞ্চাশ রান করেছিলাম, আর দশ উইকেট না এমনি কি একটা। একটা স্ক্র্যাপবুক পেয়েছিলাম। পাশের বাড়ির সোনা একটু প্যাম্পার্ড ছিলো। সে বিগ বাবল থেকে কিছু পায়নি, তবে থাম্পসাপ এর ছিপি জমিয়ে একইরকম ছোট ব্যাট আর ছোট্ট একটা ডিউস বল পেয়েছিলো। অবিকল অফিশিয়াল বলের মিনিয়েচার, মায় সেলাইঅ পর্যন্ত আসল। গাভাসকারের সই ছিলো ব্যাটে, বলে কপিলের। ওসব দেখে যা হিংসে হলো কি বলবো। ওরকম হিংসে পরবর্তীকালে আগাসিকেও করিনি, মাইরি।

    মণিকা সেলেসের ছুরি খাওয়ার ঘটনায় খুবই মর্মাহত হয়েছিলাম। চেয়েছিলাম সুস্থ সেলেসকেই নাকানিচোবানি খাইয়ে গ্রাফ জিততে থাকুক। অসহ্য চিৎকার করে একেকটা শট নিত সেলেস। যারে দেখতে নারি... তাই ওর সবই বাজে লাগতো। সবাতিনি ছিলো সেই সময় খেলার পাতা জুড়ে। প্রায়শই কিচ্ছু না জিতেও লাইমলাইটে থাকতো। রবি শাস্ত্রীর সাথে কি একটা সম্পর্ক আছে বলে লোকে গুজব ছড়াতো। সেইপ্রথম ট্যাবলয়েডীয় কেচ্ছা কি জিনিস জানলাম। পাশের বাড়ির খোকনকাকু খেলা দেখতে এসে, যখন গোটা মাঠ জুড়ে ""শাস্ত্রী হায় হায়"" হচ্ছে, বললেন, "" হবেনা? খেলবে কি করে? সাবাতিনিই তো ওকে শেষ করে দিলো""। এইসব শুনে এক এক ধাক্কায় বড়ো হয়ে যাচ্ছিলাম। নব্বই ফুরোচ্ছিলো। যদিও নব্বইয়ের কথা ফুরোয়নি....
  • rimi | 168.26.205.19 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১৯:০৩540433
  • কোনটার কথা বলছ দুদি? মাধুরী ছিল সাজনে, সাজন প্রেমের সিন্মা।

    আর ভূতেরটায় ছিল মুন্মুন সেন, ফারহা, শেখর সুমন আর রাজেশ খন্না।

    eyes of laura mars টাইপের সিন্মা এগুলো একটাও না। :-((
  • Tim | 98.249.6.161 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১৯:০৭540435
  • সাজন আর রোজার গান ব্যাপক ছিলো তো। সিনেমাগুলো অনেক পরে দেখেছি, গান শুনেছিলাম।
  • bratin | 112.79.36.115 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১৯:৪২540437
  • রিমি ও টা হল ১০০ ডেজস
  • tatin | 117.197.68.226 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১৯:৪২540436
  • সেলেসকে আমার হেভি লাগতো, এডবার্গকে ভালো লাগতো বেকারের অপজিটে। তখন তো দূরদর্শনে যা খেলা দেখাতো সেগুলৈ হাঁ করে গিলতাম, সেই করতে গিয়ে মামণিদের বিচ ভলিবল দেখে ফেলি। কুরনিকোভা কোনও ম্যাচ না জিতেই লাইমলাইটে, আরেকজন ছিল মেরি পিয়ার্স, স্লিভলেসের রানি। কলকাতায় প্রথম কোকাকোলা এলো, ব্যাপক লাগত খেতে।
  • hu | 12.34.246.72 | ২৯ মার্চ ২০১২ ১৯:৫৭540438
  • দিব্যা ভারতীকে চিনতাম না। বাড়িতে হিন্দী সিনেমা, এমনকি হিন্দী গানেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। একদিন স্কুলে গিয়ে দেখি আত্রেয়ী পাথর হয়ে বসে আছে। জয়শ্রীদি অঙ্ক করাতে করাতে বললেন, কি হয়েছে? বিদ্যা ভারতী মারা গেছে? তারপর থেকে বিয়ে হয়ে যাওয়া পর্যন্ত আত্রেয়ী প্রতি বছর দিব্যা ভারতীর জন্মদিন পালন করেছে। শরৎ লাইব্রেরীর পথে হাঁটতে খালপারের রাস্তায় পড়ত ঝন্টু টেলার্স। দোকানের দরজায় তিন খানা পোস্টার টাঙানো থাকত একটা সুন্দর মত গোলপানা মুখের। জানলাম ওটাই দিব্যা ভারতী। স্কুল জীবন, কলেজ, কলকাতা বাস - অনেক পরিবর্তন এল জীবনে - দিব্যা ভারতী তিনখানা ছবি হয়ে আটকে রইল রেললাইনের ধারের সেই রাস্তায়। তারপর আটানব্বই। দিল তো পাগল হ্যায়। বাড়ি ফেরার পথে একদিন দেখি ঝন্টু টেলার্সে করিশমা কপূরের ছবি ঝুলছে। দিব্যা ভারতী কোথাও নেই। 'হেথা হতে যাও পুরাতন, হেথা নতুনের খেলা আরম্ভ হয়েছে...'
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:০২540440
  • হুঁ। সৃজন সেন পড়েছি। থানা গারদ থেকে মা-কে। ছড়া গুলো। কিন্তু সৃজন তো সত্তরের মুলত।

    নব্বই-এর একদম শেষে শ্রীজাত পড়ি।

    আর ৯৯ সালে একটা হতে হতে না হওয়া প্রেমের মাধ্যমে প্রিয় বন্ধু। অঞ্জন দত্ত নিমা রহমান। সেই সুত্র ধরেই প্রেমটা হল, এবং হল না। বারো বছর ধরে ঐ জায়গায় ঝুলে আছে। নব্বই যে কত কি দেয় এবং কেড়ে নেয়!

    প্রথম মৃত্যু দেখাও নব্বই তে। ঠাকুমার। প্রথম পানু পড়া। সাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে আকসিডেন্ট করে বাড়ি ফেরা। আবার সেই সাইকেল করেই গোটা দক্ষিণ কলকাতা টো টো। এমনকি যাদব্‌পুর ইউনি গিয়ে আড্ডা মারা পর্যন্ত। বাবুর্চির রোল।
  • Du | 117.194.199.42 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:০৪540441
  • আজ কাপ্রিয়াতির জন্মদিন। কিন্তু t2 র ছবিটা দেখে --- সময় সত্যিই অনেক হলো।
  • Tim | 198.82.19.224 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:১২540442
  • তাতিন ছোট থেকেই স্রোতের বিপরীতে। বিদ্রোহী টাইপ।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:১৯540444
  • তবে আমার ক্রাশ ছিল, ছোটবেলা থেকেই, জুহী চাওলা। ওটা আর পাল্টাবে না।

    রাজু বন গ্যায়া দিয়ে শুরু।
    অন্যরা শুধুই লাস্ট। জুহী লাভ। রিয়েল লাভ। :(

    লিখতে লিখতে মনে হল, আগেও মনে হয়েছিল, নব্বই এর শেষ, জ্যোতি বসুর জমানা শেষ, বুদ্ধদেব শুরু। এটাও কি কিছু সিগনিফাই করেছিল? পুরনো দিন, চেনা দু:খ চেনা সুখ ছেড়ে ডু ইট নাউ, ২০০০ থেকেই?
  • tatin | 117.197.68.226 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:১৯540443
  • আনন্দমেলার থেকে একবার তিনটে পোস্টার পেয়েছিলাম, টিনটিন, সচিন (তখনও শচীন) আর মাইকেল জ্যাকসনের। পাশের বাড়ির এক কাকু এসে জ্যাকসনের পোস্টারটা নিয়ে গ্যালো।
  • hu | 12.34.246.72 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:২১540446
  • রিমিদির সাথে কি মিল! আমিও স্কুল জীবনে মোটে দুখানা হিন্দী সিনেমা দেখেছি। বাকি খুচখাচ দেখেছি হয়ত দশ-পনেরো মিনিট। কিন্তু ঐ দশ-পনেরো মিনিটের পরেই ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা হত। একদিন দেখলাম টিভিতে একটা সিনেমা হচ্ছে। সিনেমার নাম মিলি। কিছুটা দেখার পর আর নড়তে পারলাম না। বিশ্বাস করলাম হিন্দী সিনেমাও ভালো হতে পারে। সেটা বোধহয় এইট। তারপর সম্ভবত যখন নাইনে পড়ি তখন হাম আপকে হ্যায় কৌন এল। হলে গিয়ে দেখার তো প্রশ্নই নেই। বন্ধুদের থেকে গল্প শুনলাম। গল্পটা এতই বাজে লাগল যে হিন্দী সিনেমার প্রতি পুরোনো উন্নসিকতাটা আবার ফিরে এল। এর কিছুদিন পর রবিবার দুপুরে রিজিওনাল সিনেমায় রোজা দেয়। কোন কারনে সেটা দেখতে শুরু করি। এবং আবারো গোটা সিনেমাটা দেখে ফেলি। সবচেয়ে অবাক করেছিল গানগুলো। একদম অন্য জিনিস। হিন্দী সিনেমার গানের মত নয় একেবারে। না দেখতে, না শুনতে।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:২১540445
  • টিনটিন আর শচীনটা আমিও পেয়েছিলাম।

    আনন্দমেলায় শচীনকে নিয়ে প্রথম সংখ্যা বেরিয়েছিল ৯০ তে, বিস্ময় বালক নাম দিয়ে।

    কিছু পরেই মাইকেল জ্যাকসন সংখ্যা বেরোয়।
  • rimi | 168.26.205.19 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:২৩540447
  • আরে দিব্যা ভারতীকে আমিও চিনতাম না। খবরের কাগজে মৃত্যুর খবর বেরোনোর পর চিনলাম। দিব্যা ভারতীর জন্যে তখন খুব দু:খ হয়েছিল, আমাদের বয়সি বাচ্চা একটা মেয়ে বিয়ে করে ফেলেছিল?? বিয়ে মানে তো জীবনটাই শেষ প্রায়। ও মেয়ে যে আত্মহত্যা করবে এতে আর আশ্চর্য্য কি?

    সে সময়ে প্রেম করাটা খুব ইন্টারেস্টিং হলেও বিয়েটা তখনো আদৌ চিত্তাকর্ষক ব্যপার ছিল না। বিয়ে শব্দটা শুনলেই জেলখানার কথা মনে পড়ত!! :-(

    পু:- অবশ্যি এখনো ধারণা বিশেষ পাল্টায় নি। তবে বিয়ের আগে নিজেকে কয়েদী মনে হত, আর পরে... মালিক মনে হয়.. (নিজেই বলে দিলাম অন্য কেউ বলার আগে)
  • hu | 12.34.246.72 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:২৪540448
  • ওয়াসিম আক্রমের পোস্টার পেয়েছিলাম আনন্দমেলায়। অনেক দিন সেটা লাগানো ছিল পড়ার টেবিলের পাশে। মোনিকা সেলেসের দুপাতা জোড়া পোস্টার বার করল একবার। স্টেসির ফ্যান। কি করব ওটা নিয়ে। খুব রাগ হল মোনিকার পোস্টার ছেপেছে বলে।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:৩০540451
  • ও হ্যাঁ, তখন বাংলা সিনেমাগুলো। স্বপন সাহা, অঞ্জন চৌধুরী, বাবলু সমাদ্দার, সুজিত ঘোষ। এগুলো আসবেই আসবে নব্বই উঠলে। অত্যন্ত বাজে ছিল, কিন্তু সেই বাজে ভাবে বানানো বাজে সিনেমাগুলোর মধ্যেও একটা মায়া জড়িয়ে থাকত। মানে, সেই নব্বই কে খুঁজে পাওয়া যেত ঐ সিনেমাগুলোর মধ্যে।

    আবার নব্বই-য়ের মায়া ফিরে পেলাম রিসেন্টলি দেখা একটা বাংলা সিনেমায়। নটবর নট আউট। উত্তরার পর এত ভাল বাংলা সিনেমা দেখিনি।
  • Tim | 198.82.19.224 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:৩০540449
  • দু:খের বিষয় পোস্টারগুলো আমার অধিকারে ছিলোনা। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের পড়া হয়ে গেলে কোনমতে পড়তে পেতাম আ-মেলা, তাতেই খুশি। রিচার্ডসের একটা পোস্টার একবার দাদা লাগালো ঘরে, ফ্যালফ্যাল করে দেখেছিলাম মনে আছে। ক্ষি রাজসিক ছবি!
  • aka | 168.26.215.13 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:৩২540452
  • কি বাজে টাইপো, স্টেসি না স্টেফি।

    স্টেফি গ্রাফ, ইউ ওয়ান্ট টু ম্যারি মি? গ্রাফের উত্তর - হাউ মাচ ডু ইউ আর্ণ?

    সত্যি হয়েছিল একটা ম্যাচে।
  • hu | 12.34.246.72 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:৩৬540453
  • সত্যি কি বাজে টাইপো। পাশের কিউবেই বসে স্টেসি :-(
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:৩৭540455
  • এরে কয় ফ্রয়েডিয়ান স্লিপ :)
  • Tim | 198.82.19.224 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:৩৭540454
  • :-))
  • hu | 12.34.246.72 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:৪৪540456
  • নব্বইতে এসব শুনলে ভির্মি খেতাম।
  • sayan | 115.241.64.137 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:৪৫540457
  • আনন্দমেলা থেকে পেয়েছিলাম গ্যারি লিনেকারের পোস্টার। ইতালিয়া নাইন্টির সময় টাইমেক্স - স্পট দি স্ট্রাইকার কনটেস্ট থেকে পাওয়া ঝিন্‌চ্যাক ইলেকট্রনিক ঘড়ি।

    এই টইটা টাইম মেশিন।
  • sayan | 115.241.64.137 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:৫২540458
  • স্ট্যালোনের কালো টাইট গেঞ্জি (টি-শার্ট অনেক পরে শিখেছি) পরে হাতে টমিগান আর মুখে বিড়ি নিয়ে কেত করে দাঁড়ানো পোস্টার, দাদা লাগিয়েছিল দেওয়ালে। তার জেরে অপসংস্কৃতিবিষয়ক ভাষণ শুনেছিলাম পাক্কা এক ঘন্টা। যখন সেভেন আপ সফ্‌ট ড্রিঙ্ক বাজারে এলো ফাইডো ডিডো নামক কী বলে ওটাকে নিয়ে, খাতার পেছনের পাতায় ওটাকে আঁকতাম। তাছাড়া থাম্‌সআপ এক লিটারের বোতলে বার হলে কাঁচের বোতলের জন্য চল্লিশ টাকা দোকানে জমা রেখে বাড়ি আনতে হত। পরে খালি বোতল ফেরত দিয়ে জমা টাকা নিতে হত।
  • hu | 12.34.246.72 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:৫৭540460
  • সুমনের গান প্রথম শুনেছিলাম হোস্টেলে। টুয়েলভের ফেয়ারওয়েল হল। ভোররাতে অমৃতাদির ঘরে শেষবারের মত আড্ডা। অমৃতাদি গাইছে - এই শহর জানে আমার প্রথম সব কিছু - প্রতিটা শব্দের সাথে সেই প্রথম শহর ছড়িয়ে যাচ্ছে শিরা-উপশিরায়। গান শেষ হয়েছে, পার্ক সার্কাসের আজান শুরু হয়ে গেল। অদ্ভুত মায়াবী রাত। শিরশিরে হাওয়া দেয়। হলুদ আলোরা ঝিকমিক করে। আল্লা হো আকবর মিশে যাচ্ছে বাতাসে। নব্বই মানে প্রথম ঘরের বাইরে পা ফেলা। পৃথিবীর ঐশ্বর্যে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। এত দিচ্ছে দু হাত ভরে, সামলাবো কখন!
  • siki | 122.177.58.73 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২০:৫৭540459
  • :)

    নব্বইয়ের আগে আনন্দমেলায় পোস্টার দিত না। আর আমাদের বাড়িতে উননব্বইয়ের পরে আনন্দমেলা নেওয়া বন্ধ হয়ে গেল। মা-কে আজও ক্ষমা করতে পারি নি সেজন্য। বন্ধুর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতাম। যেবার একসাথে টিনটিন, মাইকেল জ্যাকসন আর শচীনের পোস্টার দিল, তার এক দু সংখ্যা আগে থেকে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। শচীন নিয়ে আমার যথারীতি কোনওদিনই মাথাব্যথা ছিল না, মাথাব্যথা ছিল বাকি দুটো নিয়ে। কাগজের লোক সুকুমারদাকে বলে রাখা হল। যেহেতু আমরা তখন আর আনন্দমেলা নিতাম না, তাই নির্দিষ্ট দিনে সুকুমারদা ভুলেই গেল। পরদিন সকালে আবার মনে করিয়ে দেওয়া হল। তখন নাকি আনন্দমেলা স্টকে নেই। এই করে চার পাঁচদিন পরে আনন্দমেলাটা পেলাম। ভেতর থেকে পোস্টার হাওয়া।

    রাগে শোকে ব্রহ্মাণ্ড ছত্রখান করে ফেলার ইচ্ছে হয়েছিল। আনন্দমেলার দফতরে চিঠি লিখি। কোনও উত্তর আসে না। তারপর কলকাতা টেলিফোনের ডিরেক্টরি দেখে খুঁজে আনন্দমেলার আপিসে সো-জা ফোন করি। সেখান থেকে জানানো হয়, অতিরিক্ত চাহিদার জন্য ওরা সব বইয়ের সঙ্গে পোস্টার ছাপাতে পারে নি। শেষের দিকের বইগুলোয় পোস্টার ছাড়াই বাজারে ছাড়া হয়ে গেছে। আমার নাম ঠিকানা নিয়ে বলল ওরা আলাদা করে পাঠিয়ে দেবে।

    নব্বইয়ের যুগই ছিল আলাদা। প্রতারিত হয়েছি ভেবে হাল ছেড়েই দিয়েছিলাম, এমন সময়ে একদিন স্কুল থেকে ফিরে এসে দেখলাম আমার নামে চিঠি এসেছে, বড়সড় খাম, তাতে রয়েছে টিনটিন (বিপ্লবীদের দঙ্গলের কভারের ছবি) আর মাইকেল জ্যাকসন। শচীন নেই।

    কিছুক্ষণের জন্য ভগবানে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়েছিল।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৯ মার্চ ২০১২ ২১:০০540463
  • আরে সিকিদার সাথে আমার কি অদ্ভুত মিল! আমিও শচীনের পোস্টার পাইনি প্রথমে। এদিকে বন্ধুরা সক্কলে পেয়েছে। তখন আমাদের যে আগজ দিত, পিন্টু কাকু, সে আমায় বলল একটা চিঠি লিখে ওকে দিতে, ও নাকি ডিলারকে দিয়ে আসবে। আমি লিখে দিয়েছিলাম। তার প্রায় কয়েক হপ্তা পর, যখন আশা ছেড়েই দিয়েছি প্রায়, হঠাত দেখি বাড়িতে আমার নামে বড় খাম।

    সেই প্রথম নিজের নামে কোনো চিঠি আসা। অদ্ভুত রোমাঞ্চ হয়েছিল। এগুলো-ও আমার নব্বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন