এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • চাগ্রীর গপ্পো

    সে
    নাটক | ১৩ নভেম্বর ২০১৪ | ২১৩৪৫ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 188.83.87.102 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০৭652858
  • ভৈশ হাতের রিস্টওয়াচ্‌ দেখলো।
    আমার মন বলে পালাতে হবে। এদের মতলোব ভালো ঠেকছে না। এখানে ভয়ঙ্কর বিপদ ঘনিয়ে আসছে। কিন্তু এই দুজন যেভাবে গার্ড করে বসে রয়েছে, কীকরে পালাবো ওদের ডিঙিয়ে?
    টেবিলের ওপর থেকে পার্সটা তুলেই দৌড় লাগাবো? এই ঢকঢকে চটি পরে? জুতোটার গোড়ালি যদিও নামিয়ে রেখেছি, এই জুতো পরে দৌড়নো যাবে না। দৌড়নোর আগেই এরা আমায় ধরে ফেলবে। পার্সটা হাতে নিলেই তো বুঝে ফেলবে আমি চলে যেতে চাইছি।
    আমার ডানহাতে একটা বিশাল পর্দা ঝুলছে, কাচের জানলাটা ঢাকা।
    মাথায় কিছু ঢুকছে না।
    ওরা কথা বলে চলেছে। মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকায়, ওদের কথা কিছুই ঢুকছে না আমার কানে।
    ওয়েটার আসবে। সে বলে গেছে টেন মিনিটস্‌।
    সে এলে তার কাছে সাহায্য চাইব?
    টেন মিনিটসের কতটা কেটেছে? সময় দ্রুত বয়ে যাচ্ছে। ওয়েটারকে যদি এরা ঘরে ঢুকতেই না দেয়? যদি দরজায় টোকা পড়লে এরাই দরজায় গিয়ে খাবার নিয়ে আসে, তখন?
    আমি উশ্‌খুশ্‌ করি সেটা ওদের চোখ এড়ায় নি?
    আর ইউ কম্ফর্টেবল দেয়ার? কাম, ইধার আকে আরাম করকে বৈঠো।
    ভৈশ বিছানার দিকে দেখায়।
    সঙ্গে সঙ্গে অন্যজন চোখের ইশারায় মানা করে তাকে।
    আরে! অভি রুম সার্ভিস আয়েগা।
    এবার আমি প্রাণপনে চেষ্টা করি পালানোর। উঠে দাঁড়াতেই ভৈশ বলে, সীট সীট, আভি রুম সার্ভিস আয়েগা। ও হি বৈঠো।
    নো, অ্যাকচুয়ালি, আই উড লাইক টু গো টু দ্য টয়লেট।
    হাঁ। যাও ফ্রেশ হোকে আও।
    ওদের দুজনের মধ্যিখান দিয়ে আমি চটি ঘটঘট করে টয়লেটের দিকে হেঁটে যাই। তারপরে, টয়লেটের দরজাটা ঠেলতে গিয়ে আমার মনের সমস্ত সাহস এক করে ঘরের দরজাটা খুলে ফেলি।
    ঐ লোকটা দেখতে পায় আমি দরজা খুলছি। সে কি যেন বলছে। সেসব শুনবার সময় আমার নেই। বাইরে বেরিয়েই আমি দৌড়তে থাকি করিডোর দিয়ে। লিফ্‌টটা কোথায় গেল? খুঁজে পাচ্ছিনা। ওরা কি আমাকে ধরে ফেলবে?
    করিডোরের শেষপ্রান্তে সিঁড়ি।
    নীচু হয়ে জুতোজোড়া খুলে হাতে নিয়ে আমি খালি পায়ে ঝড়ের বেগে নেমে যেতে থাকি সিঁড়ি দিয়ে। বুঝতে পারছিনা কেউ আমাকে তাড়া করছে কিনা। কেউ দেখলো কিনা জানি না। সিঁড়ি আর শেষই হচ্ছে না।
    সিঁড়ি শেষ হয়েছে।
    ওরা যদি লিফ্‌টে করে নেমে এসে আমায় ধরে ফ্যালে?
    পায়ে জুতো গলিয়ে আমি সাধারন গতিতে হেঁটে যাই লবির দিকটায়, রিসেপশান যেদিকে।
    তারপরে খুব শান্তভাবে হেঁটে হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যাই। তারপরে মেইন গেট থেকে বেরিয়েও ভয় কাটে না। ওপর থেকে আমার ওপরে লক্ষ্য রাখছে নাতো! যদি দেখে ফ্যালে ওপর থেকে কোনদিকে চলেছি। ওদের কাছে গাড়ি আছে, যদি তাড়া করে ধরে ফ্যালে? অসম্ভব সব চিন্তায় ভয়ে আমি জুতো জোড়া ফের হাতে করে নিয়ে এলোমেলো দৌড়ে যাই প্রথমে কিছুটা। তারপরেও পেছনে তাকাতে ভয় করে। আবার জোরে জোরে হাঁটা। আকাশটা এত অন্ধকার কেন? এখনি সন্ধে হয়ে এলো?
    রবিবারের নিউ মার্কেটের সামনে দিয়ে হনহন করে হাঁটছি। আজ ভীড় নেই। সেইজন্যেই বেশি ভয়। যদি ধরে ফ্যালে। এমনি করে হাঁটতে হাঁটতে সদর স্ট্রীট। হাঁফিয়ে যাচ্ছি। জিরোতে ভয় করছে। আকাশ কালো করে আসছে। প্রায় হোঁচট খাচ্ছিলাম একটা কিছুর সঙ্গে। একটা লোক। খুব ময়লা জামাকাপড় পরা, সদরস্ট্রীটের ফুটপাথের ওপরে কুন্ডলী পাকিয়ে বসে নীচু হয়ে একটা পাত্রের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে তার মধ্যে ঝুঁকে ঝুঁকে কী যেন করছে। নীলচে মতো আগুন।
    দাঁড়াবো না। আমি জোরে জোরে হাঁটতে থাকি চৌরঙ্গীর দিকে। একটা বাস ধরতে হবে। বাস স্টপটা যেন কোথায়? পার্কস্টীটের মোড় অবধি যাওয়া চাই।
    আর্ট কলেজ পেরিয়ে যাবার পরে খেয়াল হলো বাসে চড়ব কেমন করে? আমার পার্সটাতো রয়ে গেছে পিয়ারলেস ইনের ছয় কিংবা সাততলার কোনো একটা রুমে। সেই পার্সের মধ্যে ছিলো আমার ফেরার বাসভাড়া ও আরো কিছু অতিরিক্ত টাকা, আমার ঘরের চাবি।
  • সে | 188.83.87.102 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৩৮652859
  • একটা কাজ করা যায়। হেঁটে যদি ফেরা যায়। কত সময় লাগবে? তিন ঘন্টা, চার ঘন্টা, আরো বেশি? লাগুক।
    এত ঘুরে যাবো না। শর্ট কাট করতে হবে। রাস্তা ক্রস করে পশ্চিমে রেড রোডের দিকে চলে যাই বরং।
    রেড রোড অবধি পৌঁছনোর আগেই উঠল ধুলোর ঝড়। গড়ের মাঠের ধারে যে কটা গাছ অবশিষ্ট আছে ভীষণ দুলে দুলে ঘুরে মুচড়ে ওঠে যেন। হাঁটা যায় না, চোখ খুলে রাখা মুশকিল, তবু টেনে টেনে পৌঁছে যাই রেড রোডের ওপারে। হু হা গাড়ি চলছে তীরের মতো। যদি বৃষ্টি আসে, যদি ভিজে যাই?
    একটা বাস এসে দাঁড়ায় একদম সামনে। এটা বাস স্টপ নাকি?
    কন্ডাকটর হাঁকছে - খিদিরপুর, মাজেরাট, তারাতল্লাআ!
    তারাতলা?
    উঠুন উঠুন
    ভাই আমার মানিব্যাগটা হারিয়ে গেল, পয়সা নেই..
    ঠিক আছে উঠে আসুন।

    তারাতলায় নেমে আরো মাইলের পর মাইল হাঁটি।
    বিকেলের সেই হাড় হিম করা ভয়টা কেটে গেছে।

    বজ্র বিদ্যুৎসহ এক পশলা ঝড় বৃষ্টির পরে গরমটা একটু কম।

    পাড়ায় পাড়ায় আলো জ্বলছে, টিভি সিরিয়াল, আরো অনেক অনেক প্রোগ্রামের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। আজ জন্মভূমি নেই, রবিবারে জন্মভূমি হয় না? নাকি রাত বেশি হয়ে গেল। অন্ধকারে ঘড়ি দেখতে পারছি না।
    আমি মনে মনে গুনগুন করি।
    হেথা কে রাআখিবে দুখভয় সঅ অং কটে
    তেমোনো আপোনো কেহ নাআআহি এ প্রান্তরে
    সুর বসছে না গলায়। যা ঝক্কি গেল।
    এখন তালা ভাঙতে হবে না কী করব।
    এ পরবাসে রবে কে?
  • সে | 188.83.87.102 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৩৯652860
  • এই চাগ্রীর গপ্পোটা এখানেই শেষ হলো।
  • Lama | 160.107.179.19 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৪৩652861
  • Arpan | 125.118.157.69 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১০652862
  • উফ্ফ্ফ্ফ।
  • s | 117.131.42.250 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১৮652863
  • দারুন লেখা। মনে মনে আমরাও সে'র সংগে ঐ হোটেলে গেছিলাম, ঐ রুমে ঢুকেছিলাম আর পালিয়ে আসছিলাম।
    জানি সব ইচ্ছে পূরণ হয় না, কিন্তু কোথাও যদি এই গপ্পোটাতে ঐ ভৈশ আর রাকেশের পশ্চাৎদেশে ক্যাঁত ক্যাঁত করে তিনটে লাথি মারার ছোট্ট একটা ঘটনা থাকত, তাহলে রাগটা একটু কমত।
  • Ishani | 24.99.230.254 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০৭:৩৫652864
  • দমবন্ধ করে পড়ছিলাম | সোনার ...না না , প্ল্যাটিনামের দোয়াত -কলম হোক ! আর , দ্বিতীয় পর্ব শুরু হোক !
  • Tim | 47.150.69.129 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:৪৮652865
  • লেখার স্টাইল এত টানটান, আহা! সেলাম। এটা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লেখা, তাই "কোন প্রশ্ন নয়"। ফিকশন হলে ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তর প্রশন ও কাটাছেঁড়ার সুযোগ ছিলো। ঃ-)
  • Tim | 47.150.69.129 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:৪৯652866
  • প্রশ্ন*
  • ranjan roy | 132.176.140.28 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:৫৪652185
  • সেলাম!
    লেখা তো বটেই, ওই প্রেজেন্স অফ মাইন্ড, ইনিশিয়েটিভ আর অদম্য ইচ্ছে!
  • lcm | 118.91.116.131 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ১০:০৫652186
  • শেষটা যা ভাবছিলাম তাই হয়েছে।
  • Amit Sengupta | 127.247.118.151 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ১০:১২652187
  • টানটান লেখা। UNPUTDOWNABLE. আরও চাই।
  • kiki | 125.124.41.34 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ১০:৩৩652188
  • অসাধারন লেখা।
  • stuti | 127.199.210.187 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ১০:৩৯652189
  • উত্তেজনায় ভরপুর টানটান লেখা ।আরও লিখুন ।
    আচ্ছা একা মিঃ ভৈশের সাথে যাবার আগে একবার মনে হল না বিপদ হতে পারে । আপনার উপস্থিত বুদ্ধি সত্যি প্রশংসনীয় ।
  • BC | 34.7.36.95 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:২২652190
  • দুর্দান্ত লেখা ! আরও 'চাগ্রীর গপ্পো' পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
  • de | 24.97.252.15 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ২০:১০652191
  • উফ! বাঁচা গেলো --- চিন্তা ধরিয়ে দিয়েছিলেন-

    কিন্তু পার্স হারিয়ে মাস চললো কি করে? পয়সা কড়ি সব ওতেই ছিলো না?
  • Atoz | 161.141.84.164 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ২৩:৩০652192
  • না না, শুধু বাসভাড়া আর সামান্য অতিরিক্ত টাকা পার্সে ছিল বললেন তো!
    বাকী টাকা ঘরেই ছিল। ঃ-)
    কিন্তু বাকী পড়া সেই গোটা মাসের মাইনেটা দিল না ভৈশ আর? মেরে দিল নাকি?
    সেইদিন ঐ ছয়তলা না সাত্তলার হোটেলঘরে ভৈশ আর রাকেশে মিলে নির্ঘাত মহিষ-ষাঁড়ের লড়াই লড়েছে। ঃ-)
  • মোহর | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ২৩:৫৫652193
  • চাকরীর গপ্পো পড়ে একটা ছোট্ট ঘটনা মনে পড়ে গেল।

    ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস করতে সুবিধে হবে ভেবে আমার পিতৃদেবের এক বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাড়িতে মাস তিনেক পিজি ছিলাম । তার স্ত্রীর একটি ট্রাভেল এজেন্সি ছিল । তিনি একদিন বেরোবার সময় আমাকে বললেন, তোকে গাড়ি কলেজ অব্দি ড্রপ করে দেবে, শুধু মাঝখান-এ একটা অফিস-এ ঢুকে এই ভিসার কাগজগুলো রিসেপশন-এ দিয়ে দিবি। আমি দুনিয়ার দ-ও চিনতাম না, রাজি হয়ে গেলাম । অফিসটা ছিল পার্ক স্ট্রিট-এ, বহুতল বিশাল ধামাকা টাইপ । ৭ তলায় রিসেপশন-এ গিয়ে কাগজগুলো দিয়ে দিলাম, রিসেপশন-এর মেয়েটি "আপনি অমুক এজেন্সি থেকে এসেছেন তো ? স্যার আপনাকে ওয়েট করতে বলেছেন " বলে স্যার-এর গ্রে, ওপেক কাঁচ-ঢাকা বিশাল কেবিন দেখিয়ে দিল। আমি সেই কাকিমাকে ফোন করলাম; তখন আবার ইনকামিং-এ পয়সা লাগত। তিনি খুব ব্যতিব্যস্ত হয়ে বললেন, দশটা মিনিট থেকে যা, খুব দরকারী কিছু হতে পারে!

    মিনিট পাঁচ পরে "স্যার" এলেন। ধরে নিন ওই রাকেশ / ভৈশ টাইপ, হুবহু । এসে "আরে ডিয়ার অনেকখন ওয়েট করছ নাকি, প্লীজ লেট'স হ্যাভ আ কাপ্পা কফি" ইত্যাদি বলে সোজা আমার পাশে বসলেন এবং, বাহ, মিসেস বি -র কিন্তু নজর আছে, কতদিন জয়েন করেছ? say , why don ' t you come directly over to me ? it will be easier that way ! ততক্ষণ-এ হাতটি আলতোভাবে কাঁধে উঠে পড়েছে।

    আমি উঠে পড়ে বলেছিলাম, no, thank you, my car is waiting, i don't really have time for coffee now. and you seem to have been misinformed, i don't work for that agency. একটুও অপ্রতিভ না হয়ে লোকটি আমাকে বললেন, তাহলে রাধিকা তোমাকে পাঠালো কেন? are you related? বললাম, i am not family, but Mr. B. is a friend of my dad's. তাতে বেশ উত্সাহিত হয়ে বললেন, তাহলে? what's the problem, my offer still stands. i need fresh faces.

    তখন প্রায় দরজার কাছে চলে গেছি, বললাম, my dad may be the problem, he is blah blah. লোকটি তার আগে অব্দি উঠব উঠব করছিলেন, বাবার নামধাম বলার পর একটু চমকে গিয়ে আবার বসে পড়লেন। আমিও টকটক করে বেরিয়ে এলাম ।

    তখন বাচ্ছা ছিলাম, বিপদে পড়লে পিতৃনাম স্মরণ করতাম। আজকের মোহর হলে সেদিন ওই লোকটির কপালে দু:খ ছিল। সেই কাকু-কাকীমার বাড়িতে অবশ্য আর থাকা হয় নি । বাবারও বন্ধু-বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০৭652194
  • মোহর, বেশ গাট্টাগোট্টা বত্রিশটা থাপ্পড় ঐ মহিষাসুরের দুইগালে দিতে পারতে। ডাবাহুঁকোর মতন মুখ বেশ থ্যাবড়ামতন হয়ে যেত। ঃ-)
  • Atoz | 161.141.84.164 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ০০:১০652196
  • ফ্রেশ ফেস চায় কিনা, নিজেরই ফেসটা নতুন হয়ে গেলে কেমন লাগে বুঝে যেত। ঃ-)
  • মোহর | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ০০:২০652197
  • আরে, আমি সত্যি bookworm বাচ্ছা ছিলাম, আর খুবই অহিংস ছিলাম। Munro Leaf এর সেই ফার্দিনান্দ নামক ষাঁড়টির মত :(
  • সে | 188.83.87.102 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৪:৩৯652198
  • আগের গপ্পোটা পড়বার জন্যে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে আরেকটা গপ্পো শুরু করছি।
    এটা আগের গপ্পোটার মাস সাত আট পরের গপ্পো।
    সময়ঃ জানুয়ারী ১৯৯৭।
    স্থানঃ কোলকাতা
    ধৈর্য ধরে বসুন। থার্ড বেল বেজে গেছে। পর্দা উঠছে ধীরে ধীরে।
  • | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৫:০৪652199
  • একসাথে পুরোটা পড়ে ফেললাম। টইএর বিভাগ চয়নের সাথে গল্পের মিলমিশ দারুণ। পড়তে একেবারে টানটান লেগেছে।

    আমার পড়ে মনে হল এটা বোধহয় একেবারে সে'র নিজস্ব অভিজ্ঞতা নয়। আর হলেও রাশিয়া যাবার আগে।
  • kiki | 125.124.41.34 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৫:০৫652200
  • ইয়ে, এগুলো কি সে-র নিজের গপ্পো? সে-র এই ধরনের চাগ্রী দরকার না হবার ই কথা ছিলো, যে রাশিয়া থেকে পড়াশুনা করে বাইরে কাটিয়ে এসেছে , এবং প্রখর বুদ্ধিমতি, মানে আমার তাই ধারনা আর কি। যাহোক গপ্পো হোক। আর একটু সাহস এদিকে সাপ্লায়িত হোক, সামনের বছর একাই ব্যাকপ্যাক নিয়ে বেরিয়ে পরার ইচ্ছে আছে। সবাই হাসবে , কিন্তু একা কোথাও গিয়ে এখন ও থাকিনি। বাকি সাহসিনীরাও একটুস সাহস দিও।ঃ)
  • মোহর | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৫:১৪652201
  • উফফ !! থেন্কুজ সে :)
  • সে | 188.83.87.102 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:৩২652202
  • নিউ মার্কেট এলাকায় যে এমন একটা ইংরেজ আমলের বাড়ী আছে যেগুলো অফিস বা ব্যবসা নয়, বড়োমানুষদের থাকবার জন্যে - এসব জানতেই পারতাম না, যদিনা আজ সকালে উপস্থিত হতাম মিসেস শর্মার কাছে।
    তিনসেট সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলায় এসেছি। অসম্ভব উঁচু একেকটা তলা। ব্রিটিশ আমলের চওড়া কাঠের ধাপ মানুষের পায়ের ঘষা খেতে খেতে প্রত্যেকটা ধাপেরই মাঝখানটা ক্ষয়ে যাওয়া, মসৃণ। খেয়াল করে না চললে পা পিছলে যেতে পারে। এই সিঁড়িতে বাইরের কোনো আলো আসে না, ময়লা বিবর্ণ ঝুলধরা দেয়ালে জ্বলছে লো পাওয়ারের ডুম। সিঁড়ির প্রতিটি ধাপেরই দুই প্রান্তে জমে আছে ধুলো।
    দোতলায় চারটি দরজা, যদিও দুটো অ্যাপার্টমেন্ট। প্রত্যেকটা অ্যাপার্টমেন্টের যে দুটো করে দরজা সেটা অনুমেয়। যে দরজার ওপরে পেতলের নেমপ্লেট সেখানেই খোদাই করা আছে মালিকের নাম। কলিং বেল বাজালাম। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই খুলে গেল পেতলের হাতল লাগানো দেড়মানুষ উঁচু কাঠের দরজার পাল্লা।
    দরজা খুলেছে একজন পরিচারিকা গোছের মেয়ে।
    মিসেস শর্মা?
    আছে। এখানে জুতো খুলে ওখানে বসুন।
    সে চলে যায়।
    ঘুরে দেখি প্রকান্ড একটা ঘর। ঘরের শেষ প্রান্তে আরেকটা ঘর, অন্যপাশে একটা দরজার সাইজের জানলা, সেইখান থেকেই যতটা সম্ভব বাইরের আলো ঢুকছে।
    অবশ্য একটু পরেই চোখ সয়ে যায়। ভারি সুন্দর করে সাজানো এই ড্রইংরুম। অনেক দামি দামি আসবাব। একটু পরেই শুরু হচ্ছে নরম পুরু কার্পেট।
    সেই কার্পেটের ওপরে একটা অংশ জুড়ে বসার ব্যবস্থা। নীচু সেন্টার টেবিল, ভেলভেটমোড়া গোটা চারেক চেয়ার। সেই চেয়ারের একটিতে বসে আছে একটা রোগা পাতলা মেয়ে। সে আমার দিকে একবার দেখেই মুখ ঘুরিয়ে নেয়, তার হাতে রয়েছে একটা ইংরিজি ম্যাগাজিন। আমি তার পাশের চেয়ারটাতে না বসে একটা ছেড়ে বসি।
    এই চারটে চেয়ার ছাড়াও একটা বড়ো সড়ো সিঙ্গল কাউচ আছে এখানে।
    একটু পরেই মেয়েটা সেই ইংরিজি ম্যাগাজিনটা তাড়াতাড়ি বন্ধ করে সেন্টার টেবিলে রেখে দিলো। ওপরে লেখা আছে ফেমিনা।
    বাড়ীর ভেতর থেকে ওয়াইন কালারের সিল্কের শাড়িতে ফাইল হাতে হেঁটে আসছেন মিসেস শর্মী। মধ্য চল্লিশের ওপারেই মনে হচ্ছে বয়স, অন্ততঃ এই আলো আঁধারিতে যতটা ধরা পড়ে, বয়কাটে অল্প পাকা চুল মাথার সামনের দিকটায়, আঠা লাগানো দামি টিপ কপালে, আর গলায় ঝুলছে চশমা। রীডিং গ্লাস।
    মিসেস শর্মা কাউচে বসলেন।
  • সে | 188.83.87.102 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:১১652203
  • এক এক করে আমাদের দুজনকে দেখে নিয়ে আমার সঙ্গেই প্রথম কথা বললেন তিনি।
    ইউ আর?
    আমি নাম বললাম।
    রাইট। তোমার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।
    উনি হাতের ফাইলটা খুললেন।
    ফীল দিস ফর্ম।
    আমার হাতে একপাতার একটা ফর্ম ধরিয়ে দিয়ে মিসেস শর্মা অন্য মেয়েটির দিকে ফিরে বললেন, নাউ টেল মী ডাভিনা, হাউ ক্যানাই হেল্প ইউ?
    মেয়েটা কিছু বলে না।
    আমি ফর্ম ফিলাপ করতে করতে একফাঁকে দেখে নিয়েছি সে বিমর্ষ চোখে মাথাটা অল্প কাৎ করে মিসেস শর্মার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
    তিনি অবশ্য চোখে পরে নিয়েছেন রীডিং গ্লাস এবং ফাইলের মধ্যে কীসব দেখছেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে।
    ফর্মটা ভর্তি করতে থাকি।
    আমার নাম বয়স হাইট ঠিকানা টেলিফোন নম্বর ম্যারিটাল স্টেটাস কত সালে দশ ক্লাস পাশ করেছি কত সালে বারো ক্লাস কত সালে গ্র্যাজুয়েশন ইফ অ্যাপ্লিকেব্‌ল্‌ আগের কোনো ওয়ার্ক এক্স্‌পিরিয়েন্স, কবে থেকে কবে, তার সপক্ষে সার্টিফিকেট, টাইপিং জানি কিনা, এই সমস্ত।
    মিসেস শর্মা একজন এজেন্ট। প্লেসমেন্ট এজেন্ট।
    অনেক কিছুই ফিলাপ করতে পারছি না। আগের কিছু ওয়ার্ক এক্স্‌পিরিয়েন্স আমার আছে কিন্তু প্রমাণ করবার কাগজ নেই। চিন্তা করছি কী লিখব?
    সো ইউ হ্যাভ নাথিং টু সে? ওয়ান্ট টু হ্যাভ অ্যা গ্লাস অফ ওয়াটার?
    মেয়েটা বিড়বিড় করে কী একটা বলে যেন। মাথা নীচু করে বসে আছে। তাকিয়ে দেখি সে খুঁটে খুঁটে নেলপালিশ ওঠাচ্ছে নখ থেকে।
    ইফ্‌ ইউ হ্যাভ নাথিং টু সে, আই অল্‌সো হ্যাভ নো কন্সার্ন অ্যাবাউট ইউ।
    আই ওয়জ নট ফিলিং ওয়েল।
    মিনমিন করে উত্তর দেয় মেয়েটা।
    সো মেনি অ্যাব্‌সেন্টিস্‌! এভরি উইক ইউ আর অ্যাবসেন্ট ফর টু টু থ্রী ডেইজ্‌!
    মেয়েটা এবার চোখ তুলে তাকায় মিসেস শর্মার দিকে।
    এভ্রি টাইম আই সেন্ড ইউ সামহোয়ার দ্য সেম ওল্ড থিংস্‌ আর রিপিটেড। আই হ্যাভ মাই ওন রেপুটেশান ডিয়ার। থিংস ক্যানট ক্যারি অন লাইক দিস।
    মেয়েটা চুপ করে বসে বসে এগুলো শোনে।
    এরপরে মিসেস শর্মা আমার হাত থেকে নিয়ে নেন ঐ ফর্মটা।
    দ্রুত চোখ বুলিয়ে নিয়ে ফের ডাভিনাকে, ইউ আর এফিশিয়েন্ট, দেয়ার ইজ্‌ নো ডাউট ইন ইট্‌, বাট ইউ টেক থিংস সো লাইটলি.. ইৎনা ইজি নেহি হ্যায়, ইট্‌স্‌ ভেরি হার্ড...
    এরপরে আমার দিকে তাকিয়ে, ইউ হ্যাভ নো বিএ ডিগ্রী? ওকে, .. আঁহা, আনম্যারেড্‌, গুড। আই উইল সী ওয়াট আই ক্যান ডু ফর ইউ।
    আমি কবে খবর নেব?
    কল মী টুমরো।
  • সে | 188.83.87.102 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:১৩652204
  • পায়ে চটি গলিয়ে বেরিয়ে আসছি, ফোনটা বেজে উঠল। ইশারায় বিদায় জানালাম, উনি কর্ডলেসে কথা বলতে লাগলেন।
    প্রায় দশ পনেরো ধাপ সিঁড়ি নেমে গিয়েছি, দেখি ওপর থেকে সেই পরিচারিকা ডাকছে আমায়।
    আপকো বুলায়া।
    আবার উঠে যাই ওপরে।
    মিসেস শর্মা আমাকে দেখেই বলে ওঠেন- দেয়ার ইজ্‌ অ্যান ইন্টারভিউ টুমরো।
    আমার বুকের মধ্যে ধুক্‌পুক্‌।
    গ্র্যান্ড হোটেল। ইলেভেন ও ক্লক্‌। প্লীজ নোট ডাউন দিস্‌ নেম।
    আমি নামটা টুকে নিই।
    গ্র্যান্ড হোটেল?
    ইয়েস, বাট ইউ হ্যাভ টু এন্টার থ্রু সার্ভিস এন্ট্রান্স।
    সার্ভিস এন্ট্রান্স কোথায়?
    ব্লু প্রিন্ট চেনো? অপোসিট টু লাইট হাউস?
    চিনি।
    ব্লু প্রিন্ট লেফটে রেখে সিধা চলে যাবে। অনেক শপস আছে ওখানে। সাত আটটা শপস্‌ এর পরেই গ্র্যান্ডের সার্ভিস এন্ট্রান্স। ওখানেই এই নামটা বলবে।
    ওকে।
    অ্যান্ড ড্রেস ফর্ম্যালী, বি নিট অ্যান্ড ক্লিন, ওয়্যার সারি, অ্যান্ড নো চিপ্‌ড্‌ নেল পলিশ।
    আচ্ছা।
    ইন্টারভিউ হোলে ওরা আমাকে বোলবে। তুমি আমাকে কাল আফটারনুন ফোন করো।
  • potke | 126.202.101.21 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৩৫652205
  • দ, আম্মো এটাই ভাবছিলাম ঃ), ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করা যাবে না ভেবে চেপে ছিলাম।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:১০652207
  • পরেই, পরেই তো! গল্পের মূল চরিত্র মেয়েটি তো বিলেত টিলেত দেখে এসেছে বলছিল, সেই যে উইন্ডসর এর কথার সময়! তখন সে ভাবছিল ইংল্যান্ডে কেম্ব্রিজ আর অক্সফোর্ড দেখেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন