এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • চাগ্রীর গপ্পো

    সে
    নাটক | ১৩ নভেম্বর ২০১৪ | ২১৩৪৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 188.83.87.102 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৬:২৫652241
  • বাড়ীর স্টপে বাস পৌঁছল রাত দশটা নাগাদ। এ পাড়ায় এটা খুব বেশি রাত নয়। বাস স্টপের পাশেই একটা পান বিড়ির দোকান। দুটো লোক রয়েছে দাঁড়িয়ে। একজন পান কিনছে। কাচের বোয়ামে অনেক চুইং গাল। বুমার, বিগ্‌ বাবল, চিকলেট্‌স্‌। দুটো চুং গাম কিনব ভেবে পানের দোকানের সামনে দাঁড়াই।
    আমাকে একটা পান কিনে দিন না।
    আমার সামনে একটা লোক। জামাকাপড় দেখে যাদের আমরা ভদ্রলোক বলি ঠিক সেইরকমের ড্রেসকোড। ঘেমো। চেকচেক শার্ট। বছর পঞ্চাশেক বয়স। মুখে হালকা মদের গন্ধ। এ আবার কীরকমের আবদার? আমাকেই বলল নাকি? লোকটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম।
    হাতে একটা পোর্টফোলিও ব্যাগ। অফিস ফেরতা মদ খেয়ে বাড়ি ফিরছে। তা আমি ওর পানের দাম দেবো কেন?
    কেন? আপনার কাছে পয়সা নেই?
    আছে। আমি আপনাদের নীচের ফ্লোরে থাকি। চেনেন না? দিন না একটা পান কিনে।
    ভিখিরি টাইপ লোক। না। ভিখিরি নয়। এ হচ্ছে খুবই ঘৃন্য জীব। লোকটা লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে আমার দিকে। চোখের দৃষ্টি অস্বচ্ছ। এর স্ত্রীই প্রজাতন্ত্র দিবস, সরস্বতী পুজো, নেতাজি, ইত্যাদিতে সোসাইটির বাচ্চাদের নিয়ে হারমোনিয়াম বাজিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহলা দেন, ওদের যুবক ছেলে সেতার বাজায় ফাংশানে, এতক্ষণে চিনেছি।
    আচ্ছা, পান কিনে দিতে হবে না, একটা সিগারেট কিনে দিন। ফিল্টার উইল্‌স্‌।
    আমি রাত করে বাড়ি ফিরছি কিনা তাই আমার পেছনে লাগবার অধিকার ওর থাকবেই।
    আপনার এতটা অর্থাভাব?
    না। অর্থাভাব না। আপনার কাছে চাইছি।
    একটা সিগারেটের দাম ঐ চুইংগামের সঙ্গে কেটে নেবেন ভাই। (পানওয়ালাকে বলি)
    লোকটা পেছন পেছন আসতে থাকে।
    আমি গ্র্যান্ড হোটেলে সার্ভিস করি। আপনি কোথায় কাজ করেন? আপনাকে যেন সেদিন দেখলাম এস্‌প্ল্যানেডে...আরো কত কী বলে যায় লোকটা।
    আমি কোনো উত্তর দিই না। শুধু ভাবি এদের বাড়ীতে আয়না নেই?
  • s | 117.131.42.250 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৮:০৩652242
  • নো এন্ট্রি ফর লেডিস - স্বাধীন ভারতবর্ষে কোন রোস্তারায় লেখা থাকতে পারে? এ তো সরাসরি লিঙ্গবৈষম্য, লাইসেন্স চলে যাওয়া উচিৎ।
  • . | 132.248.161.59 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:৪১652243
  • কি আশ্চর্য্য এরপর তো লোকে বলবে মেয়েদের সেলুনে ছেলেদের ঢোকা বন্ধটাও লৈঙ্গবৈষম্য- এগুলি এক এক রকম বিজনেশ মডেল
  • kiki | 125.124.41.34 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৫:৪১652244
  • এই জঘন্ন্য জীব গুলো সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে, এমনকি মজার হলো, এই নেটে, ফোরামে, সব জায়গায়। বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় না, হয়ত সেই বেশী যুক্তি দিয়ে ভালো ভালো কথা বলে যাচ্ছে। আর সমাজের নিয়মের বাইরে যারা গেছে তাদের ই শুধু দুর্ভোগ হয় এমন না, অন্যদের ও হয়। ঘেন্না ধরে গেলো।
  • কল্লোল | 125.242.188.159 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৭:১০652245
  • খুব অদ্ভুত লাগে এই সব জাস্টিফিকেশনের চেষ্টা। বেশ ঘেন্না হয়।
  • . | 59.207.252.224 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৮:৩৩652246
  • না বুঝেই প্রগতিশীল সাজা এদের দোষ। লৈঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হয় -সেলুনে, ডিস্কো থেকেও । এরপিছনে কারণ দেখতে যাওয়া বোকামি।
  • a x | 126.202.210.151 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ২১:১৮652247
  • এ লৈঙ্গ কুন আছিব?
  • একক | 24.99.194.50 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ২১:৪০652248
  • সরি টু ডিফার । অনলি গার্লস ক্লাব , বয়েস ক্লাব নিয়ে সমস্যা কী | ইউনিসেক্স যেমন একটা মডেল,জেন্ডার প্রায়রিটি ও আরেকটা মডেল । সব মডেলের এলক্স্ক্লুসিভ ,ইনক্লুসিভ অডিয়েন্স ও আছে। এনিওয়ে গল্পের থ্রেড ,এসব থাক ।
  • . | 59.207.252.224 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ২১:৫৩652249
  • এমা একক তাহলে প্রগতিশীল নয়। কল্লোলের মত যারা সবকিছুতেই বৈষম্য খুঁজে প্রগতিবাদী সাজে তাদের মত নয়। অনেক বারেই মহিলাদের জন্য বিশেষ সময় থাকে, সুইমিং পুলে আলাদা সময় থাকে এইগুলি যে বৈষম্য নয় এটা বুঝতে সদিচ্ছা লাগে। অন্য লোককে দাগিয়ে দেওয়ার আগে এটা ভাবলেই হয়।
  • s | 117.131.42.250 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৮:০০652251
  • উদাহরণগুলো ঠিক নয়। ওনলি বয়েস/ গার্লস ক্লাব হল ক্লাব (বোল্ড ফন্টে)। সেখানে মেম্বার্শিপ আছে এবং ক্লাবের পলিসি অনুযায়ী তা শুধু পুরুষ/ নারীকে দেওয়া হয়। সুতরাং নন মেম্বার হিসাবে ক্লাবে ঢুকতে না দেওয়া হতে পারে। মেয়েদের সেলুনে শুধু মেয়েদের চুল কাটার পরিষেবা দেওয়া হয়। সেখানে পুরুষ পরিষেবা পাবে না বলে তাকে ঢুকতে বারণ করা যেতে পারে। তা হলেও যদি আমি আমার মেয়েকে মেয়েদের সেলুনে চুল কাটাতে নিয়ে যাই এবং তার যখন চুল কাটা হচ্ছে সেই সময়টুকু সেলুনের মধ্যে থাকতে চাই, তখন সাধারনত তা অ্যালাউ করা হয়ে থাকে।
    কিন্তু একটা বার/ রোঁস্তারা যা পাব্লিকের জন্য খোলা, তারা কি বলতে পারে আমরা মেয়েদের ড্রিন্ক সার্ভ করব না? খেতে দেব না?
    ইভন গে বারে মেয়েরা আলাউড। যদিও সাধারনত তারা সেখানে যেতে চাইবে না স্বাভাবিকভাবেই।
  • hzbz | 181.25.193.78 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:৪১652252
  • মেয়েদের সেলুনে মেয়েদের চুল কাটে ছেলেদের রেস্তুরেন্টে ছেলেদের খেতে দেয়। আলাদা কি লাগল। সাধীন দেশে ছেলেরা লম্বা চুল রাখছে মেয়েরা রোগা হচ্ছে।
  • শ্রী সদা | 113.19.212.21 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:৫৮652253
  • সস্তার বারগুলোতে ইউজুয়ালি যে শ্রেণীর লোকজন যায় সেটা মাথায় রেখে বার কর্তৃপক্ষ পরবর্তী অনেক ঝামেলা বাঁচাতেই মেয়েদের ঢুকতে দিতে চায়না। যার যেটা টার্গেট কাস্টমার বেস আর কি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এতে কোনো দোষ দেখিনা। নিজে ঐ ধরণের প্রচুর বার এ গেছি কোলকাতায় থাকতে, পরিস্থিতিটা বুঝি।
  • hu | 188.91.253.22 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১১:১০652254
  • টার্কিতে কোনিয়া শহরে একটা চায়ের দোকান দেখলাম যেখানে মেয়েদের প্রবেশ নিষেধ। গাড়িতে যেতে যেতেই দেখলাম। খোলা দোকান। কাঠের বেঞ্চি পাতা। ওখানে শুধু পুরুষমানুষরা চা-পান করতে এবং সোস্যালাইজ করতে পারেন। কোনিয়া জালালুদ্দিন রুমি এবং মোল্লা নাসিরুদ্দিনের শহর। সুফি ইসলামের জন্মভূমি। এখন টার্কির অন্যতম কনসার্ভেটিভ শহর। রাস্তায় যত মহিলা দেখলাম সকলেরই কালো পোষাক। অনেকেরই মুখ ঢাকা। এক দঙ্গল বাচ্চা নিয়ে কোন কিন্ডারগার্ডেন থেকে চার-পাঁচজন টিচার এসেছিলেন রুমির সমাধি দেখাতে। প্রত্যেকেই নজর কাড়ার মত সুন্দরী। কালো পোষাক। শুধু স্কার্ফের ব্যাপারে বোধহয় এখনও বিধিনিষেধ কট্টর নয়। ঐটুকুই যা রং।
  • ?? | 59.207.252.224 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১২:১৮652255
  • আর ডিস্কো থেকে যে একা পুরুষের নিষেধ, কিন্তু একা মহিলা যেতে পারেন সেটা? আসলে সে যেটা বলেছেন সেটা বার ও রেস্তোরা একসঙ্গে এবং যেহেতু উচ্চবিত্তদের জন্য নয় তাই ঝামেলা এড়াতে মহিলা প্রবেশ নিষেধ - ব্যস এইটুকু - এর জন্য অত প্রগতি, ঘেন্না, ইত্যাদি ইত্যাদি .....
  • কল্লোল | 111.63.221.225 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১২:৫৪652256
  • একটা পরিসেবা ব্যবস্থা যাতে আলাদা করে উল্লেখ করা আছে পুরুষদের জন্য বা মহিলাদের জন্য সেখানে অন্য লিঙ্গের মানুষকে পরিসেবা না দিতে চাইলে কিছুই বলার নেই। কিন্তু যেখানে সেটা উল্লেখ করা নেই সেখানে কাউকে শুধু লিঙ্গের ভিত্তিতে পরিসেবা না দিতে চাওয়া অন্যায়। আর যারা সেটাকে সমর্থন করছে, সেটা আরও অন্যায়।

    এদের যুক্তিতে কালো/সাদা/বাদামী/পীত মানুষদের পরিসেবা দিতে না চাওয়াটাও "ঠিকই" আছে। মুসলমান/হিন্দু/খ্রীষ্টান/ইহুদী হওয়ার জন্য পরিসেবা দিতে না চাওয়াটাও "ঠিকই" আছে।

    "ডিস্কো থেকে যে একা পুরুষের নিষেধ" এটাও অন্যায়। যারা সমকামী তাদের পরিসেবা দিতে অস্বীকার করাও অন্যায়।

    খুব বিরক্ত লাগছে - এসব কথাও লিখতে হচ্ছে।
  • - | 109.133.152.163 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১২:৫৮652257
  • পরিষেবা
  • সিকি | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৩:০০652258
  • অন্যায় টন্যায় কিছু না। তা হলে লেডিজ অনলি সীট বা লেডিজ কামরাও অন্যায়। একটা পার্টিকুলার ব্যবসায়ী কেবল পুরুষদের পরিষেবা দিতে চায়, যে কোনও কারণেই হোক, সেইটা তার ব্যবসার ইউএসপি হতেই পারে। মহিলাদের জন্য তো বাকি ব্যবসায়ীরা রয়েছেই যারা জেন্টস অনলি বোর্ড না ঝুলিয়ে ব্যবসা করছে।
  • কল্লোল | 111.63.221.225 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৩:০৪652259
  • ড্যাশকে ধন্যবাদ।
    কিন্তু কেউ কি দুপহা দেবে?
    সেবা থেকেই পরিষেবা। কেন পরিসেবা নয়। নত্ব-ষত্ব বিধি কিছু আছে?
  • pi | 24.139.221.129 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৩:১৪652260
  • ষত্ব। র আছে বলে।
  • maximin | 127.194.234.202 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৪:১২652262
  • পড়ছি।
  • de | 24.139.119.173 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৬:০৪652263
  • সে, তারপর?
  • . | 59.207.252.224 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৮:৫৬652264
  • তাহলে বাসে, ট্রামে লেডিস সিটের নামে যে লিঙ্গ বৈষম্য চলছে, তা বিরুদ্ধে কেস হোক? মহিলাদের জন্য বিভিন্ন যে আলাদা লাইন আছে সেগুলি বন্ধ হোক? সব স্কুল কো-এড হোক। কল্লোলের এই সরলরৈখিক বিরোধিতার বিরোধিতা করতেও বিরক্ত লাগছে।
    সোজা জিনিষকে সোজা ভাবলেই হয়, নাকি তাতে প্রগতিশীল দেখানও যায় না নিজেকে?
  • কল্লোল | 125.240.8.42 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ২১:৩৪652265
  • ট্রামে বাসে লেডিস সিট না থাকাই উচিৎ।
    মহিলাদের জন্য আলাদা লাইনও থাকা উচিৎ নয়। আলাদা ব্যবস্থা শুধু বয়ষ্ক ও বিশেষ মানুষদের জন্যই থাকা দরকার।
    নিজেকে বেশ পোগোতিসিল লাগছে মাইরী।
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:৫১652266
  • আপনাকে একবার লিমিটে যেতে হবে।
    লিমিটে!
    হ্যাঁ। আপনি মৌলালী চলে যান। আনন্দ পালিত চেনেন তো?
    চিনি।
    ওখানেই আপনার লিমিট। বলবেন অ্যাড্‌হিয়ার থেকে পাঠিয়েছে। ওরা আপনাকে পেমেন্টটা দিয়ে দেবে। ঠিকাছে?
    আমি একটু ঘাবড়ে যাই। জিনিসটা বুঝতে পারছিনা। আমাকে কীসের লিমিটে যেতে হবে? আনন্দ পালিত অবধি যাওয়াটা আমার লিমিট? লিমিটে গেলে পেমেন্ট করবে কেন? কে পেমেন্ট করবে? একটু অস্বস্তি হয়। চুপ করে ভাবি ঠিকঠাক শুনলাম তো?
    শুনুন রুটটা বলে দিচ্ছি। ধর্মতলা থেকে এখন খালি বাস পেয়ে যাবেন। বেরিয়ে পড়ুন। পাঁচহাজার দেবে ওরা।
    এরকম অদ্ভুত জিনিস আগে শুনিনি। তবু এতকিছু অদ্ভুত ব্যাপার যখন হচ্ছেই তখন আরেকটু বুঝবার জন্যে বলি, কে পেমেন্ট করবে?
    মিস্টার চৌধুরী।
    মিস্টার চৌ...
    উনিই লিমিটের মালিক।
    ওহ্‌! এতক্ষনে বোঝা গেল। লিমিট কোনো একটা কোম্পানীর নাম। এরা এত হড়বড়িয়ে কথা বলে যায় যে সবসময় সবকিছু বুঝে উঠতে পারি না।

    মৌলালীর মোড়ে নামি ঠিক সেখানটায় যেখানে ছোটোবেলায় রথের মেলা দেখতে আসতাম। বাকিটুকু হেঁটে যাব। ফুটপাথের ওপরে প্লাস্টিকের চাদর বিছিয়ে কয়েকটা সংসার। নির্বিকারে সেসবের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া সকলেরই প্র্যাক্টিস হয়ে গেছে। সেটুকু পেরিয়ে হেঁটে পৌঁছে গেলাম সিআইটি রোডের মোড় অবধি। এখানে এনসিইআরটির অফিস ছিলো মনে হয়, হয়তো এখনো আছে। ঠিক তক্ষুনি ই পৌঁছে যাই গন্তব্যে। লিমিট নয় তো! এলএমআইআইটি। নবাব্দা ক্রমাগত ভুল উচ্চারণ করে গেছেন। এটা একটা কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেনিং ইন্স্‌টিটিউট। এরকম প্রচুর তৈরী হয়েছে কোলকাতায়। ভেতরে গিয়ে বললাম, নমস্কার আমি অ্যাড্‌হিয়ার থেকে আসছি, মিস্টার চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করব।
    রিগার্ডিং?
    একটা পেমেন্টের ব্যাপারে।
    মে আই নো ইয়োর নেম?
    বললাম।
    একটু ওয়েট করুন। স্যার ক্লাসে আছেন।
  • সে | 188.83.87.102 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:১৩652267
  • মিস্টার এন চৌধুরী ক্লাস নিচ্ছিলেন।
    আমি বাইরে ভিজিটার্স এরিয়ায় বসে বসে এরা কীকী পড়ায় সেসব দেখছিলাম। অনেকরকম জিনিস শেখায় এরা। সমস্তই কম্পিউটারের ব্যাপার প্রোগ্রামিং ইত্যাদি। এর মধ্যে খুব জনপ্রিয় মনে হোলো ওর‌্যাক্‌ল্‌ সেভেন বলে একটা কোর্স। দামও সবচেয়ে বেশি। রিসেপশানের মেয়েটার সঙ্গে ততক্ষনে আলাপ জমিয়ে ফেলেছি।
    ঐ ওর‌্যাকাল সেভেনটাই পড়ান মিস্টার চৌধুরী।
    আচ্ছা, ওঁর পুরো নামটা কী?
    এন চৌধুরী বললেই হবে।
    রিসেপশানিস্ট কিছুতেই এন এর আড়ালে কী নাম আছে কিছুতেই বলে না।
    যদ্দূর বুঝি, এই বিশেষ কোর্সটা এখানে উনিই ভালোমতো জানেন এবং পড়ান। বাকি অন্য কোর্সও আছে কিন্তু সেগুলো অত দামী নয়।

    ক্লাসের শেষে ব্যস্ত মানুষটির দেখা মিলল। দিব্যি অমায়িক ভদ্রলোক। অবশ্য পেমেন্ট পুরোটা করলেন না। দুহাজারের একটা চেক দিলেন। এবং চেকের মধ্যেও সই করেছেন এন চৌধুরী।

    অফিস ফিরতে ফিরতে ভাবি, এই যে আজ সিএমসি কাল লিমিট থুড়ি এলএমআইআইটি এইসব রাজ্যের কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ফেরিওয়ালার মতো বিজ্ঞাপনের জন্যে ঘুরছি, এসবখানে নিজের চাকরির জন্যে উমেদারী করলে কেমন হয়? কিন্তু আমি তো এসব জিনিস একেবারেই জানি না। ওর‌্যাকল সেভেন। এর আগে নিশ্চয় ওর‌্যাকল ওয়ান থেকে সিক্স জেনে আসতে হবে। সেসব কোত্থেকে শিখবো? না শিখলে এসব চাকরি দেবেটাই বা কে? তারপরে যা দাম দেখলাম। অত পয়সাই বা কোত্থেকে পাবো? প্রথমেই এত ইন্‌ভেস্টমেন্ট। নাঃ, আমার এই অ্যাড এজেন্সীর কাজই আপাতত চলুক।
  • Arpan | 125.118.49.172 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:২০652268
  • আরিব্বাস, এরা তো এখনো আছে!! এরাই তো?

    http://www.lmiit.com/
  • সে | 188.83.87.102 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৪৪652269
  • চেক নিয়ে অফিসে ঢুকেই দেখলাম সেই বাক্সের ওপরে বসবার জায়গাটাও দখল হয়ে গেছে। সেখানে বসে আছে আমারি মতো আরো দুটো মেয়ে। তারা নিজেদের মধ্যে খুব জোরে জোরে গল্প করছে। বাসবী আমার দিকে আড়চোখে তাকাল। আমি এখন বসব কোথায়?
    নবাব্দা আছে ভেতরে?
    আছে। আরো লোক আছে ভেতরে। কথা বলছে। তুমি চেক পেলে?
    হ্যাঁ এনেছি।
    আমাকে দিয়ে দাও।
    খামটা বাসবীর হাতে দেবার সময় লক্ষ করলাম লিমিটের ফুল ফর্ম। লা মারে ইন্‌স্টিটিউট অফ ইন্‌ফরমেশন টেকনোলজি। কীরকম ফ্রেঞ্চ ফ্রেঞ্চ গন্ধ আছে নামটায়।

    দুটো মেয়ের মধ্যে একজন টাটা করে বেরিয়ে চলে গেল। অন্যজন বসে রয়েছে। তার পাশে এতক্ষনে একটু জায়গা হয়েছে। আমি গিয়ে ওখানটাতেই একটু বসলাম।

    মেয়েটা ম্যাগাজিনের পাতা ওল্টাচ্ছে। সুন্দর সেজেছে। ভালো গন্ধ মেখেছে।
    নবাব্দা কেবিন থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের দুজনকে পাশাপাশি বসে থাকতে দেখে সপ্রতিভ ভাবে বললেন।
    ও তোমাদের আলাপ হয়ে গেছে? এখনো হয়নি? আচ্ছা আমি আলপ করিয়ে দিচ্ছি। এ হচ্ছে কাজরী। কাজরী এখন এখানেই জয়েন করল। ও তোমাকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেবে। কি কাজরী? হেল্প করবে তো?
    কাজরী হ্যাঁ বা না কিছুই বলে না। নবাব্দার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে আর মুচকি মুচকি হাসে। তারপরে বলে, আপনার সঙ্গে না একদিন ভালো করে ঝগড়া করতে হবে।
    ভীষন লজ্জা লজ্জা হাসি নবাব্দার মুখে।

    আমি হঠাৎ খেয়াল করি, আচ্ছা নবাব্দা আমাকে আগে আপনি করে বলতেন না?
  • a | 69.167.178.117 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৭:২৫652270
  • তুল্লাম
  • সে | 188.83.87.102 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৩:২০652271
  • এইযে মিস্টার দত্ত। নাঃ ওসব মিস্টার দত্ত ফত্ত বলতে পারব না, আপনাকে এরা এখানে কী বলে ডাকে?
    নাম ধরেই ডাকে। নবাব্দা বলে।
    ঠিক আছে। নবাব্দা। শুনুন আমি কিন্তু রোজ দশটা পাঁচটার অফিস করতে পারব না। আগেই বলেছি আমার আরো কিছু ইম্‌পর্ট্যান্ট কাজ থাকে...
    তুমি ভেতরে এসে কথা বলো না।
    কাজরী নবাব্দার কেবিনে ঢুকে বেশ জোরে দিয়ে দিয়ে কথা বলতে থাকে।

    এই মেয়েটাকে চেনো?
    বাসবী খুব লো ভলিউমে জিগ্যেস করলো আমায়।
    না। আগে দেখিনি। আর দেখলেও মনে নেই।
    আগেও এক দু বার এসেছে এখানে। তোমরা তখন বাইরে ক্লায়েন্ট কলে গেছ। এত বকবক করে না! আমি কম্পিউটারে কাজ করছি তো, আর ওদিকে ও এত বকবক করছে যে আমার টাইপ করতে ভুল হয়ে যাচ্ছে। তারপরে এই টেবিলের ওপরে উঠে বসে পড়ছে। প্রিন্টারে ধাঁই করে একটা ঠেলা মারল। পিকিউলিয়ার!

    কাজরী বেরিয়ে এসেছে কেবিন থেকে। ক্রীং করে ঘন্টি বেজে উঠল। এখন তো কোনো ভিজিটার নেই বাইরে, তবে কাকে ডাকছেন নবাব্দা?
    নরেশ! যাও তো ভেতরে, নবাব্দা কী চাইছেন।

    কাজরী আমাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গেল। যেখানে দাঁড়িয়ে প্রথম দিন দেবরূপের সঙ্গে কথা বলছিলাম।
    আমার প্রচুর কন্ট্যাক্ট্‌স্‌ আছে। তবে সেসবতো আমি একদিনেই দিয়ে দেবো না। অতটা গাধা আমি নই, তাছাড়া আমি এখানে চাকরি করতেও আসিনি।
    তাহলে?
    পাগোল নাকি? এখানে ক পয়সা দেবে আমাকে মাস গেলে? চার হাজার? ছ হাজার? আমি একটা একটা করে কাজ এনে দেবো আর তার জন্যে পেমেন্ট নেবো। বুঝেছো? তোমার মুখটা এরকম গোমড়া গোমড়া কেন? হাসি হাসি মুখ না থাকলে অ্যাড দেবে কেউ? এই প্রথম চাকরি?
    না প্রথম নয়। আগেই করেছি, তবে অ্যাডভর্টাইজিংএ নয়।
    আরে বাবা আমিও আগে ভালো চাকরি করতাম। স্পোর্টস্‌ রিপোর্টার ছিলাম।
    আমার চোখ কপালে উঠে যায়।
    অবাক হচ্ছো? হুঁ হুঁ। লাক খারাপ বোঝো? যুগান্তর। যুগান্তরে চাকরি করতাম।
    যুগান্তর তো অনেককাল উঠে গিয়েছে না? তুমি তো আমার বয়সি হবে। তাহলে তুমি খুব কম বয়েসে চাকরি করতে শুরু করেছো।
    উঠে গেছে কে বলল? বন্ধ আছে। আবার খুলবে।
    সিঁড়ির নীচে দেখতে পাই দেবরূপ আসছে।
    ঐ দেখো দেবরূপ। ও ও আগে যুগান্তরে ছিলো। চিনবে হয়ত। তোমার এক্স কোলিগ।
    ওদের আলাপ করিয়ে দিই।
    ওরা আগে দুজনকে চিনত না।
    তুমি স্পোর্ট্স জার্নালিস্ট? আচ্ছা, আমি অ্যাড এ ছিলাম। বরাবরই।
    আচ্ছা।
    আচ্ছা।
    ওদের মধ্যে আলাপটা ঠিক জমল না। কাজরী সেদিনের মতো চলে গেল। আমরা অফিসঘরে ঢুকলাম।
    বাসবী টিফিনবাক্স খুলেছে। একগোছা লুচি আলুরচচ্চড়ি পাশে আরেকটা ছোটো কৌটোয় আঙুর।
    এই খাবার দেখলে বোঝা যায় ওকে চাকরি করে সংসার চালাতে হয় না। দেড় দু হাজার টাকার মাইনেয় ঊনিশশো সাতানব্বইয়ে সংসার চালিয়ে রোজ রোজ এরকম টিফিন আনা যায় না। ও টিফিন বাক্স খুলে বলে, এই তোমরা নাও না, এত আমি খেতে পারব না। আমরা প্রত্যেকেই একটু একটু নিই। তপনও বেরিয়ে পড়ে ঐ সরু জায়গাটা থেকে। চোখে চশমা মুখে হাসি। নবাব্দাও বেরিয়ে যান কোনো কাজে।
    বাসবী বলে, তপন তুমি একটা গান করো না।
    তপন ফিক ফিক করে হাসে।
    ভালো গান করিস নাকি?
    আবারো ফিক ফিক হাসি।
    ও আমাদের এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেল।
    হঠাৎ ও মিহি সরু গলায় শুরু করে

    ওগো মোর গীতিময়
    মনে নাই সেকি মনে নাই....

    সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গলা নকল করে।

    গানের শেষে যখন হোহো করে হাসছি, তখন দেবরূপ আমাকে বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলে , শোন তোর সঙ্গে একটা কথা আছে। খুব কন্‌ফিডেনশিয়াল।
    বল।
    জানিনা, তুই আমাকে কী ভাববি, কিন্তু বুঝিসই তো ঠিক খুলে বলতে পারছিলাম না, একটা হেজিটেশন হচ্ছিলো। সবসময় তো সবকিছু খুলে বলা যায় না।
    আমার বুকের মধ্যে ঢিপ ঢিপ, কী এমন গোপন কথা আমায় বলবে এখন দেবরূপ? এরকম সিমিলার সিচুয়েশন আগে একবার হয়েছিলো অন্য একটা চাকরিতে।
    আমি অপেক্ষা করছি ওর কথাটা শুনবার জন্যে।
    হ্যাঁ যেটা বলছিলাম আরকি। কিছুদিন থেকেই ভাবছি তোকে বলে দেওয়া দরকার। আমরা দুজনেই যখন একই কাজ করি। কথা দে তুই কাউকে বলবি না।
    আমার গলা শুকিয়ে আসে, শ্বাস বন্ধ প্রায়, তবু মাথা নেড়ে সায় দিই।
    শোন, আমি কোনোদিনো যুগান্তরে চাকরি করিনি। ফল্‌স্‌ সার্টিফিকেট দেখিয়েছি। না দেখালেও চলত সেটা এখন বুঝি। কোম্পানী তখন বন্ধ হয়ে গেছে দরজায় তালা ঝুলছে বহুদিন তাও কিন্তু তখন আমার চাকরির এতো দরকার ....
    ওহ্‌! এই কথা। মাথাটা হালকা হয়ে গেল। দেবরূপ অবশ্য বলেই চলেছে।
    চিন্তা করিস না। এটা কোনো ব্যাপারই না।
    চিন্তা হচ্ছে কেন জানিস? ঐ কাজরী বলে মেয়েটা ও যদি উল্টোপাল্টা প্রশ্ন করে তখন...
    ও নিজেও যে ঢপ দিচ্ছে না সে ব্যাপারে তুই শিওর কি?
    তুই তো ছুপা রুস্তম্‌! একটু ক্যাবলামি করিস ঠিকই কিন্তু এক্কেবারে মোক্ষম জায়গাটায় ধরেছিস। উঃ বাঁচা গেল।
  • সে | 188.83.87.102 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:০৫652273
  • .
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন