"আগে দেখতাম নেতারা বলতেন জনগন ভুল বুঝেছে, তাদের বোঝাতে হবে। আজকাল কি সেসব সিস্টেম উঠে গেছে?"
উঠবে কেন? এখনো আছে।
কিন্তু পিটি তো আর নেতা নয় এবং তার ভোট পাওয়ারও দরকার নেই। কাজেই সত্যি কথাটা খুঁজতে তার কোন অসুবিধে নেই।
অন্য দিকে ভেবে দেখুন যে অম্বিকেশের ব্যাপারে যারা মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে আছে এত বছর ধরে, তাদের কি গদির চোখে চোখ রেখে ভর্ভরা রাওএর জন্যে ব্যবহৃত আইনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধাচরণ করার মত মেরুদন্ড আছে? ও যদি চোখ পাকিয়ে বলে যে "অম্বিকেশ জী কে লিয়ে আপ্নে কেয়া কিয়া"? তার কি উত্তর দেবেন?
ধ্যাত, কী সব নিয়ে আপনারা পড়ে আছেন। ওদিকে থাকতে না পেরে আবাপর সাংবাদিকই বিচিপি প্রার্থী হয়ে গ্যাশে। সিউড়িতে। দেখুন দেখুন। :)
পাঞ্জাবে চাষের জন্য আন্দোলন ভাল আন্দোলন। একদম সন্টুনি মন্টুনি। সিঙুরে আন্দোলন খউব খারাপ। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু গুলি চালিয়েছে আর বুদ্ধ বসে নাটক লিকছিল তাই গুলি না চালিয়ে কী করবে!?
আজ সকালে ভ্যাকসিন নিতে গেলাম, জনসন জনসন এর Janssen ভ্যাকসিন দিয়ে দিল। জিগ্গেশ করল এই ভ্যাকসিন নিতে কোনো আপত্তি আছে কি না, মনে মনে বললাম - এক হি ডোজ হ্যায়, ফ্রি মে হ্যায়, ডাল দিজিয়ে
সিপিএম ২১:৫১, হাহা, এইটা ভালো লিখেছেন।
সিরিয়াসলি, এই র্যান্ট দেখে দেখে লোকজনের মাথা গরম হয়ে গেলে দোষ দেওয়ার কিছু নেই (তা বলে খিস্তি করাকে সমর্থন করবো না, ডি দিয়ে যাই)। এ তো আজব ব্যাপার। সেদিন ফেসবুকে দেখছিলাম অয়ন কাকে একটা সিপিএম হেটার বলছে। আমি বললাম, আরে বাপু, সিপিএম হেটার হয়েছে তো তাতে এত অভিমান করার কী আছে? নানান রকম বাস্তব কারনেই যেকোন রাজনৈতিক দলের হেটার থাকবে কিছু, তাদের সঙ্গে আড়ি করে, অভিমান করে থাকলে কী করে চলবে? আগে দেখতাম নেতারা বলতেন জনগন ভুল বুঝেছে, তাদের বোঝাতে হবে। আজকাল কি সেসব সিস্টেম উঠে গেছে? নেতারা নিশ্চয় এখনো তাই বলেন, কিন্তু সমর্থকরা একেবারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, গতকাল যারা ভোট দেয়নি, আগামীকাল তাদের বাড়ি বয়ে বলে আসবো, তোমাদের ভোট কিন্তু আমাদের চাই না, তোমরা ছাগল।
ভোটের মুখে নন্দীগ্রাম নিয়ে এত লম্ফঝম্প করে কী উপকারটা হবে তাই বা কে জানে।
মানুষের এজেন্সিটা খাদ্য আন্দোলনে থাকে, পাঞ্জাবের চাষীদের আন্দোলনেও থাকে কিন্ত নন্দীগ্রামে থাকে না। সেখানে পাঁক থাকে, বদামি থাকে, কারণ সেখানে আমার পছন্দের দল ও সরকার থাকে।
তখনকার সেই 'পাঁক' তো এখন দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতার কথায় নেচে। যাতে নিজের মতের স্বার্থে ব্যবহার করা যায়। হামবাগ টিভিতে নিশ্চয় প্রচার চলছে।
পিটির লেখায় "পাঁক" মানে বিজেপির সঙ্গে তিনোর গোপন সম্পর্ক। এই গরমে সেই গা গোলানো গন্ধে ম, ম করছে চারপাশ।
অতিবদাতিবামেদের সঙ্গে তিনোর সম্পর্ক তো আর এখন প্রমাণের অপেক্ষা রাখেনা।
ড্রেনের পাঁক ইত্যাদি শব্দ দিয়েই বোঝা যায়, নন্দীগ্রাম পর্বকে কে কীভাবে দেখছে এবং কী কারণে।
বিজেপিতে গিয়ে কেরিয়ার করতে গেলে ঢপবাজিটা অন্য লেভেলে করতে হবে। গত পাঁচ বছরে তো শুভেন্দুকে শোনা যেত না ।
আবাপর হেডিং হঠাৎ কাব্যিক হয়ে উঠেছে কেন? নন্দীগ্রামে শিশিরপতনের শব্দ (ধপ ?), রুদ্রতেজে ভবানীপুর জ্বলছে , পার্থর বাণের সামনে একা অমুক ইত্যাদি।
"সেই শুভেন্দুর ঢপবাজিও কোট করা চলবে।"
এক্কেবারে একমত যে শুভেন্দু ঢপবাজ। তবে ড্রেনের পাঁকের খবর ঐতো রাখে। কিন্তু ঠিক কখন থেকে সে ঢপবাজ হয়েছে সেটা জানাবেন? আগে জানতেন না গত মাসেই জানলেন যে সে ঢপবাজ?
"পিটির সিপিএম - যাদের আমলে পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায় নি,"
পিটিকে যত খুশী গাল দিন কিন্তু দয়া করে এই মিথ্যে কথাটা পিটির মুখে বসাবেন না। জানি তাতে পিটিকে কর্ণার করতে সুবিধে হয়। কিন্তু পিটি অসংখ্যবার গুরুর পাতায় দাবী জানিয়েছে যে নন্দীগ্রাম হত্যার তদন্ত করে গোটা আলিমুদ্দিনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। In fact সিপিএম দলটা উঠে গেলেও পিটির বিশেষ কিছু আসবে যাবে না কেননা পিটির সঙ্গে আসল কিংবা নকল কোন সিপিএমের কোনই লেনাদেনা নেই।
এই সব আলগা মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে ভর্ভারা রাওকে কেন এত সহজে এদেশে জেলে পুরে রাখা যায়। আর কেনই বা অম্বিকেশকে এখনো প্রতিমাসে আদালতে হাজিরা দিতে হয়।
কেননা দেশের গরিষ্ঠাংশ মানুষ সত্যটা জানতে চায় না।
২০০৭ সালে চাষীদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ ছিল না, শুভেন্দু আর তিনোমুল গ্রামে গ্রামে গিয়ে গন্ডগোল পাকিয়েছে। আর ২০০৭ থেকে ২০১১ অবধি ৪ বছর ধরে সিপিএম সে সব জেনে শুনেও সেগুলো সামনে আনল না, ইচ্ছে করে ভোটে হেরে গেল।
এই পিটি লোকটা এত বাজে আর ফালতু মিথ্যে কথা বলে, একেবারে বোধবুদ্ধিহীন। একে ইগনোর
এখানে দুটো সিপিএম নিয়ে কথা হচ্ছে।
এক হচ্ছে, বাস্তবের সিপিএম - যার নেতারা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু রা। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে তাদের পদ্ধতি যে ঠিক ছিল না একথা তারা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু তাই বলে তো আর সেই নিয়ে বসে ঘ্যান ঘ্যান করে কাটিয়ে দেওয়া যায় না, আজকের ইস্যু গুলো, ২০২১ সালের ইস্যুগুলো নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে হবে, ভোটে লড়তে হবে, প্রয়োজনমতন জোট তৈরি করতে হবে, ইত্যাদি তারা করছেন।
আর এক হচ্ছে, পিটির সিপিএম - যাদের আমলে পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায় নি, কোথায় কোনো গুপি হয় নি, স্বপ্নের রাজ্য ছিল, সুশাসনের সাজানো বাগান ছিল। তারা সেই ২০০৭-২০১১ তে আটকে গেছেন। আমাদের সাজানো বাগান তিনোরা এসে তছনছ করে দিয়েছে এক যুগ আগে, তাই নিয়ে তাদের হাহাকার। ২০৫০ সালেও তাদের হাহাকার শুনবেন ঐ ২০০৭ সালে কারা এসে ওখানে কি করেছিল ইত্যাদি। এরা আবার নিজেদের খুব বোদ্ধা মনে করেন, বাকীদের ছাগল বলেন।
"কল্লোল রঞ্জন ডিডি এদেরকে কথায় কথায় মিথ্যেবাদী ছলচাতুরি বাজ বলে গেছে....."
সে তো এক অন্য যুগের কথা। তখন বাংলার আকাশ বাতাস বিপ্লবের গন্ধে ম, ম করত। তখন শুভেন্দু "কর্পোরেট বিরোধী" কৃষক নেতা, সুফিয়ান সাবল্টার্নদের মুখ আর রাজপুত্তুর তখন "বিপলব, বিপলব" বলে হামা টানছে।
তার পরে কোথা হইতে কি হইল, শ্যামলাল জানে!! বিপ্লব শেষে, ক্রেমে ক্রেমে রাজপুত্তুর শন্তিনিকেতনে, সুফিয়ান জাহাজ বাড়িতে আর শুভেন্দু বিজেপিতে!!
এখন আরেকবারিচ্ছেকরে এই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের সঙ্গে তক্কাতে।
@অরণ্য
কারণ গোলমাল তো শুভেন্দুই পাকাচ্ছিল ভেতর থেকে। কে জানে অপরেশন বর্গায় তাদের পরিবারের কত জমি গিয়েছিল। রাস্তা কেটে, গাছ ফেলে নন্দীগ্রামকে রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার সব কিছুই তো শুভেন্দু (আর কি অতিবামেরা?) মিলেই করছিল। তো সরকার কি বসে বসে আঙুল চুষবে নাকি?
আর শেখ সুফিয়ান, আবু তাহের ইত্যাদিদের 'জেহাদি' বানাচ্ছে।
সেই শুভেন্দুর ঢপবাজিও কোট করা চলবে।
শুধু এটা প্রমাণের জন্য যে সেই সময়ের সরকারের কোন দোষই ছিল না, গ্রামের লোকও মরেনি ইত্যাদি।
শুভেন্দু এখন বিজেপি গিয়ে কপালে তিলক কেটে নন্দীগ্রামে বিজেপির প্রভাব দেখাচ্ছে, পনের বছর আগের। আন্দোলানটা ভোটের আগে বিজেপির ছাপ মেরে হাইজ্যাক করার তাল ও চাল।
সেই নিয়ে হামবাগপনা এখানে চলছে।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনে বিজেপি-র সরাসরি যোগ ছিল , সেটা হতেই পারে। কিন্তু, সিপিআইএম কেন ব্যারিকেড করেছিল, কেন এলাকা ঘিরে রেখেছিল, কেন কাউকে ঢুকতে দিচ্ছিল না, তা তো সিপিআইএম-এর সেই সময়ের পলিসি মেকার-রাই বলতে পারবেন।
সিপিআইএম কেন ব্যারিকেড করেছিল, তা কেন শুভেন্দু-র কাছ থেকে জানতে হবে?
পিটিরটা @aranya
সেটা শুভেন্দু খুব ভালই জানে কিন্তু ভেঙ্গে বলেনি এখনো। হয়্ত বলবে কোন দিন!! যেমন কিনা মুকুল রায় এখনো বলেনি ক্যন্ডিডেট পিছু কত লাখ করে টাকা দিয়েছিল। আর দিদি তো দুজনের কৃতকর্মের সমস্ত খবর রাখেন -কেননা তাঁর অনুপ্রেরনাতেই সব ঘটেছিল।
এতো ঘরেলু ঝগড়া, বাইরের লোক জানবে কি করে?
কিন্তু এখনো কি শুভেন্দুর দিকে আঙুল তোলার সময় আসেনি? নাকি এখনো ৩৪ বছরের শাক দিয়ে....... ইত্যাদি।
গাল দিলে গাল খেতে হবে, একনাগাড়ে দিয়ে গেলে তো হবে না, কল্লোল রঞ্জন ডিডি এদেরকে কথায় কথায় মিথ্যেবাদী ছলচাতুরি বাজ বলে গেছে এখন একেবারে ফুলের ঘায়ে কান্নাকাটি করলে তো হবে না.
আয়নায় যেমন মুখ দেখাবেন
'Lal Krishna Advani first entered the area after breaking through the barricades erected by the CPI (M)'
- সিপিআইএম ব্যারিকেড করেছিল কেন?
নন্দীগ্রাম বিপ্লবের বিজেপি কানেকশন যেটা বা- ও ধা-বুজিরা এতদিন চাপা দিয়ে রেখেছিল? ক্রেমে ক্রেমে আরো কি বেরোবে কে জানে!! একেবারে ঘোড়ার মুখ থেকেঃ
""The Nandigram movement would have never gained national importance had the BJP not raised it in the Parliament. The TMC managed to enter Nandigram during those days because the then leader of opposition in Lok Sabha, Lal Krishna Advani first entered the area after breaking through the barricades erected by the CPI (M)," he said."
মিথ-১ বিজেপি একটি শৃংখলবদ্ধ রাজনৈতিক দল।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
কাকে ?
Kake ?
"ছাগল , ভেড়া , কাক, বদ, অতিবদ, বদমাশ , ওপরচালাক , ধান্দাবাজ "
এগুলোর প্রায় কোনটাই গুরুতে ব্যবহৃত ও অনিন্দিত "বুদ্ধর বৌ"-এর মত ব্যক্তি আক্রমন নয়। খানিকটা গুরুতে বহু ব্যবহৃত "হার্মাদ" (একটি জাতি, ধর্ম বা দল) এর সমতুল্য।
"কাক" বিশেষণটিও আমার সৃষ্ট নয়। ওটি পব-তে অন্য কারা একজনের স্বীয় কর্মফলের সঙ্গে জড়িয়ে ব্যবহার করে ক্লিশে করে দিয়েছেন। খানিকটা "বিশ্ববিজয়ী," "কবিগুরু" বা "মহামতি"-র মত।
"মানুষ কখন ভেড়া হবে, জানতে পার না"-বঙ্গীয় নাটকের একটি গান। যারা লেখে এখানে তাদের বেশীর ভাগই বোধহয় সেই নাটক দেখেনি।
আর "ছাগল" শব্দটির ব্যবহারও বাংলা ভাষার পথিকৃতদের কাছ থেকে শেখা। উদাঃ "পাগলে কি না বলে, ছাগলে কিনা খায়।" আমি শুধু "কিনা খায়" এর জায়গায় "কিনা ভোটায়" করেছি।
এটা পড়ে কেউ মানসিক ভাবে অস্থির হবেন না দয়া করে।
প্রসংগত, ডিডি ছাড়া আর কে-