পরের আইটেম নয়। একই আইটেম। শুনুন। তারপরে বুঝবেন যে হাওয়ায় লাঠি ঘোরাচ্ছেন।
আমি ভাবি যারা সিপিএমের খামতি সম্পর্কে এত জানে তাদের সিপিএম কেন PK করে নিয়ে যায় না!!
চলে এল পরের আইটেম।
পিটির কথায় কান না দিয়ে Dr Sajjan Kumar-এর ব্যাখ্যা শুনুন। ২০১৮-র systematic violence নাকি টার্নিং পয়েন্ট ছিল? তিনোর বিরুদ্ধে "নফরৎ" জাতীয় শব্দটি বাংলা মিডিয়া কখনো ব্যবহার করেছে বলে মনে করতে পারি না।
এই হল চ্যারল্যাডাররা। অন্যদের সম্বন্ধে হাজার পোশ্নো? আপনি কি অমুক সমর্থক, আপনি কি অ্যানালিটিক্যাল, আপনি কি রাজনীতি বোঝেন ? ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নেচেই যাবে। নিজের বেলা আমি সিপিএমের কেউ নয়, শুধু তাদের বড় ভালোবাসি, কোন খুঁত পাইনা, শুধু নাচের সময়ে ডায়ালগ বলি দলটা উঠে যাক। সুবিধে হল, এরকম নাচলে সব দিক রাখা যায়, নেতাদের প্রেস কন্ফ নিয়েও নাচা যায়, হামবাগ টিভিও মাথায় নিয়ে নেচে পন্ডিতি দেখানো যায়। প্রমাণ যখন ছিলই নেতারা আরো একটু চেষ্টা করতে পারত, একটা প্রেস কন্ফেই চ্যারল্যাডারদের নাচিয়েই শেষ ? মামলা করা যেত না নাকি আরো প্রচার করা যেত না ? নেতাদের দরকার ছিল একটু কাজ দেখানোর, সেটুকুতেই খুশী। একটি ছেলে তো মারা গেল, গ্রাম থেকে এসে কলকাতায়, তারপর কী, না মমতা সুজনকে ফোনে করল, চীয়ারলীডাররা দুদিন কাব্যি করল, তারপর ব্রিগেড দেখে নাচ হল। হ্যান করব, ত্যান করব, এ তো খুন, এসব বলে নেতারাও ভোটে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন, চীয়ারলীডাররাও পরবর্তী আইটেমের জন্য টিভি দেখতে লেগে পড়লেন, আবার দুবছর পরে নাচার সময়ে বিষয়টি বার করে গদগদ হবে ।
একদম হাতেহাতে উদাহরণ। ন্যাকামো লিখলেন সিপিএম তিনোমূল আর বিজেপীকে নিয়ে কিন্তু দারুণ প্রজ্ঞাওলা প্রফ ধুতির কষি এঁটে ন্যাকামোর দল (মগজের প্রজ্ঞা দিয়ে বুঝে নিইছেন আর কি) ন্যাকামোর পলিটিকস নিয়ে নিদান দিয়ে ফেলেছে। ব্যাক্তি ন্যাকামোর আট্টু পরিচয় জানলে এলাকার হার্মাদ লেলিয়ে দেওয়াও হত নির্ঘাৎ।
@ সিএস
আপনি কি তিনো সমর্থক? তাহলে আপনার সঙ্গে তক্ক করা বৃথা। যদি না হন দয়া করে আরেকটু খবর নিয়ে তারপরে লিখুন। প্রেস কনফারেন্সে KMC র কাগজ দেখানো হয়েছিল। এটা কোন ফেক নিউজ নয়। হাম্বাগ টিভিকে গাল দিতেই পারেন কিন্তু ওদের তথ্যগুলোকে মিথ্যে প্রমাণ করার কোমরের জোর নেই আপনার বা আপনার প্রিয় দলটির । শুধুই গালাগাল ভরসা।
সিপিএম দলটাই উঠে যাক। আমার কিস্যু আসে যায় না। নিজেদের লড়াই নিজেরা করুন। ৭% এর কাঁধে ভর দিয়ে বালখিল্যতা দেখানোর দিন নেই আর।
@ন্যাকামো
আরে বুক চিতিয়ে বলুন না যে আপনি চান তিনোরা ক্ষমতায় থাকুক। এত ন্যাকামোর কি আছে? ভোটার কি কারো খাঁচায় পোষা পাখি নাকি? আর "পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী আসনটা বামেরা ধরে রাখতে " যাতে না পারে তার জন্য অন্ততঃ মেদেনিপুরে ২০১১ থেকে বামেদের ঠেঙিয়ে কিভাবে RSS কে বাড়তে দেওয়া হয়েছিল সে খবর রাখি। একটু গোলমাল হয়েছে মাত্র। ভোট ভাগের খেলায়, বিজেপির সমর্থনটা ২০%-এ ঠেকিয়ে রাখা যায়নি। এখন একদা পোষা গুন্ডার দল আর যে গুন্ডাদের কন্ট্রোল করে বলে দাবী করেছিল তার দলের মধ্যে লড়াই হচ্ছে।
শিশিরবাবু নিজেদের বংশের মানমর্যাদা ডুবিয়ে বিচিপিতে গেলেন। শালা অ্যাত পেয়েও এরা খুশি নয়। এটা কিন্তু রাণীমার সঙ্গে না ইনসাফি হ'ল। ছ্যা ছ্যা। আশা করি মিডনাপুরের চিয়ারলিদাররা এর জবাব ওঁকে দেবেন।
আরেকটা মজা হল সিপিএম দলকে বললে পট পমরা তেড়ে এসে আপুনের চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করবে। আপুনি পালটে বল্লেই ওইরে আমায় কাম্রাচ্চে গো বলে লাফাতে লাগবে।
বার্ণল মোমেন্ট। যাগগে। এদিকে কী হয়েচে কৃষি বিল নিয়ে অ্যাত নেচে-কুঁদে কাল মুলো সাংসদ টপ করে মুখ পুড়িয়ে ফেলেচেন। আহা গো।
কর্মীরা মার খাচ্ছিল আর নেতারা মামলা চাইছিল, চীয়ারলীডাররা খুঁজছিল আজকাল কাগজটি দলবদলের পরে কার কথা শুনে নাচা যায়। ভাগ্যিশ হামবাগ টিভি নেমে গেছে।
সিপিএমের ক্ষমতায় থাকার সময়ে অজুহাত, ক্ষমতা থেকে যাওয়ার সময়ে অজুহাত, লোকের কাছে কেন ফিরতে পারছি না, সেও অজুহাত। সবেতেই অন্যরাই দায়ী। চীয়ারলিডাররা নাচার জন্য এত অজুহাত পেয়েই খুশী।
আপনারাই বা অত ব্যস্ত হচ্ছেন কেন। বামেদের এখন অস্তিত্বের লড়াই।
দু বছরও হয় নি, ২০১৯ এর লোকসভা ভোট যেখানে ফলাফল ছিল - টিএমসি ২২ (৪৩% ভোট), বিজেপি ১৮ (৪০% ভোট), কংগ্রেস ২।
২০১৯ এর ভোটের ফলাফলকে বিধানসভার কেন্দ্র অনুযায়ী ভাঙ্গলে দেখা যাচ্ছে - টিএমসি ১৬৪, বিজেপি ১২১, কংগ্রেস ৯, বামফ্রন্ট ০ ।
বামফ্রন্টের এখন অস্তিত্বের লড়াই। একটাই ব্যাপার হল শূণ্য থেকে শুরু, হারানোর কিছু নেই।
এইগুলি সবই অন্যান্য দলের চালাক চিয়ারলিডারদের জন্য। :)
দলটা নিজেরা analytical ভাবে বিচার করুক কেন ভোট চলে গেছে আর কীভাবে সেসব ফিরে আসবে। তারপর দলের বোকা চীয়ারলীডারদের বোঝাক। তাহলেই বুঝব অনেক করেছে।
আবার সেই ন্যাকামো। পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী আসনটা বামেরা ধরে রাখতে পারে নি, বিজেপিকে ছেড়ে দিয়েছে, সুতো ছাড়তে ছাড়তে প্রায় পুরোটাই ছেড়ে দিয়েছে। তৃনমুলের ভোট কমে নি অথচ বিরোধী আসনে বামদের ভোট বিজেপিতে যেতে যেতে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। খাল কেটে কুমিরকে জায়গা করে দিয়েছে বামেরা।
এই হচ্ছে সিপিএমের ছানাদের ভাব। জানে না বললে পরক্ষণেই সবজান্তার মতো বলবে, কে বলল জানি না, আমরা সব জানি। তার আগে পর্যন্ত ফাঁদ, গণশক্তি ইত্যাদি। আদি ফেক নিউজ মনে হয় ঐ কাগজটিই। আর সিপিএম বলেছে বলেেই হয়ত মামলা করেনি, দলটা নিজেই জানে তাদের নেতাদের কথা কিছু সবজান্তা ছাড়া কেউ শোনেওনা। তাও তারা আজকাল হামবাগ টিভিতে শিফ্ট করেছে ।
"এ রিপোর্ট কারা বানিয়েছে, ADR কারা, কোন ধারণা নেই।"
এই হচ্ছে সমস্যা। অন্যেরা ADR কি জানেনা ধরে নিয়ে বক্তব্য স্থাপন!!
"বহু পুরাতন সত্যবাদী গণশক্তি আর মিথ্যেবাদী আবাপ।"
আবার হাওয়ায় তলোয়ার ঘোরানো। গণশক্তি পার্টির কাগজ আর আবাপ তীব্র বাম (শুধু সিপিএম নয়)- বিরোধী "নিরপেক্ষ" কে না জানে। কিন্তু কোর্ট তো খোলা। মানহানির মামলা তো করাই যেত সুজন বা শতরূপের বিরুদ্ধে। আর যতদূর মনে পড়ে পিটি কখনই গণশক্তি থেকে কোন লিং দেয়নি।
মোদ্দা কথা তথ্যের সততা, যথার্থ্তা এবং সূত্র সম্পর্কে যাদের কোনই মনোযোগ নেই ও ১৫ বছর বাদেও, analytical দৃষ্টিতে ঘটনার বিচার করেনা তাদের কাছ থেকে খিস্তি ছাড়া কিছুই পাওয়ার নেই। এই সব হ্যা হ্যা পার্টিরা বোঝেও নি বা বুঝতেও চায় না যে কোন গলতা দিয়ে তারা পবতে বিজেপিকে আসার রাস্তা করে দিয়েছে।
বহু পুরাতন সত্যবাদী গণশক্তি আর মিথ্যেবাদী আবাপ। এখন আবার ছাগল নাচানো হামবাগরা। ফাঁদ পেতেছে রাজ্যজুড়ে।
অবশ্য সমর্থকরাও তো তেমন। সবেতে আবাপের ফাঁদ দেখে। এ রিপোর্ট কারা বানিয়েছে, ADR কারা, কোন ধারণা নেই।
সিপিএম দলটা অবাক করার মত। টাকাবল, ব্রিগেডের জন্য লোকবল, বক্তব্যবল সব আছে, কিন্তু ভোটবলটা কোথায় কে জানে।
সমানে খিস্তি করে করে একন নাকি মিস কচ্চে!! ডিডিস্যারকে এদের দলের ভোঁদি খিস্তি করে বসিয়ে দিয়েছিল। ডিডিস্যার লিখে গেসলেন। পরে অবশ্য না না আমি কিছু বলি নি টাইপের টিপিক্যাল সিপিএমি ছ্যাঁচকামো করেছে ভোঁদি
দশটা বছর দিদিকে দিলেন
চৌত্রিশ বছর বাম
পাঁচটা বছর দিয়েই দেখুন
কেমন রাখে রাম
এতো বহু আগের জানা ঘটনা (২০১৪)। ক্ষমতায় আসার মাত্র ৩ বছরের মধ্যেই এই কান্ড। কয়েক মাস আগে সুজন সেই সব কাগজ পত্র নিয়ে প্রেস কন্ফারেন্সও করেছে।
"“I have got photo-copies of the land deeds, and I am ready to face any investigation. The chief minister’s family, by using her position, has bought the properties. I do not believe that the CM did not know anything. In fact, 70 per cent of Kalighat is now owned by the Banerjee family,” Dev later said while talking to The Indian Express."
আসলে আবাপ ফাঁদ পাতে। আর আম আমড়ার ফারাক না করে সুশীল ও উচ্চ শিক্ষিত বাঙ্গালীরা সেই ফাঁদে পা দেয়। যেমন একটি রাজ্য ভিত্তিক ২০ বছুরে দলের সম্পত্তির সঙ্গে অন্য একটি সারা দেশে ছড়ানো (২ বা ৩ রাজ্যে ক্ষমতায় কখনো) দলের সম্পত্তির তুলনা হয় নাকি?
এই সব নিম্নমানের তক্কের সময়ে কল্লোলদাকে খুব মিস করি। তার বেশীর ভাগ রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে আমার কোনদিন মতে মিলত না। এমনকি আমাকে "বিজেপিটি" বলে গাল দিলেও তার সঙ্গে তক্কে করতে গেলে পড়াশুনো করতে হত। RR আছেন কিন্তু খুব ঠুকে ঠুকে খেলছেন আজকাল। আর DD সন্ন্যাস নিয়েছেন কিনা কে জানে!!!!
গণশক্তি লিখেছিল ক্ষমতায় আসার পরে এই দশ বছরে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার কালীঘাটে পঁয়ত্রিশটা রিয়েল এস্টেটের মালিক হয়েছে। সত্যি মিথ্যে জানিনা। তবে কেউ মানহানির মামলা করেনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার বাড়ি শান্তিনিকেতনের ছবি টিভিতে দেখেছি। অনেক দাম হবার কথা, যদিও কত জানিনা। ওনার আয়ের উৎস নিয়েও ধারণা নেই।
গণশক্তি লিখেছিল ক্ষমতায় আসার পরে এই দশ বছরে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার কালীঘাটে পঁয়ত্রিশটা রিয়েল এস্টেটের মালিক হয়েছে। সত্যি মিথ্যে জানিনা। তবে কেউ মানহানির মামলা করেনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার বাড়ি শান্তিনিকেতনের ছবি টিভিতে দেখেছি। অনেক দাম হবার কথা, যদিও কত জানিনা। ওনার আয়ের উৎস নিয়েও ধারণা নেই।
যবে থেকে জেলায় জেলায় পার্টি আপিসের নামে আলিশান বিল্ডিং ওঠা শুরু হয়েছিল তবে থেকেই কৌটো নাড়ানোটা পার্টির হাতি কে দাঁত হয়ে গেছিল। নৃপেন চক্রবর্তী সোজাসুজি প্রতিবাদ করেছিলেন, পার্টি পুরস্কার দিয়েছিল পার্টি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে।
"ছবি বেচে কাটমানি নিয়ে এবং নানা ফিকির করেও ক্যানো এরা শিপিয়েমের থেকে পিছিয়ে পড়ল বলুনতো?"
কাটমানি তো গেছে জাহাজ বাড়িতে অথবা শান্তিনিকেতনে। আরো কি সব টাকাকড়ির আধপোড়া রসিদ গৌতম দেব দেখিয়েছিলেন টিভিতে। বেহিসেবী সম্পত্তির হিসেব নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এই সেদিন এক অধুনা তিনোপ্রার্থী একদা পুলিশ কর্তা কয়েকদিন আগে আরামটিভির সাংবাদিককে ফোনে শ্যালক সম্বোধন করে ভয় দেখালেন।
তো এই সব কোটি কোটি খুচরো টাকার তো আর অডিট হয়্না। ২০১১- র মেজ- সেজ- ছোট নেতারা ২০২১ এ কি পরিমাণ সম্পত্তি করেছে তার হিসেব অরুণাভ ঘোষের কাছে পাবেন।
এসবই তো তিনোর টাকা। এসবের কি আর অডিট হয়?
তবে কিনা এইসব আলগা মন্তব্যে হাওয়াই চটিতে ফুল- বেলপাতা চড়ানোর গন্ধ আছে। এট্টু সাবধানে গুজবের চর্চা করবেন।
সুভাষ চক্কোত্তি "ক্ষমতা থেকে ব্যক্তিগত বৈভব" বানান প্রসঙ্গে কেউ দু এক আনা দেবেন নাকি? আমার জানাতে ইচ্ছে করে।
আরে জনসনের একটা শটতো, নিলে দুটো নেওয়াই ভালো, বেশ পোক্ত হবে মনে হয় ব্যাপারটা।
অরণ্য দা, আমাদের মর্ডানা।
জনসনেরটায় কী হচ্ছে? কোনো ঝামেলা নেই তো? উন্নতমানের মনে হয় ওটা।